বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত হিজলতলা এখনো রয়েছে সেভাবেই

114

ডেস্ক নিউজঃ ছোট খাল। সময়ের ব্যবধানে আরও ছোট হয়ে আসছে। তবে বর্ষা হওয়ায় খালটি পানিতে টুইটম্বুর। পানি যেন উপচে পড়ছে। টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মধ্য দিয়ে যাওয়া খালটি আজও যেন তার নাম ধরে ডাকছে। এ খালেই সাঁতার কাটতেন তিনি। শৈশব-কৈশোরে এ খালেই ডুব-সাঁতারে ঝড় তুলতেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধুর বাড়ির একেবারেই পাশ ঘেঁষে খালটি প্রবাহিত হয়েছে। ছোট হলেও বেশ পরিপাটি করে রাখা খালের দু’পাশ। দু’পাড় সবুজে ভরা। ব্লক দিয়ে পিচিং করে শাসন করা হয়েছে খালটি। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির পার্শ্ববর্তী পাড় বাঁধাই করা। শান বাঁধানো ঘাট করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখতেই।

Bisk Club
jagonews24

আজ বঙ্গবন্ধু নেই, আছে তার সেই প্রিয় ঘাট পাড়। আছে সেই হিজল গাছ। ঘাটের দু’পাশে তাল গাছ। ঘাটে হিজল গাছটি এখনও ঠায় দাঁড়িয়ে। হিজল গাছটি ঠিক যেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকথার সাক্ষী হয়ে আছে। আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আজও ডুকরে কাঁদছে প্রিয় মানুষটির জন্য।

ঘাট পাড়ে লেখা ‘এই তো- সেই হিজলতলা। যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বাল্যকালে গোসল করতেন’।

ঘাট প্রসঙ্গে কথা হয় শেখ হাসিনার মামা শেখ বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শৈশব এবং কৈশোরে এ ঘাটেই গোসল করতেন। এমনকি পরিণত বয়সে তিনি গ্রামে আসলেও এ ঘাটেই গোসল করতেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাও বাল্যকালে এ ঘাটে গোসল করতেন, সাঁতার কাটতেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছোটবেলায় দেখেছি, এই ঘাট থেকেই বঙ্গবন্ধু নৌকা করে বের হতেন। এখানে বড় বড় নৌকা ভিড়ত। শেখ বাড়ির নিজস্ব একটি বড় নৌকাও ছিল। ওই নৌকায় গিয়েই নদীতে লঞ্চে উঠতেন। এ ঘাট পাড়ে এলেই বঙ্গবন্ধুর কথা মনে পড়ে যায়। এ ঘাটেই মিশে আছে জাতির জনকের নানা স্মৃতিকথা।’