নারায়ণগঞ্জে জাতীয় শোক দিবস পালিত

57

১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে মর্মান্তিক ভাবে হত্যা করে বিপদগামী কিছু সেনাকর্মকর্তা। তাই আজকের এই দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে সারা দেশব্যাপি। এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জেও নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে দিবসটি।

এ দিবসকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় অবস্থিত বিজয় স্তম্ভে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অস্থায়ি প্রতিকৃতিতে ফুলের শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া, জেলা পুলিশ সুপার মঈননুল হক, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান সহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। অপরদিকে মাহানগর আওয়ামী লীগের উদ্দোগে দুস্তদের মাঝে খাদ্য বিতরনের কর্মসূচি পালন করছে নেতাকর্মীরা।

এছড়াও এ দিবসকে সামনে রেখে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিত্রাংকন , আবৃত্তি ,বঙ্গবন্ধুর স্মরনে রচনা লেখা ,নাটক সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। এসকল সকল প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থিরা। সরকারি তোলারাম কলেজে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেয়ালিকা প্রতিযোগীতার অয়োজন করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, প্যাগোটায় দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।ফলে প্রার্থনার আওয়াজে মুৃখরিত শহরের অলিগলি।

এছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্পটে মাইকে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন প্রচার করা সহ দেশাত্ববোধক গানে মুখরিত আজ পুরো শহর। যেন ৪২ বছর আগের সেই শোকাবহ দিন ফিরে এসেছে। আজো বঙ্গবন্ধু জাতীর স্মৃতিতে এক মহান নেতা হয়ে উজ্জিবীত আছে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোরপত্র।

নারায়ণগঞ্জ প্রি-পারেটরি স্কুলে শিশুদের জন্য আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী এক শিক্ষার্থী আশালতা ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগীতায় মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে আশা। এমনি করে অজস্্র শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিযোগীতার মাধ্যমে ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হচ্ছে। ফলে এ উদ্যোহকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা। তারা বলেন, এসকল প্রতিযোগীতার মাধ্যমে একদিকে যেমন শিশুর পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন দিকে প্রতিভা বিকশিত হচ্ছে তেমনি তার মনো যগতে দেশের প্রতি এক গভির মমোত্ববোধ তৈরী হচ্ছে। যা ইতিবাচক।