জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক আল আমিন ইকবালের নাম থাকায় আ’লীগ-বিএনপির দুই নেতার অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা

419

সদর উপজেলার বক্তাবলীতে শহীদ গণহত্যা দিবসের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম শওকত আলী ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আল আমিন সিদ্দিকী। অভিন্ন কারণে বিপরীতমুখি রাজনৈতিক অবস্থানের এই দুই নেতা শহীদ পরিবারের সন্তান নামের একটি সংগঠনের ওই অনুষ্ঠান বর্জন করবেন বলে জানিয়েছেন। উভয়ের অভিযোগ, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না আল আমিন ইকবাল নামের এমন একজনকে অনুষ্ঠানে অতিথি করা হয়েছে। আল আমিন ইকবাল শুধু স্বাধীনতা বিরোধীদের সমর্থকই নন, তিনি জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকও।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় বক্তাবলীর লক্ষ্মীনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠানটি হবার কথা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম শওকত আলী জানান, ওই ব্যক্তিটি বিভিন্নভাবে তার স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থানের বিষয়টি পরিস্কার করেছেন। এমনকি তিনি যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দাবি করেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয়। এমন একজন ব্যক্তির সাথে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার প্রশ্নই উঠে না। তিনি বলেন, তাছাড়া আয়োজকরা আমাকে বিষয়টি আগে অবগত করে নাই। আমি বঙ্গবন্ধু আর্দশের সৈনিক, কোন স্বাধীনতাবিরোধীর সাথে আপোষের সুযোগ নেই।

অন্যদিকে একই অভিযোগ এনে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ছাপানো পোস্টার থেকে নিজের নাম মুছে ফেলার অনুরোধ করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আল আমিন সিদ্দিকী। এমনকি পোস্টারে যদি নাম মুছে ফেলা না হয় তবে তিনি মামলারও হুমকি দেন।

পরবর্তীতে আয়োজকরা পোস্টারে কালো কালিতে আল আমিন সিদ্দিকীর নাম মুছে তা এলাকায় সাঁটিয়েছে বলে জানা গেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতি আলী হোসেন জানান, চেয়ারম্যান সাহেব (শওকত আলী) আমাদের তেমন কিছ্ ুবলেননি। আর আল আমিন সিদ্দিকীর আপত্তির কারণে তার নাম পোস্টার থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, আল আমিন ইকবাল কোন দল করেন, কোন আর্দশে বিশ্বাস তা আমাদের কাছে মুখ্য না। তিনি এলাকার সন্তান তাই তাকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত শহীদ বক্তাবলী গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে প্রতি বছর ২৯ নভেম্বর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনগুলো।