নতুন করে আলোচনায় সাবেক এমপি কবরী

165

ডেস্ক নিউজ : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী? এ প্রশ্ন এখন অনেকের।  ডিএনসিসির উপ-নির্বাচন নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জের প্রাক্তন এমপি ও চিত্রনায়িকা সারাহ বেগম কবরীর সঙ্গে বৈঠক করেছে আওয়ামী লীগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রবেশ করেন সারাহ বেগম কবরী। কবরীর প্রবেশের আগেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে বসে ছিলেন। পরে নির্ধারিত বৈঠক শুরু হয়। তবে বৈঠকে উপস্থিত নেতারা কবরীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দেলোয়ার হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য আমিরুল আলম মিলন, এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কবরীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে এক নেতা বলেন, তার সঙ্গে এ ব্যাপারে (ডিএনসিসির উপ-নির্বাচন) কোনো আলোচনা হয়নি। অন্য ব্যাপারে তিনি পার্টি অফিসে এসেছিলেন। সেই বিষয়টি কী- সে বিষয়ে জানাতেও তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে সারাহ বেগম কবরী বলেন, ‘পার্টি অফিসে যাব না কেন? আমি আওয়ামী লীগের এমপি ছিলাম। ওসবের (ডিএনসিসির উপ-নির্বাচন) কিচ্ছু না। এগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব জানেন- তিনি কী করবেন, না করবেন। এগুলো নিয়ে আমরা কথা বলা মানে বেকার কথা বলা। উনি (প্রধানমন্ত্রী) জানেন, কাকে মনোনয়ন দেবেন, না দেবেন। উনি সব জানেন।’

আপনি গত ডিএনসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচনে আগ্রহী ছিলেন, এবারও কি দলীয় নেতাদের কাছে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এতে কোনো কিছুই নাই। মানুষ কী উদ্দেশ্য নিয়ে পার্টি অফিসে যায়? কর্মী হিসেবে পার্টি অফিসের প্রতি টান থেকেই একজন কর্মী হিসেবে মাঝে মাঝে যাই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতারা জানান, সারাহ বেগম কবরী গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। সেবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরে দাঁড়ান। এবারও উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে ওনার আগ্রহ আছে। তবে এবারও তিনি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকেই মেনে নেবেন বলে আমাদের অবহিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আনিসুল হক। তিনি দায়িত্ব পালনের মধ্যেই চলতি বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যে বেড়াতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হন। গত ৩০ নভেম্বর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, আনিসুল হকের মৃত্যুর কারণে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ১৫ (ঙ) ধারা মোতাবেক মেয়রের পদ ১ ডিসেম্বর থেকে শূন্য ঘোষণা করা হলো।

এখন আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছে। এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা কম্বোডিয়া সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। বুধবার প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের কুলখানি। এরপরেই মেয়র পদে নির্বাচনের ব্যাপারে দলীয় প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হতে পারে। সূত্র-রাইজিংবিডিকে