বক্তাবলীর আল আমিন ইকবালের এভারশাইন গ্রুপের দুর্নীতি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল:

250

সামান্য নির্মাণ শ্রমিক থেকে হঠাৎ কোটিপতি বনে যাওয়া বক্তাবলী এলাকার রামনগর গ্রামরে মো. আল-আমিন ইকবারের মালিকানাধীন এভারশাইন বহুমূখী সমবায় সমিতি তথা এভারশাইন গ্রুপের দুর্নীতির রিপোর্টটি প্রকাশিত হলো সিঙ্গপুরের জাতীয় দৈনিক “দ্য স্ট্রইেট টাইমস” বাংলার কণ্ঠ,অনলাইন পত্রিকা বজ্রকণ্ঠ‘ বাংলাদেশের বাংলা নিউজ২৪ ডট কমসহ আরো অন্যান্য অনলাইন পত্রিকায়। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশতি রির্পোট অবলম্বনে মো. আল আমিন ইকবালের দুর্নীতির বিস্তারিত পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।


# সিঙ্গপুরে বহুমুখী কোম্পানির মোহময় জালে শত শত শ্রমজীবী প্রবাসী ‘বাংলার কণ্ঠ পত্রিকায়,
# সিঙ্গাপুরের হাওয়ায় এখন বাংলাদেশী প্রতারণার গুঞ্জরণ বজ্রকণ্ঠ পত্রিকায়”ঢাকায় ‘সিঙ্গাপুর সিটি’ দেখিয়ে লিটন   ইন্ডিয়ায় প্রতারণা বাংলা নিউজ ২৪ ডট কম অনলাইন পত্রিকায়,
# বাংলাদেশী শ্রমিকরা তাদরে বিনিয়োগ নিয়ে দুশ্চিতায়’ দ্য স্ট্রইেট টাইমস পত্রকিায় র্শীষক রির্পোট গুলো প্রকাশ করার জন্য অশষে ধন্যবাদ।

সিঙ্গপুরে কর্মরত  শ্রমজীবী বাংলাদেশীর বিভিন্ন মৌলকি সমস্যা যেমন, খাবার, বাসস্থান,কর্মক্ষেত্রে বেতন-বিবাদসহ এজন্টে কর্তৃক প্রতারণা, চাকরি দেয়ার নামে হয়রানি নিয়ে বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক অনুসন্ধানী রির্পোট যেমন প্রকাশ করেছে তেমনি প্রবাসীদরে স্বার্থে সংশ্লিষ্ট বিষয় সমূহে হাই কমিশনের উদাসীনতা, অবৈধ হুন্ডি,স্বর্ণ চোরাচালান, প্রবাসীদরে পাসর্পোট নিয়ে হয়রায়নিসহ সিঙ্গপুরের আইন কানুন সংক্রান্ত বিভিন্ন সচতেনতা মূলক বিষয় গুলোতওে আলোকপাত করেছে কোন রকম পক্ষ অবলম্বন না করইে। এরই ধারাবাহকিতায় নতুন বছররে সংযোজন প্রবাসীদের নিয়ে সমবায় সমতিরি প্রতারণা একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে তাতে সন্দেহ নেই। আমরা প্রবাসীরা ঘাটে পথে মরি। যখন বিদেশে আসার স্বপ্ন দেখি তখন দেশের এজেন্ট, রিক্রুটিং এজেন্সি ট্রেনিং সেন্টারও স্বপ্ন দেখায় এবং বিদেশে আসার পরে নিয়োগকর্তা, কর্মক্ষেত্রের র্ঊধ্বতন, অধঃস্তন থেকে শুরু করে এদেশে আগে যারা এসেছে অর্থাৎ একটু সিনিয়র পর্যায়ের বড়ভাই, বন্ধু, কমিনিউটির কতিপয় হঠকারী ব্যক্তিবর্গসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে শুরু হয় স্বপ্ন দেখা আর ভাঙার মহোৎসব। এরই মধ্যে ঘামের নোনা জলে তিল তিল করে সঞ্চিতঅর্থে চোখ পড়ে কখনও জাতি কখনও বিজাতীয় বন্ধুরূপী প্রতারকদের। তাদের গাড়ী-বাড়ী বিশালবহুল  জীবন হাতছানি দেয়, আবার পর্বত প্রমাণ স্বপ্ন পূরণরে আশ্বাসে তাদের কথার মিষ্টত্ব এড়াতে না পরেে আমরাও বলি হই লোভের  যুপকাষ্ঠে। ঠিক এমনটইি ঘঠেছিল‘এভারশাইন (ইশা) বহুমুখী সমবায় সমিতি বা এভারশাইন গ্রুপের ক্ষেত্রেও। এখানে বিশ্বাসটা কাজ করেছিল অন্য রকমভাবে। একদিকে দেশি তারপরে আবার সে আমাদরেই মতো একজন সাধারণ প্রবাসী শ্রমিক হয়ে বিলাসী জীবন যাপন করেছে দেখে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠে।প্রবাসের কষ্টাজির্ত উর্পাজনের বিনিময়ে যদি দেশে একটু করে জমি কিংবা ফ্লাট,গাড়ী কোম্পানির পরচিালকের পদ লাভ করা যায়, তাদের মত সু̈ট টাই পরে ঘোরা যায়, প্রবাসে উচ্চ মূল্য দিয়ে নিজের শ্রম কিনে এসে গায়ে সেঁটে থাকা শ্রমিক নামের তকমা থেকে মুক্ত হওয়া যায়,তাতে ক্ষতিকি?কথায় বলে না ‘অতি লোভে তাঁতী নষ্ট’ আমাদরেও হয়েছে সেই অব̄স্থা। মাসে মাসে বাড়িতে কম টাকা পাঠিয়ে একবেলা খেয়ে না খেয়ে সমিতির সদস্য হয়েছি প্রতি মাসে বেতন পেয়ে সবার আগে সমিতির মাসিক কিস্তির টাকাটা সমিতির পরিচালকদের হাতে সযত্বে তুলে দিয়েছি লোভনীয় প্রস্তাবে আকষ্ট হয়ে। আবার কেউ কেউ ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে কোম্পানির নাম সর্বস্ব পরচিালক হয়েছি তাদের কথায়।


বিশ্বাস করে বাজার মূল্য থেকে বহু গুণ উচ্চ মূলে কাজীর গরুকেতাবে থাকা জমি ফ্লাটের বুকিং দিয়েছি আর বিনিময়ে রক্ত পানি করা টাকা দিয়ে বাহারী রঙে ছাপানো কাল্পনিক সুদৃশ অট্টালিকার ছবি সম্বলিত দিস্তা দিস্তা কাগজ কিনেছি। র্দীঘ সময় পার করার পরে বোধোদয় হয়েছে আমাদরে সকলরেই। আমরা বাংলাদেশীরা নিজেদের যতই চালাক ভাবি না কেন আসলেই আমরা বোকা, লাভের লোভ দেখিয়ে আমাদরে মত প্রবাসীদরে সহজইে কিনে নেয়া যায়। এতো গেল আমাদরে কথা। এবার আসি আমাদের জাতি যারা আমাদের সাথে বছররে পর বছর ধরে এতবড় পরিকল্পিত প্রতারণাকরেছে তাদের কথায়। যখন আমাদের সদস্য করা হলো তখন কিমিষ্টি মিষ্টি কথা,যেন চিনি ছাড়াই শরবত বানানো যাবে। আর তাদের বিশ্বাস করবোই বা না কেন? যখন দেখেছি সাবেক হাই কমিশনার, সেখানকার কর্মকর্তাবৃন্দ,বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, পি আর সিটিজেন, ব্যবসায়ী সংগঠনের বড় বড় মাথারা বিভিন্ন সময়ে তাদের অনুষ্ঠান গুলোতে আসন অলংকৃত করছেন, এধরনের উদ্যোগ গুলোকে জানাচ্ছেন,আমাদের উৎসাহিত করছেন। অথচ যখন অঘটন ঘটলো তখন আর কাউকেই পাশে খুঁজে পাওয়া গেল না। ভাবতেও অবাক লাগে এত এত বিজ্ঞজনেরা বছররে পর বছর ধরে এই প্রতারক সিন্ডিকেটের সাংস্কৃতকি ও ধর্মীয় মোড়কে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আতিথেয়তা গ্রহণ করেছেন। তাদের কেউ কি একবারও ভাবেনি আয়োজকরা তাদের হীনউদ্দেশ্য সাধনে নিপুনভাবে আমন্ত্রিত অতিথিদের ব্যবহার করেছে, তাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে আমাদের মতো শত শত শ্রমিকদের হাড় ভাঙা শ্রেমের অর্থে নিজস্ব ব্যবসার পরিধি বাড়াচ্ছে, মিলাদ মাহফিল আর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নামে সাধারনের আইওয়াশ করছেন? জানা মতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে প্রতারিত ভুক্তভোগীরা উল্লিখিত সমিতির প্রতারণা, তাদের টাকা ফিরে পাওয়ার সহযোগিতা চেয়ে আকুতি জানিয়েছন কিন্তু বলাই বাহুল ̈ তারা এই ব্যাপারে সান্তনা দেওয়াতো দূরের কথা কেউ কেউ কোন প্রতিক্রিয়াই দেখাননি।

এখানেই শেষ নয়, রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার পরে শুনেছি যারা মুখ খুলেছেন তাদেরকে দেশে এবং সিঙ্গাপুরেও বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দেয় হচ্ছে। এমনকি যাদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে উক্ত কোম্পানিতে অর্থের বিনিময়ে পরিচালক করে পদ দিয়ে সমিতির শেয়ারধারী করা হয়েছে, তাদেরকেও বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে যে,কোম্পানির সকল দায়-দায়িত্ব উদ্যোক্তাদরে সাথে তাদেরও নিতে হবে। বাস্তবে কোম্পানির অর্থ কোথায় কি করা হয়েছে পরচিালকদের কেউই অবগত নন। নাম সবস্ব পরিচালক বানিয়ে মূল উদ্যোক্তাদরে অপরাধের দায়ভার পরিচালক ও বিনিয়োগকারী হিসেবে সাধারণ সদস্যদের উপরচাপিয়ে মিথ্যে ভয় দেখানো হচ্ছে যাতে তারা কোথাও মুখনা খোলেন। এই বিদেশ-বিভূইয়ে একজন স্বদেশি হিসেবে আরেকজন স্বদেশি কাছে বিপদে সাহায্য পাওয়ারই তো কথা ছিল। যাই হোক দেরিতে হলওে বাংলার কণ্ঠসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে এজন্য একটু ভাল লাগছে কিছুটা ভরসাও পাচ্ছি। টাকা কবে পাব, কিংবা আদৌ আমাদের ভাগ্যের সিঁকে ছি‍ঁড়বে কি না সেটা অনিশ্চিত হলেও রিপোর্টটি পড়ে অন্তত কয়েকজন প্রবাসীও তো ভবষ্যিতে এরকম প্রতারণায় জড়ানোর আগে দুবার ভাববেন আবার যারা এ ধরণরে প্রতারণার জাল বিছিয়েএগোবে তারাও একবার হলওে ভাববে এখানেই আপাতত স্বস্তি খোঁজার চেষ্ঠা করছি।

তবে বিদেশে বসে এধরনের প্রতারণাকরে কেউ পার পেয়ে গেলে তার দায় অনেকটা অলিখিতভাবেই বিদেশে আমাদের দেখভাল করার একমাত্র অভিভাবক হাইকমিশন, কমউিনিউটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপরেই বর্তায়,সেটা তারা সজ্ঞানে ঘটনা সর্ম্পকে অবহিত থাকুন বা নাই থাকুন। তাই এখানকার হাই কমিশন ও ব্যবসায়ী সংগঠনসহ কমিনিউটিন নেতৃত্ব স্থায়ীদের কাছে আমাদের আকুল আবেদন বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে যারা এভাবে ডোবাচ্ছে তাদের কোনো প্রকার প্রশ্রয় নয়, যারা ভুক্তভোগী তাদের শ্রমার্জিত অর্থ ফেরত পেতে সহায়তা করুন। এবং এধরনের প্রতারণা করতে দ্বিতীয়বার যাতে কেউ সাহস না পায় সেলক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।নতুন বছরে সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক, এটাই প্রত্যাশা। এভারশাইন (ইশা) বহুমুখী সমবায় সমিতির ও এভারশাইন গ্রুপরে ভুক্তভোগী প্রবাসীরা ।

দুর্নীতির আরো রিপোর্ট জানতে চোখ রাখুন নিউজ প্রতিদিন ডট নেটে।