বক্তাবলীর আকবর নগরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-৩

162

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকার আকবর নগরে হাজ্বী সামেদ আলী ও হাজ্বী রহিম বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২১ জুন) দুপুর ২ টায় আকবর নগর এলাকায়।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার (তদন্ত) মোঃ শাহজালাল,অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যাক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

হাজ্বী সামেদ আলীর জানান,হাজ্বী রহিম বাহিনীর সন্ত্রাসীরা চাদার দাবী ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর,লুটপাট ও মারধর করে ৩ জনকে গুরুতর জখম করে নগদ ৩ লাখ টাকা,৫/৬ ভরি স্বর্ন নিয়ে গেছে।হাজ্বী রহিমের ভাতিজা নবী হোসেনের দাবী এটা মিথ্যা ও বানোয়াট এবং সাজানো ঘটনা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আকবর নগরে থমথমে ভাব বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘঠনা ঘটতে পারে।

সামেদ আলী আরো জানান,রহিম হাজ্বীর সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য ফুলু মাদবরের পুত্র কবির ও নবী হোসেনের নেতৃত্বে লেহাজ আলীর পুত্র আবজাল,সাদেক আলীর পুত্র রহমান,জিয়া ও মোখলেছ,জয়নালের পুত্র মান্না,কাদিরের পুত্র নুরুজ্জামান, বহর আলীর পুত্র কাদির,নুর আমিনের পুত্র জিহাদ,লালুর পুত্র টারজাহান, জব্বারের পুত্র হান্নান সহ অজ্ঞাত নামা ৪০/৪৫ জন দেশীয় অস্ত্রসহ জালালের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট চালিয়ে নগদ ৩ লাখ টাকা ও ৫/৬ ভরি স্বর্ন লুটকরে নিয়ে যায় এবং বাধা দিলে আম্বিয়া বেগম (৭০)কে গুরুতর জখম করে। মাকে বাচাঁতে তার দুই মেয়ে মাসুদা ও রাশেদা এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা সামেদ আলীর ইটভাটা হৃদয় ব্রীকসের অফিস ভাংচুর করে।

সামেদ আলীর এ অভিযোগে অস্বীকার করেছেন,রহিম হাজ্বীর ভাই হাজ্বী মোঃ ফুলচান মাদবর। তিনি সাংবাদিকদের জানান,সামেদ আলীর বাড়িতে কোন হামলা করা হয়নি। কেননা জালালের দুলা ভাই একালউদ্দিন ঐ বাড়িতে তখন ছিল তাকে জিঙ্গাসা করেন। তাহলে জানতে পারবেন।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শাহজালাল জানান,উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছি। আগামী শনিবার থানায় আসার জন্য বলেছি।