ফতুল্লার কাশীপুরে স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করলে সদর ইউএনও

107

নিউজ প্রতিদিন: স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক।  ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাহের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে বর ও কনের পরিবারকে সতর্ক করে দেয়া হয়। অপরদিকে স্কুল ছাত্রী আকলিমা আক্তারের (১৪) লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়নের দেওভোগ শেষ মাথার গাঙ্গুলী বাড়ী এলাকায় গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয় ইউএনও নাহিদা বারিক।

সূত্রমতে জানা গেছে, ফতুল্লার দেওভোগ শেষ মাথার গাঙ্গুলী বাড়ি এলাকার আবুল মিয়ার মেয়ে আকলিমা আক্তার (১৪) এর সাথে একই এলাকার ফরিদ মিয়ার ছেলে রমজান হোসেনের (১৮) বিবাহের আয়োজন করেন উভয় পরিবার। শুক্রবার তাদের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিলো। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে একটি এলাকায় বাল্যবিবাহ হচ্ছে। পরে তিনি কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল ও ফতুল্লা থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে সেই এলাকায় মেয়ে ছেলের বাড়িতে হানা দেয়। পরে ঘটনার খোজ খবর নিয়ে জানতে পারে ছেলে মেয়ে কারোর বিয়ের বয়স হয়নি। ছেলে ও মেয়ের পরিবারকে এক সাথে করে বাল্যবিবাহ ভেঙ্গে দিয়ে মেয়ের ১৮ বছর পূর্ন না হওয়ার আগে বিয়ে না দিতে সতর্ক করে দেয়া হয়। আর ইউএনও নাহিদা বারিকের কথা শুনে মেয়েকে ১৮ বছর পূর্ন হওয়ার পূর্বে বিয়ে না দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন অভিভাবক।

ইউএনও নাহিদা বারিক বলেন, বাল্য বিবাহের সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। আর তাদের বিবাহের বয়স না হওয়ার আগে বিবাহ না দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মেয়ের পরিবার। পরে খবর নিয়ে জানতে পারলাম মেয়ের পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। মেয়ের বাবা অটো রিকশা চালায় আর মা বাসায় বসে সেলাই কাজ করেন। তাই মেয়েকে লেখাপড়া করানোর জন্য উপজেলা প্রশাসন দায়িত্ব নিয়েছে এবং মেয়ের মা জোবেদা বেগমকে একটি সেলাই মেশিন দেয়ার ঘোষনা করা হয়।