৩রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 11

মাদক, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা পলিটিশিয়ানদের তৈরি-শামীম ওসমান

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সব সময় পথ দেখিয়েছে। চলুন, আমরা সারা বাংলাদেশকে পথ দেখানোর আহবান জানালেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান এমপি।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহবান জানান।

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা শুধু নারায়ণগঞ্জকে সুন্দর করতে চাই। এমন একটি নারায়ণগঞ্জ দেখতে চাই, যেখানে রাত ১২টায় আমাদের মেয়েরা যেন নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে।

শামীম ওসমান বলেন, এক্ষেত্রে ‘আমাদের প্রশাসনের দরকার নেই। আমরাই এ জন্য যথেষ্ট। তখন দেখবেন, পুলিশ অযথা কাউকে ধরবে না। আর ধরলে কাউকে সহজে ছাড়বে না। কারণ আমরা সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে কাজ করবো। আমি মনে করি, আমাদের সমাজে ভালো মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু সমাজের অল্পসংখ্যক খারাপ মানুষের কাছে ৯০ বা ৯৫ শতাংশ খারাপ মানুষ জিম্মি হয়ে থাকে। তবে এই প্রশ্নে আমি আল্লাহ ছাড়া কারও সঙ্গে আপস করবো না। মাথা নত করবো না।

তিনি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা বন্ধ করতে হবে। মূলত মাদক থেকে এই চারটি বিষয় এসেছে। এই মাদক থেকে কিশোর গ্যাং, কিশোর গ্যাং থেকে সন্ত্রাস আর সন্ত্রাস থেকে চাঁদাবাজি ও ভূমিসদ্যুতা এসেছে। এগুলো কারা তৈরি করেছে? পলিটিশিয়ানরা তৈরি করেছে। হয়তো আমার আশেপাশের লোকজন এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে। হয়তো অনেক সাংবাদিক জড়িত রয়েছে। সমাজের বিভিন্ন পেশার হোয়াইট কালারের লোকেরা জড়িত রয়েছে। তারা সরাসরি কাজ করে না, পেছন থেকে কাজ করছে। পুলিশ- প্রশাসন জড়িত রয়েছে।’

সাংবাদিকদের নিয়ে মাঠে নামতে চান উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি মাঠে নামতে চাইছি। আমাকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিকরা কথা দিয়েছিলেন তারা আমার উদ্যোগে থাকবেন। আমি এই কাজটি করছি শুধু আল্লাহকে খুশি করার জন্য। আমি আমার কাজ শুরু করতে চাই। আমি কোনও দল দেখবো না এ কাজে, সব দলকে এতে আমন্ত্রণ জানাবো। আমি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বান জানাবো। প্রথমে আমরা নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫ আসনে কাজ শুরু করবো। এই দুই আসনে ৮৪টির মতো ওয়ার্ড আছে। আমরা যদি প্রতি ওয়ার্ড থেকে এক হাজার করে লোক নিই তাহলে ৮৪ হাজার লোক হয়। এর সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের যোগ করলে চার লাখ লোক হবে। তারা যদি চান নারায়ণগঞ্জে মাদক বিক্রি হবে না। আমার তো মনে হয় না, কেউ সাহস করতে পারবে।’

শামীম ওসমান বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রত্যাশা সংগঠনের ক্লাব করে ‘আমি একা কাজ করে যাবো। আর আমি যখন ভালো কাজ করবো তখন অনেকে এগিয়ে আসবেন। এর মধ্যে অনেকে রাজনীতি খোঁজার চেষ্টা করবে। আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলতে চাই, এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।

শামীম ওসমানের মতে, সাংবাদিক, রাজনীতিক ও শিক্ষক সমাজ যদি একসঙ্গে এগোয়– আমি বিশ্বাস করি, এক মাসের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের কোথাও মাদক বেচা সম্ভব হবে না। আমার মুখ যদি সত্য কথা বলে, আমার ক্যামেরা যদি সত্য কথা বলে এবং কলম যদি সত্যি লেখে তাহলে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের নারায়ণগঞ্জকে কলুষিত করার ক্ষমতা কারও নেই।

‘এটি আমাদের নারায়ণগঞ্জ, এটি আমাদের জন্মভূমি– আমরা এখানে মারা যাবো। সুতরাং চলুন, আমরা সবাই সামনের দিকে এগোই। আমি প্রথম দাওয়াতটা প্রেসক্লাবকে দিলাম। আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আমরা প্রত্যাশা সংগঠনের ক্লাব করবো। এটির মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন– নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান বাদল,রুমন রেজা, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম এবং জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।

কে কোন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হলেন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় এলো দলটি। ভোটের পর গত ১০ জানুয়ারি দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ হয়। আর বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান হয়।

এদিন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

যে মন্ত্রী যে দপ্তর পেলেন-

১. আ ক ম মোজাম্মেল হক- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

২. ওবায়দুল কাদের- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়

৩, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন- শিল্প মন্ত্রণালয়

৪. আসাদুজ্জামান খান- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

৫. দীপু মনি- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়

৬. মো. তাজুল ইসলাম- স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়

৭. আনিসুল হক- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

৮. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

৯. সাধন চন্দ্র মজুমদার- খাদ্য মন্ত্রণালয়

১০. ফরহাদ হোসেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

১১. ফরিদুল হক খান- ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়

১২. মহিবুল হাসান চৌধুরী- শিক্ষা মন্ত্রণালয়

১৩. স্থপতি ইয়াফেস ওসমান- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়

১৪. মুহাম্মদ ফারুক খান- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

১৫. আবুল হাসান মাহমুদ আলী- অর্থ মন্ত্রণালয়

১৬. মো. আব্দুস শহীদ- কৃষি মন্ত্রণালয়

১৭. র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

১৮. মো. আব্দুর রহমান- মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়

১৯. নারায়ণ চন্দ্র চন্দ- ভূমি মন্ত্রণালয়

২০. আব্দুস সালাম- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়

২১. মো. জিল্লুল হাকিম- রেলপথ মন্ত্রণালয়

২২. সাবের হোসেন চৌধুরী- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়

২৩. জাহাঙ্গীর কবির নানক- বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয়

২৪. নাজমুল হাসান- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

২৫. সামন্ত লাল সেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

প্রতিমন্ত্রীরা কে কোন দপ্তর পেলেন-

১. নসরুল হামিদ- বিদ্যুৎ বিভাগ

২. জুনাইদ আহমেদ পলক- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়

৩. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়

৪. জাহিদ ফারুক- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

৫. সিমিন হোসেন (রিমি)- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়

৬. মোহাম্মদ আলী আরাফাত- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়

৭. মো. মহিববুর রহমান- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়

৮. কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়

৯. রুমানা আলী- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

১০. শফিকুর রহমান চৌধুরী- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

১১. আহসানুল ইসলাম (টিটু)- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২২২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।

 

নারায়ণগঞ্জে ৪টিতে নৌকা ১টিতে লাঙ্গল বিজয়ী

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক)। তিনি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকরি ভাবে জয়লাভ করেন। এর আগে তিনি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী ছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী

রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহার ভূঁইয়া কেতলি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট। তৃনমূল বিএনপি তৈমূর আলশ খন্দকার সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯০ ভোট। নারায়ণগঞ্জ-২ আড়াইহাজার আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। রোববার রাতে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

আওয়ামীলীগ প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ২৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি জাতীয় পাটির আলমগীর সিকদার লোটন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২শ ৫৬ ভোট। এর আগেও নজরুল ইসলাম বাবু এ আসনের এমপি ছিলেন।

বিজয়ী হয়ে নজরুল ইসলাম বাবু আড়াইহাজারবাসীকে অভিন্দন জানান। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদেরও অভিন্দন ও শুচ্ছো জানান। অপরদিকে, ভোট শুরুর ১৫ ঘণ্টা আগে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী কে এম আবু হানিফ হৃদয়।

আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর সন্ত্রাসী লোকজন তার এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে ভয়ে কেউ তার পোলিং এজেন্ট হতে রাজি হচ্ছে না। তাই এমপি বাবুর বলয়ের কাছে আত্মসমর্পন করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন তিনি।

আড়াইহাজার উপজেলা, আড়াইহাজার ও গোপালদী পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ ২ আসন। এ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১১৭টি। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭৪১। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৩ হাজার ২৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১২৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ১৩৯ জন। এখানে হিজড়া ভোটার আছেন ৩ জন।

নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ২ আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন প্রার্থী। তারা হলেন— নজরুল ইসলাম বাবু (নৌকা, আওয়ামী লীগ), মো. আবু হানিফ হৃদয় (সোনালী আঁশ, তৃণমূল বিএনপি), শাহজাহান (গোলাপ ফুল, জাকের পার্টি), আলমগীর সিকদার লোটন (লাঙ্গল, জাতীয় পার্টি), শরিফুল ইসলাম (ঈগল, স্বতন্ত্র)।

এখানে অন্য প্রার্থীরা হলেন— মো. আবু হানিফ হৃদয় (তৃণমূল বিএনপি), শাহজাহান (জাকের পার্টি) ও শরিফুল

ইসলাম (স্বতন্ত্র)। এখানে বাবু ও লোটন ছাড়া বাকীদের প্রচারণা তেমন একটা ছিল না বললেই চলে। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী কায়সার হাসনাত নৌকা প্রতিকে ১ লাখ ১২ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি লিয়াকত হোসেন খোকা লাঙ্গল প্রতিক পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮১১ ভোট পান। নির্বাচনে কায়সার হাসনাত ৭৬ হাজার ৯২৭ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচএম মাসুদ দুলালের ঈগল প্রতিক পেয়েছে ২১৪ ভোট, বিএনএম ওয়ারিউল রহমান খাঁন নোঙ্গল পেয়েছেন ২৬৬ ভোট, নারায়ণদাস বিকল্পধারা কুলা প্রতিক পেয়েছেন ১৯১ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রিমপার্টির আসলাম একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ৭২৫ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আরিফ পেয়েছেন ১৩৬ ভোট ও তরিকত ফেডারেশনের মুজিবুর রহমান মানিক ফুলের মালা পেয়েছেন ২৮৯ ভোট।

সোনারগাঁয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১লাখ ৬৭ হাজার ১৪৯ জন মহিলা ভোটার ১লাখ ৭৮ হাজার ৭৮৯জন।  এবার ভোটারদের ভোটার দেওয়ার জন্য ১৩১টি কেন্দ্র করা হয়েছে এসব কেন্দ্রে ভোটারদের জন্য বুথ তৈরী করা হয়েছে ৭৭১টি।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকে শামীম ওসমান ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল গোলাপ ফুল প্রতীকে ৭ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৭৫টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফল অনুযায়ী লাঙ্গর প্রতীকে সেলিম ওসমান ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইসলামী ফ্রন্টেন চেয়ার প্রতীকের একরামুল হক ৩ হাজার ৭৩৩ ভোট পেয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমি আজ সারাদিন কোথাও বের হইনি। আমি সারাদিন কবরস্থানেই ছিলাম। তারপর পৌনে তিনটার সময় আদর্শ স্কুলে গিয়ে ভোটটা দেই। জুডিশিয়াল ডিপার্টমেন্টের কেউ কেউ চেষ্টা করেছে আমার এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধি করে দিতে। তারা স্বাধীনতা বিরোধী পরিবার থেকে এসেছে। প্রশাসনে তারা আছে চাকরি করতে পারে। তবে তারা উত্তেজনা সৃষ্টি করতে ত্রুটি রাখেননি। সিনিয়র নেতাদের সাথে এমন আচরণ করেছেন সামরিক আমলে এমনটা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে যেত।

আমি গতকালই নেতাকর্মীদের বলে দিয়েছিলাম উস্কানি দেওয়া হতে পারে। এগুলো না হলে ভোট আরও সাত আট পার্সেন্ট বাড়ত। রোববার রাতে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হবার পর গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আলোচিত প্রার্থীদের শোচনীয় পরাজয়

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচিত ও প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী ভোটের মাঠে শোচনীয়ভাবে ধরাশায়ী হয়েছেন। এই প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ফজলে হোসেন বাদশা, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ও বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী উল্লেখযোগ্য।

গতকাল রবিবার রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত এসব প্রার্থীদের বেশিরভাগই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাদের ভাষ্য, নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর দলের বৈঠক করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটে যেসব হেভিওয়েট প্রার্থীদের পরাজিতের তালিকায় জায়গা হয়েছে, জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু তাদের অন্যতম। তিনি পিরোজপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন। আসনটিতে সাতবার জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়া মঞ্জু এই প্রথমবার কোনো নির্বাচনে লজ্জাজনকভাবে হারলেন। একইভাবে পরাজিতদের তালিকায় রয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের কাছে ব্যাপক ব্যবধানে পরাজিত হোন। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, কাস্টিং ভোটের ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন। এদিকে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বেসরকারি ফলাফলে ভরাডুবি হয়েছে নৌকা প্রতীকের ফজলে হোসেন বাদশার। তাকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। তিনি পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৯০৬ ভোট। আর ফজলে হোসেন বাদশা পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬৬ ভোট।

রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনের নির্বাচনী ফলে পরাজয়ের স্বাদ নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। ১২৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টি কেন্দ্রের ফলে দেখা গেছে, মসিউর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা আসাদুজ্জামানের থেকে ২৪ হাজার ২২০ ভোটে পিছিয়ে যান। মসিউর রহমান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৬৮ ভোট। তার প্রতিদ্ব›দ্বী কেটলি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৮৮ ভোট। এদিকে কুষ্টিয়া-২ (৭৬) (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে বড় ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন টানা গত তিনবারের প্রভাবশালী এমপি জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এবারের নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটে নেমে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫ ভোট। আর আসনটিতে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে এক লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন কামারুল আরেফিন। ২৩ হাজার ৩৫৪ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন হাসানুল হক ইনু।

এছাড়া পরাজিতদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন সিলেট-৬ আসনে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। তাকে ধরাশায়ী করে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ১৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।

জানা গেছে, সিলেট-৬ আসনে নাহিদ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ১২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৮৭ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৫৮ ভোট। অন্যদিকে হেরে গেছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী ড. তৈমূর আলম খন্দকার। এই আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ে তিনি তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ৫০ ভোট। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গাজী গোলাম দস্তগীর। তিনি ছিলেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী।

ঢাকা-১৮ আসনে হেরে গেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিক লাঙ্গল প্রতীকের শেরীফা কাদের। তিনি পেয়েছেন ৬৫৫৫ ভোট। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলে বিজয়ী হয়েছেন কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খসরু চৌধুরী। মোট ২১৭টি কেন্দ্রের ফলাফলের মধ্যে কেটলি প্রতীকে মো. খসরু চৌধুরী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৮৩১ ভোট। ঢাকার এই আসনটিতে নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী দেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ট্রাক প্রতীকে এস এম তোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৫৯ ভোট। এছাড়া পরাজিত হেভিওয়েটদের মধ্যে রয়েছেন টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তিনি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অনুপম শাহজাহানের কাছে হেরে যান। তিনি ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে, গামছা প্রতীক নিয়ে ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট পেয়েছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটে হেরেছেন রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ সাভারের একাংশের ঢাকা-১৯ আসনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন তিনবারের সাবেক এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম।

মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হেরে গেছেন তিনি। এই আসনের মোট কেন্দ্র ১৯৩। সব কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৫২৫ ভোট। অন্যদিকে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি (নৌকা) মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৭৮ হাজার ২৬৯ ভোট। ফলে ৬ হাজার ২৫৬ ভোট বেশি পেয়ে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়াও হেরেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এমপি ফখরুল ইমাম। তিনি ময়মনসিংহ-৮ ঈশ্বরগঞ্জ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী।

এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের হয়ে পাঁচবারের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, বরগুনা-১ আসনে (সদর-আমতলী-তালতলী) জয় পেয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার টুকু। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬১ হাজার ৮৭৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম সরোয়ার ফোরকান (স্বতন্ত্র) পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮৭৪ এবং টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (নৌকা) পেয়েছেন ৫৪ হাজার ১৬৮ ভোট।

 

ইসলাম নিয়ে কটূক্তিকারী মৃণাল কান্তি পরাজিত

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৮৯ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস পেয়েছেন ৮২ হাজার ৮৩৩ ভোট।

ফয়সাল বিপ্লব ৬৮৩৩ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের এ এফ এম রফিকুল্লাহ সেলিম পেয়েছেন ২ হাজার ৯৩৬ ভোট।

মুন্সীগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়াামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে এবং মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র। তিনি এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।

মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আগে তিনি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।

অন্যদিকে এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গত দুইবারের টানা সংসদ সদস্য ছিলেন। এবারও তাকে নৌকা প্রতীকে এ আসন থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়।

এর আগে, মৃণাল কান্তি দাসের নামাজের বিষয় কটুক্তির প্রতিবাদে সোমবার (১ জানুয়ারি) মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের ফটকের সামনের গেটে ওলামায়ে মুন্সীগঞ্জ ও তৌহিদী জনতা খতমে নবুওয়ত মারকাজ ইজতিমা নগর, মুন্সীরহাটের পক্ষ থেকে নূর হোসেন নুরানীর নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলন বলা হয়, মুন্সীগঞ্জ-৩ (সদর ও গজারিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস ১৮ ডিসেম্বর সোমবার প্রতীক বরাদ্দের দিন একটি নির্বাচনী মিছিল বের করেন, তখন মসজিদে যোহরের নামাজ চলছিল। মিছিলের আওয়াজে মুসল্লিদের নামাজে বেঘাত ঘটবে ভেবে তারই একজন দলীয় কর্মী মসজিদে নামাজ চলছে বলে মিছিলের আওয়াজ বন্ধ করতে বলে, এতে মৃণাল কান্তি দাস প্রচণ্ড ক্ষীপ্ত হয়ে পবিত্র ইসলামের প্রতি চরম অবজ্ঞা করেন। তারই দলীয় কর্মীর প্রতি ও নামাজের বিষয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি এবং অশালীন শব্দ ব্যবহার করে নামাজ ও নামাজীদেরকে গালি ও ধমকি দেন।

তৃতীয় লিঙ্গের চেয়ারম্যান ঋতুর ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৬নং ত্রিলোচনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ঋতুর ইয়াবা সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে ইয়াবা সেবনের এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। নজরুল ইসলাম ঋতু দেশের মধ্যে প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের চেয়ারম্যান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষের মধ্যে বসে তিনি (নজরুল ইসলাম ঋতু) ইয়াবা সেবনের আসর বসিয়েছেন। একজন তাকে গ্যাসের দিয়াশলাই দিয়ে আগুন দিচ্ছেন আর চেয়ারম্যান ইয়াবা সেবন করছেন। পাশে আরও একজনকে বসে থাকতে দেখা যায়।

জানা গেছে, নজরুল ইসলাম ঋতু গত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ৬নং ত্রিলোচনপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম সানাকে ৫ হাজার ২৮ ভোটে পরাজিত করে দেশের মধ্যে প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

যুগান্তকারী এই ঘটনার পর তার নাম উঠে আসে পাঠ্যবইয়ে। জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ অনুযায়ী প্রণীত এবং ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের সম্প্রদায় অধ্যায়ে চেয়ারম্যান ঋতুর ছবিসহ তার পরিচয় উঠে আসে।

বক্তাবলী থেকে মহিউদ্দিন মেম্বার ও হৃদয়ের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে যোগদান

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : শওকত চেয়ারম্যানের নির্দেশে বক্তাবলী থেকে সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিয়ে মহিউদ্দিন মেম্বার ও হৃদয়ের প্রধানমন্ত্রীর শেষ নির্বাচনী সমাবেশে যোগদান।

৪ জানুয়রি বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর এলাকায় একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিয়ে তারা যোগদান করে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. হাইয়ের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস্ পরশ, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, না:গঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী কায়সার হাসনাত।

এর আগে গত ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে এক নির্বাচনী জনসভায় নারায়ণগঞ্জ শহরে এসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে শরীফুল হকের শোডাউন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : প্রধানমন্ত্রীর শেষ নির্বাচনী সমাবেশে চমক দেখিয়েছে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য আবু মোঃ শরীফুল হক।

৪ জানুয়রি (বৃহস্পতিবার) দুপুরে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে সমাবেশ যোগদান করেন। নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর এলাকায় একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে সোয়া ৩টায় পৌঁছান তিনি।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ হাইয়ের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস্ পরশ, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ -২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৪আসনের সাংসদ শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান, নাসিক মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী কায়সার হাসনাত, এর আগে গত ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে এক নির্বাচনী জনসভায় নারায়ণগঞ্জ শহরে এসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

নারায়ণগঞ্জ স্মার্ট সিটি হবে-প্রধানমন্ত্রী

আবদুর রহিম. মো. আবুল কালাম ( নারায়ণগঞ্জ) আওয়ামীলীগের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের সাথে দেশের অনেক ইতিহাস জড়িত। নারায়ণগঞ্জের আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জের অনেক অবদান রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে।

লিংক রোড ছয়লেনে উন্নতি করা হয়েছে, শহর-বন্দরবাসীর জন্য নাসিম ওসমান সেতু করে দেয়া হয়েছে। পঞ্চবটী-মোক্তারপুর ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করে আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি আমরাও পারি। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন, আমরা ক্ষমতায় এসেছি বলেই এতো কিছু করতে পেরেছি। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়রি) বিকেল সোয়া ৩টায় শহরের ইসদাইর এলাকায় একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে পৌঁছান তিনি। এরআগে গত ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে এক নির্বাচনী জনসভায় নারায়ণগঞ্জ শহরে এসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত হয়েছে, এখনো হচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে যতো ষড়যন্ত্র হোক না, আমাদের শক্তি দেশের মানুষ। তিনি দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দেয়ার আহবান জানান।

নারায়ণগঞ্জ স্মার্ট সিটি হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নারায়ণগঞ্জকে আমরা স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলব। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ আমরা নির্মাণ করে দিচ্ছি। নারায়ণগঞ্জে তিনটি মেট্রোরেল তৈরি করার পরিকল্পনা আছে। নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য আমরা তিনটি মেট্রোরেলের লাইন তৈরি করব। এমআরটি লাইন ১, ২ ও ৪। এমআরটি লাইন ওয়ান ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে মেট্রোরেল চলবে। এমআরটি লাইন ওয়ান এমআরটি লাইন ২ ও ৪ এগুলো সবই যাবে নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে। এছাড়া আমরা নারায়ণগঞ্জ স্পেশালি ইকনোমিক জোন করবো।

বিএনপি কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ সামনের দিকে যায় আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশ পেছনের দিকে নিয়ে যায়‌। আমরা ক্ষমতায় থাকতে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছিলাম। বিএনপি ক্ষমতায় এসে পিছিয়ে দিয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে সরকার গঠন করে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপি ২০ দলীয়ভাবে ও আমরা মহাজোট হয়ে নির্বাচন করি। আমরা ২৩৩ সিটে জয় লাভ করেছিলাম। বিএনপি পায় শুধু ৩০ টি সিট। বাকিগুলো জোটের মিত্ররা পেয়েছিল। এ নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়। তারা নির্বাচন ঠেকাতে আগুন সন্ত্রাস শুরু করে। ২০১৪ এর নির্বাচন যাতে না হয় সে লক্ষে ২০১৩ থেকেই তারা অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে। মানুষকে পুড়িয়ে ফেলেছে। মানুষকে হত্যা করেছে, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। এই জ্বালাও পোড়াও, মানুষ খুন করাই হলো বিএনপির একমাত্র গুণ। দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটাই তাঁর শেষ নির্বাচনী সভা।

সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি কই, বিএনপি নাই, লাল কার্ড খেয়ে বিএনপি পালিয়ে গেছে। খেলা হবে, আগামী ৭ জানুয়ারী ফাইনাল খেলা হবে। খেলা হবে লুটপাটের বিরুদ্ধে, দূর্নীতির বিরুদ্ধে। বিএনপির আন্দোলন ভূয়া, অবরোধ ভূয়া, হরতাল ভূয়া, মানুষে মানে না ভূয়া। একদফা ভূয়া।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে নারায়ণগঞ্জে মেট্রোরেল দাবি শামীম ওসমানবলেন, নেত্রীর কাছে চাওয়ার কিছু নেই। আপনি সব দিয়েছেন। আমার নারায়ণগঞ্জের মানুষ মেট্রোরেলে উঠতে চায়। সন্তান কখনও মায়ের কাছে চায় না। মা সন্তানের আবদার এমনিতেই পূরণ করে দেয়।

শামীম ওসমান বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছিলাম, বঙ্গবন্ধুর কন্যা, শেখ হাসিনা ৮১ সালে বাংলাদেশে এসে আমাদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে। ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারকে হত্যা করার পরও খুনিরা থেমে যায়নি, খুনিরা আমাদের নেত্রীকে ২১ বার হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। খুনি জিয়ার দল বিএনপির সন্ত্রাসীরা খুনি তারেক রহমানের নির্দেশে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। ওরা বাসে আগুন দিচ্ছে, ট্রেনে আগুন দিচ্ছে, হাসপাতালে আগুন দিচ্ছে।

একটা সাইকো লন্ডনে বসে আছে। আমাদের দাবি থাকবে এই সরকার যদি আবার ক্ষমতায় আসে, ওই খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কাজ করা। বিএনপিকে একটা সময় রাজনৈতিক দল ভাবতাম, এখন আর ভাবি না। কারণ, ৫০০ মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা, ট্রেনে একটা মা আর তার সন্তানকে একসাথে পুড়িয়ে মারা, একটা মৃত পুলিশকে চাপাতি দিয়ে কোপানো – এটা আর যাই হোক রাজনীতি হতে পারে না। দেড় হাজার গাড়ি পুড়িয়েছে কয়েক দিনে! আমাদের কর্মকান্ড যদি ওনাদের পছন্দ না হয়, নিজের একটা গাড়ি রাস্তায় এনে পুড়িয়ে দেখাক! তাহলে বুঝবো ওনাদের দেশপ্রেম কতটুকু!

সমাবেশের সভাপতিত্ব করে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ হাই। এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-১আসনের সাংসদ বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ এমকেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এড.খোকন সাহাসহ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয়, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

 

নারায়ণগঞ্জে প্রশাসনের সঙ্গে সভা করলেন ইসি আলমগীর

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যে কয়েকটি স্থানে ব্যালটে ভোট হয়েছে, সব জায়গায় এভাবেই নির্বাচন করেছি। কেউ বলার সুযোগ পাবে না যে, আগের রাতে ভোট পড়েছে। আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ১৮ তারিখ থেকে উৎসব শুরু হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। ভোটারদের মাঝে আমেজ আসতে কিছুটা সময় লাগবে। তারা প্রার্থীদের কথা শুনবেন।

মন্ত্রী ও এমপিদের প্রভাব অন্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কোথাও যদি বাঘ থাকে এবং তার চেয়ে ছোটখাটো কোনো প্রাণী যদি থাকে, সেখানটা তো ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট আছে। তারা এসব দেখবে। মাঠ সবার জন্য সমান, আইন সবার জন্য সমান। কেউ যেন কাউকে বাধা না দেয়।

নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান জোরদার করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য কারও অস্ত্র লাইসেন্স করা থাকলে তা নিয়ে নিলে তো তাকে নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এখন আমরা তাকে নিরাপত্তা দেব না, নির্বাচনকে নিরাপত্তা দেব। লাইসেন্স করা অস্ত্র থাকলেও কেউ অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন যেন করতে না পারেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে কারা এজেন্ট হবেন, সেই তালিকা আগে থেকে দিতে হবে। কোনো এজেন্টকে বের করে দেওয়া যাবে না। এজেন্টদের সই ছাড়া কোন রেজাল্ট ডিক্লেয়ার করা যাবে না। কেন্দ্রে সব প্রার্থীর এজেন্ট যেন থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল, র‍্যাব ১১ এর অধিনায়ক (সিও) তানভীর মাহমুদ পাশাসহ জেলা নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।