১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 169

ফতুল্লায় বিএনপির ৬২ নেতাকে আসামী করে আরো একটি মামলা

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় নাশকতার পরিকল্পনায় গোপন বৈঠকসহ পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে পুলিশ আরেকটি মামলা করেছে। এ মামলায় জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদারকে প্রধান আসামি করে ৬২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপির এ গোপন বৈঠক থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার রাত দেড়টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কাজী এনামুল বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত সোয়া ৯টায় ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর বালুরঘাট সংলগ্ন রহমানের পরিত্যাক্ত প্রগতি ডাইংয়ের তৃতীয় তলা বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ওই গোপন সভাটি করে নাশকতার পরিকল্পনা চলছিল।

মামলায় রুহুল আমীন (৩৫), পিতা- মৃত আলম শিকদার @ আবুল কাশেম, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর, আদর্শ স্কুল সংলগ্ন, থানা- ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ ছাড়াও ২। একরামুল কবির মামুন (৩৭), পিতা- মৃত কবির, সাং- ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ী, ৩। সাগর ছিদ্দিক (২০), পিতা- তুষার আহম্মেদ মিঠু, ৪। মোঃ তুষার আহম্মেদ মিঠু (৪২), পিতা- মৃত গফুর, উভয় সাং- দাপা ইদ্রকাপুর মাদবাড়ী সুনু মেম্বারের বাড়ী সাথে, ৫। খোকা (৪০), পিতা- মৃত সাহাবুদ্দিন, সাং- দেলাপাড়া চেয়ারম্যান বাড়ী রোড, ৬। মোঃ দিপু (৩৮), পিতা- আক্তার হোসেন, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর শৈলকুরা, ৭। শহিদুল ইসলাম টিটু (৩৮), পিতা- সফি ড্রাইভার, ৮। ইসমাইল (৪০), পিতা- মৃত বাবু খা, উভয় সাং- নয়ামাটি ভাবি বাজার, ৯। লিখন (৩৫), পিতা- তোতা মিয়া, সাং- আদর্শনগর নিশ্চিন্তপুর, ১০। সেলিম চৌধুরী কমর (৩৬), পিতা- মৃত ঠান্ডা চৌধূরী, সাং- ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ী।

১১। আবু বখতিয়ার সোহাগ (৩৫), পিতা- আঃ বারেক, সাং- আলীগঞ্জ, ১২। রানা চৌধুরী (৩০), পিতা- আব্দুল রাজ্জাক চৌধুরী, সাং- ফতুল্লা, ১৩। সেলিম আহম্মেদ (৩২), পিতা- মৃত আব্দুর রাজ্জাক, সাং- তল্লা, ১৪। রয়েল চৌধুরী (৪০), পিতা- মৃত আলামীন চেীধুরী, সাং- ফতুল্লা চৌধূরী বাড়ী, ১৫। বাহাউদ্দিন @ সাগর (৩৭), পিতা- ফজলুর রহমান, সাং- সস্তাপুর, ১৬। মামুন (মমির ছেলে) (৪২), পিতা- আবুল হোসেন, সাং- ভুইগড় পশ্চিমপাড়া, ১৭। মিঠু সরদার (৩৮), পিতা- তাজু সরদার, ১৮। কাদির শিকদার (৩৬), পিতা- বচ্চু শিকদার, উভয় সাং- ভুইগড় পূর্বপাড়া, ১৯। কাজী মশিউর (৩৫), পিতা- কাজী আব্দুল মালেক, সাং- ভুইগড় পূর্বপাড়া, ২০। ইসমাইল (৩৮), পিতা- আব্দুল জলিল, সাং- মাহমুদুর, নিতাইপুর।

২১। নজরুল মেম্বার (৪০), পিতা- এসহাক মাদবর, ২২। আব্দুর রহমান বিশ্বাস, পিতা- মৃত সিদ্দিক, উভয় সাং- মাহমুদপুর, ২৩। খোকন তারেক (৩৫), পিতা- জব্বার হাজী, সাং- শান্তিধার, ২৪। আবুল হোসেন পায়েল (৩৮), পিতা- মৃত মমতাজ উদ্দিন, মাহমুদপুর, ২৫। স্বপন (৩৫), পিতা- সজু খান, সাং- দেলপাড়া মির্জা বাড়ী মোড়, ২৬। মুসলিম (৪০), পিতা- বাচ্চু মিয়া, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর, খোঁজপাড়া, বাদল মেম্বারের বাড়ীর পাশে, ২৭। মোঃ জুয়েল (২৫), পিতা- আবুল হোসেন, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর, পোষ্ট অফিস রোড, পশু হাসপাতালের সাথে, ২৮। মোঃ টুটুল (২২), পিতা- আব্দুর রহমান, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর, পাকিস্তান বিল্ডিং এর পার্শ্বে, ২৯। শিভলু (২৫), পিতা- আরব আলী, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর, কোচপাড়া, শাহ ফতুল্লা কিন্ডার গার্ডেনের সাথে, ৩০। গোলাম মোস্তফা অরুন (৩৫), পিতা- মৃত মোহাম্মাদ আলী ড্রাইভার, সাং- ফতুল্লা রেল ষ্টেশন সুলতান মেম্বারের বাড়ী।

৩১। আব্দুল মতিন কন্ট্রাক্টর @ ভুইট্টা মতিন (৪০), পিতা- মৃত রহব আলী মাদবর, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর শৈলকুড়া, ৩২। অনি (২৭), পিতা- আবুল কাশেম, সাং- শিয়ারচর উকিল বাড়ীর মোড়, ৩৩। আব্দুর রাজ্জাক টিক্কা (৩৮), পিতা- মৃত গোলাপ চান, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর শৈলকুড়া, ৩৪। টিপু (২৮), পিতা- মৃত আঃ গফুর, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর আদর্শ স্কুল সংলগ্ন, ৩৫। মাসুদ (৩৬), পিতা- মৃত আঃ করিম, সাং- পশ্চিম দেলপাড়া খালপাড়, ৩৬। কামাল সরকার (৪৩), পিতা- মৃত এনামুল হক মাষ্টার, ৩৭। শাহাদাত চৌধূরী (৪৮), পিতা- নবী উল্লাহ, ৩৮। আতাই রাব্বি (৩০), পিতা- শাহাদাত হোসেন, ৩৯। আলতাফ হোসেন বাবু (৩২), পিতা- সিরাজ মিয়া, সর্ব সাং- গিরিধারা, ৪০। রনি (৩৫), পিতা- রমিজ উদ্দিন, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর খোজপাড়া।

৪১। কাজী মিন্টু (৩৫), পিতা- মৃত মতলব কাজী, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর শৈলকুড়া, ৪২। সৈকত @ শওকত (৩৩), পিতা- আলী আকবর, ৪৩। জিতু (৩২), পিতা- মজিবর রহমান, উভয় সাং- সস্তাপুর, ৪৪। সুমন (৩৪), পিতা- কালা মিয়া ড্রাইভার, সাং- চিতাশাল কুসুমবাগ, ৪৫। মামুন (৩৪), পিতা- মোসলেহ উদ্দিন, সাং- পাগলা নয়ামাটি, ৪৬। নুর ইসলাম তেলা (৩৩), পিতা- আঃ করিম, সাং- পাগলা বউ বাজার, ৪৭। মোস্তাফিজুর রহমান (৩২), পিতা- আঃ রব, সাং- পাগলা বৈরাগী বাড়ী, ৪৮। গিয়াস উদ্দিন লাভলু (৩৪), পিতা- নাজিম উদ্দিন, সাং- শিয়াচর লালখা, ৪৯। সাইদ খন্দকার (৩৬), পিতা- মৃত আবুল খন্দকার, সাং- ভূইগড়, ৫০। বাবুল মেম্বার (৩৮), পিতা- নোয়াব আলী, সাং- পাগলা শাহী মহল্লা পূর্ব পাড়া।

৫১। মোঃ শহিদ (৩৩), পিতা- ইলিয়াস খান, সাং- পাগলা নয়ামাটি, ৫২। আনিসুর রহমান মানিক (৩৫), পিতা- ইউনুস, সাং- রঘুনাথপুর, ৫৩। মাসুদুর রহমান মাসুম (৪২), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- ফাজিলপুর, সাধারণ সম্পাদক, ফতুল্লা থানা যুবদল, ৫৪। পান্না মোল্লা (৫০), পিতা- মৃত আওলাদ হোসেন মোল্লা, সাং- নন্দলালপুর, ৫৫। সালাউদ্দিন (৩৮), পিতা- নিজাম উদ্দিন নজু, সাং- লামাপাড়া, ৫৬। লোকমান হাকিম ভূইয়া (৪৮), পিতা- ইসলাম উদ্দিন ভূইয়া, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর রেম্বু ডাইং, ৫৭। জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর (৪৫), পিতা- মোঃ নুর হোসেন, সাং- আদর্শনগর বাদামতলা, ৫৮। এনামুল হক মামুন (৪২), পিতা- আবুল হোসেন, সাং- ভূইগড় পশ্চিম পাড়া, ৫৯। লাল মামুন (৩৫), পিতা- সৈকত, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর সাহারা সিটি, ৬০। আনিস (৪৬), পিতা- রশিদ মিস্ত্রি, সাং- দাপা ইদ্রাপুর বাইতুস সালাহ জামে মসজিদ।

৬১। আমিন (৫৫), পিতা- মৃত জাবেদ চৌরা, সাং- ভূইগড় চৌরাবাড়ী, ৬২। মোসলেম উদ্দিন (৫০), পিতা- মৃত জয়নাল আবেদীন, সাং- লালপুর, সর্ব থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জগণ। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ৫৮ জনকে আসামী করা হয়।

আদালতের পথে খালেদা জিয়া, বহরে যোগ দিয়েছে নেতাকর্মীরা

ডেস্ক নিউজঃ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় শুনতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বিশেষ আদালতের পথে রওনা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টার দিকে খালেদা জিয়া তার বাসা থেকে আদালতের পথে রওনা হয়েছেন বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন তার মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

নেতাকর্মীদের ভিড় ঠেলে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর। মগবাজার মোড়ে খালেদার গাড়িবহর এসে পৌঁছলে সেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মী যোগ দেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করার জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে। রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন।

গত ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন। ১২০ কার্যদিবসের বিচারকার্য শেষ হয়েছে ২৩৬ দিনে। আত্মপক্ষ সমর্থনে গেছে ২৮ দিন। যুক্তি উপস্থাপন হয়েছে ১৬ দিন এবং আসামি পক্ষ মামলাটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েছেন ৩৫ বার।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক।

পরে ২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

না’গঞ্জে কঠোর অবস্থান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে বিশৃঙ্খলা এড়াতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ প্রশাসন। জনগণের নিরাপত্তার সার্থে অরাজকতা প্রতিরোধে বিভিন্নস্থানে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা। সন্ধ্যার পর থেকে নামবে তিন প্লাটুন বিজিবি।

বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ ঢাকামুখী যানবাহন, গণপরিবহনে চলছে তল্লাশি। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ শহর ও তার আশপাশের রাস্তাগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আসাদুজ্জামান জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে নারায়ণগঞ্জে তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি টহল দেবে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে বলেও তিনি জানান।

এদিকে ঢাকার সঙ্গে দেশের ১৮ জেলার যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুট হলো কাঁচপুর সেতু এলাকা। ওই স্থানটির একটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও অপরটি গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এ স্পটেও ছিল পুলিশের কঠোর প্রহরা। দূরপাল্লার অনেক গণপরিবহন থামিয়ে চলছে তল্লাশি। গণপরিবহন ছাড়াও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচল করা ট্রেনেও চলছে তল্লাশি। নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন ও চাষাঢ়া রেল স্টেশনে ঢাকামুখী ট্রেনে ওঠে পুলিশকে যাত্রীদের তল্লাশি করতে দেখা গেছে।

ফতুল্লায় নাশকতা মামলায় গ্রেফতার ৬ জনসহ আসামী হলেন যারা!

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গোপন বৈঠকে হানা দিয়ে দলটির ছয়জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই বৈঠক থেকে পালিয়েগেছে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও নাসিকের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদের রিকশার গ্যারেজে বসা গোপন বৈঠকে এ অভিযান চালায় পুলিশ। বুধবার সকালে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শাফিউল বাদী হয়ে খোরশেদকে প্রধান আসামি করে ৪০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে।

ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হারুন অর রশিদ, পল্টু, মিলন, শাহিন,লুৎফর রহমান ও নবী হোসেন। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে কয়েকটি ককটেল, লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল উদ্ধার করে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার রাতে বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদের রিকশার গ্যারেজে বসে খোরশেদের নেতৃত্বে ঢাকা- মুন্সিগঞ্জ সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যেতে থাকে। পুলিশ ধাওয়া করে ছয়জনকে আটক করে।

তিনি জানান, মামলার পলাতক আসামিরা হলেন- মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ছাড়াও মাইনুল হোসেন রতন, রশিদুর রহমান রশু, মোখলেছুর রহমান মিয়া,শাহীন আলম, জাহিদ হাসান, এ্যাডঃ আলমগীর হোসেন, খন্দকার মনিরুজ্জামান মনির, জনি, রাশেদুল বসু, নিজাম উদ্দিন, আমানুজ্জামান, মিজান, আমজাদ সিকদার, সৈকত হোসেন ওরফে খোপা ইকবাল, আমিনুল ইসলাম, শাহীন মুন্সি, ডালিম মেম্বার, মমিন, বড় জনি, আসলাম মিয়া, ছাদেক, মজিবুর রহমান, আমজাদ হোসেন সিকদার, রকিব উদ্দিন সুমন, হামিম মিয়া, হাবিবুর রহমান, মাসুদ হাসান সুমন, সেলিম মিয়া, সম নুরুল ইসলাম, রমিজ উদ্দিন রঞ্জু, আসলাম মুন্সি, লিটন, আবু সাইদ মুন্না, মাসুদ রানা, জনিসহ অজ্ঞাত ৫০ জন।

আব্দুল হামিদ আবারো রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত

ডেস্ক নিউজঃ রাষ্ট্রপতি পদে একজন মাত্র প্রার্থী থাকায় ভোট হচ্ছে না এবারও। আবদুল হামিদকেই দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৯৯১ সালের পর এই প্রথম কেউ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন।

বুধবার নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন।

সিইসি জানান, আগামী ২৩ এপ্রিল ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতে পারেন আব্দুল হামিদ। আজ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে বঙ্গভবন যাচ্ছেন সিইসি।

নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আবদুল হামিদ একমাত্র বৈধ প্রার্থী হওয়ায় রাষ্ট্রপতি আইন ১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুযায়ী আবদুল হামিদকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

সিইসি জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আবদুল হামিদের পক্ষেই তিনটি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। এর মধ্যে কোনটাকে গ্রহণ করা হয়েছে-এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপতি পদে মো. আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে তিনটি মনোনয়নপত্র পেয়েছি। প্রথম মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবক ছিলেন সংসদ সদস্য ওবায়দুল কাদের এবং সমর্থক সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ। প্রথম মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের পর টিকে যাওয়ায় পরের মনোনয়পত্রগুলো পরীক্ষা করার প্রয়োজন হয় না। এখানে প্রথমটিই টিকে গিয়েছে।’

দ্বিতীয় মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবক ছিলেন সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, সমর্থক ছিলেন সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ। তৃতীয় মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবক ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং সমর্থক সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক।

১৮ ফেব্রুয়ারিকে ভোটের দিন ধরে গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি। এতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয় ৫ ফেব্রুয়ারি। আর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সময় নির্ধারিত হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১০ ফেব্রুয়ারি।

বাংলাদেশ সংসদীয় গণতন্ত্রে ফেরার পর থেকে সংবিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসছেন রাষ্ট্রপতি। আর সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কারও রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসার সুযোগ নেই। কারণ, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দিতে পারেন না সংসদ সদস্যরা।

বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারে আসার পর একবার ভোট হয়েছিল রাষ্ট্রপতি পদে। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের আমলে সাহাবুদ্দিন আহমেদ, বিএনপি পরের আমলে প্রথমে বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং পরে ইয়াজউদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি হন। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এলে জিল্লুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করেন। ২০১৩ সালে তিনি ইন্তেকাল করলে আবদুল হামিদ কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। পরে আবদুল হামিদ নির্বাচিত হন। তাদের সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

সংবিধান অনুযায়ী একজনের পক্ষে দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হওয়া সম্ভব। আর আবদুল হামিদই প্রথম ব্যক্তি যিনি বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রে ফেরার পর দুই মেয়াদে নির্বাচিত হলেন।

অবশ্য এর আগে ৯১ সালের পর বিএনপি সরকারের দ্বিতীয় আমলে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ সাত বছর রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এর মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরের দুই বছর তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন জরুরি অবস্থা জারির সুবাদে।

সংসদীয় গণতন্ত্রে রাষ্ট্রপতি পদটি আলঙ্করিক হলেও জাতীয় নির্বাচনের আগে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক শক্তি যোগায় পদটি। আর ভোটের বছর নানা হিসেব নিকেশ করেই আগাতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে।

আবার রাষ্ট্রপতি সব সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মানতে বাধ্য হলেও নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগের সিদ্ধান্ত তিনি স্বাধীনভাবেই নিতে পারেন।

এবার রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হয়ে আসার প্রেক্ষিতে এই পদের জন্য বেশ কয়েকজনের নাম এসেছিল গণমাধ্যমে। সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও যাদের নাম এসেছিল তাদের বিষয়ে চিন্তাভাবনাও করা হয়েছিল। তবে শেষমেশ আবদুল হামিদকেই দ্বিতীয় মেয়াদে রাখার বিষয়ে একমত হন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব।

গত ৩১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড আবদুল হামিদকে দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি করতে দলের মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বঙ্গভবনে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত তার হাতে তুলে দেন।

পরদিন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ নির্বাচন কমিশন থেকে আবদুল হামিদের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে তা বঙ্গভবনে পৌঁছে দেন।

সেই মনোনয়ন ফরম পূরণ করার পর ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে তা জমা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেদিন তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হচ্ছে তিনিই (আবদুল হামিদ) এই মুহূর্তে গ্রহণযোগ্য ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। একটি দল করেও তিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।’

ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জানিয়েছেন, ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বা ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির আগ পর্যন্ত সে সময়ের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে বিরূপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাদের। এই বিবেচনায় এই পদে পরিবর্তন আনার কোনো ভাবনা গুরুত্ব পায়নি তাদের কাছে।

 

সরকারের খায়েশ পূরণ হবে না-খালেদা জিয়া

ডেস্ক নিউজঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমাকে জেলে পাঠালেও সরকারের খালি মাঠে গোল দেয়ার খায়েশ পূরণ হবে না। বাংলাদেশে এখন ন্যায় বিচার নেই। আমি যেখানেই থাকি যেমন থাকি দেশবাসীকে কখনও ছেড়ে যাবো না। আল্লাহই আমার একমাত্র ভরসা। আমি যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তত। জেল বা সাজার ভয় দেখিয়ে কাজ হবে না। আমি মাথা নত করব না।’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার আগের দিন বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের খালেদা জিয়া কোনো অন্যায় করেনি। কোনো দুর্নীতি আমি করিনি। ন্যায় বিচার হলে আমার কিছু হবে না, আমি বেকসুর খালাস পাব। আর যদি শাসক মহলকে তুষ্ট করার জন্য অন্য কোনো রায় হয়, তাহলে তা কলঙ্কের প্রতীক হয়ে থাকবে।’

এ সময় খালেদা জিয়া আরও বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ আজ এক বৃহৎ কারাগার এ কারাগার থেকে আমরা মুক্ত হবো ইনশাল্লাহ।

তিনি ছাত্রজনতাকে গণতন্ত্র রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনগণের কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেবেন না। সবাই সাবধান ও সতর্ক থাকবেন। এ দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়।

বুধবার বিকেল ৫টা ৬ মিনিটের দিকে বক্তব্য শুরু করেন খালেদা জিয়া। বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ facebook.com/bnpbd.org এ বক্তব্য লাইভ দেখানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রমুখ।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য আছে। ওই মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া। রায়ের আগের দিন আজ সংবাদ সম্মেলন করলেন খালেদা জিয়া।

উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। দিনটিকে নিয়ে রাজনীতির মাঠ সরগরম। জনমনে উদ্বেগ আর প্রশ্ন-কী হবে কাল? বিএনপি এ দিনটিকে ঘিরে বিভিন্ন প্রস্তুতির কথা জানিয়ে আসলেও রাজধানীতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে চলছে তল্লাশি।

ফতুল্লায় নাশকতা মামলায় গ্রেফতার ৬ জনসহ আসামী হলেন যারা!

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গোপন বৈঠকে হানা দিয়ে দলটির ছয়জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই বৈঠক থেকে পালিয়েগেছে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও নাসিকের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদের রিকশার গ্যারেজে বসা গোপন বৈঠকে এ অভিযান চালায় পুলিশ। বুধবার সকালে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শাফিউল বাদী হয়ে খোরশেদকে প্রধান আসামি করে ৪০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে।

ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হারুন অর রশিদ, পল্টু, মিলন, শাহিন,লুৎফর রহমান ও নবী হোসেন। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে কয়েকটি ককটেল, লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল উদ্ধার করে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার রাতে বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদের রিকশার গ্যারেজে বসে খোরশেদের নেতৃত্বে ঢাকা- মুন্সিগঞ্জ সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যেতে থাকে। পুলিশ ধাওয়া করে ছয়জনকে আটক করে।

তিনি জানান, মামলার পলাতক আসামিরা হলেন- মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ছাড়াও মাইনুল হোসেন রতন, রশিদুর রহমান রশু, মোখলেছুর রহমান মিয়া,শাহীন আলম, জাহিদ হাসান, এ্যাডঃ আলমগীর হোসেন, খন্দকার মনিরুজ্জামান মনির, জনি, রাশেদুল বসু, নিজাম উদ্দিন, আমানুজ্জামান, মিজান, আমজাদ সিকদার, সৈকত হোসেন ওরফে খোপা ইকবাল, আমিনুল ইসলাম, শাহীন মুন্সি, ডালিম মেম্বার, মমিন, বড় জনি, আসলাম মিয়া, ছাদেক, মজিবুর রহমান, আমজাদ হোসেন সিকদার, রকিব উদ্দিন সুমন, হামিম মিয়া, হাবিবুর রহমান, মাসুদ হাসান সুমন, সেলিম মিয়া, সম নুরুল ইসলাম, রমিজ উদ্দিন রঞ্জু, আসলাম মুন্সি, লিটন, আবু সাইদ মুন্না, মাসুদ রানা, জনিসহ অজ্ঞাত ৫০ জন।

জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় অভিযুক্ত ইন্নার দম্ভক্তি

“ফতুল্লায় কোন সাংবাদিক নেই, সব পুলিশের ইনফরমা”এই মন্তব্য করেছে ফতুল্লা পোষ্ট অফিস মোড়ের টিভি ম্যাকার আলামিন অরুফে ইন্না। যার বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতারও অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে এই আলামিন ওরফে ইন্না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে গ্রেফতার এড়াতে বেশ কিছুদিন পলাতক ছিলো। জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায়। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন নিউজ প্রতিদিন ডট নেট এ………….।

মুন্সীগঞ্জে অস্ত্রসহ ছিনতাই চক্রের সদস্য ৪ আটক

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় ছিনতাই চক্রের ৪ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। গতকাল গভীর রাত থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে গজারিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- গজারিয়া উপজেলার নতুন চরচাষি গ্রামের ছলিমুল্লাহর ছেলে সানি সরকার (২৪), পারভেজ মিয়ার ছেলে শান্ত (২৫), রমজান মিয়ার ছেলে শাহ পরান (২৫) ও মো. সাগর (২৬)।

গজারিয়া থানার ওসি হারুন অর রশিদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাই কাজে জড়িত এই চক্রের কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট, ৭টি মোবাইল ফোন, ৮টি চার্জার, একটি চাইনিজ চাপাতি, ক্যামেরা, ল্যাগেজ, স্বর্ণের আংটি, হাতের চুরি, বিদেশি কসমেটিক সামগ্রী এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের জব্দ করা মালামালসহ মামলা দিয়ে হাজতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

রূপগঞ্জে নাশকতার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে:এমপি গাজী

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদার জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে সারা দেশে বিএনপি জামায়াত যেভাবে নাশকতা চালাচ্ছে ৮ই ফেব্রুয়ারী মামলার রায়ের দিন রূপগঞ্জে কোন প্রকার নাশকতা চালানোর চেষ্ঠা করলে তা আওয়ামীলীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ শান্তি প্রিয় রূপগঞ্জ বাসিকে সাথে নিয়ে তার দাত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নারায়নগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।

তিনি আজ রূপসী গাজী ভবণে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত “বিএনপি জামায়াতের জ্বালাও পোড়াও রূখে দাও ”শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে রণাঙ্গণের খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন,দুর্নীনিবাজ খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের দিন বিএনপি জামায়াত রূপগঞ্জের মাটিতে আবার নাশকতা চালালে আমরা রাজ পথে থেকে এবার তাদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী নির্বাচনের পূর্বে এবং পরবর্তী সময়ে সারাদেশে বাসে অগ্নিসংযোগ করে যে ভাবে নিরীহ মানুষগুলোকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তাতে বিএনপি জামায়াত বাংলার জনগণের আস্থা হারিয়েছে।তাদের আর কোন দিন বাংলার জনগণ ভোট দেবে না।

এ সময় তিনি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী কাল খালেদা জিয়ার রায়ের আগে ও পরে সবাইকে রাজপথে প্রস্তুত থাকতে হবে। বিএনপি জামায়াতের অস্থিরতা দেশবাসির কাছে তুলে ধরতে হবে।

রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি ইঞ্জি.শেখ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,

উপজেলা মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা,আওয়ামীলীগ নেতা তাবিবুল কাদির তমাল,আজমত আলী,হাবিবুর রহমান হাবিব, যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন,সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন,সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক মেম্বার,স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মেহের,সাধারণ সম্পাদক নাঈম ভূইয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক নাদীম ভূইয়া,মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ,ভূলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আরিফুল হক ,গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুর রহমান ভূইয়া, যুবমহিলা লীগের সভাপতি ফেরদৌসী,সাধারণ সম্পাদক রিতা,

তারাব পৌর যুবলীগের সভাপতি,হাজী মোশারফ হোসেন,সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী সারোয়ার হোসেন রাসেল,স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কাউন্সিলর আতিকুর রহমান আতিক,সাধারণ সম্পাদক বাবেল,যুবমহিলালীগের সভাপতি পারুল,সাধারণ সম্পাদক শিল্পী সহ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রমুখ।