স্টাফ রিপোর্টারঃ সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়া দেয়ার পর থেকে বক্তাবলীর বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ ও তার পরিবার। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে, সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়া ও হামলার ঘটনার ৪দিন অতিবাহিত হলেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয় সচেতন মহল। এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ দাবি করেছে স্থানীয়রা।
কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলির কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
গতকাল কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের স্মৃতিস্তম্ভে বিকাল ৩টায় শহীদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ৯৭ ব্যাচ এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়নগঞ্জ বারের সিনিয়র আইনজীবি আওলাদ হোসেন বলেন যে শিক্ষক ছাত্রদের স্বপ্ন না দেখিয়ে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে,কোচিং বানিজ্য করে,ছাত্রীদের কু প্রস্তাব দেয়, বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস না করে রাজনৈতিক প্রপাগন্ডা চালিয়ে বেতন ভাতা ভোগ করে সেই সমস্ত শিক্ষকদের জায়গায় বিদ্যালয় জায়গায় হবে না।
দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন না করে রাজনৈতিক নেতাদের পদলেহন করে,মামলা নিয়ে কোর্টের আঙ্গিনায় দিনের পর দিন কাটান,সেই প্রধান শিক্ষক আমজাদ সাহেব কে হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেন সময় থাকতে দায়িত্ব ছেড়ে দিন।নতুবা পালানোর পথ পাবেন না।
বক্তাবলি ইউনিয়ন মাদক নির্মুল কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আমজাদ সাহেব কে পদত্যাগ করতে হবে। না হলে কিভাবে পদত্যাগ করাতে হয় তা বক্তাবলিবাসী জানে।
বক্তাবলি পরগনা খালেক মাষ্টার ডায়াবেটিক সমিতিরপ্রতিষ্ঠাতা শফিউদ্দিন আহমেদ মিন্টু বলেন ৯৭ ব্যাচের এই মহতী উদ্দ্যোগ কে স্বাগত জানাই এবং তাদের সকল প্রকার সহযোগিতা করার জন্য সব সময় প্রস্তুত আছি।
ছাত্রনেতা শিশির বলেন দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে যাবে না।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নাসির উদ্দিন,আঃ কাদির মেম্বার,কামাল হোসেন,রাসেল চৌধিরী,দেলোয়ার, খোরশেদ,সাফায়েত উল্লাহ,সাইদুর,মামুন,নাজির,আমির হামজা সহ এলাকাবাসী। আয়োজকরা জানা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ,নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন,ছাত্রছত্রীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার,বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন পরিত্যাক্ত ঘোষনা করে, নতুন ভবন নির্মান,শিক্ষকদের কোচিং, প্রাইভেট,গাইড ও গাইড বই ব্যবসা বন্ধ,যোগ্য, দক্ষ শিক্ষকদের দ্বারা পাঠদান নিশ্চিত, বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানাগার,গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা,নিয়মিত বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন,২০০১৩ সাল থেকে বিদ্যালয়ের আয় ব্যায়ের হিসাব জনস্মুখে প্রকাশের দাবিতে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন করে আসছে।
বক্তাবলীতে শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলির কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
গতকাল কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের স্মৃতিস্তম্ভে বিকাল ৩টায় শহীদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ৯৭ ব্যাচ এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
১২জন কবি পাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য ফোরামের সম্মাননা
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য ফোরামের ২০১৭ সম্মাননা ১২জন কবির নাম ঘোষনা করা হয়। যারা সংবাদপত্রে নিয়মিত লিখছেন, লেখালেখি করছেন ও সাহিত্য চর্চা করছেন তাদের কবি হিসেবে স্বীকৃতি স্বরূপ নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য ফোরাম সম্মাননা ২০১৭ প্রাপ্তদের নামে দেওয়া হলো।
ফতুল্লায় বন্দুক যুদ্ধে পুলিশ সোর্স নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় পুলিশের অস্ত্র লুট মামলার এক আসামি ত্রিমুখী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। ছিনতাইকারী দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় পুলিশ সাথে বন্দুকযুদ্ধে পারভেজ(২৫) নামে ওই আসামি নিহত হন।
মঙ্গলবার দিনগত রাত সোয়া দুইটার দিকে দাপা ইদ্রাকপুর ষ্টেশন রোড সংলগ্ন বালু মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারভেজ ফতুল্লার দাপা পাইলট স্কুল এলাকার সোবহান মিয়র পুত্র। নিহত পারভেজ ফতুল্লা থানার সিভিল টিমের প্রভাবশালী সোর্স রনির সহযোগী সোর্স হিসেবে কাজ করতো বলে এলাকার একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলিভর্তি একটি রিভলবার ও তিনটা বড় ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে দাপা আলামিন এলাকায় ছিনতাইকারীদের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর পায় পুলিশ। পরে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের একটি দল সেখানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে পারভেজ ক্রসফায়ারে পরে মারা যায়। পারভেজ পুলিশের সোর্স হিসেবেই এলাকাতে পরিচিত। ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার রাতে এএসআই সুমন কুমার পালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ফতুল্লা রেলস্টেশন রোড এলাকায় একটি বালুর মাঠে দায়িত্ব পালন করছিল। গভীর রাতে কনস্টেবল সোহেল রানার সঙ্গে থাকা একটি চাইনিজ রাইফেল খোয়া যায়। পরদিন সোমবার সকাল ১১টায় ফতুল্লার দাপা বালুর মাঠের পাশের একটি ডোবার পাশ থেকে রাইফেলটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই সুমন কুমার পাল, তিন কনস্টেবল মাসুদ রানা, আরিফ ও সোহেল রানাকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়।
পরে ওই ঘটনায় সুমন পাল বাদী হয়ে পারভেজসহ তিনজনকে আসামি করে সোমবার রাতেই ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এতে অভিযোগ করা হয় পারভেজ ওই অস্ত্রটি লুট করেছিল।
সিদ্ধিরগঞ্জে বন্দুক যুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ি নিহত
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ি নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এসময় র্যাবের তিন সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে র্যাব ১টি বিদেশী পিস্তল, ২রাউন্ড গুলি, ১০ হাজার পিছ ইয়াবা এবং ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীস্থ র্যাব-১১ হেড কোয়ার্টারের সিনিঃ এএসপি মো: আলেপ উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি চট্টগ্রামের কক্সবাজার থেকে মাদকের একটি চালান ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের শিমরাইল হয়ে ঢাকায় যাবে। এরই প্রেক্ষিতে আমরা মঙ্গলবার রাত থেকে শিমরাইল মোড়ে চেকপোষ্ট বসাই। পরে ভোরের দিকে মাদক বহনকারী ওই ট্রাকটি যখন শিমরাইল মোড়ে আসে তখন আমরা থামার জন্য সংকেত দেই। এসময় ট্রাকটি আমাদের সংকেত অমান্য করে চলে যেতে থাকে। পরে সামনেই আমাদের আরেকটি টহল টিমকে বিষয়টি জানালে তারা আবার ট্রাকটিকে থামাতে সংকেত দেয়। এসময় ট্রাকটি ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে রেখে ট্রাকটিতে থাকা তিন জন মাদক ব্যবসায়ি সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদি এলাকায় দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। এসময় র্যাব তাদের আটকের জন্য পিছু নিলে তারা র্যাব কে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। র্যাবও এসময় পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে করে একজন মাদক ব্যবসায়ি গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনালে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ওই মাদক ব্যাবসায়ির সঙ্গে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। নিহত ওই মাদক ব্যবসায়ির নাম এমডি রাজমহল রিপন ওরফে মো: রিকন। সে মেহেরপুর জেলার সদর মেহেরপুর থানার কাশারিপাড়া গ্রামের মো: নিজাম উদ্দিন ওরফে তুফানের ছেলে। র্যাব জানায় এসময় তার সাথে থাকা অন্য দুজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় র্যাবের তিন সদস্যও আহত হয়। আহতরা হলো পরিদর্শক রবিউল, ডিএডি আজিজ, এসআই নির্মল। এসময় র্যাব ঘটনস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ১০ হাজার ৭০০ পিছ ইয়াবা এবং ২লাখ ১৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
বক্তাবলীতে সাংবাদিক কালামের বাড়ীতে মাদক সন্ত্রাসীদের হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সংবাদ প্রকাশের জের ধরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নিউজ প্রতিদিন ডটনেট’র’ সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদের উপর মাদক সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। সোমবার দুপুর ১টায় সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। তবে সন্ত্রাসীদের হামলার সময় সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ বাড়িতে ছিল না। এ ঘটনায় ফতুল্লা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
রিকশা থেকে ট্যাক্স পাচ্ছে না ফতুল্লা ইউপি-ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন বলেছেন, ইজিবাইক ও ব্যাটারী চালিত রিকশা থেকে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ বছরে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সোমবার বিকেলে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ২০১৮-২০১৯ইং অর্থ বছরের খসড়া বাজেট ঘোষনা অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের প্রশের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই ট্যাক্স আদায়ে ইতোমধ্যে এ নিয়ে প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।
বাজেট অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রনজিৎ মোদক, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম, সহ-সভাপতি এড. সৈয়দ মশিউর রহমান শাহিন, সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমীন প্রধান, ফতুল্লা থানা প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব শেখ মো: সেলিম,আনিসুজ্জামান অনু, সহিদুল ইসলাম সহিদ। এসময় তিনি চার কোটি ২২ হাজার ৪৭ টাকার বাজের ঘোষণা করেন।
৫০ জনের নিয়ন্ত্রণে বক্তাবলীর মাদক ব্যবসা
ডেস্ক নিউজঃ মাদকের কড়াল গ্রাসে আক্রান্ত নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলি। দিন দিন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, কিশোর, যুবক সহ সর্বপেশার মানুষ। মাদক বিক্রেতাদের নির্মূল করার কথা যে আইন শৃংখলা বাহিনী তাদেরই কিছু অপদার্থ পুলিশ মাদক বিক্রেতাদের সোর্স বানিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করাসহ ব্যাপক হারে মাদক বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বক্তাবলী মাদক নির্মূল কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতার আত্মীয় স্বজনরা মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে মাদক বিক্রি করতে সহযোগিতা করছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বক্তাবলীতে মাদক বিক্রেতারা এতই সুসংগঠিত যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভোটের কথা বিবেচনা করে মাদক নির্মূলে কঠোর ভুমিকা নেয়া হতে বিরত থাকেন। কেননা মাদক বিক্রেতারা প্রভাবশালী ও প্রতিজনের বংশে রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভোট। এ জন্য তারা মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ব্যবস্থা নেয়া হতে নীরব ভুমিকা পালন করে থাকে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমানে পুরো বক্তাবলী ৫০ জন মাদক সম্রাট ও প্রায় শতাধিক সহযোগীর নিয়ন্ত্রনে ইয়াবা, গাজা, ফেন্সিডিল কেনা বেচা চলে প্রতিদিন। মাদক বিক্রেতাদের উৎপাতে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ হলেও পুলিশের সহযোগিতায় মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে কতিপয় মাদক বিক্রেতারা।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ৫০ মাদক বিক্রেতার গডফাদার হচ্ছে রামনগর গ্রামের মৃত ছাবেদ আলীর পুত্র রহিম বাদশা। যিনি কয়েক মাস আগে পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছিল মাদক বিক্রি করবেনা। পুলিশের হাত থেকে হয়রানি যেন না হয় সেজন্য সরকারী দলের একজন অঙ্গ সংগঠনের নেতা দিয়ে নাটক সাজিয়ে ছিল। রহিম বাদশা ডিলার বক্তাবলীর মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত। আর এই মাদক সম্রাটের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত মধ্যনগরের মৃত সেকান্দারের পুত্র হালিম।
এর পরই রয়েছে একই এলাকার মৃত মিন্নত আলীর পুত্র হবুল,শরীয়ত উল্লাহ পুত্র জাকির হোসেন,মৃত লাল চানের পুত্র মোঃ হোসেন, মেন্দা জাকিরের পুত্র ওসমান, সাহাবুদ্দিনের পুত্র বাদশা,আব্দুল আওয়ালের পুত্র জসিম উদ্দিন, আছমতের পুত্র কানা আজিজ, কছিমুদ্দিন কইচ্ছা,লক্ষীনগর গ্রামের মৃত জমশের আলীর পুত্র আছান মিয়া, একই গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন, মৃত ফজল সরদারের পুত্র তৌহিদুল, বাচ্চুর পুত্র রবিউল ও রাসেল, নুরা মিয়া ফকিরের পুত্র মরা মুক্তার,কলিমউল্লাহ’র পুত্র রুবেল, হযরত আলীর পুত্র আলমগীর, আতাউল্লাহর পুত্র ইব্রাহীম, জমশেরের পুত্র মানিক, মুসলিম মিয়ার পুত্র আনোয়ার হোসেন,কানাইনগর গ্রামের হাবিজউদ্দিনের পুত্র শরীফ, একই এলাকার সোনা মিয়ার পুত্র দাদন ওরফে ডিলার দাদন, গংঙ্গানগর গ্রামের রহম আলীর পুত্র হানিফা, একই গ্রামের লালু কসাইয়ের পুত্র স্বপন, শাহজাহানের পুত্র মনির হোসেন,রাজাপুর গ্রামের মালেকের পুত্র অলি, একই এলাকার আহম্মেদের পুত্র মতিন, শাহজাহানের পুত্র ছালাউদ্দিন ছালু,হজিবলের পুত্র শফিক, চর প্রসন্ননগর গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র রতন, প্রসন্ননগর গ্রামের জয়নাল ফকিরের পুত্র হোসেন ( রহিম বাদশার সহযোগী), মিজান,গোপালনগর গ্রামের মৃত ইলিয়াছের পুত্র মাউচ্ছা জাকির, একই এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার স্ত্রী সেলিনা, ফজলুল হকের পুত্র সাদ্দাম, মৃত চান মিয়ার পুত্র আব্বাস, মধ্যনগর গ্রামের মৃত করিম মালের পুত্র শহীদ,মৃত মজিবরের পুত্র রফিকুল, চর বয়রাগাদী গ্রামে মৃত মোহর আলীর পুত্র দেলোয়ার হোসেন, মৃত দুখাই মিয়ার পুত্র শহীদ, মধ্যনগর গ্রামের মানিক কসাইয়ের পুত্র আমান ও জামান, মৃত: সেকান্দরের পুত্র হালিম, চর প্রসন্ননগরের মনসুর আলীর পুত্র সফিক, কানাই নগর পশ্চিম এলাকার জামাল, চর বয়রাগাদী এলাকার মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে মনজুর, প্রসন্ন নগর গ্রামের আমিন উদ্দিনের পুত্র আব্দুল ও ছমিরনগর গ্রামের বাদশা উল্লেখ যোগ্য। এদের মধ্যে মতিন ও রাসেল ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই তাজুল ইসলামের সোর্স হিসেবে কাজ করে। তাজুল ইসলামের নাম ব্যবহার করে রাসেল ও মতিন ইয়াবার ডিলার হলেও তাজুলের শেল্টার পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাদক ব্যবসার পাশাপাশি নিরীহ লোকদের হয়রানি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা ধরাকে সরাজ্ঞান করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান হাজ্বী শওকত আলী বলেন, আমি মাদকের বিরুদ্ধে সদর উপজেলা আইন শৃংখলার মাসিক সভায় বহুবার বলেছি। কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা তা বোধগম্য নয়। আমি নিজে মাদকের বিরুদ্ধে এলাকার যুব সমাজকে রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। এক সময় বক্তাবলী মেধাশূন্য হয়ে পড়বে মাদকের কারনে। ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই তাজুল ইসলাম জাগো নারায়নগঞ্জ২৪.কমকে বলেন, আমি খারাপ লোকের সাথে মিশিনা। ওরা কাউকে হয়রানি করেছে এমন প্রমান থানায় দিতে পারলে ব্যবস্থা নিব। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক- অঞ্চল) মোঃ শরফুদ্দীন বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সে। আমরা রুটিন মাফিক বক্তাবলীতে অভিযান চালাবো। দেশ উন্নত হচ্ছে যুব সমাজ মাদক সেবন করে ঝিমুবে তা হতে পারেনা।
বক্তাবলির কানাই নগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কোচিং বানিজ্য তুঙ্গে
কানাই নগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিজেদে কোচিংয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের জন্য পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র তুলে দিয়ে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের মেধাহীন করার পাশাপাশি তাদের অনিয়ম দুর্নীতি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।তাছাড়া ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ক্লাসে ঠিকমত না পড়িয়ে ছাত্রছাত্রীদের কোচিংমুখী করার অপচেষ্টা ও চলছে দীর্ঘদিন ধরে।এতে শিক্ষার মান দিন দিন নিম্নমুখী হচ্ছে আর এ মান সম্পন্ন শিক্ষা বিনষ্টের জন্য কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোচিং ব্যবসাকে দায়ী করছে সচেতন এলাকাবাসী।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায় বক্তাবলি এলাকার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ কানাইনগর ছোবহসনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে চালিয়ে আসছেন কোচিং ব্যবসা।আর এ ব্যবসার কারনেই ওইসব শিক্ষক শ্রেনীকক্ষে ঠিকমত পাঠদান না করে শিক্ষার্থীদের কোচিংমুখী করতে বাধ্য করছেন বলে ও অভিযোগ রয়েছে।সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা অনায়াসে দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মান সম্পন্ন শিক্ষা ব্যহত করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারনে নীরব।এর কারন হিসেবে একটি সুত্র বলেছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক উধর্বতনদের ম্যানেজ করেই এ কোচিং ব্যবসা চালানো হচ্ছে।
এইজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ ওইসব শিক্ষকদের নানান সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন বলে জনশুতি রয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী যে বিষয়টি লক্ষনীয় সেটি হচ্ছে যিনি যে বিষয়ের শিক্ষক নন তিনি নিজেকপ ওই বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে জাহির করে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের প্রভাবিত করেন।এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদেরকে সুযোগ করে দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে জানা যায় বানিজ্য বিভাগের শিক্ষক প্রধান শিক্ষক আমজাদ এর উকিল জামাই হওয়ার কারনে নুরুল ইসলাম অষ্টম শেনীর মত গুরুত্বপুর্ন ক্লাসে ইংরেজী বিষয়ে পড়ান, এ সুযোগে নুরুল ইসলাম ছাত্রছাত্রীদের ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নিজের ব্যাচে কোচিং করতে বাধ্য করান। সপ্তাহে তিন দিন প্রতি ব্যাচে ৫০ জন করে প্রতিদিন তিন,চার ব্যাচ পড়িয়ে থাকেন,রাষ্টবিজ্ঞানের শিক্ষক মোশারফ হোসেন ও ৫০/৬০ জন করে প্রতিব্যাচে সপ্তাহে তিন দিন তিন,চারটি ব্যাচ পড়িয়ে থাকেন, বিদ্যালয়ের গনিত শিক্ষক আব্দুল মান্নান খান প্রতিব্যাচে ৪০, ৫০ জন করে প্রতিদিন তিন ব্যাচে কোচিং করান,বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষক জহির উদ্দিন বারী রতন বাংলা শিক্ষক হয়ে অনুরাপভাবে সকল বিষয়ে প্রাইভেট পড়িয়ে থাকেন।এ ছাড়া আব্দুল খালেক ও প্রাইভেট পড়িয়ে থাকেন। বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক ৯ ম শ্রেনীর ১৭ জন ছাত্রছাত্রীকে ব্যাচে পড়ান।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো বিদ্যালয়টিতে সকালে একটি কিন্টারগার্টেন শাখা রয়েছে এলাকার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান খারাপ হওয়ায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের উচ্চে খরচে এই কিন্টারগার্টেন এ ভর্তি করান, এ ছেলে মেয়েদের প্রাইভেটের পাশাপাশি ৫ ম শ্রেনীর শিক্ঢার্থীদের কোচিং বাধ্যতামুলক এ কোচিং বানিজ্যের সাথে জড়িত বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন ইন্টারমিডিয়েট পাশ শিক্ষক মজিবুর রহমান তিনি কিন্টারগার্টেনের ও শিক্ষক।
সম্প্রতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোচিং ব্যবসার সাফল্য দেখে অষ্টম শ্রেনীর সকল শিক্ঢার্থীদের মাসিক ৬০০ টাকা জনপ্রতি আদায় পুর্বক কোচিং বাধ্যতামুলক করেছে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন আমরা কোচিং নয় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিশেষ ক্লাস করছি,ফি কত জানতে চাইলে তিনি জানান মফস্বলে প্রতি বিষয় একশত পঞ্চাশ টাকা জেলা শহরে দুই থেকে আড়াইশত টাকা।








