২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 232

বক্তাবলী ইউপি সদস্য রাসেল এর বিরুদ্ধে ঘাটলা নির্মাণের লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউপির নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃরাসেল চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে

বক্তাবলী ইউপির নং ওয়ার্ডের প্রায় ৫৪ জন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা,দুর্নীতি দমন কমিশন নারায়নগঞ্জ প্রেস ক্লাবে জমা দিয়েছে

অভিযোগপত্রে উল্লেখ্য যে,২০১২১৩ অর্থবছরের ইউপির রামনগর মধ্যপাড়া মনির মাদবরের বাড়ির খালের উপর সিড়িঁ ঘাটলা নির্মান প্রকল্পের রাজস্বখাতে ভাগ বরাদ্ধকৃত লাখ টাকা এবং ২০১৩১৪ অর্থবছরে রামনগর দক্ষিন পাড়া মৃত.জাফর হাজীর বাড়ির সামনে সিড়িঁ ঘাটলা নির্মান প্রকল্পের লাখ টাকা কোন প্রকার কাজ না করেই ভুয়া বিলের মাধ্যমে তা আত্মসাৎ করে রাসেল মেম্বার

উপরোক্ত বিষয়গুলো সরেজমিনে তদন্তপুর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনে ওয়ার্ডবাসি উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতি আকুল আবেদন করেন

বিষয়ে ইউপির নং ওয়ার্ড মেম্বার রাসেল চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,যে স্থানে সিড়িঁর ঘাটলা নির্মানের বরাদ্ধ এসেছে সেখানে জোরপূবর্ক রামনগরের মনির মাদবর সরকারী জমি দখল করে জনসাধারণের গোসল করার জায়গায় ফাউন্ডেশন করে টয়লেটের ট্যাংকি নির্মাণ করেছে। এবং রামনগর দক্ষিন পাড়া মৃত.জাফর হাজীর বাড়ির সামনে সিড়িঁ ঘাটলাটি বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্ম্পূন্ন করতে পারিনি পরের বছর কানাইনগর থেকে ডিক্রিচর রাস্তাটি প্রসস্থ করার কারনে সরকারী বেকু দিয়ে সিড়িঁ ঘাটলাটি ভেঙ্গে রাস্তার জন্য মাটি কাটা হয়।এই জন্য আমি সিড়িঁ ঘাটলাটি করতে পারিনি। এই বিষয়টি শওকত চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। এবং প্রকল্পের জন্য যে পরিমান টাকা বরাদ্ধ হয়েছিল সেটার কাজ হয়নি বলে পুরো টাকাগুলো আমি শওকত আলী চেয়ারম্যানের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি

সংবাদ মাধ্যমের অধিকার সমুন্নত দেখতে চায় জাতিসংঘ

জাতিসংঘ থেকে বিশেষ সংবাদদাতা, ২৭ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : জাতিসংঘ মহাসচিব বানকি মুনের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের অধিকার সমুন্নত দেখতে চায় জাতিসংঘ।

সোমবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশে ৩৫টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মুখপাত্র এ কথা জানান।

বাংলাদেশের সাংবাদিক মুশফিজুল ফজল আনসারী জানতে চান, আজকের ব্রিফিংয়ে মুক্ত গণমাধ্যমের বিষয়টি উঠে এসেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার ৩৫টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দিয়েছে। যেমন ২০১৫ সালের শুরুর দিকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল নিউজ পোর্টাল জাস্ট নিউজ বিডি। এভাবেই বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের ভূমিকা কি? জবাবে ফারহান হক বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় আমরা বাংলাদেশে সংবাদ মাধ্যমের অধিকার সমুন্নত দেখতে চাই।

জীবন শিক্ষায় জালালুদ্দিন রুমির ১০ উক্তি

%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%bfমাওলানা জালালুদ্দিন রুমি (১২০৭-১২৭৩) ত্রয়োদশ শতকের একজন ফার্সি কবি। ধর্মতাত্ত্বিক এবং সুফি দর্শনের শিক্ষক ছিলেন তিনি। রুমি খোরাসানের (বর্তমান আফগানিস্তান ) বলখ শহরে ১২০৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাদের পরিবার ছিল বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও ধর্মতত্ত্ববিদ পরিবার। তার পিতা বাহাউদ্দিন ওয়ালাদকে সমসাময়িক বিদ্বানরা ‘পণ্ডিতদের সুলতান’ বলে আখ্যায়িত করেছিল।

রুমির পিতা ছিলেন একজন বিখ্যাত ধর্মতত্ত্ববিদ, সুফি এবং অতীন্দ্রিয়বাদী যার সাহস, সাধুতা, অন্তরের মহত্ত্ব এবং ঈশ্বরের প্রতি দার্শনিক বা মৌল অভিগমনের পরিবর্তে সরাসরি আধ্যাত্মিকভাবে সমীপবর্তী হওয়ার বাসনা রুমিকে ভীষণভাবে প্রভাবিত এবং অনুপ্রাণিত করেছিল।%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%bf-1

রুমি যে যুগে জন্মগ্রহণ করেন তখন ভয়াবহ এক আলোড়ন চলছিল। অটোম্যান সাম্রাজ্য ভিতরে এবং বাইরে থেকে আক্রান্ত ছিল। ভিতরে ছিল খ্রিষ্টান আক্রমণকারীরা এবং অপর দিক থেকে চেঙ্গিস খানের মোঙ্গল বাহিনী। এই সামাজিক-রাজনৈতিক আলোড়ন রুমিকে তরুণকাল থেকে আতঙ্ক ও বিশৃংখলা দ্বারা দহন করেছিল।

ধর্মীয় বিরুদ্ধবাদীদের বিরোধিতা এবং সম্ভাব্য মোঙ্গল আক্রমণের আশঙ্কায় ১২১৯ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র বার বৎসর বয়সে রুমি তার পিতাসহ বলখ ত্যাগ করেন। বাহাউদ্দিনের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। এক বৎসর পরেই বলখ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

পিতার সঙ্গে ভ্রমণের আরেক পর্যায়ে রুমি দামাস্কাস যান। সেখানে সে যুগের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক ইবনুল আরাবির সাথে দেখা হয় তাদের। শোনা যায় ইবনুল আরাবি যখন রুমিকে তার পিতার পিছনে হাঁটতে দেখেন- তখন বলেছিলেন, ‘ঈশ্বরের কী মহিমা, একটি হ্রদের পিছনে এক সমুদ্র যাচ্ছে।’

আঠারো বছর বয়সে রুমি সমরখন্দের এক অমাত্যের কন্যা গওহর খাতুনকে বিবাহ করেন। সুলতান ওয়ালাদ ও আলাউদ্দিন তিলবি নামে তাদের দুটি পুত্র সন্তান হয়।%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%bf-2

লারান্দা এবং আর্মেনিয়ার আরজানজানে কিছুদিন অবস্থান করার পর রুমির পিতা কোনিয়ার সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদ দ্বারা আমন্ত্রিত হন। তখন ১২২৯ খ্রিষ্টাব্দ। কোনিয়ায় বাহাউদ্দিন ওয়ালাদের জন্য বিশেষভাবে এক বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ১২৩১ খ্রিষ্টাব্দে তার মৃত্যু পর্যন্ত তিনি সেখানে শিক্ষাদান করেন। পরবর্তীকালে মাত্র চব্বিশ বৎসর বয়সে রুমি সেই বিদ্যাপীঠে তার পিতার উত্তরসূরী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন।

এখানে রুমির ১০টি জনপ্রিয় উক্তি তুলে ধরা হলো। এগুলো আপনার জীবনের অনেক বড় শিক্ষণীয় বিষয় হতে পারে।%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%bf-3

১. তুমি সাগরে এক বিন্দু পানি নও। তুমি এক বিন্দু পানিতে গোটা এক সাগর। শিক্ষাটা হলো- নিজের মূল্য বুঝতে হবে।

২. আমাদের মধ্যে এক অদৃশ্য শক্তি লুকিয়ে আছে। এটি যখন দুটো বিপরীতমুখী বাসনার উপলব্ধি প্রকাশ করে, তখন তা শক্তিশালী হতে থাকে। শিক্ষাটা হলো- নিজের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে থাকুন।

৩. গতকাল আমি চতুর ছিলাম। তাই আমি পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি জ্ঞানী, তাই নিজেকে বদলে ফেলতে চাই। শিক্ষাটা হলো- পরিবর্তনটা আপনি আনুন্য।

৪. শোক করো না। তুমি যাই হারাও না কেন তা অন্য কোনো রূপে ফিরে আসবে। শিক্ষাটা হলো- ইতিবাচক থাকুন।

৫. প্রত্যেককে বানানো হয়েছে নির্দিষ্ট কাজের জন্য এবং প্রত্যেক হৃদয়ে সেই কাজটি করার আকাঙ্ক্ষাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।শিক্ষাটা হলো- নিজের আবেগ নিয়ে বেঁচে থাকুন।

৬. কেউ যখন কম্বলকে পেটাতে থাকে তখন সেটা কম্বলের বিরুদ্ধে নয়, ধুলোর বিরুদ্ধে। শিক্ষাটা হলো- মনোযোগী থাকুন।

৭. আমাদের চারদিকে সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে। সাধারণত একে বুঝতে একটি বাগানে হাঁটার প্রয়োজন অনুভব করি আমরা। শিক্ষাটা হলো- নিজের পথ নিজেই সৃষ্টি করুন।

৮. যখন নিজের মূল্য নির্ধারণের দিনটি আসবে তখন আপনার পরিচয় ফুটিয়ে তোলাটাই বিজ্ঞানের নির্যাস। শিক্ষাটা হলো- আপনি যেমন তেমনই থাকুন।

৯. শোক প্রকাশ হতে পারে সমবেদনার বাগান। যদি সবকিছুতে নিজের হৃদয়টাকে উদার রাখতে পারেন, বেদনা আপনার শ্রেষ্ঠ বন্ধু হতে পারে। শিক্ষাটা হলো- ভালোবাসা ও জ্ঞানের জন্য নিজের যাত্রাটাকে নিরবচ্ছিন্ন রাখুন।

১০. আমার প্রথম প্রেমের গল্প শোনামাত্র তোমাকে খুঁজতে থাকি, কিন্তু জানি না ওটা কতটা অন্ধ ছিল। প্রেম আসলে কোথাও মিলিত হয় না। সারাজীবন এটা সবকিছুতে বিরাজ করে। শিক্ষাটা হলো- সবকিছুতে ভালোবাসা খুঁজতে থাকুন।

ঈদের ছুটি শেষে কর্মব্যন্ত নাঃগঞ্জ

ঈদের ছুটির শেষে আবারও ব্যাস্ত হতে শুরু করেছে শিল্প নগরী খ্যাত নারায়ণগঞ্জ। ঈদের ছুটি কাটিয়ে শহরে ফিরেছে জীব-জীবিকার তাগিদে শহরে আসা মানুষজন। ফলে ক্রমশ-ই ‘ঈদ ফাঁকা নারায়ণগঞ্জ’ স্ব-রূপে পরিনত হচ্ছে।

একই সাথে শহরের প্রধান সড়কড়গুলোতে যান বাহনের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে অন্যান্য সময়ের মত কোথাও দীর্ঘ যানজট পরিলক্ষিত হয়নি।

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া মোড়, নবাব সলিমুল্লাহ রোড, ২নং রেল গেইট, কালির বাজার মোড়, ডিআইটি ও নিতাইগঞ্জ সহ শহরের ব্যস্ততম কয়েকটি সড়কে দীর্ঘ যানজট না থাকলেও কিছুক্ষণ পর পর গাড়ি আটকে থাকতে দেখা গেছে।

নগরীতে ফেরা কর্মব্যস্ত মানুষদের রাস্তায় পরিবহনের জন্য দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

গ্রাম থেকে ঈদের ছুটি কাটিয়ে শহরে ফেরা ইসমাঈল আহমেদ সময় নারায়ণগঞ্জকে জানান, রোববার থেকে অফিস। তাই একদিন আগেই গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদাহ ছেড়ে কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জ আসলাম। এতদিন বাড়িতে আত্মিয় স্বজনদের সাথে ছিলাম। বাড়ি থেকে ফেরার পথে কিছুটা খারাপ লাগা অনুভব করলেও এখন নিজ কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জে এসে ভালই লাগছে। রোববার আবারও কর্ম ব্যস্ততার মধ্যে নিয়োজিত থাকবো।

এমন অনুভূতি শুধু-ই ঝিনাইদাহ থেকে আসা ইসমাঈলের নয়, ইসমাইলের মত এমনটাই অনুভূতি প্রকাশ করেছেন জীবীকার তাগিদে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে নারায়ণগঞ্জে আসা আরো অনেকেই।

সমগ্র মুসলিম জাতিকে মতিউর ফকিরের ঈদ শুভেচ্ছা

মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়।

সমগ্র মুসলিম জাতিকে মোঃ কামাল এর ঈদ শুভেচ্ছা

মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়।

দেশ ও দেশের বাইরের সকল মুসলমানকে ঈদ মোবারক-মোহাম্মদ মাহমুদ

সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্যে আনন্দের সওগাত নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। সুস্থ্য দেহ ও সুন্দর মন নিয়ে সবাই যাতে এই মহানন্দে শরীক হতে পারে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। আমীন ॥

ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়-রাসেল প্রধাণ

মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল-আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়।

ঈদকে সামনে জাল টাকার চক্র ও চামড়া সন্ত্রাসীরা সক্রিয়

ঈদকে সামনে রেখে জেলায় অপরাধ বাড়ছে। মৌসুমী অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে ছিনতাইকারী, জাল টাকা চক্র, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির সদস্যদের। ঈদকে ঘিরে জেলা জুড়ে এসব অপরাধীরা ছদ্ববেশ ধারন করে নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পরেছে। এসব অপরাধের সাথে অনেক ভদ্রবেশী অপরাধীরাও রয়েছে। বেড়েছে পকেটমার ও ছিনতাইকারীদের তৎপরতাও। ঈদকে ঘিরে অপরাধীদের তৎপরাতায় শঙ্কিত হয়ে পরেছে সাধারন মানুষ। অন্যদিকে, ঈদকে ঘিওে মাদক ব্যবসায়ীরাও সক্রিয় রয়েছে। গুঞ্জন চলছে, ঈদের আগে মাদক মজুদ করার চেষ্টা করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। তবে অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সক্রিয় রয়েছে। পোশাকি ছাড়া সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সূত্র জানায়, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জাল টাকা চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন কোরবানীর হাটকে ঘিরে চলছে তাদের তৎপরতা। এছাড়া বিভিন্ন বিপনী বিতানগুলোতেও এই চক্রটি সক্রিয় রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। ব্যস্ততম সময়গুলোকে চেছে নিয়ে এই চক্রের সদস্যরা তৎপরতা চালাচ্ছে। আর এসব কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে। কমিশন ভিত্তিতে এ ব্যাবসা হচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানাগেছে। তবে এই চক্রকে সনাক্ত করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া জরুরী বলে মনে করনে সচেতন মহল। অন্যদিকে, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ভিত্তি মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা তৎপর রয়েছে। এসব মৌসুমী চামাড়া ব্যবসার সাথে বেশরি ভাগই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ক্যাডার ও সমর্থক থাকায় এ নিয়ে প্রতি বছরই ভীত থাকে কোরবানী তাদারা। এবারও একই অবস্থা বিরাজ করছে কোরবানী দাতাদের মধ্যে। বিড়ত দিনে চামাড়া ব্যবসা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অভিজ্ঞা থেকেই নারায়ণগঞ্জবাসীর মধ্যে এ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অপরদিকে, ঈদকে সামনে রেখে মাদক ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটগুলো পৃথক পৃথক ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠে। ঈদের আগে অভিনব কৌশলে মাদকের বড় বড় চালান নিয়ে আসা হয় নারায়ণগঞ্জে। বিত দিনের ন্যায় এবারও মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রস্তুতি চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। তবে অপরাধীদের দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বলে পুলিশের একাধিক সূত্রে জানাগেছে। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, ঈদকে সামনে রেখে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের অভিযোগ আসেনি। জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে।

জঙ্গিবাদ রুখতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে-আনোয়ার

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জকে জঙ্গি-মৌলবাদ ও সন্ত্রাস মুক্ত রাখতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমার ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি নারায়ণগঞ্জসহ দেশে কোন ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান। গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ আয়োজিত বিশেষ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আনোয়ার হোসেন বলেন, এক সময় নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিন মেরুতে বিভক্ত ছিল। কিন্তু এখন আর তা নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শে আমরা দুই মেরু এখন এককাতারে এসে রাজনীতি করছি। এখন আর উত্তর-দক্ষিন মেরুর বিভক্তি নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে বেশী ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী। সন্ত্রাসের রাজনীতি সম্পর্কে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি সন্ত্রাসী করিনা, আর কাউকে সন্ত্রাস করতে দিব না। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা ত্যাগের রাজনীতি শিখেছি, ভোগের রাজনীতি শিখিনি। তিনি নেতাকর্মীদেও ত্যাগের নয়, ভোগের রাজনীতি করার আহবান জানান। প্রধান বক্তার বক্তব্যে প্রজন্মলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এড. আসাদুজ্জামান দূর্জয় বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সকর্ত থাকতে হবে। আমাদেও আন্দোলন স্বাধীনতা বিরোধী ও জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস বাদের বিরুদ্ধে। আমরা বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে বুকে ধারন করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। খালেদা জিয়াকে হুঁশিয়ারি করে দূজর্য় বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আর একবার যদি হত্যার চেষ্টা করা হয় তা হলে খালেদা জিয়াকে দাঁত ভাঙ্গ জবাব দেয়া হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার দোষররা কোমলমতি মেধাবী শিক্ষার্ধীদের বিপদগামী করে এদেশে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়ার স্বপ্ন পূরন হতে দিবে। তিনি জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদেও বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। মহানগর মুক্তযোদ্ধ প্রজন্মলীগের সভাপতি মাসুম আহমেদ সুমনের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান ভূইঁয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক তাপস সরকার পাপ্পুম ঢাকা মহানগরের সভাপতি মনির হোসেন চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান, মহারগর কমিটির নেতা ডা: কামরুল হাসান, মো: সোহেল, সেলিম মাদবর প্রমুখ। এসময় মাসুম আহমেদ সুমনকে সভাপতি, ইকবাল শেখকে সিনিয়র সহ-সভাপতি,রিয়াজ আহমেদ রিপনকে সাধারন সম্পাদক ও মোস্তাহিদ খানে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়।