২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 239

রাজধানীর বাসাবোয় ভাই-বোন খুন মা গ্রেফতার, হত্যার দায় স্বীকার

রাজধানীর বাসাবোয় নিজ ঘরে খুন হওয়া দুই শিশুর মা তানজিন রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোর ৪টার দিকে উত্তর বাসাবোর অন্য একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে শুক্রবার রাতে নিহত দুই শিশু বাবা মাহবুবুর রহমান সবুজবাগ থানায় দুই শিশুর মাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সবুজবাগ থানার ওসি মো. আব্দুল কুদ্দুস ফকির জানান, মামলার পর উত্তর বাসাবোর একটি বাড়ি থেকে শিশুদের মা তানজিন রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তানজিন রহমান দুই সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

এর আগে শুক্রবার রাতে উত্তর বাসাবোর (হোল্ডিং নম্বর ১৫৭/২, ‘ষড়ঋতু’) বাড়ির সপ্তম তলা থেকে দুই শিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা হল- হুমায়রা বিনতে মাহবুব (৬) ও মাশরাফি ইবনে মাহবুব (৭)। তারা আপন ভাই-বোন।

নিহতদের বাবা মাহবুবুর রহমান ওয়াসার কম্পিউটার অপারেটর। বর্তমানে তিনি এলজিইডিতে ডেপুটেশনে আছেন।

দু’জনের লাশ দুই ঘরে পড়েছিল। তারা মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো। এ ঘটনার পর থেকে তাদের মা তানজিন রহমান নিখোঁজ ছিলেন।

খবর পেয়ে সিআইডি রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ধারালো চাপাতি উদ্ধার ও আলামত সংগ্রহ করে।

জানা গেছে, ‘ষড়ঋতু’ নামের এই বাড়ির সপ্তম তলায় দুই সন্তান নিয়ে প্রায় আট মাস ভাড়া থাকেন মাহবুবুর রহমান দম্পতি। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে।

শুক্রবার সন্ধ্যার পর মাহবুবুর রহমান বাসার বাইরে যান। এ সময় দুই সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী তানজিন বাসায় ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাহবুবুর রহমান বাসায় গিয়ে দরজা খোলা দেখতে পান।

ঘরে ঢুকে একটি কক্ষে ছেলের গলাকাটা লাশ দেখেন তিনি। ছেলের লাশ দেখে মেয়েকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পাশের রুমের মেঝেতেও একইভাবে মেয়ের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।

দুই সন্তানের লাশ দেখে মাহবুবুর রহমান নিথর হয়ে যান। এ সময় সন্তানদের মাকে তিনি ঘরে পাননি।

নিহতদের ফুফু লায়লা নূর জানান, রাতে মাহবুব তাকে ফোন করে সন্তানদের হত্যাকাণ্ডের খবর জানান। এরপর নারায়ণগঞ্জের বাসা থেকে উত্তর বাসাবোয় ছুটে আসেন তিনি।

এ সময় লায়লা নূর বলেন, তার ভাবী তানজিন মাঝেমধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। সে সময় ঠিকমতো রান্না করেন না। কারও সঙ্গে কথাও বলেন না। আচরণ পাল্টে যায়। কয়েকদিন এ অবস্থা থাকে পরবর্তীতে আবার ভালো হয়ে যান।

ভূয়া ডাক্তার জি.সি পন্ডিতের শেল্টারদাতা ডা: শাহনেওয়াজ!

র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে শহরে দীর্ঘদিন যাবত রোগীদের সাথে প্রতারনা করে টাকা কামিয়ে আসা ভূয়া ডাক্তার জি.সি পন্ডিতের ডাক্তার হওয়ার নেপথ্য কাহিনী। জানাগেছে, দীর্ঘদিন যাবত এই জি.সি পন্ডিত বিএমএ জেলা সভাপতি ডা: শাহনেওয়াজের তত্ত্বাবধানেই কাজ করতেন। তাকে শেল্টারও দিতেন ডা: শাহনেওয়াজ। যিনি এই ভূয়া ডাক্তারকে শীঘ্রই একটি বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ও এমবিবিএস সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু বিধি বাম, না করা সত্ত্বেও স্ট্যান্ডার্ট চাটার্ড ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখা থেকে একটি ক্রেডিট কার্ড করতে যেয়ে জি.সি পন্ডিতের ভাগ্যে এই দূর্গতি নেমে আসে। তথ্যানুসন্ধ্যানে জানাগেছে, স্ট্যান্ডার্ট চাটার্ড ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখা থেকে একটি ক্রেডিট কার্ড নেয়ার আবেদন করে ভূয়া ডাক্তার জি.সি পন্ডিত। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জি.সি পন্ডিতের দেয়া এমবিবিএস সার্টিফিকেট অনলাইনে যাচাই করে দেখতে পায় জি.সি পন্ডিতের দেয়া সার্টিফিকেটের ছবির সাথে বাস্তবতার মিল নেই। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি র‌্যাবকে জানালে ভূয়া ডাক্তার এইচএসসি পাশ জি.সি পন্ডিত ধরা পরে যায়। আর অর্থদন্ড দিয়েও যেতে হয় জেলখানায়। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, মেয়ে বিয়ে দেয়ার প্রায় ৫ বছর পর শ্বশুড় নারায়ণগঞ্জের হিন্দু নেতা আয়কর আইনজীবী তারাপদ আচার্য্য জামাতা জি.সি পন্ডিত একজন ভূয়া ডাক্তার জানতে পায়। অথচ বিয়ের এত বছর পর কেন জানতে পারলেন বা বিয়ের পূর্বেই বা জি.সি পন্ডিতের সর্ম্পকে যাচাই করেননি কেন- অভিযানের নেতৃত্বদানকারী সিদ্ধিরগঞ্জ র‌্যাব-১১’র এএসপি নাজিম উদ্দিনের এমন প্রশ্নে জবাবে তারাপদ আচার্য্য জানান, তার মেয়ের জামাতা ডা: শাহনেওয়াজের তত্ত্বাবধানেই কাজ করতেন। ডা: শাহনেওয়াজ এবং জনৈক ডা: সুবীর জি.সি পন্ডিতের সাথে তার মেয়েকে বিয়ে দিতে সুপারিশ করায় আর তখন তারাপদ আচার্য্য জামাতার ব্যাপারে খোঁজ খবর নেননি। কিন্তু জামাতার এমন ঘটনা ফাঁস হওয়ায় বেশ মর্মাহত হয়ে যান তিনি। কিন্তু জি.সি পন্ডিতের শেল্টারদাতা বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন জেলা সভাপতি ডা: শাহনেওয়াজ ঘটনার দিন এক ঝলকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেলেও তখন সেখানে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বা র‌্যাব কেউই জানতেন না যে এই শাহনেওয়াজই ছিলেন জি.সি পন্ডিতের ভূয়া ডাক্তার হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করার নেপথ্য কারিগর। তবে এব্যাপারে জানতে বিএমএ জেলা সভাপতি ডা: শাহনেওয়াজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারাপদ আচার্য্য জি.সি পন্ডিতের সাথে তার মেয়েকে বিয়ে দিবেন কিনা এব্যাপারে বিয়ের আগে কখনোই আমার কাছে জানতে চাননি। আমি এই দেশের একজন নাগরিক, আইনের উর্ধ্বে নই। তাই জি.সি পন্ডিতকে শেল্টার দেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। উল্লেখ্য, গত ১০ আগষ্ট শহরের বি.বি রোডে ন্যাশনাল মেডিকেল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ র‌্যাব-১১’র এএসপি নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম ভূয়া ডাক্তার গৌর চাঁদ পন্ডিত ও জি.সি পন্ডিত (সুবীর)কে আটক করেন। পরে সদর এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুম আলী বেগ ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ভূয়া ডাক্তার জি.সি পন্ডিতকে নগদ ১লাখ টাকা জরিমানা করে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

সরকার দেশকে সিরিয়া বানাতে চাইছে-মিলন মেহেদী

নারায়নগন্জ থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়ার গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিলন মেহেদী। বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার বিএনপির তৃনমূলের শক্তিকে ধ্বংস করতেই জিয়ার মত সারাদেশের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কোন রকম মামলা মোকদ্দমা ছাড়াই গ্রেফতার করছে। যা গণতান্ত্রিক রাজনীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থি। বিএনপিকে ধ্বংস করার নীল নকশা সরকারের একটি অলীক স্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নয়। সেদিন বেশী দূরে নয় গনবিচ্ছিন্ন এই সরকার তাদের ভ্রান্ত ‍ও উদ্ভট স্বপ্নের দহনেই একদিন পুড়ে ছাই হবে। মিলন মেহেদী আরো বলেন, সরকার ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে জঙ্গী নাটক সাজিয়ে দেশের অসংখ্য রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গুম-হত্যা করে চলেছেন। মুসলিম প্রধান এই দেশটিতে ইসলাম ধর্মকে কলংকিত করে সরকার দেশকে সিরিয়া বানাতে চাইছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করে সরকারকে গণতন্ত্রের পথে আসার ‍আহ্বান জানান।

‘জঙ্গীবাদ সৃষ্টির মূল কারণ অভিভাবকদের অসচেতনতা’- ইউএনও মৌসুমী হাবিব

বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেগম মৌসুমী হাবিব বলেন,অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবে সন্তানরা বিপথগামী হয়। জঙ্গীবাদের সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণ অভিভাবকদের অসচেতনতা। কাজেই এসকল জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে আমাদের সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সন্তানরা ঠিকমতো পড়াশোণা করে কি না সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বন্দর শাহী মসজিদস্থ বন্দর ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার গভর্ণিং বডি আয়োজিত‘‘জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে গভণিং বডি,শিক্ষক,কর্মচারী,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের করণীয়’’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধাণ অতিথি’র বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। মৌসুমী হাবিব আরো বলেন দেশের উন্নয়ন করতে হলে সবার মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু চলমান নাশকতার কারণে প্রধাণমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রক্রিয়া বারবার বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এতদিন মাদ্রাসা ছঅত্রদের সংগঠিত করেছে এখন কলেজ-ভার্সিটির ছাত্রদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে। মাদ্রাসার গভর্ণিং বডি’র সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফের সভাপতিত্ব হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধাণ আলোচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আলহাজ্ব মোঃ আবুল জাহের। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম,বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ.ক.ম নূরুল আমিন,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হান্নান সরকার। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার অধক্ষ্য মাওলানা মোঃ নূরুল হক.দাতা সদস্য ২১নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সামসুল হাসান,সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম,বন্দর ৯নং কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষক এম এ হালিম,২৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহম্মেদ সুজন,থানা ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত কবির ফাহিম,কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন মদিল,মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা আর গুলশানে হামলা একই সূত্রে গাঁথা’-এম এ রশীদ

বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশীদ বলেছেন,৭৫’রে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা এবং চলতি বছর গুলশানের আর্টিসানে হামলা একই সূত্র গাঁথা। তাতে কোন সন্দেহ নেই। সেই পরিস্থিতি থেকে দেশবাসীকে ফিরিয়ে আনতে হবে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় মদনগঞ্জ লক্ষ্যারচরস্থ কেরামতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত ১৯নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে প্রধাণ অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এম এ রশীদ আরো বলেন,সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ একটি জাতিকে ধ্বংস করে দেয়। তারা বেহেস্তের সার্টিফিকেট নিয়েছে মরলে নাকি বেহেস্তে যাবে। এটা কোন কোরআন এরা কোন মুসলমান। আমরা নামাজ পড়ি আল্লাহ-খোদার নাম এটাই ধর্মের রীতিনীতি। আমরা সন্ত্রাস চাইনা,সন্ত্রাসকে প্রশ্রয়ও দিবোনা। আপনাদেরকে সেভাবেই গড়ে উঠতে হবে। নারী নেতৃত্ব এখন ঘরে ঘরে। আগে নারীদেরকে গৃহবন্ধী করে রাখা হতো। বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার কারণে ঘরে ঘরে নারী নেতৃত্বের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দেশের অগ্রভাগ সেক্টরেই এখন নারীরা দায়িত্ব পালণ করছে। দেশের পুলিশের ডিআইজি নারী,সচিবালয়ে নারী,বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এসিল্যান্ড ও ম্যাজিষ্ট্রেট অধিকাংশই নারী। অথচ নারী হয়েও বেগম খালেদা জিয়ার নারীর প্রতি নারীর প্রতি মমত্ববোধ নেই।  খালেদা জিয়া ফেরোসাস। যে কারণে নারীদের প্রতি তার কোন আন্তরিকতা নেই। নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তথা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২,২৩ ও ২৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর ইসরাত জাহান খান স্মৃতির সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জি এম আরমান,তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আইয়ূব আলী,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবেদ হোসেন,সাহিত্য-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক তথা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর,আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নূর হোসেন,সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মোল্লা,নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তথা ৭,৮ ও ৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রেহেনা পারভিন,সাংগঠনিক সম্পাদক হোসনে আরা বেগম,প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব আবদুল হক মাতবর,হাজী মোঃ আমজাদ হোসেন,বন্দর থানা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফিয়ান আহমেদ,সোনাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী আলমগীর হোসেন (এমএসসি) মোঃ শাহজাহান,২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা এম এ কাইয়ূম,ডাঃ শফিউল্লাহ,নাসিক’র ১৯,২০ ২১ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সম্ভাব্য নারী কাউন্সিলর প্রার্থী কামরুন নাহার কনকা,২১নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মায়ানূর আহমেদ,২৩নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী সীমা সুলতানা সিমলা,ডলি বেগম,কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন মদিল,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম,মদনগঞ্জ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ সুমন,আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। পরিশেষে কামরুন নাহার রনকাকে সভাপতি কেের ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট ১৯নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামীলীগের একটি কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়।

সদর থানা মৎসজীবি দলের সভাপতি জিয়া গ্রেফতার

অন্যের গৃহে অনধিকার প্রবেশের দায়ে সদর থানা মৎসজীবি দলের সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ আগষ্ট) দুপুরে শহরের দেওভোগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, দেওভোগ এলাকায় মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের বাড়ীর ভাড়াটিয়ার ঘরে অনধিকার প্রবেশের দায়ে জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়ারও জিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।

নাঃগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার সুবির গ্রেফতার, ২ বছরের জেল ১ লাখ টাকা জরিমানা

শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সেখানে থাকা গৌরি চাঁদ পন্ডিত ওরফে সুবির (৪০) নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে ২ বছরের কারাদ- সঙ্গে আরো এক লাখ টাকা অর্থদ- করা হয়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) বিকালে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের পাশে ন্যাশনাল মেডিক্যাল সেন্টারে ওই অভিযান চালায় র‌্যাব-১১ সদস্যরা। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নারায়ণগঞ্জ সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুম আলী বেগের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ওই সাজা দেওয়া হয়। দ-প্রাপ্ত গৌরি চাঁদ পন্ডিত ওরফে সুবির (৪০) কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী এলাকার সতেন্দ্র পন্ডিতের ছেলে।
এদিকে ভূয়া ডাক্তার গ্রেফতার, জেল জরিমানা হলেও এলাকাবাসীর ধারনা সেই ৮ জুলাই তারিখে গ্রেফতারকৃত ভুয়া ডাক্তার মোবারকের মত কয়েকদিনের মধ্যে ফিরে এসে এই পেশাতেই নিয়োজিত থাকবে সুবির।

র‌্যাব ১১ এএসপির নাজিম উদ্দিন আল আজাদ সাংবাদিকদের জানান, ভুয়া ডাক্তার জিসি পন্ডিত (সুচিত) দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে এমবিবিএস সহ বিভিন্ন ডিগ্রী ব্যবহার করে শহরের কয়েকটি ফার্মেসি ও মেডিকেল সেন্টারের রোগী দেখতেন। র‌্যাব ১১ গোয়েন্দা টিম দীর্ঘদিন তার উপর নজর রাখে এবং সে একজন ভুয়া ডাক্তার নিশ্চিত হলে ন্যাশনাল মেডিকেল সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভুয়া ডাক্তার কোনো সনদ দেখাতে পারেননি। পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট মাসুম আলী বেগ তাকে ডেন্টাল মেডিকেল আইনে ২বছরের কারাদন্ড ও ১লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়াও হাসপাতালে ভুয়া ডাক্তার রাখার অপরাধে হাসপাতালের মালিক ও ম্যানেজারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উল্লেখ্য, গত রমজান মাসে (৮ জুলাই) সিদ্ধিরগঞ্জ গোদনাইল চৌধুরীবাড়ি এআর কমúেøক্সে জনসাস্থ্য জেনারেল নামে একটি হাসপাতালে জনপ্রশাসনের নির্বার্হী ম্যাজিষ্ট্রট শিলু রায় অভিযান চালিয়ে মোবারক নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে অপারেশন কক্ষে এক রোগীকে অপারেশন করার সময় আটক করে। পরে ভুয়া ডাক্তার মোবারক ম্যাজিষ্ট্রট শিলু রায় এর সামনে নিজেকে একজন এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দেয়। তার সার্টিফিকেট দেখতে চাইলে সে দেখাতে পারেনাই। এসময় হাসপাতালটিতে পুলিশ তল্লাশী করে ২শতাধীক এমবিবিএস এর জাল সার্টিফিকেট, সার্টিফিকেট তৈরি খালি স্টাম্প, ভারত ও চায়নার বিভিন্ন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬টি সিল, চায়নার নকল ভিসা, ২ টি পাসপোর্ট উদ্ধার করে। পরে ভুয়া ডাক্তার মোবারক হোসেনকে ২ বছরের কারাদন্ড ও হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়।

এদিকে ভূয়া ডাক্তার মোবারকের একাধিক অপরাধের আলামত জব্দ হলেও রহস্যজনক ভাবে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট গ্রেফতারের ২১দিন না পেরোতেই তার জামিন মঞ্জুর করে। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিচার বিভাগের কর্মকান্ড নিয়ে বেশ সমালোচনা করা হয়। এমনকি ২শতাধিক এমবিবিএস এর জাল সার্টিফিকেট, সার্টিফিকেট তৈরি খালি স্টাম্প, ভারত ও চায়নার বিভিন্ন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬টি সিল, চায়নার নকল ভিসা, ২ টি পাসপোর্ট উদ্ধার হলেও এ ঘটনায় কোন মামলা রুজু হয়নি।

অন্যদিকে, ভুয়া ডাক্তার মোবারক জামিনে বেরিয়ে এসে পূনরায় জেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি সিলগারা করা হাসপাতালটি খোলার জন্য বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছে জোর তদ্বির করছেন।

এলাকাবাসী জানান, প্রশাসন ভুয়া ডাক্তার ধরবে আর আইনের ফাঁক দিয়ে তারা রেড়িয়ে এসে পূর্বের পেশায় ফিরে যাবে এমন আইন বাতিল করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ শহরের টোকিও প্লাজায় আগুন

নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক সংলগ্ন নয়া মাটি এলাকার টোকিও প্লাজা-২-এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে মন্ডলপাড়া, হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট যৌথ ভাবে চেষ্টা চালায়। প্রায় ৪০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারন এখনো জানা যায়নি।

এব্যাপারে, ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ জোনের উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা জানান, টোকিও প্লাজা-২ ভবনের ৫ম তলায় নির্মানাধীন একটি থিম পার্কের মধ্যে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানে প্রচুর পরিমানে কাঠ থাকায় আগুন দ্রুত ছরিয়ে পড়ে। আমরা সন্ধ্যা ৬ টা ১০ মিনিটে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ১০টি ইউনিট প্রায় ৪০ মিনিট যাবত চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। তবে এখনো পর্যন্ত আগুন লাগার কারন সর্ম্পকে জানা যায়নি।

না:গঞ্জে শিক্ষক লাঞ্চনার ঘটনা ফের তদন্তের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট

স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছনায় ঘটনার পুলিশের দেয়া প্রতিবেদন গ্রহণ না করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে ওই ঘটনা তদন্ত করে আগামী ৩ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ৯ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাসের গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

নারায়ণগঞ্জের স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনায় মন্ত্রী থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এ কে এম সেলিম ওসমানের শাস্তি দাবি করলেও ওই ঘটনায় এই সংসদ সদস্যের কোনো দোষ পায়নি পুলিশ।

এই শিক্ষককে কান ধরে উঠ-বস করাতে নির্দেশ দিতে জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্যকে দেখা গেলেও তিনি ‘পরিস্থিতির শিকার’ বলে হাইকোর্টে দেওয়া পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এই ঘটনায় কাউকে জড়িয়ে কারও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে বলেছেন, এজন্য কারও বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ১৩ মে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি প্রকাশ পেলে দেশজুড়ে নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়।

ওই ঘটনার ভিডিওতে ওই শিক্ষককে কান ধরে উঠ বসের নির্দেশ দিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে দেখা গেলে তার শাস্তির দাবিও উঠে। তবে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের এই সদস্য শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন।

ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ অন্তর্র্বতীকালীন আদেশ দেয়।

আদালতের নির্দেশনায় ২৯ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসির প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ, যা দায়সারা বলে অসন্তোষ জানিয়েছিল আদালত।

এরপর ৮ জুন জেলা প্রশাসক নতুন করে প্রতিবেদন দেন হাইকোর্টে। ওই ঘটনায় জিডির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে অগ্রগতি আছে জানিয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসি ৬০ দিন সময় চেয়ে আবেদন করেন।

আদালত তখন স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় করা জিডির তদন্তে আসা ফল হলফনামা আকারে ৪ অগাস্ট আদালতে দাখিল করতে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়।

ওই প্রতিবেদন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাই কোর্ট বেঞ্চে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ওই প্রতিবেদনটি দাখিল ও পড়ে শোনান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। অন্যপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান।

পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার বিষদ বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, “স্থানীয় সাংসদ এ কে এম সেলিম ওসমান ওই দিন ১৫.৪৫ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উত্তেজিত জনতা প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিচারের দাবিতে পুনরায় উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।

“তখন পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত্ত করার সময় প্রধান শিক্ষককে জনগণের রোষানল থেকে রক্ষার জন্য উত্তেজিত জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কান ধরে ওঠ-বস করার ঘটনাটি আকস্মিকভাবে ঘটে।”

“ওই ঘটনার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান দুজনই উদ্ভূত ঘটনায় পরিস্থিতির শিকার। ওই ঘটনা সংক্রান্তে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট (পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়) কারোই কারও বিরুদ্ধে কোনোরূপ অভিযোগ না থাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় আকস্মিকভাবে ওই ঘটনাটি হয়েছে বলে জানা যায়।”

আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধু হত্যা হয়েছিল : শেখ হাসিনা

যেসব আন্তর্জাতিক শক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো। তাদের ষড়যন্ত্রেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে সচিবালয়ে আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরের আগে তৎকালীন পূর্ববঙ্গে বাঙালির কোনো অধিকার ছিলো না। বঙ্গবন্ধু সবসময় বাঙালির অধিকার আদায়ের কথা বলেছেন। সে কারণে তাকে নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে।