২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 245

নিখোঁজ ২৬১ জনের তালিকা প্রকাশ করলো র‍্যাব

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিখোঁজ হওয়া ২৬১ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ২২ মিনিটে ফেসবুকে র‍্যাবের অনলাইন মিডিয়া সেলের পেজে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

তালিকার বিষয়ে র‍্যাবের পেজে বলা হয়, ‘RAB কর্তৃক দেশব্যাপী অনুসন্ধান চালিয়ে সাম্প্রতিককালের নিখোঁজ ব্যক্তিদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হলো। এসব ব্যক্তির খোঁজ জানতে পারলে নিকটস্থ RAB ক্যাম্প/ ব্যাটালিয়নে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

মোবাইল : ০১৭৭৭৭২০০৫০

ফেসবুক : https://www.facebook.com/rabonlinemediacell/

ই-মেইল : [email protected]

তালিকাটি নিচের লিংকে দেওয়া হলো।’

এই লিংকে ক্লিক করুন : https://drive.google.com/file/d/0B8Vld2wqAu4kZjBZbFF6R0xvSHc/view

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন চার ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করে র‍্যাব।

গত ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজানের আশপাশের এলাকায় স্থাপিত ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ থেকে এই চারজনের ছবি প্রকাশ করা হয়।

র‍্যাব প্রকাশিত ওই ফুটেজে দেখা যায়, গুলশানের ৭৫ ও ৭৯ নম্বর রোডের সংযোগ সড়কের কাছে রাস্তা ও ফুটপাত ধরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছেন কয়েকজন ব্যক্তি। এদের মধ্যে ঘাড়ে ব্যাগ বহনকারী এক নারীও রয়েছেন। তাদের প্রত্যেককেই ফুটপাতের দেয়ালের একেবারে গা ঘেঁষে চলাচল করতে দেখা গেছে। ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ হওয়া স্থানটি হলি আর্টিজান বেকারি থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে। সন্দেহজনকভাবে একটি প্রাইভেটকারকেও ওই সড়কে চিহ্নিত করেছে র‍্যাব।

এই সন্দেহজনক ব্যক্তিদের পরিচয় জানা থাকলে দ্রুত র‍্যাবকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ জন্য ০১৭৭৭৭২০০৫০ নম্বরে ফোন করে তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

গত ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। হামলার পর রাতেই তারা ২০ জনকে হত্যা করে।

ওই দিন রাতে উদ্ধার অভিযানের সময় বন্দুকধারীদের বোমার আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরদিন সকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী। এ নিয়ে হামলার পর ২৮ জন নিহত হন।

জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে। সংগঠনটির মুখপাত্র আমাক হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করে বলে জানায় জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স।

শিশুর প্রথম বাড়তি খাবার যেমন হওয়া জরুরী

শিশুর পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধই হচ্ছে শিশুর জন্য আদর্শ খাবার। শিশুর স্বাভাবিক অবস্থার ৬ মাস পূর্ণ হলে ৬ মাস বয়সের পর থেকে একমাত্র মায়ের দুধে শিশুর চাহিদা মেটে না। তাই শিশুকে শক্ত খাবার খাওয়ানো শুরু করতে হয় এবং এটি শিশুর জন্য একটি বড় মাইলফলক অর্জনের মতোই ঘটনা। সব পিতামাতাই সন্তানের জন্য সবচেয়ে ভালো জিনিসটাই চান। শিশুর সার্বিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য কঠিন খাবার শুরু করার ক্ষেত্রে পুষ্টির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। আসুন জেনে নিই, শিশুর প্রথম বাড়তি খাবার কেমন হওয়া উচিত।

১। কলাঃ

শিশুর পাঁচ মাস বয়সের পর থেকে কলা খাওয়ানো শুরু করতে পারেন। কলা পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ হওয়ায় শিশুর শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। পটাসিয়ামে পেশীর কাজে সাহায্য করে এবং হৃদস্পন্দন ও হৃদপেশীর রিলাক্সেশনের জন্য কাজ করে। এছাড়াও কলাতে শর্করা থাকে যা এনার্জি প্রদান করে এবং ফাইবার থাকে যা হজমে সাহায্য করে। একটি পাকা কলার অর্ধেকটা নিয়ে চামচ দিয়ে ভালো করে থেঁতলে নিন, তারপর শিশুকে খাওয়ান।

২। আপেলঃ

শিশুর ৬-৮ মাস বয়সের মধ্যে খাওয়ানোর জন্য সবচেয়ে উপযোগী খাবার হচ্ছে আপেল। প্রতিদিন একটি আপেল আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আপেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান হচ্ছে এর ফাইবার। যা নিয়মিত অন্ত্র পরিষ্কারে সহায়তা করে। আপেলে অন্য যে পুষ্টি উপাদানগুলো থাকে তাহল – ভিটামিন এ এবং ই, ফোলেট, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম। বিশেষজ্ঞদের মতে শিশুর ৮ মাস বয়স পর্যন্ত আস্ত আপেলের পরিবর্তে আপেলের সস খাওয়ানো উচিত। আপেলের খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরা করে নিন। এক কাপ পানিতে আপেলের টুকরাগুলো দিয়ে ১৫-২০ মিনিট তাপ দিন। ঠান্ডা হওয়ার পর টুকরোগুলো একটি চামচ দিয়ে মসৃণভাবে পেস্ট করে নিন। তারপর শিশুকে খাওয়ান।

৩। মিষ্টি আলুঃ

আপনার শিশুর জন্য সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার হচ্ছে মিষ্টি আলু। অধিকাংশ শিশুই মিষ্টি আলু পছন্দ করে। বিটা ক্যারোটিনের সমৃদ্ধ উৎস মিষ্টি আলু যা শরীরে ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ ভালো দৃষ্টিশক্তির জন্য, সুস্থ ত্বকের জন্য এবং শিশুর সার্বিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মিষ্টি আলু সিদ্ধ করে শিশুকে খাওয়ান।

৪। গাজরঃ

শিশুর জন্য আরেকটি উপকারী খাবার হচ্ছে গাজর। গাজর বিটা ক্যারোটিনে সমৃদ্ধ। এছাড়াও ভিটামিন সি, কে, বি৮ এবং ক্যালসিয়াম, ফোলেট, পটাসিয়াম, আয়রন, কপার ও ম্যাঙ্গানিজ থাকে গাজরে যা শিশুর সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গাজর সিদ্ধ করে খিচুড়ির সাথে দিয়ে খাওয়াতে পারেন। যে শিশুদের দাঁত উঠেছে তাদেরকে পাতলা করে কেটে দিতে পারেন। এটি শিশু চিবিয়ে খেতে মজা পাবে। তবে সব সময় গাজরের খোসা ছাড়িয়ে দেবেন। কারণ এর খোসা শিশুর হজম হয়না।

৫। চাল, সুজি বা অন্য খাবার:

শিশুকে চালের গুঁড়া বা সুজি রান্না করে দিতে পারেন একদম পাতলা করে। আস্তে আস্তে যখন তারা খেতে অভ্যস্থ হবে তখন একটু একটু করে ঘনত্ব বাড়াবেন। পানি দিয়ে রান্না করা চালের গুঁড়ো বা সুজির সাথে ফর্মুলা দুধ বা বুকের দুধ মিলিয়ে শিশুকে খেতে দিন। আবার যেকোনো একটি ফলের পিউরির সাথেও মিশিয়ে খেতে দিতে পারেন।

 

সরকার কখনই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করবে-মাহফুজউল্লাহ

আওয়ামী লীগ কখনই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করবে না। ইন্ডিপেন্ডেন্টে টেলিভিশনের ‘আজকের বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ। তিনি বলেন, বিএনপি যদি বলে, আমরা জামায়াতের সঙ্গ ছেড়ে দিব কিন্তু বর্তমান সরকারকে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, তারা জামায়াতের সঙ্গে সংবদ্ধ হবে না। কারণ, হেফাজতের শুরু দিকে আওয়ামীলীগের ভূমিকা এবং বর্তমানের ভূমিকার অনেক পার্থাক্য আমরা দেখতে পাচ্ছি।

জামায়াতকে বর্তমান সরকার পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করছে
মাহফুজউল্লাহ বলেন, জামায়াতকে বর্তমান সরকার পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। যারফলে জামায়াত বিএনপির এই প্রচারণাটাও অব্যহত রাখছে। এছাড়া, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার সাথে সাথে আরও অনেকগুলে রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ, ঐ সমস্ত নিবন্ধিত দলের বিরুদ্ধেও জামায়াতের মত একই রকমের অভিযোগ রয়েছে।
মাহফুজউল্লাহ বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে একটি অনুমোদিত রাজনৈতিক দল সকল রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। আর ঐ সকল দলকে যদি মারপিট করে বা গ্রেফতার করে বাঁধা দেওয়া হয় তাহলে এটাকে অগণতান্ত্রিক আচরণ হিসেবে বিবেচিত করতে হবে। কারণ, একটি অনুমোদিত রাজনৈতিক দলকে পিটিয়ে হেনস্তা করলে বুঝে নিতে হবে গণতন্ত্র মানা হচ্ছে না।
সন্ত্রাসী কর্মকা- হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা যায় কী না? উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিষিদ্ধ করতে হলে আগে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের প্রমাণ দেখাতে হবে। প্রমাণ বলতে কাগজে কলমের প্রমাণ, কারণ আমরা জানি যে, মুখের কথা আর কাগজে কলমের কথার গ্রহণযোগ্যতা অনেক পার্থাক্য। সেক্ষেত্রে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হলে অবশ্যই কাগজের প্রমাণ দেখাতে হবে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, যদিও অনেক রাজনৈতিক নেতাদের মুখে জামায়াত একটি সন্ত্রাসী দল, সন্ত্রাসী কর্মকা- করে ইত্যাদি বলা হয়েছে। কিন্তু আমার কথা হলো তাদের ঐ মুখের কথার কোনো বিহিত দেখতে পাচ্ছি না কেনো? কারণ, আওয়ামীলীগ জামায়াতকে এবং জামায়াত বিএনপির এই প্রচারণাটা রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে।

ঝিনাইদহে বন্দুকযুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নিহত

ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাইফুল ইসলাম মামুন নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মামুন ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার মুচড়াপাড়া-পুটিমারী গ্রামের লুৎফর হোসেনের ছেলে। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। একই সঙ্গে তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলে জানা গেছে। তবে তাঁর দলীয় পদবি জানা যায়নি।

জানা যায়, গত ১ জুলাই সেবায়েত শ্যামানন্দ দাস বাবাজি নিহত হন। এ খুনের পরে ঝিনাইদহ জেলা শহরের পবহাটী গ্রামের টুলু মিয়ার বাড়ি থেকে সাদা পোশাকের লোকজন তুলে নিয়ে যায় মামুনকে।

পুলিশের ভাষ্য, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান, দুটি গুলি, পাঁচটি বোমা ও তিনটি রামদা উদ্ধার করা হয়।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশের একটি টহল দল ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়ক দিয়ে হাটগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের দিকে যাচ্ছিল। সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি যাওয়ার পর পুলিশের টহল দলকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে সন্ত্রাসীরা। এতে ঝিনাইদহ থানার দুই কনস্টেবল আহত হন। ওই সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয় ।

আজবাহার আলী জানান, নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। রাতেই লাশটি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।

ফতুল্লার বক্তাবলীতে স্কুল ছাত্র রাতিককে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ

ফতুল্লার বক্তাবলীর ধলেশ্বরী নদীতে চুবিয়ে এক স্কুল ছাত্রকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিখোঁজের একদিন পর নদী থেকে শিশু রাতিকের (১১) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৮ জুলাই) ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১’শ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। নিহত রাতিকের বাবা সুলতান মিয়া দুবাই প্রবাসী। বক্তাবলী কানাই নগর  ছোবহানিয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র। এঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জানা যায়,গত রবিবার বিকেলে বক্তাবলীর বাজার সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর একটি পাম্পের পাশে  গোসল করছিল রাতিক (১১),  জিসান (১০), সাকিব (১৩)  ও  রাকিব (১২)। এসময় বক্তাবলী রাজাপুর এলাকার মৃত নূর ইসলামের ছেলে ২টি চিপস এর প্যাকেট নিয়ে নদীতে ফেলে। এবং সেই চিপস সাঁতরে নিয়ে আসতে রাতিকের বন্ধুদের বলে। রাতিক অন্য বন্ধুদের আগে দুটি চিপস্ এর প্যাকেট পানি থেকে  তুলে  সাঁতরে নদীর পাড়ে  আসে। এসময় ঘাতক অহিদ, রাতিকের কাছ থেকে চিপস এর প্যাকেট  ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অহিদ শিশু রাতিককে পানিতে চুবিয়ে রাখে। এক পর্যায়ে রাতিকের মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে ঘাতক অহিদ রাতিকের লাশ পানিতে ভাসিয়ে দেয়। রাতিকের বন্ধুরা এ ঘটনা রাতিকের পরিবারকে জানায়। পরে স্বজনরা রাতিকের লাশ নদীর খোঁজাখুঁজি করে পায়নি। সোমবার দুপুরে নৌ-ফাড়ীঁ পুলিশের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরী দল রাতিকের মরদেহ উদ্ধার করে। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ রাতিকের লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের নানা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সক্রিয় নেতাদের নিয়ে গঠন হবে না’গঞ্জ বিএনপি

 


বিশেষ প্রতিনিধি : 
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে দলের বেশ কিছু নেতা আলোচিত হয়ে উঠেছে। দলের হয়ে আন্দোলন করে এবং দলের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে দাড়তে গিয়েই এসব নেতারা কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষনে সক্ষম হয়েছে। আর আগামীতে দল পূর্নগঠনে এসব নেতাদেরই সামনের সাঁড়িতে রাখার চিন্তা করছে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। এসব নেতাদের মধ্যে এড. তৈমুর আলম খন্দকার, এড. আবুল কালাম, আইনজীবী নেতা এড শাখাওয়াত হোসেন খান, এড জাকির, এটিএম কামাল, মাকসুদুল আলম খন্দকুার খোরশেদ, দিপু ভূইঁয়া, মাসুকুল ইসলাম রাজিব, রানা মুজিব, আবুল কালাম আশা, রিয়াদ চৌধুরী অন্যতম। এদের মধ্যে আইনজীবী নেতা এড. শাখাওয়াতের গুরুত্ব কেবল বেড়েই চলেছে। নেতাকর্মীদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই নেতা। ইতোমধ্যে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছেন। বিগত ওয়ান এলিভেনের সময় সাহসি ভুমিকা পালনের মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. শাখাওয়াত হোসেন খান। সর্বশেষ সেভেন মার্ডারের পর তার সাহসি ভুমিকার কারনে তিনি সারা দেশে আলোচিত হন।

সূত্রমতে, জেলা ও মহানগর কমিটি গঠনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতাদের চাপ রয়েছে। রাজধানীর পাশের জেলা হওয়ায় নারায়ণগঞ্জকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বিএনপির হাই কমান্ড। এ জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের ব্যাপাওে কেন্দ্রীয় নেতারা তৎপর হতে শুরু করেছে। নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে আরো বেশী শক্তিশালী করতে দলের সক্রিয় নেতাদেও সমন্বয়ে কমিটি গঠনের চিন্তা করছে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। এছাড়া আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই জেলা বিএনপিকে পূর্নগঠনের চিন্তা করছে হাই কমান্ড। এবারের টাগের্ট নাসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীই জয়ী হবেন। আর সে লক্ষ নিয়েই কাজ শুরু করেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। জেলা বিএনপির কমিটিতে প্রবীনদেও পাশাপাশি নবীন অনেক নেতাকে গুরুত্বপূর্ন পদে আনা হচ্ছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে নেতৃত্বেও পরিবর্তন হবে বলেও বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে আইনজীবী নেতা এড. শাখাওয়াত হোসেনের নাম বেশ আলোচিত।

এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বিএনপি আমার রক্তের সাথে মিশে গেছে। সেই জাগো দল থেকেই রাজনীতি করে আসছি। দলীয় পদ পদবী বড় কথা নয়। দলের পদে না থেকে দলের জন্য কিছু করা যায় তার প্রমাণ রেখেছি। আজ দলের কারো কারো চক্ষুশূল হয়ে দল থেকে মাইনাস হয়েছি। আমার চেয়েও অনেক সক্রিয় ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন করে দল থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কারণ আমরা কারো ব্যক্তির নামে শ্লোগান দেইনি। কোন ব্যক্তির চাটুকারিতা করিনি। আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করি।

ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটি গঠন বিষয়ে এড. শাখাওয়াত হোসেন খান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির যাদের সাথেই আমার কথা হয়েছে তাদেরকে বলেছি যদি আমাকে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলেই আমি দায়িত্ব নিব। কারণ অন্য কোন পদে দায়িত্ব দিলে দলকে এমন পর্যায় থেকে শক্তিশালী করতে হলে যা করা দরকার তা করা যাবে না। তাই সভাপতির দায়িত্ব দিলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিকে একটি মডেল মহানগর বিএনপির কমিটি হিসেবে গড়ে তুলব। এ কমিটি দেখে দেশের অন্যান্য কমিটিগুলোও কাজ করবে। আর যারা দলের রাজনীতি করেছিল সেই সব ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা পিছনে পড়ে গেছে তাদেরকে সামনে নিয়ে আসব। কোন ভাইয়ের রাজনীতি নয় সকলের শ্লোগান হবে বিএনপির রাজনীতি। কেন্দ্রীয় নেতারা আমাকে মানসিকভাবে প্রস্তত থাকতে বলেছেন।

নারায়ণগঞ্জে সর্বত্র বইছে নাসিক নির্বাচনী হাওয়া

 

মো. আব্দুর রহিম

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে সরব হচ্ছে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা। আওয়ামী লীড়ের পাশাপাশি বিএনপি এবার নির্বাচনী মাঠে থাকার চিন্তা করছে। বিগত ২০১১ সালের নাসিক নির্বাচন থেকে বিএনপি রাজনৈতিক কারণে সরে দাড়ালেও এবার তারা মাঠে থাকার চিন্তা করছে। ইতোমধ্যে বিএনপি থেকে কাকে মনোনিত করা হবে এ নিয়েও চলছে আলোচনা। তবে আলোচনায় রয়েছে সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম, এড. তৈমুর আলম খন্দকার ও এড শাখাওয়াত হোসেন খানের নাম আলোচনায় রয়েছে। তবে বিএনপি থেকে সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালামকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হবে বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র আইভী দলীয় প্রতীক পেতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এছাড়া তিনি দলীয় প্রতীক পাবে বলে আশাবাদী। অন্যদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা হিসেবে পরিচিত আনোয়ার হোসেনও আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে জোর লবিং চালি যাচ্ছেন। তবে তিনি শতভাগ আশাবাদী দলের সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে। মেয়র প্রার্থীরা নিরবে প্রচার প্রচারনা চালালেও সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে চলছে ব্যাপক প্রচারনা। আওয়ামী লীগ, বিএনপির সমর্থন পেতে এসব সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা নানা কৌশলে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। এদেও কেউ কেউ আকার বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার,ফেস্টুন সাটিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগাম বার্তা দিতে শুরু করেছে। অনেকে আবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।

সূত্রমতে,নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি ক্রমন্বয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি কিংবা জামাত সর্বত্রই এই নির্বাচন নিয়ে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা। রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে কর্মীদের মধ্যেও এ নিয়ে আলোচনার যেন কমতি নেই। আলোচনা থেকে দূরে সরে নেই সাধারন মানুষও। প্রায় ৫ বছর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কনরপোরেশনের প্রথম নির্বানে যে পরিমান আলোচনা হয়েছে, এবারের আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে তারে চেয়ে কয়েকগুন বেশী আলোচনা হচ্ছে। তবে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। বিগত নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনের আগের রাতে মাঠ ত্যাগ কলেও এবারের নির্বাচনে মাঠ ছাড়ার ইচ্ছে নেই বিএনপির। এছাড়া এবারের নির্বাচনে সাংসদ শামীম ওসমানও প্রার্থী হচ্ছে না। তবে তিনি প্রার্থী না হলেও নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করাবেন বলে একাধিকবার জানিয়েছেন। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বর্তমান মেয়র আইভী। তবে এবারের ভোটের হিসেবে ভিন্ন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র আইভীর মধ্যে প্রকাশ্যে দন্ধ শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন এখনো দূরে থাকলেও রাজনীতির ছক তৈরী করে এগিয়ে যাচ্ছেন শামীম ওসমান এবং সেলিনা হায়াত আইভি। আগেরবার দলের সমর্থন ছাড়াই নির্বাচিত হলেও মেয়র আইভি এবার নৌকা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনী লড়াইয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। আর নিজে প্রার্থী না হলেও আইভিকে নৌকা পেতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিছেন সাংসদ শামীম ওসমান। তবে আওয়ামী লীগ থেকে ক্লিন ইমেজের প্রার্থীও সন্ধান করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নামই সবচেয়ে বেশী শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে, বিএনপি সমর্থন কে পায় এ নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। দলের মধ্যে গুঞ্জন চলছে তৈমুর আলম খন্দকার ও সাবেক সাংসদ আবুল কালামকে নিয়ে। আলোচনা উঠে এসেছে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় আইনজীবী নেতা এড. শাখাওয়াত হোসেনও। তবে বিএনপির প্রার্থী কে হচ্ছে এ জন্য বিএনপির চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীকে। তবে আওয়ামী লীগের বিরোধকে পুঁজি করে বিএনপির এর সুফল ঘরে নিতে তৎপর রয়েছে। বিএনপি বিগত দিনের ভুল করতে চাচ্ছে না। নাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদেও পাশপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরা মাঠে সক্রিয় রয়েছে। নাসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছে কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থন পেতে অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী লবিং চালিয়ে যাচ্ছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে।

লন্ডনের পথে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এক আলোচনায় যোগ দিতে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে শনিবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে প্রতিনিধি দলটি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্য সদস্যরা হলেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

১৯ জুলাই এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, জঙ্গি হামলা, মানবাধিকারসহ চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করা হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

হাউস অব লর্ডসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনায় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলেরও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

গুলশান হামলার পরিকল্পনা দেশেই হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার


নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, গুলশান হামলার পরিকল্পনা দেশেই করা হয়েছে। হামলাকারী সবাই দেশি এবং তাদের রিক্রেুটমেন্ট ও প্রশিক্ষণও হয়েছে দেশে। তবে তাদের পেছনে আন্তর্জাতিক মদদ থাকার সন্দেহ পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না।

শনিবার দুপুরে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে রাজধানীর নিরাপত্তা বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।

গুলশান হামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার। তবে তদন্তের স্বার্থে তা এখনই প্রকাশ করা হচ্ছে না।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, পাঁচ-ছয়জন জঙ্গি মিলে গুলশান হামলার মতো এতো বড় ঘটনা ঘটাতে পারে না। এর পেছনে মদদ আছে। আন্তর্জাতিক মদদ থাকতে পারে। আমরা এই আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছি না।

তদন্তাধীন বিষয় প্রভাবিত হতে পারে বিবেচনায় তারা এখনই গুলশান হামলার তদন্তে অগ্রগতির বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করছেন না বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।

গুলশান হামলার নেপথ্যে থাকা কয়েকজন ভারতে গ্রেফতার হয়েছে- এ সংক্রান্ত সংবাদের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনও তথ্য নেই।

গত ১৩ জুলাই বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ড. জাফরুল্লাহ জাতীয় প্রেসক্লাবে গুলশান হামলা নিয়ে যেসব মন্তব্য করেন তার সমালোচনা করেন ডিএমপি কমিশনার। বনানী থানার ওসি হয়েও ওসি সালাহউদ্দিন কেন গুলশানে যান সেই প্রশ্ন করেন জাফরুল্লাহ। ওসি সালাহউদ্দিন ওই হামলায় নিহত হন। তার বিরুদ্ধে অনেককে ক্রসফায়ারের অভিযোগ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন জাফরুল্লাহ। আছাদুজ্জামান বলেন, জাতি তার (জাফরুল্লাহ’র) এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। আমিও ঘৃণা ভরে তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি।

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিদের হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২২ জন নিহত হন। ছয় হামলাকারী কমান্ডো অভিযানে মারা যায়।

সেই সেনাপ্রধানই দায়িত্ব ফিরে পেলেন 

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার ঘটনায় নিখোঁজ সেনাপ্রধান হুলুসি আকারকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট রেডিটের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উদ্ধারের পরপরই আবার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন হুলুসি। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এর আগে বলেছিলেন, দেশটির সেনাপ্রধান হুলুসি আকার কোথায় আছেন, কী অবস্থায় আছেন তা কেউ জানে না। একারণে জেনারেল উমিত দুনদারকে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে, তুরস্কের সামরিক বাহিনীর অন্যতম প্রধান অংশ এজিয়ান আর্মির কমান্ডার চিফ মেজর জেনারেল মেমদুহ হাকবিলেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে।

সেনাপ্রধান হুলুসি আকারের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছিল তিনি অভ্যুত্থানকারীদের হাতে বন্দি রয়েছেন। একারণেই তাৎক্ষণিকভাবে তার পরবর্তী পদমর্যাদার জেনারেল উমিত দুন্দারকে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।

সেনাবাহিনীর একাংশের ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত  ৬০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় আহত হয়েছে আরো এক হাজার মানুষ। এদের মধ্যে আট শতাধিক মানুষকে আঙ্কারায় এবং বাকি ২শ’জনকে ইস্তাম্বুলের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ৭৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই সেনাবাহিনীর সদস্য।

এর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশের ক্ষমতা দখলের দাবি করেছিল সেনাবাহিনী। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। বর্তমান সরকারকে হটিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের যে চেষ্টা চলছিল তা ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

অভ্যুত্থান ঘিরে গোলাগুলি, বিস্ফোরণের মধ্যেই ইস্তানবুলে জনতার উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি দাবি করেছেন অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে। দেশের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই রয়েছে।

তবে  হুলুসি আকারকে কোথায়, কিভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছিল বা তাকে কিভাবে উদ্ধার করা হলো সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।