১৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 263

আওয়ামী লীগ-যুবলীগ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১৪

রাজধানীর শাহআলী থানা এলাকায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার এ ঘটনায় ১৪ জন গুলিবিদ্ধসহ বেশকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আবারও যেকোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সংঘর্ষ লিপ্ত ও গুলিবিদ্ধ বেশিরভাগই মিরপুর বাংলা কলেঝের ছাত্রলীগের কর্মী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জামায়াতের ডাকা হরতালের বিরুদ্ধে মিছিল ও সমাবেশ শেষে শাহআলী থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মিরপুর ১ নম্বরের দিকে যাচ্ছিল। এসময় শাহআলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাশেম মোল্লার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ তাদের ওপর হামলা চালায়।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর যুবলীগের আশপাশ এলাকার নেতাকর্মীরা মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে জড়ো হয়ে কাশেম মোল্লার গুপের ওপর হামলা চালায়। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় কাশেম গ্রুপের লোকজন মফিজ গ্রুপের  নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে বাংলা কলেজের ছাত্রলীগের মনির, আলামিন ও জাকির গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, শাহআলী মার্কেটসহ আশপাশের দোকান পাট বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, মিরপুরের সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলাম ও সাবিনা আক্তার তুহিনের ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

উল্লেখ্য, ঘটনার সময় বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তাদের নিরব ভুমিকা পালন করেছেন বলে জানা গেছে।সূত্র-আমাদের সময়.কম

চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন: আ. লীগ-৪৫১, বিএনপি-৭৩, জাপা-৩, অন্যান্য-১৬২

নানা অনিয়ম ও সহিংসতার মধ্য দিয়ে শেষ হলো চতুর্থ ধাপের ৭০৯ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।  চতুর্থ ধাপে দেশের ৪৬ জেলার ৮৮ উপজেলার ৭০৩ ইউপিতে ভোট শেষে গণনা শনিবার মধ্যরাতেই শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে ৬৮৯টি ই্উপি নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল জানা গেছে।

আগের তিন ধাপের মতো ব্যাপক সহিংসতা, হানাহানি, কেন্দ্রদখলসহ নানা অনিয়মের মধ্যে অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা একচেটিয়া জয়ী হয়েছেন।

ভোটে জালিয়াতি ও অনিয়মের কারণে অন্তত ৫১টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে মোট কয়টি ইউপির ফল স্থগিত হবে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি ইসি। তৃণমূল পর্যায়ের এই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনের সর্বশেষ ৬৮৯ ইউনিয়নের প্রাপ্ত ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছে-

আওয়ামী লীগ (নৌকা) প্রার্থী: ৪৫১

বিএনপি (ধানের শীষ) প্রার্থী: ৭৩

জাতীয় পাটি (লাঙ্গল):  ৩

স্বতন্ত্র ও অন্যান্য: ১৬২

আগের তিন ধাপের ফল

প্রথম ধাপ

অনুষ্ঠিত নির্বাচন: ৭১২ ইউপি, আওয়ামী লীগ ৫৪২ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫৪), বিএনপি স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১০৭।

দ্বিতীয় ধাপ

অনুষ্ঠিত নির্বাচন: ৬৩৯ ইউপি (স্থগিত ১১), আওয়ামী লীগ ৪৪৮ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৪), বিএনপি ৬৩, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১০৫।

তৃতীয় ধাপ

অনুষ্ঠিত নির্বাচন: ৬১৫ ইউপি (স্থগিত ৬), আওয়ামী লীগ ৩৩৪ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮), বিএনপি ৬০, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১০৭।

বিভাগভিত্তিক ফল

ঢাকা

মুন্সীগঞ্জ (সদর ও টঙ্গিবাড়ি উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১৫ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৮, বিএনপি ২, স্বতন্ত্র ৪।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনীতে বিএনপির মোহাম্মদ তোতা মিয়া মুন্সী, পঞ্চসারে স্বতন্ত্র গোলাম মোস্তফা, রামপাল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র বাচ্চু মোল্লা, টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়লে আওয়ামী লীগের দীন ইসলাম, বালিগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের হাজী মোহাম্মদ দুলাল, ধীপুরে বিএনপির আক্তার হোসেন মোল্লা, দীঘিরপাড়ায় আওয়ামী লীগের আরিফ হাওলাদার, হাসাউল বানারীতে আওয়ামী লীগের আনোয়ার হাওলাদার, যশলংয়ে আওয়ামী লীগের আলমাছ জোতদার, কামারখাড়ায় আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন হাওলাদার, কাঠাদিয়া শিমুলিয়ান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নূর হোসেন ব্যাপারী; আবদুল্লাপুরে আওয়ামী লীগের আবদুর রহিম, আউটশাহীতে স্বতন্ত্র লিটন ঢালী, বেতকায় স্বতন্ত্র আলম শিকদার বাচ্চু, সোনারং টঙ্গিবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের লিটন মাঝি বিজয়ী হয়েছেন।

মানিকগঞ্জ (সাটুরিয়া উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ৭ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৭, বিএনপি ০, স্বতন্ত্র ০।

সাটুরিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)নির্বাচনে ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিতে বিজয়ী আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- বালিয়াটী ইউনিয়নে মো. রুহুল আমিন, সাটুরিয়া সদরে মো. আনোয়ার হোসেন পিন্টু, দরগ্রাম ইউনিয়নে মো. আলাউদ্দিন, হরগজ ইউনিয়নে মো. আনোয়ার হোসেন খান, বরাইদ ইউনিয়নে মো. হারুন অর রশিদ, তিল্লি ইউনিয়নে মো. আব্দুছ সালাম, ধানকোড়া ইউনিয়নে মো. আবুল কালাম আব্দুর রউফ, ফুকুরহাটি ইউনিয়নে মো. আফাজ উদ্দিন ও দিঘুলিয়া ইউনিয়নে মো. মতিয়ার রহমান।

টাঙ্গাইল (মধুপুর ও দেলদুয়ার উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১১ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৬, বিএনপি ২, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩।

মধুপুর উপজেলার আলোকদিয়ায় আওয়ামী লীগের আবু সাঈদ তালুকদার দুলাল, গোলাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের গোলাম মোস্তফা খান বাবলু, মির্জাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের ইউনিয়নে শাজাহান আলী তালুকদার; দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়ায় স্বতন্ত্র সাজ্জাদ হোসেন আজাদ, দেলদুয়ারে স্বতন্ত্র আবু তাহের বাবলু, দেওলীতে আওয়ামী লীগের দেওয়ান তাহমীনা হক, ডুবাইলে আওয়ামী লীগের ইলিয়াস হোসেন, এলাসিনে আওয়ামী লীগের বেলায়েত হোসেন তালুকদার, ফাজিলহাটিতে বিএনপির তোফাজ্জল হোসেন ও পাথরাইলে স্বতন্ত্র হানিফুজ্জামান লিটন, লাউহাটিতে বিএনপির রফিকুল ইসলাম ফিরোজ জিতেছেন।

কিশোরগঞ্জ (ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১৩ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৮, বিএনপি ০, স্বতন্ত্র ৩ (আ.লীগ বিদ্রোহী), স্থগিত ২।

চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. ফারুক মিয়া, শিবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলাম, শিমুলকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জুবায়ের আলম, গজারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী গোলাম সারোয়ার গোলাপ (প্রতীক-আনারস), শ্রীনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. আবু তাহের, সাদেকপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক, আগানগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোমতাজ উদ্দিন জয় লাভ করেছেন।

কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নিজাম কারী, গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুরে স্বতন্ত্র আব্বাস উদ্দিন, সালুয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ও ফরিদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহ আলম জয় লাভ করেছেন। এ উপজেলার রামদী ও ছয়সূতি ইউনিয়নের একটি করে কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এজন্য এ দু’টি ইউনিয়নের ফলাফলের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

চট্টগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া (আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১৫ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ১৪, বিএনপি ০, স্বতন্ত্র ১ (আ.লীগ বিদ্রোহী)।

বিজয়নগর উপজেলার আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিতরা হলেন- সিঙ্গারবিল ইউনিয়নে মো. মনিরুল ইসলাম, চম্পকনগরে মো. হামিদুর রহমান হামদু, পত্তন ইউনিয়নে মো. কামরুজ্জামান রতন, চরইসলামপুরে মো. দানা মিয়া ভূঁইয়া, বিষ্ণুপুরে জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, হরষপুরে সারওয়ার রহমান ভূঁইয়া, পাহাড়পুরে মো. আব্দুর রশিদ খন্দকার, চান্দুরায় এএম শামিউল হক চৌধুরী ও বুধন্তি ইউনিয়নে মো. জিতু মিয়া।এছাড়া ইছাপুরা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক বকুল নির্বাচিত হয়েছেন।

আখাউড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- ধরখার ইউনিয়নে বাছির মো. আরিফুল হক, মোগড়া ইউনিয়নে মো. মনির হোসেন, মনিয়ন্দ ইউনিয়নে মো. কামাল ভূঁইয়া, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নে আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া ও আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নে মো. জালাল উদ্দিন।

ফেনী (সদর ও ছাগনাইয়া উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ৭ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৬, বিএনপি ১, স্বতন্ত্র ০।

ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নে বিএনপির রবিউল হক মাহবুব জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া বাকি ছয়টিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন শুভপুর ইউনিয়নে আবদুল হাই সেলিম, মহামায়া ইউনিয়নে গরিব শাহ বাদশা, ঘোপাল ইউনিয়নে আজিজুল হক মানিক, সদর উপজেলার ফরহাদনগর ইউনিয়নে মোশারফ হোসেন টিপু, ধলিয়া ইউনিয়নে মুন্সি খায়রুল ইসলাম, লেমুয়া (সদর) ইউনিয়নে মোশারফ হোসেন নাছিম। এ ছাড়া ছাগলনাইয়ায় একজন এবং সদর উপজেলায় একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁরা দুজনই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।

লক্ষ্মীপুর (সদর ও রায়পুর উপজেলা)

সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ তাফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, টুমচর ইউনিয়নে সৈয়দ নুরুল আমিন। এ ছাড়া উত্তর হামছাদী ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন একই দলের এমরান হোসেন।

রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের শাহজাহান কামাল। এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বামনী ইউনিয়নে তাফাজ্জল হোসেন, রায়পুর ইউনিয়নে সফিউল আজম, চরপাতা ইউনিয়নে খোরশেদ আলম এবং দক্ষিণ চর আবাবিল ইউনিয়নে মো. নাসির উদ্দিন চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রাজশাহী

জয়পুরহাট ( ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ৭ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৬, বিএনপি ১, স্বতন্ত্র ০।

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেই আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। তারা হলেন- মাহমুদপুর ইউনিয়নে মশিউর রহমান শামিম ও আলমপুর ইউনিয়নে আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম।আক্কেলপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে রাইকালী ইউনিয়নে বিএনপি থেকে চেয়ারম্যান পদে শাহিনুর আলম শাহিন নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ইউনিয়নেই আ.লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। এরা হলেন- গোপীনাথপুরে আবু সাঈদ জোয়ার্দ্দার, সোনামুখিতে ডি এম রাহেল ইমাম ও তিলকপুরে সেলিম মাহমুদ সজল নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া রুকিন্দিপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আ.লীগ প্রার্থী এহসান কবীর বিপ্লব নির্বাচিত হন।

পাবনা (সুজানগর ও আটঘরিয়া উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১৫ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ১৫, বিএনপি ০, স্বতন্ত্র ০।

সুজানগর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে বে-সরকারিভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- ভায়না ইউনিয়নে আমিন উদ্দিন (নৌকা), সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নে শামসুল ইসলাম (নৌকা), মানিক হাট ইউনিয়নে আমিনুল ইসলাম (নৌকা), হাটখালী ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান (নৌকা), নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে মশিউর রহমান খান (নৌকা), সাগরকান্দি ইউনিয়নে শাহীন চৌধুরী (নৌকা), রানীনগর ইউনিয়নে তৌফিকুল আলম পিযুস (নৌকা), আহম্মদপুর ইউনিয়নে কামাল হোসেন (নৌকা), দুলাই ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম শাজাহান (নৌকা), তাঁতিবন্দ ইউনিয়নে আব্দুল মতিন মৃধা (নৌকা)।

আটঘরিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে বে-সরকারিভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন, একদন্ত ইউনিয়নে ইসমাইল হোসেন সরদার (নৌকা), দেবোত্তর ইউনিয়নে মুহাইমিন হোসেন চঞ্চল (নৌকা), চাঁদভা ইউনিয়নে ইঞ্জিনিয়ার কামাল হোসেন(নৌকা), মাঝপাড়া ইউনিয়নে আব্দুল গফুর মিয়া (নৌকা), লীপুর ইউনিয়নে শেখ আনোয়ার (নৌকা)।

খুলনা

মেহেরপুর (গাংনী উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ৯ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৪, বিএনপি ৪, স্বতন্ত্র ১ (আ.লীগ বিদ্রোহী)।

তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নে বিএনপির জাহাঙ্গীর আলম, কাজীপুর ইউনিয়নে বিএনপির রাহাতুল্ল্যা, বামুন্দী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শহিদুল ইসলাম, মটমুড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল আহমেদ, ষোলটাকা ইউনিয়নে বিএনপির মনোনীত মনিরুজ্জামান মনি, সাহারবাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের গোলাম ফারুক, ধানখোলা ইউনিয়নে বিএনপির আখেরুজ্জামান, রাইপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের গোলাম সাকলায়েন সেপু এবংকাথুলি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মিজানুর রহমান রানা নির্বাচিত হয়েছেন।

যশোর (ঝিকরগাছা উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত:১১ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৭, বিএনপি ২, স্বতন্ত্র ২ (আ.লীগ বিদ্রোহী)।

আওয়ামী লীগের বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- বাঁকড়া ইউনিয়নে নেছার উদ্দিন, হাজিরবাগে আতাউর রহমান, নির্বাসখোলায় নজরুল ইসলাম, নাভারণে শাহজাহান আলী, মাগুরায় আব্দুর রাজ্জাক, ঝিকরগাছায় আমির হোসেন ও পানিসারা ইউনিয়নে নওশের আলী। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- শিমুলিয়ায় শফিউদ্দিন ও গঙ্গানন্দপুরে বদরউদ্দিন বেল্টু। বিএনপি থেকে বিজয়ী হয়েছেন গদখালি ইউনিয়নে মিজানুর রহমান ও শংকরপুরে মোজাম্মেল হক।

রংপুর

কুড়িগ্রাম (সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১৮ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৩, বিএনপি ১৩, স্বতন্ত্র ২ (আ.লীগ বিদ্রোহী)।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আমান উদ্দিন   আহমেদ মঞ্জু , ওঘোগাদহ ইউনিয়নে শাহ আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। এছাড়া বিএনপি   থেকে   বেলগাছায়   বর্তমান   চেয়ারম্যান   মাহবুর   রহমান, মোগলবাসায়  নুরজামাল বাবলু, যাত্রাপুরে আইয়ুব আলী সরকার, পাঁচগাছিতে   দেলোয়ার   হোসেন,   ভোগডাঙ্গায়   বর্তমান   চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ও হলোখানায় বর্তমান চেয়ারম্যান উমর ফারুক ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র   প্রার্থী   নুরুজ্জামান বুলু  চশমা  প্রতীক নিয়ে   বিজয়ী   হয়েছেন।   এছাড়াও   রাজারহাট   সদরে এনামুল  হক,   বিদ্যানন্দে   তাইজুল   ইসলাম,   নাজিমখানে   আব্দুল   মালেক পাটোয়ারী,   উমর মজিদে   মোহাম্মদ   আলী   সরদার,   ঘড়িয়াল ডাঙ্গায় রবীন্দ্রনাথ কর্মকার ও চাকিরপশার ইউনিয়নে জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী মুসাদ্দের আলী সুমন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে, শিমুলবাড়ীতে আওয়ামী লীগের এজাহার আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং বড়ভিটা ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী খয়বর আলী মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন।

ময়মনসিংহ

জামালপুর(মাদারগঞ্জ,  বকশীগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১০ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৯, বিএনপি ০, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১।

মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটায় আ’লীগের আলতাবুর রহমান আতা, গুনারীতলায় আ’লীগের জয়নাল আবেদীন আয়না, কড়ইচড়ায় আ’লীগের মোজাম্মেল হক বাচ্চু, সিধুলীতে আ’লীগের মাহবুব আলম মিরন, বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচরে আ’লীগের সেলিম রেজা সিদ্দিক, ধানুয়া কামালপুরে স্বতন্ত্র মোস্তফা কামাল, মেরুরচরে আ’লীগের জাহিদুল ইসলাম জেহাদ, নীলক্ষিয়ায় আ’লীগের নজরুল ইসলাম সাত্তার, সাধুরপাড়ায় আ’লীগের মাহমুদুল আলম বাচ্চু এবং মেলান্দহ উপজেলার দুরমুতে আ’লীগের সৈয়দ খালেকুজ্জামান জুবেরী।

শেরপুর: (সদর ও ঝিনাইগাতী উপজেলা)

নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১০ ইউপি, নির্বাচন অনুষ্ঠিত: ১০ ইউপি, বিজয়ী: আওয়ামী লীগ ৯, বিএনপি ০, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১।

সদরের গাজীর খামারে আ’লীগের আওলাদুল ইসলাম আওলাদ, বাজিতখিলায় আ’লীগের আমির আলী সরকার, পাকুরিয়ায় আ’লীগের হায়দর আলী, ধলায় আ’লীগের রইস উদ্দিন টিক্কি, ভাতশালায় আ’লীগের রফিকুল ইসলাম, রৌহায় স্বতন্ত্র শফিকুল ইসলাম মিজু, ঝিনাইগাতী উপজেলার ঝিনাইগাতী সদরে স্বতন্ত্র মোফাজ্জল হোসেন চাঁন, কাংশায় আ’লীগের জহুরুল হক, ধানশাইলে আ’লীগের শফিকুল ইসলাম, নলকুড়ায় আ’লীগের আইয়ুব আলী ফর্সা, গৌরীপুরে আ’লীগের হাবিবুর রহমান মন্টু, হাতিবান্ধায় আ’লীগের নূরল আমিন দোলা এবং মালিঝিকান্দায় স্বতন্ত্র নূরুল ইসলাম তোতা। সূত্র-আমাদের সময়.কম

সিদ্ধিরগঞ্জে সন্ত্রাসী হাকিম গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে হাজী ইয়াছিনের সক্রিয় সহযোগী সেই ১০ সন্ত্রাসীর এক সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজ ও মাদক পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা হাকিম ওরফে কালা হাকিম (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার (৩ মে) দিবাগত ভোর রাতে মিজমিজি আবদুল আলীপুল এলাকা থেকে এস আই ওমর ফারুক তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত হাকিম দূধর্ষ অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী দলের প্রধান ও মাদারীপুর জেলার মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে। সে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার ক্যাডার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ও অস্ত্র ভান্ডারের নিয়ন্ত্রণকারী এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে ধনুহাজী রোডের মাথার আক্তার ফার্নিচারের মালিক ও সিদ্ধিরগঞ্জের মাদকের ডিলার আক্তারের অন্যতম ব্যবসায়ী পার্টনার । পুলিশ হাকিমকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মু: সরাফাত উল্লাহ জানান, হাকিম এক জন চাঁদাবাজ, অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। সে সাহেবপাড়া,কান্দাপাড়া, মিজমিজি, মৌচাক ,ধনুহাজী রোড ও পাইনাদী এলাকায় চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি সাহেবপাড়া এলাকায় হুমায়ুন কবির নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। না দিলে তাকে মারধর করে। ওই ঘটনায় ব্যবসায়ী হুমায়ন কবির একটি চাঁদাবাজির মামলা করে। যানং ২৩। সে ঐ মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী। এ মালায় অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ওই চাঁদাবজির মামলায় তাকে গ্রেফতার করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে দেওয়া হবেনা। সে যেকোন দল বা ভাইয়ের লোক হউক। একটি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক মুক্ত সিদ্ধিরগঞ্জ উপহার দিতে সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
একটি সূত্র মতে জানা যায়, গত ২ মাস আগে মাদারীপুর জেলা ডিবি পুলিশের হাতে মাদকসহ গ্রেফতার হয় হাজী ইয়াছিনের ৫ ক্যাডার ইয়াছিন আরাফাত রাসেল, রোকন মিয়া, লিটন, মনির ও হাকিম। পরে মাদারীপুর জেলা ডিবির একটি টিম অস্ত্র উদ্ধারে সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি ইয়াছিন বাহিনীর ক্যাডার রাসেলের বাড়িতে অভিযান চালায়। ডিবি পুলিশের অভিযানের আগেই রাসেলের বাড়ি থেকে অস্ত্র অন্য জায়গায় সরিয়ে পেলে আনোয়ার । এদিকে ইয়াছিন হাজীর সেনাপতি ক্যাডার বাহিনীর প্রধান আনোয়ার হোসেন আশিক মাদারীপুর গিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইয়াছিন আরাফাত রাসেল, রোকন মিয়া, লিটন, মনির নামের ৪ ক্যাডারকে ৩৪ ধারায় চালান দিয়ে আদালত থেকে ছাড়িয়ে আনে। কিন্তু হাকিমকে ডিবি পুলিশ মামলা দিয়ে চালান দেয়। ১৫ দিন জেল খেটে জামিন নিয়ে আবার সিদ্ধিরগঞ্জে এসে ইয়াছিন হাজীর ক্যাডার বাহিনীতে যোগদেয়। এবং ১১এপ্রিল সাহেব পাড়া ব্যবসায়ী হুমায়নের বাড়িতে চাঁদার দাবিতে হামলা করে। এছাড়াও গত ১ মে সন্ধ্যায় হাকিম চক্রের শাহরিয়ার রহমান রাব্বিকে পুলিশ ৫‘শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করে।হাকিমের কর্মচারী জনি ওই ইয়াবাগুলো রাব্বিকে দিয়েছিল বলে জানা গেছে। অপরদিকে একই রাত ৭ টায় এসআই আবুল কালাম আজাদ মিজমিজি ধনুহাজী রোড এলাকা থেকে হাকিমের কর্মচারী ইয়াবা সরবরাহকারী জনিকে একটি চুরির মামলায় গ্রেফতার করেছে। জনি ওই এলাকার কালু মিয়ার ছেলে। হাকিমের এক ভাই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রবাজি করার কারনে মাদারীপুর জেলা পুলিশের সাথে ক্রসফায়ারে মারা যায়। এ ঘটনার পর থেকে হাকিম পালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে এসে মৌচাক এলাকার একটি মটরসাইকেল গ্যারেজ দিয়ে ধনুহাজী রোডের আক্তার ফার্নিচারের মালিক শীর্ষ মাদকের ডিলার আক্তারের সাথে সিন্ডিকেট করে মাদক পাচার ও ছিনতাইকারী বাহিনী গড়ে তুলে। সে ব্যবসার অন্তরালে অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করতো বীরদর্পে। পরে আনোয়ার হোসেন আশিকের সাথে পরিচয় হয়ে হাজী ইয়াছিন মিয়ার ক্যাডার বাহিনীতে যোগ দেয় এবং অস্ত্র ভান্ডারের নিয়ন্ত্রণকারী হয়ে যায়।

অস্ত্র নিয়ে ভোট চাচ্ছেন আ.লীগ প্রার্থীর লোকজন

নির্বাচনের আগে লাইসেন্স করা সব ধরনের অস্ত্র জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানেন নি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. সোহাগ।

আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন প্রকাশ্যে তাদের লাইসেন্স করা শটগান ও পিস্তল নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন এবং নৌকা বাদে অন্য কোথাও ভোট না দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার দুপুরে ওই ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রার্থীর পাশে সারাক্ষণ শটগান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন সাদা পাঞ্জাবী পরিহিত এক লোক।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে শটগান ছাড়াও তার লোকজনের কাছে পিস্তলসহ বিভিন্ন অস্ত্র রয়েছে। যা নিয়ে তারা প্রকাশ্যে ঘুরছেন এবং ভোটারদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ভোটের মাঠে নামার কারণে সাধারণ ভোটারসহ অন্যদলের প্রার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।

এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সোহাগ বলেন, আমার নির্বাচনী প্রচারণা কয়েকজন আত্মীয় স্বজন এসেছেন। তাদের একটি শটগান ও পিস্তল রয়েছে। তবে সেগুলো লাইসেন্স করা। নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই অস্ত্রগুলো তারা সঙ্গে রেখেছে। তবে অস্ত্র নিয়ে কাউকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার ফারহাত আহম্মেদ জানান, এমন অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, অস্ত্র জমা নেয়ার ব্যাপারে আমরা এখনো কোনো নিদের্শনা পাইনি।

জেলা প্রশাসক মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, নির্বাচনী আচরণ বিধিতে নির্বাচনী এলাকায় অস্ত্র নিয়ে ঘুরা ফেরা নিষেধ। কোনো প্রার্থী যদি তা লক্সঘন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্র- আমাদের সময়.কম

জয়ের বিরুদ্ধে ডলার পাচারের অভিযোগ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের দায়িত্ব জয়ের, খালেদা জিয়ার নয় : রিজভী

প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ পাচারের যে অভিযোগ উঠেছে তা অসত্য প্রমাণ করার দায়িত্ব জয়ের, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার বেলা সোয়া ১১টারদিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

‘ব্যবসা করতে নয়, জনগণের কল্যাণ করতে এসেছি,- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী আহমেদ বলেন, তিনি ঠিকই বলেছেন, সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে তিনি দেশের বারোটা বাজিয়ে জয়ের কল্যাণ করতেই অধিকতর সময় ব্যয় করছেন। কারণ দেশের মানুষ এখনও শেয়ার বাজার লুটের টাকার হদিস পায়নি, দেশের ব্যাংকগুলোর লুটের টাকার সন্ধান পায়নি। রাজকোষের রিজার্ভের চুরি হওয়া টাকা কিভাবে পাচার হলো তা কিন্তু জনগণের জানতে বাকি নেই।

প্রধানমন্ত্রীর গুণধর পুত্রের গুণকীর্তন দেশে বিদেশে যেভাবে প্রচার হচ্ছে তাতে মনে হয় আওয়ামী তরী আর বেশিদিন পানিতে ভাসিয়ে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শিরপীড়া এখন জয়কে নিয়ে। জয়ের অপকীর্তি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। আর প্রধানমন্ত্রী যখন কোনো কিছু সামাল দিতে পারেন না তখন অত্যাচার হুমকি উৎপীড়নের পথ ধরে বিরোধী পক্ষের ওপর ক্রমাগত বিষাক্ত আক্রমণ চালাতে থাকেন।

রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়া মে দিবসের জনসভায় আমেরিকান আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের ব্যাংক একাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের হদিস মিলেছে। গতকাল কুমিল্লা আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আওয়ামী অনুরাগী এক ভূইফোঁড় সংগঠনের নেতা কোটি টাকার মানহানির মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে- এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘দেখা গেছে, সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটি একাউন্টেই তিনশো মিলিয়ন ডলার তথা পঁচিশ শো কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এটি সন্দেহজনক লেনদেন। এই টাকার উৎস কী তা খালেদা জিয়া জানতে চেয়েছেন। এই ঘটনা শুধু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াই নয়, বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মানুষের মনে প্রশ্ন-জয়ের এই টাকার উৎস কী ?

বিএনপির এই নেতা বলেন, জয়ের একাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ যদি বৈধ হয় তাহলে তা জনসম্মুখে উপস্থাপন করতে সমস্যা না থাকারই কথা।

‘বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্যের পর শেখ হাসিনা তনয় যে বক্তব্য পেশ করেছেন তা এতটাই দুর্বিনীত, রুচি ও শিষ্টাচার বহির্ভূত যে তাতে রহস্য আরো বেশি ঘণীভূত হয়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, চুরির মালের কথা প্রকাশ হয়ে যাওয়াতে জয় সাহেব অস্থির হয়ে পড়েছেন।’

জয় যদি কখনো রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে পায়, তাহলে সজ্জন ভদ্রলোকদের দেশে বাস করাই কঠিন হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত পরশু জয় তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সম্পর্কে অশোভন ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত মন্তব্য করেছেন। অবৈধ সরকার প্রধানের পুত্র যখন একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের বিরুদ্ধে অশোভন কথা বলেন তখন মানুষ হতবাক হয়ে যায়, তার পারিবারিক সংস্কৃতি নিয়ে বড়ধরনের প্রশ্ন চলে আসে। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সম্বোধন করাও তিনি শেখেননি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,  খায়রুল কবির খোকন, হারুন উর রশিদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, তাইফুল ইসলাম টিপু,  পিরোজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিনা সুলতানা নিশিতা প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ)

গাড়িতে আলগা স্টিকার নয়: ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া

প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট স্টিকার বাদে গাড়িতে আলগা কোনো স্টিকার লাগানো যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
বুধবার সকালে ডিএমপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, অপরাধীরা সংবাদপত্রের, পুলিশের এবং অ্যাডভোকেটের আলগা স্টিকার ব্যবহার করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। তারা আলগা স্টিকার ব্যবহার করছেন, সেটি করা যাবে না। যারা প্রকৃত সাংবাদিক তাদের প্রতিষ্ঠানের লোগোযুক্ত-স্টিকার ব্যবহার করতে হবে।
এছাড়া রাজধানী ঢাকায় গাড়িতে বেআইনিভাবে হাইড্রোলিক হর্ন যারা ব্যবহার করছেন তাদের সেটি খুলে ফেলতে হবে। নয়তো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ডিএমপি কমিশনার।

মেরাজের রাতে রাসুল (সা.) কী উপহার পেয়েছিলেন?

ঐতিহাসিকদের ভাষ্য মতেÑ ৬২০ খ্রিস্টাব্দে রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে হজরত রাসুলুল্লাহ সা. আল্লাহ তায়ালার বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কাবা শরিফ থেকে বায়তুল মোকাদ্দাস গমন করেন। সেখানে উপস্থিত নবীদের নামাজের ইমামতি করে তিনি ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন এবং সিদরাতুল মুনতাহায় উপস্থিত হন। সেখান থেকে বিশেষ বাহনে চড়ে আরশে আজিমে গিয়ে আল্লাহ তায়ালার সাক্ষাৎ ও সান্নিধ্য লাভ করেন। এ ঘটনাকে মেরাজ বলা হয়। মেরাজে হজরত রাসুলুল্লাহ সা. জান্নাত, জাহান্নামসহ সৃষ্টিজগতের সবকিছুর রহস্য প্রত্যক্ষ করেন।

মেরাজের রাতে আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে নবীজি  সা. উম্মতের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশসহ ইসলামি সমাজ পরিচালনার বিধিবিধান নিয়ে আসেন। পবিত্র কোরআনে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। নামাজ ইসলামের পাঁচ রুকনের অন্যতম একটি। যেহেতু মেরাজের রাতে মুসলমানদের নামাজের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, এ জন্য নামাজকে ‘মুমিনের মেরাজ’ বলে অভিহিত করা হয়।

মুসলিম শরিফে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. এর বর্ণনায় তিনটি উপহারের কথা উল্লেখ আছেÑ

পাঁচওয়াক্ত নামাজ, ২. সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, ৩. আল্লাহর সঙ্গে শিরক না করলে অন্যান্য গোনাহ মাফ হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কিত ঘোষণা।

মুসলিম শরিফে মেরাজের বিশদ বিবরণ সংবলিত আল বুনানির বর্ণনায় আরেকটি উপহারের উল্লেখ আছে এভাবেÑ যে ব্যক্তি কোনো সৎকর্ম করার মনস্থ করবে, তা বাস্তবায়ন করার আগেই তার জন্য একটি সওয়াব লিখে দেওয়া হবে। আর সে সংকল্প বাস্তবায়ন করলে দেওয়া হবে দশ গুণ সওয়াব। আর যে ব্যক্তি কোনো মন্দ কাজ করার মনস্থ করবে, যতক্ষণ সে কাজটি না করবে ততক্ষণ তার জন্য কোনো গোনাহ লেখা হবে না। যদি সে কাজটি করে বসে, তবে তার জন্য একটি গোনাহ লেখা হবে।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়েছে মেরাজের রাতে। এর প্রক্রিয়া ছিল বেশ চমৎকার ও গভীর তাৎপর্যময়। উম্মত দৈনিক পঞ্চাশ বার আল্লাহর সমীপে হাজির হতে পারবে, এই উপহার নিয়ে নবীজি খুশিমনে চলে আসছিলেন আরশ হতে। ষষ্ঠ আসমানে হজরত মুসা আ. পথ আগলে জিজ্ঞেস করলেন, কী পেলেন, কী নিয়ে যাচ্ছেন? নবীজি বললেন, দৈনিক ৫০ ওয়াক্ত নামাজ। হজরত মুসা আ. বললেন, আপনি গিয়ে সংখ্যা কমিয়ে নিন, দৈনিক পঞ্চাশ বেলা নামাজ আদায় করতে পারবে না আপনার উম্মত। মহানবী ফিরে গেলেন আল্লাহর কাছে। বলা হলো, তাহলে পয়তাল্লিশবার। ফিরে আসতে হজরত মুসা আ. আবারও জিজ্ঞেস করলেন। হজরত সা. বললেন, পয়তাল্লিশবার পেয়েছি। তিনি বুঝিয়ে বললেন, আমি বনি ইসরাইলকে নিয়ে অনেক চেষ্টা করেছি, পারিনি। আপনিও পারবেন না, ফিরে যান, কমিয়ে আনুন। এভাবে প্রতিবারে ৫ ওয়াক্ত করে কমানো হলো নামাজ। হজরত মুসা আ. এবারও ফিরে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিলেন। নবীজি বললেন, আমার আর যেতে লজ্জা লাগে। তখন গায়েবিভাবে ঘোষণা আসে, যারা এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে তাদেরকে পঞ্চাশ ওয়াক্তের সওয়াব দেওয়া হবে।

নামাজের মানসিক, নৈতিক, সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত সুফলগুলো বাড়তি পাওনা মাত্র। মেরাজে নাজিলকৃত সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের মহিমাও অপরিসীম। হাদিসে বলা হয়েছেÑ এ হচ্ছে আল্লাহর আরশের নিচের দুটি ভা-ার। প্রথম আয়াতে সব নবী-রাসুলদের আ. প্রতি বিশ্বাস ও সম্মানবোধের সূত্রে বিশ্বসভ্যতার সঙ্গে একাত্মতা আর শেষ আয়াতে মহামহিম আল্লাহর কাছে সমর্পিত ও সমাহিত হওয়ার ঘোষণা।

সৎকর্ম সম্পাদনের আগেই শুধু ভালো চিন্তার বিনিময়ে একটি করে সওয়াব দেওয়ার ঘোষণা উম্মতের জন্য সর্বোচ্চ উপহার। আসলে চিন্তাই মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে। যে জাতির প্রতিটি সদস্য সৎ ও ভালো চিন্তায় অভ্যস্ত হবে, সে জাতির উন্নতি কেউ ঠেকাতে পারবে না।

মেরাজের আলোচ্য উপহার আমাদেরকে সেই উন্নতির পথে, আল্লাহর সান্নিধ্যের পানে, পৃথিবীতে আল্লাহর খলিফার দায়িত্ব পালনের চেতনায় উজ্জীবিত করুক। আমিন।

পাহাড়ে পাকিস্তানি আইএসআই এখনও সক্রিয় : এইচ টি ইমাম

পাহাড়ে এখনও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই অ্যাক্টিভ আছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। তিনি বলেন, আইএসআই ১৯৬৯ সালে পাহাড়ে হান্টিং গ্রাউন্ড স্থাপন করে পাহাড়ি মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থা নেয়। এরপর প্রায় চার যুগ অতিক্রম করলেও কাজের ধরণ পরিবর্তন করে আজও তারা পাহাড়ে বিভেদ সৃষ্টি করে চলেছে।

বুধবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনে বিআইআইএসএস আয়োজিত ‘জাতীয় উন্নয়নে ক্ষুদ্র যথাযথ সম্পৃক্তিকরণের ক্ষেত্র তৈরিতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, প্রফেনর ড. মেজবা কামাল, মেজর জেনারেল (অব) আব্দুর রশিদ, মেজর জেনারেল (অব) আ. রহমান প্রমুখ।

এইচ টি ইমাম বলেন, কাপ্তাই হাইড্রোলিক পাওয়ার পাম্প প্রতিষ্ঠা করার সময় পাহাড়ী মানুষ তাদের বিরোধিতা করেন। ওই কাপ্তাই হ্রদের ৪৭০ বর্গকিলোমিটার এলাকার বিপুল সংখ্যাক মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে যায়। তলিয়ে যায় জনপদ, জীবন-জীবিকা, আবাদী জমি এবং মনুষ্যত্ব। এই সব প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করার জন্য আইএসআই- আর্মি পাহাড়িদের বিরুদ্ধে অ্যাক্টিভ ছিল। উদ্বাস্তু এই সব মানুষ শেষ পর্যন্ত ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা-পূর্ব আইএসআই পাহাড়িদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতো। এখন আইএসআই অপতৎপরতার ধরণ বদলেছে। তারা পাহাড়িতে বিভেদ সৃষ্টি, পাহাড়ি-বাঙালি দ্বন্দ্ব তৈরি এবং স্থানীয় রাজনীতিকদের প্রভাবিত করে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় কর্য়া। স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকা-কে উৎসাহিত করে। এ জন্য তারা প্রশিক্ষণদেয়, অর্থ ব্যয় করে। সরকারি কর্মকর্তা, বনরক্ষীসহ বিভিন্ন মাধ্যমে খবর আসে।

পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা দেশের বাইরেও আত্মপরিচয়সহ নানা অজুহাতে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ কারণে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন নামে, পরিচয়ে পাহাড়িদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত তৈরি করে। সূত্র-আমাদের সময়.কম

বাবার গুনাবলী পায়নি জয় : রিজভী আহমেদ

সজীব ওয়াজেদ জয় তার বাবার গুনাবলী পায়নি। তার আচার আচরণের মধ্যে সংস্কৃতির ঘাটতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। খালেদা জিয়া সম্পর্কে জয়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে আমাদের অর্থনীতির কার্যালয়ে নিয়মিত বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, শফিক রেহমানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে সরকার বিএনপিকে ভয় দেখাতে চায়। ৮২ বছর বয়সের শফিক রেহমানকে ছাড়ি নাই এতএব তোমরা সাবধান হও। এই ম্যাসেজটাই সরকার দিতে চেয়েছে। আর এটা দিয়েই গণতন্ত্রকে হরণ করেছে সরকার।

ফেসবুক স্ট্যাটাস সজীব ওয়াজেদ জয় গতকাল রোববার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে খালেদা জিয়ার প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘ম্যাডাম, আপনি যদি জানেন যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার কোথায়, অনুগ্রহ করে আমাকে জানান। আমি সেই সমস্ত অর্থ এতিমদের দান করে দিতে চাই।’

গতকালের স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় উল্লেখ করেন, ‘একজন মহিলা যিনি এতিমের টাকা চুরি করেছেন, যার ছেলে দুর্নীতির কারণে এফবি আই কর্তৃক পলাতক আসামি, তার মতো লোকের অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রের দিকে কাদা ছোড়া উচিত নয়।’ স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম, আপনি যদি জানেন যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার কোথায়, অনুগ্রহ করে আমাকে জানান। আমি সেই সমস্ত অর্থ এতিমদের দান করে দিতে চাই।’

গত শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাংক হিসাবে আড়াই হাজার কোটি টাকা (তিন’শ মিলিয়ন ডলার) জমা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে একটি মামলার নথিতে এটি আছে বলেও দাবি করেন খালেদা জিয়া।

সজীব ওয়াজেদ জয় আরও বলেন, ‘আপনার পোষা ভৃত্য মাহমুদুর রহমান এবং শফিক রেহমান এফবি আই এর গোপন নথি চুরি করে আমার সব ব্যাংক হিসাবের তালিকা পেয়েছে, কিন্তু সেই টাকা খুঁজে পায়নি। ১/১১ এর সামরিক শাসকেরা যারা আমার মাকে আটক করেছিল তারাও সেটি খুঁজে পায়নি। এমনকি এফবিআই সেটি পায়নি। এটা এ জন্য যে, আমি ৩০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছিও কোনো সম্পদ কোনো দিন অর্জন করিনি। আমি তত ধনী নই।’ সূত্র-আমাদের সময়.কম

নীলফামারীতে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার

নীলফামারীর ডোমারে পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ শিশু আর্নিকা আক্তারের (৯) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে রংপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরীর দল।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের উত্তর হরিনচড়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আজহারুল ইসলামের পুকুর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

আর্নিকা ডোমার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড ভাটিয়াপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের মেয়ে এবং ছোটরাউতা জলপাখুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

জানা যায়, দুপুরে আর্নিকাসহ দুইজন পুকুরে মাছ ধরতে আসে। এরপর সে আর বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোজাখুঁজি করে না পেয়ে পুকুরে পড়তে পারে ভেবে ডোমার ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

ডোমার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ভূপেন্দ্র নাথ বর্মন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীর দলের সহযোগীতায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।সূত্র-জাস্ট নিউজ