নিউজ প্রতিদিন ডট নেট: নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকার এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী ওরফে জৌনপুরী পীরের বিরুদ্ধে রেলওয়ের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবের শ্যুটিং সম্পাদক ইমরুল কায়েসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে তাহরিক খাতমে নবুওয়্যাত বাংলাদেশ ।
রোববার (১৮ আগষ্ট) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে তাহরিক খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উপদেষ্টা হযরত মাওলানা আব্দুর রশিদ হারুনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, জামিয়াতুস শাবাব ও কারামত আলী জৌনপুরী (রহ) ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাওলানা মাসউদুর রহমান বিক্রামপুরী, মাওলানা জালাল উদ্দিন মাজহারী, মুফতি আহমাদ হাসান, যুক্তিবাদী এ বি এম শরীফুল ইসলাম, মাওলানা মারুফ বিল্লাহ আশেকী ও জি এস শাহীন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র কোরানের মুফাছিরের আওয়াজকে বন্ধ করে দিতে চায়। এর জন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। নারায়ণগঞ্জের চিহ্নিত সন্ত্রাসী জামাত শিবিরের অর্থ যোগানদাতা মাদক ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস কুখ্যাত কাফের কাদিয়ানীদের ইন্ধনে ও ইসলামী অপশক্তির সাথে হাত মিলিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ পাঠানটুলীর ঐতিহ্যবাহী আব্বসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার এবং মসজিদ মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের আলেম সমাজ যখন সরকারের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে এবং দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে দেশে পরিচালনা করেছে।
ইমরুল গংরা দেশের আলেম সমাজকে সরকারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দেশের আলেম সমাজকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য দেশের বিশিষ্ট আলেম জৌনপুরী পীর ড. মুফতি এনায়তুল্লাহ আব্বাসী ও তার মসজিদ মাদ্রসার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলা করে নারায়ণগঞ্জের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত কারায় পাঁয়তারা করেছে। এনায়াতুল্লাহ আব্বাসী বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করলে ইমরুলগংদের ছাড় দিবে না তওহিদের জনতা।
এ বিষয়ে ইমরুল কায়েস বলেন, আমি নিশ্চিত যারা এখানে উপস্থিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন উসকানিমূলক কথা বলেছেন তারা আমাকে কখনোই দেখেননি, চিনেওনা। তারা কেন আমাকে টার্গট করে বক্তব্য দিলো তা আমার বোধগম্য হচ্ছেনা।
এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে আমি কোনো মামলা দায়ের করি নাই। তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জের পানিরকল এলাকার একটি গার্মেন্টে হামলার অভিযোগে ওই গার্মেন্টের কর্মকর্তা বাদি হয়ে মামলা করেছেন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি দখলের অভিযোগে রেলওয়ের কানুনগো বাদি হয়ে ওই পীরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে শুনেছি।
সরকারী সম্পত্তি দখলের অভিযোগে সরকারী কর্মকর্তা মামলা করেছেন, সেখানে আমাকে জড়ানো উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মনে করছি। আমি এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।