৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 102

ফতুল্লার কিল্লারপুলের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ফেন্সী মহিউদ্দিন গ্রেফতার

ফতুল্লা প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার কিল্লারপুল একালার তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক বিক্রেতা নুপুরের স্বামী মহিউদ্দিন ওরুফে ফেন্সী মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল ফতুল্লা মডেল থানার একটি মামলার ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রক্তিম।

জানা গেছে,ফেন্সী মহিউদ্দিন ও তার স্ত্রী নুপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে মাদক ও দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। ইতিপূর্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সারাশি অভিযানে উক্ত মাদক বিক্রেতা স্বামী ও স্ত্রী একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে কারাবাস করেছে। ওই স্বামী-স্ত্রীর নামে প্রায় ৪/৫ টি মাদকের মামলা রয়েছে। পাশপাশি জেলার বিভিন্ন থানায় তাদের নামে বেনামে নানা অপরাধে আরও মামলাসহ অভিযোগও রয়েছে বলে জানায় ।

স্থানীয়দের দাবী,শুধু মহিউদ্দিনকে নয় তার স্ত্রী নুপুরকেও গ্রেফতার করা হোক। এরা দুজন মিলে নারায়ণগঞ্জ শহরকে কুলষিত করছে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রক্তিম জানান,গতকাল ধৃত মহিউদ্দিনকে কিল্লারপুল এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার হয়।

নিউজ সক্রান্ত বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে অসদাচারন করার অভিযোগে আমরা মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করি। আমরা জানতে পারি তার নামে মাদকসহ বেশ কয়েকটি বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। পাশাপাশি ফতুল্লা মডেল থানার একটি মামলায় তিনি পলাতক ছিলেন। ওই পলাতক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরন করি।

এলাকাবাসী সবাই এ গ্রেফতারে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ প্রশাসনকে সাধুবাদ জানান ও মাদকের ভয়াবহতা থেকে সমাজকে রক্ষার জন্য অনান্য মাদকবিক্রেতা সহ তাদের সহযোগিতদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান।

ফতুল্লায় ২৫ ইটভাটাকে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা

অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ২৫টি ইটভাটাকে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় মাত্রাতিরিক্ত ডাস্ট ও কালোধোঁয়া নির্গত করে পরিবেশ দূষণ এবং অনুমোদন না থাকায় আদর্শ ইটভাটা নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ভেকু দিয়ে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ।

এসময় নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক নয়ন মিয়া ও র‌্যাব-১১ এর এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

জরিমানা করা ইটভাটাগুলো হলো- বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং,চিশতিয়া সাবেরিয়া ব্রিকস, আরবিএম এন্টারপ্রাইজ,সালাহউদ্দিন অ্যান্ড সন্স, বিসমিল্লাহ ব্রিকস,নাসিরউদ্দিন অ্যান্ড সন্স,নিউ আদর্শ ব্রিকস,সান ব্রিকস,আজাদ এন্টারপ্রাইজ,এসইউএ ব্রিকস,নবীন ব্রিকস,জাফর ব্রিকস,মা ব্রিকস ফিন্ড, মা আবেদুন নেসা ব্রিকস,ন্যাশনাল ব্রিকস,মেসার্স সালাহউদ্দিন ব্রিকস,নিউ ব্রিকস-২,নজরুল ব্রিকস, আব্দুল্লাহ ব্রিকস,তোহা ব্রিকস,আহম্মেদ ব্রিকস,এমএ ব্রিকস,বক্তাবলী ব্রিকস,জ্যোতি এন্টারপ্রাইজ ও খাদিজা ব্রিকস।

নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক নয়ন মিয়া জানান,নিয়ম না মেনে ইটভাটা পরিচালনা করায় ২৫টি ইটভাটাকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি ইটভাটার ইট, পানি ও ভেকু দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

নয়ন মিয়া আরোজানান,নারায়ণগঞ্জের সাড়ে তিনশ ইটভাটার মধ্যে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫টি ইটভাটা নিয়ম মেনে চলছে। আর,১২৮ টি ইটভাটা আদালতে রিট করে পরিচালনা করছে। এছাড়া বাকী সব ইটভাটাই অবৈধভাবে চলছে। অবৈধভাবে চলা সকল ইটভাটার বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালিত হবে।

ফতুল্লায় ট্রাকচাপায় একজন নিহত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ট্রাকচাপায় রুহুল আমিন (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। 

সোমবার বেলা ১১টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রুহুল কিশোরগঞ্জ জেলার নিখলী থানার জালালপুর গ্রামের আ. হাইয়ের ছেলে। তিনি ফতুল্লার ঢালীপাড়া এলাকার আবেদ আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে ধর্মগঞ্জে ইসলামিয়া এন্টারপ্রাইজে কয়লা লোড-আনলোডের কাজ করেন। 

জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ট্রাকচাপায় ঘটনাস্থলেই রুহুল আমিন মারা যান। 

এ ঘটনায় স্থানীয়রা ট্রাক ও ট্রাকের হেলপারকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। ঘটনার পর পরই চালক পালিয়ে যান।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হবে

সিদ্দিরগঞ্জে ইয়াবাসহ জিকু গ্রেফতার

সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৮৮ পিছ ইয়াবাসহ জিকু (৩২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। ৯ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জয়নাল পাঠানটুলী ওয়াটার ওয়ার্কস রোড এলাকায় একটি ভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জিকু সদর থানার খানপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

এলাকাবাসী জানান,জিকু নিজেকে কখনও সাংবাদিক, কখনও রাজনৈতিক নেতা,কখনও পুলিশের পরিচয়ে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড করে থাকে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার অভিযোগে জিকুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ডিশ ব্যবসায়ী হিরো আলম কারাগারে

ডিশ ব্যবসায়ী থেকে তারকা বনে যাওয়া বগুড়ার সেই আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার হন হিরো আলম।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করলে বিচারক আহমেদ শাহরিয়ার তারিক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সদর থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকা হিরো আলম বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে শ্বশুরের করা মামলাটি সাজানো ও ভিত্তিহীন। তাঁর দাবি, তিনি পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের শিকার।

হিরো আলম বলেন, আমি সত্য বলতে কখনো ভয় পাই না আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে দ্বিধা করি না। অনেক আগে থেকেই ডিশের ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল আমার শ্বশুর পক্ষের লোকজন।

সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে যৌতুকের মিথ্যে অভিযোগ তুলে, স্ত্রীকে নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে আমাকে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়েছে।

তা ছাড়া বিগত নির্বাচনে প্রশাসনের অনিয়ম আর ভোট চুরির প্রতিবাদ করেছিলাম। বড় বড় কর্তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম। আমাকে মামলায় ফাঁসানোর নেপথ্যে এসব বিষয়ও কাজ করেছে।

হিরো আলম বলেন, ‘আমি সিনেমা ও মডেলিং করি। অধিকাংশ সময় বাইরে থাকতে হয়। আমার ডিশের ব্যবসার আয়-উপার্জন সবকিছুই স্ত্রী সাদিয়া বেগম ওরফে সুমিকে (২৪) ছেড়ে দিয়ে রেখেছিলাম। কোনো যৌতুক চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।

উল্টো আমার অবর্তমানে অন্যের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এর প্রতিবাদ করায় স্ত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার বাড়িতে হামলা করে। টাকা পয়সা লুট করে। ভাঙচুর করে। আমাকে মারধর করে।

ঘটনার পরপরই আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করি। পরদিন পুলিশ সালিসের নামে থানায় ডেকেছে, আমি ন্যায় বিচারের আশায় পুলিশের ডাকে বৃহস্পতিবার রাতে স্বেচ্ছায় থানায় এসেছি।

অথচ আমার কথা পাত্তা না দিয়ে অদৃশ্য শক্তির চাপে শ্বশুরের সাজানো অভিযোগটা মামলা হিসেবে রেকর্ড করে আমাকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। পুলিশ দুই পক্ষের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করতে পারতেন। কিন্তু অদৃশ্য চাপে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

হিরো আলম বলেন, এভাবে সাজানো মামলায় আমাকে কারাগারে আটকে রেখে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করা যাবে না। কেউ বিশ্বাস করবে না, যে স্ত্রীকে ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে রেখেছি, তাঁকে মাত্র দুই লাখ টাকার জন্য হিরো আলম নির্যাতন করবেন।

শ্বশুরের অভিযোগ
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে শ্বশুর সাইফুল ইসলাম ওরফে খোকন বুধবার বিকেলে হিরো আলমের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

এতে উল্লেখ করা হয়, হিরো আলম অনেক দিন ধরেই স্ত্রী সাদিয়া বেগম ওরফে সুমির কাছ থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করছেন। এর মধ্যে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর সাইফুল ইসলাম জামাইয়ের হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেন তিনি।

গত ৫ মার্চ দুপুরে হিরো আলম আরও এক লাখ টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্ত্রীর ওপর রেগে যান হিরো আলম। টাকা না পেয়ে হিরো আলম চেলা কাঠের বাটাম দিয়ে সুমিকে মারধর করেন, কিল-ঘুষি মারেন।

সুমির চিৎকারে এলাকায় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে আহত স্ত্রী সাদিয়াকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হিরো আলমের অভিযোগ
অন্যদিকে হিরো আলম গত মঙ্গলবার রাতে শ্বশুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে বগুড়া সদর থানায় পৃথক অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৫ মার্চ রাতে আটটার দিকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরের সঙ্গে ঝগড়া হয়।

এর জেরে শ্বশুরপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে তাঁর সদর উপজেলার আরজি পলিবাড়ি গ্রামে নিজ বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর প্রতিবাদ করলে কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে শ্বশুরপক্ষের লোকজন তাঁকে মারধর করেন। একই সঙ্গে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে তিনি (হিরো আলম) মাটিতে পড়ে যান। এই সুযোগে শো কেজের ড্রয়ার থেকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা, দুইটি মুঠোফোন নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ সময় তাঁরা ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্রও ভাঙচুর করেন এবং হত্যারও হুমকি দেন।

তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে তিনি বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।
শ্বশুরের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে
আলাদা দুটি অভিযোগ পাওয়ার পর বুধবার রাতে দুই পক্ষকে সদর থানায় ডাকা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হিরো আলমের বিরুদ্ধে শ্বশুরের দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এ কারণে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়ার প্রত্যন্ত এরুলিয়া গ্রামে একসময় সিডি বিক্রি করতেন হিরো আলম। সিডি যখন চলছিল না, তখনই মাথায় আসে ক্যাবল সংযোগ ব্যবসার। কেবল সংযোগের ব্যবসার সুবাদে মিউজিক ভিডিও তৈরি শুরু করেন।

ইউটিউবে প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। ইউটিউবে প্রকাশ করা তাঁর নিজস্ব ভিডিওগুলোও অনেক জনপ্রিয়। ভিডিওগুলোর নির্দেশনাও দেন হিরো আলম। ভিডিওগুলোর মূল চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

ইউটিউবে হিরো আলমের এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তাঁর ভিডিও নিয়ে কৌতুক শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় তাঁর ভিডিও নিয়ে হয় ট্রল।
হিরো আলম ইতিমধ্যেই ‘মার ছক্কা’ নামের একটি চলচ্চিত্রে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বলিউড পরিচালক প্রভাত কুমারের ‘বিজু দ্য হিরো’ নামে চলচ্চিত্রেও অভিনয় করছেন তিনি।

২০১৬ সালে ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়।

মেননের শাস্তি চেয়ে আলেমদের বিক্ষোভের ডাক

সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাংসদ রাশেদ খান মেননের অনতিবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা ও শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ করবে আলেম সমাজ। কওমী মাদরাসাকে বিষবৃক্ষের সাথে তুলনা,ইসলামী অনুশাসনকে ‘মোল্লাতন্ত্র’ও আলেম সমাজকে কটাক্ষ্য করে দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।

বুধবার (৬ মার্চ) বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হবে। এতে বাংলাদেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন এবং বক্তব্য রাখবেন।

মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে কাদিয়ানীদের দোসর রাশেদ খান মেনন কুরআন-সুন্নাহর বিধান ও ইসলামী অনুশাসনকে ‘মোল্লাতন্ত্র’ আখ্যায়িত করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে (সা.) অপমানিত করেছেন। তিনি আল্লামা আহমদ শফিকে কটাক্ষ করে শুধু আলেম সমাজ নয়, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকারসহ গোটা সংসদকে অপমানিত করেছেন। তিনি আল্লাহ ও রাসূলকে (সা.) অবমাননা করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মেননকে শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। 

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী মহাজোটের শরীক নেতা রাশেদ খান মেননের দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘রাশেদ খান মেননকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। রাশেদ খান মেনন মূলত তার প্রদত্ত বক্তব্যের মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে ধর্মবিদ্বেষ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। অনতিবিলম্বে তিনি যদি প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান তাহলে তৌহিদি জনতা এসব কটূক্তি,অপপ্রচার ও ধর্মবিদ্বেষী বক্তব্যের সমুচিত জবাব দেবে।’

উল্লেখ্য,গত মার্চ সংসদে রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘পাঠ্যক্রমগুলোকে ধর্মীয়করণের প্রচেষ্টা, তেঁতুল হুজুরের আবদারে সংস্কার করা হয়েছে। কুসুম কুমারী,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,দ্বিজেন্দ্রলালের কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে। হয়ত পাকিস্তান আমলের মতো ‘সজীব করিব মহাশ্মশানের স্থলে সজীব করিব গোরস্থান’আবৃত্তি করতে হবে। হেফাজতের মোল্লাতন্ত্র দেশে চরম পশ্চাৎপদ ধারণা সৃষ্টি করছে।’

কওমী সনদের স্বীকৃতি দিয়ে বিষবৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে কি না- সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে মন্তব্য করে মেনন বলেন, ‘আজকে তেঁতুল হুজুরের দল প্রধানমন্ত্রীকে কওমী জননী উপাধি দিয়েছেন। এই ব্যাপারে আমরা সতর্ক না হলে বুঝতে হবে আমরা কোনো বিষবৃক্ষ রোপন করতে যাচ্ছি।’

আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা,তাদের ওপর আক্রমণ- মোল্লাতন্ত্রের এ ধরনের পাকিস্তানি অনুকরণ রাষ্ট্রপতি যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা তার ভাষণে উল্লেখ করেছেন- সেটাকে চরম বিপদে ফেলছে বলেও মন্তব্য করে বামপন্থী এই নেতা।

নারায়ণগঞ্জে চরমোনাইয়ের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে সুন্নী জনতার বিক্ষোভ

৫ ই মার্চ মঙ্গলবার ভন্ডপীর চরমোনাই ও তার অনুসারীদের সহিংসতা,দলীয় উগ্রতা ও যখন তখন পেশী শক্তির প্রভাব খাটিয়ে হক্কানী পীর মাশায়েখ ও আহলে সুন্নাত ওয়ান জামাতের ওয়াজ মাহফিল বন্ধের প্রতিবাদে ফতুল্লা ঈদগাহে সুন্নী আলেম উলামা ও জনতার উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৪ মার্চ (সোমবার) ফতুল্লা চতলার মাঠে সুন্নী জনতার উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশাল মাহফিল উগ্র ও বাতিল আকিদা পন্থী চরমোনাই গ্রুপের লোকজন বাধা দিয়ে বন্ধ করে দেয়।

মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসির ও সুন্নী জনতার নয়ন মনি আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী।

আব্বাসী হুজুর প্রায় সময় নেক সুরতের ভেকধারী ভন্ড চরমোনাইদের ওহাবী মতাদর্শের বিরুধীতা করে থাকেন।তাই তারা মাহফিলটিতে বাধা দেয়।

তারই প্রতিবাদে ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) বাদ যোহর ফতুল্লা ঈদগাহে সুন্নী আলেম ওলামার নেতৃত্বে ভন্ড চরমোনাইকে ফতুল্লায় নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তাগন বলেন,ভন্ড চরমোনাই রাজনীতির নামে পেট নীতি চর্চা করে। পিরালীর নামে তারা মূর্খ মুরীদদের ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর পিরালি ও রাজনীতি টিকাতে তারা উগ্র সন্ত্রাসী পেটোয়া বাহিনী দিয়ে যখন খুশি তখন হক্কানী পীর মাশায়েখ ও সুন্নী উলাময়ে কেরামের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে থাকে এজন্য তাদের অনেক জায়গায় চরম খেসারত ও দিতে হয়েছে।

যেমন গত ২০১৬ সালে পঠুয়াখালীর মোকামিয়া ও ২০১৮ সালে ডেমরা দারুন নাজাতে সুন্নী জনতার হাতে তারা গণ ধোলাইয়ের স্বীকার হয়।

বক্তব্যে বক্তাগন তাদের সকল কার্যক্রম অবিলম্বে ফতুল্লাতে বন্ধ করার জন্যে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করেন। যথাযথ ব্যবস্থা যদি না নেওয়া হয় এবং চতলার ময়দানে মাহফিলের অনুমতি না দেওয়া হয় তাহলে ভন্ড চরমোনাই পন্থীদের শায়েস্তা করার জন্য সুন্নী জনতা মাঠে নামার হুশিয়ারী দেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্তিত হয়ে বক্তব্য রাখেন,এই সময় উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা মুফতি মোশাররফ হোসেন হেলালী,হযরত মাওলানা মুফতি ফয়সাল আমিন আল হানাফি,হযরত মাওলানা মুফতিজোবায়ের আহমদ নাসেরী,হযরত মাওলানা মুফতি ইসমাঈল হুসেন জালালী,হযরত মাওলানা মোকাম্মেল হুসাইন,হযরত মাওলানা মুফতি আমির হামজা, হযরত মাওলানা মুফতি আরিফ বিল্লাহ,হযরত মাওলানা মুফতি তানভীর হুসাইন ফারুকী,হযরত মাওলানা মুফতি মোজাম্মেল হুসাইন, হযরত মাওলানা মুফতিআবু সুফিয়ান আবেদী,হযরত মাওলানা মুফতি শাখাওয়াত হুসেন পাটুয়ারী, হযরত মাওলানা মুফতি মাহফুজুর রহমান,হযরত মাওলানা মুফতি দেলোয়ার হুসাইন,হযরত মাওলানা মুফতি আব্দুল আজিজ চিশতী,হযরত মাওলানা মুফতি নূরুল আমিন,হযরত মাওলানা ফযলে রাব্বি,হযরত মাওলানা মুফতি সবির হুসাইন জিহাদী,হযরত মাওলানা মুফতি নোমান কাসমী,হযরত মাওলানা মুফতি ইমাম হুসাইন, হযরত মাওলানা মোবারক হুসাইন,হযরত মাওলানা নাঈমুর রহমান, হযরত মাওলানা আব্দুল আজিজ, হযরত মাওলানা ওসমানগনী,হযরত মাওলানা আলআমিন জিহাদী,হযরত মাওলানা মোকছেদুল,হযরত মাওলানা আব্দুর কাদের,হযরত মাওলানা হামিদুল ও হযরত মাওলানা হাফেজ বাইজিদ হুসাইন প্রমূখ।

বিক্ষোভ মিছিল ও মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশটি সমাপ্ত হয়।

সিঙ্গাপুরের পথে ওবায়দুল কাদের

সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।

সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স বিএসএমএমইউ ত্যাগ করে।

এর আগে তার অবস্থা খানিকটা স্থিতিশীল থাকায় এখনই দেশের বাইরে নেওয়ার উপযুক্ত সময় বলে মতামত দেন ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি।

রোববার ভোরে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে রোববার সকাল পৌনে আটটার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিয়াক বিভাগে ভর্তি করা হয়।

এরপর থেকে তিনি বিএসএমএমইউ’র সিসিইউ’র নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র,আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

শামীম ওসমানের জনসভায় শওকত চেয়ারম্যানের বিশাল শোডাউন

বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী নিয়ে শামীম ওসমানের জনসভায় যোগ দিয়েছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের রাষ্ট্রীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শওকত আলী।

শনিবার দুপুরে ফতুল্লার বক্তাবলী থেকে সহস্রাধিন নেতাকর্মীদের নিয়ে ব্যানার ফেস্টুর সহকারে শহরের ২নং রেল গেইট সমাবেশে তিনি যোগদান করেন।

আমি শেখ হাসিনার রাজনীতি করি-শামীম ওসমান

নিউজ প্রতিদিন: মাদক,সন্ত্রাস ও ভূমিদস্যুতাসহ সকল প্রকার অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান।

তিনি বলেছেন,আমরা সুশাসনের পক্ষে। আমরা সুশাসনের পক্ষে লড়াই করে যাব আমরণ। আমি আওয়ামী লীগের একজন নগন্য কর্মী,আমি আওয়ামী পরিবার থেকে উঠে আসা একজন নেতা,আমি শেখ হাসিনার রাজনীতি করি।

শনিবার দুপুরে শহরের ২ নং রেল গেইট এলাকায় আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান আরও বলেন,আমি আল্লাহর কসম করে বলছি,মাদক ব্যবসা,ভূমিদস্যুতা,ইভটিজিং খুব খারাপ কাজ। যারা মানুষের উপর জুলুম-নির্যাতন করে আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম।