২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 186

সফল সন্তান নির্মানে যে ১০টি নির্দেশনা বাবা মায়ের মেনে চলা উচিৎ

আপনি কি আপনার সন্তানকে গড়ে তুলার জন্য কিছু নির্দেশনা খুঁজছেন? চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনাদের জন্য ১০ টি নির্দেশনা দিচ্ছি যাতে আপনারা আপনাদের সন্তানদের সহজে গড়ে তুলতে পারেন।

                                                               নির্দেশনাঃ

১। আপনার সন্তানকে শুষ্টভাবে গড়ে তুলা অভিভাবক হিসেবে আপনার দ্বায়িত্ব কর্তব্য। আপনার সন্তানের কিছু নিশ্চিত বিষয়ের উপর আপনার অটল থাকতে হবে। তাদের সাথে রাগী বা চিৎকার করে কথা বলবেন না।

২। আপনার তাদের সাথে অভিবাভকের পাশাপাশি বন্ধু হয়ে থাকবেন।যখন আপনার বাচ্চা ছোট থাকবে তখন তার বন্ধু থাকবেনা। আপনাকে তখন তার বন্ধু হতে হবে।এতে আপনার সাথে তার বন্ধনটাও দৃঢ় হবে।

৩। আপনার সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করুন।একদম ছোটবেলা থেকে তার দেখাশুনা করুন।তার সামর্থকে সমর্থন করুন।তাকে আদরের সাথে,গল্প বলে খাওয়ান।তার বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তাকে সামাজিক কাজে মনোযোগী করুন।

৪। তারা যখন ভুল করে তবে তাদের জানিয়ে দিন সেটা ভুল এবং তাদের শান্তভাবে কাজটা না করার উপদেশ দিন।যখন তারা ভাল কিছু করে তখন তাদের তারিফ করবেন।মাঝে মাঝে তাদের ভাল কিছু করার জন্য গিফট দিন।

৫। তার কথা শুনবেন।তাকে বিরক্তির সাথে দেখবেন না।তার শিশুসুলভ আচরণ নিয়ে উপহাস করবেন না।  এতে করে সে অসহায় হয়ে পড়তে পারে।

৬। তার বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাকে আপনার ধর্ম সম্পর্কে তথ্য জানান।নিজ ধর্মের আচারআচরণ,নিয়মকানুন শিখান।বড়দের প্রতি তার কিরুপ আচরণ করতে হবে তা শিখান।

৭। আপনার সন্তানকে কখনো অন্যের সামনে লজ্জা দিবেন না।সকলের সামনে লজ্জা দেয়ার ফলে আপনার সন্তানের আত্মঃনির্ভরশীলতা কমে যাবে।তবে প্রয়োজনে তাকে লজ্জা দিবেন; কিন্তু সকলের সামনে না।

৮। তাকে সদা আপনার ভালোবাসা দেখাবেন।সে যখন আপনার কাছে আসবে তাকে ভালোবেসে বুকে টেনে নিবেন।আপনার কাছ থেকে সে যতটুকু ভালোবাসা চায় আপনি তাকে এর চেয়ে বেশী ভা্লোবাসা দেখাবেন।যাতে সে মনে করে তাকে আপনি সবকিছুর চেয়ে বেশী ভালোবাসেন।

৯।তাকে আপনার বাল্যকালের বিভিন্ন ঘটনা বলেন।আপনি বাল্যকালে বিদ্যালয়ে এবং বাসায় কি করতেন তা আদরের সাথে তাকে জানান।

১০। তার সাথে সময় ব্যয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তার সাথে কথা বলবেন, খেলবেন।তার কথা শুনবেন।তাকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে যাবেন।আপনার পছন্দঅপছন্দ গুলো তাকে জানান।তার পছন্দঅপছন্দ সম্পর্কে তার কাছে প্রশ্ন করেন।


রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের নির্মমতা দেখতে পেয়েছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ‘জনাথন হেড’

সাধারণত ম‍ায়ানমারের মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ। তারপরও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের একটি গ্রামে কড়া পাহাড়ায় কিছু বিদেশি সাংবাদিকদের নিয়ে যায় মিয়ানমার সরকার। মিয়ানমার সরকারের অনেক সাবধানতা অবলম্বনের পরও রোহিঙ্গাদেরও ওপর চলা নির্যাতনের নির্মমতা দেখতে পেয়েছেন ব্রিটিশ এক সাংবাদিক।

ব্রিটিশ ওই সাংবাদিকের নাম জনাথন হেড। যিনি সম্প্রতি মিয়ানমার সরকারের আমন্ত্রণে গণমাধ্যমকর্মীদের একটি দলের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের শর্ত দেয়া ছিল সবাইকে একসঙ্গে চলাফেরা করতে হবে। স্বাধীনভাবে কোন কিছু পরিদর্শন করা যাবে না। শুধুমাত্র সরকারের নির্দিষ্ট করে দেয়া জায়গাগুলোই দেখা যাবে।

রোহিঙ্গা গ্রাম স্বচক্ষে দেখার পর জনাথন বলেন, ‘নির্ধারিত গ্রামটিতে ঢুকেই প্রথম বাড়িতে আগুনের চিহ্ন দেখা গেল। দেখেই বোঝা যায়, অধিকাংশ বাড়িতেই আগুন দেয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে কিছুক্ষণ আগেই আগুন দেয়া হয়েছিল। গ্রামে একদল তরুণকে হাতে খোলা তলোয়ার ও দেশলাই নিয়ে ঘুরতে দেখলাম। গ্রামের রাস্তাগুলোতে দেখা গেল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন গৃহস্থালি পণ্য, শিশুদের নানারকম খেলনা ও নারীদের পোশাকের বিভিন্ন অংশ।’

জনাথন হেড বলেন, ‘নিজ চোখে একটি রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়ে যেতে দেখেছি।’ রাখাইনের মংগদু জেলায় আল লে থান কিয়া শহর পরিদর্শন শেষে ফিরে আসার সময়ও পুড়ে যাওয়া অনেক বাড়িঘর তিনি দেখতে পান। এমনকি অনেক বাড়িঘর থেকে তখনও ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। পুলিশ গণমাধ্যমকর্মীদের ওই দলটিকে জানায়, রোহিঙ্গা মুসলমানরা নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে।

জনাথন আরো বলেন, ‘রাখাইনে থাকতেই আমরা গুলির শব্দ শুনতে পাই। বিচ্ছিন্নভাবে অন্তত তিনটি স্থানে ধোঁয়া উড়তে থাকে। বনের পাশে থাকা ধানক্ষেত থেকেও বড় ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা যায়। সেটিও একটি গ্রাম। বিষয়টি ভালোভাবে জানতে আমরা সেই ধোঁয়ার কুণ্ডলির কাছে গিয়েছিলাম। সেখানেও প্রথম বাড়িতেই আগুনের চিহ্ন দেখতে পাই এবং আগুনের ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগের বলেই মনে হলো।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের গ্রামটিতে হাঁটার সময় তরুণদের একটি দল চোখে পড়ে। তারা দেশলাই ও তলোয়ার নিয়ে ঘুরছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা রাজি হয়নি। ছবিও তুলতে দেয়নি। পরে মিয়ানমারের স্থানীয় সাংবাদিকরা তরুণদের সাথে কথা বলেন। তরুণদের কয়েকজন রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন দেয়ার কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে সহায়তা করেছে বলে জানায় ওই যুবক।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের অক্টোবর মাস থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর চলছে দেশটির সেনাবাহিনীর নৃশংসতা। সেনা অভিযানের নাম করে সেখানে চলছে খুন, ধর্ষণ, হত্যা আর রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে তাদের করা হচ্ছে বিতাড়িত। গত এক সপ্তাহে রাখাইন রাজ্য থেকে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজার যাবেন ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কূটনীতিকরা

মায়ানমারের সরকারি বাহিনীর নির্যাতন থেকে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজার যাবেন ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কূটনীতিকরা। ১৩ই সেপ্টেম্বর তাদের কক্সবাজার নিয়ে যাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ সোমবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দক্ষিণ এশিয়া ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর কূটনীতিকদের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করার পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এর আগে গতকাল ইউরোপ, আমেরিকা ও আরব দেশগুলোর কূটনীতিকদের ব্রিফ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্রিফিং শেষে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করেছেন তারা। একই সঙ্গে এ ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহায়তারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কূটনীতিকরা।

গত ২৪ অগাস্ট রাতে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে হামলার ঘটনার পর থেকে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে চালানো হচ্ছে হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ। যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন, তারা ছুটে আসছেন বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে।

গত চার দশকে ধরে আসা ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বহন করে আসা বাংলাদেশে এই দফায় আরও তিন লাখের মতো রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বলে ইতোমধ্যে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। (আরআই)

মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের রাখাইন ছাড়তে মাইকিং

মায়ানমারে রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ যেন কোনো মতেই থামছে না। রাখাইন রাজ্যে অবশিষ্ট যেসব রোহিঙ্গা এখনো দুঃসাহসের সঙ্গে রয়ে গেছেন তাদের আগামী ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারের মধ্যে এলাকা ছাড়তে আল্টিমেটাম দিয়ে মাইকিং শুরু করেছে সামরিক জান্তা।

দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এলাকায় এলাকায় মাইকিং করে এ আহ্বান জানানো হচ্ছে। শনিবার বিকেলে শুরু হওয়া মাইকিং রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে মংডু, রাচিদং ও বুচিদং তিনটি শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

মায়ানমার ছাড়ার মাইকিংয়ে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মায়ানমারে অবস্থানকারী সব রোহিঙ্গাদের দেশ ত্যাগ করতে হবে। আরাকানের স্বাধীনতাকামী গ্রুপ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) তথা আরসা একমাসের জন্য অস্ত্র বিরতি ঘোষণা দেয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষে এ মাইকিং শুরু হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, রোহিঙ্গাশূন্য পাড়ায় লাল পতাকা, রাখাইনে যেসব পাড়া আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে সেখানে লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রাচিদং জেলার ধইনচ্যা পাড়া, বুচিদংয়ের তামাবিল, কইল্যাভাঙ্গা, রাইচং, মংডু জেলার নারিনচং, মগ্নিপাড়া, সিকদারবিল, পেরামপ্রু, নাইছ্যাপুর, শীলখালী, ধুমছেপাড়া, কোয়াংসং ও আদং গ্রামসহ যেসব পল্লী রোহিঙ্গাশূন্য করা হয়েছে, ওসব এলাকায় সেনাবাহিনী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে লাল পতাকা ওড়াছে।

পাহারায় রাখা হয়েছে স্থানীয় রাখাইন যুবকদের। যাতে রোহিঙ্গারা সেখানে যেতে না পারে। ফলে বাধ্য হয়েই বন, জঙ্গল ও পাহাড়-পর্বতে যারা লুকিয়েছিল তারাও এখন বাংলাদেশমুখী হয়েছে। সবমিলেই সেখানে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, গ্রামে গ্রামে মাইকিং করছে সেনাসদস্যরা। সব রোহিঙ্গাকে গ্রাম থেকে বাংলাদেশে চলে যেতে বলা হচ্ছে। না হয় গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। অনেককে ঘর থেকে বের করে দিচ্ছে। গতকাল টেকনাফ হোয়াইংক্ষ্য লম্বাবিল পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, দলে দলে রোহিঙ্গা ঢুকছেন। সবার মুখে হতাশা-আতঙ্ক। প্রাণ বাঁচাতে যে যার মতো প্রবেশ করেছেন। ছড়িয়ে পড়ছেন বিভিন্ন ক্যাম্প, পাহাড় ও জঙ্গলের ভেতরে।

গত শনিবার মিয়ানমারের শিলখালী গ্রাম থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসেন হাফেজ আমিন (৩২)। গতকাল দুপুরে টেকনাফের হোয়াইংক্ষ্য লম্বাবিল এলাকায় কথা হয়েছে তার সঙ্গে।

তিনি বলেন, “শনিবার সকাল থেকে রোহিঙ্গাদের চলে যেতে মাইকিং করছে সেনাবাহিনী। মাইকিংয়ে সেনাবাহিনী বলছে, ‘এটা তুদের দেশ নয়; বাংলাদেশ হলো তুদের দেশ। তুদের অনেক স্বজন বাংলাদেশে বসবাস করছে। ওখানে গিয়ে তুরা আশ্রয় নে তাড়াতড়ি। যদি এখানে (মিয়ানমার) থাকিস, তাহলে গুলি করে সবাইকে হত্যা করা হবে।’ এই মাইকিং শুনে শনিবার রাতেই টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইংক্ষ্য লম্বাবিল পয়েন্ট দিয়ে হাফেজ আমিনের সঙ্গে তার পরিবারের ১২ জন সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। ওই সময় শিশুসহ প্রায় দুই শতাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছেন।”

মিয়ানমার বুচিদং এলাকার বাসিন্দা ফেরদৌস বেগম (২২) বলেন, ‘বার্মায় থাকলে আমাদের হত্যা হবে বলে মাইকিং করছে সেনাবাহিনী। প্রতিটি রোহিঙ্গাগ্রামে মাইকিং করা হচ্ছে। এখন প্রাণে বাঁচতে মালামাল নিয়ে সীমান্ত হয়ে টেকনাফ ঢুকে পড়েছি।’ তার সঙ্গে রয়েছে ছোট তিনটি সন্তান। তারা হলো এক বছর বয়সী মারজান, আড়াই বছর বয়সী ইসমাঈল এবং চার বছর বয়সী নূরুল ইসলাম।

ফেরদৌস বেগমের স্বামী আহমদ মাঝি বলেন, ‘মাইকিং শুনে আমাদের গ্রামে হৈচৈ শুরু হয়। গ্রামের প্রায় সাড়ে ৫০০ পরিবার কান্নাকাটি শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সবাই মালামাল নিয়ে সীমান্তে চলে আসি। এরপর রাতেই নৌকাযোগে নাফ নদী পার হয়ে লম্বাবিল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ি।’

গতকাল দুপুরে কথা হয়েছে লম্বাবিল সীমান্তে বৃদ্ধা সুলতানা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মাইকিংয়ে হত্যার কথা শোনার পর সবাই সীমান্তে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যে যার মতো করে বন-জঙ্গল ও সীমান্তে আশ্রয় নিই। রাতেই ছেলে নূরুসহ একদল রোহিঙ্গার সঙ্গে টেকনাফে চলে আসি।(আরআই)

আল হায়াত এভিয়েশন হজ্ব এজেন্সির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
শহরের চাষাঢ়ায় অবস্থিত আল হায়াত এভিয়েশন হজ্ব এজেন্সির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে এই এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা করার চেষ্টাসহ নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে এমন অভিযোগ এজেন্সির কর্মকর্তাদের। এদিকে, জাহিদ হাসান নামে একব্যাক্তি এই এজেন্সির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে মামলা করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হজ্ব এজেন্সি কর্তৃপক্ষ জানায়, হজ্বযাত্রী আবুল কালাম মুন্সি(হজ্বযাত্রীর ট্যাকিং নং এন৯২ইডি৬৯৩এফ১) অসুস্থ থাকায় তার পরিবর্তে হজ্বে যাওয়ার কথা হয় আনোয়ার হোসেনের পুত্র জাহিদ হাসানের (ট্যাকিং নং-এনই০৮ডিএ৫৮ই, সিরিয়াল নং ২৯৫৪৯৩)। নিয়ম অনুযায়ী সব ধরনের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করে হজ্ব এজেন্সি আল হায়াত এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বদলী হজ্ব জটিলতার কারণে তিনি আর হজ্বে যেতে পারেনি। শুধু জাহিদ হাসানই নয়, এমন আরো ৯জন হজ্ব যাত্রী এবার হজ্বে যেতে পারেনি। তবে যারা হজ্বে যেতে পারেনি তাদের টাকা বুঝিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে হজ্ব এজেন্সি কর্তৃপক্ষ, কিন্তু বাকী যাত্রীরা তা মেনে নিলেও কেবল মাত্র জাহিদ হাসানই তা মানতে নারাজ। এজেন্সির মালিক মাওলানা আরিফ আহমেদ সৌদি আরব থেকে মুঠোফোনে জানান, যারা এবার ভিসা জটিলতার কারনে হজ্বে যেতে পারেনি, তারা আগামীতে যেতে পারবেন, এবং যদি কেউ যেতে না চায় তা হলে নিয়ম অনুযায়ী তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হবে।

 

ফতুল্লায় ১৭০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার-৩

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে একটি ফ্ল্যাট বাসায় অভিযান চালিয়ে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ সময় ১৭০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তারা ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে পাইকারি হিসেবে ফেসসিডিল বিক্রি করে আসছিল। তবে ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নেয়া ও মাদকের অন্যতম ডিলার সুমন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

রোববার সকালে ফতুল্লার মাসদাইর গাবতলী মাজার সংলগ্ন নুর হোসেন মল্লিকের মালিকানাধীন বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করলেও দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ।

গ্রেফতার সাইফুল ইসলাম (৩৪) ফতুল্লার মাসদাইর শেরে বাংলা রোড এলাকার মৃত মাহাবুব আলমের ছেলে, দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার মৃত হোসেন খানের ছেলে রনি খান (৩৬) ও মাসদাইর কলেজ রোডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৫)। আর পলাতক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সুমন দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার দীন ইসলামের ছেলে।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজি এনামুল জানান, মাদকবিরোধী অভিযানে মাসদাইর গাবতলী মাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে পাইকারি ফেনসিডিল ব্যবসা করে আসছেন তারা।

রোববার সকালে অভিযান চালিয়ে তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ১৭০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয়া চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সুমনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান এসআই কাজি এনামুল।

রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে নির্যাতন সহ্য করবে না ‍ তুরস্ক – ইরান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার টেলিফোনে আলাপ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি। এ সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে হতাশা ও উদ্বেগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, বিশ্বের যেকোনো জায়গায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে নির্যাতন হোক না কেন ইরান তা সহ্য করবে না।

মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে ইরানি প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেন, যেসব বিচ্ছিন্নতাবাদী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থ রক্ষা করবে না বরং এসব পদক্ষেপের কারণে আঞ্চলিক দেশগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট সঙ্গে ফোনালাপে ড. রুহানি বলেন, এ অঞ্চলের দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে কিছু দেশ তাদের ইচ্ছা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। দুই প্রেসিডেন্ট দৃশ্যত ইরাকের কুর্দিস্তানে আসন্ন গণভোটের নামে বিচ্ছিন্নতাবাদী পদক্ষেপের কথা বলেছেন। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ওই গণভোট অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন ইরাকের কুর্দি নেতারা।

ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, এ ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতা ও পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে যে সমস্যা তৈরি করা হয়েছে তা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য তৈরি করা হয়েছে বলে ইরান কখনো বিশ্বাস করে না। আঞ্চলিক কয়েকটি দেশের নিরাপত্তাহীনতা ও সহিংসতায় দুঃখ প্রকাশ করে ড. হাসান রুহানি বলেন, এ অবস্থায় ইরান ও তুরস্কের আরো জোরালো ভূমিকা পালন করা উচিত।

ফোনালাপে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরানের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে তুরস্কের সহযোগিতা বাড়বে -সে বিষয়ে তিনি আস্থাশীল। এরদোগানও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতনে দুঃখ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানে ইরান ও তুরস্কের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

দেশ ও দেশের বাইরের সকল মুসলমানকে ঈদ মোবারক-মোঃ আলমগীর

সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্যে আনন্দের সওগাত নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। সুস্থ্য দেহ ও সুন্দর মন নিয়ে সবাই যাতে এই মহানন্দে শরীক হতে পারে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। আমীন ॥

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে-তুরস্ক

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় এবং চলমান সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ গৃহীত পদক্ষেপ সমূহের প্রশংসা করেছে তুরস্ক। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যার ক্ষয়ক্ষতির জন্য তুরস্কের জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক সমবেদনাও জানিয়েছে দেশটি।

বৃহস্পতিবার রাতে টেলিফোন করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান বাংলাদেশের বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তার অভিমত ব্যক্ত করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ শুক্রবার একথা জানানো হয়েছে।

টেলিফোনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বর্তমান মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিরাজমান পরিস্থিতি ও মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর চলমান নিপীড়ন ও মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের প্রতি তুরস্কের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে তিনি রাষ্ট্রপতিকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এবিষয়ে তুরস্ক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে অবহিত করেন। রোহিঙ্গা বিষয়ক সমস্যাটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের আলোচনায় উপস্থাপনে তুরস্কের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, সীমিত সম্পদ ও অন্যান্য সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি-নীতি অনুযায়ী মায়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা মুসলিমদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থানের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিবেশগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ তাদের প্রতি খাদ্য, বাসস্থান, ওষুধ, শিক্ষা ও অন্যান্য সকল সুবিধাদি প্রদান অব্যাহত রেখেছে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তুরস্কের রাষ্ট্রপতিকে এবং তুরস্কের জনগণকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে টেলিফোন আলাপ ও বাংলাদেশের প্রতি তার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয় – মোঃ মঞ্জুর আলী

মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়।