আপনি কি আপনার সন্তানকে গড়ে তুলার জন্য কিছু নির্দেশনা খুঁজছেন? চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনাদের জন্য ১০ টি নির্দেশনা দিচ্ছি যাতে আপনারা আপনাদের সন্তানদের সহজে গড়ে তুলতে পারেন।
নির্দেশনাঃ
১। আপনার সন্তানকে শুষ্টভাবে গড়ে তুলা অভিভাবক হিসেবে আপনার দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য। আপনার সন্তানের কিছু নিশ্চিত বিষয়ের উপর আপনার অটল থাকতে হবে। তাদের সাথে রাগী বা চিৎকার করে কথা বলবেন না।
২। আপনার তাদের সাথে অভিবাভকের পাশাপাশি বন্ধু হয়ে থাকবেন।যখন আপনার বাচ্চা ছোট থাকবে তখন তার বন্ধু থাকবেনা। আপনাকে তখন তার বন্ধু হতে হবে।এতে আপনার সাথে তার বন্ধনটাও দৃঢ় হবে।
৩। আপনার সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করুন।একদম ছোটবেলা থেকে তার দেখাশুনা করুন।তার সামর্থকে সমর্থন করুন।তাকে আদরের সাথে,গল্প বলে খাওয়ান।তার বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তাকে সামাজিক কাজে মনোযোগী করুন।
৪। তারা যখন ভুল করে তবে তাদের জানিয়ে দিন সেটা ভুল এবং তাদের শান্তভাবে কাজটা না করার উপদেশ দিন।যখন তারা ভাল কিছু করে তখন তাদের তারিফ করবেন।মাঝে মাঝে তাদের ভাল কিছু করার জন্য গিফট দিন।
৫। তার কথা শুনবেন।তাকে বিরক্তির সাথে দেখবেন না।তার শিশুসুলভ আচরণ নিয়ে উপহাস করবেন না। এতে করে সে অসহায় হয়ে পড়তে পারে।
৬। তার বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাকে আপনার ধর্ম সম্পর্কে তথ্য জানান।নিজ ধর্মের আচার–আচরণ,নিয়ম–কানুন শিখান।বড়দের প্রতি তার কিরুপ আচরণ করতে হবে তা শিখান।
৭। আপনার সন্তানকে কখনো অন্যের সামনে লজ্জা দিবেন না।সকলের সামনে লজ্জা দেয়ার ফলে আপনার সন্তানের আত্মঃনির্ভরশীলতা কমে যাবে।তবে প্রয়োজনে তাকে লজ্জা দিবেন; কিন্তু সকলের সামনে না।
৮। তাকে সদা আপনার ভালোবাসা দেখাবেন।সে যখন আপনার কাছে আসবে তাকে ভালোবেসে বুকে টেনে নিবেন।আপনার কাছ থেকে সে যতটুকু ভালোবাসা চায় আপনি তাকে এর চেয়ে বেশী ভা্লোবাসা দেখাবেন।যাতে সে মনে করে তাকে আপনি সবকিছুর চেয়ে বেশী ভালোবাসেন।
৯।তাকে আপনার বাল্যকালের বিভিন্ন ঘটনা বলেন।আপনি বাল্যকালে বিদ্যালয়ে এবং বাসায় কি করতেন তা আদরের সাথে তাকে জানান।
১০। তার সাথে সময় ব্যয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তার সাথে কথা বলবেন, খেলবেন।তার কথা শুনবেন।তাকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে যাবেন।আপনার পছন্দ–অপছন্দ গুলো তাকে জানান।তার পছন্দ–অপছন্দ সম্পর্কে তার কাছে প্রশ্ন করেন।