২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 194

দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে-শামীম ওসমান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান বলেছেন, আওয়ামী লীগকে হারানোর ক্ষমতা কেউ রাখে না, কেবলমাত্র আওয়ামী লীগই রাখে।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আসতে হবে আওয়ামী লীগের জন্য নয়, এদেশের মানুষ ও দেশকে বাঁচাতে। নয়তো আবারও দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটবে, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুটপাট হবে এবং দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে।

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে সোমবার বিকেলে শহরের ইসদাইরের বাংলা ভবন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যদি এবার ক্ষমতায় না আসে তাহলে একশ্রেণির লোক বাড়িতে এসে আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত লুটে নেবে। ’৭১ সালে যারা ৩০ লাখ লোককে হত্যা করেছে এবং আমাদের মা-বোনের ইজ্জত লুটে নিয়েছে তারাই আবার ক্ষততায় আসতে চায়। তাই আমাদের এখন থেকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যাতে তারা কোনোভাবে ক্ষমতায় আসতে না পারে।

নির্বাচন কমিশন হচ্ছে মসজিদের মুয়াজ্জিনের মতো উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, মুয়াজ্জিন যখন আজানের সময় হয় তখন আজান দেন। তখন নামাজিদের ওপড় নির্ভর করে কে নামাজ পড়তে যাবে কে যাবে না। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সময় হলে সবাইকে ডাকবেন। সেখানে কে আসবে কে আসবে না সেটা নির্বাচন কমিশন বুঝবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের দোসর আর আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যাকারী কোনো দলকে নির্বাচনে দাওয়াত দেয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ আমি খুঁজে পাই না। নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি আসবে না অথবা তাদের নির্বাচনে নিয়ে আসার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়।

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য চন্দন শীল, যুগ্ম-সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন, সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশীদ ও সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামছুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।

সিদ্ধিরগঞ্জে তীব্র গ্যাস সংকটে ভোগান্তি বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিদ্ধিরগঞ্জের কান্দাপাড়া, সাহেবপাড়া, দক্ষিণপাড়া ও বাতেনপাড়ায় তীব্র গ্যাস সংকটে হাজার হাজার পরিবার সমস্যায় পড়েছে। আবার জলাবদ্ধতার কারণে মানুষ মাটির চুলায়ও রান্না করতে পারছে না। ফলে অনেককে হোটেলের খাবারের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এসব এলাকায় সারাদিন গ্যাস থাকে না। রাত ১১টার পর গ্যাস একটু আসলেও তা দিয়ে রান্না করা যায় না।
সরেজমিন সিদ্ধিরগঞ্জের কান্দাপাড়া ও সাহেবপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গ্যাস সংকটে কারো বাড়িতে রান্নার উপায় নেই। গ্যাসের এ সংকট নিয়ে কথা হয় কান্দাপাড়া এলাকার বাসিন্দা কহিনূর, পারুল আক্তার, রোকসানা, সানজিদা, মনোয়ারা, মরিয়াম, আয়শা নামে কয়েকজন গৃহীনির সাথে। তাদের সকলের অভিযোগ, সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টার পর্যন্ত গ্যাস থাকে না তাদের এলাকাতে। রাতে সামান্য গ্যাস দেখা গেলেও এতে রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না। কান্দাপাড়ার পাপ্পু মাহবুব বলেন, আমাদের এখানে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসের সংকট। গ্যাস না থাকায় সিলিন্ডারের গ্যাস দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে। সরকার গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে অথচ গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বর্ধিত হারে গ্যাসের বিলও দিতে হচ্ছে পাশাপাশি সিলিন্ডারও নিতে হচ্ছে। অনেকে সিলিন্ডারের খরচ ও দুর্ঘটনার ভয়ে মাটির চুলায় রান্না করছেন। তবে এখন বাড়িতে বাড়িতে পানি জমে থাকায় মাটির চুলায় রান্না করাও সমস্যা হয়ে গেছে।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কাপোরেশনের দুই নং ওয়ার্ড এলাকার সাহেবপাড়া, কান্দাপাড়া, দক্ষিণপাড়া, রঘুনাথপুর এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত তীব্র গ্যাস সংকট চলছে। অন্তত এক বছর ধরে এ এলাকার বাসা-বাড়িতে দিনের বেলায় গ্যাস থাকে না। তাই এসব এলাকার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।  রান্না করতে না পারায় খাবার নিয়ে কাজে যেতে পারছেন না চাকরিজীবীরা। এনিয়ে একাধিকবার এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়েছে। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জরুরি ভিত্তিতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

বিষয়টি নিয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশনের নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক বিপণন ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমানের সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশনের পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী এইচ এম আলী আশরাফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এখানে সিস্টেমে কিছু সমস্যা রয়েছে। তাই কোনো কোনো জায়গায় গ্যাস পেতে সমস্যা হতে পারে। তবে ওই এলাকার বিষয় আমার আওতার মধ্যে না।

সিদ্ধিরগঞ্জে ৮কোটি টাকার তিনটি প্রকল্পের  উদ্ধোধন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জে ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডে তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্ধোধন করেন মেয়র ডা.সেলিনা হায়াত আইভি। প্রকল্প তিনটির মোট ব্যায় নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

সোমবার বেলা ১১টায় প্রথমে নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যায়ে ৪৫০ ফুট দীর্ঘ একটি ড্রেন নির্মাণ কাজের উদ্ধোধন করেন মেয়র। পরে নাসিক ৭ নং ওয়ার্ডের কদমতলী ভান্ডারি পুল ও লাল বিল্ডিং এলাকায়  ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার ড্রেনসহ দুটি রাস্তার নির্মাণ কাজের উদ্ধোধন করেন। এসময় মেয়র বলেন উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত রাখতে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে। অতিতে যে ভাবে উন্নয়ন কাজ হয়েছে ভবিষ্যতে সেই ধারা অব্যাহত থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রেনু, যুগ্ম-সম্পাদক বাবু কালিপদ মল্লিক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি ও নাসিক ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলি হোসেন আলা, ৭,৮,৯ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনা, ৪,৫,৬ নংওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, ১০,১১,১২নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মিনোয়ারা বেগম, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক মাষ্টার,  বিশিষ্ট ব্যবসায়ি আল-মামুনুর রশিদ, আব্দুল্লা আল জোবায়েদ সহ আরো অনেকে।

নাসিকে নতুন বছরের বাজেট ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নতুন করে কোনো কর আরোপ ছাড়াই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের জন্য ৬শ ৬৩ কোটি ৬৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় মেয়াদের বাজেট এটি। এর আগে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে সিটি করপোরেশনের বাজেট ছিল ৬শ ১ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার ৭৯১ টাকা।
রোববার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্রাঙ্গণে জনতার উপস্থিতিতে উন্মুক্তমঞ্চে এ বাজেট ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। বাজেট ঘোষণা শেষে জনতার মুখোমুখি হবেন এবং জনতার প্রশ্নের জবাব দেবেন তিনি।

বাজেটে দারিদ্র্য বিমোচন, তথ্য প্রযুক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন যথা রাস্তা, ড্রেন, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ ও পুননির্মাণ, যানজট নিরসন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংস্কার, খেলাধুলার মানোন্নয়ন ও রাস্তার বাতি স্থাপনে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এবারের বাজেটে প্রথমবারের মত শিক্ষাখাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এতে বরাদ্দ আছে ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। স্বাস্থ্য ও পয়োনিষ্কাশনপ্রণালী খাতে বাজেট রাখা হয়েছে ১৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। দারিদ্র্য দূরীকরণ ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে রাখা হয়েছে ৭২ লাখ টাকা।

এতে উপস্থিত আছেন নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরসহ নগরবাসী।

২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হওয়ার পর ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো বাজেট ঘোষণা করেছিলেন মেয়র আইভী। ওই বছরের ২৫ জুন প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট ঘোষণা করেন তিনি। ওই বাজেট ছিল ৩০৭ কোটি টাকার। এরপর ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে নাসিকের বাজেট ছিল ৪শ ৩ কোটি ৯২ লাখ ৮৬ হাজার ৩৭৬ টাকা।

২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে বাজেটের পরিমাণ ছিল ৪শ ২৪কোটি ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫১২ টাকা। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে বাজেট ছিল ৪শ ৮৮ কোটি ৯০ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৭ টাকার।

উন্নয়নে আমরা আপনার পাশে আছি– কাউন্সিলর খোরশেদ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রথম বাজেট ঘোষনা করায় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নাসিকের কাউন্সিলরবৃন্দরা। এ সময় মেয়র ও কাউন্সিলরদের মধ্যে এক হৃদয়ময় দৃর্শ্য দেখা যায়। নাসিক মেয়র ডা. আইভী এই নিয়ে ৬ষ্ঠ তম বাজেট ঘোষনা করা হয়।

সকাল পৌনে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নেয়া পর ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রথম বাজেটে উপস্থিতি হন এমপি সেলিম ওসমান। এ সময় কাউন্সিলররা মেয়র ও এমপি সহযোগিতায় আরো উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বজায় রাখার আহবান জানান।

দুপুর সোয়া ১টায় বাজেট ঘোষনা শেষে নাসিকের মেয়র কক্ষে মেয়রকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান নাসিক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকারের নেতৃত্বে কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, শাওন অংকন, সামসুজ্জামান, গোলাম নবী মোরাদ, শিউলি নওশাদ, হুসেনেয়ারা, ফয়সাল সাগর, শারমিন হাবিব বিন্নী, সুলতান আহম্মেদ, হান্নান সরকার, আফরোজা আক্তার বিভা ও মনোয়ারা বেগম।

ফুলেল শুভেচ্ছা শেষে কাউন্সিলরা মেয়রকে বলেন, আপনি হলেন আমাদের শক্তি। আপনাকে নিয়ে আমার নগরবাসী উন্নয়নের ধারাবাহিকতা শরিক হব।কাউন্সিলার খোরশেদ বলেন আমরা আপনার পাশে আছি।

এ সময় মেয়র ডা. আইভী কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলেন, নতুরা বাজেট নিয়ে কোন কথা থাকলে আমার সাথে আলাপ করুণ। সাথে পুরাতন কাউন্সিলরদের সাথে যোগাযোগ করুণ আপনাদের সমাধান হবে।

আপনারা নকল ফরমে নয় আসল ফরম পূরণ করে বিএনপির সদস্য হবেন-আজাদ বিশ্বাস

বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। বক্তাবলী ইউনয়ন বিএনপির সভাপতি আকবর আলী সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এবং সাধারণ সম্পাদক এড. আল আমীন সিদ্দিকীর পরিচালনায় প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে আজাদ বিশ্বাস বলেন, ফতুল্লা ও সিদ্দিরগঞ্জ থানা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলমের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। যারা মূরধারারবাইওে গিয়ে সংগঠনে বিশৃংখলা তৈরী করার চেষ্ঠা করে প্রকৃত বিএনপির লোক নয়। তারা দলীয় শৃংখলা ভঙ্গেও অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন। তিনি বলেন,শাহ আলম সাহেব দশ বছর যাবৎ দলীয় নেতাকর্মীদের সংগে নিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন এবং দলকে গতিশীল করার জন্য সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন,অনেকে সাংগঠনিক নিয়মের বাইরে গিয়ে ভুয়া সদস্য ফরম বিতরণ করছেন। এটা সাংগঠনিক ভাবে অন্যায় কাজ। বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্যোশ্যে তিনি বলেন-আপনারা নকল ফরমের সদস্য হবে না। আলহাজ্ব শাহ আলম সাহেবের সরবরাহকৃত আসল সদস্য ফরম পূরণ করে বিএনপির সদস্য হবেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মোঃ বোরহান,বক্তাবলী ইউনিয় বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন বারী,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর আলী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ৭নং ওযার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইনামুল কবির হুমায়ুন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ কাশেম খাঁন, সাধারন সম্পাদক মোঃ জাকির সর্দার, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মাহমুদ,বিএনপি নেতা মোঃ পিয়ার হোসেন পিন্টু, মোঃ আতাউর ফকির,মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ শার জাহান, জুয়েল আরমান,পল্লব, খোরশেদ গাজী মোতালেব গাজী, মোঃ দুলাল মোঃ শামীম প্রধাণ সহ এলাকার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

শীতলক্ষ্যায় ট্রলার ডুবি, কয়েকজন নিখোঁজ

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক নারীসহ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে।

রবিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর খবর পেয়ে রাতেই উদ্ধারকাজ শুরু করে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। রাতভর অভিযান চালিয়ে কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, রবিবার রাতে শ্রীপুর উপজেলার বরমী বাজার এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর ঘাট থেকে ২০-২৫ জন পোশাক শ্রমিককে নিয়ে ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলার কাপাসিয়ার সিংহশ্রী বাজার খেয়াঘাটে যাচ্ছিল। পথে বালুবাহী একটি নৌকার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটি মাঝ নদীতে ডুবে যায়। এ সময় বেশির ভাগ যাত্রী সাঁতরে এবং স্থানীয়দের সহায়তায় তীরে উঠে আসে। তবে এখনো এক নারীসহ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে।

ওসি আরো জানান, সিংহশ্রী ক্যাম্পের পুলিশ বালুবাহী ওই নৌকা ও সেটির মাঝিকে আটক করেছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আকতারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় এক নারী নিখোঁজ আছেন বলে জেনেছি। রাতভর অভিযান চালিয়ে কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। সকালে আবার উদ্ধারকাজ শুরু হচ্ছে।

‘শতকরা ৫০ ভাগ নারী চলাফেরার সময় অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার’

শতকরা ৫০ ভাগ নারী বাজারে চলাফেরা করতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার হন। অন্যদিকে, হাসপাতালে গিয়ে ৪২.৫ ভাগ নারী সেবাদাতাদের দুর্ব্যবহারের শিকার হন। এছাড়া, ৩০ ভাগ নারী পুলিশ স্টেশনে ইভটিজিংয়ের শিকার ও শতকরা ৩৫ জন নারী বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন।

রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মানসম্মত গণসেবা বিষয়ক মতবিনিময় সভা’য় একশন এইড বাংলাদেশ এসব তথ্য জানিয়েছে।

‘গণপরিসরে নারীর প্রতি সহিংসতা: পরিপ্রেক্ষিতে গণসেবা’ শীর্ষক গবেষণাটি তুলে ধরে একশন এইড বাংলাদেশ। এসময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা উন্নয়নমূলক সংস্থার প্রতিনিধিরা গণসেবা নিয়ে প্রান্তিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

সভায় বক্তারা বলেন, অর্থায়ন, নীতির বাস্তবায়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ গণসেবাগুলো জনমুখী নয়। তাই স্বাস্থ্য শিক্ষা ও যাতায়াতের মতো জরুরি গণসেবা নিতে গিয়ে নানা ধরনের সমস্যা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারীরা।

একশন এইড জানায়, ২০১৬ সালের প্রথমদিকে খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ সিটির পুলিশ প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, পরিবহণ কর্তৃপক্ষ, বাজার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং হাসপাতালে সেবা নেওয়া চারশ মানুষের ওপর এ গবেষণা করা হয়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। আবার এসব স্থানে সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলো যথাযথভাবে আমলে নেওয়া বা সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে দাবি করা হয়েছে গবেষণাটিতে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই গবেষণার ফল ও গণসেবা নিয়ে একটি ধারণাপত্র তুলে ধরেন একশন এইড বাংলাদেশের ম্যানেজার নুজহাত জেবিন। তিনি বলেন, চিকিৎসা, নিরাপত্তার বিষয়ে গণসেবা নিতে গিয়ে নানা ধরনের হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নারীরা সমস্যায় বেশি পড়েন। মূলত জনগুরুত্বপূর্ণ খাতে বাজেট বরাদ্দের অভাব, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবেই এমন অবস্থা।

গবেষণার ফল নিয়ে গণসেবার ধারণাপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়। স্বাস্থ্যখাতে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে মাথাপিছু বাৎসরিক গড় বরাদ্দ ২৭ ডলার যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক উল্লিখিত দক্ষিণ এশিয়ায় গড় মাথাপিছু বরাদ্দের থেকে ২৫ শতাংশ কম।

গবেষণার ফল ও গণসেবা খাতে সরকারের বরাদ্দ ও বিভিন্ন উদ্যোগের বিশ্লেষণ করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক সিনিয়র গবেষক প্রতিমা পাল মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের দেশ হয়ে গেছি। কিন্তু আয়কর দিচ্ছে কয়জন? অনেকেরই এখনও আয়কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা রয়ে গেছে। তাই রাজস্ব বাড়াতে নতুন উদ্ভাবনী কৌশল নিতে হবে।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ও একশন এইড বাংলাদেশের পরিচালক আজগর আলী সাবরি বলেন, যদি সাধারণ মানুষের জন্য মানসম্মত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয় তাহলে সে কর্মক্ষম হবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তাই গণসেবা নিশ্চিত করতেই হবে। অর্থায়ন ও বিনিয়োগ বাড়াতে প্রচলিত ধারার বাইরে করপোরেট ট্যাক্সকে আমলে নিতে হবে।

গবেষণা ও ধারণাপত্রে প্রতিষ্ঠানটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জেন্ডার সংবেদনশীল গণসেবা কাঠামোর কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে রয়েছে গণসেবায় সরকারিভাবে অর্থায়ন বাড়ানো; সরকারিভাবে সেবা প্রদান নিশ্চিত করা; স্বচ্ছ ও জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; জবাবদিহিতামূলক গণসেবা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এছাড়া সার্বিক গণসেবার পরিস্থিতি উন্নয়নে জনবান্ধব গণসেবার জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু দাবি তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটি।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ১লাখ ৬৭ হাজার পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার-২

নারায়ণগঞ্জের  সিদ্ধিরগঞ্জে ১লাখ ৬৭ হাজার পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই মনিরুজ্জামান, এসআই আবু সায়েম, এএসআই প্রকাশ চন্দ্র রোববার (১৬ জুলাই) ভোররাত সাড়ে তিনটায় সিদ্ধিরগঞ্জে ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট বসান।
এ সময় টেকনাফ থেকে ঢাকগামী একটি পিকআপ ভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ন-১৫-২২১৩) এ তল্লাশী করেন।
তল্লাশীর সময় পিকআপ ভ্যানের নীচে অভিনব কায়দায় তৈরী বিকল্প চেসিস হতে ১লাখ ৬৭ হাজার পিচ ইয়াবার বিশাল চালান উদ্ধার করেন। যার আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার মৃত কাওছার এর ছেলে নুরুল ইসলাম (৩০) এবং ঢাকার যাত্রাবাড়ির মোসলেম উদ্দীনের ছেলে মো. আলম (৩০)।
অপরদিকে, ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী বাদশাহকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার বাদশা ওই এলাকার মৃত সোলাইমান মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মাহমুদুল হাসান ইয়াবা ও ফেন্সিডিল উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধাকৃত ইয়াবাগুলোর প্রতি পিচ গড় মূল্য ২শত ৫০ টাকা। আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে। মাদক বহনকারী পিক-আপ জব্দ করা হয়েছে।

পানিতে ভাসছে ডিএনডিবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ডিএনডিতে একনেকের সাড়ে পাঁচ’শ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি নিস্কাষনে কাজের মূলা জুলিয়ে এ বছর পানি নিস্কাষনের সকল কাজ প্রায় বন্ধ ফলে সৃষ্ট হয় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে পানি বন্দি মানুষ।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা অঞ্চলের ৬ হাজার হেক্টর জমি নিয়ে ১৯৬৫-১৯৬৮ সালে গড়ে তোলা ডিএনডি বাধে প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ২০১৫ সালে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিএনডি এলাকা ঘুরে মানুষের দুর্ভোগের চিত্র দেখেন। পরে ২০১৬ সালে একনেকের সভায় ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে একনেকে প্রকল্প অনুমোদনের পর বছর পার হয়ে ফের বর্ষা মৌসুম চলছে। গত মাসের কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ডিএনডির অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সেই পানি না কমতেই ফের বৃষ্টি হয়ে জলাবদ্ধতা আরো ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষের ধারনা একনেকের এই কাজের কারনেই এবার এ অঞ্চলে কোনো নিস্কাষনের কাজ করা হয়নি।
অনেক এলাকা ঘুওে দেখা যায় প্রতি বছর কম-বেশি পানি নিস্কাষনের জন্য ড্রেন ও খালগুলো পরিস্কার করা হয়। কিন্তু এ বছর প্রায় সব এলাকাই এ কাজ বন্ধ ছিলো। তাই বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার ডিএনডি বাধের মধ্যে কয়েক লক্ষ মানুষ দীর্ঘদিন যাবত খুব কষ্টকর অবস্থায় পানিবন্দি। অনেকে চলাচলের জন্য বাড়ির ভেতরে তৈরি করেছে সাঁকো। এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে আছে হাঁটু সমান পানিতে। মানুষ চলাচলে জন্য ব্যবহার করছে নৌকা। শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ বাড়িতে ঘরের ভেতর পানি ঢুকে আছে। আর শিক্ষার্থীরা কাদা-পানি ঠেলে কষ্ট করে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। অনেক মসজিদ গুলোতে পানি ডুকে যাওয়ায় মুসুল্লিদের নামাজ পড়ায় খুব অসুবিধা হচ্ছে। এত কষ্টের মধ্যে পানিবন্দি অবস্থায় বসবাসরত অসহায় মানুষের খোঁজ কেউ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জলাবদ্ধতার কারনের খাবার-দাবার জোগার করা ও রান্না করার সমস্যয় অনেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী শুষ্ক এলাকায়। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় চারিদিকে থই থই পানি। পানির মধ্যে মানুষের বসবাস। বিভিন্ন স্থানে চলছে নৌকা। কোথাও আবার হাটু পানি ভেঙ্গে চলাচল করছে মানুষ। বিভিন্ন বাসায় তলিয়ে আছে বিশুদ্ধ পানি উত্তলনের মটোর। শিশুরাও ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে।
কয়েক দিনের বর্ষণের ফলে ফতুল্লা পাইলট স্কুল এলাকা, ব্যাংক কলোনি, সেহাচর তক্কার মাঠ, মিজমিজির পাইনাদী, সিআইখোলা, কালাহাতিয়ার পাড়, নতুন মহল্লা, মজিববাগ, রসুলবাগ, নয়াআটি, তুষার ধারা, হাজীগঞ্জ, গিরিধারা, সাদ্দাম মার্কেট, জালকুড়ি, শহীদ নগর, ভূইঘর, দেলপাড়া, রামারবাগ, লালখাঁ, লালপুর, সস্তাপুরসহ বিভিন্ন নিচু এলাকার অনেক বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ পানিতে তলিয়ে গেছে। অথচ, ডিএনডির নারায়ণগঞ্জ অংশে জেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান, মেয়র ও দুইজন সংসদ সদস্যসহ প্রায় ৫০ জন জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব পালন করছেন।