৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 194

‘রোহিঙ্গা গণহত্যা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণকে ভয় পাই না’ – সু চি

মিয়ানমারে নির্বিচারে রোহিঙ্গা গণহত্যায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্বেগে মোটেও বিচলিত নন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর (কার্যত প্রধানমন্ত্রী) অং সান সু চি। তিনি কঠোর সুরে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পর্যবেক্ষণ মিয়ানমার ভয় পায় না।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব নেতারা মিয়ানমারে আসুন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করুন, দেখুন কেন রোহিঙ্গারা পালাচ্ছে।

আজ রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের নাইপিদো-তে দেওয়া ভাষণে সু চি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গারা পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে। তবে সরকার শান্তি বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

সু চির ভাষণ নিয়ে কী বলছে বিশ্ব নেতারা ?

দীর্ঘদিন চুপ থাকার পর মিয়ানমারের রাখাইনের রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আজ মঙ্গলবার নীরবতা ভাঙেন স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। টেলিভিশনে প্রচারিত জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, রাখাইনে সবার দুর্ভোগ গভীরভাবে অনুভব করে তাঁর সরকার। সেখান থেকে মুসলমানদের পালিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার খবরে সরকার উদ্বিগ্ন। মুসলমানরা কেন পালাচ্ছে, তা সরকার খুঁজে বের করতে চায় বলেও তিনি জানান। সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানান। রাখাইনে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন।

এএফপি বলছে, তবে সু চির এসব কথায় আশ্বস্ত হতে পারছে না আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তারা বলছে, সু চি তাঁর ভাষণে সেনাবাহিনীর ভূমিকার বিষয়ে কিছু বলেননি। তিনি তাঁর বক্তব্যে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আক্রান্ত লোকজনকে দোষারোপ করেছেন।

মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান মিশনের প্রধান মারজুকি দারুসমান বলেছেন, রাখাইনে যেসব সহিংসতার অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা খতিয়ে দেখতে হলে ঘটনাস্থলে যেতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন দেশটিতে পূর্ণভাবে অবাধে প্রবেশের নিশ্চয়তা। এই সংকটের বিষয়ে দ্রুতই দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা সহিংসতার অভিযোগের বিষয়ে কিছু না বলায় অং সান সু চি ও তাঁর সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি বলছে, আজকের ভাষণে সু চি স্পষ্ট করেছেন যে তিনি ও তাঁর সরকার রাখাইনের সহিংসতা বিষয়ে বালুতে মাথা গুঁজে রেখেছেন। তিনি বরং তাঁর বক্তব্যে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। যারা আক্রান্ত হয়েছে, তাদেরই দোষারোপ করেছেন। সু চি পরিস্থিতি দেখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যে আহ্বান জানিয়েছেন, সে ব্যাপারে সংস্থাটি বলছে, মিয়ানমারের যদি কিছু লুকানোর না থাকে, তাহলে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান কমিটিকে তদন্তের জন্য দেশটিতে ঢুকতে দেওয়া হোক।

রাখাইনে চলমান দমন-পীড়নের মুখে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই এ বিষয়ে মিয়ানমার ও সু চির ভূমিকার সমালোচনা করে আসছেন।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের কর্মকর্তা ফিল রবার্টসন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে কিছুটা বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করছেন সু চি। তবে তিনি এত কিছু বলছেন না, যা তাঁকে সেনাবাহিনী ও মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে ঝামেলায় ফেলতে পারে। কারণ এ দুটি পক্ষই রোহিঙ্গাদের অপছন্দ করে।’

রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাংলাদেশে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন সু চি

অবশেষে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মুখ খুললেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। তিনি বলেছেন, রাখাইন থেকে মুসলমানদের পালিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার খবরে তারা (সরকার) উদ্বিগ্ন। তারা সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায়।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আজ মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে সু চি এ কথা বলেন। তাঁর ভাষণ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

মিয়ানমারের রাখাইনে সবশেষ সহিংসতা শুরুর পর এই প্রথম প্রকাশ্যে বক্তব্য দিলেন সু চি। রাখাইনে চলমান দমন-পীড়নের মুখে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটে এত দিন নীরব থাকায় সমালোচিত হচ্ছিলেন সু চি।

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, রাখাইন সহিংসতায় সব মানুষের দুর্ভোগ গভীরভাবে অনুভব করেন তিনি।

সু চি বলেন, ‘রাখাইন থেকে মুসলিমরা কেন পালিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে চাই।’

বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের সত্যাসত্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া যেকোনো সময় শুরুর ব্যাপারে মিয়ানমার প্রস্তুত বলে জানান সু চি।

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর বলেন, ‘আমরা শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা রাখাইনে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।’

এনএলডি নেত্রী বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, ঐক্য চাই। যুদ্ধ চাই না।’

অন্যকে দোষারোপ করা বা দায়িত্ব এড়ানো মিয়ানমার সরকারের উদ্দেশ্য নয় উল্লেখ করে সু চি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বেআইনি সহিংসতার নিন্দা জানাই।’

রাখাইন সংকট প্রসঙ্গে সু চি বলেন, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আছে। তাঁদের সব কথাই শুনতে হবে। কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগে অভিযোগগুলো যে তথ্য-প্রমাণনির্ভর, তা নিশ্চিত করতে হবে।

পরিস্থিতি দেখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাখাইন পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন সু চি। এ ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বলেছেন, কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে তাঁর সরকার কাজ করবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রাখাইন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের বিষয়ে মিয়ানমার সরকার ভীত নয় বলে উল্লেখ করেন সু চি। তিনি বলেন, মিয়ানমার একটি নবীন ও ভঙ্গুর দেশ। তাঁরা অনেক সমস্যা মোকাবিলা করছেন। সব সমস্যাই মোকাবিলা করতে হবে। কিছু সমস্যা নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না।

‘সুচির বাহিনী যা করছে শেখ হাসিনার বাহিনীও তাই করছে’-বিএনপি‘র নেতৃবৃন্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়ের কেরানীগঞ্জের বাড়িতে সম্প্রতি দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সভায় পুলিশি হামলা প্রসঙ্গে বিএনপি নেতারা বলেছেন, এ হামলার সঙ্গে মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর চলমান হামলার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। দেশে যারা বিএনপি করে তারা যে ধর্মেরই হোক তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে বাধা দিচ্ছে এ সরকার।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন দলটির নেতারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়ের বাসায় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সভায় হামলার প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির ভাইস- চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়া, আতাউর রহমান ঢালী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ড, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমতউল্লাহ, রমেশ দত্ত, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল বাট পি কস্তা প্রমুখ।

গয়েশ্বরচন্দ্র রায়ের বাসায় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সভায় হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা বিএনপি করে তাদের মধ্যে যারা মুসলমান তাদের ইফতার করতে দেয়া হয় না। যারা হিন্দু তাদের পূজা করতে দেয়া হয় না। যারা বৌদ্ধ তাদের প্রার্থনায় বাধা দেয়া হয়। এ হচ্ছে বাংলাদেশের চিত্র।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়ের বাড়ির দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সভায় পুলিশের হামলা- এটা গণতন্ত্রের ওপর ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা। কারণ, গয়েশ্বরচন্দ্র রায় আজীবন গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে চলেছেন।

তিনি বলেন, দেশ একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এ অবৈধ সরকারের অপসারণ ছাড়া আমাদের কোনো মুক্তি নেই।

দফায় দফায় মিয়ানমারের সামরিক ড্রোন ও হেলিকপ্টার বাংলাদেশের আকাশসীমা লংঘনের প্রসঙ্গ টেনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, মিয়ানমার আমাদের দেশের আকাশসীমা লংঘন করছে, আমাদের পানি সীমা লংঘন করছে, তারা যদি আমাদের দেশকে দখল করতেও আসে তার পরও বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার কিছুই বলবে না। পাল্টা জবাব তো দূরের কথা।

তিনি বলেন, সরকার দেশের ভেতর বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে। সুচির নিরাপত্তা বাহিনী আর শেখ হাসিনার আইনশৃংখলা বাহিনীর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সুচির বাহিনী যা করছে, শেখ হাসিনার বাহিনী তাই করছে।

গয়েশ্বরচন্দ্র রায়ের বাড়িতে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সভায় পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এ হামলার সঙ্গে মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর যে হামলা হচ্ছে, তার কোনো পার্থক্য নেই।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, কয়েক দিন আগে আমরা (বিএনপি) রোহিঙ্গাদের জন্য ২২ ট্রাক ত্রাণ নিয়ে কক্সবাজার গিয়েছিলাম, আমাদের সেই ত্রাণ দিতে দেয়া হয়নি। আপনারা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখছেন কী কষ্টে তারা (রোহিঙ্গা) দিনাতিপাত করছে। সারা দেশের মানুষকে যখন পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানানোর দরকার কিন্তু সেই আহ্বান না জানিয়ে বিএনপিকে ২২ ট্রাক ত্রাণ দিতে বাধা দেয়া হয়েছে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন সামাজিক অনেক সংগঠনই সাহায্য দিচ্ছে কিন্তু সরকারসহ ১৪ দলের কাউকে সেখানে ত্রাণ দিতে দেখা যায়নি। তাদের মুখে শুধু বড় বড় কথা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রতিদিনই গলাবাজি করছেন। চিবিয়ে চিবিয়ে মিথ্যা কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি যখন রিলিফ দেন। সরকারি ভাণ্ডারের চাবি আপনাদের হাতে। আপনারা সেখানে পুলিশ পাহারায় রিলিফ দেন কিন্তু আমরা কোনো সহযোগিতা চাইনি, তার পরেও আপনারা আমাদের রিলিফ দিতে দেননি। আমরা প্রশাসনকে বলেছিলাম আপনারা আমাদের সঙ্গে এই ত্রাণ বিতরণ করেন কিন্তু তারা রাজি না হয়ে আমাদের বলে আপনারা ২-৩ বস্তা বিতরণ করে ছবি তুলে চলে যান আর বাদ-বাকি আমাদের গুদামে জমা দেন। তাহলে ভাবেন একবার দেশের কী অবস্থা?

নারায়ণগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার উচিৎপুরা-জাঙ্গালিয়া সংযোগ সড়কে একটি ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করছে যান বাহন। দীর্ঘদিন ব্রিজটি ভাঙা থাকলেও প্রতিনিয়তই ভারী যান বাহন চলাচল করতে দেখা যায়। যে কোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এতে বন্ধ হয়ে যাবে এই সড়কে চলাচলরত প্রায় ৫ হাজার মানুষের যাতায়ত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকের এখানে নেই কোনো সতর্ককরণ বিজ্ঞপ্তি। এতে রাতের আধারে ভারী যানবাহন চলাচল করছে। উচিৎপুরা বাজার থেকে জাঙ্গালিয়া বাজারে যাতায়তের অন্যএকটি সড়ক থাকলেও তাতে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।

স্থানীয় যুবক আবদুল কাদির বলেন, উচিৎপুরা বাজারের কিছু অদূরে ছোট ব্রিজটি র্দীঘদিন ধরেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর দুইটি স্থান ধসে গেছে। আটবার এর ভাঙা অংশে সিমেন্ট দিয়ে ঢালায় করা হয়। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। অতিরিক্ত গাড়ীর চাপে এটি ভেঙে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যানবাহন চলাচলে অনেক ঝুঁকি থাকার পরও কেউ এটি মেরামতেও এগিয়ে আসছে না। যান বাহন চলাচলের জন্য এলাকার লোকজনই ভাঙা অংশে ইট দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। এতে গাড়ীর চালক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা এলজিইডি’র উপসহকারি প্রকৌশলী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ব্রিজের ভাঙা অংশে ব্লাপ বসিয়ে দেয়া হবে। ব্রীজটি এক সহকারি প্রকৌশলী পরিদর্শন করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় যুবলীগ কর্মী আসামিদের হাতে মারধরের শিকার

ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের মামলায় সাক্ষী দিতে এসে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় হোসেন নামের এক যুবলীগ কর্মী আসামিদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ সময় পুলিশ ধাওয়া করে ওই সাক্ষীসহ হামলাকারী আরও দুই যুবলীগ কর্মীকে আটক করেছে।

সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।আটককৃতরা হলেন- রূপগঞ্জ উপজেলার মুশুরী গ্রামের সামছুদ্দিনের ছেলে সাক্ষী মোহাম্মদ হোসেন, একই এলাকার ওমর আলীর ছেলে আসামি জয়নাল আবেদিন ও তাদের পাশের এলাকার বলাইখার আবু সিদ্দিকের ছেলে বাবু মিয়া।

মামলার বাদী রুমেল নিজেকে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করে বলেন, ২০১৫ সালের ৫ জুলাই পূর্বশত্রুতার জের ধরে একই এলাকার যুবলীগ কর্মী জয়নাল আবেদিনসহ ৮ থেকে ১০ জন মিলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপায়।

এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়। এই মামলায় সোমবার যুবলীগ কর্মী হোসেনসহ চারজন সাক্ষী দিতে আদালতে আসেন। সাক্ষীদের আদালতের বারান্দায় দেখে আসামি জয়নাল ও তার লোকজন ফুসে ওঠে। এক পর্যায়ে তাদের এলাকায় চলে যেতে বলে। কথা না শোনায় সাক্ষীদের ওপর হামলা চালায় জয়নাল ও তার লোকজন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী যুগান্তরকে জানান, মারামারি করার সময় তিনজনকে পুলিশ ধরতে পেরেছে। অন্যরা পালিয়ে যায়। কে সাক্ষী আর কে আসামি তা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিন ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা, তবু ভিক্ষা করেন মা!

তিন ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা, মেয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা অথচ তাদের গর্ভধারিণী মা মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করছে। বর্তমানে তিনি এতোটাই মানবেতর জীবন যাপন করছেন যে দিনের এক বেলা ভাতও জুটছে না তার ভাগ্যে। বলছি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী সরদারের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের (৭০)  জীবন সংগ্রামের কথা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইয়ুব আলী কৃষক পরিবারের সন্তান হলেও নানা অভাব অনাটনের সংসারে ৬ সন্তান নিয়ে ভালোভাবেই দিন কেটেছে তাদের।
আইয়ুব আলী-মনোয়ারা দম্পতির ছয় সন্তানের মধ্যে তিন ছেলে- ফারুক হোসেন, নেছার এবং জসীম উদ্দিন পুলিশে কর্মরত আছেন। মেয়ে মরিয়ম সুলতানা শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত । অন্য দুই সন্তান শাহাবউদ্দিন ব্যবসা এবং গিয়াস উদ্দিন নিজের ব্যবহৃত ইজি বাইক ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে এতগুলো সু-সন্তানের গর্ভধারিণী মাকে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে।
বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম বয়সের ভারে স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে পর্যন্ত পারেন না। এদিকে গত ৪-৫ মাস আগে ভিক্ষা করতে যেয়ে পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভেঙ্গে যায়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বাবুগঞ্জের স্টিল ব্রিজের পাশে একটি খুঁপরী ঘরে বিনা চিকিৎসায় অর্ধাহারে বেঁচে আছেন।
মনোয়ারা বেগমের ছেলে ইজি বাইক চালক গিয়াস উদ্দিন জানান, আমার সাধ্য মত মাকে চিকিৎসা দেবার চেষ্টার করছি। এখন আমিও সহায় সম্বলহীন তাই বৃদ্ধ মা আজ বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু পথযাত্রী। আমার তিন ভাই পুলিশ অফিসার। তারা তাদের স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্যত্র থাকে।মায়ের কোন খোঁজ খবর নেয় না।

সফল সন্তান নির্মানে যে ১০টি নির্দেশনা বাবা মায়ের মেনে চলা উচিৎ

আপনি কি আপনার সন্তানকে গড়ে তুলার জন্য কিছু নির্দেশনা খুঁজছেন? চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনাদের জন্য ১০ টি নির্দেশনা দিচ্ছি যাতে আপনারা আপনাদের সন্তানদের সহজে গড়ে তুলতে পারেন।

                                                               নির্দেশনাঃ

১। আপনার সন্তানকে শুষ্টভাবে গড়ে তুলা অভিভাবক হিসেবে আপনার দ্বায়িত্ব কর্তব্য। আপনার সন্তানের কিছু নিশ্চিত বিষয়ের উপর আপনার অটল থাকতে হবে। তাদের সাথে রাগী বা চিৎকার করে কথা বলবেন না।

২। আপনার তাদের সাথে অভিবাভকের পাশাপাশি বন্ধু হয়ে থাকবেন।যখন আপনার বাচ্চা ছোট থাকবে তখন তার বন্ধু থাকবেনা। আপনাকে তখন তার বন্ধু হতে হবে।এতে আপনার সাথে তার বন্ধনটাও দৃঢ় হবে।

৩। আপনার সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করুন।একদম ছোটবেলা থেকে তার দেখাশুনা করুন।তার সামর্থকে সমর্থন করুন।তাকে আদরের সাথে,গল্প বলে খাওয়ান।তার বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তাকে সামাজিক কাজে মনোযোগী করুন।

৪। তারা যখন ভুল করে তবে তাদের জানিয়ে দিন সেটা ভুল এবং তাদের শান্তভাবে কাজটা না করার উপদেশ দিন।যখন তারা ভাল কিছু করে তখন তাদের তারিফ করবেন।মাঝে মাঝে তাদের ভাল কিছু করার জন্য গিফট দিন।

৫। তার কথা শুনবেন।তাকে বিরক্তির সাথে দেখবেন না।তার শিশুসুলভ আচরণ নিয়ে উপহাস করবেন না।  এতে করে সে অসহায় হয়ে পড়তে পারে।

৬। তার বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাকে আপনার ধর্ম সম্পর্কে তথ্য জানান।নিজ ধর্মের আচারআচরণ,নিয়মকানুন শিখান।বড়দের প্রতি তার কিরুপ আচরণ করতে হবে তা শিখান।

৭। আপনার সন্তানকে কখনো অন্যের সামনে লজ্জা দিবেন না।সকলের সামনে লজ্জা দেয়ার ফলে আপনার সন্তানের আত্মঃনির্ভরশীলতা কমে যাবে।তবে প্রয়োজনে তাকে লজ্জা দিবেন; কিন্তু সকলের সামনে না।

৮। তাকে সদা আপনার ভালোবাসা দেখাবেন।সে যখন আপনার কাছে আসবে তাকে ভালোবেসে বুকে টেনে নিবেন।আপনার কাছ থেকে সে যতটুকু ভালোবাসা চায় আপনি তাকে এর চেয়ে বেশী ভা্লোবাসা দেখাবেন।যাতে সে মনে করে তাকে আপনি সবকিছুর চেয়ে বেশী ভালোবাসেন।

৯।তাকে আপনার বাল্যকালের বিভিন্ন ঘটনা বলেন।আপনি বাল্যকালে বিদ্যালয়ে এবং বাসায় কি করতেন তা আদরের সাথে তাকে জানান।

১০। তার সাথে সময় ব্যয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তার সাথে কথা বলবেন, খেলবেন।তার কথা শুনবেন।তাকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে যাবেন।আপনার পছন্দঅপছন্দ গুলো তাকে জানান।তার পছন্দঅপছন্দ সম্পর্কে তার কাছে প্রশ্ন করেন।


রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের নির্মমতা দেখতে পেয়েছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ‘জনাথন হেড’

সাধারণত ম‍ায়ানমারের মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ। তারপরও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের একটি গ্রামে কড়া পাহাড়ায় কিছু বিদেশি সাংবাদিকদের নিয়ে যায় মিয়ানমার সরকার। মিয়ানমার সরকারের অনেক সাবধানতা অবলম্বনের পরও রোহিঙ্গাদেরও ওপর চলা নির্যাতনের নির্মমতা দেখতে পেয়েছেন ব্রিটিশ এক সাংবাদিক।

ব্রিটিশ ওই সাংবাদিকের নাম জনাথন হেড। যিনি সম্প্রতি মিয়ানমার সরকারের আমন্ত্রণে গণমাধ্যমকর্মীদের একটি দলের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের শর্ত দেয়া ছিল সবাইকে একসঙ্গে চলাফেরা করতে হবে। স্বাধীনভাবে কোন কিছু পরিদর্শন করা যাবে না। শুধুমাত্র সরকারের নির্দিষ্ট করে দেয়া জায়গাগুলোই দেখা যাবে।

রোহিঙ্গা গ্রাম স্বচক্ষে দেখার পর জনাথন বলেন, ‘নির্ধারিত গ্রামটিতে ঢুকেই প্রথম বাড়িতে আগুনের চিহ্ন দেখা গেল। দেখেই বোঝা যায়, অধিকাংশ বাড়িতেই আগুন দেয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে কিছুক্ষণ আগেই আগুন দেয়া হয়েছিল। গ্রামে একদল তরুণকে হাতে খোলা তলোয়ার ও দেশলাই নিয়ে ঘুরতে দেখলাম। গ্রামের রাস্তাগুলোতে দেখা গেল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন গৃহস্থালি পণ্য, শিশুদের নানারকম খেলনা ও নারীদের পোশাকের বিভিন্ন অংশ।’

জনাথন হেড বলেন, ‘নিজ চোখে একটি রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়ে যেতে দেখেছি।’ রাখাইনের মংগদু জেলায় আল লে থান কিয়া শহর পরিদর্শন শেষে ফিরে আসার সময়ও পুড়ে যাওয়া অনেক বাড়িঘর তিনি দেখতে পান। এমনকি অনেক বাড়িঘর থেকে তখনও ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। পুলিশ গণমাধ্যমকর্মীদের ওই দলটিকে জানায়, রোহিঙ্গা মুসলমানরা নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে।

জনাথন আরো বলেন, ‘রাখাইনে থাকতেই আমরা গুলির শব্দ শুনতে পাই। বিচ্ছিন্নভাবে অন্তত তিনটি স্থানে ধোঁয়া উড়তে থাকে। বনের পাশে থাকা ধানক্ষেত থেকেও বড় ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা যায়। সেটিও একটি গ্রাম। বিষয়টি ভালোভাবে জানতে আমরা সেই ধোঁয়ার কুণ্ডলির কাছে গিয়েছিলাম। সেখানেও প্রথম বাড়িতেই আগুনের চিহ্ন দেখতে পাই এবং আগুনের ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগের বলেই মনে হলো।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের গ্রামটিতে হাঁটার সময় তরুণদের একটি দল চোখে পড়ে। তারা দেশলাই ও তলোয়ার নিয়ে ঘুরছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা রাজি হয়নি। ছবিও তুলতে দেয়নি। পরে মিয়ানমারের স্থানীয় সাংবাদিকরা তরুণদের সাথে কথা বলেন। তরুণদের কয়েকজন রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন দেয়ার কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে সহায়তা করেছে বলে জানায় ওই যুবক।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের অক্টোবর মাস থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর চলছে দেশটির সেনাবাহিনীর নৃশংসতা। সেনা অভিযানের নাম করে সেখানে চলছে খুন, ধর্ষণ, হত্যা আর রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে তাদের করা হচ্ছে বিতাড়িত। গত এক সপ্তাহে রাখাইন রাজ্য থেকে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজার যাবেন ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কূটনীতিকরা

মায়ানমারের সরকারি বাহিনীর নির্যাতন থেকে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজার যাবেন ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কূটনীতিকরা। ১৩ই সেপ্টেম্বর তাদের কক্সবাজার নিয়ে যাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ সোমবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দক্ষিণ এশিয়া ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর কূটনীতিকদের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করার পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এর আগে গতকাল ইউরোপ, আমেরিকা ও আরব দেশগুলোর কূটনীতিকদের ব্রিফ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্রিফিং শেষে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করেছেন তারা। একই সঙ্গে এ ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহায়তারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কূটনীতিকরা।

গত ২৪ অগাস্ট রাতে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে হামলার ঘটনার পর থেকে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে চালানো হচ্ছে হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ। যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন, তারা ছুটে আসছেন বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে।

গত চার দশকে ধরে আসা ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বহন করে আসা বাংলাদেশে এই দফায় আরও তিন লাখের মতো রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বলে ইতোমধ্যে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। (আরআই)