সিদ্ধিরগঞ্জে তীব্র গ্যাস সংকটে ভোগান্তি বাড়ছে

94

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিদ্ধিরগঞ্জের কান্দাপাড়া, সাহেবপাড়া, দক্ষিণপাড়া ও বাতেনপাড়ায় তীব্র গ্যাস সংকটে হাজার হাজার পরিবার সমস্যায় পড়েছে। আবার জলাবদ্ধতার কারণে মানুষ মাটির চুলায়ও রান্না করতে পারছে না। ফলে অনেককে হোটেলের খাবারের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এসব এলাকায় সারাদিন গ্যাস থাকে না। রাত ১১টার পর গ্যাস একটু আসলেও তা দিয়ে রান্না করা যায় না।
সরেজমিন সিদ্ধিরগঞ্জের কান্দাপাড়া ও সাহেবপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গ্যাস সংকটে কারো বাড়িতে রান্নার উপায় নেই। গ্যাসের এ সংকট নিয়ে কথা হয় কান্দাপাড়া এলাকার বাসিন্দা কহিনূর, পারুল আক্তার, রোকসানা, সানজিদা, মনোয়ারা, মরিয়াম, আয়শা নামে কয়েকজন গৃহীনির সাথে। তাদের সকলের অভিযোগ, সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টার পর্যন্ত গ্যাস থাকে না তাদের এলাকাতে। রাতে সামান্য গ্যাস দেখা গেলেও এতে রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না। কান্দাপাড়ার পাপ্পু মাহবুব বলেন, আমাদের এখানে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসের সংকট। গ্যাস না থাকায় সিলিন্ডারের গ্যাস দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে। সরকার গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে অথচ গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বর্ধিত হারে গ্যাসের বিলও দিতে হচ্ছে পাশাপাশি সিলিন্ডারও নিতে হচ্ছে। অনেকে সিলিন্ডারের খরচ ও দুর্ঘটনার ভয়ে মাটির চুলায় রান্না করছেন। তবে এখন বাড়িতে বাড়িতে পানি জমে থাকায় মাটির চুলায় রান্না করাও সমস্যা হয়ে গেছে।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কাপোরেশনের দুই নং ওয়ার্ড এলাকার সাহেবপাড়া, কান্দাপাড়া, দক্ষিণপাড়া, রঘুনাথপুর এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত তীব্র গ্যাস সংকট চলছে। অন্তত এক বছর ধরে এ এলাকার বাসা-বাড়িতে দিনের বেলায় গ্যাস থাকে না। তাই এসব এলাকার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।  রান্না করতে না পারায় খাবার নিয়ে কাজে যেতে পারছেন না চাকরিজীবীরা। এনিয়ে একাধিকবার এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়েছে। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জরুরি ভিত্তিতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

বিষয়টি নিয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশনের নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক বিপণন ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমানের সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশনের পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী এইচ এম আলী আশরাফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এখানে সিস্টেমে কিছু সমস্যা রয়েছে। তাই কোনো কোনো জায়গায় গ্যাস পেতে সমস্যা হতে পারে। তবে ওই এলাকার বিষয় আমার আওতার মধ্যে না।