কিরুপ আচরণ করতে হবে, মেহমানদের কিভাবে গ্রহণ করা হবে, কথা বলার ক্ষেত্রে সুন্নাত কি এসব সবক প্রদানের মাঝে যিনি জীবন পার করলেন, আজ ওনার এসব বিষয়ে সুন্নাহবিরোধী সর্বোপরি বিবেক বহির্ভূত আচরণ দেখে আমরা তাজ্জব হলাম। একজন প্রথিতযশা আলেম হিসেবে নয়, একজন সাধারণ মানুষও কি এমন আচরণ করতে পারেন?
রুমে প্রবেশের পর আব্বাসী হুজুরের নাম বলার পর থেকেই শুরু হয় ওনার বিমাতাশুলব আচারণ, হুমকি, ধমকি ও কটুবাক্যে। একের পর এক শানিত করে যাচ্ছেন এসব বৈরী আচরণে। চেহারাকে অগ্নিসর্মা করে, চোখ রাঙ্গিয়ে, উচ্চবাচ্য করে এমনভাবে আমাদের শাসালেন যে মনে হয় কোন শত্রুকে হুমকি ধমকির মাধ্যমে ভীতিসঞ্চার করেছেন।
আমরা মর্মাহত, নির্বিকার ও পাঠকের কাছে বিচারপ্রার্থী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে শুরু করলাম ২৫ মে বাহাস প্রসঙ্গে আয়োজনের যাবতীয় বিষয়াবলী নিয়ে। বাহাস শব্দ শুনেই তিনি অগ্নিসর্মা হয়ে গেলেন, বললেন কিসের বাহাস কোন বাহাস নয়, আমাকে বলা হয়েছে ইলমী মুজাকারার কথা, উভয় পক্ষ্যের ৫ জন ৫ জন বা ১০ জন ১০ বসে আলোচনা করবেন।
অথচ পাঠক নিশ্চয়ই অবগত আছেন দুই পক্ষই বাহাস করার জন্য দীর্ঘ দুই মাস যাবৎ বিভিন্ন বৈঠক করে আসছে, সব বৈঠকেই বাহাসের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, অথচ এখন বাহাসের কথা সরাসরি অস্বীকার করে পীঠ বাচাতে ইলমী মুজাকারার আশ্রয় নিচ্ছে। পাঠক নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে উভয়পক্ষের সম্মতিতে যে চুক্তিনামা করা হয়েছে তাতে শিরোনাম দেওয়া হয়েছে প্রচলিত মিলাত কিয়াম নিয়ে বাহাসের চুক্তিনামা।
ওনারা ভালো করেই জানেন বাহাস আর সাথারণ মুজাকারা এক নয়, বাহাসের নির্দিষ্ট কিছু শর্ত থাকে, কিছু নিয়ম থাকে যা সাধারণ আলোচনায় থাকেনা। মিলাদ কিয়াম বিরোধীরা বাহাস থেকে সড়ে এসে কেন্ন সাধারণ আলোচনায় বসতে তোড়জোড় শুরু করেছেন তা পাঠকমহল ভালো করেই বুঝতে পারছেন।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা সবসময় এক নীতিতে বিশ্বাসী, তাই চুক্তি মোতাবেক বাহাসই হবে সাধারণ কোন আলোচনা সভা (মুজাকারা ) নয়। কেননা ফলাফল প্রক্রিয়া বিহীন কোন আলোচনায় চুড়ান্ত সমাধান আসেনা।
অতএব সাধারণ মুজাকারা নয়, হতে হবে বাহাস। হযরতের কাছে আমরা জানতে চাইলাম প্রশাসনিক নিরাপত্তার বিষয়ে। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করার পরই হযরত আরো গরম হয়ে উঠলেন, কিসের প্রশাসন? কোন প্রশাসন আসবে না, আমিই প্রশাসন। অর্থাৎ কোন প্রশাসন ওনারা বরদাশত করবেন না, জানাবেন না, এমনকি ঢুকতেও দিবেন না।
হযরতকে জিজ্ঞেস করলাম তাহলে পূর্ণ জিম্মাদারি নিয়েছেন আপনি? হযরত পূর্ণ শক্তি দিয়ে অস্বীকার করে বললেন জিম্মাদারি আমার নয়, জিম্মাদারির কোন প্রশ্নই আসেনা।
পাঠক কি দাড়ালো?
ষড়যন্ত্রের রুপরেখা কতোটা ভয়াবহ তা অবশ্যই দেখতে পাচ্ছেন। ওনার মাদরাসার ভিতরে হাজার হাজার ছাত্র আছে অথচ বাহাসের নিরাপত্তার জন্য কোন প্রশাসন দিবেন না এবং জিম্মাদারিও নিবেন না, অর্থাৎ সম্মিলিত পরিকল্পনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট চকে অগ্রসর হচ্ছেন ওনারা। যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে প্রশাসনের বিষয়ে এতো নাটকীয়তা কেন? এতো তালবাহানা কেন? কি জবাব দিবেন ঐ পক্ষের প্রতিনিধি দল? বিগত ৯ মে কেন ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল গঠন করা হলো? যদি সত্য প্রতিষ্ঠাই তাদের মাকসাদ হতো তাহলে প্রশাসন নিয়ে এতো তালবাহানা কেন? এতো ভয় কেন? নাকি নিজেদের পরিকল্পিত চকে অগ্রসর হতে প্রশাসনের লোকেরা প্রধান বাধা। প্রতি প্রোগ্রামে প্রশাসনের কথা বলে আসলেও বাহাসের ৪ দিন আগে প্রশাসন নেওয়া যাবেনা, বাহাস নয় সাধারণ আলোচনা হবে, বিবিধ বিষয় প্রমাণ করে বাহাস থেকে সটকে পড়তে একের পর এক বাহানা। ১৩.৫০ মিনিট থেকে ১৪.২৪ মিনিট পর্যন্ত হযরতের হুমকিতে আমরা রীতিমত নিস্তব্ধ ও ভীতসন্ত্রস্ত। “কোন কথা বলবোনা ২৫ তারিখ আসেন। না, কি ঠেকছে আমার কথা বলার, কেন আমাকে চেতাইতেছেন, তারা বলতেছে হুজুরে এদের লালনপালন করতেছে। উদারতার (…) প্রশাসনের ভয় দেখান কেন আমাকে? যত কথা বলবেন ততো মাইর খাবেন আপনারা। পর্যালোচনা এখানেই সব পরিষ্কার যে কেন প্রশাসন নিতে চাচ্ছেন না। একটা পক্ষের প্রতিনিধি দলের সাথে কোন কথা বলতেই তিনি অপারগ। অথচ ঘন্টার পর ঘন্টা ঐ পক্ষ্যের আর্জি শুনে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এ এক বিমাতাশুলব আচরণ। হযরতের শেষ উক্তি যে কতোটা ভয়ংকর তা পাঠক ও শ্রোতারাই বিবেচনা করবেন। “যত কথা বলবেন ততো মাইর খাবেন আপনারা” নির্বিগ্নে নিরীহ অবস্থায় মারামারি ই কি মূল মাকসাদ? ওনি মাইরের হুমকি দেন কি করে?মিলাদ কিয়ামের পক্ষ্যে প্রতিনিধি হয়ে আমাদের যাওয়া নাকি চরম বেয়াদবি হয়েছে, হযরত নিজেকে মুহিউস সুন্নাহ দাবি করলেও এক্ষেত্রে কোন সুন্নাতের পরিচয় দিলেন?
* রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে কি কোন গোত্র বা কওম কর্তৃক প্রতিনিধি দল আসেননি? তাতে কি হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেয়াদব সম্মোধন করেছেন? গোত্র প্রধান আসতে হবে বলে বৈরী আচরণ করেছেন?
কোথায় আজ রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ?
সম্পূর্ণ বিপরীত আদর্শের ধারক হয়েও যে তথাকথিত মুহিউস সুন্নাহ হওয়া যায় তা আজ বুঝলাম….
পাঠক আরো একটু গভীরভাবে চিন্তা করুন….
আব্বাসী হুজুরকে নাকি হযরত চিনেনই না, তাহলে হযরত দেখা করার জন্য আব্বাসী হুজুরকে আসার কথা বললেন কেন?
এ এক স্ববিরোধী উক্তি?
ড. সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুরের সম্পূর্ণ বিষয়াবলী (হুজুরের আকিদাহ সম্পর্কে সব জানেন) সম্পকে জানেন অথচ হুজুরকেই চিনেন না।
হুজুরের খানকার সামনে দিয়ে ২ বছর নিয়মিত যাতায়াত করেও হুজুরকে চিনেন না।
হযরতের ছেলে নিট কনসার্সে চাকুরীর সুত্রে ২ বছর নিয়মিত খানকাতে এসে বসে থাকতেন, অথচ হযরত চিনেন না।
হুজুরের বাসার (আব্বাসী মনজিল) পাশেই অবস্থিত নিট কনসার্সের কর্ণধার….. (যিনি হযরতের মাদরাসার সবচেয়ে বড় ডোনার) অনবরত ডোনেশন কালেকশনে এসেও হুজুরকে চিনেন না।
চমৎকার স্ববিরোধী বক্তব্য…… হযরতের কথার আওয়াজ ও ব্যবহার এমন হবে তা ছিলো কল্পনাতীত।
গালিগালাজ : আমাদের শাইখ এবং মিলাদ কিয়ামের পক্ষের প্রধান মুবাহিস ড. সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুরকে ২টি অশালীন ও কটুবাক্যে সম্মোধন করে বলেন বেয়াকুফ ও বদমাইশ। আস্তাগফিরুল্লাহ!! নাউজুবিল্লা।।
এ অধিকার ওনাকে কে দিলো যে তিনি গালিগালাজ করবেন?
একজন সাধারণ মানুষের মুখেও তো এ ভাষা বড় বেমানান ও গুনাহের কাজ,
একজন আলেম, একজন শাইখ ও মুহিউস সুন্নাহর আচরণ এমন হয কি করে?
সুন্নাহ বিরোধী আচরণ:
হযরত শুরু থেকেই আব্বাসী হুযুরকে তুই তুকারি করে সম্মোধন করেছেন যা স্বাভাবিক সমাজেই নিন্দিত, নামধারী মুহিউস সুন্নাহর সমাজে নন্দিত হয় কিভাবে?
প্রতিনিধি দলের সমন্বয়ক মাহদি ভাই অত্যন্ত বিনয়ের সহিত বলল, হযরত একটু অনুমুতি দিলে একটা কথা বলব, হযরত অগ্নিসর্মা হয়ে বলে উঠলেন তুমি কে? বেরিয়ে যাও……
এছাড়াও বেশ
কয়েকবার বেরিয়ে যান, চলে যান বলে ধমকি দিলেন।
এ কেমন সুন্নাহ ভিত্তিক আচরণ?
.
ফরায়েজী হযরতের চিরাচরিত মিথ্যাচারের দৃষ্টান্ত।
৯/৫/১৭ তারিখের বৈঠকে ফরায়েজী সাহেব স্পষ্ট দাবী করলেন যে আমরা কোন মুবাহেস বা বিচারক পরিবর্তন করিনাই। অথচ ফরায়েজী সাহেবের পাশে বসা মুফতি শাসছুদ্দিন সাহেব বললেন আমরা মুবাহেস পরিবর্তন করে তার স্বাক্ষর নিয়েছি। মিথ্যাচার প্রমাণ হওয়ার সাথে সাথে ফরায়েজী সাহেব তার কর্মী ভাইকে হাতজোড় করে বলতে লাগলেন আপনি কোন কথা বলবেন না। আমরা কোন মোবাহেস পরিবর্তন করিনি।
অথচ আজ প্রকাশ করলেন ওনারা আজিজুল হক মাদানী সহ আসবেন….
পাঠক যার কাছে সামান্য কথার আমানত ঠিক থাকেনা, মিথ্যাচারের চুড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেন তিনি কিভাবে কুরআন ও সুন্নাহর আমানত রক্ষা করবেন?
এ প্রতারণার পরও ফরায়েজী কোন মুখে কথা বলবেন?
৯/৫/১৭ তারিখের মিথ্যাচারে
১। মসজিদে প্রবেশ করেই বললেন গত বৈঠক আমি লাইভে দেখেছি, পরে বলে উঠলেন গত বৈঠক সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা।
লাইভের কথা স্বরণ করালে বললেন কিছু কিছু দেখেছি…..
২। ৮ তারিখ আব্বাসী হুজুরকে ফোন দিয়ে ৯ তারিখের বৈঠকে যাওয়ার দাওয়াত দিয়েছিলেন, কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, গত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আজ অনুমতির জন্য আমরা ২ জন যাব। অথচ বৈঠকে উপস্থিত সবাই এ কথা অস্বীকার করলে ফরায়েজী হযরত বিমর্ষ হয়ে বলে উঠলেন সময় তো কম তাই নিজ থেকেই বললাম।
এ ছাড়াও অনেক…..
প্রস্তাবনা :
১। মিলাদ কিয়ামের পক্ষে আমাদের শাইখ ড. সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুর উদার ও বড় মনের পরিচয় দিয়ে মাহমুদুল হাসানের মাদরাসায় বাহাসের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা একটি বিরল ঘটনা, কিন্তু মাহমুদুল হাসান সাহেবের উদ্ধত ও মারমুখী আচরণের কারণে যাত্রাবাড়ী মাদরাসাতে ২৫ তারিখের বাহাস মিলাদ কিয়াম বিরোধীদের দ্বারাই অনিশ্চিত হয়ে গেল। তাদের প্রধান কারণ-
ক. ২ মাস ব্যাপী প্রস্তিত চলছে বাহাসের, অথচ মাহমুদুল হাসান স্পষ্ট নাকচ করে বললেন কোন বাহাস হবেনা হবে সাধারণা আলোচনা (মুজাকারা) যার জন্য কোন চুক্তি, সালিস, মোবাহেস প্রয়োজন হয়না, প্রয়োজন হয় মুজাকিরের।
আমরা পূর্বঘোষিত বাহাসের জন্য প্রস্তুত, মুজাকারা করতে হলে বিরোধীদের পূর্বের বাহাস বানচালের জন্য ক্ষমা চেয়ে নতুন মুজাকারার প্রস্তুতি নিতে হবে।
খ. মাহমুদুল হাসান আমাদের প্রধান মুবাহিস ড. সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন এবং উপস্থিত ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিনিধিদের কে প্রকাশ্যে মার দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। অতএব সে তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে এক পক্ষ্যের প্রতিনিধিতে পরিণত হয়েছেন, অতএব সেখানে সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ বাহাসের জন্য যেতে পারেনা। আমাদের উদারতাই তাদের হীন চরিত্র ও সংকীর্ণতাকে প্রকাশ করেছে।
গ. বাহাসের উল্লেখযোগ্য একটি শর্ত হলো প্রশাসনের উপস্থিতিতে দুই পক্ষ্যের আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়া, আমরা বারবার প্রশাসনের জন্য অনুরোধ করলেও তিনি কর্ণপাত না করে উল্টো অগ্নিসর্মা হয়ে বলেছেন, কোন প্রশাসন ঢুকতে পারবেনা, কিসের প্রশাসন? এবং তিনি কোন প্রকার জিম্মাদারিও গ্রহণ করবেন না। তাহলে বাহাস থেকে সড়ে আসলো কারা? আমরা এখনো তাদেরকে বাহাসের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি
উপরোল্লিখিত ডকুমেন্টারি পোষ্ট থেকে একথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে, মাহমুদুল হাসান সাহেবকে বাহাসের জন্য রাজি করানো না করতে পারা ও বাহাসের সাবলীল পরিবেশ করতে না পারায়, তাদের পূর্বের ঘোষনা অনুযায়ী এখন স্থান নির্ধারণ করবেন আব্বাসী হুজুর, অতএব আমরা সব শর্ত মেনে বাহাসের স্থান নির্ধারণে বদ্ধ পরিকর ইনশাআল্লাহ , এবং প্রশাসন উপস্থিত রেখে ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি নিরপেক্ষ স্থানে বাহাসের স্থান নির্ধারণ হবে ইনশাআল্লাহ, এবং তাদের প্রধান মুবাহিস মিজানুর রহমান সাঈদের ঘোষনা অনুযায়ী সেখানে আসতে তারা বাধ্য কেননা তিনি ঘোষনা দিয়েছিলেন, যাত্রাবাড়ীতে বাহাস অনুষ্ঠিত না হলে আব্বাসী হুজুরের মনোনীত জায়গায় বাহাস হবে ইনশাআল্লাহ। একই কথা তাদের প্রতিনিধিও বলেছেন।
তথাকথিত কথিত মহিউস সুন্নাহ এর সুন্নাহ বিরোধী আচরণের ভিডিও লিংকঃ-
https://m.facebook.com/story.php…