স্টাফ রিপোর্টার
অবশেষে ফতুল্লার দেলপাড়ার ভয়ঙ্কর প্রতারক জামাল উদ্দিন রাসেল মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা থানা পুলিশ। বৃহস্পিিতবার গভীর রাতে দেলপাড়া বাজার সংলগ্ন নিজ বাসভবন থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাসেল মোল্লাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে প্রতারনা মাধ্যমে আমিরুল ইসলাম নামে এক বই বিক্রেতার ৫লাখ টাকা আত্মাসাৎ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির পর পুলিশ তাকে ওয়ারেন্ট বলে গ্রেফতার করে। প্রতারক রাসেল দেলপাড়া বাজার এলাকার কমর উদ্দিন মোল্লার পুত্র।
পুলিশ জানিয়েছে,জামাল উদ্দিন রাসেলের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারনার মামলা ওয়ারেন্ট ছিল। ওয়ারেন্ট নং সিআর ৬৫৪৩/১৬। উক্ত ওয়ারেন্টের কারনে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে কমু মোল্লার পরিবার। বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় একাধিক মামলাও জিডি রয়েছে। এছাড়া একাধিকবার তারা ফতুল্লা থানায় গ্রেফতার হয়। ছাড়া পেয়ে এরা আবার মানুষের সাথে প্রতারনা শুরু করে।
সর্বশেষ দেলপাড়া বাজার এলাকায় আমিরুল নামে এক লাইব্রেরির মালিকের সাথে ৫লাখ টাকা নিয়ে প্রতারনা করে রাসেল। পরে সে মামলা করলে রাসেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি হয়। এর আগে কমু মোল্লার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধের এক পুলিশ কর্মকর্তা জালিয়াতি ও প্রতারনার মামলা দায়ের করে। সে মামলায় তারা গ্রেফতার হয়ে আদালত থেকে জামিন নেয়।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, রাসেল দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে। অনেক লোকের টাকা কৌশলের হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া কুতুবপুরের বাসা বাড়িতে নেমপ্লেট দেয়ার নামে প্রতিবাড়ি থেকে ৩শটাকা করে তোলে । এভাবে কুতুবপুর ইউনিয়নের কয়েশ বাড়ি থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু কোন বাসায়ই নেমপ্লট দেয়নি। তবে মানুষের সাথে তার প্রতারনা আরো বাড়িয়ে দেয়।
দেলপাড়ার ভয়ঙ্কর রাসেল মোল্লা গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব যক্ষা দিবস পালিত
স্টাফ রিপোর্টার
‘‘ঐক্যবদ্ধ হলে সবে, যক্ষামুক্ত দেশ হবে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব যক্ষা দিবস-২০১৭ পালন উপলক্ষে শুক্রবার সকালে না.গঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ প্রবীর কুমার দাশের নেতৃত্বে র্যালীটি সকাল ৯টায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় চত্বর থেকে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসন চত্বর প্রদক্ষিণ করে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয় এবং সেখানেই সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অংশগ্রহণে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল হকের উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ প্রবীর কুমার দাশ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সমন্বয়কারি এমএসএইচ, সি-টিবি এর মোঃ রকিবুল ইসলাম, ব্রাকের জেলা ব্যবস্থাপক (টিবি) মোঃ আশরাফুল ইসলাম, বিকেমমই’র মেডিক্যাল অফিসার লুৎফুন নাহার বন্যা, জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক স্বপন দেবনাথ, প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মোঃ আলতাফ মোল্লা ও সদর উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর শাহজাহান হাওলাদার প্রমূখ।
কুতুবপুরে আওয়ামী লীগের নেতাদের গোমর ফাঁস- কি বলবেন শামীম ওসমান?
নিউজ ডেস্ক: ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ইসহাকসহ তার ছোট ভাই দেলোয়ার ও ইলিয়াসের নেতৃত্ব কুতুবপুরের বিভিন্ন এলাকায় ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবা, হিরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের ব্যবসা পরিচালনা হয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কুতুবপুরের বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শতাধিক সেলসম্যানের মাধ্যমে কয়েক লক্ষাধিক টাকার মাদকের খুচরা ও পাইকারী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন তারা। এমনকি দলের নাম ব্যবহার করে কুতুবপুর এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি স্পট থেকে প্রতিদিন অর্ধলক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও উঠেছে অভিযোগ। অথচ দীর্ঘদীন ধরে ফতুল্লার ক্রাইমজোন এলাকা হিসেবে পরিচিত কুতুবপুরে দীর্ঘদীন ধরে প্রকাশ্যে ও গোপঁনে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসলেও অধরা রয়ে গেছে আওয়ামীলীগ নেতা এইচ এম ইসহাকসহ তার ছোট ভাই দেলোয়ার ও ইলিয়াস। এদিকে দীর্ঘদীন ধরে মাদক ব্যবসা বাধাহীন ভাবে ইসহাকসহ তার ছোট ভাই দেলোয়ার এবং ইলিয়াসকে স্থাণীয় প্রশাসন গ্রেফতার করতে না পারার পেছনে দলীয় প্রভাবকে দায়ী করছে কুতুবপুরের আওয়ামীলীগের তৃনমূল নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে সাধারন জনতা। এছাড়াও আওয়ামীলীগ নেতা এইচ এম ইসহাকের পক্ষে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের আর্শিবাদ থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। কুতুবপুরবাসী মনে করেন, স্থাণীয় যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থেকে মুক্ত রাখার জন্য স্থাণীয় সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। অণ্যথায় স্থাণীয় সাংসদ শামীম ওসমানের মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা করা কতটুকু সফলতার মুখ দেখবে না বলেও তারা মনে করেন।
স্থাণীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ এবং সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ইসহাক সরকারী চাকুরিজীবি। ফতুল্লার কুতুবপুর পাগলা ভাবীবাজার এলাকায় তার বসবাস। একই এলাকায় বসবাস করেন তার ছোট ভাই দেলোয়ার এবং ইলিয়াস। আওয়ামীলীগ নেতা ইসহাক সরকারী চাকুরিজীবির অন্তরালে কুতবপুরের বিভিন্ন এলাকায় মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত। ইসহাকের সহযোগী হিসেবে তার ছোট ভাই দেলোয়ার এবং ইলিয়াসের মাধ্যমে কুতুবপুরের বিভিন্ন এলাকায় মাদকের বন্টন করা হয়ে থাকে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় অনেকটা নির্বিঘেœ মাদক বেচাকেনা হয়ে থাকে প্রকাশ্যে। আওয়ামীলীগ নেতা এইচ এম ইসহাক নিজেতো পাইকারী মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসলেও কুতুবপুরের বড় ধরনের কয়েকটি স্পট থেকে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে দলের নাম ব্যবহার করে চাঁদা তুলা হচ্ছে। কুতুবপুরের রেললাইন, ইটখোলা, আলীগঞ্জ ব্রীজ, পশ্চিম নন্দালালপুর, মেডিকেল গলিতে অবস্থিত মাদকের বড় স্পটগুলোতে প্রতিদিন অর্ধলক্ষ টাকা করে চাঁদা তুলা হচ্ছে। বিতর্কিত আওয়ামীলীগ নেতা এইচ এম ইসহাকের বিতর্কিত কর্মকান্ডের ফলে দলীয় ভাবমূতি ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সভা সমাবেশে স্থাণীয় সাংসদ শামীম ওসমানের মাদকের বিরুদ্দে জেহাদ ঘোষনা করা কতটুকু সফলতা পাবে তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। স্থাণীয় কুতুবপুরবাসী মনে করেন, ফতুল্লা থেকে মাদক নির্মূল করতে হলে প্রথমেই দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমেই মাদকমুক্ত সম্ভব হবে ফতুল্লা। অণ্যথায় ফতুল্লা থেকে মাদক নিমূল করা কখনই সম্ভব হবে না।
কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজ্বী জসীম উদ্দিন জানান, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ইসহাকসহ তার ছোট ভাই দেলোয়ার এবং ইলিয়াস দীর্ঘদীন ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কয়েক লাখ টাকার পাইকারী ও খুচরা মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছেন তারা।
আওয়ামীলীগ নেতা জসীম উদ্দীন আরো জানান, মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান না নেওয়ার জন্য এইচ এম ইসহাক তাকে মাসিক ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তিনি ইসহাকের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। ইসহাকের একাধিক সেলসম্যানকে মাদকসহ পুলিশে দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ায় জীবনে মেরা ফেলার হুমকিও দিয়েছেন ইসহাক।
ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ইসহাকের মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কে কি বলল এ বিষয়ে আমার ভাবার সময় নেই। আর আওয়ামীলীগ নেতা জসীম উদ্দীনের এমন অভিযোগে তিনি কোন ধরনের মন্তব করতে রাজী হননি।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, মাদক ব্যবসায়ী কখানো কোন দলের হতে পারে না। একজন মাদক ব্যবসায়ী সমাজ এবং জাতির শত্রু। একজন মাদক ব্যবসায়ী যত বড়ই ক্ষমতাশালী ব্যাক্তি হউক না কেন কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
ফতুল্লায় পুলিশ সোর্সের উপর হামলা
নিজস্ব সংবাদদাতা
ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকায় মাদক ব্যবসা কে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী ও পুলিশ সোর্স সোহাগ (৩০) অস্ত্র ঠেকিয়ে অপহরন করে নির্জন স্থানে নিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে দুই পা ভেঙ্গে দিয়েছে মাদক স¤্রাট ও পুলিশ সোর্স মাহসিন, আমির হোসেন পিচ্ছি, কালু, মাইচ্ছ বিল্লালসহ তার বাহিনী । গতকাল রাত ৯ টায় ফতুল্লা থানার পিলকুনি এলাকায় এঘটনা ঘটে। সোহাগকে গুরুত্ব আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়নগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করেন।
সুত্রে জানাযায়, গত বছর ১৫ জুন ১২৫ পিছ ইয়াবাসহ সোহাগকে সোর্স মহসিনের তথ্যের ভিক্তিতে গ্রেপ্তার করে ফতুল্লা মডেল থানার এস আই মিজানুর রহমান-২। কিছুদিনপর সোহাগ জামিনে বের হয়ে এলে ৫ নভেম্বর ঢাকা ডিবি পুলিশ দিয়ে সোর্স মহসিন রেলষ্টেশন এলাকা থেকে সোহাগকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করে । সোহাগ আবারো জামিনে বের হয়ে এলে চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বর রাতে সোর্স সোহাগ ফতুল্লা থানা পুলিশ দিয়ে সোর্স মহাসিন কে গ্রেপ্তার করে এসময় মহাসিনের কাছ থেকে ২৩০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। এছাড়া ও ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন নিয়ে ডাকাত শাহিন,হাড্রেড বাবু, মহাসিন, সোহাগ, পারভিন, লিপু, তাদের মধ্যে প্রায় দ্বন্ধ লেগে থাকে।
এরেই জের ধরে বুধবার রাতে রেলষ্টেশন এলাকার উকিল বাড়ি মোড় থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে সোর্স সোহাগকে সোর্স মহসিন, কালু, আমির হোসেন পিচ্ছি, মাইচ্ছ বিল্লালসহ প্রায় ৮ থেকে ১০ জন ধরে নিয়ে যায়। পরে পিলকুনি পেয়ারা বাগান নিয়ে গিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে সোহাগের দুই পা ভেঙ্গে দেয়। এসময় সোহাগের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে এলে মাদক স¤্রাট ও সোর্স মহসিন তার বাহিনী নিয়ে পালিয়ে যায়। আশংকা জনক অবস্থায় সোহাগকে খাঁনপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আবস্থার আবনতি দেয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসাপাতালে প্রেরন করেন।
ফটোনারায়ণগঞ্জ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত
শহর প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রথম ছবির এজেন্সি ফটোনারায়ণগঞ্জ ডট কম এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ অনলাইন পোর্টালটির শুভ উদ্বোধন করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশীর্পু ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম. সাইফউল্লাহ্ বাদল। অনুষ্ঠান শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফটোনারায়ণগঞ্জ ডট কম এর সম্পাদক ও প্রকাশক এনামূল হক সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান হাজী শওকত আলী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানী, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন জেলা শাখার সভাপতি হাজী হাবিবুর রহমান শ্যামল, সাংবাদিক দিলীপ কুমার মন্ডল।
এনামূল হক সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি রনজিত মোদক, ফতুল্লা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি নূরুল ইসলাম নুরু, বন্দর থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাব্বির আহমেদ সেন্টু, দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, টাইমস নারায়ণগঞ্জ এর সম্পাদক এমএইচ নয়ন, ডেইলী নারায়ণঞ্জ এর সম্পাদক ও প্রকাশক আলমগীর আজিজ ইমন, ফটোসাংবাদিক নেতা মাহমুদ হাসান কচি, খন্দকার ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত¡াবধায়নে ছিলেন, ফটোনারায়ণগঞ্জ এর নির্বাহী সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জনি, বার্তা সম্পাদক মিলন বিশ্বাস হৃদয়, ফটোসাংবাদিক আল-আমিন, এম এ সুমন, আড়াইহাজার থানা প্রেসক্লাব এর সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানের ্আলোচনা সভা শেষে কেক কেটে ফটোনারায়ণগঞ্জ অনলাইন পোর্টালটির উদ্বোধন করা হয়। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী রানা মাহমুদ, উজ্জ্বল খান, হীরা, সাজ্জাদ মির্জা, জেড আই বাবুল, রায়হান রাজন, রিয়া খান ও তিন্নি ।
সোনারগাঁয়ে ডজন মামলার আসামীকে সভাপতি করে যুবলীগের কমিটি গঠন
স্টাফ রিপোর্টার
সোনারগাঁয়ে দুটি হত্যা মামলাসহ প্রায় এক ডজন মামলার আসামী ও শীর্ষ নৌ-চাঁদাবাজ জাকির ওরফে পলিথিন জাকিরকে সভাপতি করে সম্প্রতি ৬১ সদস্য বিশিষ্ট পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেলে উপজেলার মোগরাপাড়া হাইস্কুল মাঠে যুবলীগের আহŸায়ক কমিটির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত কমিটি ঘোষনা করা হবে বলে সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু এভাবে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিতর্কিত ব্যক্তিদেরকে যুবলীগের কমিটিভুক্ত করায় তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছে। যা যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের রূপ নিতে পারে। তাই ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা এ বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামের মন্তাজউদ্দিনের ছেলে জাকির ওরফে পলিথিন জাকির দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও মেঘনা নদীতে চলাচলরত নৌযান থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে। তার বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় দুটি হত্যা মামলাসহ প্রায় এক ডজন মামলা রয়েছে। কিন্তু এই বিতর্কিত ব্যক্তিকেই পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি করছেন উপজেলা যুবলীগের আহŸায়ক কমিটি। আর এর নেপথ্যে পলিথিন জাকিরের কাছ থেকে তারা ২০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবলীগ নেতাকর্মীরা জানান, ব্যবসায়ীক পন্যের ন্যায় সোনারগাঁয়ের প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় যুবলীগের পদ বিক্রি করা হয়েছে। যে বেশি টাকা দিয়েছে সেই পদ পেয়েছে। ত্যাগী নেতাকর্মীরা হয়েছেন অবমূল্যায়ণের শিকার। তাই দলের ভাবমুর্তি রক্ষার্থে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপের দাবি জানান তারা। যদিও এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের আহŸায়ক রফিকুল ইসলাম নান্নু টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রির অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। তিনি আরো দাবি করেন, যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য পদ দিয়ে সোনারগাঁয়ে যুবলীগের শক্তিশালী ভিত রচনা করা হয়েছে।
ফতুল্লার মুসলিমনগরে মর্ডান হারবাল গ্রুপের সেমিনার অনুষ্ঠিত
অনুমোদিত ডিলারদেরকে নিয়ে মর্ডান হারবাল গ্রুপের সেমিনার বুধবার দুপুর ১২ টায় সদর উপজেলার এনায়েতনগর মুসলিমনগরের আদর্শপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সেমিনার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মডার্ন হারবাল গ্রুপের সেন্টার ট্রেইনার গোলাম কিবরিয়া, মডার্ন হারবাল গ্রুপের জিএস রিয়াজউদ্দিন,মো.আবুল কালাম আজাদ, মুহাম্মদ মুক্তার হোসেন,মো.আজহার মীর,হাফেজ মোঃ তজিমদ্দিন, মোঃ জয়নাল হোসেন জয়,ডাঃ মো.শাহআলম,ডাঃ মফিজুল ইসলাম স্বপন,ডাঃ মো.জুয়েল রানা,মো.জাহাঙ্গীর আলম,মো.জহিরুল ইসলাম জনি প্রমুখ।
আড়াইহাজার বিএনপিকে উজ্জিবীত করতে প্রবীন নেতারা মাঠে
স্টাফ রিপোর্টার
আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। এ থেকে বের হওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় দলের নেতাকর্মীরা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। নানা কারণে দলটিকে বেহাল দশার হাত থেকে বের করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তবে এবার মাঠে নেমেছেন দলটির একঝাঁক প্রবীণ নেতা। বুধবার দিনভর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তারা উঠান বৈঠক করেছেন। বেশ সাড়াও পাওয়া গেছে বলে দাবী করেছেন তারা। তাদের দাবী উপজেলা বিএনপি’র নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হলেই কেবল দলটি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। তা না হলে দলের বভিষ্যত অনিশ্চিত। উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, মৃত প্রায় বিএনপিকে বাঁচাতে হলে প্রতিষেধক হিসাবে বিএনপির ত্যাগী ও সাহসী নেতা আনোয়ার হোসেন অনু’ই যোগ্য ব্যাক্তি। তিনি বহুবার জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন। তিনিই সবচেয়ে বেশী রাজনৈতিক হয়রানি মূলক মামলার আসামি।
এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ শহীদউল্লাহ বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই। কারণ অতীতে যারা দলের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছেন। তারা দলের উন্নয়নের জন্য কিছু করেনি। নিজেদের উন্নয়নে তারা বারবার পকেট কমিটি দিয়ে আলোচনার জম্ম দেয়ার পাশাপাশি দলের মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি করেছেন। এতে দলের মধ্যে শুধু ভাঙ্গনই হয়েছে। এখানে এমন কাউকে দায়িত্ব দেয়া হোক, যাতে তিনি নিজের জন্য নয়; দলের জন্য কাজ করবেন। এমনকি নেতাকর্মীদের পাশে ছাঁয়ার মতো কাছে থাকবেন।
এসময় আড়াইহাজার পৌরসভা মুলদলের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী আতিকুর ইবনে নিপু বলেন, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সংকটময় সময়ে একজন সাহসী ও সাংগঠনিক নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। আমি বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি সাবেক বিআরডি’র চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা আনোয়ার হোসেন অনু’কে এই মহুর্তে বিএনপিতে অতিবেশী প্রয়োজন। কারণ এই নেতা সর্বসময় দলকে নিয়ে ভাবেন। তিনি অবহেলিত নেতাকর্মীদের পাশে ছাঁয়ার মতো লেগে রয়েছেন। এপর্যন্ত নির্যাতিত কর্মীদের পাশে তিনি নিজের সন্তানের মত পাশে রয়েছেন।
আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির নেতা মামুন বলেন, বিএনপির নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে অতন্ত্র প্রহোরীর মতো ছিলেন আনোয়ার হোসেন অনু। উদাহারণ স্বরুপ এইনেতা বলেন, আমি নিজেই রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ছয়টি মামলার আসামি। আমার পাশে যখন কেউ ছিল না; তখন অনু ভাই আমাকে বিপদের দিনে সহযোগিতা করেছেন।
ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মনির হোসেন বলেন, উপজেলা বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানো অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে যাবে। কারণ এখানে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত শাক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। দলের এই ক্লান্তিকালে গ্রহণযোগ্য ও সাংগঠনিক নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। বিএনপির আগামী কমিটিকে সাহসী ও সাংগঠনিক নেতাকে দায়িত্ব দিতে হবে।
এসময় আনোয়ার হোসেন অনু কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি রাজনীতি করি দলকে ও জনগণকে কিছু দেয়ার জন্য। আমি ব্যাক্তির কর্মী চাই না। দলের কর্মী চাই। আসুন আওয়ামী লীগের দুনীতি, র্দুশাসন,হামলা, মামলা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্র পনুরুদ্ধারে আমরা একসাথে কাজ করি। বর্জন করি আওয়ামী লীগের সাথে আতাঁত। এসময় অনু আহ্বান জানান, জেলা কমিটির নীতি নির্ধারকরা যেন মাঠ পর্যায়ে জরিপ করে আগামী ঘোষণা করেন। কমিটি দিতে কোনো ভাবে যদি ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়; তাহলে বিএনপির সামনে কঠিন সংকটে পড়বে। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির প্রবীণ নেতা বাতেন, জিন্নত আলী, জালু ফকির,শব্দর আলী প্রমুখ।
আড়াইহাজার বিএনপিতে পরীক্ষিতদের মূল্যায়নের দাবী
স্টাফ রিপোর্টার
আড়াইহাজারে বিএনপির আগামী কমিটিতে পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের দাবী জানিয়েছে দলটির তৃণমুল নেতাকমীরা। তবে কর্মীদের অভিযোগ, পর্দার আড়াঁলে থেকে একটি মহল বিভিন্ন কায়দায় মুলদলের কমিটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছেন। ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন করে কমিটি দেয়া হলে সেটি “শাপে নেঁউড়ে না হয়ে, শাপে বর” হয়ে দেখা দিতে পারে। অভিযোগ উঠেছে, বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে যাদের কোনো ভুমিকায়ই ছিল না; সেসব নেতারা এখন পদের জন্য বেশ সবর হয়ে উঠেছেন। হামলার, মামলার ভয়ে যেসব নেতারা আওয়ামী লীগের সাথে লিয়াজু করে চলছেন। তারাই এখন বিএনপির আগামী কমিটিতে স্থান পেতে লবিং করছেন। অনেকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে মন্তব্য করেছেন, বিশেষ সুবিধা পেয়ে আবারও যে, পকেট কমিটি দেয়া হবে না। সেই আশঙ্কা উঁড়িয়ে যায় না। তবে সভাপতি প্রার্থী ঘোষণার পরই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছেন বিএনপির নেতা ও সাবেক বিআরডি’র চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন অনু।
সোমবার সরেজমিন গেলে উপজেলা বিএনপির নেতা ও সাবেক বিআডি’র চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন অনু বলেন, উপজেলা বিএনপির অতীতের রাজনীতি নষ্ট হয়ে ঢাকায় বসে রাজনীতি করার কারণে। উপজেলা বিএনপির দুই শীর্ষনেতা আন্দোলন সংগ্রাম মাঠে ছিলেন না। তারা দলের জন্য নয়; তাদের রাজনীতি করেছেন নিজেদের আখেরঁগুছার জন্য। উপজেলা বিএনপির প্রায় ১৫ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। তাদের পাশে আমি অনু ছিলাম। কিন্তু শীর্ষ দুইনেতার বিরুদ্ধে একটি মামলাও নেই। একদিনের জন্যও তারা কোর্টের বারান্দায় যায়নি। অথচ বিএনপির তৃণমুলের নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে দিনের পর দিন মাসের পর মাস জেল-জুলুমের শিকার হচ্ছেন। তিনি আহবান সবাকে আহবান জানিয়ে বলেন, আসুন ঢাকায় বসে কমিটি ঘোষণার চিন্তা না করে নেতাকর্মীদের নিয়ে একটু ভাবি। সবার মতামত নিয়ে একটি সর্বজনিন কমিটি বেগম জিয়াকে উপহার দেই।
এদিকে,উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নেতা হাজী মোঃ ইউছূফ আলী বলেন, বিএনপির আগামী কমিটির নিয়ন্ত্রণ নিতে পর্দার আড়ালে থেকে একটি মহল ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন। অতীতের মতো বিএনপিতে পকেট কমিটি ঘোষণা দেয়া হলে দলের জন্য বুমেরাং হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দিনের কমিটিতে পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। উপজেলা বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী জেল-জুলুমের শিকার হচ্ছেন। ইউছূফ আলী বলেন, আমি অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের আমলে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। সুবিধাবাদী অনেক নেতাই তখন এলাকা থেকে চলে গিয়েছেন। তাদের ছাঁয়াও দেখা যায়নি। ইউছূফ আলী বলেন, দলের ক্লান্তি লগ্নে আমি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নিয়েছি।
উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর বলেন, অতীতে যারা কমিটির মূল দায়িত্বে ছিলেন। তারা নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেনি। তারা দলের মধ্যে উপযুক্ত কর্মী ও নেতা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের উদারতার অভাবে দলটির আজ বেহাল দশা বিরাজ করছে। বিএনপির উপজেলা পর্যায়ের দুই নেতার দিকে আঙ্গুল তুলে বিএনপির এই প্রবীন নেতা বলেন, আমরা অতীতে দল ও কর্মীদের জন্য কাজ করতে চেয়েছি। কিন্তু আমাদের সেই সুযোগ দেয়া হয়নি। যোগ্যতার ভিত্তিতে আমাদের অতীতে মূল্যায়ন করা হয়নি। আগামী কমিটিতে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হলে আমি সবাই নিয়ে দলের জন্য একোনিষ্ট ভাবে কাজ করব। তবে যদি উপযুক্ত অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়; তাহলেও আমি দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাব।
৯০’এর ছাত্রনেতা আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এমএ মতিন ভূঁইয়া বলেন, আড়াইহাজার বিএনপি’র ধংস হওয়ার মুলে রয়েছে উপজেলা বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা। তারা ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর এলাকা থেকে উধাও হয়ে গেছেন। তৃণমুলের নেতাকর্মীরা তাদের কাছে না পেয়ে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেকে চাপের মুখে দলত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমান সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের স্টীমরোলার চালালো একদিনের জন্য তারা খবর নেয়নি।
বন্দরে আওয়ামী লীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার: সোমবার বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ২৪ নং আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বক্তারকান্দি মাদ্রাসা সংলগ্ন সড়কে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশীদ। অতিথি হিসেবে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের সস্ধারণ সম্পাদক রোকনউদ্দিন আহমেদ,নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম চৌধুরী,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম আরমান,যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবির মৃধা,১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আমজাদ হোসেন,২০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ মোঃ সফিউল্লাহ,২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ সামসুজ্জামান জামান,২৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আবদুস সামাদ,সাধারণ সম্পাদক আশিক আহমেদ,২৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু,২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান,২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম,নারায়ণগঞ্জ মহানগর বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হাকিম,মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী ডলি আক্তার,নুরুন্নাহার সন্ধা,মায়ানূর আহমেদ,