৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 206

মানববন্ধন করে আশার বিচার দাবি জানালেন সাংবাদিকরা

শহর প্রতিনিধি: মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ফটোসাংবাদিক মাসুদ তালুকদারকে হুমকিদাতা সাবেক এমপি আবুল কালামের পুত্র কথিত ছাত্রদল নেতা আবুল কাউসার আশাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকরা।  অন্যথায় তার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে রাস্তায় নামারও হুশিয়ারী দেন তারা।

সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানব বন্ধনে এ হুশিয়ারী দেয়া হয়। নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ’র ব্যানারে এ মানব বন্ধনের আয়োজন করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের জেলার সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, দৈনিক অপরাধ রির্পোটের সম্পাদক মাসুদুর রহমান দিপু, দৈনিক যোদ্ধা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মামুনুর রশিদ সুমন, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক সংগ্রাম পরিষদের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং টাইমস নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক এমএইচ নয়ন, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা রির্পোটার্স ইউনিটির সভাপতি শেখ মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ রাসেল, ফতুল্লা রির্পোটার ইউনিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসেন, সাংবাদিক জামাল তালুকদার, সুমন, মশিউর রহমান, জাহিদ হোসেন, মামুন, সজিব প্রমুখ। সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ফটোসাংবাদিক মাসুদ তালুকদারকে প্রাণনাশের হুমকি দেন সাবেক এমপিপুত্র এবং ছাত্রদল নেতা আবুল কাউসার আশা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবুল কাউসার আশা সাবেক এমপির কু’পুত্র। সাবকে এমপি আবুল কালাম একজন সজ্জন ব্যক্তি, কিন্তু তার ছেলের অপকর্মের দায়ভার তো তাকেই বহন করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, কেউই আইনের উপরে নই, আইন সবার জন্য সবার সমান। আমরা যখন সাংবাদিকতা পেশায় ঢুকেছি তখন মাথায় কাফনের কাফন বেধেই ঢুকেছি।

হত্যাকান্ডের ৭ বছরেও বিচার পায়নি ফতুল্লার স্বেচ্ছা স্বেবকলীগ নেতা সোহেলের পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার
সাবেক এমপি কবরীর ক্যাডার বাহিনীর হাতে ফতুল্লার স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সোহেল নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের ৭ বছরেও বিচার পায়নি নিহতের পরিবার। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসী এখনো ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বিভিন্ন সময় নিহত সোহেলের স্বজন ও মামলার স্বাক্ষীদের নানা ভাবে হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিকে স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা সোহেল হত্যাকান্ডের ৭ বছর পূর্তিতে নিহতের স্বজন ও শুভাকাক্ষিরা নানা কর্মসূচি পালন করেছে। এদিকে, সোহেল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীরা ভোল পাল্টে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক শীর্ষ নেতার ছত্রছায়ায় রয়েছে। সম্প্রতি এসব সন্ত্রাসীরা জেলা ও ফতুল্লার একাধিক আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতার সাথে নিজের ছবি দিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন সাটিয়ে নিজ নিজ এলাকায় নতুন করে প্রভাব বিস্তার করে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এসব সন্ত্রাসীরা শুধু স্বেচ্ছা স্বেবকলীগ নেতা সোহেলকেই হত্যা করেনি, যুবলীগ কর্মী নাহিদকেও প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। নতুন করে এসব সন্ত্রাসীরা তৎপর হওয়ায় ফতুল্লার ব্যাংক কলোনী, রেলষ্টেশন, পিলকুনী,তক্কার মাঠ এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ফতুল্লাবাসী।
নিহত সোহলের স্বজনদের অভিযোগ, সোহেলকে সাবেক এমপি কবরীর ক্যাডার কামরুল ইসলাম হিটলার,জনি, বাবু,মমিন,ডাকাত খেলাফত হোসেন রাজু, ডাকাত কবির হোসেন ফেলা, কাইল্যা রনি, কানা সুমন,আবুল, তেল চোর সেন্টু, ডাকাত আব্দুল, মির্জা পাবেল, মামুন চৌধুরীসহ প্রায় ১৫/২০ সন্ত্রাসী সোহেলকে প্রকাশ্যে হত্যা করে। এ ঘটনার পর সন্ত্রাসীরা জামিনে বেড়িয়ে এসে মামলা তুলে নিতে নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করে। হত্যাকান্ডের ঘটনার ৭ বছর পার হলেও সন্ত্রাসীদের হুমকী বন্ধ নেই। এদিকে, সোহেল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসী জনি ও হিটলার ভোলপাল্টে নতুন করে প্রকাশ্যে নানা ধরনের অপ-তৎপরতা শুরু করেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এলাকায় নিরিহ মানুষকে নানা ভাবে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়া, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী অব্যাহত রেখেছে। হিটলারের ভাই জনি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম ও ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল হকের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার-ফেষ্টুন সাটিয়ে এই দুই নেতাকে বিতর্কীত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া এসব ব্যানার-ফেষ্টুন বিভিন্ন এলাকা সাটিয়ে নতুন করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এদিকে, সোহেল হত্যাকান্ডের ৭ বছর পূর্তিতে নিহতদের স্বজন ও শুভাকাঙ্খিরা ফতুল্লার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় দোয়ার আয়োজন করে ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা আজমত আলী,জসিম,বাহাউদ্দিন ও সোহেলের ছোট ভাই জুয়েল।

ফতুল্লায় জঙ্গী তৎপরতা প্রতিরোধ ও মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার
মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধ, দেশত্যাগী রহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়া, বাংলাদেশে জঙ্গী তৎপরতার হাত থেকে বর্তমান প্রজন্মকে রক্ষা করাসহ জঙ্গী তৎপরতা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গতকাল রোববার দুপুরে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভ‚রুঙ্গামারি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ও ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভ‚রুঙ্গামারি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ, সহ-সভাপতি রুহুল আমিন প্রধান। এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান অনু, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এ আর মিলন, সাবেক সহ-সভাপতি মো. সেলিম মুন্সি, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন,অর্থ সম্পাদক শাকিল আমহেদ ডিয়েল,সদস্য সহিদুল ইসলাম সহিদ, মাহবুবুর রহমান খোকা, জিএ রাজু, মাসুদ আলী, ফতুল্লা রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারন সম্পাদক মো. সোহেল আহমেদ, আসলাম চাকলাদার, ক্যালিক্স প্রিক্যাডেট স্কুলের পরিচালক আব্দুল মতিন, আবুল খায়ের প্রমুখ।

নাঃগঞ্জ কারাগার ও নদীবন্দরে রেড অ্যালার্ট!

নারায়ণগঞ্জের জেলা কারাগার ও নদীবন্দরগুলোতে রেড এ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। রাজধানীর আশকোনায় র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় দেশের সব বিমানবন্দর ও কারাগারে রেড অ্যালার্ট জারির অংশ হিসেবে এ জেলায়ও জারি হয়েছে এই সতর্কবাতা।একইসঙ্গে দেশের নদীবন্দরেও অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।একইসঙ্গে দেশের সব কারাগার ও নদীবন্দরেও অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন টাইমস নারায়ণগঞ্জকে বিমানবন্দরে রেড এ্যালার্টের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আশকোনার ঘটনার পর অন্য কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে এ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

কারাগারে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ টাইমস নারায়ণগঞ্জকে বলেন, কারাগারগুলোতে এমনিতেই সবসময় রেড অ্যালার্ট জারি থাকে। তবে হামলার পর আমরা অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।

সুভাষ কুমার ঘোষ আরও জানান, আইজি স্যারের নির্দেশে বিশেষ সর্তকতা নেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।

নারায়ণগঞ্জের প্রধান নদীবন্দরেও বিশেষ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ হোসেন টাইমস নারায়ণগঞ্জকে বলেন, টার্মিনাল এলাকায় বিশেষ সতর্কতা নেয়া হয়েছে। সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমাদের কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর আশকোনায় র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছে এক যুবক। ওই ঘটনায় হামলাকারী যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। তার শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। এছাড়া হামলায় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সড়ক দূর্ঘটনায় সাংবাদিক মামুন আহত

সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন সাংবাদিক আল মামুন খাঁনসহ তিন সাংবাদিক। বৃহস্পতিবার সন্ধায় নগরীর মন্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিসের সামনে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় আহত হন মামুন, ফটো সাংবাদিক জুম্মান হোসেন সোহেল ও শহীদ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জাানয়, রাস্তায় হঠাৎ এক পাগল ব্যক্তি দৌড়ে এসে সাংবাদিক আল মামুন এর মটর সাইকেলের সামনে দাড়িয়ে পড়লে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনাটি ঘটে। এতে আল মামুন খাঁন এর বাম হাতের হাড় ভেঙ্গে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম হয়। দূঘর্টনায় কিডস্ টিভি’র নারায়ণগঞ্জ সদর প্রতিনিধি ও দৈনিক রূদ্রবাতা পত্রিকার ফটো সাংবাদিক জুম্মান হোসেন সোহেল এবং দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সিনিয়র ফটো সাংবাদিক মোঃ শহীদও আংশিক আহত হন।

পরে স্থানীয় জনতা তাদের উদ্ধার করে জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত আল মামুন খাঁন কিডস্ টিভি’র নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক অগ্রবানী প্রতিদিন পত্রিকার সিনিয়র চিফ রিপোর্টার এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নিউজ ব্যাংক ২৪ ডট নেট’ এর সম্পাদক ও প্রকাশক।

র‍্যাব ক্যাম্পে আত্মঘাতী হামলা, আইএসের দায় স্বীকার

রাজধানীর উত্তরার আশকোনা এলাকায় হজক্যাম্পে র‌্যাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আমাক ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে সংগঠনটির নামে এই হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

আইএসের সংবাদমাধ্যম হিসেবে পরিচিত আমাক-এ বলা হয়েছে, ঢাকায় র‍্যাব বাহিনীর একটি সামরিক ক্যাম্প লক্ষ্য করে একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী আক্রমণ চালিয়েছে। একজন যুবকের নিহত হওয়ার খবরও সংবাদমাধ্যমগুলোতে জানানো হয়েছে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের দুটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে চারজন নিহতের ঘটনার একদিন পর আজ শুক্রবার এ আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, আশকোনার হজক্যাম্পের পাশেই অবস্থিত র‍্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প। ওই অস্থায়ী ক্যাম্পের নির্মাণকাজ চলছে। এখানে র‍্যাব প্রশাসনের কিছু লোকজন আর কিছু নির্মাণশ্রমিক থাকেন। ক্যাম্পের একটি মাত্র গেট। চারদিকে গ্রিল ও দেয়াল দিয়ে বাউন্ডারি দেওয়া। বাউন্ডারির একপাশে দুপুর ১টার দিকে একজন অপরিচিত লোককে হাঁটতে দেখে র‍্যাবের সদস্যরা তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেন। এ সময় তিনি বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। এতে ঘটনাস্থলেই হামলাকারী নিহত হন। এ সময় র‍্যাবের দুই সদস্য ল্যান্স করপোরাল মিজান ও কনস্টেবল আরিফ আহত হয়েছেন।

আহতদের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর হামলাকারীর দেহ বিস্ফোরণের কারণে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে বলেও তিনি জানান।

মুফতি মাহমুদ আরো জানান, বর্তমানে র‍্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারী কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। তবে কোন সংগঠনের তা এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া জানান, আশকোনায় র‍্যাবের নির্মাণাধীন কার্যালয়ে এক ব্যক্তি দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকেন। এ সময় র‍্যাব সদস্যরা তাঁকে বাধা দিতে গেলে ওই ব্যক্তি নিজের শরীরে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান।

ফতুল্লা ঘুরে গেলেন শিল্পমন্ত্রী আমু

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফতুল্লা লালখাঁ এলাকায় অবস্থিত গার্মেন্টস অ্যাক্্েরসরিজ ও প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠান হৃদয় গ্রƒপের উদ্বোধন ও পরিদর্শন করে গেলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের উদ্বোন করেন। এসময় তার সাথে উপন্থিত ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জহিরুল হক, প্রতিষ্ঠানের কর্ণধর তৈয়ব হোসেন, প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা পরষদের সদস্য মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন শ্রমিক নেতা কাউছার আহমেদ পলাশ, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু প্রমুখ।

কালো ছায়া বাংলাদেশ কে গ্রাস করতে চাইছে: শিল্পমন্ত্রী

শহর প্রতিনিধি
জঙ্গীবাদের মধ্য দিয়ে একটা কালো ছায়া আবারো বাংলাদেশ কে গ্রাস করতে চাইছে ।  সাম্প্রদায়িকতা সহ নানা রকমের হামলার মধ্য দিয়ে আজ দেশের উন্নয়নের ধারা কে ব্যাহত করতে চাইছে সেই ৭১ এর পরাজিত শক্তির দোসর রা। বাংলাদেশের মানুষ আজ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবন্ধ আছে বলেই সরকার সাহসিকতার মাধ্যমে জঙ্গীবাদ নির্মূলে কাজ করছে । ৭১ এর পরাজিত অপশক্তি, রাজাকারের দলেরা আজ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হাসিল করতে না পেরে জঙ্গীবাদের পথ বেছে নিয়েছে, তারা আজ জঙ্গীবাদীতার মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে কিন্তুু তা সম্ভব না -এই কথা গুলো বলেন বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু । বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নাঃগঞ্জের মর্গ্যান গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজে সংর্বধনা ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য তিনি উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। আমির হোসেন আমু আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্না সেতু করছে এতেই প্রমানিত হয় বাংলাদেশ এখন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বয়ং সম্পন্ন দেশে পরিনত হচ্ছে । মর্গ্যান গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে  উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নাঃগঞ্জ (৫) আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান, নাঃগঞ্জ (৪) আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এড.হোসনে আরা বাবলী । উক্ত অনুষ্ঠানের সংবর্ধনা পর্বে শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু , স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি, নাঃগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসেন, নাঃগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য শারমীন হাবিব বিন্নী নাঃগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় তাদের সংবর্ধনা দেন । এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নাঃগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শাহ্ মোঃ নিজাম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা আলহাজ্ব কাউসার আহম্মেদ পলাশ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত, মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, নাঃগঞ্জ জেলা ছাএলীগের সভাপতি শাফায়েত আলম সানি,,মহানগর মুক্তিযোদ্ধ প্রজন্মলগের সভাপতি মাসুম আহমেদ সুমন,সাধারন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ রিপন, সাংগঠনকি সম্পাদক মোস্তাহিদ খান, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল মাহমুদ, নূর হোসেন, ডা: কামরুল হাসান প্রমুখ। অপরদিকে ফতুল্লার লালখাঁ এলাকায় অবস্থিত হৃদয় গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এসময় তার পাশে ছিলেন  সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জহিরুল হক, প্রতিষ্ঠানের কর্নধর তৈয়ব হোসেন,ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন,শ্রমিক নেতা কাউছার আহমেদ পলাশ, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করায় যে কোন সময় ভেঙে দেওয়া হতে পারে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি’র কার্য্যক্রম এখন মন্ডলপাড়া হাইকমান্ড অফিসমুখি। জেলা ও মহানগরের ত্যাগী নেতাকর্মীরা মন্ডলপাড়ায় হাইকমান্ড খ্যাত প্রভাবশালী বিএনপি নেতা এমএ মজিদের অফিসকেই মূল অফিস হিসেবে গণ্য করছেন। সকল ত্যাগী নেতাকর্মীর মিলন মেলা বসে এখন হাইকমান্ড অফিসে। গতকাল জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও মজলুম জননেতা এড. তৈমূর আলম খন্দকার হাইকমান্ড অফিসে গিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেন। এ সময় এড. তৈমূরকে জড়িয়ে ধরে সাদরে বরণ করে নেন হাইকমান্ড নেতা এমএ মজিদ। এদিকে, জেলা ও মহানগর বিএনপি কমিটি নিয়ে আদালতে রিট হতে পারে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
একাধিক সূত্র জানায়, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করায় যে কোন সময়ে ভেঙে দেওয়া হতে পারে নব গঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি। তবে সে সেক্ষেত্রে কমিটিতে কিছুটা পুনবিন্যাসের চেষ্টা করা হচ্ছে। চেষ্টা চলছে বর্তমান যে কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে হুবহু সেই কমিটিই নতুন করে ঘোষণা দিতে। আর তখন মহানগর বিএনপির যে অংশটি তথা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাটি আবারও মহানগরেই যুক্ত করা হবে। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, সিদ্ধিরগঞ্জকে মহানগর থেকে বাদ দিয়ে জেলাতে অন্তর্ভূক্ত করাটা গঠনতন্ত্র বিরোধী চরম সাংঘর্ষিক এবং এ ব্যাপারে আগামী সংসদ নির্বাচনেও বিএনপির উপর প্রভাব পড়তে পারে আইনগতভাবে।
এদিকে, এ কমিটির এ অবস্থা নিয়ে আদালতে রিট করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহেই সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার জনৈক বিএনপি নেতা এ ব্যাপারে আদালতে রিট করতে যাচ্ছেন। বিএনপির নেতাদের মতে, এ জটিলতার অবসান না হলে আগামীতে বিএনপি ছাড়াও সহযোগি সংগঠনও একই পন্থায় কমিটি গঠনের চেষ্টা করলে ভবিষ্যতে সে জটিলতা প্রকট আকারে রূপ নিতে পারে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারী জেলা বিএনপির সাবেক কমিটির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সেক্রেটারী করে ২৬ সদস্যের জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। একইদিন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক তিনবারের এমপি আবুল কালামকে সভাপতি ও বিলুপ্ত নগর বিএনপির সেক্রেটারী এটিএম কামালকে সেক্রেটারী করে ২৩সদস্যের মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন করা হয়।
জেলা কমিটিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৯টি ওয়ার্ডকে রাখা হয়েছে। যদিও সিটি করপোরেশন এলাকাটি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা নিয়েই গঠিত। সিদ্ধিরগঞ্জকে মহানগর থেকে বাদ দেওয়ার ফলে মহানগরের সীমাবদ্ধতা এখন বন্দরের কদমরসুল এলাকা ও নারায়ণগঞ্জ শহর। সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী বন্দর ইউনিয়ন পড়বে জেলা কমিটিতে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনে সেটা মানা হয়নি।
প্রসঙ্গত ২৩ সদস্যের কমিটিতে সহ সভাপতি হলেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, বিদ্রোহী কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম সরদার, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি হাজী নূরউদ্দিন, বিলুপ্ত নগর কমিটির সহ সভাপতি জাকির হোসেন, আইনজীবী নেতা সরকার হুমায়ূন কবির, ফখরুল ইসলাম মজনু, বেগম আয়েশা আক্তার। যুগ্ম সম্পাদক ২জন হলেন আজহারুল ইসলাম বুলবুল ও মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। সাংগঠনিক সম্পাদক তিনজন হলেন আবদুস সবুর খান সেন্টু, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু ও আবু আল ইউসুফ খান টিপু। সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম সজল, মাহাবুবউল্লাহ তপন। কোষাধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনির। দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার ও প্রচার সম্পাদক সুরুজ্জামান।
এর আগে ২০০৯ সালের অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ নগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয় সম্মেলন করে। সেখানে জাহাঙ্গীর আলম সভাপতি ও এটিএম কামাল হন সেক্রেটারী। গত কয়েক বছর ধরেই কমিটি গঠন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। গত ২২ ডিসেম্বর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর থেকেই কমিটি গঠন নিয়ে শুরু হয় তোড়জোড়। আর এ নিয়ে নেতারাও বেশ উদগ্রীব ছিল কমিটি গঠনে। এ অবস্থায় সোমবার বিকেলে ঘোষণা করা হয় কমিটি। কমিটিতে সহ সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে গত ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে।
২৬ সদস্যের কমিটিতে সহ সভাপতি হলেন শাহ আলম, খন্দকার আবু জাফর, জান্নাতুল ফেরদৌস, শাসমসুজ্জামান, আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, আজহারুল ইসলাম মান্নান, আবদুল হাই রাজু, মনিরুল ইসলাম রবি, ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ, লুৎফর রহমান। যুগ্ম সম্পাদক লৎফর রহমান খোকা, এম এ আকবর। সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, নজরুল ইসলাম পান্না, মাসুকুল ইসলাম রাজীব। সহ সাংঠনিক সম্পাদক উজ্জল হোসেন, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান ও রুহুল আমিন। সদস্য পদে সাবেক এমপি রেজাউল করীম, গিয়াসউদ্দিন, বদরুজ্জামান খান খসরু, নজরুল ইসলাম আজাদ, আতাউর রহমান আঙ্গুর ও মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়া। এর আগে ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয় সম্মেলন করে। সেখানে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সভাপতি, কাজী মনিরুজ্জামান সেক্রেটারী ও মুহাম্মদ শাহআলম হন সহ সভাপতি। এর পর ৭ বছর ধরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। তবে গত বছরগুলোতে আন্দোলন সংগ্রামে কোন ভূমিকাই ছিল না কাজী মনির ও শাহআলমের। বরং আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করেই চলতে হয়েছে তাঁদেরকে। ( যুগের চিন্তা)

নারায়ণগঞ্জ ডিবি অফিসে সাংবাদিক তাহের লাঞ্ছিত

নারায়ণগঞ্জে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিক তাহের হোসেনকে লাঞ্ছিত করেছে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। পেশাগত কাজে  বুধবার রাত ১১টার দিকে ডিবি অফিসে গেলে তাকে এসআই মিজান ও  এসআই সায়েম সহ কয়েকজন তাকে লাঞ্ছিত করে বলে তাহেরের অভিযোগ।

সাংবাদিক তাহের হোসেন জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতারের খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ের গেইটের সামনে যাবার পর কনেষ্টবল  আমাকে থামিয়ে  বলেন ভিতরে সাংবাদিক প্রবেশ  নিষেধ আছে। তখন আমি  প্রতি উত্তরে বললাম,  ঐ যে  ভিতরে অনেক লোকজন দেখা যাচ্ছে। একথা বলার সাথে সাথেই ভিতর থেকে দারোগা মিজান ও সায়েম এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে, চোখের চশমা ভেঙ্গে ফেলে মোবাইল  ছিনিয়ে নেয়। এরপর টেনে হিঁচড়ে হাজত খানার সামনে নিয়ে ফের লাঞ্ছিত করার সময় অন্যান্য দারোগারা এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরে  ইন্সপেক্টর তদন্ত আমার মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেয়। আমি বাহিরে  আসার পথে ফের দারোগা মিজান আমাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য গালিগালাজ করে  ও নানাভাবে হুমকি দেয়। ঘটনার বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ফোরকান আহম্মেদকে জানানো হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আমাকে আশ্বাস প্রদান করেন ।

এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহমুদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ওই সাংবাদিক আমাকে জানাতে পারতো। ঠিক আছে বিষয়টি আমি খোঁজ নিচ্ছি।

তাহের হোসেন একাত্তর লাইভ ডট কমের বার্তা সম্পাদক,  দৈনিক সোজা সাপটার সিনিয়র রিপোর্টার।