৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 210

আড়াইহাজার বিএনপিতে দুই নেতাকে নিয়ে গুঞ্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আড়াইহাজারে বিএনপির থানা কমিটিতে এবার এডভোকেট মো: জাহাঙ্গীর সভাপতি ও মনিরুজ্জামান খাঁন সাধারণ সম্পাদে আসছেন। এমন গুনজনে সরগম হয়ে উঠেছে উপজেলার সর্বত্র। শুক্রবার দিনভর বিএনপির নেতাকর্মীদের এনিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তুণমুল নেতাকর্মীদের দাবী এই দুইনেতার সম্ময়নে কমিটি করা হলে, উপযুক্ত ও যোগ্যতা সম্পূর্ণ কমিটিই হবে। তাদের রয়েছে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ক্লিন ইমেজ। সাংগঠনিক ভাবেও তারা ইতিপূর্বে বেশ ত্যাগ শিকার করেছেন এবং  দক্ষতার সাথে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, এড. জাহাঙ্গীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে বিএনপির রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। ইতিপূর্বে তিনি সাতগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রয়াত নেতা রোকনউদ্দিন মোল্লার হাত ধরে এপদে তার অভিষেক হয়। দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে দলের কাজ করে যাচ্ছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তার ক্লিন ইমেজের কারণে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা তাকে বিএনপির থানা বিএনপির নেতৃত্বে আসা সময়ের দাবী বলেও অনেকে জানিয়েছেন।

এদিকে, মনিরুজ্জামান খান জাহাঙ্গীর নগর ইউনির্ভাসিটি থেকে অনার্স মাস্টাস শেষ করে বিএনপির রাজনীতিতে তার অভিষেক ঘটে। ইতি মধ্যে তিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে আড়াইহাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসাবে অত্যন্ত সাহসীকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে তার ভুমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো।

জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলায় যুবদলের সভাপতি প্রার্থী ছালাউদ্দিন মোল্লা বলেন, জাহাঙ্গীর ও মনিরুজ্জামানকে আড়াইহাজার থানা কমিটির দায়িত্ব দেয়া হলে বিএনপির ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধা হবে। আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা করতে হলে প্রথমেই ক্লিন ইমেজধারী নেতার প্রয়োজন। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সাংগঠনিক দক্ষতায় এই মুহূর্তে উক্ত দুইনেতার কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন, উক্ত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের জন্য লবিং করছেন এড. মো: আবু ছিদ্দিকুর রহমান। তিনি নারায়ণগঞ্জ আইনজীবি সমিতির সদস্য ও থানা যুবদলের মধ্যে একজন ইমেজধারী নেতা।

এদিকে, মনিরুজ্জামান খান বলেন, অতীতে নেতৃত্বে দুর্বলতার কারণে বিএনপিকে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। নেতৃত্বে সাংগঠনিক দক্ষতার দুর্বলতার কারণে নেতাকর্মীরা অনেকে দল ত্যাগ করেছেন। তাদের আবার ফিরে আনতে হবে। আমাকে ও জাহাঙ্গীরকে দলের দায়িত্ব দেয়া হল। প্রথমেই দলকে তৃণমুলের নেতাকর্মীদের নিয়ে গুছানো হবে। বিএনপির নিস্ক্রীয় নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করে মাঠে নামানো হবে। কাউকে মাইনাস করে নয়; সবাইকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হবে আমার প্রথম দায়িত্ব। তবে বিতর্কিত কোনো ব্যাক্তির ঠাঁই সংগঠনে হবে না বলে তিনি ঘোষণা দেন।

জেলা আইনজীবি সমিতির নেতা এড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিএনপির তুণমুলের শতশত নেতা মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে কারাবাস করছেন। অতীতে নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে বিএনপির চরম ক্ষতি হয়েছে। শীর্ষনেতাদের কাছে না পেয়ে অনেকে দল ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে যে সময় সারাদেশ আন্দোলন সংগ্রামে উত্তাল ছিল। সেই সময় প্রয়াত নেতা এএফএম ইকবাল ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে মাঠে-ময়দানে ছিলাম। তখন জাহাঙ্গীর ভাইও কর্মীদের বিপদে-আপদে পাশে ছিলেন। জাহাঙ্গীর একজন সংগ্রামী ও কর্মী বান্ধব নেতা। তাকে কাছে পেলে নেতাকর্মীরা উৎসাহ নিয়ে দলের জন্য কাজ করবেন।

এদিকে, বর্ষীয়ান নেতা ও থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড. হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবি মো: জাহাঙ্গীর বলেন, অতীতে যারা আড়াইহাজার বিএনপির দায়িত্বে ছিলেন। তারা দলের জন্য রাজনীতি করেনি। তারা রাজনীতি করেছেন নিজেদের আখেঁর গুড়ার জন্য। জাহাঙ্গীর আরো বলেন, আমাকে থানা বিএনপির দায়িত্ব দেয়া হয়; আমি প্রথমেই সব নেতাকর্মীদের একমঞ্চে বসানোর চেষ্টা করব। অতীতের ভেদাভেদ ভুলে বেগম জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য দলের জন্য ঐকবদ্ধ হয়ে কাজ করব।

স্বাধীনতাবিরোধীদের অতিথি করা যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সচিবালয় প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্বাধীনতাবিরোধীদের অতিথি করা যাবে না।’

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন’উপলক্ষে নিরাপত্তাবিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কোনো অবস্থাতেই বিতর্কিত ও স্বাধীনতাবিরোধী কোনো ব্যক্তিকে অতিথি করা যাবে না। অতিথি হিসেবে কোনো অনুষ্ঠানেই তারা যেতে পারবে না।’

স্বাধীনতা দিবসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সব ধরনের নাশকতা এড়াতে জাতীয় দিবস পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকবে। সাভার স্মৃতিসৌধ ও ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আইনশৃঙ্খলা  বাহিনীর নজরে থাকবে। প্রতি বছর স্মৃতিসৌধ এলাকায় যে  ধরনের নিরাপত্তা নেওয়া হয় এবারও ব্যতিক্রম হবে না। নিরাপত্তার জন্য আগের মতো সিকিউরিটি গেট, সিসিটিভি, আর্চওয়ে, কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হবে।

‘নৌপথে নিরাপত্তা দেবে নৌপুলিশ। পর্যাপ্ত নৌপুলিশের টহল  থাকবে। তাছাড়া বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ স্থলেও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে- বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, পদাতিক ডিভিশন সাভার স্মৃতিসৌধে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেবে।

মন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগ স্বাধীনতা দিবসে নির্ধারিত দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত থাকবে। স্মৃতিসৌধ, জাতীয় স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নি নির্বাপনে ফায়ার সার্ভিসের বিপুলসংখ্যক  কর্মীকে প্রস্তুত রাখা হবে। তাছাড়া বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্বাধীনতা দিবস পালনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।

নিরাপত্তার স্বার্থে এবারও ঢাকা থেকে সাভার স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত রাস্তায় কেউ তোরণ করতে পারবে না বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে আগেও এই রাস্তায় আমরা কাউকে তোরণ করতে দেইনি। এবারও কাউকে তোরণ করতে দেওয়া হবে না। আগের মতো তোরণ তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, স্বাধীনতা দিবস ছাড়াও শুক্রবার ও শনিবারসহ তিনদিনের ছুটিতে পর্যটক স্থানগুলোতে যথেষ্ট ভিড় হবে। এসব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ থাকবে।’

তিনদিন ছুটিতে নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, না এখন পর্যন্ত কোনো হুমকি নেই। তারপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাশকতা মোকাবিলায় প্রস্তুত। তৎপর রয়েছে গোয়েন্দা বাহিনী। আশা করছি, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় দেশবাসী দিবসটি উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করবে।

জাতীয় পতাকা ব্যবহার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,  জাতীয় পতাকা যত্রতত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়, এতে জাতীয় পতাকার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়। সেজন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় পতাকার সাইজ এবং পতাকা কতটুকু সময় উড়ানো যাবে, কিভাবে পতাকা উড়বে-  সবকিছু তারা ঠিক করে দেবে।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব কামালউদ্দিন আহমেদ, বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদেরকে বহনকারী হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : নওগাঁ যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে বহনকারী হেলিকপ্টার সিরাজগঞ্জে জরুরি অবতরণ করানো হয়।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় পৌঁছে বিরূপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। এ সময় তাড়াশের দেশিগ্রাম ইউনিয়নের খিরসিন আদিবাসীপল্লি এলাকায় হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণ করানো হয়।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় যোগ দিতে একটি হেলিকপ্টারে করে নওগাঁ যাচ্ছিলেন ওবায়দুল কাদের। তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক স্থানীয় নেতা-কর্মীদের জানান, মেঘ, ঘন কুয়াশা ও আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে দিক নির্ণয় করতে না পারায় পাইলট হেলিকপ্টারটি তাড়াশের দেশিগ্রামে জরুরি অবতরণ করাতে বাধ্য হন। ৪০ মিনিট পর আবহাওয়া ঠিক হলে হেলিকপ্টারটি নওগাঁর উদ্দেশে রওনা হয়।

দেশিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘হঠাৎ ঘন কুয়াশার কারণে হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণ করে। খবর পেয়ে আমি, তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হকসহ অনেকে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এ সময় শত শত লোকজন ও দলীয় নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর ঘন কুয়াশা কেটে গেলে হেলিকপ্টারটি গন্তব্যস্থলে চলে যায়।’

জরুরি অবতরণের পর সংক্ষিপ্ত সময়ে ওবায়দুল কাদের দলের খোঁজখবর নেন এবং নেতা-কর্মীদের দলকে সুসংগঠিত করার দিকনির্দেশনা দেন।

দেশের কোথাও গণতন্ত্র নেই: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে বিএনপিকে নির্বাচনে নিতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নির্বাচন নয়। সরকার একই কায়দায় ছলচাতুরি করে, প্রতারণা করে গোল করতে চায়। কিন্তু তা এত সহজ নয়।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘কারাবন্দি দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনের (আরপিও) রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত ধারার দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আইন মানুষের উপকারের জন্য। যে আইন মানুষের উপকারে আসে না, সেটি আইন নয়।

তিনি অভিযোগ করেন, দেশের কোথাও গণতন্ত্র নেই। জনগণকে বোকা বানানোর জন্য সরকার গণতন্ত্রের কথা বলে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, একদিন তারেক রহমানের কারাবন্দি দিবস পালন করে লাভ হবে না। তারেক রহমানকে দেশে নিয়ে আসতে হবে, সে জন্য আন্দোলন করতে হবে। বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, তারেক রহমান সুদূর প্রসারী চক্রান্তের শিকার। এই চক্রান্ত শুরু হয়েছিল জিয়াউর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে।

বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

সোনারগাঁয়ে অসহায় বৃদ্ধা রূপবাহারকে ঘর বুঝিয়ে দিলেন এএসআই আজাদ

সোনারগাঁ প্রতিনিধি
সোনারগাঁয়ের সনমান্দী পূর্বপাড়া গ্রামে স্বামী-সন্তান হারা পঁচাত্তুর বয়সের অসুস্থ বৃদ্ধা রূপবাহারকে রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে টিনের ঘর ও আসবাবপত্র বুঝিয়ে দিয়েছেন থানার আলোচিত এএসআই আবুল কালাম আজাদ। এ সময় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়। ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. মঞ্জুর কাদের (পিপিএম)।
এ সময় স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোমেন সরকারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য হাজী নূরে আলম খাঁন, সনমান্দি ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, দৈনিক যুগান্তরের ষ্টাফ রিপোর্টার আল আমিন তুষার, হিরালাল বাদশা, হারুনুর রশিদ মেম্বারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রসঙ্গত, উপজেলার সনমান্দি পূর্বপাড়া গ্রামে বসবাসরত পঁচাত্তুর বয়সের অসুস্থ বৃদ্ধা রূপবাহার দাম্পত্য জীবনের ৮ বছরের মাথায় স্বামী ময়জুদ্দিন ও এর তিন বছর আগে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যান। পৃথিবীতে আপন বলতে কেউ না থাকলেও স্বামীর রেখে যাওয়া ২ শতাংশ ভিটে-মাটিকেই শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে মেনে নেন রূপবাহার। এ সময় স্থানীয় একটি পরিবারে গৃহপরিচারিকার কাজ করে তিনি জীবন-যাপন করছিলেন। বার্ধক্যজনিত কারনে প্রায় ১৫ বছর আগে সেই কাজও হারান তিনি। বসবাসের জরার্জীন খুপড়ি ঘরটিও ভেঙে চৌচির। তাই পলিথিনে মোড়ানো ঝুঁপড়ির ভেতরে বসবাস করতেন। রোদ বৃষ্টি আর শীতকে উপেক্ষা করে ঝুঁপড়ির ভেতরে বসতি আর অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন-যাপন ছিল বৃদ্ধা রূপবাহারের। এলাকাবাসীর মতে, জীবনে কোনদিন হাসির মুখ দেখা যায়নি রূপবাহারের। এরই মধ্যে তিনি মারাতœকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৃত্যুর প্রহর গুনা রূপবাহারকে যেন দেখার কেউ নেই।
এমন পরিস্থিতিতে গত ২৭শে জানুয়ারী জুম্মার নামাজের সময় রূপবাহারের বাড়ির পার্শ্ববর্তী সনমান্দি জামে মসজিদে মাদক ও জঙ্গী বিরোধী জনসচেতনতা মূলক এক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সোনারগাঁ থানার এএসআই আবুল কালাম আজাদ। এ সময় তিনি অসুস্থ রূপবাহার সম্পর্কে স্থানীয় হিরালাল বাদশার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে তার পাশে দাঁড়ান। অসুস্থ রূপবাহার তখন মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছিলেন। এ সময় এএসআই আবুল কালাম আজাদ নিজ প্রচেষ্টায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রূপবাহারের মানবেতর জীবন-যাপনের করুন পরিনতি ও জীবন কাহিনী শুনে কেঁদে ফেলেন এএসআই আজাদ। প্রতিজ্ঞা করেন অসহায় বৃদ্ধার পাড়ে দাঁড়ানোর। নিজের চাকুরির ভবিষ্যৎ তহবিল (জিপিএস) ফান্ডের জমানো প্রায় ৫০ হাজার টাকা তুলে বৃদ্ধা রূপবাহারের জন্য সুন্দর একটি টিনের ঘর নির্মান করে দেন। ক্রয় করে দেন আসবাবপত্র ও ফার্নিচার। মা বলে ডাকেন রূপবাহারকে। রূপবাহারের জন্য নির্মান করা নতুন ঘর দেখানোর জন্য অসুস্থতার মধ্যেও হাসপাতাল থেকে গাড়ীতে করে বাড়িতে নিয়ে যান। হাসি ফুঁটে রূপবাহারের চোখে মুখে। রোববার বিকেলে রূপবাহারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরটি হস্তান্তর করা হয়। ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অসুস্থ রূপবাহারের জন্য হুইল চেয়ার ক্রয় করে দেন ওসি শাহ্ মো. মঞ্জুর কাদের (পিপিএম)। এছাড়া জেলা পরিষদের সদস্য হাজী নূরে আলম খাঁন আজীবন রূপবাহারের ভরন-পোষন ও চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. মঞ্জুর কাদের (পিপিএম) বলেন, নিজের ভবিষ্যৎ তহবিল (জিপিএফ) ফান্ডের জমানো টাকা তুলে অসহায় বৃদ্ধার জন্য টিনের ঘর নির্মান করে দেওয়ার ঘটনাটি বিরল। এএসআই আবুল কালাম আজাদ এ কাজটি করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে।

ভালো ও সত্য কাজে তার পাশে দাঁড়ানোর আহবান-মেয়র আইভী

শহর প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর কর্মকাÐের সমালোচনা করার আহবান জানিয়েছেন তিনি নিজেই। আর যুক্তিযুক্ত সামালোচনা হলে অবশ্যই সেই কাজ থেকে সরে আসবেন বলেও অঙ্গিকার করেন তিনি। তবে ভালো ও সত্য কাজে তার পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান আইভী।  রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের আমলাপাড়া এলাকায় আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইভী বলেন, ‘কোরআনে আছে সত্য ও ভালোর পাশে থাকার জন্য তবে কেন আপনারা ভয় পান। আমার কাজের পাশে এসে দাঁড়ান। আমার সমালোচনা করেন। আমি কথা দিচ্ছি আমার কোন কাজে আপনাদের যৌক্তিক সমালোচনা হলে আমি সেই কাজ করবো না।’
আইভী আরো বলেন, ‘আমি জানি না আপনারা কেন ভয় পান। কোন অদৃশ্য শক্তির ভয়ে ভীত না হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সমাজের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন। তবে অন্যায় অবিচার হলে আমার মুখ খুলবেই। সবার হয়ে আমি কথা বলবো। কারো ভয়ে আমি থেমে থাকবো না।’
উন্নয়ন প্রসঙ্গে আইভী বলেন,‘বড় সব কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন যা বাকি আছে সব ছোট কাজ। গত ৯ জানুয়ারি তৃতীয়বারে মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বগ্রহণ করার পর মাত্র  এক মাস হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমরা অনেক কাজের ট্রেন্ডার ডাকা হয়েছে। । তিনি বলেন কাউন্সিলর খোরশেদ ও এলাকাবাসীর দাবী পূরনে এ মেয়াদেই ১৩ নং ওর্য়াডে মা ও শিশু হাসপাতাল,কমিঊনিটি সেন্টার,লাইব্রেরী ও একাধিক গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে।
আইভী আরো বলেন, আমি শুধু আপনাদের মেয়র না। ২৭টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মেয়র আমি। আমাকে ২৭টি ওয়ার্ডের সমস্যা ও চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে হয়। তবে গত দুই মেয়াদেও ১৩নং ওয়ার্ডে সব থেকে বেশি কাজ হয়েছে। যা আপনাদের জন্য আরো করা হবে। এর জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের উদ্দেশ্যে আইভী বলেন,‘আপনি নিজেও একটি দল করেন তবে এলাকার স্বার্থে যেন কোন দলমত না হয়।’ এছাড়াও এলাকাবাসীর বিভিন্ন সমস্যা ও চাহিদার কথা জানালে আইভী সমস্যা সমাধান ও নতুন উন্নয়নের আশ্বাস দেন
১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদে তার বক্তব্যে বলেন একটি আধুনিক বাস যোগ্য ওয়াডে পরিনত করতে আমরা সব কাজ করবো,তবে জনগনকেও আরো সচেতন হতে হবে রাস্ত-ঘাট-ড্রেন ব্যাবহারে।তিনি পরিস্কার পরিছন্নতা ও বজ্য অপসারনে এলাকাবাসীর সহয়োগিত চান।তিনি মেয়রের কাছে ১৩ নং ওয়াডে মা ও শিশু হাসপাতাল,কমিঊনিটি সেন্টার,লাইব্রেরী ও গভীর নলকূপ বসানোর দাবী করেন।নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডে ১ কোটি ১০ লাখ টাকার ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে স্থানীয় কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ওই আলোচনার আয়োজন করেন। পরে মেয়র আইভী স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকাবাসীকে নিয়ে ওই প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষনা করেন।১৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহবুদ্দিন খন্দকারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লঞ্চ পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল, মহিউদ্দিন আহমেদ, শাহবুদ্দিন আহমেদ,মোঃওমর আলী,আনোয়ার মাহমুদ বকুল, লিয়াকত হোসেন, কালিরবাজার বনিক সমিতির সভাপতি ফারুক মহসিন,সহ সভাপতি মোঃসালাউদ্দিন,মোঃ মোহন,মোঃলতিফ,কৃষœা সাহা,হারুন জামাল,হারুনুর রশীদ,মাওলা শাহীন,হানিফ সরদার, মোঃখোকন,মালু সরদার,শেখ মোহাম্মদ আমান, বরুন চ্যাটার্জী, সামসুল হক খন্দকার, মো. শিপলু হক, মো. ওানা হক, নির্ঝর হক,রনি, সালাউদ্দিন, আবুল হোসেন মোল্লা, মো. ফারুখ হোসেন, শহিদুল ইসলাম , আব্দুর রাজ্জাক, মো. ফারুখ, আনোয়ার হোসেন আনু, সরকার মুজিব, রানা মুজিব, রিটন দে, শওকত খন্দকার, সাইফুল প্রধান, আক্তার উদ্দিন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গোলাম সারোয়ার বাদল, রফিকুল ইসলাম সানু ও মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।

মোঃ মঈনুল হোসেন আড়াইহাজারের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত

আড়াইহাজার প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী রোকনউদ্দিন মোল্লা গার্লস ডিগ্রি কলেজের সহকারি অধ্যাপক মোঃ মঈনুল হোসেন, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মেধাবী, দক্ষ এবং দায়িত্বশীল একজন শিক্ষক। তিনি শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলকার সুধীজনের নিকট অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তি। ঘোড়াশাল গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ১২ অক্টোবর ১৯৯৯ তারিখে প্রভাষক পদে প্রথম যোগদান করেন এবং গত ১৭ নভেম্বর ২০০১ তারিখ হতে অদ্যবধি তিনি সুনামের সাথে রোকনউদ্দিন মোল্লা গার্লস ডিগ্রি কলেজে সহকারি অধ্যাপক পদে কর্মরত আছেন। এ সফল্যের জন্য কলেজের ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক, গভর্ণিং বডির সদস্যবর্গ এবং এলাকার শুভানুধ্যায়ীদের পক্ষ হতে তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়। তিনি আড়াইহাজার উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের কাইমপুর গ্রামের একজন কৃতিসন্তান। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক সন্তানের জনক। তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৫ সালে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে অর্নাস সহ মাষ্টর্স ডিগ্রী  অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে কলেজে প্রায় ৫ বছরের অধিক অত্যন্ত সুনামের সাথে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি গভর্ণিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি ও শিক্ষক কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত।

আড়াইহাজারে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

আড়াইহাজার প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের শিবপুর এলাকায় রোববার ১১টার দিকে পুকুর থেকে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে হালিম, আসানউল্ল্যাহ, মোছলেম, মোশারফ, কাদির, রেজিয়া, খোরশেদ, ফারুক, আরিফ ও শিমুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন সেবা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হালিম ও আসানউল্ল্যাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় জানা গেছে, শিবপুর এলাকায় চিতাশাল সংলগ্ন একটি পুকুর দীর্ঘদিন ধরে হালিমগংয়েরা ভোগ দখল করে আসছে। রোববার বিরোধপূর্ণ পুকুরে হালিম মাছ ধরতে যায়। এসময় প্রতিপক্ষের খোরশেদ মিয়া তার লোকজন নিয়ে মাছ ধরায় বাঁধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পর ম্পরের লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় যুবক কাসেম জানান, বিরোধপূর্ণ পুকুরটি ‘খ’তফসিল ভুক্ত। এটি বিভিন্ন সময় স্থানীয় লোকজন মাছের চাষ করে আসছে। রোববার স্থানীয় একটি পক্ষ পুকুরটি মালিকানা দাবী করে মাছ ধরায় বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কিছু লোক আহত হয়েছেন। আড়াইহাজার থানার ওসি মো: সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি।

আড়াইহাজারে শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

আড়াইহাজার প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে শনিবার প্রধান শিক্ষক শাজাহানের ওপর হামলার ঘটনায় রোববার মামলা হয়েছে। আহত শিক্ষকের ছেলে বাদী রোববার মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় নগরডৌকাদি গ্রামের সমিরউদ্দিনের ছেলে দেলোয়ারের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাত আরও তিন জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, শনিবার ৬০নং পাঠানেরকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাজাহান পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পাশ্ববর্তী টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে বলেন। কিন্তু ওই ছাত্রী পানি আনতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষক তাকে চড়থাপ্পর মারেন। ঘটনাটি ছাত্রী তার চাচা দেলোয়ারকে অবহিত করেন। পরে দেলোয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে অজ্ঞাত আরও কয়েক জনকে নিয়ে প্রধান শিক্ষককে লোহার পাইপ দিয়ে বেধরক মারপিট করেন। এতে তার বাম হাত ভেঙে যায়। আশঙ্ক জনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ঢাকার শ্যামলী শেফা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ মো: মান্নান সরকার জানান, প্রধান শিক্ষকের বাম হাতটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তিনি দোষিদের দ্রæত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন। আড়াইহাজার থানার ওসি মো: সাখাওয়াত হোসেন জানান, মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ভালো করবে- অনু

আড়াইহাজার প্রতিনিধি
আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির বারবার কারা নির্যাতিত নেতা ও সাবেক বিআরডি’র চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন অনু বলেছেন, জেলা বিএনপির অতীতের যে সময়ের কমিটি থেকে নবর্গঠিত কমিটি ভালো করতে পারে। বর্তমান সময়ে এমন একটি কমিটিই বিএনপির তৃণমুল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা ছিল বলে তিনি দাবী করেন। আজ (শনিবার) জেলা বিএনপির নবর্গঠিত কমিটির প্রথম আলোচনা সভায় নেতাদের একমঞ্চে দেখে থানা শাখা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছে। এটি বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানো শুভ ইঙ্গিত বহন করে। বিশেষ করে জেলা নেতাদের দক্ষ তৎপরতায় এবং শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রতিআস্থা জ্ঞাপন করেছেন। অনু আরো বলেন, আমিসহ আড়াইহাজার থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা উৎসাহের সাথে দলের জন্য কাজ করে যাব। জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মো: মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ যেভাবে নির্দেশ দিবেন; আমরা সেভাবেই দলের জন্য কাজ করব। তাদের নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। শনিবার বিকালে আড়াইহাজার পৌরসভায় অবস্থিত আশিক সুপার মাকের্টে এক আলোচনায় সভায় অনু এসব কথা বলেন। এসয়ম জেলা বিএনপির কমিটির নেত্রীবৃন্দকে সহযোগিতার ঘোষণা দেয়াসহ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।