আবুল কালাম আজাদ:প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের চরিত্র হরণ করে সংবাদ প্রকাশ করায় গণমাধ্যমের তিন সম্পাদককে সংসদে তলবের দাবি জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। একই সঙ্গে গণমাধ্যমের জন্য নতুন আইন প্রণয়নের দাবি জানান তিনি।
বুধবার রাতে দশম জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব দাবি জানান।
আইন প্রণয়নে শামীম ওসমানের এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদসহ বেশিরভাগ সংসদ সদস্য। তারা টেবিল চাপড়ে ওই বক্তব্যে সমর্থন জানান।
শামীম ওসমানের বক্তব্য শেষে স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, এ চেয়ারে বসে আমি অনেক কিছুই বলতে পারি না। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবে না বলে সংশ্লিষ্ট বিধিতে বললে আমি যত ক্ষুদ্র ব্যক্তি হই না কেন রুল জারি করতাম। তবে আপনি কোনো বিধিতে নোটিশ দিলে রুলিং দেব।
বক্তৃতার শুরুতেই মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা প্রসঙ্গ তুলে শামীম ওসমান বলেন, যতই আমি-আপনি এখানে শোক জানাই, তিনি আর ফিরে আসবেন না। আমি প্রশ্ন রাখতে চাই জাতির বিবেকের কাছে, সব সংসদ সদস্যের কাছে। আমার প্রশ্ন হল, গুলিবদ্ধি হয়ে লিটন কি মৃত্যুর জন্য বেশি কষ্ট পেয়েছিলেন নাকি তার বিরুদ্ধে কিছু পত্রিকা অপপ্রচার চালিয়েছিল, সেটা ভেবে বেশি কষ্ট পেয়েছিলেন?
তিনি বলেন, লিটনের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলার পরও পরদিন দু-একটি মিডিয়ায় দেখলাম লিটনকে অন্যভাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কেন?
শামীম ওসমান বলেন, কিছু পত্রিকা হলুদ সাংবাদিকতা করছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। এসব ঠেকাতে আইন করেন। সময় এসেছে আইন করার। কারণ ওরা খেলতে শুরু করেছে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, আমি নিজে মৃত্যু দেখে এসেছি। আজকে এখানে দাঁড়িয়ে আছি, এটা আমার এক্সটেনশন লাইফ। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন আমাকে এ লাইফ দিয়েছেন। ঠিক যেইভাবে আমার নেত্রীকে এ পর্যন্ত ২০ বার দিয়েছেন।
হত্যার উদ্দেশ্যে নিজের ওপর চালানো হামলার কথা উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, রক্ত কত গরম, রক্ত কত আগুনের মতো গরম হয় আমি অনুভব করেছিলাম। যখন জ্ঞান ফিরেছিল আমার মনে নাই। আমি সেদিন ভেবেছিলাম এটাই বুঝি আমার কবর। ওই গরমটাকে আমি অনুভব করেছিলাম। ভেবেছিলাম একজন মুসলমান হিসেবে কবরের আজাব শুরু হয়েছে। তবে সেদিন আমি কিন্তু আমার জন্য কষ্ট পাইনি। নিজের জন্য চিন্তা করি নাই। আমি চিন্তা করেছিলাম আমার ছোট মেয়েটা, ছেলেটা, মা, স্ত্রী ও পরিবার-পরিজন নিয়ে। আমি তখন বুঝেছিলাম একজন পিতা কত মহৎ হন। আমি মনে করি আমার বন্ধু লিটন যখন গুলিতে নিহত হয় সে সময় সেও হয়তো নিজের জন্য চিন্তা করেন নাই। কষ্ট পান নাই। কষ্ট পেয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অপপ্রচারটা হয়েছিল সেটা ভেবে।
শামীম ওসমান বলেন, আমি কিছু মিডিয়ার এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যে ষড়যন্ত্র দেখতে পাই। এরা কারা! এ পত্রিকাগুলি কারা! আমি নাম ধরেই বলতে চাই। কারণ আমি কাউকে ভয় করি না। এমন কোনো কাজ করি না আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন ছাড়া কাউকে ভয় পাব।
তিনি বলেন, এই ডেইলি স্টার, এই প্রথম আলো; এরা কারা? কি কারণে চরিত্র হরণে নেমেছে তারা। আজকে আমি সেই কথাটি বলতে চাই। বন্ধু লিটন নয়। এ সংসদের অধিকাংশ সংসদ সদস্য যারা শেখ হাসিনার বাইরে রাজনীতি করতে চান না। যারা আপস করবেন না। যারা রাইজিং লিডার। প্রতিনিয়ত কোনো না কোনোভাবে তাদের বিরুদ্ধেও লিখা হচ্ছে। সূত্র বলে, অমুককে এমন করে বলা হচ্ছে। আমি নিজে সবচেয়ে বড় ভিকটিম। লং মার্চ, গোলাম আযম এবং নিষদ্ধিপল্লী এই তিনটি কাজ করার পর আমাকে গডফাদার বানানোর চেষ্টা করা হল। এখনো হচ্ছে। ভবিষ্যতে হবে। যখন পারে নাই। তখন বোমা মেরে মারার চেষ্টা করা হল। তারা সেদিন বলেছিল এটি সাজানো নাটক। নাটক করে নিজের গায়ে বোমা মেরেছি, নিজের ২০ জন ভাইকে মেরে ফেলেছি!
তিনি বলেন, ওরা আমার নেত্রীকে মারতে চায়। ২১ আগস্ট তার প্রমাণ। নেত্রীকে মারার চেষ্টা এখনো চলমান আছে।
স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শামীম ওসমান বলেন, আমি জানি না এটা আমার শেষ বক্তব্য কিনা? আমি এটাও জানি না, আজকে আপনাকে আমি শেষ দেখছি কিনা। কারণ শকুনীরা চারিদিকে গরম নিঃশ্বাস নিচ্ছে। নিঃশ্বাস নিচ্ছে শেখ হাসিনার অগ্রগতিকে ঠেকিয়ে দেয়ার জন্য।
তিনি বলেন, আমি তাকে (প্রধানমন্ত্রী) খুব ভালোবাসি। আমরা তো সবাই তাকে ভালোবাসি। যারা বেশি ভালোবাসেন তাদের ওপরই আঘাতটা বেশি হচ্ছে। লংমার্চ ঠেকানোর কথা আমি স্বীকার করছি। আমি ঠেকিয়েছি। কিন্তু আটকে দেয়া হয় নাই। লংমার্চের সময় পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছিল। কারণ প্ল্যান ছিল ফেনীর কোনো এক জায়গায় খালেদা জিয়ার গাড়ির পিছনে দুটি বাস ছিল। ওই বাসে মাটিকাটা শ্রমিক নেয়া হয়েছিল। বাসটি বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার প্ল্যান ছিল। উদ্দেশ্য দেশকে অশান্ত করা। এই নিউজ তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থার ফাইল দেখলেই প্রমাণ হবে। আমি নিজে ৬৫ জন মানুষকে বাঁচানোর জন্য নিজের ওপর দায়িত্ব নিয়েছি। আমি তাতে অনুতপ্ত না। আমরা কিন্তু খালেদা জিয়াকে আটকে দেই নাই। বরঞ্চ বিরোধীদলীয় নেত্রী যাতে সঠিকভাবে চিটাগাং যেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। গোলাম আযমকে অবাঞ্ছিত করেছিলাম নারায়ণগঞ্জে। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। এরকম যদি অবাঞ্ছিত করার ঘটনা সারা দেশে হতো আজকে জঙ্গিবাদের এই চিত্র দেখতে হতো না। এসব করার কারণে ওরা আমাকে আঘাত করেছিল। এতেও আমার কোনো আপত্তি নাই।
তিনি বলেন, জোড় হাত করে বলছি, আমাকে আজকে একটু সময় দিন। আজকে আমি আমার কথা বলতে চাই না। অধিকাংশ সংসদ সদস্যের মনের কথা বলতে চাই। যখন ইচ্ছা তখন একজনের বিরুদ্ধে লিখে দেয়া হচ্ছে। আমি কোথায় বলব।
এ সময় তিনি কিছু কাগজ তুলে বলেন, যদি লিটনকে সেই দিন ১৬৪ বিধিতে কথা বলতে দিতেন। লিটন তার আত্মার তৃপ্তি নিয়ে বলত, আমি এই কাজ করি নাই। আমি যদি না বেরোতাম আমাকে গুলি করে মারত। বাংলাদেশের ৯০ ভাগ সাংবাদিক ভালো মানুষ। যারা ওয়ান-ইলেভেন ঘটাতে চায়, কিছু আঁতেল সুশীল আছেন তারা নতুন করে চক্রান্ত শুরু করেছেন। শেখ হাসিনার প্রশ্নে যারা বিন্দু পরিমাণ আপস করবে না তাদের টার্গেট করা হচ্ছে। চরিত্র হরণ করার ষড়যন্ত্র চলছে। এমনভাবে এটা করা হবে যাতে আগামীতে তারা জনগণের সামনে যেতে না পারে। কিংবা দলের ভিতরে বিতর্কিত করার চেষ্টা হবে। হয়তো দলের ভিতরেও কিছু লোক থাকতে পারে। এইগুলো করার জন্য।
শামীম ওসমান বলেন, এটা হতেই পারে। কারণ মোশতাক তো এ দলের লোক ছিল। আমাদের কোনো ইজ্জত নাই। আমাদের কোনো সমাজ নাই। আমাদের ঘরবাড়ি, বউ-বাচ্চা নাই। আমাদের কিছু নাই। আমাদের রক্তের কোনো দাম নাই। আমরা মরলে কেউ কাঁদে না। আমাদের রক্ত, রক্ত না। আমাদের রক্ত নর্দমার ময়লা পানি। কিন্তু শেখ হাসিনা। উনি কে। উনি তো জাতির জনকের কন্যা। আমরা যারা ‘৭৫-এর পর এসেছি তিনি আমাদের মা হন। মাতৃতুল্য নেত্রী। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তার বিরুদ্ধে যারা ছিল তাদের কিছুই হল না। এগুলো কিসের আলামত। তারা কি বিচারের ঊর্ধ্বে। তাদের মতো কিছু সাংবাদিকদের জন্য আজকে সত্যিকারের ভালো সাংবাদিক; যাদের সংখ্যা ৯০ শতাংশের বেশি তারা বিতর্কিত হচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, আমার নেত্রী নীলকণ্ঠী। উনি বিষ হজম করেন। কারণ আমার নেত্রী তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চান। যারা দেশের বিরুদ্ধে খেলা খেলে, যারা মানুষের বিরুদ্ধে খেলে, নেত্রী তাদের ব্যাপারে আপস করেন না। কিন্তু যারা উনার বিরুদ্ধে খেলেন তাদের কিন্তু উনি ক্ষমা চাইলেই ক্ষমা করে দেন। কারণ উনি ক্ষমাশীল ও ধৈর্যশীল। আমরা জানি না, ওরা কারা। আমার নেত্রী আজকে নাম বলেন নাই। ওরা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। বিদেশের মাটিতে মিটিং হয়েছে। দুঃখ ওরা কী করেছে সেটা না, আমার দলের লেবাস পরে আছেন ভালো কথা। সরকারেরও সুযোগ-সুবিধা নেন। উপদেষ্টাও হন। উনার পত্রিকায় গত তিন দিন আগে লেখা হল বিভিন্ন সংসদ সদস্যের নামে, আমার নামসহ। আমি অবাক হলাম। কষ্ট পেলাম। বলে কী এই লোকটা? কে এই লোকটা, উনার ব্যাকগ্রাউন্ড কী? ব্যাকগ্রাউন্ড দেখলাম। ১৯৭০ সালে সলিমুল্লাহ সাহেব ছিলেন স্পোর্টস রিপোর্টার অবজারভারের। উনি মুক্তিযুদ্ধে চলে যান। আর এই ভদ্রলোক তখন এসে তার স্থলাভিষিক্ত হন। ১৯৭১ সালের ৫ মে উনি জয়েন করেন, যখন সবাই যুদ্ধ করছেন। ১৯৭৮ সালে নেত্রী ফেরেন নাই; তখন আমরা তরুণ। রাজপথে দাঁড়িয়ে জিয়াউর রহমানের গাড়ি আটকে দিয়েছি। কষ্ট লাগে, আমরা যখন এ কাজটি করছি। এই ভদ্রলোক কৃপায় টিকে আছেন। মোশতাককে নিয়ে বড় চিন্তা হয়। ভয় লাগে। মনে হয় কোথায় কী জানি একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কারণ এই ভদ্রলোক গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়ার জন্য যারা সই করেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম। আজকের এই ভদ্রলোক ১৯৭৮ সালে সই দিয়েছিলেন। জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশিত ‘গোলাম আযমের সংগ্রামী জীবন’ বইতে লেখা আছে উনি গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সিগনেচার করেছিলেন। এটিও আছে সংগ্রাম পত্রিকায়। এই লোকটা কে? উনি তো আমাদের মধ্যেই ঘোরাফেরা করেন। প্রগতিশীল সাজেন। আর এই সংসদ সদস্যদের মাদকের সম্রাট বানানোর চেষ্টা করেন। উনার নাম ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
এ সময় সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে শামীম ওসমানের বক্তব্যকে সমর্থন জানান।
স্পিকারের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, যদি আমাদের মধ্যে কেউ একজন অপরাধী হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। আমাদের স্যাক করা উচিত। সংসদ থেকে বের করে দেয়া উচিত। আপিল করছি। বহু দেখা হয়ে গেছে। তবে এদের কাছে মাথা নত করার লোক আমি না। কারণ আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি। ওদের সাহস বেড়ে গেছে। ওরা শেখ হাসিনাকে নিয়ে বলে। কারণ ওদের কিছু হয় না। ভালো সম্পাদকও তো আছে। অনেক ভালো সম্পাদক আছে। আমাকে একজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, আমি ডেইলি স্টার প্রথম আলো পড়ি না। আপনার নেতারা কিভাবে ডেইলি স্টারের জন্মদিনের কেক কাটেন! কিভাবে আপনার কোনো নেতা প্রথম আলোর পাঠক ফোরামের নেতা হন। এটি চিন্তার বিষয়। শুনেছি, কোনো এক জায়গায় বসে ষড়যন্ত্র হয়েছে। ১০০ জন এমপির নাম ঠিক করা হয়েছে। সেই এমপিদের বিভিন্নভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হবে। এমন সিচুয়েশন সৃষ্টি করা হবে ভবিষ্যতে যাতে তাদের রাজনীতি করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
শামীম ওসমান বলেন, ১৬৪ বিধিতে আপনি তো আমাদের জিজ্ঞেস করতে পারতেন। আপনি আমাদের প্রটেকশন দেন। আইদার আমাকে ছেড়ে দেন। সাধারণ মানুষ বানিয়ে দেন। জাস্ট সাধারণ মানুষ বানিয়ে দেন। কারণ আমি যাতে কিছু করলে আমার দল বা নেত্রীর ওপরে না পড়ে। তারপর দেখাব, সাধারণ মানুষের ক্ষমতা কতটুকু। লাখ লোক নিয়ে ওদের অফিসের সামনে আসতে আমাদের বেশি সময় লাগবে না। আমরা এই বাংলাদেশেই বড় হয়েছি।
শামীম ওসমান বলেন, অনুরোধ জানিয়ে বলছি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। নেত্রীর প্লেনের ইঞ্জিন বিকল হয়। লিটন মারা যায়। সবার বিরুদ্ধে লেখা হয়। পরিস্থিতি এমন কি কেউ করতে চায় যে, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বলবে, প্রিয় দেশবাসী, এভাবে দেশ চলতে পারে না। কেউ বলতে চায় কি-না! যদি বলতে চায়, তাহলে আমি বলি আমরা অপপ্রচারে ভয় পাই না।
তিনি বলেন, আমাদের এই তরুণ সংসদ সদস্য যারা আছেন তাদের ধরা হচ্ছে। মন্ত্রীদের ধরা হচ্ছে। আমার মনে হয় আপনি প্রবীণ সংসদ সদস্য হিসেবে, ডেপুটি স্পিকার হিসেবে লিটনের গার্জিয়ান হিসেবে আপনি কিছু বলবেন আমার বক্তব্যের পরে। আমরা চাই এরপর থেকে যদি কোনো সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে লেখা হয়। তাহলে সে যাতে প্রথমে এসে কথা বলতে পারেন। যদি সে দোষী হন ব্যবস্থা নেন। আর যদি না হন, যারা লেখে তাদের ডেকে আনেন। জিজ্ঞাসাবাদ করেন।