হাজী জয়নাল আবেদীন শিক্ষা, স্মৃতি বৃত্তি ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান রবিবার সকাল ১১টায় হাজী আবু বকর সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্টিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। বালুচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনূষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখাঁন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।
‘জামায়াত মুক্ত’ করতেই ইসলামী ব্যাংকের রদবদল
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শীর্ষ পদগুলোতে যে রদবদল ঘটানো হয়েছে, তার ফলে ইসলামী ব্যাংকের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরো সুদৃঢ় হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার ব্যাংকটির বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের সভায় আরাস্তু খানকে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান পদত্যাগ করেছেন বলে জানানো হয়। তার জায়গায় নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে আবদুল হামিদ মিয়ার নাম প্রস্তাব করা হয়।
ইসলামী ব্যাংকে বরাবরই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর একটা বিরাট প্রভাব ছিল বলে মনে করা হয়। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকটির দিক থেকে এসব অভিযোগ জোর গলায় অস্বীকার করা হয়েছে।
রদবদল নিয়ে প্রশ্ন
ইসলামী ব্যাংকে হঠাৎ করে যেসব রদবদল ঘটানো হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্যাংকটি সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আবদুল হান্নান। তিনি বলেন, যেভাবে পরিবর্তনগুলো আনা হয়েছে, তার পেছনে কোন সৎ উদ্দেশ্য আছে বলে মনে হয় না।
এসব পরিবর্তনের কোন যুক্তি আমি পাচ্ছি না। হঠাৎ করে চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়ে গেলেন, তিনি পদত্যাগ করলেন। ভাইস চেয়ারম্যান পরিবর্তন হলেন, তিনিও পদত্যাগ করলেন। এমডিও পদত্যাগ করলেন। এবং সম্পূর্ণ নতুন এক ব্যক্তি, যিনি মাত্র কদিন আগে বোর্ডে যোগ দিয়েছেন, তিনি চেয়ারম্যান হলেন…. এগুলো কোনভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় না। এর পেছনে সৎ উদ্দেশ্য আছে বলা যায় না। অবশ্যই এর পেছনে কোন না কোন রাজনীতি আছে।
শাহ আবদুল হান্নান বলেন, এসব পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হয়তো ইসলামী ব্যাংকে কোন দলের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করা। তবে তিনি দলটির নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান।
তবে ইসলামী ব্যাংকে সর্বশেষ এসব পরিবর্তনের পেছনে সরকারের কোন ভূমিকা থাকার কথা । অস্বীকার করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের বোর্ড পরিবর্তন করা হয়েছে। সুতরাং এখানে কোন গোষ্ঠী বা দল বা ব্যক্তির সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে, এমন বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত নই। আমি বিশ্বাস করি সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবেই এটা করা হয়েছে।
বাংলাদেশে সরকারী-বেসরকারী সব ব্যাংকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকই এখন সবচেয়ে বড় ব্যাংক। মুনাফার দিক থেকেও ব্যাংকটির অবস্থান শীর্ষে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে এটিকে বাংলাদেশের সেরা ব্যাংকের পুরস্কার দেয় লন্ডনের ফিনান্সিয়াল টাইমসের ব্যাংকার ম্যাগাজিন।
সেই পুরস্কার নিতে বিদায়ী ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান লন্ডনে এসেছিলেন। সেসময় বিবিসির স্টুডিওতে এসে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কোন সম্পর্কের কথা জোরালোভাবে অস্বীকার করেন।
জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক
ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্ক কী? এ প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়, কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই ইসলামী ব্যাংকের কোন ধরণের আইনি বা অন্য কোন ধরণের সম্পর্ক নেই।
ইসলামী ব্যাংক যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন সেখানে বিদেশি বিনিয়োগই ছিল সবচেয়ে বেশি, মোট বিনিয়োগের ৭০ শতাংশই এসেছিল ১১টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে। সেখানে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, কুয়েত ফাইন্যান্স হাউস, দুবাই ইসলামী ব্যাংক এদের বিনিয়োগ ছিল।
অন্যদিকে বাংলাদেশের যে ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ, তার মধ্যে দশ শতাংশ এসেছে শেয়ার বাজারে ছাড়া আইপিও(ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং) থেকে। বাকী যে বিশ শতাংশ বিনিয়োগ, তার পঁচিশ শতাংশ দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। দীর্ঘদিন বাংলাদেশ সরকারের একজন প্রতিনিধি ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের একজন সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন সেখান থেকে সরকারী বিনিয়োগ তুলে নেয়ার আগে পর্যন্ত।
কিন্তু ইসলামী ব্যাংক যেভাবে পরিচালিত হতো, সেখানে জামায়াতে ইসলামীর একটা বিরাট প্রভাব ছিল, তাদের ইচ্ছেমতই সবসময় ব্যাংকটি পরিচালিত হয়েছে, এমন অভিযোগ বহুবার ব্যাংকটির বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে।
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ আবদুল মান্নান সে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইসলামী ব্যাংকের মূলধনে যেমন কোন বিশেষ দলের বা মতের সম্পর্ক ছিল না, আমাদের বিনিয়োগ কার্যক্রম বা ডিপোজিট যারা করছেন, সেখানেও কোন রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা কখনো প্রমাণিত হয়নি।
তিনি আরো বলেন, আমার গত ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি আমরা সম্পূর্ণ পেশাদারীত্বের ভিত্তিতে এই ব্যাংকটি পরিচালনা করেছি। এবং শুধু পেশাদারীত্বের কারণেই ইসলামী ব্যাংক সারা বিশ্বে এত সুনাম অর্জন করেছে।
ইসলামী ব্যাংক তাদের নিয়োগ, ব্যবসা, বিনিয়োগ, ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে কেবল একটি দলকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ, সে অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ অসত্য।
তবে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুল মতিন স্বীকার করছেন, ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে যে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা আছে, সেরকম একটা ধারণা সাধারণ মানুষের মধ্যে আছে।
ব্যাংকের সাম্প্রতিক বড় রদবদলগুলো কি তাহলে এটিকে একটি দলের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যেই করা হচ্ছে?
এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অনেকটা তাই, সেটা বলতে পারেন। এই পরিবর্তনটা ধীরে ধীরে আমরা করার চেষ্টা করছি। এই ব্যাংকে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের পদ্ধতিতে এমন কিছু ছিল, যে কারণে একটা পার্টিকুলার দলের লোক ছাড়া এখানে অন্য কারও ঢোকাটা বলতে গেলে শূন্যই ছিল। সেখানে এখন আমরা নজর দিচ্ছি।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুল মতিন আরও বলেন, তাদের আনা পরিবর্তনগুলোতে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাইতে ব্যাংকের গ্রাহকের স্বার্থকেই তারা প্রাধান্য দিচ্ছেন।
ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকের সংখ্যা কিন্তু এক কোটি সতের লাখের উপরে। জামানত আছে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা। কর্মচারীর সংখ্যা সাড়ে তের হাজার। এখন এই সাড়ে তের হাজার কর্মচারী যদি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের মতাদর্শের অনুসারী হয়েও থাকে, এক কোটি সতের লক্ষ গ্রাহক কিন্তু ঐ দলের পক্ষে না, ঐ মতাদর্শের পক্ষে না। এখন আমাদের দেখতে হবে, আমরা কি এক কোটি সতের লাখ গ্রাহকের স্বার্থ দেখবো, নাকি সাড়ে তের হাজার কর্মচারী, যারা হয়তো একটি পার্টিকুলার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের স্বার্থ দেখবো? -বিবিসি
বন্দুকযুদ্ধে মারজান নিহত “ছেলে দোষ করে থাকলে তার শাস্তি হয়েছে, লাশ চাই না”
“আমার ছেলে যদি দোষ করে থাকে, তাহলে তার শাস্তি হয়েছে। আমার আর বলার কিছুই নেই।” কান্না জড়িত গলায় একথাই বললেন কথিত শীর্ষ জঙ্গী মারজানের মা সালমা খাতুন। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গুলশানে গত বছরের জুলাইতে যে জঙ্গী হামলা হয়েছিল তার অন্যতম হোতা ছিলেন নুরুল ইসলাম মারজান।
শুক্রবার ভোররাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় এক বন্দুকযুদ্ধে মারজান এবং তার এক সহযোগী নিহত হন বলে দাবি করছে পুলিশ।
সালমা খাতুন জানান, তার ছেলে দোষ করেছে, সে দোষী, সে অন্যায়কারী। তার লাশ তিনি চান না। তবে সরকার যদি স্বইচ্ছায় লাশ দেয়, দেবে। সরকারের কাছে তার কোনো আবেদন, আপত্তি কোনো কিছুই নেই। তিনি লাশ চাননি।
অনেকটা একই কথাই বলেছেন মারজানের বাবা নিজামউদ্দীন। তিনি পেশায় একজন দর্জি। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে তিনি খবর পান যে তার ছেলে নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, মারজান যে কাজ করেছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, সত্যি যদি সেই কাজের সঙ্গে সে জড়িত হয়ে থাকে, তাহলে তার বিচার করেছে সরকার।
“আমি ছেলের মুখের থেকে তো আর শুনতে পারলাম না যে সে এই কাজে জড়িত ছিল কীনা। এখন যেভাবেই হোক, আমার ছেলে নিহত হয়েছে। যদি সরকার আমার ছেলেকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারে, এলাকাবাসীর আবেদন, তারা তাকে বহুদিন দেখেনি। এলাকাবাসী তাকে ভালোবাসতো। সেই হিসেবে তাকে দাফন করবো।”
তিনি আরো বলেন, এখন আমি লাশ গ্রহণ করবে, আমার সেরকম সামর্থ্য নেই। আমি গরীব মানুষ। আমার সামর্থ্য নেই ওখানে গিয়ে লাশ নিয়ে আসার। আমি পারবো না।” -বিবিসি
মেয়র এম এ মান্নান জামিনে মুক্ত
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
শুক্রবার দুপুর ১টায় কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-১ থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এ সময় কারাফটকে অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান, বিএনপি নেতা বশির আহম্মেদ, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-১-এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বালা জানান, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র মান্নানের জামিন-সংক্রান্ত কাগজপত্র গতকাল রাতে কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তাঁর জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আর কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকায় দুপুর ১টায় তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এর আগে মান্নানকে গ্রেপ্তারের পর ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল তাঁকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এ স্থানান্তর করা হয়।
২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এম এ মান্নানকে ঢাকায় তাঁর নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গত বছরের ২ মার্চ তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করেন। মুক্তি পাওয়ার পর ১৫ এপ্রিল তাঁকে গাজীপুর থেকে ফের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন।
এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট ২৮টি মামলা করা হয়েছে। উচ্চ আদালতে সব কয়টি মামলায় জামিন লাভের পর আজ শুক্রবার তিনি জামিনে মুক্তি পেলেন। মুক্তি পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় এম এ মান্নান বলেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। কারাগারে অন্তরীণের ব্যাপারে অন্য সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
সারাদেশে গণতন্ত্র হত্যা দিবসে বিএনপির মিছিলে পুলিশের বাধা, আ.লীগ-ছাত্রলীগের হামলা-গুলি
ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপির ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ এ আয়োজিত মিছিল সমাবেশে বাধা প্রদান, হামলা, পুলিশের লাঠিচার্জ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনের বিভিন্ন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা : রাজধানীতে ছাত্রদলের পৃথক দুটি মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ছাত্রদলের দাবি পুলিশের লাঠিচার্জে ২৫ থেকে ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে হাইকোর্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে কালো ব্যাজ ধারন কর্মসুচি পালন ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে পৌঁছে দিয়ে মিছিল নিয়ে ফিরে আসার সময় তাদের ওপর লাঠিপেটা করে পুলিশ। আহতদের অধিকাংশ প্রইভেট বিশ্ববিদ্যাল শাখার।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা দেখে অবৈধ, অনির্বাচিত সরকারের মাথাব্যাথার কারণেই সরকার তাদের পেটোয়া বাহিনী দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ও তাদেরকে আটক করেছে। আমি অবিলম্বে আটককৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ বলেন, আমরা শান্তিপুর্ণ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের দিকে আসার সময় হাইকোর্টের সামনে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করে। এ হামলায় ১৫ জন আহত হয়েছে এবং ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আমরা গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে শাহাবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ ছাত্রদলের মিছিলে কোনো লাঠিচার্জ করেনি। তবে কাউকে আটক করা হয়েছে কিনা জানা নেই, কারণ আমি এখন বাইরে।
বরিশাল : বরিশালে সদর উপজেলায় বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের এ হামলায় বিএনপির ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান দলটি। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার অভিযোগ করেন, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় প্রথমে পুলিশ বাধা দিয়ে তাদের মাইকগুলো খুলে নিয়ে যায়। এর পরই ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে বিএনপি অফিসের সামনে গিয়ে হামলা চালায়। এতে ১০ বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচজনকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জিয়াউদ্দিন আরো অভিযোগ করেন, ৫ জানুয়ারি কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দলীয় কার্যালয়ে সভা করার জন্য তারা পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন করেছে। এরপরও পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা পুলিশের সামনে হামলা চালায়। এতে তাদের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আওলাদ হোসেন জানান, বিএনপি কোনো রকম অনুমতি না নিয়ে সমাবেশের চেষ্টা করলে বাধা দেয়া হয়। তবে তাদের দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে সভা করতে বলা হয়েছে। এছাড়া তারা বাইরে কোনো মাইক ব্যবহার করতে পারবে না।
চট্টগ্রাম : ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে বের হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিল পন্ডু করে দিয়েছে। তবে পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করে বলছে, পুলিশকে দেখেই বিএনপির কর্মীরা দৌড় দিয়েছে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে বের হলে পুলিশকে দেখেই দৌড় দিয়ে পালিয়েছে। তাই লাঠিচার্জের মতো ঘটনাই ঘটেনি।
সিলেট : সিলেটে পুলিশি বাধার কারণে কালো পতাকা মিছিল বের করতে পারেনি বিএনপি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি এ কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করে। এজন্য সকাল থেকেই সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ মিনার থেকে থেকে মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা।
সেখানে মিছিল করতে না পেরে নগরীর আম্বরখানার দিকে চলে যান নেতাকর্মীরা। আম্বরখানা থেকে পুনরায় মিছিলের চেষ্টা করলে আবারও পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ফলে মিছিল না করেই ফিরে যান তারা।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার সহকারী কমিশনার (এসি) নুরুল হুদা আশরাফী বলেন, বিএনপি মিছিলের ব্যাপারে প্রশাসনের অনুমতি নেয়নি। তাই তাদের মিছিল করতে দেয়া হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ শপথ গ্রহণের পরই গ্রেপ্তার হয়েছেন। সপথ গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপির আয়োজিত গণতন্ত্র হত্যা দিবসের বিক্ষোভ-মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে শহরের মন্ডলপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।
গ্রেপ্তারকৃত মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নওগাঁ : নওগাঁ জেলা বিএনপির মিছিলে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এতে ২০-২২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে দলটি। একই সঙ্গে মিছিল থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক তৌফিকুর রহমান লালু, জেলা যুবদলের সভাপতি বায়েজিদ হোসেন পলাশ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক খাইরুল আলম গোল্ডেন ও জাকারিয়া আলম রোমিও প্রমুখ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিকের নেতৃত্বে মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের মুক্তির মোড়ের দিকে আসলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়। এসময় আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শবনম মোস্তারি কলি, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আশিক ইকবাল ওথেলো, বিএনপি কর্মী শেখ মিজানুর রহমানসহ ২০-২২ জন আহত হন।
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু বলেন, গণতন্ত্র হত্যা দিবসের মিছিল নিয়ে কেডির মোড় বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে শান্তিপূর্ণভাবে শহরের মুক্তির মোড়ের দিকে আসলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে বিএনপির ২০/২২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি তোরিকুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের গণতন্ত্রের বিজয় দিবসের বড় একটা র্যালি ছিল। সে কারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের একটু দেরিতে মিছিল বের করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা তা না শুনে বিনা অনুমতিতে শহরে মিছিল বের করায় পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে তারা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল ছুঁড়ে। এ ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কাউকে লাঠিচার্জ করা হয়নি। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি আয়োজিত কালো পতাকা মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ১১টার দিকে শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে কালো পতাকা হাতে মিছিল বের করে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েকশ’ নেতাকর্মী।
মিছিলটি শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে কালীবাড়ি মোড় প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের তর্ক-বিতর্ক হয়।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন বলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা কালো পতাকা মিছিল বের করি। মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ আমাদের মিছিলে বাধায় দেয়ায় কালীবাড়ি মোড়েই আমরা সংক্ষিপ্ত পথসভা করেছি।’
পুলিশি বাধার ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. মঈনুর রহমান বলেন, ‘মিছিলকারীরা আইনশৃংখলার অবনতি ঘটাতে পারে-এমন গোয়েন্দা তথ্য ছিল আমাদের কাছে। আইনশৃংখলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই মিছিলে বাধা দেয়া হয়েছে।’
ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহে বিএনপির পূর্বঘোষিত কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। দুপুরে শহরের নতুন বাজার বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সের নেতৃত্বে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের বাধায় মিছিল বের করতে না পেরে সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
সমাবেশে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী রানা, শিব্বির আহমেদ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম, কোষাধ্যক্ষ রতন আকন্দ, প্রচার সম্পাদক কায়কোবাদ মামুন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আওরঙ্গজেব বেলাল, শ্রমিক দলের সভাপতি আবু সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।
নরসিংদী : ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে নরসিংদী জেলা বিএনপির কালো পতাকা মিছিল পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্প্রতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের চিনিশপুরের জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় থেকে একটি কালো পতাকা মিছিল বের করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে মিছিলটি কিছু দূর এগুলে পুলিশ বাধা দেয়।
এসময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখানে তারা একটি প্রতিবাদ সভা করে।
জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে বিএনপির ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জয়পুরহাটে দলীয় কার্যালয় থেকে জেলা বিএনপি শহরের প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। মিছিলটি রেলগেট পার হয়ে পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করতে দেয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মোজাহার আলী প্রধানের দাবি, পুলিশে মিছিলের সামনে থেকে একটি ফাঁকা গুলি করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে বিএনপির দাবি প্রত্যাখ্যান করে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বলেন, পুলিশ নয়, বিএনপির মিছিল থেকে ফাঁকা গুলি করার কথা শোনা গেছে। যারা গুলি চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
পুলিশি বাধায় বিক্ষোভ মিছিলটি বাধ্য হয়ে দলীয় কার্যালয়ের ফিরে যায় এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মোজাহার আলী প্রধান বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি চালিয়ে পুলিশ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা দিয়েছে।
মেহেরপুর : মেহেরপুর জেলার গাংনীতে জেলা বিএনপি ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসে’র মিছিল ও আলোচনা সভা পুলিশের বাধায় অফিস কক্ষে গৃহবন্দী হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির ব্যবস্থাপনায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে মিছিল শেষে আলোচনাসভা হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পযর্ন্ত মিছিলটি পুলিশের বাধায় ব্যর্থ হয়ে যায়। পরে অফিস কক্ষের চার দেওয়ালের মাঝে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি আমজাদ হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাইলা আরজু মান বানুসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ট্রাক চালক খুন
সিদ্ধিরগঞ্জে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এক ট্রাক চালকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মাহবুবুর রহমান (২৭)। নিহত মাহাবুবুর রহমান কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী বলদিটালী গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। বুধবার রাত ১ টায় ঢাকাÑচট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আল আমিন (৩২) নামে এক জনকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবিনা (৩২) নামে এক ভাসমান পতিতাকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা ভাসমান পতিতাদের ফাঁদে ফেলে নিহত মাহবুবকে তাদের নিরাপদ আস্তানায় নিয়ে যায়। পরে সেখানে তার মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিতে গেলে নিহত মাহবুব বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে আহত করে ঘটনাটি ঘটনায়।
খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই রাসেল ঘটনাস্থলে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় সে মারা যায়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
জানা গেছে, হত্যাকান্ডের শিকার ট্রাক চালক মাহাবুবুর রহমান মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে কুড়ি গ্রামের উদ্দ্যেশে আলু নিয়ে যাওয়ার পথে রাতে শিমরাইল ট্রাক স্ট্যান্ডে বিরতি দেয়। এ সময় সে ওই চক্রের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, কাঁচপুর ব্রীজের ঢাল, কাঁচপুর ল্যান্ডিং, শিমরাইল মোড়, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক, ডেমরা রোড ও বাসষ্ট্যান্ডসহ আশপাশের বিভিন্ন অলিগলিতে প্রতিদিনই ওই ছিনতাইকারী চক্রের ছত্রছায়ায় পতিতারা বিচরন করে। পরে তারা নিরিহ সাধারন মানুষদের ফাঁদে ফেলে টাকা পয়সা মোবাইল ও মূল্যবান জিনিষ পত্র ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জে থানার এসআই রাসেল তদন্ত শেষে বুধবার সন্ধ্যায় জানান, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক নারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেফতারে অভিযান চলছে। থানায় আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ ভ্রমণে ফের সতর্কতা জারি করলো যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ফের সতর্কতা জারি করলো যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অব্যাহত হুমকি এবং সারাদেশে ভ্রমণে ঝুঁকির বিষয় বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার এ সতর্কতা জারি করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ঢাকায় তার ভ্রমণ সতর্কতা আবারো জারি করলো যা পরিস্থিতি বিবেচনায় ৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের চাকরিজীবীরা চাইলে নিজ নিজ জায়গায় অবস্থান করবেন কিংবা ঢাকায় ফিরে যেতে পারেন।
এর আগে গত বছরের ১০ জুলাই বাংলাদেশে নিজ দেশের নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় একটি রেস্তোরাঁয় ২০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছিলো, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাগরিকও ছিলেন। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্ব মাস থেকে শুরু করে সংঘটিত বেশ কয়েকটি হামলায় ভারত উপমহাদেশীয় শাখা আইএস ও আল-কায়েদা তার দায় জনসম্মুখে স্বীকার করেছে। এছাড়া ২০১৬ সালের অক্টোবরে আইএস বাংলাদেশর সুরক্ষিত স্থানসমূহ যেমন প্রবাসী, কূটনৈতিক, পর্যটক, কারখানার ক্রেতা, মিশনারি ও খেলার স্থানসমূহে হামলার হুমকি দিয়েছে।
এতে বলা হয়, এরকম হুকমিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করে যে এটা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব কর্মকর্তা রয়েছে তাদের কাজ, ভ্রমণে কঠোর সতর্কতামূলক নির্দেশনার প্রয়োজন রয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র মিশনে নিরাপত্তা নীতি যেকোনো সময় কোনো নোটিশ ছাড়াই পরিবর্তন করা হতে পারে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্র নাগরিকদের চলাচলে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়। যেসব স্থানে দেশটির নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা হলো: বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও স্থানসমূহ পরিদর্শন, পায়ে হাঁটা, মোটরসাইকেল, রিক্সায় ভ্রমণ, পাবলিকে যানে চলাচল ও বড় কোনো সমাবেশে যোগ দেওয়া।
শপথ নিলেন আইভী ও কাউন্সিলররা
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী আজ বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে শপথ নিয়েছেন সেখানকার নির্বাচিত কাউন্সিলররাও। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকাল ১০টায় এই শপথ অনুষ্ঠান হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে শপথবাক্য পাঠ করান। কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
গত ২২ ডিসেম্বর ভোট শেষে নির্বাচিত ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানাসহ ২৮ ডিসেম্বর গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এরপরই স্থানীয় সরকার বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শপথ আয়োজনে স্থানীয় সরকারসচিব আবদুল মালেক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ–সংক্রান্ত আমন্ত্রণপত্রও পাঠান।
এই নির্বাচনে একজন মেয়রের সঙ্গে ২৭ সাধারণ কাউন্সিলর ও নয়জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটের দুই সপ্তাহের মাথায় শপথ নিচ্ছেন তাঁরা।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন নির্বাচিত সব কাউন্সিলরকে শপথবাক্য পাঠ করান। এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মালেকের পরিচালনায় শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মেয়র ও কাউন্সিলররা ছবি তোলায় অংশ নেন।
আইভী ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র নির্বাচিত হন।
সারাদেশে ভূমি-ভবনে ফাটল, আতঙ্কে ২ জনের মৃত্যু
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে আতঙ্কে দুইজনের মৃত্যু এবং তিনজন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়ি-ঘর, বহুতল ভবন-ভূমিতে ফাঁটল দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে ছাতক উপজেলার শামসুল হকের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে সায়মা আক্তার (১৪) ও জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের আমাসপুর গ্রামের বাসিন্দা হিরণ মিয়ার (৬০) মৃত্যু হয়েছে। আহত হয় একই উপজেলার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নাদিউর রহমান (১৩)।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে হিরণ মিয়া নিজ ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ ভূমিকম্প হওয়ায় ঘর থেকে দ্রুত বের হতে গিয়ে তিনি দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান।
পরে পরিবারের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মুধুসূদন ধর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, সিলেটে ভূমিকম্পে তিনজন আহত হয়েছে। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে বের হতে গিয়ে তারা আহত হন।
আহতরা হলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইফতেখার আহমদ রবিন (২২)। অপর দুইজন হলেন, নগরীর বন্দরবাজার এলাকার হোটেল শ্রমিক সাব্বির আহমদ ও আরিফ আহমদ।
ভূমিকম্পের সময় রবিন ক্লাসে ছিলেন। আতঙ্কিত হয়ে জানালা দিয়ে বের হতে গিয়ে তিনি আহত হন। তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হোটেল শ্রমিক সাব্বির ও আরিফ ভূমিকম্পের সময় হোটেল থেকে বের হতে গিয়ে পড়ে আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ভূমিকম্পে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ভূকম্পনের ফলে উপজেলার শতাধিক ঘরবাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। অর্ধশতাধিক এলাকার মাঠ ও ফসলি জমিতে ফাটল সৃষ্টি হয়ে বালি ও পানি ভূপৃষ্ঠে উঠে আসে।
এছাড়াও উপজেলার নবনির্মিত অডিটোরিয়াম ভবন দেবে গেছে ও ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।
উপজেলার শমসেরনগর বাজারে একটি তিনতলা রেস্টুরেন্টে মারাত্মক ফাটল দেখা দিয়েছে বলেও জানা গেছে। উপজেলার কুমড়াকাপনসহ বেশ কিছু এলাকার রাস্তাঘাটেও ফাটল দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল কমলগঞ্জের খুবই কাছে হওয়ায় কমলগঞ্জে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে উপজেলার সকল অংশের খবর এখনো জানা যায়নি বলে স্থানীয় সাংবাদিক জানিয়েছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুর রহমান জানান, ভূমিকম্পে উপজেলার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ এখনো সম্ভব হয়নি।
গোলক ধাঁধাঁয় আটকে আছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি
নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি গোলক ধাঁধাঁয় বন্দি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে একই অবস্থা বিরাজ করছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে এই দুই দলের মধ্যে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আর এ অবস্থার কারণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও বিপাকে পরেছে। নাসিক নির্বাচনের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াত আইভীর বিপুল ভোটের বিজয়েরও পর নেতারা নানা ঝটিলতার মধ্যে রয়েছে। বিএনপির একাধিক নেতা কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতাদের নানামুখী চাপে রয়েছে। মূলত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে নতুন কওে ঝটিলতা দেখা দিয়েছে। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতি নড়েচড়ে বসেছে। আওয়ামী লীগে ঐক্য ফিেে আসলেও বিএনপিতে দেখা দিয়েছে চরম অস্থিরতা। নাসিক নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের মধ্যে মেয়র প্রার্থীতা নিয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দিলেও দলীয়সভানেত্রী শেখ হাসিনা দুই গ্রæপের নেতাদেও নিয়ে বঙ্গভবনে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীও পক্ষে এক মঞ্চে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু বিএনপিতে থেকে যায় নানা বিরোধ। বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গোপনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদেও সাথে আতাঁতের অভিযোগও ওঠে। গুঞ্জন ছড়িয়ে পরে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করারও। আর এ নিয়ে বিএনপিতে নতুন করে হিসেব নিকেশ শুরু হয়। এদিকে, নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভীর কাছে বিএনপির প্রার্থীও এতো বড় ভরাডুবিকে মেনে নিতে পারছে না বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। স্থানীয় নেতাদেও মধ্যে প্রকাশ্যে ঐক্য থাকলেও গোপনে বিরোধ থাকায় বিএনপির প্রার্থীও চরম ভরা ডুবির ঘটনা ঘটে বলে মনে করছেন বিএনপির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা। এ নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনের পর স্থানীয় নেতাদেও সাথে বৈঠকও করেছে। এছাড়া দলীয় প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের সাথেও একান্ত বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। নির্বাচনের পরাজয়ের কারণ জানতে খালেদ জিয়া গোপনে গোয়েন্দা টিম মাঠে নামিয়েছেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া নাসিক নির্বাচনের পর নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ভীত নড়ে উঠেছে। বর্তমান নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে খোদ বিএনপি থেকে। জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃত্বের পরিবর্তনের চিন্তু করছে বিএনপির হাই কমান্ডে। জেলা ও মহানগরে নতুনদের আনার চিন্তা করছে তারা। অপরদিকে, আওয়ামী লীগে চলছে পাওয়া না পাওয়ার নানা হিসেব। নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে দলের প্রভাবশালী নেতা সাংসদ শামীম ওসমানকে রাজনীতিতে কোনঠাসা করতে কাজ শুরু করেছে দলের একটি মহল। চলছে উত্তর-দক্ষিনের পাল্লা ভারী-হাল্কার হিসেব। এছাড়া মেয়র আইভী মেয়র হওয়ার পর সাংসদ শামীম ওসমানকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে নানা ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে শামীম পন্থি নেতাকর্মীদেও অভিযোগ। তবে আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সাংসদ শামীম ওসমান একজন দক্ষ সংগঠন। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে শামীম ওসমানকে প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু একটি মহল সাংসদ শামীম ওসমানকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে জোর করে সারিয়ে দিতে চাচ্ছে। এ জন্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে নানা উভয় খুঁজছে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানাগেছে, নাসিক নির্বাচনের পর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্নঙ্গ কমিটি গঠনের ব্যাপাওে তৎপরতা শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে জেলার পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেয়া হবে। কিন্তু এখানে কার পাল্লা ভারী আর কার পাল্লা হাল্কা এ নিয়ে সমিকরণ শুরু হয়েছে। আর এ অবস্থার কারণে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগে আবারো বিরোধের আশঙ্কা করছে রাজনৈকিব বিশ্লেষক মহল।