২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 218

এমপি লিটনের খুনিদের খুঁজে বের করার নির্দেশ শেখ হাসিনার

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটনের খুনিদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের সই করা এক শোক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

এমপি লিটনের মৃত্যুকে শোক প্রকাশ করে স্থানীয় জনগণকে ধৈর্য ধারণ করারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শোক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একটি মহল দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। হত্যা ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, যা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। তাদের হত্যার রাজনীতির পথ ধরেই তারা নির্বাচিত সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলামকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া আজ খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেড এ মাহমুদকে হত্যার জন্য গুলি করা হয়েছে, গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে একজন পথচারী নিহত হন।

শোক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

দুর্বৃত্তদের গুলিতে এমপি লিটন নিহত

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গার নিজ বাড়িতে আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্যকে গুলি করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক বিমল সরকার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সংসদ সদস্যের বুকে গুলি লেগেছিল।

এর আগে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিউর রহমান জানিয়েছিলেন, নিজ বাড়িতে সংসদ সদস্যকে গুলি করার ঘটনা সত্য। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।

সংসদ সদস্যের স্ত্রী খোরশেদ জাহান স্মৃতি বলেছিলেন, সংসদ সদস্যকে তার নিজ বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গায় গুলি করা হয়েছে। দুই দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে গুলি করে পালিয়ে যায়। তার পরই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

তবে কারা গুলি করেছে এ ব্যাপারে পুলিশ বা সংসদ সদস্যের পরিবার কেউ কিছু বলতে পারছে না।

সূত্র  জানায়, সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে সরকারি গাড়িতে করেই সংসদ সদস্য লিটনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীর জুড়ে রক্ত ছিল। চোখ বন্ধ ছিল।

সংসদ সদস্যের সঙ্গে আসা দুই নারীকে অপারেশন থিয়েটারের বাইরে কাঁদতে দেখা গেছে। তারা এমপি লিটনের মা ও বোন বলে জানা গেছে।

২০১৫ সালের ২ অক্টোবর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্ধ ইউনিয়নের গোপালচরণ এলাকায় এক শিশুকে গুলি করে সারা দেশে সমালোচনার মুখে পড়েন এমপি লিটন। তিনি তার লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে গোপালচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সৌরভকে গুলি করেন।

এ ঘটনায় সৌরভের বাবা বাদী হয়ে ৩ অক্টোবর এমপি লিটনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ ছাড়া এমপি লিটনের বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ৬ অক্টোবর আরেকটি মামলা করেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর শাহাবাজ গ্রামের হাফিজার রহমান।

ওই ঘটনায় মামলার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন এমপি লিটন। পরে ওই বছরই আদালতে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যান। পরে জামিনে মুক্তি পান।

শীতলক্ষ্যায় নৌকাডুবি: ২ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ৯

গাজীপুরের কাপাসিয়ার দুর্গাপুর ইউনিয়নের অদূরে শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার ও ৯ জন নিখোঁজ  হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, তারাগঞ্জ খেয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা খেয়া পারাপারের সময় হঠাৎ ডুবে যায়। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ হয়।

রাত সোয়া নয়টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ৯ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও ডুবুরীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে কাপাসিয়া থানা পুলিশ জানিয়েছে।

পরীক্ষায় ফেল করে ছাত্রীর আত্মহত্যা

মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে জেএসসি পরীক্ষায় ফেল করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মাশাখোলা গ্রামের ভ্যান চালক আবদুল বাসেরের মেয়ে আসমা আক্তার পরীক্ষায় ফেল করার খবর শুনে গলায় ফাঁস দেয়।তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার  মোঃ মনির হোসেন মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, আসমা এবছর মজিদপুর দয়হাটা কেসি ইন্সটিটিউশন থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। অভাবের সংসারে দরিদ্র পিতার কষ্টার্জিত অর্থে লেখাপড়া করে পাস না করার বিষয়টি আসমা মেনে নিতে পারেনি। এ কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।  পুলিশ হাসপাতালে এসে লাশটি তাদের হেফাজতে নিয়েছে।

শ্রীনগর থানার ওসি সাহিদুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে আ’লীগের ঐক্য নারায়ণগঞ্জের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবে

অাব্দুর রহিমঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যে ঐক্যের ছোঁয়া লেগেছে তা ধরে রাখার দাবি তৃনমূলের। নির্বাচনকে সামনে রেখে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে তা যেন নির্বাচনেই সীমাবদ্ধ না থাকে। আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের ঐক্যের কারণেই নাসিক নির্বাচনে বিএনপিকে পরাজিত করে নৌকা বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। এই ঐক্য ধরে রাখা গেলে বহুল প্রতিক্ষিত স্বপ্নের আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে প্রাণে চাচ্ছেন আওয়ামী লীগের এই ঐক্য অব্যাহত থাকুক। তবে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা ঐক্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে কতটুকু অবদান রাখতে পারেন তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে দলের সাধারন নেতাকর্মীরা। রাজনীতিতে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঐক্য অটুট রাখতে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ভূমিকাই এখন মূল ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেতাদের সদিচ্ছাই এই ঐক্যকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। এর ফলে নির্বাচনের আগে জণগনকে দেয়া প্রতিশ্রæতিগুলো বাস্তবায়ন সহজ হবে। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীরে মনোনিত প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াত আইভীর জয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল। ফলাফল ঘোষাণার সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। বিএনপি প্রার্থী এড.শাখাওয়াত হোসেন খানকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে আইভী আবারো মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন করে উৎসবের জোয়ার বাইছে। নির্বাচনের আগে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিভেদ,বিরোধ থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আইভীর সাথে সাংসদ শামীম ওসমানসহ জেলা,মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সমঝোতার পর ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনী মাঠে নামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। শেষ অবদি এই ঐক্যই আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াত আইভীকে বিজয় এনে দিয়েছে। নির্বাচনের দু’দিন আগে জাতীয় পার্টির সমর্থন আইভীকে বিজয়ী হতে আরো বেশী অগ্রণী ভূমিকা রেখেছ। আইভীর এই বিজয়ের পেছনে ব্যাক্তি ইমেজ ও আওয়ামী লীগের ঐক্য দু’টি বিষয়ই মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে। তবে নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে তা ধরে রাখার বিষয়টি নির্বাচনের পর সামনে চলে এসেছে। আওয়ামী লীগের তৃনমূলের দাবি, নির্বাচনের পূর্বে দলে যে ঐক্য শুরু হয়েছে তা অব্যাহত রাখাতে হবে। এই ঐক্যই নারায়ণগঞ্জকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। এছাড়া সাংসদ ও মেয়রের ঐক্য অটুট থাকলে নারায়ণগঞ্জের কাঙ্খিত উন্নয়ন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, ক্ষমতাসীন দলের ঐক্য নারায়ণগঞ্জের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

নাসিক নির্বাচনের আমল নামায় নির্ভর করছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কমিটি

জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটি পূণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা পর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি কমিটি গঠন নিয়ে নড়েচড়ে বসে নেতা-কর্মীরা। কমিটিতে ঠাঁই পেতে তৃনমূলের অনেক নেতাকর্মী জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দিকে ছুটছেন। মনক্ষুন্ন হয়ে নেতারা এবার কে কি পদ পাবে তা নিয়ে রীতিমত শীর্ষ নেতার উপর চোখ রাখতে শুরু করে অনেক নেতা। এছাড়া দলের হয়ে যারা আন্দোলন সংগ্রামে পুলিশের মামলা-হামলার শিকার হয়েছে এসব নিয়ে চলেছে হিসাব নিকেষ। তবে কোন কিছুই কাজে আসেনি। জেলা শীর্ষ নেতা নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে পূর্নগঠনে ব্যর্থ হয়েছে। তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পরই নবীন-প্রবীন নেতাদের সমন্বয়ে সমঝোতার মাধ্যমে হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও এর বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটিগুলো। এ নিয়ে নতুন করে দৌড় ঝাপ শুরু হয়েছে। তবে নাসিক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কোন নেতা কি ধরনের ভূমিকা পালন করেছে তার মূল্যায়ন হবে নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বিএনপির একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোতে নতুন করে সাজানো হলে বিএনপির প্রার্থীর জন্য সহায়ক হতো বলে মনে করছেন বিএনপিরমাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে সমন্বয়হীনতা বিএনপিকে অক্টোপাসের ন্যায় ঘিরে রেখেছে। যে কারণে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থীও পক্ষে মাঠে নামতে পারেনি জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বেশ কিছু শীর্ষ নেতা। যার খেসারত দিতে হয়েছে নাসিক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী এড.সাখাওয়াত হোসেন খানকে। বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপি কমিটিতে জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষনা নিয়ে ইতোমধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে এসব কমিটি হলে বিএনপির প্রার্থীর জন্য সহায়ক হতো বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে কমিটি না থাকায় এ নিয়ে কিছুটা হলেও নেতা দু:চিন্তায় রয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে এ জন্য জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে অবহেলা ও নিজেদের বিরোধকে দায়ি মনে করছেন জেলা বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পর জেলা বিএনপির কিছু নেতা খুশি হলেও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপির চেয়ারপরসনের উপদেষ্টা হলেও তার কর্মী সমর্থকরা খুশি হতে পারেননি। কারণ দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবার তৈমূরকে ছাড়তে হতে পারে জেলা বিএনপি। ফলে আগামীতে জেলা বিএনপির কে হবেন কান্ডারী এ নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে আলোচনা। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন গঠনের ৫বছর অতিক্রম হলে শহর বিএনপি নতুন করে কমিটি গঠন করেনি কেন্দ্রীয় বিএনপি। ফলে শহর বিএনপি সাথে এবার জেলা বিএনপি হিসান নিকাশ শুরু হয়েছে। বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পূর্বে জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনগুলোকে নতুন করে পূর্নগঠন করা হলে বিএনপির প্রার্থীকে এতোটা বিপর্যয়ের মুখে পরতে হতো না। জেলা বিএনপির বিরোধের কারণে নির্বাচনের পূর্বে কমিটি গুলোতে পূর্নগঠনের ব্যর্থ হয়েছে বিএনপির নেতারা। যার ফলে নাসিক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে হোচট খেতে হয়েছে। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কার্যকরী সদস্য দিপু ভূইয়া, মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও শাহআলম। তারা এবার তারেক রহমানের কাছে নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর বিএনপি’র কার্যক্রমের বিভিন্ন হিসাব তুলে ধরবেন বলে ইতিমধ্যে নেতা-কর্মীদের অবগত করেছেন। কারণ, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন শীর্ষ কয়েক নেতা। তারা হলেন, এড. তৈমূর আলম খন্দকার, নজরুল ইসলাম আজাদ, দিপু ভূইয়া, আজহারুল ইসলাম মান্নান, এটিএম কামাল, মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, আতাউর রহমান মুকুল, অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এদের মধ্যে অনেককে কেন্দ্রীয় বিএনপিতে পদ দেয়া হলে স্থানীয়দের কোন পদ দেয়া হয়নি।

জেলা পরিষদ নির্বাচন রসিকতা : নজরুল ইসলাম

জেলা পরিষদ নির্বাচন ‘রসিকতা নির্বাচন’ ছাড়া অন্য কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, এর আগে উপজেলা নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়ছে। অনেকগুলো আবার জোর করে দখল করা হয়েছে। আর এগুলো প্রতিনিধিরাই জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার। সুতরাং এটা রসিকতা ছাড়া অন্য কিছু নয়।

তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের প্রহসনের নির্বাচন এবং জেলা পরিষদ নির্বাচন আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের টাকা লেনদেনের বিষয়টি শোনা যাচ্ছে- এ বিষয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন, স্বভাব খারাপ হলে যা হয়।

এসময় জাসাসের সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক মনির খানসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে ৬ বাংলাদেশী আহত

বাংলাদেশের একটি মাছ ধরার ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। এতে ছয় মাঝিমাল্লা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপের পূর্বে বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরার সময় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ চারজন হলেন- কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়ার ওসমান গনি (২২), একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩০), নুর আহমেদ (৩২) ও কক্সবাজার মহেশখালীর সাইফুল ইসলাম (৩৫)। গুলিবিদ্ধ অপর দুজনের নাম জানা যায়নি।

কোস্টগার্ড ও স্থানীদের ভাষ্য মতে, গত চার দিন আগে কক্সবাজারের বাসিন্দা মো. রহিম সওদাগরের মালিকাধীন মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে ১৪ মাঝিমাল্লা বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে বের হন।

মঙ্গলবার সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপের পূর্বে মাছ ধরতে সাগরে জাল ফেলেন তারা। আকস্মিক মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ মাছ ধরার ট্রলারকে ধাওয়া করে গুলি চালায়। এ সময় জেলেরা মাছ ধরার জাল ফেলে পালিয়ে আসার চেষ্টা করলে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন।

বিকাল ৫টার দিকে ট্রলারটি সেন্টমার্টিন ঘাটে পৌঁছলে স্থানীয় লোকজন ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা গুলিবিদ্ধদের প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠান। তাদের পা, হাত ও চোখের নিচে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন-এ দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. সাইফুল আবছার বলেন, গুলিবিদ্ধদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ জেলেদের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের জলসীমানায় মাছ ধরার সময় মিয়ানমারের নৌবাহিনী তাদের ধাওয়া করে গুলি করেছে।

ফতুল্লায় কথিত সাংবাদিক মাদক সেবী রনি দাস গ্রেফতার

সাংবাদিক নামধারী মাদক সেবী রনি দাসকে মাদক সেবন করাকালে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কাজী এনামুল হক ও এএসআই কামরুল হাসান সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সারে ১১ টার দিকে ফতুল্লার হরিহরপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রনি দাসকে গ্রেফতার করে।

রনি দাস (৩০) ফতুল্লার হরিহরপাড়া শিষমহল এলাকার মনোরঞ্জন দাসের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজী সহ মাদকের একাধীক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা সূত্র।

গ্রেফতার অভিযান পরিচালনাকারী এসআই কাজী এনামূল হক ‘সময় নারায়ণগঞ্জ.কম’কে জানান, ‘রনির বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানার মামলা নং-৯১(৮)১৬ ও মামলা নং- ৬(০৩)১৬ সহ একাধিক মামলা রয়েছে। গতকাল (সোমবার) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হরিহরপাড়া এলাকায় মাদক সেবনরত অবস্থায় রনিকে গ্রেফতার করি।’

পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, ‘রনি বিভিন্ন সময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থান হতে টাকা পয়সা নিত এবং সে বিভিন্ন মাদক ব্যাবসায়ীদের সাথে সু-সম্পর্ক রেখে তাহাদের নিকট হতে মাসোহারা নিত। সে এলাকায় বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিলেন।’

এর আগে রনি দাস সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পুলিশের বিভিন্ন কাজে ব্যাঘাত ঘটাতেন বলেও অভিযোগ করেছেন একাধীক পুলিশ কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, রনি কুমার দাস বেশ কয়েক দিন আগে দৈনিক ডানিন্ড বার্তা পত্রিকার সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান বাদলের মোবাইল চুরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় গ্রেপ্তার হয়। পরে ফতুল্লা মডেল থানার মন্দিরে আগুন লাগানো পুড়া মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেছে ফতুল্লা থানা পুলিশ। এই মামলা হতে জামিনে এসেই আবার রনি দাস বেপরোয়া হয়ে উঠে মাদক সেবন ও মাদক বিক্রিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পরে। তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আসে স্থানীয় সাংবাদিক ও পুলিশের কাছে। জেল খেটে আসার পরও রনি সংষোধন হয়েনি। তার কোন পত্রিকার কার্ডও নেই তবে সে একটি অন লাইন নিউজ পোর্টল এর পরিচয় দিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়ায় ফতুল্লা ও নারায়নগঞ্জ শহরে।

এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: কামাল উদ্দিন সময় নারায়ণগঞ্জ.কম’কে জানান, আমি এখানে এসে আমার অফিসার ও সিনিয়র সাংবাদিক ভাইদের কাছে রনির সম্পর্কে অনেক কিছুই শুনেছি। কিন্তু আমি তাকে কিছুই বুঝতেই দেইনি। ভেবেছি রনির প্রতিপক্ষ যারা তার সম্পর্কে মন্তব্য করতেই পারে। কিন্তু আমি এই কয়েক দিনেই ওর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পেয়েছি। সে পুলিশের কাজে ভীষন ডিষ্টার্ব করে এমন অভিযোগ রয়েছে অনেক।

এমপিদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ

আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যে জেলায় জেলায় ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সামগ্রী পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর এ উপলক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে জেলা পরিষদ নির্বাচনের আগেই কয়েকজন সংসদ সদস্যকে তাদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে ইসি।এ সময় জেলা পরিষদ নির্বাচনে কিছু স্থানীয় সাংসদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ এসেছে বলেও জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ। সোমবার শেরে বাংলা নগরে ইসি কার্যালয়ে শাহনেওয়াজ সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

এ সময় তিনি আরও বলেন, কিছু প্রার্থী ও সরকারদলীয় সাংসদ নানাভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এ ধরনের কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না।

শাহনেওয়াজ বলেন, ভোটের আর দু’দিন রয়েছে। সাংসদদের কাছে অনুরোধ করছি-আপনার এলাকা থেকে চলে আসেন। আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে কেউ প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে যেই হোন না কেন অনিয়ম করলে ছাড় দেয়া হবে না। সেই সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম করতে না পারে সেজন্য প্রতিটি ভোটকক্ষের সামনেই একজন করে নির্বাহী হাকিম নিয়োজিত রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কোনো ভোটার বা জনপ্রতিনিধিকে ভোটকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ভোটারকে তল্লাশি করে তা নিশ্চিত করবে। ব্যালট পেপারের কোথাও পরিচিতিমূলক চিহ্ন ব্যবহার করলে তা বাতিল করা হবে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

নির্বাচনের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে মো. শাহনেওয়াজ বলেন, ‘অন্যান্য নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন থাকবে। নিরাপত্তা বাহিনী কেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থান করবে। কেন্দ্রকে ঘিরেই নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। শান্তিতে সবাই যেন ভোট দিতে পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক থাকবে।’

দেশের ৬১ জেলায় (পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলা বাদে) আগামী বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলায় স্থাপিত কেন্দ্রে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে। দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ নির্বাচনে দেশের ৬১ জেলার ৬৫ হাজার নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের সিটি, পৌর, উপজেলা ও ইউপি জনপ্রতিনিধিরাই কেবল ভোট দেবেন।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর ৫৯ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। তবে চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে ৩৯ জেলায়। এরই মধ্যে ২২ জন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে প্রতি জেলায় মোট ভোট কেন্দ্র ১৫টি। জেলা ও উপজেলায় ওয়ার্ডভিত্তিক ৯১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে।