নাসিক নির্বাচনের আমল নামায় নির্ভর করছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কমিটি

74

জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটি পূণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা পর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি কমিটি গঠন নিয়ে নড়েচড়ে বসে নেতা-কর্মীরা। কমিটিতে ঠাঁই পেতে তৃনমূলের অনেক নেতাকর্মী জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দিকে ছুটছেন। মনক্ষুন্ন হয়ে নেতারা এবার কে কি পদ পাবে তা নিয়ে রীতিমত শীর্ষ নেতার উপর চোখ রাখতে শুরু করে অনেক নেতা। এছাড়া দলের হয়ে যারা আন্দোলন সংগ্রামে পুলিশের মামলা-হামলার শিকার হয়েছে এসব নিয়ে চলেছে হিসাব নিকেষ। তবে কোন কিছুই কাজে আসেনি। জেলা শীর্ষ নেতা নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে পূর্নগঠনে ব্যর্থ হয়েছে। তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পরই নবীন-প্রবীন নেতাদের সমন্বয়ে সমঝোতার মাধ্যমে হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও এর বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটিগুলো। এ নিয়ে নতুন করে দৌড় ঝাপ শুরু হয়েছে। তবে নাসিক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কোন নেতা কি ধরনের ভূমিকা পালন করেছে তার মূল্যায়ন হবে নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বিএনপির একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোতে নতুন করে সাজানো হলে বিএনপির প্রার্থীর জন্য সহায়ক হতো বলে মনে করছেন বিএনপিরমাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে সমন্বয়হীনতা বিএনপিকে অক্টোপাসের ন্যায় ঘিরে রেখেছে। যে কারণে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থীও পক্ষে মাঠে নামতে পারেনি জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বেশ কিছু শীর্ষ নেতা। যার খেসারত দিতে হয়েছে নাসিক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী এড.সাখাওয়াত হোসেন খানকে। বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপি কমিটিতে জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষনা নিয়ে ইতোমধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে এসব কমিটি হলে বিএনপির প্রার্থীর জন্য সহায়ক হতো বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে কমিটি না থাকায় এ নিয়ে কিছুটা হলেও নেতা দু:চিন্তায় রয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে এ জন্য জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে অবহেলা ও নিজেদের বিরোধকে দায়ি মনে করছেন জেলা বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পর জেলা বিএনপির কিছু নেতা খুশি হলেও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপির চেয়ারপরসনের উপদেষ্টা হলেও তার কর্মী সমর্থকরা খুশি হতে পারেননি। কারণ দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবার তৈমূরকে ছাড়তে হতে পারে জেলা বিএনপি। ফলে আগামীতে জেলা বিএনপির কে হবেন কান্ডারী এ নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে আলোচনা। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন গঠনের ৫বছর অতিক্রম হলে শহর বিএনপি নতুন করে কমিটি গঠন করেনি কেন্দ্রীয় বিএনপি। ফলে শহর বিএনপি সাথে এবার জেলা বিএনপি হিসান নিকাশ শুরু হয়েছে। বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পূর্বে জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনগুলোকে নতুন করে পূর্নগঠন করা হলে বিএনপির প্রার্থীকে এতোটা বিপর্যয়ের মুখে পরতে হতো না। জেলা বিএনপির বিরোধের কারণে নির্বাচনের পূর্বে কমিটি গুলোতে পূর্নগঠনের ব্যর্থ হয়েছে বিএনপির নেতারা। যার ফলে নাসিক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে হোচট খেতে হয়েছে। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কার্যকরী সদস্য দিপু ভূইয়া, মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও শাহআলম। তারা এবার তারেক রহমানের কাছে নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর বিএনপি’র কার্যক্রমের বিভিন্ন হিসাব তুলে ধরবেন বলে ইতিমধ্যে নেতা-কর্মীদের অবগত করেছেন। কারণ, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন শীর্ষ কয়েক নেতা। তারা হলেন, এড. তৈমূর আলম খন্দকার, নজরুল ইসলাম আজাদ, দিপু ভূইয়া, আজহারুল ইসলাম মান্নান, এটিএম কামাল, মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, আতাউর রহমান মুকুল, অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এদের মধ্যে অনেককে কেন্দ্রীয় বিএনপিতে পদ দেয়া হলে স্থানীয়দের কোন পদ দেয়া হয়নি।