যথাযথ মযার্দায় বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বক্তাবলী গণহত্যা ও প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ২৯ নভেম্বর বক্তাবলী পরগনায় পাক হানাদার বাহিনী কতৃক নিহত ১৩৯ জন শহীদের স্মরণে সকাল ৮টায় বক্তবলীর সৃতি স্তম্ভে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের(প্যানেল চেয়ারম্যান) আতাউর রহমান প্রধান,২নং ওয়ার্ড মেম্বার আকিল উদ্দিন সিকদার,৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আলহাজ্ব ওমর ফারুক,৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ রাসেল চৌধুরী,৫নং ওয়ার্ড মেম্বার আবদুল মতিন খান,৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আবদুল জলিল গাজী,৮নং ওয়ার্ড মেম্বার মনির হোসেন,৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আমজাদ হোসেন এবং সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোসাঃ হাজেরা বেগম, মোসাঃ মরিয়ম বেগম ও মোসাঃ কুলসুম বেগম।
ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিমকে হত্যার হুমকী
ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক ডান্ডিবার্তা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আব্দুর রহিমকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকী দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কয়েক দফায় একটি বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে এই হুমকী দেয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক আব্দুর রহিম গতকাল শনিবার ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী দায়ের করেছে। ডায়েরী নং-১৩০০।
সাংবাদিক আব্দুর রহিম জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৈনিক ডান্ডিবার্তায় যাওয়ার পথে মাহমুদ ওরুফে মগা পরিচয় দিয়ে ০১৯৭১১১১৪৭৯ নম্বর থেকে আমার ব্যবহৃত ০১৯২৩৪৯৬৫৫৭ নম্বরে ফোন করে আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকী দেয়। এছাড়া এই হুমকীর সংবাদ প্রকাশ করলে এর পরিনাম ভয়াবহ হবে বলেও জানায়। আমি তার সঠিক পরিচায় জানতে চাইলে ফোন কল কেটে দেয়। আব্দুর রহিম আরো জানায়, কিছুদিন পূর্বে শাহজাহান রোলিং মিল খাঁ বাড়ি এলাকার ফাহিম ও ফতুল্লা পাইলট স্কুল এলাকায় চিহ্নিত মাদ্রক স¤্রাট দিপুর বিরুদ্ধে দৈনিক ডান্ডিবার্তা পত্রিকায় ধারাবাহিক তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশ করে। এই সাংবাদের পর ফাহিমের পরিবারের ৭ সদস্য ও দিপুকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা পুলিশ। এ ঘটনার জের ধরে মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে হুমকী দিতে পারে বলে তার ধারনা। উল্লেখ্য, গত ২ মাস পূর্বে মাদক ব্যবসায়ী দিপুর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকশের জের ধরে সাংবাদিক রহিমকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন জানায়, এ ঘটনায় হুমকীদাতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একজন দারোগাকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে।
কলেজ সরকারিকরণের দাবিতে পুলিশের গুলিতে শিক্ষকসহ নিহত ২
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় কলেজ সরকারিকরণের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শিক্ষকসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিক্ষক আবুল কালাম উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বলে জানা গেছে। পথচারী নিহত অপর ব্যক্তির নাম সফর আলী (৬০)।
রবিবার ফুলবাড়ীয়া উপজেলা সদরের কলেজের ভিতরেই এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
ফুলবাড়ীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান রাজীব দাবি করেছেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তারা মারা যেতে পারেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফুলবাড়ীয়া কলেজে সরকারীকরণের দাবিতে দুপুরে পৌর এলাকায় আন্দোলনকারীরা মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। পরে কলেজের ক্যাম্পাসে ঢুকে আন্দোনকারীদের ওপর হামলা করে পুলিশ।
এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন পথচারী মাছবিক্রেতা সফর আলী এবং সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। ফুলবাড়ীয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে সফর আলী মারা যান। অন্যদিকে সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদকে ময়মনসিংহ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ফুলবাড়ীয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক ঈমাম হোসেন।
কলেজ শিক্ষক আরো জানান, পুলিশের লাঠিপেটায় শিক্ষক হেলাল উদ্দিন, উপেন্দ্র চন্দ্র দাস, মুজিবুল হক, মুজিবুর রহমানসহ শিক্ষার্থীরা আহত হন।
এ দিকে ওই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা উপজেলা সদরের সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি রিফাত খান রাজীব।
ঘটনায় নিহত সফর আলী সম্পর্কে ওসি রিফাত খান বলেন, কলেজে যখন আন্দোলন চলছিল, তখন একটাপর্যায়ে আমরা উপজেলার দিকে ফেরত আসতে থাকি। আসার পথে উপজেলা পরিষদের দিকে একটা অসুস্থ মানুষ শুয়ে আছে। গামছা পরা। কিছু মানুষ তাকে দেখছে। তখন সাংবাদিকরাও ছিল। তখন বললাম, উনি অসুস্থ তাকে হাসপাতালে পাঠান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ভ্যানে করে তাকে হাসপাতালে পাঠায়। কিছুক্ষণ পর ভ্যান ওয়ালা ফেরত আসে, জানায় যে তিনি পথেই মারা গেছেন। এ কারণে আর হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। পরে অ্যাম্বুলেন্স ডাকি। কারণ তিনি তো মারা নাও যেতে পারেন। পরে আমরাই তাকে হাসপাতালে পাঠাই। পরে হাসপাতাল সূত্রে জানতে পারি তিনি মারা গেছেন।
নাসিক নির্বাচনে ৯ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে বৈধ ৮
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে নিয়ম অনুযায়ী ভোটারের স্বাক্ষর না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহমুদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
রো্ববার বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত শহরের নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডের দ্বিতীয় তলায় রিটার্নিং অফিসারে অস্থায়ী কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার এ ঘোষণা দেন।
যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন- আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভী, বিএনপি দলীয় প্রার্থী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, এলডিপির কামাল প্রধান, কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস সোহেল, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মাসুম বিল্লাহ, জাসদ (ইনু) এর মোসলেম উদ্দিন আহম্মেদ এবং ইসলামী ঐক্যজোটের আজহারুল হক।
তবে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা তিনদিনের মধ্যে ঢাকা বিভাগীয় আপীল বিভাগে আপীল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্ণিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার।
মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর পক্ষে উপস্থিত মনোনয়নে প্রস্তাবকারী প্রতিনিধি আব্দুর রাসেদ রাশু জানান, বর্তমান পরিস্থিতে মনে হচ্ছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই।
এদিকে বাছাইকালে বিএনপি প্রার্থী এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান নিবাচন সুষ্ঠু অবাধ করতে আবারো সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে বলেন, বৈধ অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসনের দলবাজ কর্মকর্তাদের ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন পর্যন্ত কর্ম থেকে বিরত রাখারও আবেদন জানান তিনি।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী এ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ উল্লেখ্য করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে রিটানিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। আচরণবিধি লঙ্গণ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যখন যা প্রয়োজন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ব্যপারে আইনশৃংখলা বাহিনীকে নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে দুই দিনে যাচাই বাছাই শেষ হওয়ার পর কাউন্সিলর পদে ১৩ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১ জন এবং মেয়র পদে ১ জনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর এখন ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৬৩ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯ টি আসনে ৩৭ জন এবং মেয়র পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার এবং ৫ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করতে পারবেন।
একজন রোহিঙ্গা মুসলিমও যেন হত্যার শিকার না হয়-মায়ানমারকে খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সে দেশের সরকারী বাহিনী পরিচালিত সুপরিকল্পিত ও বর্বরোচিত ‘জেনোসাইড’-এর ঘটনায় আমি গভীরভাবে বেদনাহত ও উৎকণ্ঠিত।’ অনতিবিলম্বে এই জেনোসাইড বন্ধের জন্য আমি মায়ানমার সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, যেন আর একটি মানুষও হত্যাকাণ্ড, উচ্ছেদ ও নির্যাতনের শিকার না হয়।
রবিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়া বলেন, সংখ্যালঘু একটি জাতিগোষ্ঠীর ওপর এমন পৈশাচিক নির্মূলাভিযানে প্রতিটি বিবেকবান মানুষ স্তম্ভিত। তাদের সকলের হৃদয় বেদনামথিত। এমন ঘৃণ্য ও নিষ্ঠুর কার্যকলাপের নিন্দা জানাবার কোনো ভাষা নেই।
তিনি বলেন, বর্তমানে ‘রাখাইন’ নামে পরিবর্তিত এককালের স্বাধীন ও গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যমণ্ডিত আরাকান অঞ্চলে পরিচালিত এই গণহত্যা অভিযানে সরকারী বাহিনীর ছত্রছায়ায় ভিন্ন সম্প্রদায়ের দাঙ্গাবাজরাও অংশ নিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিধর্ম বিদ্বেষী আক্রোশ চরিতার্থ করতে তাদেরকে গুলি ও জবাই করে এবং পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে বাড়িঘর ধ্বংস করে তাদেরকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সম্ভ্রম লুণ্ঠিত হচ্ছে রোহিঙ্গা নারীদের। দুগ্ধপোষ্য শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, গভীর পরিতাপ ও দুঃখের বিষয় হচ্ছে, কোনো সামরিক জান্তা নয়, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চির নেতৃত্বে পরিচালিত মায়ানমারের প্রশাসনই এ অমানবিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপের হোতা। যিনি নিজে দীর্ঘকাল নির্যাতিত হয়েছেন তিনি কী করে এমন পৈশাচিক তাণ্ডবকে অনুমোদন করছেন, ভেবে আমরা স্তম্ভিত হচ্ছি।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে হত্যা, উৎপীড়ন ও উচ্ছেদের জন্য দায়ী প্রতিটি ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, মায়ানমারের এই জেনোসাইডের বিরুদ্ধে আমি আমার প্রিয় দেশবাসীসহ সারা বিশ্বের বিবেকবান মানুষদের সোচ্চার হবার এবং নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াবার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, প্রতিটি মানবতাবাদী রাষ্ট্রের সরকার, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্ব, জাতিসংঘ ও ওআইসিসহ প্রতিটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমার আহ্বান, কেবল কথামালা নয়, রোহিঙ্গাদের রক্ষায় বলিষ্ঠ এমন পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসুন, যাতে মায়ানমার সরকার গণহত্যার কালো হাত গুটিয়ে নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও অপরাধীদের শাস্তিবিধানে বাধ্য হয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিচালিত হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরতা সব সময়েই নিকট প্রতিবেশী হিসাবে বাংলাদেশকে স্পর্শ করেছে। ঘনবসতিপূর্ণ এবং লোকসংখ্যানুপাতে বাসযোগ্য জমির ক্রমসংকোচনের এ দেশে এখনো অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী আগে থেকেই আশ্রয় নিয়ে আছে। এতে আমাদেরকে সামাজিক অনেক সমস্যাও ভোগ করতে হচ্ছে। তা সত্ত্বেও গণহত্যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জনকারী জাতি হিসেবে জীবন রক্ষায় আশ্রয় প্রার্থী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কারণে যতদূর সম্ভব আশ্রয় দেয়ার জন্য আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
খালেদা জিয়া বলেন, প্রতিবেশী অন্যান্য দেশ এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতিও আমি অভিন্ন আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, সেই সঙ্গে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, কেবল শরণার্থীদের আশ্রয় ও সাহায্য দেয়ার মধ্যেই কোনো সমাধান নিহিত নেই। রোহিঙ্গারা যাতে স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে জীবন-সম্পদ-সম্ভ্রমের অখণ্ড নিরাপত্তা ও পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে নিজ মাতৃভূমিতে বসবাস করতে পারে সেই নিশ্চয়তা বিধান কল্পে বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বলিষ্ঠ কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে আমি বিশ্বসমাজকেও অবিলম্বে সক্রিয় হবার এবং এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
নাসিক নির্বাচনের সকল কেন্দ্রই অতি ঝুঁকিপূর্ণ : রিটার্নিং অফিসার
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার বলেছেন, আমার দৃষ্টিতে ১৭৪টি কেন্দ্রের মধ্যে কোনো একটি কেন্দ্রও নিরাপদ নয়। শুধু ঝুঁকিপূণ নয়, অতি ঝুঁকিপূর্ণ। তবে নির্বাচনের পরিবেশ এখনো ভালো আছে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার ক্ষেত্রে এখনো কোন অভিযোগ উঠেনি কোনো প্রার্থীর পক্ষ থেকে। এমন পরিস্থিতি বিরাজমান থাকলে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন হবে না বলে মন্তব্য করেন।
রবিবার মেয়র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
তিনি ঝুঁকিপূর্ণ-অতি ঝুঁকিপূর্ণ কথার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, এ কথা বলার অর্থ হলো যাতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জনবল পাই। আমি চাই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়।
নির্বাচনের সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ বলতে তিনি বোঝান, আইন কানুন দুই পক্ষকে মানতে হবে। ভোটাররা যাকে খুশি তাকে ভোট দিবেন। এমনকি সারাদিন ভোট কেন্দ্র ঘুরে কাউকে ভোট না দিয়ে চলে আসবে ভোটার, সেটা হলো অবাধ। নিরপেক্ষ শুধু আমরা।
নুরুজ্জামান তালুকদার আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন হিসাবে দাবি করে নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এখানকার নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন। কারণ আমি বন্দর এলাকাতে গিয়েছিলাম। সেখানে যাতায়াতের রাস্তা একটা চ্যালেঞ্জ। এ প্রথম দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হচ্ছে সেটা একটি চ্যালেঞ্জ। তবে নারায়ণগঞ্জ অন্য কোন কারণে চ্যলেঞ্জিং না। নির্বাচনের আমার অধীনে ১০ হাজার কর্মকর্তা কাজ করবেন।
বৈধ ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করা যাদের কাজ তাদেরকে বলবো স্বচ্ছতার সঙ্গে এ কাজ করতে। তাছাড়া অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাস বিষয়ে যারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তাদের সঙ্গেও আলোচনা করবো। তাদের কাছ থেকে জানবো তারা কিভাবে কাজ করছে।
দলবাজ নির্বাচন কর্মকর্তা প্রসঙ্গে নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, আপনারাই গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করুন। দলবাজ কর্মকর্তা থাকলে তাদের সম্পের্ক জানান। যদি এমন কেউ থাকে তাহলে শক্ত ভাবে ধরবেন যাতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। না হলে তারা তখন আপনাদের বিরুদ্ধে কাজ করবে। নির্বাচন একটা যুদ্ধ। সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং হবে। তাই সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে।
এ সিটির নির্বাচনের ভোট হবে ২২ ডিসেম্বর। আর ৪ ডিসেম্বর হলো মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ।
একজন মেয়রের সঙ্গে ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট হবে। মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪১ হাজার ৫১৪ এবং নারী ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৮। ভোটার বেড়েছে প্রায় পৌনে এক লাখ। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১৭৪টি ও ভোটকক্ষ ১৩০৪টি। তবে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। ২০ নভেম্বরের মধ্যে ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত হবে। ১৬৩ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১২১৭ সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২৪৩৪ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোট নেবেন।
চলতি বছরের ২৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়াদ শেষ হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এটি দ্বিতীয় ভোট। তবে দলীয় প্রতীকে ভোট হবে এবারই প্রথম। ২০১১ সালে নির্দলীয় ওই নির্বাচনে শামীম ওসমানকে এক লাখের বেশি ভোটে হারিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র হন সাবেক চেয়ারম্যান আইভী। সে বছরের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা, সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা ও বন্দরের কদমরসুল পৌরসভা বিলুপ্ত করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। পরে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন হয়।
দীর্ঘদিন কারাভোগের পর সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান কারামুক্ত
দীর্ঘদিন কারাভোগের পর কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। বুধবার দুপুর ১ টায় তিনি কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে মুক্তি পান।
মুক্তি পাওয়ার পর আমার দেশের সাবেক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মাহমুদুর রহমানকে ঘিরে ধরেন। তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
কারা ফটকে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ.জে.এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, ইঞ্জিনিয়ার আনহ আক্তার, কলামিস্ট ফরহাদ মাজহার, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন গাজী, বর্তমান মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসেন সবুজ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য কালিয়াকৈর পৗর মেয়র মজিবুর রহমান, ডা. মাজহারুল আলম, গাজীপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হালিমুজ্জামান ননি ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা নুরুসহ বিপুল সংখ্যক গণমাধ্যমকর্মী।
২০১৩ সালের ১১১১ এপ্রিল দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তারের পর দীর্ঘ ১৩১৯ দিন কারাভোগ করেন মাহমুদুর রহমান। এর আগে ২০১০ দী্ঘে ১০ মাস কারাভোগ করেন আলোচিত এই কলম সৈনিক। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সম্পাদকের এতো বেশিদিনের কারাভোগের ঘটনা এটিই প্রথম।তার বিরুদ্ধে প্রায় ৭০টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
মন্ত্রীর বাসা থেকে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারের বেইলি রোডের মিনিস্টার এপার্টমেন্টের বাসা থেকে এক গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় মিলন টিকাদার (২০) নামের ওই গৃহকর্মীর উদ্ধার করা হয়।
মিলন মাগুরা সদর উপজেলার কুরাগাছি গ্রামের বিজন টিকাদারের ছেলে। মিলন ৩ বছর ধরে প্রতিমন্ত্রীর বেইলি রোডের বাসায় কাজ করছিলেন। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারের দাবি প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছে সে।
রমনা থানার এসআই আতোয়ার হোসেন জানান, মিলন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর বাসায় কাজ করত। ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে বুধবার ভোর ৬টার মধ্যে যেকোনো সময় ওই বাসার ডাইনিং রুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা ও লুঙ্গি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা আটক
সিদ্ধিরগঞ্জে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ পিতাকে আটক করা হয়েছে। রোববার রাতে বাসায় একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিত কিশোরী সৎ পিতা মাুসদ মোল্লাকে অভিযুক্ত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। পরে সোমবার রাতে অভিযুক্ত সৎ পিতাকে পুলিশ আটক করে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শরাফত উল্লাহ জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের পূর্ব পাইনাদী এলাকার নুর আলম মিয়ার বাসায় সৎ পিতা মাসুদ মোল্লার সাথে বসবাস করতো ওই কিশোরী। মা নাজমা বেগম আদমজী ইপিজেডে একটি গার্মেন্টে চাকুরী করেন। ঘটনার ২০ নভেম্বর রাতে ওই কিশোরীর মা নাজমা বেগম রাত্রিকালিন কাজে থাকার সুযোগে বাসায় একা পেয়ে ওই কিশোরীকে সৎ পিতা ধর্ষণ করে। পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানালে সৎ পিতা মাুসদ মোল্লাকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরী বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। আটককৃত মাসুদ মোল্লার গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার যাঝড়া এলাকার মোঃ নিজামুল হকের ছেলে।
নাসিক নিবার্চনে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সাখাওয়াত হোসেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী। দলের সবাইকে তার পক্ষে কাজ করার জন্য কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে।
বিএনপির জেলা সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার প্রার্থী হতে অনাগ্রহ প্রকাশ করায় সোমবার রাতে জেলা নেতাদের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বৈঠক করেন।
সেখানে জেলা নেতাদের মতামত নেয়ার পর তাদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়া। এ সময় তিনি বলেন, দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেননি কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।মূলত বৈঠকেই সাখাওয়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হলো।