২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 23

নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতাদের দিন কাটছে আতঙ্কে

আবদুর রহিমঃ নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে মামলা এবং গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। বেশ কয়েকটি মামলা দায়েরের পর থেকে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।

তবে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এসব মামলাকে পাত্তা দিচ্ছে না দাবী করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিলেও নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে মামলা এবং গ্রেফতার ভীতি দূর করতে পারছে না। উল্টো একেরপর এক মামলায় নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক এবং হতাশা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সাবেক এমপি এবং জেলা বিএনপির আহবায়ক গিয়াসউদ্দিনের বাড়ীতে পুলিশি অভিযানের পর থেকে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে।

আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। সমাবেশ সফল করতে নেতারা কর্মীদের নানা দিক নিদর্শনা দিয়েছেন। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, ঢাকার সমাবেশ সফল করতে তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। যেকোন মূল্যে ঢাকার সমাবেশে যোগদান করবেন।

সূত্র জানায়, সারাদেশের সমাবেশের পর ঢাকায় মহা সমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। এই সমাবেশ নিয়ে নানা শঙ্কার কথা চাউর হয়েছে চারদিকে। রাজনৈতিক অঙ্গনের মূল আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ। এই সমাবেশকে ঘিরে বিএনপির যেমন প্রস্তুতি রয়েছে। রাজপথে প্রস্তুত থাকার নিদের্শনা রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদেরও। মহাসমাবেশের দিন বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে অবস্থান নিবেন। আর এ বিষয়টি নিয়েই নানা শঙ্কা তৈরী হয়েছে। এই সমাবেশেকে ঘিরে সরকার পতনসহ নানা পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের। তবে বিএনপি জোটের এই পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে তৎপর রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এদিকে সমাবেশের আগেই নারায়ণগঞ্জের নেতারা একাধিক মামলার আসামী হয়ে নানা শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। দলের শীর্ষ নেতাদের এখন আর প্রকাশ্যে দেখা মিলছে না। যে যার মতো করে পর্দার আড়ালে চলে গেছে। গ্রেফতার এড়াতেই মূলত গা ঢাকা দিয়েছে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

আসছে শঙ্কা-উৎকন্ঠার ১০ ডিসেম্বর

আবদুর রহিমঃ রণপ্রস্ততি চলছে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে। ১০ ডিসেম্বরকে ঘিরে উভয় দল প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এমনকি কেউ কাউকে ছাড় দিবে না এমন হুঁশিয়ারী দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

ওই দিনটি ঘিরে লোক সমাগম, পাল্টা পাল্টা রাজপথে অবস্থান সহ নানা প্রস্তুতিও চলছে। উভয় দলের নেতাদের হুংকারে সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের মানুষও শঙ্কিত হয়ে পরেছে। অন্যদিকে নাশকতা কিংবা যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মানুষের জান মালের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে এমন দাবি প্রশাসনের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের। তবে সেদিন কী হতে যাচ্ছে এ নিয়ে আগ্রনের কোন কমতি নেই সাধারণ মানুষের। টিভি কিংবা পত্রিকায় চোখ রাখছে নিয়মিত। চায়ের দোকান থেকে বিভিন্ন দফতরের একই বিষয় নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সূত্রমতে, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। ইতোমধ্যে এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ওইদিন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জনসমাগম ঘটাতে চায় বিএনপি। সমাবেশ সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি।

সে লক্ষ্যে নানা কৌশলও অবলম্বন করছেন দলটির নেতৃবৃন্দ। এ সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীসহ জেলা, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাল্টা কর্মসূচিসহ সতর্ক পাহারা বসানোর পরিকল্পনায় দিনটি ভিন্ন মাত্রা পাচ্ছে। অনেকে রাজনৈতিক সংঘাতের শঙ্কাও করছেন। ফলে ১০ ডিসেম্বর এলেই ঢাকায় কী হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে জনমনে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। এদিকে সমাবেশের আগে পাবলিক পরিবহন বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছে বিএনপি। পাশাপাশি হামলা ও পুলিশি ধরপাকড়েরও আশঙ্কা করছে তারা। এজন্য ১০ ডিসেম্বরের আগেই সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীদের ঢাকায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। সমাবেশে অন্তত ২০ লাখ মানুষের সমাগমের টার্গেট রয়েছে তাদের। মহাসমাবেশ সফল করতে ঢাকা বিভাগের যৌথসভা করেছে বিএনপি। সভায় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলাকে প্রস্তুতি নিতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেয়াও হয়েছে। জেলা-মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের অধীন সংশ্লিষ্ট ইউনিটকেও প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

যৌথসভায় কোন জেলা বা মহানগর কত লোক নিয়ে মহাসমাবেশে যোগ দেবে তারও একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ সফল করতে একাধিক উপ-কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সারা দেশের মানুষের কাছে মূল আলোচনার এবং উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে আগামী ১০ ডিসেম্বরের বিএনপির মহা সমাবেশ।

বিএনপি নেতা ওহার মাদবরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী’র বিএনপি নেতা মো.ওহাব মাদবর আর নেই।

২৭ নভেম্বর (রবিবার) বিকালে ঢাকার এক প্রাইভেট হাসপাতালে ব্রেন স্ট্রোক করে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। মো. ওহাব মাদবর বক্তাবলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সোমবার সকাল ৯টায় বক্তাবলীর রাজাপুরে নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এদিকে মো. ওহার মাদবরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি। বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র পক্ষে দপ্তর  সম্পাদক মো. আবুল কালাম মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।

 

গণমাধ্যম হচ্ছে সমাজের আয়না : ওসি ফতুল্লা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : অনলাইন নিউজ পোর্টাল নারায়ণগঞ্জের আলো ২৪ ডটকম’ ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার(২৭ নভেম্বর)সন্ধ্যায় ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ রিজাউল হক দিপু।

নারায়ণগঞ্জের আলো-২৪ ডটকম’র সম্পাদক মোঃ সেলিম মুন্সির সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সম্পাদক আঃ আলিম লিটনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলামিন প্রধান, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি কাজী আনিসুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুজন, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল, কার্যকরি সদস্য সচিব সেলিম হোসেন, নারায়ণগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মবির হোসেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ফতুল্লা শাখার সভাপতি এড.রিফাত এ মান্নান,নারায়ণগঞ্জের খবর ২৪ ডটকম’র স্টাফ রিপোর্টার বাহরুল হক বাহু, ফতুল্লা ব্লাড ডোনার্সের সভাপতি তৌকির আহমেদ, শিপলু, রাসেল, মাকসুদ মাসুম প্রমুখ।

বক্তাবলীতে মারামারিতে আওয়ামী লীগের সম্মেলন পণ্ড

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট :ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীতে দুই পক্ষের মারামারিতে পণ্ড হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের সম্মেলন। দু’দফায় মারামারির পরে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বক্তাবলীর রাজাপুরে এ ঘটনা ঘটে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফ উল্লাহ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল।

সম্মেলনে উপস্থিত কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক শাহ নিজাম বক্তব্য দেবার সময় একজন আওয়ামী লীগ নেতার বারবার উচ্চবাচ্য করায় তিনি বক্তব্য থামিয়ে তাকে শাসান। শাহ নিজামের বক্তব্যের শেষে আবার ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী কর্মীদের উদ্দেশ্যে কঠোর হুশিয়ারী দেন। কিন্তু ভেতরে ভেতরে উত্তপ্ত হতে থাকে পরিবেশ। পরে তা মারামারিতে রূপ নেয়। জেলা ও থানার শীর্ষ নেতাদের সামনেই হাতাহাতি ও চেয়ার ছুঁড়ে মারামারি করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের এমন আচরণের পরে দ্রুত সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন অতিথিরা। অতিথিরা চলে যাবার পরে আবারও মারামারিতে জড়ান নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল।

 

ফতুল্লার বক্তাবলীতে শ্রমিক হত্যার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ২০০৬ সালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলিস্থ এক ইটভাটায় জবাই করে শ্রমিক হত্যার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত আসামী দীর্ঘ ১৬ বছর পলাতক থাকার পর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। ১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পরিচালক এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু।

তিনি জানান, গত ১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা হতে একটি অধিযাচনপত্রে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মোঃ কালাচাঁনকে গ্রেপ্তারের জন্য র‌্যাব-১১ কে অনুরোধ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে বর্ণিত বিষয়ে র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে র‌্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামীর অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ফলশ্রতিতে, র‌্যাব উক্ত আসামীকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১১ এর অভিযানে ১৫ নভেম্বর বিকেলে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকা হতে মোঃ কালাচাঁনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামী তার অপরাধ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।

উল্লেখ্য যে গত ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর কোরবানের ঈদের দিন রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বক্তাবলিস্থ ইটভাটায় একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে ৫ জন আসামী পরস্পর যোগসাজশে ইটভাটার অপর এক শ্রমিককে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় ইটভাটার মালিক বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-৭৮(১০)০৬, ধারা ৩০২/৩৪। জেলা ও দায়রা জজ আদালত, নারায়ণগঞ্জ বিচার শেষে মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩০২/৩৪ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় গত ৪ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে গ্রেপ্তারকৃত আসামীসহ ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।

আসামীর স্বীকারোক্তি মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হতে গ্রেপ্তার এড়াতে ঘটনার পর পরই নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় নতুন ঠিকানায় বসতি স্থাপন করে মৎস্যজীবি হিসেবে কাজ করতে থাকে এবং বিগত দীর্ঘ ১৬ বছর উক্ত মামলায় সে পলাতক ছিলো।

এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে ১ জনকে গত ১০ অক্টোবর ২০২২ তারিখ র‌্যাব-১১ গ্রেপ্তার করেছে। বাকী আসামীদের মধ্যে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন এবং ২ জন পলাতক আসেন। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে র‌্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বক্তাবলীতে সাংবাদিক জামানের উপর সন্ত্রাসী হামলা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: এশিয়ান টিভির ফতুল্লা প্রতিনিধি সাংবাদিক বদিউজ্জামানের উপর হামলা চালিয়েছে বক্তাবলীর সন্ত্রাসী জাকির বাহিনী।  বৃহস্পতিবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সাংবাদিক বদিউজ্জামান জানান, বক্তাবলী এলাকার সন্ত্রাসী সন্ত্রাসী  জাকির (৪৫), জালাল, আলমগীর সহ বেশ কয়েকজন ফতুল্লা থানা সংলগ্ন কাদির কম্পিউটার এর সামনে অজ্ঞাত নামা এক মহিলার সহিত বাক বিতন্ডায় জড়াইয়া পরে। এসময় আশে পাশের লোকজন জড়ো হইলে আমিও উৎসুক জনতার মত সেখানে যাই এবং বিবাদীদের নিকট অজ্ঞাত নামা মহিলার সহিত বাক  বিতন্ডায় জড়ানোর বিষয়ে জানিতে চাহিলে বিবাদীগণ আমার কোন কথার সদুত্তর প্রদান না করিয়া উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমার উপর চড়াও হয় এবং আমার অন্যান্য সহকর্মীদের উদ্দেশ্য করিয়া অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ সহ সকল  সাংবাদিকদের জীবনের তরে শেষ করিয়া ফেলিবে বলে হুমকি প্রদান করেন। আমি এর প্রতিবাদ জানালে ঘটনার আকস্মিকতায় আমি কোন কিছু বুঝিয়া উঠার আগেই ১নং বিবাদী আমার উপর হামলা চালায়।

উল্লেখ্য যে আমি বিবাদীদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহের কালে জানিতে পারি বিবাদীগণ অত্যন্ত উগ্র মেজাজী এবং বিভিন্ন মামলার আসামী। এমতাবস্থায় বিবাদীদের দ্বারা যেকোন সময় আমার বড় ধরনের ক্ষতি সাধন হইতে পারে বলিয়া আমার আশংকা তাই থানায় আসিয়া অত্র অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।

নিউজটি শেয়ার করুন…

ছাত্রীকে বিয়ে করতে লিঙ্গ বদল!

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: সত্যিকারের ভালবাসা মানে না কোনও বাধা। চলার পথে সমস্ত বিরোধিতা, সমস্যা, বাধা উড়িয়ে দিয়ে একসঙ্গে পথ চলেন দু’টি মানুষ। একে অপরের পাশে থেকে লড়াইও করেন। একটি জীবনের সঙ্গে জুড়ে যায় আরও একটি জীবন। এমনই এক ভালবাসার গল্প তৈরি হল রাজস্থানে। নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করে প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন এক ব্যক্তি। এমন ঘটনা ভারতে খুব একটা শোনা যায়নি। তবে দুই পরিবার হাসিমুখেই মেনে নিয়েছে এই বিয়ে।

ঘটনার সূত্রপাত রাজস্থানের ভরতপুরে। একটি স্কুলে শারীরশিক্ষার শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন মীরা। সেখানেই তার ছাত্রী ছিলেন কল্পনা ফৌজদার। স্কুলের মধ্যেই একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন তারা। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দু’জনের মধ্যে। কিন্তু দুই নারীর মধ্যে বিয়ের সম্পর্ককে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। ফলে সমস্যায় পড়ে যান মীরা ও কল্পনা। বিয়ে করে একসঙ্গে থাকার পরিকল্পনা করলেও তা বাস্তবায়িত করা অসম্ভব হয়ে ওঠে।

তখনই মীরা সিদ্ধান্ত নেন, পুরুষ হয়ে উঠবেন তিনি। ২০১৯ সাল থেকে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পরে অবশেষে শারীরিক ভাবে পুরুষ হয়ে ওঠেন তিনি। নানা জটিল অস্ত্রোপচারের সময়ে মীরার পাশে ছিলেন কল্পনা। তারপরেই কল্পনার সঙ্গে বিয়ে। আগামী জানুয়ারি মাসে একটি আন্তর্জাতিক কবাডি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চলেছেন কল্পনা।

নারী থেকে পুরুষ হয়ে ওঠার পথটা কেমন ছিল? মীরা থেকে আরভ হয়ে উঠে তিনি বলেছেন, ‘আমি মেয়ে হয়ে জন্মালেও বরাবরই পুরুষ হতে চেয়েছি। অস্ত্রোপচার করে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে উৎসাহী ছিলাম। ২০১৯ সালে আমার প্রথম অস্ত্রোপচার করা হয়। আর ভালবাসায় সব কিছুই ঠিক। সেই জন্যই লিঙ্গ পরিবর্তন করেছি।’

তবে নববধূ কল্পনার মতে, লিঙ্গ পরিবর্তন না করলেও আরভকেই বিয়ে করতেন তিনি। বিয়ের পরে কল্পনা বলেছেন, ‘প্রথমদিন থেকেই আমি ওকে ভালবাসি। যদি ও লিঙ্গ পরিবর্তন নাও করত, তাহলেও আমি আরভকেই বিয়ে করতাম। কিন্তু ও যখন লিঙ্গ পরিবর্তন করতে চাইল, তখন ওর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছি আমি।’ জানা গিয়েছে, কল্পনা ও আরভের পরিবার পুরো বিষয়টিই মেনে নিয়েছেন। সূত্র: এএনআই।

ইমরান খাঁন গুলিবিদ্ধ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গুলিতে আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় তাঁর গাড়িবহরে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ইমরানের পায়ে গুলি লাগে। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে তথ্য খবর এনডিটিভির।

বিস্তারিত নিউজে আসছে……..

বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: আগামী ৫ নভেম্বর বরিশাল বিভাগীয় বিএনপির গণসমাবেশ সফল করতে সমাবেশের তিন দিন আগ থেকেই বরিশালে আসতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। গণপরিবহণ বন্ধের দুর্ভোগ এড়াতে এই কৌশল নিয়েছেন তারা।

বুধবার, নভেম্বর ২, ২০২২, নগরে বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকার নেতাকর্মীদের দেখা গেছে। সাগরপারের মনপুরা থেকে দক্ষিণ উপকূলের পাথরঘাটা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার অনেকেই বরিশালে এসে পৌঁছেছেন।বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে সমাবেশে আসতে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্যে কর্মী-সমর্থকদের ২/৩ দিন আগেই আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ কারণেই তারা বরিশালে আসতে শুরু করেছেন। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সিংহভাগ নেতাকর্মীও ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছেন।

নগরীর দুটি বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি লঞ্চ-বাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ-তিনগুণ বোঝাই হয়ে আসছে মানুষ। তাদের একটি বড় অংশ সমাবেশের উদ্দেশ্যে আসছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।দুপুরে নগরীর সদর রোডে বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে শত শত নেতাকর্মীর উপস্থিতি চোখে পড়ে। বরিশালের ৬ জেলা আর ৪২ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে মানুষ। অফিসের সামনে দেখা হয় খলিল সরদারের সঙ্গে। বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশনের শশীভূষণ এলাকায়।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার লঞ্চ ও বাসে ভিড় আরও বাড়বে। শুক্রবার থেকে তো সবই বন্ধ। তাই আগেভাগেই চলে এসেছি। আমাদের এলাকার অনেকেই এসেছে। সবাই আছে বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়স্বজনের বাসায়।

বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থেকে আসা আলম মাঝি বলেন, ‘আজ (বুধবার অনেকেই এসে পৌঁছেছে। বাকিরা কাল আসবে। সমাবেশে যোগ দিতে পাথরঘাটা থেকেই বরিশালে আসার কথা রয়েছে দুই হাজার নেতাকর্মীর।’ খলিল-রফিকের মতো অনেকের সঙ্গে কথা হয়, যারা প্রত্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন।

নেতাকর্মীরা জানান, অন্যান্য বিভাগে অনুষ্ঠিত সমাবেশের তুলনায় এখানে অনেক বেশি বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। খুলনা-রংপুরে সমাবেশের সময় কেবল বাস আর লঞ্চ বন্ধ থাকলেও থ্রি-হুইলার কিংবা রিকশা করে আসতে পেরেছে মানুষ। বরিশালে থ্রি-হুইলার চলাচলও বন্ধ থাকবে দুদিন। স্থানীয় লঞ্চ মালিক সমিতির অফিসে গেছে অভ্যন্তরীণ রুটের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ। বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চও।

চরম বৈরী এই পরিবেশে গণসমাবেশ কতটুকু সফল হবে জানতে চাইলে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এইচএম তসলিমউদ্দিন বলেন, ‘এসব বাধা সত্ত্বেও মানুষ আসবে। শুধু যুবদলেরই ৩০ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেবেন। সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি আমরা।’

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন অনেক বেশি উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা। ৫ নভেম্বর বিএনপি দেখিয়ে দেবে জনসমুদ্র কাকে বলে।’

বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান নান্টু বলেন, ‘এসব বাধা যে আসবে, তা আমরা আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছি। তাই জনসমাবেশে লোকসমাগম প্রশ্নে নেওয়া হয়েছে ভিন্ন কৌশল। অপরাজনীতিকে সঠিক রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করব আমরা।’

সূত্র— যুগান্তর/ নভেম্বর ৩, ২০২২