২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 231

হান্নান শাহ’র রাজনৈতিক জীবন জুড়েই ছিল শহীদ জিয়ার আদর্শ

বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য দুঃসময়ের কান্ডারী ব্রিঃ জেনারেল (অবঃ) আ.স.ম হান্নান শাহ স্মরনে বক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন মাঠে সোমবার বাদ আসর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পিয়ার হোসেন পিন্টুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আকবর আলী সুমন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হাজী মোঃ ওমর আলী।

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এম আকবর আলী,বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আল আমীন সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর আলী,সহ-সভাপতি মোহাম্মাদ মাহমুদ মেম্বার,ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ মন্টু মেম্বার, ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা মোঃ শাহ জাহান, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতাগোলাম মোস্তফা অরুন ও বক্তাবলী ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড  বিএনপি’র সভাপতি মোঃ মোতালেব সর্দার।

প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে আকবর আলী সুমন বলেন, প্রয়াত হান্নান শাহের রাজনৈতিক বর্নাঢ্য জীবন জুড়েই ছিল শহীদ জিয়ার আদর্শ। তিনি ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের বলেন, আসুন আমরা একত্রিত হয়ে বিএনপিকে সুসংগঠিত করে দেশের সাধারণ মানুষের স¦ার্থে সুন্দরভাবে রাজনীতি করি।

আরো উপস্থিত ছিলেন,আঃ মান্নান, বারেক সর্দার, মান্নান মুন্সী,মোঃ ডালিম, আঃ হাই,তৈয়ব আলী, হাফেজ ঝন্টু,ছাত্রদল নেতা মাসুদ খাঁন, পিয়ার আলী,হোসেন আলী, রিমন, যুবদল নেতা আমান, মনির।

অনুষ্ঠানের প্রধাণ বক্তা বলেন,আমাদের রাজনৈতিক শিক্ষক ছিলেন ব্রিঃ জেনারেল (অবঃ) হান্নান শাহ। তার কাছ থেকে আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শেও রাজনীতি শিখেছি। তিনি বেচে থাকলে আমরা আরও  শিখতাম। কিন্তু দুঃভাগ্য যে, তিনি সবাইকে কাদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তার আদর্শে অনুপ্রেরিত হয়ে আগামীতে রাজনীতির মাঠকে আমাদের আরোবেগবান করে তুলতে হবে।

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন,বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা নেতা মোঃ কামাল হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহম্মেদ রাজু,মোঃ মাহমুদল্লাহসহ ছাত্রদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ক্ষমতায় থেকেও আ’লীগ নির্যাতিত

ক্ষমতায় থেকেও আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা নির্যাতিত ও নিপিরিত বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহ-নিজাম।

নারায়ণগঞ্জে আসন্ন ২৯ তারিখের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক কর্মী সভায় ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে ফতুল্লা থানা যুবলীগের কার্য্যালয়ে এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় শাহ-নিজাম আরো বলেন, ‌‌শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জন্ম এই নারায়ণগঞ্জের মাটিতে। কিন্তু এরপরও আমরা নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা অবমূল্যায়ীত। মূলত নারায়ণগঞ্জে কবরীদের মত মানুষ আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন বলেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কবরী আওয়ামীলীগের মধ্যেই একটি ‘সাব আওয়ামীলীগ’ সৃষ্টি করেছে। এই জন্যে আমি মনে করি যে, সাংগঠনিক ভাবে আমরা পরিপূর্ন শক্তিশালী নই। ফলে এখনও আমরা পুলিশের কাছে হয়রানীর শিকার হচ্ছি। তবে আমাদের জন্যে সু-দিন অপেক্ষা করছে। কেননা আমাদের নেতৃত্বে রয়েছে আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান। আর এই সু’দিনের প্রাপ্তী অর্জন করতে হলে অবশ্যই শামীম ওসমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। এর জন্যে আগামী ২৯ তারিখের জনসভাটি সফল করার জন্যে সকল নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি কামনা করছি।

সভাপতির বক্তব্যে ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী কর্মীসভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জঙ্গিরা জনসভায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই আসন্ন ২৯ তারিখের জনসভা সফল করা আমাদের জন্যে চ্যালেঞ্জ। এই জন্যে বরাবরের মতই বিশাল মিছিলের মাধ্যমে সভায় যোগদান করে আমরা জনসভা সফল করে সেই চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে চাই। আমরা প্রমান করতে চাই যে, জননেতা আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের নেতৃত্বে ফতুল্লা থানা যুবলীগ অতিতে যেমন সক্রিয় ছিলো এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও সক্রিয় থাকবে। তাই আসন্ন ২৯ তারিখের জনসভায় ফতুল্লা থানা যুবলীগের মিছিলটি একটি স্মরনীয় মিছিলে পরিনত করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করছি।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর, তরুন, ফয়সাল, আল-আমিন, পাপন, পাপ্পু সহ ফতুল্লা থানার দুর দুরান্ত থেকে সভায় যোগ দেয়া প্রায় শতাধীক নেতা-কর্মী।

 

ধর্মীয় অভিযোগটি পলিটিক্যাল গেইম: শ্যামল কান্তি

ধর্ম নিয়ে কটুক্তির অভিযোগটি একটি পলিটিক্যাল গেইম বলে গণমাধ্যামকে জানিয়েছেন বন্দর পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের লাঞ্ছিত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজে তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য প্রদান করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি।

শ্যামল কান্তি বলেন, ‘আমার সাথে যে অবিচার করা হয়েছে আমি তার বিচার চেয়েছি। সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছি। আমি ধর্ম নিয়ে কোন কটুক্তি করি নাই। এটি ছিল পলিটিক্যাল গেইম।’

ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির আরো তিনজন সদস্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম ও গোলাম নবী এবং নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মঙ্গলবার লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ছাড়াও বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হাবিব, সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মাসুদ, বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম, বন্দর থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ রশীদ, জেলা জাপা আহবায়ক আবু জাহের, বন্দর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম, পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মিজু, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান, স্থানীয় এলাকাবাসী আসাদ মিয়া, আবুল হাশেম, আবু বক্কর, জাহিদ খানের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের বন্দর পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করা হয়। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান সবার সামনে ওই শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করান। এর এক পর্যায়ে শ্যামল কান্তি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এরপর এই ঘটনায় বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠে। পরে ওই রাতেই শ্যামল কান্তিকে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরদিন শহরের খানপুরে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডা. শফিউল আজমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২০ মে পুলিশের প্রহরায় শ্যামল কান্তি ভক্তকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা শেষে ফের স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন শ্যামল কান্তি।

সময় নারায়নগঞ্জ.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে হান্নান শাহ স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।

বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য দুঃসময়ের কান্ডারী ব্রিঃ জেনারেল (অবঃ) আ.স.ম হান্নান শাহ স্মরনে বক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন মাঠে সোমবার বাদ আসর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পিয়ারহোসেন পিন্টুর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আকবর আলী সুমন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হাজী মোঃ ওমর আলী।

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এম আকবর আলী,বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আল আমীন সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর আলী,সহ-সভাপতি মোহাম্মাদ মাহমুদ মেম্বার,ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ মন্টু মেম্বার, ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা মোঃ শাহ জাহান, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতাগোলাম মোস্তফা অরুন ও বক্তাবলী ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড  বিএনপি’র সভাপতি মোঃ মোতালেব সর্দার।

আরো উপস্থিত ছিলেন,আঃ মান্নান, বারেক সর্দার, মান্নান মুন্সী,মোঃ ডালিম, আঃ হাই,তৈয়ব আলী, হাফেজ ঝন্টু,ছাত্রদল নেতা মাসুদ খাঁন, পিয়ার আলী,হোসেন আলী, রিমন, যুবদল নেতা আমান, মনির।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক পাকনা রনির প্রতি ফুঁসে উঠেছে নেতাকমীর্রা

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক কুটকৌশলকারী মশিউর রহমান রনির প্রতি ফুঁসে উঠেছে জেলা ছাত্রদলের তৃনমূল নেতৃবৃন্দ।  ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দরা বলেন,আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য পাকনা রনি সুকৌশলে ছাত্রদলের রাজনীতিতে অবস্থান করে নিয়েছে। যদি আওয়ামী পরিবারের সন্তানকে জেলা ছাত্রদলের গুরুত্বপূণ দায়িত্বে দেওয়া হয় তাহলে ছাত্রদলের তৃনমূলের সকল স্তরের নেতাকমীর্দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হবে। এমনকি ওই কমিটি নিয়ে জেলা ব্যাপি সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তারা আরো বলেন, রনির বাবা মোস্তফা কন্ট্রাক্টার যে কিনা ফতুল্লা থানা আওয়ামীলগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এনায়েত নগর ইউপি,র চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের ঘনিষ্ট সহচর। বাবার অবস্থান টিকিয়ে রাখার জন্য আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে রনি গত ইউপি নিবার্চনে বিএনপি,র প্রার্থীর  পক্ষে প্রচার প্রচারনায় অংশ গ্রহণ করেনি। আপন বড় ভাই রুবেল জিয়া সাংস্কৃতিক দলের সাবেক নেতা ছিল বতর্মানে প্রজন্মলীগের দায়িত্ব পালন করছে। রনির আপন মামা মতিউর রহমান প্রধাণ এনায়েত নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও মামাত ভাই রিয়াদ নারায়ণগঞ্জ সরকারী তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অনিবার্চিত ছাত্রলীগের ভিপি ও মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক এবং শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের ঘনিষ্ট সহচর। একমাত্র আপন বোন জামাই মৃত শেখ মোখলেসুর রহমান মোখলেস এনায়েত নগর ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সৈনিক লীগের সভাপতি ছিলেন। সে জুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এন্টি আওয়ামীলীগের হাতে খুন হয়।  রনি সকল নেতাদের  বলেন ওর নাকি ২০/২২ টি রাজনৈতিক মামলা আছে যা সম্পুন মিথ্যা ও বানোয়াট। আপনারা খোজ নিলে জানতে পারবেন ওর নামে দু’টি মামলা আছে যা কিনা টাকায় কিনায় মামলা। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরাম উল হাসান মিন্টু ভাইকে নিয়ে নারায়নগঞ্জের স্থানীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা গাড়ী উৎকোষ নেয়ার কেলেংকারীর সংবাদ প্রচারের সাথে রনি সরাসরি জড়িত ছিল। এছাড়াও জেলা ছাত্রদল নেতাদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টির মূল হোতা এই রনি।

এই কারনে সিনিয়র নেতাদের সাথে ওর সকল সম্পক নষ্ট হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের গুরুত্বপূন পদে অবস্থান করার জন্য এখন বিভিন্ন নেতাদের ধারে ধারে গিয়ে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। দলের এই ক্লান্তিকালে আওয়ামী পরিবারের সন্তান রনিকে যদি জেলা ছাত্রদলের গুরুত্বপূণ দায়িত্বে দেওয়া হয় তাহলে ছাত্রদলের তৃনমূলের সকল স্তরের নেতাকমীর্দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হবে। এমনকি ওই কমিটি নিয়ে জেলা ব্যাপি সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করে ছাত্রদলের তৃনমূল নেতা কমীর্রা।

 

 

 

 

 

 

পরিবারতন্ত্রে ভরসা রেখেই উত্তরাধিকার খুঁজবেন শেখ হাসিনা ?

পরিবারতন্ত্রে ভরসা রাখবেন কি শেখ হাসিনা ? সংগঠনের সভাপতি হিসেবে তাঁর অবস্থান পাকা। তবে আওয়ামি লিগের ভবিষ্যৎ মুখ কে ? এই প্রশ্ন নিয়েই শুরু হয়ে গেল বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের ২০তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন।

শনিবার রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়াত মুজিবুর রহমানের কন্যা হিসেবে তাঁর নামটি আন্তর্জাতিক মহলে আলোচিত। বিশেষ করে ইসলামিক দুনিয়ার ক্ষমতাবান নেত্রী হিসেবেও তিনি পরিচিত।

দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করে, এই মুহূর্তে হাসিনার বিকল্প বাংলাদেশে নেই। তাই তাকেই হাল ধরে রাখতে হবে। দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। সেই নৌকার হাল ধরতে হাসিনার উপরেই আস্থা রেখেছে দল। এরই মাঝে প্রশ্ন দলের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদে তিনি পরিবারের কোনো সদস্যের নাম মঞ্জুর করবেন কিনা।

এই পদের দাবিদার মুজিব পরিবারের সদস্যরাই। এমনই মনে করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব। বিশেষ আলোচ্য হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের কথা। উঠছে হাসিনা কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নাম। জয় সরাসরি রাজনীতিতে জড়ালেও পুতুল কতটা যোগ্য তা নিয়েও চলছে আলোচনা। কলকাতা টুয়েন্টিফোর থেকে নেয়া।

তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ- শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আত্মত্যাগই আওয়ামী লীগকে ধরে রেখেছে। তারাই দলের প্রাণ। ‘ আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বক্তব্যের শুরুতে উপস্থিত কাউন্সিলর, ডেলিগেট, দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিদের অভিবাদন জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহতদের স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ যখন স্বনির্ভরতা অর্জনের দিকে যাচ্ছিল তখনই সেই ভয়াবহ হামলা হয়। ওই দিন আমার পরিবারের ১৮ সদস্য নিহত হয়েছে। এভাবে বেঁচে থাকা যে কী কষ্টের তা যাদের স্বজন হারিয়েছে শুধু তারাই বুঝতে পারে।

মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদ ও জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করেন তিনি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠানকালীন সময় তৃণমূলের সকল নেতার অবদানকে স্মরণ করেন তিনি।

আ.লীগের সম্মেলনে মোস্তাফিজ-তাসকিন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।

শনিবার সকাল ১০টার একটু পরেই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

সম্মেলন উপলক্ষে কানায় কানায় পরিপূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও আমন্ত্রিত অতিথিদের পদচারণে মুখরিত।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারে সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন নেতা-কর্মীরা। দলের নেতা-কর্মীরা দেশের বাইরে থেকেও সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন। এসেছেন বিদেশি অতিথিরাও।

সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের সব রাস্তায় সকাল আটটা থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে ছয় হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন হবে দ্বিতীয় দিন রবিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে। ওই অধিবেশনে নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ নির্বাচন করা হবে। এবারের জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’।

উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশের সাবেক কূটনীতিক ও রাষ্ট্রদূত, খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী এবং সাংবাদিকেরাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

কূটকৌশলী গিয়াসের প্রতি ফুঁসে উঠেছে নেতাকর্মীরা

আসনের সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের প্রতি ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি নেতাকর্মীরা। পল্টিবাজ খ্যাত গিয়াস উদ্দিন জেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ার আশায় ত্যাগী ও যোগ্যতা সম্পন্ন লোক থাকা সত্তেও সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আন্দোলন সংগ্রাম, দলীয় কাজ করতে গিয়ে মামলা হামলার শিকার,পরিক্ষিত ত্যাগী নেতা সিদ্ধিরগঞ্জের আবদুল হাই রাজু ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সমর্থন না জানিয়ে পল্টি গিয়াস উদ্দিন এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনকে সমর্থন দেওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জের নেতাকর্মীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সিদ্ধিরগঞ্জের নেতাকর্মীদের ইচ্ছা আকাঙ্খাকে কবর দিয়ে কূটকৌশল করে গিয়াস উদ্দিন জেলা বিএনপির সভাপতি হলেও সিদ্ধিরগঞ্জের নেতাকর্মীরা তাকে মেনে নিবেনা বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। কারণ,সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা হয়েও যে গিয়াস উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতি অবিচার করতে পারে সেই সিদ্ধিরগঞ্জের নেতাকর্মীরা তার হুকুম মেনে বিএনপির রাজনীতি করবে না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা জানায়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হওয়ার পর সাবেক এমপি এডভোকেট আবুল কালাম ও গিয়াস উদ্দিন দলীয় কোন্দলের অবসান ঘটিয়ে দলকে পূর্ণগঠন করতে মাঠে নামে। তারা উল্লেখযোগ্য সারা না পেয়েই জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নেয়। দলকে লেজে গোবরে অবস্থা করলেও মাঠে সক্রিয় থেকে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচী পালন করে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অস্থিত ঠিকিয়ে রেখেছে এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। সেই তৈমুর আলমের রাজপথের সহকর্মীদের বাদ দিয়ে কালাম ও গিয়াস গোপনে গোপনে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার ফন্দি শুরু করে। আবুল কালাম মহানগর ও গিয়াস উদ্দিন জেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ার নীল নকশা তৈরি করে। তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য গ্রহন করে ঐক্যের নাটক। তাদের নাটকে নেতাকর্মীরা মুগ্ধ না হওয়ায় ভিন্ন পন্থা বেচে নেয়। আগে তারা মহানগর কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়। এডভোকেট আবুল কালাম সভাপতি ও সাখাওয়াত হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি জমা দেয় কেন্দ্রে। এ বিষয়টি প্রকাশ পেলে প্রতিবাদী হয়ে উঠে ত্যাগী ও সক্রিয় নেতারা। তাদের অপত্তির কারণে ঝুলে পড়ে মহানগর কমিটর অনুমোদন। মহানগরের প্রাণ কেন্দ্র সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে সাধারণ সম্পাদক পদ রাখার দাবি উঠে। সে লক্ষেই সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আবদুল হাই রাজু ও থানা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হতে লবিং শুরু করে। রাজু ও মামুনের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় সিদ্ধিরগঞ্জেরই বাসিন্দা সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন। তিনি রাজু ও মামুনকে সমর্থন না দিয়ে এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনকে সমর্থন দেন। এর কারণ হিসেবে দলীয় সূত্রটি জানায়, গিয়াস উদ্দিন জেলা বিএনপির সভাপতি হতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হলে আঞ্চলিক বিবেচনায় তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি নাও পেতে পারেন। এ ধারনাতেই গিয়াস উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জের কাউকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সমর্থন করেননি। তার এই কূটকৌশল বুঝতে পেরে নেতাকর্মীরা তার প্রতি ফুঁসে উঠেছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগরের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। আন্দোলন সংগ্রামের ক্ষেত্রেও সিদ্ধিরগঞ্জ উল্লেখযোগ্য। অথচ ওই সিদ্ধিরগঞ্জে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ দিতে জেলার কয়েকজন সুবিধাবাদী নেতা বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের সাথে সুর মিলিয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা পল্টি গিয়াস উদ্দিন।

একুল-ওকুল দু’কুলই হারাতে পারে তৈমূর

মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের বিষয়টি সম্ভবত আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি এড. তৈমূর আলম খন্দকার। যেই কারনে ‘এক নেতার এক পদ’ হিসেবে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হয়েও সম্প্রতি পদত্যাগ করেন। তবে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা বলছেন, বড় পদ পেলেও তৈমূর নিজের প্রভাব বিস্তার টিকিয়ে রাখতে নারায়ণগঞ্জ ছাড়বেন না। সেই কারণে সম্মেলন ছাড়া কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেয়া কমিটি মেনে না নেয়ার হুঁশিয়ারীও দেন। ইতিমধ্যেই নিজেকে সভাপতি হিসেবে রেখে মহানগর বিএনপির ১৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির তালিকা করে দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাতে সরাসরি পৌঁছে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম। যা এখন শুধুমাত্র আছে অনুমোদনের অপেক্ষায়। তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি খালেদা জিয়া এড. আবুল কালামকে সভাপতি করে মহানগর বিএনপির কমিটি অনুমোদন দিয়ে দেন তাহলে এড. তৈমূর আলম খন্দকারের গলায় দঁড়ি দেয়ার মতই হবে। কেননা, দলীয় চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার মত পদ পেয়েও যিনি জেলার মায়া ভুলতে পারেননি, তিনি যদি এখন মহানগর বিএনপির সভাপতি হতে না পারেন তাহলে জেলার নতুন কমিটির সভাপতির পদ থেকেও ছিটকে পড়তে পারেন। যেমনটাই এখন বেশ জোরেসোরে শোনা যাচ্ছে বিএনপির তৃণমূলের মাঝে। এমনটাই চাউর হচ্ছে যে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদের। যিনি কিনা নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করতে উক্ত জেলা হতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া অপর ১০ সদস্যকে নিয়ে একটেবিলে বসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই এখন খালেদা জিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে যদি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ আর মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. আবুল কালামকে নির্বাচিত করে কমিটির অনুমোদন দেন তাহলে এটা তৈমূর আলমের গলায় দঁড়ি দেয়ার মতই হবে বলে মন্তব্য করেন তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা। আর জেলার মোহ ত্যাগ করে তখন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ নিয়েই এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে তুষ্ট থাকতে হবে। তিনি সম্প্রতি উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দিলেও এব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর গুলশানে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ১৭১ সদস্যের কমিটি জমা দেন এড. আবুল কালাম। যেই কমিটির তালিকায় সভাপতি হিসাবে রয়েছেন তিনি নিজেই। আর সাধারন সম্পাদক হিসাবে আছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে রয়েছেন নগর বিএনপির বর্তমান সাধারন সম্পাদক এটিএম কামাল। এছাড়া সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তৈমূর আলম, গিয়াস উদ্দিন এবং শাহ-আলম পন্থী নেতাদেরও নাম রয়েছে।