নারায়ণগঞ্জের সদর ও রূপগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনুষ্ঠানিক ভাবে শপথ গ্রহণ করলো । শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ পাঠ করান জেলা প্রশাসক মো. আনিছুর রহমান মিয়া।
সোমবার (৬ জুন) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইসরাত হোসেন খাঁন, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার চেয়ারম্যানদের মধ্যে উপস্থিত থেকে শপথ গ্রহণ করেন, কুতুবপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম সেন্টু, কাশীপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বিনাপ্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম সাইফুল্লাহ বাদল, বক্তাবলী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থীত ও বিনাপ্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান শওকত আলী, এনায়েতনগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থীত চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সিনি:সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান, গোগনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান নওশেদ আলী, আলীরটেক ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থীত নির্বাচিত চেয়ায়ারম্যান মো. মতিউর রহমান মতি।
অন্যদিকে রূপগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের মধ্যে শপথ গ্রহণ করেন, আওয়ামীলীগ সমর্থীত চেয়ারম্যান তোফায়েল আলম, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ভোলাব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন।
শপথ গ্রহণ শেষে নির্বাচিত চেয়ারম্যানবৃন্দরা তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো ব্যাক্ত করেন। এসময় সকলের কণ্ঠেই ভেসে ওঠে বর্তমানে ভয়াবয় আকার ধারণ করা মাদকের পরিস্থিতি।
সব শেষে চেয়ারম্যানদের প্রতি দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আনিছুর রহমান মিঞা। এসময় তিনি চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কেউ মাদকের বিষয়ে কারও সাথে আপোষ করবেন না। কারণ মাদককে বন্ধ করা না হলে কোন কাজই সফল হবে না।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেখা যায়, কোন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হলে সেখান থেকে তারা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে। এর পর আবারও তারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পরে। তাই আপনারা এই সকল ব্যাক্তিদের আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট হস্তান্তর করবেন। কারণ সেখানে জামিনের কোন সুযোগ নেই। আর শাস্তির পরিমানটাও অনেকটা বেশি হয়ে থাকে। এতে করে সেই মাদক ব্যবসায়ী পূনরায় এসব কাজে জড়াতে দ্বিধার মধ্যে থাকবে। পাশাপাশি মাদকও অনেকাংশে কমেও যাবে।
সব শেষে সকলের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে শপথ গ্রহণ সভা শেষ করেন জেলা প্রশাসক মো. আনিছুর রহমান মিঞা।
নারায়ণগঞ্জ ১১টি ইউপি চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম নারী প্রার্থী হলেন হিলারি ক্লিনটন
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম নারী প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হিলারি ক্লিনটন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডেলিগেটের সমথর্ন পাওয়ার পরই তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মনোনীত হলেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকালে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর জানায়। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থিতার দৌড়ে থাকা বার্নি স্যান্ডার্সকে পরাজিত করে তিনি এই গৌরব অর্জন করলেন। ফলে এখন রিপাবলিকান দলের মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মোকাবেলা করায় আর কোনো বাধা থাকলো না।
এর আগে রবিবার অনুষ্ঠেয় প্রাইমারিতে পুয়ের্তো রিকোরতে বড় জয় পাওয়ার পরই তার দলটির পক্ষ থেকে মনোনয়ন নিশ্চিত হয়। হিলারি ক্লিনটন মোট ২ হাজার ৩৮৪ ডেলিগেটের সমর্থন পেয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। এরমধ্যে প্লেজড ডেলিগেটের সমর্থন ১ হাজার ৮১২ এবং সুপার ডেলিগেটের সমর্থন রয়েছে ৫৭২। মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তার দরকার ছিলো ২ হাজার ৩৮২ ডেলিগেটের সমর্থন। প্রয়োজনের চেয়ে একটি ডেলিগেটের সমর্থনে পেয়ে তার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যায়।
অপরদিকে, ডেমোক্র্যাটিক দলের হিলারির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্স ১ হাজার ৫৬৬ ডেলিগেটের সমর্থন পেয়েছেন। এর মধ্যে প্লেজড ডেলিগেটের সমথর্ন রয়েছে ১ হাজার ৫২০ এবং সুপার ডেলিগেটের সমর্থন রয়েছে ৪৬। আগামী নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি লড়াই হবে ট্রাম্প-হিলারির মধ্যে।
বক্তাবলী ইউপি নির্বাচনের ৬নং ওয়ার্ডের ভোট পুনঃগননার আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট
গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্টিত বক্তাবলি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ডের সাধারন সদস্য পদের ভোট পুনঃগননার আদেশ দিয়েছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী সদর উদ্দিন মেম্বারের দায়ের করা রিটের পেক্ষিতে এ আদেশ দেয় বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী,বিচাপতি খসরুজ্জামান এর দৈত্ব বেঞ্চ। রিটকারীর পক্ষে শুনানী করেন এডঃ রাশেদুল হক। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল তিতাস হিলোল রিমা।
এ আগে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী সদর উদ্দিন মেম্বার দাবি করেন শান্তিপূর্ন নির্বাচনের পর পুলিশের সহযোগিতায় জোরপুর্বোক ভয়ভীতি প্রদর্শন করে রেজালসিটে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে ৭৩ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়।
এর প্রতিবাদে সদর উদ্দিন মেম্বার ও তার সহযোগিরা ফলাফল প্রত্যাখানসহ পুনরায় ভোট গননার দাবিতে মিছিল মিটিং মানব বন্ধন সহ নানা কর্মসুচী পালন করে আসছে।
ভোট পুনরায় গননার জন্য সদর উদ্দিন রিটার্নি কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।রিটার্নিং কমর্কর্তা কোনো ব্যাবস্থা গ্রহন না করায় হাইকোর্টে রিটের পেক্ষিতে আদেশ পাওয়ার ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে দরখাস্ত নিস্পত্তির আদেশ দেয় হাইকোর্ট। কোর্টের আদেশ ২৯ শে মে রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌছেছে আদেশের কপি।
বাংলাদেশ সীমান্তের মাদ্রাসাগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আখড়া : দিলিপ ঘোষ
বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলে থাকা মাদ্রাসাগুলো ভারতে হওয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আখড়া বলে মন্তব্য করেছেন বিজিপির পশ্চিম বঙ্গ প্রদেশের প্রেসিডেন্ট দিলিপ ঘোষ। এ সময় তিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিপূর্ণ রূপে বন্ধ করে দেয়া উচিত বলেও মত প্রকাশ করেন।
ঘোষ বলেন, মৌলবাদী, সন্ত্রাসী ও জাতীয়তা বিরোধী কর্মকাণ্ডের উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের সীমান্তে থাকা মাদ্রাসাগুলো। তিনি নিজের এই বক্তব্যকে সমর্থনের জন্য পশ্চিম বঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি এক সময় বলেছিলেন ভারতের জাতীয়তাবাদ বিরোধী ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর জন্ম হয় সীমান্তে থাকা মাদ্রাসাগুলো থেকে। পরবর্তীতে চাপের মুখে এ বক্তব্য ফিরিয়ে নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। কিন্তু বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়ার কোন কারণ নেই। কারণ একজন মুখ্যমন্ত্রী এমনি এমনি কোন কথা বলেন না। পুলিশ ও ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর দেয়া রিপোর্ট অনুসারেই তিনি কথা বলেন।
এ সময় ঘোষ আরো বলেন, এই মাদ্রাসাগুলো বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত হয়। আর তারাই জাতীয়তাবাদ বিরোধী কার্যক্রম থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, অবৈধ গো পাচার এবং চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত।
উল্লেখ্য, বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য ভারত জুড়ে বিখ্যাত এই বিজেপি নেতা। এর আগে তিনি বলেছিলেন, মৌলবাদীরা তাদের আখড়া হিসেবে বেছে নিয়েছে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, জয়দেবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়। তার এই মন্তব্যে ভারত জুড়ে তীব্র সমালোচনা হয়।
চট্টগ্রামে এসপির স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা
চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু (৩৫) নিহত হয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মহানগরীর জিইসি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইকবাল বাহার জানান, সকালে ছেলেসন্তান আক্তার মাহমুদ মাহিদকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের উদ্দেশে রওনা হন মিতু। বাসা থেকে ৫০ গজ দূরে রাস্তায় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত প্রথমে মিতুকে ধাক্কা দেয়। পরে তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। এর পর মাথার পেছনে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।
সিএমপি কমিশনার জানান, খবর পেয়ে তিনিসহ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁরা মিতুকে চিনতে পারেন।
ইকবাল বাহার আরো জানান, বাবুল আক্তার ও মাহমুদা খানম মিতু দম্পতির ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহিদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। তাবাসসুম তাসনিম নামের এক মেয়েও রয়েছে এ দম্পতির।
বাবুল আক্তার সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-গোয়েন্দা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি এসপি পদে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকায় বদলি হয়ে এসেছেন।
জামায়াতের সঙ্গে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সম্পর্ক ভালো নেই
ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে রাজনীতি করা দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দেশের অধিকাংশ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক ভালো নেই। কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়লেও ওই দলগুলো কখনও জামায়াতকে সমর্থন করে না বলে জানা গেছে।
এমনকি কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সঙ্গেও জামায়াতের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্বে টানাপড়েন দেখা দিলেও কৌশলগত কারণে দলটির শীর্ষ নেতারা মুখ খুলছেন না।
সূত্রমতে, ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশকে ঘিরে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা হেফাজতে ইসলামের ‘ব্যাপক জনসমর্থন’ কাজে লাগিয়ে সেই সময় সরকারের ভিত কাঁপিয়ে দিতে চেয়েছিল জামায়াত ও বিএনপি। কিন্তু এতে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতা চালালেও তাদের সঙ্গে কোনো ধর্মভিত্তিক দল যোগ দেয়নি। কারণ দেশের অধিকাংশ ধর্মভিত্তিক দল অতীতে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত ও তাদের সহিংস কর্মকা-কে কখনও সমর্থন করেনি এবং এখনও করছে না।
সূত্রমতে, ২০১৫ সালের বছর ১১ এপ্রিল এক সমাবেশে হেফাজতের আমির আহমেদ শফী বলেন, আওয়ামী লীগ, সরকার ও ছাত্রলীগ আমাদের শত্রু নয়, বন্ধু। তার এই বক্তব্যের পরই মূলত, জামায়াতের সঙ্গে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর ফাটলের সূচনা হয় বলে মনে করছেন অনেকেই।
কারণ, কওমী মাদ্রাসাকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা ইসলামিক দলগুলোর মূল নিয়ন্ত্রক হচ্ছে আহমেদ শফীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলাম। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মহাসচিব মাওলানা ইউনূস আহমদ বলেন, আমাদের দল স্বাধীনতাবিরোধী দল নয়। আমাদের দল স্বাধীনতার চেনায় বিশ্বাসী। ফলে কোনো স্বাধীনতাবিরোধী দলের সঙ্গে আমাদের দলের কখনও ঐক্য হতে পারে না।
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব লায়ন এমএ আউয়াল বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আমাদের ঐক্য হওয়ার প্রশ্নই আসে না। জামায়াত ’৭১-এ দেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে আবস্থান নিয়েছে। আর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন হলো স্বাধীনতার পক্ষের দল। সুতরাং এ দলের সঙ্গে জামায়াতের ঐক্যের কোনো সম্ভাবনা নেই।
নারায়ণগঞ্জ কারখানায় আগুন, দগ্ধ ৭
নারায়ণগঞ্জে একটি ভোজ্য তেল কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে সাত শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। বুধবার বিকালে জেলার সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ঢামেকে কারখানার সহকারী ম্যানেজার ইজাবুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বিকাল ৩টার দিকে শ্রমিকরা কারখানায় কাজ করছিলেন। এ ছাড়া কারখানার ভেতরে সংস্কারের জন্য ওয়েলডিংয়ের কাজ চলছিল। এ সময় আগুনের একটি ফুলকি এসে তেল তৈরির মেশিনের ওপর পড়ে। মুহূর্তেই তা কারখানার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরো বলেন, আগুনে ফয়সাল, রানা, আব্দুল হাই, মাহাবুব, হুময়ুন কবির, মাসুদুর রহমান ও মোতালেব দগ্ধ হলে প্রথমে তাদের নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢামেকে আনা হয়।
হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ প্রতীম শংকর গণমাধ্যমকে বলেন, সাতজনের শরীরের বিভিন্নস্থানে আগুনে ঝলসে গেছে। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মুন্সীগঞ্জে আ’লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থী সমর্থকদের সংঘর্ষ : গুলিবিদ্ধ-৬,আহত-২৫
মুন্সীগঞ্জে বুধবার সকালে আ’লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী রিপন পাটোয়ারী ও বিদ্রোহী প্রার্থী মহসীনা হকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষে ৬ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে ২৫ জন।
বেলা ১০ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদরের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে ওই ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সজিব বেপারী, শাহজাহান, শুক্কুর দেওয়ান, বাশার দেওয়ান, শফিকুল দেওয়ান, পাভেলকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সদর থানার এসআই নুরুল কাদের সৈকত জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী রিপন পাটোয়ারী সংঘর্ষের ঘটনার জন্য প্রতিদ্বন্ধি চেয়ারম্যান প্রার্থী মহসীনা হকের সমর্থকদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন- গুলি করে আ’লীগ নেতাকর্মীদের মহেশপুর গ্রাম থেকে বিতাড়িত করেছে। গুলিতে বেশ কয়েকজন আ’লীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
পক্ষান্তরে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মহসীনা হক বলেন- আমার সমর্থকরা গ্রামে গেলে আ’লীগ প্রার্থীর লোকজন সেখানে গুলি চালায়। প্রতিরোধ গড়ে তুললে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
খালেদা জিয়াকে কোনো কারাগারই বন্দি রাখতে পারবে না-রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণবিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে। কোনো কারাগারই তাঁকে বন্দি রাখতে পারবে না।
আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এটা সরকারের বেআইনি কাজ। এ সরকার গণবিচ্ছিন্ন সরকার বলেই বিএনপি চেয়ারপারসন, আজকে যিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন, তাঁকে ভয় পেয়ে এ কাজগুলো করছে, বিএনপি চেয়ারপারসন যাতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু এটি তাদের ভুল ধারণা। ওনার উপস্থিতি এ দেশের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে উজ্জীবিত করে। এ দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে অনুপ্রাণিত করে। ওদের কোনো কারাগার তাঁকে বন্দি করে রাখতে পারবে না।’
নির্বাচন কমিশন সরকারের নির্দেশের বাইরে কোনো কাজ করতে পারছে না উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের মতো পৌরসভা নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন দল কেন্দ্র দখল ও ভোট ডাকাতি করেছে।
কাজী নজরুল ছিলেন স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে অনমনীয়-খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কারাগারে নির্যাতন সহ্য করতেও দ্বিধা করেননি। তিনি দেশে দেশে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ছিলেন অনমনীয় প্রতিবাদী। তাঁর কবিতা ও গানে মানবতা ও সাম্যের বাণী উচ্চারিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে খালেদা জিয়অ এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি এবং তাঁর প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এক অবিসাংবাদিত প্রাণপুরুষ। শত জুলুম, অন্যায়-অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে ক্ষুরধার লেখনি দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। নিজেও অত্যাচার সয়েছেন ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর।
তিনি বলেন, পারিবারিক সীমাহীন দুঃখ কষ্টের মধ্যে থেকেও নির্বাক হওয়া পর্যন্ত সাহিত্য-চর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন বিস্ময়কর বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী, তাঁর ক্ষুরধার লেখনির মধ্যে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে বিপ্লবের মন্ত্রণা সুষ্পষ্ট। তাঁর সাহিত্যে উচ্ছাস ও স্বত:স্ফুর্ততা এক অনন্য সৌন্দর্যময়তায় বিশিষ্ট শিল্পরুপ ধারণ করেছে। তিনি যুগান্তরের কবি। তিনি বাংলা সাহিত্যে নবযুগের সূচনা করেন। অন্তর্গত সুন্দরের প্রেরণাতেই তিনি অসুন্দরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নজরুল ছিলেন একাধারে শ্রমিক, সৈনিক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী নির্ভিক কণ্ঠস্বর এবং একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক যোদ্ধা। তিনিই উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। তাঁর কবিতা ও গান আমাদের মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। এছাড়াও তাঁর প্রকৃতি, মানবপ্রেম ও ভক্তিমূলক গান অনন্য বৈচিত্রময় সুর ও বাণীর সংমিশ্রণে এক অনবদ্য স্বপ্নিল পরিবেশ সৃষ্টি করে। যে গানের আবেদন চিরকালীন ও চিরস্থায়ী। জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকল কর্মসূচির সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করেন বেগম জিয়া।
অনুরুপ এক বাণীতে “জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২৫শে মে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী। আজকের এই শুভদিনে আমি মহান কবির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি, বাংলা সাহিত্যের এক অবিসংবাদিত কিংবদন্তী।
তিনি বলেন, পারিবারিক সীমাহীন দুঃখ দুর্দশার মধ্যেও তিনি নির্বাক হওয়া পর্যন্ত সাহিত্য-চর্চায় ব্রতী ছিলেন। তিনি ছিলেন বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী, তাঁর ক্ষুরধার লেখনিতে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে বিপ্লবের মন্ত্র উচচারিত হয়। তাকে বলা হয় মুসলিম পুনঃজাগরণের কবি এবং উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর । তাঁর কবিতা ও গান আমাদের মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।