বিশিষ্ট আলেম, নিরাপত্তা বিশ্লেষকসহ বিভিন্ন মহলের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের করা তদন্তে একে একে বেরিয়ে আসছে পবিত্র মসজিদকে ঘিরে জামায়াতের অপরাজনীতির চিত্র। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা ও তাদের আত্মীয়, বিএনপি নেতাদের নিয়ে মসজিদকে ব্যবহার করছেন রাজনৈতিক কাজে। এরাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধসহ নানা উদ্যোগের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের মাধ্যম হিসেবে মসজিদকে ব্যবহার করছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে সরকার সমর্থক নেতারাও স্বার্থের কারণে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে মসজিদ কমিটিতে ঢুকে পড়ছেন।
মসজিদকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহারকারী ব্যক্তি ও মসজিদ কমিটির সদস্যদের পরিচয় জানতে সরকারের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার চালানো অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য। রাজধানীর একটি বড় মসজিদের তদন্তে গোয়েন্দারা পেয়েছেন এর সঙ্গে জড়িত যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের রাজনৈতিক কর্মকা- চালানোর নানা প্রমাণ। যে মসজিদ কমিটিতে আছেন একাধিক যুদ্ধাপরাধী, জামায়াত নেতা ও তাদের আত্মীয়স্বজন। তাদের সঙ্গে আছেন জামায়াতসহ উগ্রবাদীদের একাধিক ডোনার। একই অভিযোগের প্রমাণ মিলছে আরও অনেক মসজিদেও। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে কমিটিতে প্রবেশ করে এরা মসজিদকে নিজেদের রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ তুলে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন দেশের আলেম ওলামারা। জানা গেছে, মসজিদ কমিটির তালিকা এখন গোয়েন্দাদের হাতে। দলীয় লোক নিয়ন্ত্রিত সারাদেশের মসজিদগুলোকে যেন জামায়াত সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটি থেকে জামায়াত ঘেঁষাদের বাদ দেয়ার সুপারিশও করেছেন তারা। সূত্রগুলো বলছে, সারাদেশের মসজিদগুলোর কমিটির সদস্যদেরই রাজনৈতিক পরিচয় ও তালিকা তৈরি করছেন গোয়েন্দারা। অনেক ক্ষেত্রেই প্রমাণ মিলছে মসজিদের জন্য কৌশলে নামে-বেনামে আর্থিক সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন জামায়াতের নেতা ও সমর্থকরা। এক সময় তাদের পরিচয় প্রকাশ পেলেও আর্থিক নির্ভরতার কারণে তাদের সঙ্গে বিরোধে যান না কমিটির অন্য সদস্যরা। ফলে জামায়াতের নেতা ও সমর্থকরা জায়গা করে নিচ্ছেন মসজিদ কমিটিতে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর আদাবরের ঢাকা হাউজিং জামে মসজিদের কমিটি ২৯ সদস্যের। এর মধ্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও বর্তমানে দলটির প্রভাবশালী নেতা ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরসহ ডজনখানেক জামায়াত নেতা, সমর্থক ও ডোনার রয়েছেন। আছেন জামায়াতের ডোনার প্রকৌশলী আকবর হোসেন, কামাল হোসেন খান, শামীম মৃধা, মাসুদুর রহমান, প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ। এর মধ্যে শামীম মৃধা হলেন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচারাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া আসামি ইস্কান্দার মৃধার ছেলে। এ ছাড়া শামীম মৃধার ভগ্নিপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুল জব্বার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন। শামীম মৃধার গাড়িতেই যুদ্ধাপরাধী জব্বারকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়া হয় বলে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া জামায়াতের এ ডোনার গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ওই এলাকায় মহিলা জামায়াতের কাউন্সিলরকে নির্বাচিত করার জন্য অর্থ দিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর আড়ালে নির্বাচনে লড়া জামায়াতের কাউন্সিলরের নাম কাওসার জাহান।
এই মসজিদ কমিটিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সহ-সভাপতির দায়িত্বে থাকলেও তিনিই সর্বেসর্বা। কমিটিতে আছেন সভাপতি সাবেক ডেপুটি স্পীকার বিএনপি নেতা আকতার হামিদ সিদ্দিকী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও এই মসজিদ কমিটির সদস্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মসজিদে খতিবের দায়িত্বে আছেন মাওলানা মোহাম্মদ নূর, তিনিও জামায়াতের সমর্থক। আর মোয়াজ্জেম হাফেজ হেলালও জামায়াতের কর্মী। এর আগে তিনি একটি মামলায় তিন মাস জেলে থেকে বর্তমানে জামিনে আছেন। এই মসজিদে বিভিন্ন সময় বৈঠক করেন জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া জামায়াতের পলাতক নেতাকর্মীরা এ মসজিদে আশ্রয় নেন। জামায়াতের প্রভাবশালী নেতা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক এই হেলালের গ্রেফতারের প্রতিবাদে তার মাকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।
মসজিদের কেয়ার টেকার সম্পর্কে বলা হয়েছে, কেয়ার টেকারের নাম মহিউদ্দিন জোয়ার্দার। তার ভাই বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি। পিতা সিরাজ উদ্দিন জোয়ার্দার, তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। মহিউদ্দিন থাকেন হাউজিং মসজিদের দোতলায়। যশোরের উদিচী হামলার পর থেকে পলাতক। এরপর আর বাড়িতে যান না। তার বিরুদ্ধে মসজিদকে ব্যবহার করে উগ্র জঙ্গী গোষ্ঠীসহ জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকা- চালানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আদাবর এলাকায় জামায়াত, হিযবুত তাহরীরসহ উগ্রবাদী গোষ্ঠীর নেতাকর্মীদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। উগ্রবাদীরা এলাকায় মিছিল-মিটিং করে মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তবে কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতারাও আছেন। সরকারদলীয় নেতাদের মধ্যে আছেন আব্দুল্লাহ হাকিম হাওলাদার, মো: এমাদুল্লাহসহ কয়েকজন। ঢাকা হাউজিং জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ নূর নিজেকে অবশ্য জামায়াত নেতা নন বলে দাবি করেছেন। তবে বলেছেন, মসজিদ কমিটিতে জামায়াতের লোকজন আছেন।
শ্যামলী শাহী মসজিদ কমিটি ২০ সদস্যের। এর মধ্যে কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন জামায়াতের সমর্থক। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ও সদস্য হাজী করিম স্থানীয় জামায়াতের নেতা। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লালমাটিয়া শাহী মসজিদ কমপ্লেক্স (বিবি মসজিদ নামে পরিচিত) কমিটিও রয়েছে জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে। মসজিদ ও মাদ্রাসার সমন্বয়ে এই কমপ্লেক্সের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজন জামায়াত নেতা রয়েছেন। এই মসজিদ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন হলেও মসজিদ কমিটিতে থাকার সুবাদে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন জামায়াতপন্থীরা। মসজিদ সংলগ্ন পুকুরও ভরাট করা হচ্ছে অবৈধভাবে।
রাজধানীর কাটাবনে অবস্থিত কাটাবন মসজিদকে ঘিরে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি চলে সব সময়েই। এই মসজিদটি বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের অধীন একটি প্রতিষ্ঠান। যার সভাপতি হিসেবে আছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রভাবশালী জামায়াত নেতা মাওলানা জায়নুল আবেদীন। সেক্রেটারি আছেন জামায়াতের সমর্থক খলিলুর রহমান মাদানী। এরা দুজনেই আবার জামায়াতের প্রতিষ্ঠান তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার সঙ্গে জড়িত।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, মসজিদ কমিটিতে জঙ্গী মনোভাব সম্পন্ন কোন ব্যক্তি বা জামায়াত সমর্থক বা দলের নেতাকর্মীদের কেউ যুক্ত আছেন কিনা- এ নিয়ে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ শেষ হয়েছে। সে তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা অনুযায়ী কমিটিগুলোর কার্যক্রম, চিহ্নিত ব্যক্তিদের দিনলিপিসহ বিভিন্ন সন্দেহজনক বিষয় পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে মসজিদের ভেতরেই দলের গোপন বৈঠক সারছেন জামায়াত নেতারা। মসজিদের ভেতরে বৈঠক করার সময়ও আটক হয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। কিছুৃদিন আগে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাঘা পৌর এলাকার ছাতারী মধ্যপাড়ার মসজিদে গোপন বৈঠক করছে এমন খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে পৌর জামায়াতের আমির অধ্যাপক সাইফুল ইসলামসহ ৬২ জনকে আটক করে থানা পুলিশ।
তদন্তের সঙ্গে জড়িত আইনশৃক্সখলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, জঙ্গীবাদের সঙ্গে জামায়াতের কেউ সম্পৃক্ত আছে কিনা আমরা সেটা দেখার চেষ্টা করছি। এ জন্য গোপনে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া জামায়াতের কেউ মসজিদের ইমাম হলে খুতবায় রাষ্ট্র, সরকারবিরোধী বা উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় কিনা তা দেখা হচ্ছে। আর জঙ্গীবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে পেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। মসজিদ কমিটিতে কারা আছেন সেটারও তথ্য থাকবে। মূল বিষয় হচ্ছে মসজিদ সংশ্লিষ্ট কেউ জঙ্গীবাদ ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে উস্কানি বা সহায়তা যেন না করতে পারে সেদিকে নজর রাখা।
সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জঙ্গীবাদের পুরো চরিত্র-কৌশল সম্পর্কে সাধারণ মুসল্লিদের সচেতন করতে ইমাম ও মসজিদ কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করছে সরকার। এ কারণে জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে সরকার আলেমদের পাশাপাশি দেশের মসজিদ কমিটিগুলোকেও কাজে লাগাতে চায়। এ লক্ষ্যে মসজিদগুলোর নির্বাচিত কমিটিগুলোর খোঁজখবর নিতেই প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকার মনে করছে, জঙ্গীবাদের উত্থান ঠেকাতে মসজিদগুলোর ভূমিকা অনেক বেশি কার্যকর হবে। এ কারণে আগে থেকে মসজিদ কমিটিগুলোয় জঙ্গীবাদী বা জামায়াত ঘরানার কোন ব্যক্তি আছে কিনা, সেটি নিশ্চিত হতে চায় সরকার। এরপর মসজিদগুলোকে কেন্দ্র করে জঙ্গীবিরোধী কার্যক্রম শুরু করতে চান নীতিনির্ধারকরা।
গোয়েন্দা সূত্রগুলো আরও বলছে, কমিটিগুলোর তালিকা আসার পর সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কি না, তাদের কেউ জঙ্গীবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা, জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কিনা এসব বিষয় নিশ্চিত হলেই কমিটি পুনর্গঠনের চাপ দেয়া হবে। এই কার্যক্রমে মসজিদ কমিটিতে থাকা আওয়ামীপন্থী ব্যক্তিবর্গেরও সহযোগিতা নিচ্ছেন গোয়েন্দারা।
মসজিদকে ব্যবহার করে জঙ্গীবাদী কর্মকা- বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে সরকারের শরিক দল বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। সংগঠনটির মহাসচিব লায়ন এম এ আউয়াল এমপি বলছিলেন, এ সিদ্ধান্ত আগেই নেয়ার দরকার ছিল। খুতবার মাধ্যমে যেন বিরোধ-বিতর্ক, বিশৃক্সখলা সৃষ্টি না হয়, এ জন্য আরব দেশগুলোয় খুতবায় কী পড়া যাবে, কী পড়া যাবে না তা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কেউ রাজনীতির স্বার্থে মসজিদ ব্যবহার করবেন, তা হতে পারে না। এ জন্য মসজিদ কমিটিতে কারা আছেন, তাও সরকারের জানা জরুরী। এসব সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের কাছে তথ্য থাকবে সব কিছুর। আর যারা অপরাধ করেন না, তাদের এ বিষয়ে আপত্তি থাকার কথাও নয়।
মসজিদ কমিটিতে জামায়াত নেতা ও যুদ্ধাপরাধীদের দাপটের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাজধানীতে কয়েকটি মসজিদে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের পাশাপাশি জামায়াতের নীতিনির্ধারণী নেতারা আছেন, বিএনপির নেতারা আছেন। আওয়ামী লীগের নেতারাও আছেন। খোঁজ নিলে এমন হাজার মসজিদের কমিটিতে এমন ঘটনা দেখা যাবে। জামায়াতের লোকদের মসজিদের কমিটিতে রেখে কীভাবে জঙ্গীবাদ ঠেকানো যাবে?
তিনি আরও বলেন, জঙ্গীবাদবিরোধী কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় ক্রিয়াশীল শক্তি হিসেবে দেশের খানকা, পীর-মাশায়েকদের দরগাগুলোকেও আনা যেত। এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু জঙ্গীবাদের অন্যতম টার্গেট। কিন্তু সরকারের সুদৃষ্টি এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরে খুব বেশি একটা নেই।
মসজিদ ব্যবহার করে জঙ্গীবাদী কর্মকা- বন্ধের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ। মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ মুহাম্মদ বাহাদুর শাহ বলছিলেন, ইসলাম শান্তি, সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্যরে ধর্ম। একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেশে জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করছেন। তারাই ইসলামের শত্রু। যারা পল্টনে বলেছেন, বাংলা হবে আফগান আমরা হব তালেবান’ তারাই হচ্ছেন অরিজিনাল জঙ্গী। চাঁদপুর গাবতলা দরবার শরীফের পীর মাওলানা খাজা আরিফুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা জঙ্গী ও খারেজীদের চরিত্র। এ জন্য মসজিদে জুমার খুতবায় জঙ্গীবাদবিরোধী বক্তব্য দিতে হবে।
জঙ্গীবাদী কার্যক্রমের জন্য বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতকে শক্ত হাতে মোকাবেলার পরামর্শ দিয়েছেন অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ। সারাদেশের জামায়াত ও তাদের ম“পুষ্ট ইমামদের তালিকা তৈরির আবারও পরামর্শ দিয়ে আলেমরা বলছেন, যেসব ইমাম ইসলামের নামে জঙ্গীবাদের উস্কানি দিয়ে বক্তব্য দেন, তালিকা থাকলে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে। মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মুজাহিদের ফাঁসির পর যেসব মসজিদের ইমামরা তার জন্য দোয়া ও কান্নাকাটি করেছেন, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। জনকণ্ঠ