১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 268

যে কোনো ধর্ম মানলেই কি পরকালীন মুক্তি সম্ভব?

কোনো মুসলিম ব্যক্তি যদি ধর্ম সম্পর্কে এই আকিদা পোষণ বা বিশ্বাস করে যে, ‘যে কোনো একটি ধর্ম মানলেই হবে।’ অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হয়ে জান্নাত দিবেন। জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবেন। তাহলে এই অবস্থায় সে কি মুসলমান থাকবে? অথবা তার এই অবস্থার ওপর শরিয়তের হুকুম কী?

এ বিষয়ে ইসলামের ব্যক্তব্য হলো- পরকালের মুক্তি এবং আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্ম মানার দ্বারা সম্ভব নয়। বিষয়টি অসংখ্য স্পষ্ট আয়াত ও সহিহ হাদিসের বর্ণনা দ্বারা সুপ্রমাণিত। যেমন -আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্ম অন্বেষণ করবে তবে তা তার থেকে গৃহিত হবে না। আর সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’। [আল ইমরান : ৮৫]। সুতরাং যে কোনো ধর্ম মানলেই হবে, এমন আকিদা পোষণ করা কুফুরি। যদি কেউ এ ধরনের আকিদা পোষণ করে তাহলে তার কর্তব্য হচ্ছে খাঁটি অন্তরে তাওবা করে তা থেকে সরে আসা এবং ইসলামই একমাত্র আল্লাহ পাকের মনোনীত ধর্ম এবং ইসলাম মানার দ্বারাই শুধু আখেরাতে মুক্তি পাওয়া যাবে- এ কথা বিশ্বাসে ফিরে আসা। [আলে ইমরান : ৮৫, রুহুল মায়ানি : ৩/২৮৯]

মাদক ও ইভটিজিং মুক্ত ডিজিটাল ওয়ার্ড গড়াই আমার লক্ষ II মোঃ রশীদ আহমেদ

মাদক ও ইভটিজিং মুক্ত ডিজিটাল ওয়ার্ড গড়াই আমার লক্ষ II মোঃ রশীদ আহমেদ
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউপি’র ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী মো. রশীদ আহমেদ তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি তার ওয়ার্ডের প্রতিটি ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের যাবতীয় সুবিধা অসুবিধার খোজ খবর নিচ্ছেন এবং ২৩শে এপ্রিল নির্বাচনে তাকে ভোটারদের মুল্যবান ভোটের মাধ্যমে জয়লাভের ব্যাপারে তাদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
সরে জমিনে নির্বাচনী এলাকাতে ঘুরে দেখা যায় , বক্তাবলী ইউপি’র ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী যে ক’জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছে তাদের মধ্যে বর্তমান মেম্বার মো. রশীদ আহমেদ শিক্ষিত,মার্জিত স্বভাবের এবং সদা মিষ্টভাষী এলাকাতে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। ওয়ার্ডের বিভিন্ন ভোটারদের সাথে আলাপকালে সাধারন ভোটাররা জানান, মো. রশীদ আহমেদ একজন ন্যায় পরায়ন ব্যক্তি। তার মত যোগ্য প্রার্থী পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। কারন হিসেবে তারা উল্লেখ করে বলেন আমাদের সুপরিচিত মুখ মো. রশীদ আহমেদকে আমরা সাধারন ভোটাররা বিপদে আপদে সব সময় কাছে পাই। তিনি যদি  নির্বাচনে জয়লাভ করে তাহলে আমাদের অবহেলিত এ ওয়ার্ডে ব্যাপক উন্নয়ন করবেন বলে আমরা আশাবাদী।
তাছাড়া এলাকাবাসি ও ভোটারদের মাঝে রয়েছে তার জনসমর্থন। এলাকার সাধারন মানুষের নেই কোন অভিযোগ । এ বিষয়ে মেম্বারপ্রার্থী মো. রশীদ আহমেদ বলেন,আমি যদি আমার এলাকার সাধারন ভোটারদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হই তাহলে আমি আমার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের যাবতীয় উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাবো। তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনে অল্প কয়েক ভোটে পরাজিত হওয়ার পরও আমার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ কছি। এছাড়াও  সমাজ থেকে মাদক,ইভটিজিং,ভুমিদস্যুতা প্রতিরোধে সামাজিকভাবে ব্যাপক কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন,বেকার যুব সমাজের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় স্ধান করে চাকুরীর ব্যবস্থা করবো। অসহায় নারী পুরুষদের জন্য সরকার প্রদত্ত বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা,বয়স্কভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনবো,জন্ম নিবন্ধন,ওয়ারিশ সনদ,ট্রেড লাইসেন্স যেন সহজ উপায়ে পায় তা দ্রুত বাস্তবায়ন করব। তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে দীর্ঘদিন যাবত দুস্থ নারী-পুরুষের মাঝে নগদ অর্থ,শীত বস্ত্র,ঈদে বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে আসছি তা আরো ব্যাপকতর করবো। আমি আশাবাদী সাধারন ভোটাররা আমাকে তাদের মুল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে তারা আমাকে তাদের সেবক হওয়ার সুযোগ দেবে।আমি যতদিন বেচে থাকবো তাদের সেবক হয়েই থাকবো। দিনরাত যখনই তারা আমাকে ডাকবে আমি তাদের সেবাদানে ছুটে যাবো। আমি আমার এলাকার সাধারন ভোটারদের মুল্যবান ভোটে জয়লাভ করবো ইনশাল্লাহ।

তনুর বান্ধবী ও পরিবারের সদস্যদের ফের সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদ

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর হত্যার ঘটনায় ঢাকা থেকে আসা সিআইডির একটি দল আজ শুক্রবার সকাল থেকে ফের কুমিল্লা সিআইডি অফিসে সোহাগী জাহান তনুর বড় ভাই নাজমুল হোসেন ও তনুর দুই বান্ধবীসহ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

সকাল সাড়ে ৮টায় তনুর ভাই নাজমুল হোসেন, চাচাতো বোন লাইজু জাহান, তনুর বান্ধবী মনিষা এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারী ইছমাইল হোসেনকে সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। তাদের বেলা ১১টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সিআইডির টিম কুমিল্লা সেনানিবাসে যায়।   এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ও তনু হত্যা মামলা তদন্ত সহায়ক কমিটির প্রধান আবদুল কাহহার আকন্দসহ সিআইডির একটি দল কুমিল্লায় আসে। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা ও কুমিল্লার সিআইডির সমন্বিত দলটি সেনানিবাসের ৫ সেনা সদস্যকে কুমিল্লা সিআইডির কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে।  বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ দলটি গত ২ এপ্রিল ও ৩ এপ্রিল সেনানিবাস এলাকায় তনুর মরদেহ উদ্ধারের স্থানসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে। এসময় এ দলটি তনুর মা-বাবা, ডাক্তার নার্সসহ কয়েকজন লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে এ ব্যাপারে সিআইডির কুমিল্লা অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান বৃহস্পতিবার রাত দেড়টায় সাংবাদিকদের জানান, তনু হত্যার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে তনুর লাশ পাওয়ার সময় পর্যন্ত ওই সড়কে কারা কখন কিভাবে দায়িত্বে ছিলেন সে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নিতে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আরো অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিলা সেনানিবাসের বাসার অদূরে জঙ্গলে তনুর লাশ পাওয়া যায়। ২১ মার্চ তার বাবা ইয়ার হোসেন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে কুমিলা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

সাংগঠনিক কাজে মসজিদকে ব্যবহার করছে জামায়াত

বিশিষ্ট আলেম, নিরাপত্তা বিশ্লেষকসহ বিভিন্ন মহলের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের করা তদন্তে একে একে বেরিয়ে আসছে পবিত্র মসজিদকে ঘিরে জামায়াতের অপরাজনীতির চিত্র। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা ও তাদের আত্মীয়, বিএনপি নেতাদের নিয়ে মসজিদকে ব্যবহার করছেন রাজনৈতিক কাজে। এরাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধসহ নানা উদ্যোগের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের মাধ্যম হিসেবে মসজিদকে ব্যবহার করছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে সরকার সমর্থক নেতারাও স্বার্থের কারণে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে মসজিদ কমিটিতে ঢুকে পড়ছেন।

jamayat jamayat-1মসজিদকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহারকারী ব্যক্তি ও মসজিদ কমিটির সদস্যদের পরিচয় জানতে সরকারের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার চালানো অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য। রাজধানীর একটি বড় মসজিদের তদন্তে গোয়েন্দারা পেয়েছেন এর সঙ্গে জড়িত যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের রাজনৈতিক কর্মকা- চালানোর নানা প্রমাণ। যে মসজিদ কমিটিতে আছেন একাধিক যুদ্ধাপরাধী, জামায়াত নেতা ও তাদের আত্মীয়স্বজন। তাদের সঙ্গে আছেন জামায়াতসহ উগ্রবাদীদের একাধিক ডোনার। একই অভিযোগের প্রমাণ মিলছে আরও অনেক মসজিদেও। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে কমিটিতে প্রবেশ করে এরা মসজিদকে নিজেদের রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ তুলে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন দেশের আলেম ওলামারা। জানা গেছে, মসজিদ কমিটির তালিকা এখন গোয়েন্দাদের হাতে। দলীয় লোক নিয়ন্ত্রিত সারাদেশের মসজিদগুলোকে যেন জামায়াত সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটি থেকে জামায়াত ঘেঁষাদের বাদ দেয়ার সুপারিশও করেছেন তারা। সূত্রগুলো বলছে, সারাদেশের মসজিদগুলোর কমিটির সদস্যদেরই রাজনৈতিক পরিচয় ও তালিকা তৈরি করছেন গোয়েন্দারা। অনেক ক্ষেত্রেই প্রমাণ মিলছে মসজিদের জন্য কৌশলে নামে-বেনামে আর্থিক সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন জামায়াতের নেতা ও সমর্থকরা। এক সময় তাদের পরিচয় প্রকাশ পেলেও আর্থিক নির্ভরতার কারণে তাদের সঙ্গে বিরোধে যান না কমিটির অন্য সদস্যরা। ফলে জামায়াতের নেতা ও সমর্থকরা জায়গা করে নিচ্ছেন মসজিদ কমিটিতে।jamayat

গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর আদাবরের ঢাকা হাউজিং জামে মসজিদের কমিটি ২৯ সদস্যের। এর মধ্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও বর্তমানে দলটির প্রভাবশালী নেতা ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরসহ ডজনখানেক জামায়াত নেতা, সমর্থক ও ডোনার রয়েছেন। আছেন জামায়াতের ডোনার প্রকৌশলী আকবর হোসেন, কামাল হোসেন খান, শামীম মৃধা, মাসুদুর রহমান, প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ। এর মধ্যে শামীম মৃধা হলেন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচারাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া আসামি ইস্কান্দার মৃধার ছেলে। এ ছাড়া শামীম মৃধার ভগ্নিপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুল জব্বার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন। শামীম মৃধার গাড়িতেই যুদ্ধাপরাধী জব্বারকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়া হয় বলে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া জামায়াতের এ ডোনার গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ওই এলাকায় মহিলা জামায়াতের কাউন্সিলরকে নির্বাচিত করার জন্য অর্থ দিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর আড়ালে নির্বাচনে লড়া জামায়াতের কাউন্সিলরের নাম কাওসার জাহান।

এই মসজিদ কমিটিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সহ-সভাপতির দায়িত্বে থাকলেও তিনিই সর্বেসর্বা। কমিটিতে আছেন সভাপতি সাবেক ডেপুটি স্পীকার বিএনপি নেতা আকতার হামিদ সিদ্দিকী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও এই মসজিদ কমিটির সদস্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মসজিদে খতিবের দায়িত্বে আছেন মাওলানা মোহাম্মদ নূর, তিনিও জামায়াতের সমর্থক। আর মোয়াজ্জেম হাফেজ হেলালও জামায়াতের কর্মী। এর আগে তিনি একটি মামলায় তিন মাস জেলে থেকে বর্তমানে জামিনে আছেন। এই মসজিদে বিভিন্ন সময় বৈঠক করেন জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া জামায়াতের পলাতক নেতাকর্মীরা এ মসজিদে আশ্রয় নেন। জামায়াতের প্রভাবশালী নেতা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক এই হেলালের গ্রেফতারের প্রতিবাদে তার মাকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।

মসজিদের কেয়ার টেকার সম্পর্কে বলা হয়েছে, কেয়ার টেকারের নাম মহিউদ্দিন জোয়ার্দার। তার ভাই বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি। পিতা সিরাজ উদ্দিন জোয়ার্দার, তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। মহিউদ্দিন থাকেন হাউজিং মসজিদের দোতলায়। যশোরের উদিচী হামলার পর থেকে পলাতক। এরপর আর বাড়িতে যান না। তার বিরুদ্ধে মসজিদকে ব্যবহার করে উগ্র জঙ্গী গোষ্ঠীসহ জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকা- চালানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আদাবর এলাকায় জামায়াত, হিযবুত তাহরীরসহ উগ্রবাদী গোষ্ঠীর নেতাকর্মীদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। উগ্রবাদীরা এলাকায় মিছিল-মিটিং করে মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তবে কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতারাও আছেন। সরকারদলীয় নেতাদের মধ্যে আছেন আব্দুল্লাহ হাকিম হাওলাদার, মো: এমাদুল্লাহসহ কয়েকজন। ঢাকা হাউজিং জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ নূর নিজেকে অবশ্য জামায়াত নেতা নন বলে দাবি করেছেন। তবে বলেছেন, মসজিদ কমিটিতে জামায়াতের লোকজন আছেন।

শ্যামলী শাহী মসজিদ কমিটি ২০ সদস্যের। এর মধ্যে কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন জামায়াতের সমর্থক। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ও সদস্য হাজী করিম স্থানীয় জামায়াতের নেতা। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লালমাটিয়া শাহী মসজিদ কমপ্লেক্স (বিবি মসজিদ নামে পরিচিত) কমিটিও রয়েছে জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে। মসজিদ ও মাদ্রাসার সমন্বয়ে এই কমপ্লেক্সের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজন জামায়াত নেতা রয়েছেন। এই মসজিদ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন হলেও মসজিদ কমিটিতে থাকার সুবাদে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন জামায়াতপন্থীরা। মসজিদ সংলগ্ন পুকুরও ভরাট করা হচ্ছে অবৈধভাবে।

রাজধানীর কাটাবনে অবস্থিত কাটাবন মসজিদকে ঘিরে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি চলে সব সময়েই। এই মসজিদটি বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের অধীন একটি প্রতিষ্ঠান। যার সভাপতি হিসেবে আছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রভাবশালী জামায়াত নেতা মাওলানা জায়নুল আবেদীন। সেক্রেটারি আছেন জামায়াতের সমর্থক খলিলুর রহমান মাদানী। এরা দুজনেই আবার জামায়াতের প্রতিষ্ঠান তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার সঙ্গে জড়িত।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, মসজিদ কমিটিতে জঙ্গী মনোভাব সম্পন্ন কোন ব্যক্তি বা জামায়াত সমর্থক বা দলের নেতাকর্মীদের কেউ যুক্ত আছেন কিনা- এ নিয়ে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ শেষ হয়েছে। সে তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা অনুযায়ী কমিটিগুলোর কার্যক্রম, চিহ্নিত ব্যক্তিদের দিনলিপিসহ বিভিন্ন সন্দেহজনক বিষয় পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে মসজিদের ভেতরেই দলের গোপন বৈঠক সারছেন জামায়াত নেতারা। মসজিদের ভেতরে বৈঠক করার সময়ও আটক হয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। কিছুৃদিন আগে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাঘা পৌর এলাকার ছাতারী মধ্যপাড়ার মসজিদে গোপন বৈঠক করছে এমন খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে পৌর জামায়াতের আমির অধ্যাপক সাইফুল ইসলামসহ ৬২ জনকে আটক করে থানা পুলিশ।

তদন্তের সঙ্গে জড়িত আইনশৃক্সখলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, জঙ্গীবাদের সঙ্গে জামায়াতের কেউ সম্পৃক্ত আছে কিনা আমরা সেটা দেখার চেষ্টা করছি। এ জন্য গোপনে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া জামায়াতের কেউ মসজিদের ইমাম হলে খুতবায় রাষ্ট্র, সরকারবিরোধী বা উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় কিনা তা দেখা হচ্ছে। আর জঙ্গীবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে পেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। মসজিদ কমিটিতে কারা আছেন সেটারও তথ্য থাকবে। মূল বিষয় হচ্ছে মসজিদ সংশ্লিষ্ট কেউ জঙ্গীবাদ ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে উস্কানি বা সহায়তা যেন না করতে পারে সেদিকে নজর রাখা।

সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জঙ্গীবাদের পুরো চরিত্র-কৌশল সম্পর্কে সাধারণ মুসল্লিদের সচেতন করতে ইমাম ও মসজিদ কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করছে সরকার। এ কারণে জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে সরকার আলেমদের পাশাপাশি দেশের মসজিদ কমিটিগুলোকেও কাজে লাগাতে চায়। এ লক্ষ্যে মসজিদগুলোর নির্বাচিত কমিটিগুলোর খোঁজখবর নিতেই প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকার মনে করছে, জঙ্গীবাদের উত্থান ঠেকাতে মসজিদগুলোর ভূমিকা অনেক বেশি কার্যকর হবে। এ কারণে আগে থেকে মসজিদ কমিটিগুলোয় জঙ্গীবাদী বা জামায়াত ঘরানার কোন ব্যক্তি আছে কিনা, সেটি নিশ্চিত হতে চায় সরকার। এরপর মসজিদগুলোকে কেন্দ্র করে জঙ্গীবিরোধী কার্যক্রম শুরু করতে চান নীতিনির্ধারকরা।

গোয়েন্দা সূত্রগুলো আরও বলছে, কমিটিগুলোর তালিকা আসার পর সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কি না, তাদের কেউ জঙ্গীবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা, জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কিনা এসব বিষয় নিশ্চিত হলেই কমিটি পুনর্গঠনের চাপ দেয়া হবে। এই কার্যক্রমে মসজিদ কমিটিতে থাকা আওয়ামীপন্থী ব্যক্তিবর্গেরও সহযোগিতা নিচ্ছেন গোয়েন্দারা।

মসজিদকে ব্যবহার করে জঙ্গীবাদী কর্মকা- বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে সরকারের শরিক দল বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। সংগঠনটির মহাসচিব লায়ন এম এ আউয়াল এমপি বলছিলেন, এ সিদ্ধান্ত আগেই নেয়ার দরকার ছিল। খুতবার মাধ্যমে যেন বিরোধ-বিতর্ক, বিশৃক্সখলা সৃষ্টি না হয়, এ জন্য আরব দেশগুলোয় খুতবায় কী পড়া যাবে, কী পড়া যাবে না তা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কেউ রাজনীতির স্বার্থে মসজিদ ব্যবহার করবেন, তা হতে পারে না। এ জন্য মসজিদ কমিটিতে কারা আছেন, তাও সরকারের জানা জরুরী। এসব সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের কাছে তথ্য থাকবে সব কিছুর। আর যারা অপরাধ করেন না, তাদের এ বিষয়ে আপত্তি থাকার কথাও নয়।

মসজিদ কমিটিতে জামায়াত নেতা ও যুদ্ধাপরাধীদের দাপটের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাজধানীতে কয়েকটি মসজিদে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের পাশাপাশি জামায়াতের নীতিনির্ধারণী নেতারা আছেন, বিএনপির নেতারা আছেন। আওয়ামী লীগের নেতারাও আছেন। খোঁজ নিলে এমন হাজার মসজিদের কমিটিতে এমন ঘটনা দেখা যাবে। জামায়াতের লোকদের মসজিদের কমিটিতে রেখে কীভাবে জঙ্গীবাদ ঠেকানো যাবে?

তিনি আরও বলেন, জঙ্গীবাদবিরোধী কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় ক্রিয়াশীল শক্তি হিসেবে দেশের খানকা, পীর-মাশায়েকদের দরগাগুলোকেও আনা যেত। এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু জঙ্গীবাদের অন্যতম টার্গেট। কিন্তু সরকারের সুদৃষ্টি এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরে খুব বেশি একটা নেই।

মসজিদ ব্যবহার করে জঙ্গীবাদী কর্মকা- বন্ধের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ। মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ মুহাম্মদ বাহাদুর শাহ বলছিলেন, ইসলাম শান্তি, সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্যরে ধর্ম। একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেশে জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করছেন। তারাই ইসলামের শত্রু। যারা পল্টনে বলেছেন, বাংলা হবে আফগান আমরা হব তালেবান’ তারাই হচ্ছেন অরিজিনাল জঙ্গী। চাঁদপুর গাবতলা দরবার শরীফের পীর মাওলানা খাজা আরিফুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা জঙ্গী ও খারেজীদের চরিত্র। এ জন্য মসজিদে জুমার খুতবায় জঙ্গীবাদবিরোধী বক্তব্য দিতে হবে।

জঙ্গীবাদী কার্যক্রমের জন্য বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতকে শক্ত হাতে মোকাবেলার পরামর্শ দিয়েছেন অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ। সারাদেশের জামায়াত ও তাদের ম“পুষ্ট ইমামদের তালিকা তৈরির আবারও পরামর্শ দিয়ে আলেমরা বলছেন, যেসব ইমাম ইসলামের নামে জঙ্গীবাদের উস্কানি দিয়ে বক্তব্য দেন, তালিকা থাকলে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে। মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মুজাহিদের ফাঁসির পর যেসব মসজিদের ইমামরা তার জন্য দোয়া ও কান্নাকাটি করেছেন, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। জনকণ্ঠ

নারীদের চুলের ক্ষেত্রে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

filmপ্রশ্ন: আমাদের আশেপাশে, আমাদের সমাজে অনেক নারীকে দেখা যায় পুরুষের মত চুল রাখতে। আবার কেউ কেউ হয়তো ঠিক পুরুষের মত চুল রাখছে না। কিন্তু নিয়মিত চুল ছাঁটে। আমার জানার বিষয় হচ্ছে নারীদের চুল রাখা বা ছাঁটার বিষয়ে ইসলাম কী বলে?

উত্তর: নারীদের চুলের ক্ষেত্রে শরীয়তের মৌলিক নীতিমালা হল : ১. নারীরা চুল লম্বা রাখবে। হাদীস শরীফ থেকে জানা যায় যে, উম্মাহাতুল মুমিনীন (রা.) চুল লম্বা রাখতেন। ২. এ পরিমাণ খাটো করবে না যে, পুরুষের চুলের মতো হয়ে যায়। হাদীস শরীফে পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারিনী নারীর প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে। ৩. চুল কাটার ক্ষেত্রে বিজাতীয়দের অনুকরণ করবে না। কারণ হাদীসে বিজাতীয়দের অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। অতএব যে নারীর চুল এত লম্বা যে, কিছু অংশ কাটলে পুরুষের চুলের সাথে সাদৃশ্য হবে না তার জন্য ঐ পরিমাণ কাটা জায়েয হবে। পক্ষান্তরে যার চুল তত লম্বা নয়; বরং অল্প কাটলেই কাঁধ সমান হয়ে যাবে এবং পুরুষের বাবরী চুলের মতো দেখা যাবে তার জন্য অল্প করেও কাটার অনুমতি নেই। তবে জটিল অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চুল ছোট করা, এমনকি প্রয়োজনবশতঃ কামানোরও অনুমতি রয়েছে। তবে সর্বাবস্থায় ফ্যাশনের অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে নারীরা তাদের চুল খাটো করতে পারবে। -(সহীহ বুখারী ২/৮৭৪; জামে তিরমিযী ১/১০৩; সহীহ মুসলিম ১/১৪৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৭৭;)

নতুন চমক নিয়ে আবারো ভক্তদের মাঝে ফিরছেন সেই দীঘি !

filmএক সময়ের তুমুল জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা শিশুশিল্পী দীঘি এখন মিডিয়া জগৎ আড়ালেই আছেন। ‘বাবা জানো আমাদের সেই ময়না পাখিটা না আজ আমার নাম ধরে ডেকেছে’ গ্রামীণ ফোনের এই একটি বিজ্ঞাপণ বদলে দিয়েছিলো দীঘির জীবন। এটা থেকেই শুরু। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

এর আগে দিঘীর বাবা অভিনেতা সুব্রত গনমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছিলেন, আগামী ২০২০ সালেই নায়িকা হয়ে পর্দায় ফিরছেন এই শিশুশিল্পী। ২০২০ সালে এসএসসি পাশের পরই কেবল তিনি অভিনয়ে ফিরবেন। আর সেই ফেরা হবে তার পরিপূর্ণ নায়িকা হয়ে। পড়াশোনার ব্যস্ততা ও শিশুশিল্পীর ইমেজ কাটানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়ের আগে তিনি কোনোভাবেই পর্দায় আসছেন না। এরমধ্যে অনেকগুলো ছবি, বিজ্ঞাপনচিত্র ও নাটকের অফার ফিরিয়েও দিয়েছেন দীঘি।

বাংলা চলচিত্রে অন্যতম জনপ্রিয় ও জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এ গুণী শিল্পী হঠাৎই নিজেকে মিডিয়া থেকে গুটিয়ে নেন। এদিকে আবার কবে থেকে তাকে রঙিন পর্দায় দেখা যাবে এ নিয়ে ভক্ত দের মনে যেন প্রশ্নের শেষ নেই। তবে দিঘী ভক্তদের জন্য সুখবর হলো আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন দিঘী। এবার সব ধরনের জল্পনা-কল্পনার অবাসান ঘটিয়ে হঠাৎ করেই আবারো তাকে ক্যামেরার সামনে পাওয়া গেল। প্রাচুর্য ফ্যাশনের হয়ে একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি। সম্প্রতি এর শুটিং হয়েছে জাপান গার্ডেন সিটির টোকিও স্কয়ার মার্কেটে।

এমন আকস্মিকভাবে আবারো পর্দার সামনে আসা প্রসঙ্গে দিঘী বলেন, ‘কাজটি হুট করেই হয়েছে। তাছাড়া এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানিয়া খন্দকারকে আমি মা বলি। তিনি প্রস্তাবটি দিলে আর না করতে পারিনি। তবে বাইরের কোনো কাজ এ মুহূর্তে করছি না। অভিনয় ফেরার ইচ্ছা আমার বরাবরই ছিল। তবে আগে পড়াশোনাটা শেষ করতে চাই। এর পর আবারো ফিরে আসব’

এক সময় লাইট, ক্যামেরা, শুটিং স্পট, সিনেমার সংলাপ, পাণ্ডুলিপি, মেকআপ এই ছিল তার জীবনের অংশ। আর এমনটা এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা শিশুশিল্পী দীঘি এখন মিডিয়া জগৎ আড়ালেই আছেন।film

বাংলাদেশে বড় সমস্যা হয়ে উঠছে ডায়াবেটিস

আজ ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি daiপালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করুন :ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।’

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য খাতে ডায়াবেটিস বড় সমস্যা হয়ে উঠছে। জীবনাচারের পরিবর্তনের কারণে অসংক্রামক ব্যাধিটি শহর ছাড়িয়ে এখন গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ লাখ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকার দেশব্যাপী স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও নার্স নিয়োগসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে। ফলে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তবে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসংক্রামক ব্যাধি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। স্বাস্থ্যসম্মত জীবনাচরণের মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে কর্মক্ষম জীবনযাপন সম্ভব বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী ডায়াবেটিসকে একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এ ব্যাপারে জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তিনি স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের আরো আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের ফলে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেলেও ডায়াবেটিসজনিত সৃষ্ট রোগব্যাধি দিন দিন বাড়ছে। ডায়াবেটিসজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে যদি আক্রান্তদের কর্মক্ষম রাখা যায় তাহলে তারাও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সূচকগুলোর উন্নয়ন আজ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

এদিকে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০১৬’ উপলক্ষে সচিবালয়ে গতকাল সোমবার আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত ও দিবস উদযাপনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। ডায়াবেটিস বর্তমান বিশ্বের সর্বাপেক্ষা গুরুতর ব্যাধিগুলোর মধ্যে অন্যতম জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বাল্যকাল থেকেই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, নিয়মিত খেলাধুলা, পরিমিত ব্যায়াম, নিয়মিত হাঁটা এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।

দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সেমিনার আয়োজন, স্যুভেনির প্রকাশ, ডায়াবেটিস নির্ণয়ে রক্ত পরীক্ষা, স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদর্শনী, জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, জারিগান, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে ডায়াবেটিসজনিত স্বাস্থ্য সমস্যার ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।’

বাড়ছে শিশু ডায়াবেটিস : দেশে আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে শিশু ডায়াবেটিস। শতকরা ৫ ভাগেরও বেশি শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই অবস্থার পেছনে খাদ্য এবং পরিবেশ দূষণকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। কলাবাগানের পবা মিলনায়তনে ‘শিশুদের ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার উপর একটি গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।

ইব্রাহীম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ড. আবু সাঈদের করা ‘শিশুদের ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসেবে বলেন, বর্তমানে শিশুরা খেলাধুলার সুযোগ পায় না; অন্যদিকে তারা জাঙ্কফুডের উপর বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে। যে কারণে বয়স ও উচ্চতা অনুয়ায়ী তাদের ওজন বেড়ে যাচ্ছে। আর বাড়তি ওজনের শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ডায়াবেটিসে। -ইত্তেফাক

নারায়ণগঞ্জে ৫ খুন: ভাগ্নে মাহফুজই একমাত্র আসামি

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ শহরের আলোচিত পাঁচ খুনের ঘটনায় স্ত্রী ও দুই সন্তান হারানো শফিকুল ইসলামের ভাগ্নে মাহফুজকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

বুধবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের নারায়ণগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিম শহীদুল ইসলামের আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ভাগ্নে মাহফুজ বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে দণ্ড বিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান। এ সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ মণ্ডল, পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের উপস্থিত ছিলেন।

জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছেও মনে হয়েছিল একজনের পক্ষে পাঁচ জনকে খুন করা কি সম্ভব?  কিন্তু পরবর্তীতে তদন্তে ও সাক্ষ্য প্রমাণে আমরা দেখলাম, অপরাধী বুদ্ধি প্রয়োগ করে একে একে পাঁচ জনকে হত্যা করেছে। এমনকি চাবিও তার দেখানো জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি শহরের দুই নম্বর বাবুরাইল এলাকায় শফিকুলের বাড়িতে দুই শিশুসহ পাঁচজনকে হত্যা করা হয়। পরদিনই মাহফুজকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দীর্ঘ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে চাইলে…

দীর্ঘ জীবনের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে বেশ কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। এ ধরনের কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো এ লেখায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট।

 

১. শতকরা ৯৫ ভাগ খাবার উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে গ্রহণ করুন। দানাদার খাবার, সীম ও সবুজ শাক সবজিতে গুরুত্ব দিন।

২. সপ্তাহে দুই দিনের বেশি মাংস খাবেন না।

৩. দৈনিক তিন আউন্স পরিমাণ মাছ খান। মাছে পুষ্টিকর বহু উপাদান রয়েছে আর এটি দেহের জন্যও প্রয়োজনীয়।

৪. দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী কমান। দুধে প্রচুর ফ্যাট ও চিনি রয়েছে।

৫. সপ্তাহে তিনটি ডিম খান।

৬. প্রতিদিন আধকাপ রান্না করা সীম খান। সীমে প্রচুর কার্বহাইড্রেট ও অতি সামান্য ফ্যাট রয়েছে। এটি ফাইবারেরও উৎস।

৭. লাল আটা খান। লাল আটা পাকস্থলীর জন্য ভালো।

৮. চিনি খাওয়া কমান। কোমল পানীয় বাদ দেওয়া কিংবা চায়ের মতো পানীয় থেকে চিনি বাদ দিলেই অনেকখানি চিনি গ্রহণ কমবে।

৯. প্রতিদিন দুই মুষ্টি বাদাম খান। শুধু চীনাবাদাম নয়, অন্যান্য বাদামও রাখুন খাদ্য তালিকায়।

১০. খাবারের গুণাগুণ বুঝে খাবার খান। জাংক ফুড কিংবা যেসব খাবার ক্ষতিকর সেগুলো বাদ দিন।

১১. বেশি করে পানি পান করুন। এক্ষেত্রে কোমল পানীয় কিংবা অনুরূপ কোনো পানীয় নয় পরিষ্কার পানিই সবচেয়ে ভালো।

১২. অ্যালকোহল বাদ দিন।

১৩. সাধারণ চা বাদ দিয়ে গ্রিন টি পান করুন। এটি হৃদরোগ কমাতে এবং ক্যান্সারের মতো নানা রোগ দূর করতে সহায়ক।

১৪. চা-কফির মাধ্যমে ক্যাফেইন গ্রহণ একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখুন।

১৫. মাংস খাওয়ার বদলে যদি শাক-সবজি খেতে থাকেন তাহলে দেহে প্রোটিনের ঘাটতি হতে পারে। এ চাহিদা মেটাতে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন গ্রহণ

আইপিএলের সেরা ৫ বিদেশির মধ্যে মুস্তাফিজ

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) জমজমাট নবম আসর শুরু হতে আর মাত্র বাকি তিন দিন। বিশ্বকাপের ঢামাডোল শেষ হয়ে গেছে আরও তিনদিন আগে। সুতরাং, ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন মজেছে আইপিএলেই। শুরু হয়ে গেছে বিশ্লেষণ, কে জিতবে, কার দল কেমন হবে তা নিয়ে।

আইপিএলের নবম আসরের আগেই কিন্তু চমক দিয়েছিল নিলাম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। যেখানে যুবরাজ সিং সর্বোচ্চ দাম পাওয়া ক্রিকেটারের তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেন। শেন ওয়াটসন হলেন সেরা দামি খেলোয়াড়দের একজন। তবে সবাইকে চাপিয়ে এমন ৫জন ক্রিকেটার এবারের নিলামের মাধ্যমে আইপিএলে উঠে এসেছে যারা সত্যিই চমকে দিতে পারেন খেলার মাঠে। সেই ৫ চমকসৃষ্টিকারী ক্রিকেটারের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নিউ পেস সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমানও।