১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 67

ফতুল্লা থানা আ‘লীগের সম্মেলনে বাবুল মিয়া ও জলিল গাজীর বিশাল শোডাউন

নিউজ প্রতিদিন: বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দৃষ্টিনন্দন শোডাউনের মাধ্যমে সম্মেলনে যোগদান করলেন তারুণ্যের অহংকার, তৃণমুল নেতাকর্মীদের নির্ভরতার প্রতিক,মুজিব আদর্শের অকুতোভয় সৈনিক,নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের মাটি ও মানুষের নেতা,জননেতা আলহাজ্ব এ কে এম শামীম ওসমানের স্নেহধন্য বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোঃ বাবুল মিয়া ও ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.জলিল গাজী।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে ৭নং ওয়ার্ড রাধানগর এলাকা হতে মো.বাবুল মিয়া ও মো.জলিল গাজীর নেতৃত্বে হাজারো কর্মী সমর্থক  নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল (নম) পার্কে উপস্থিত হন।

শেখ শেখ শেখ মুজিব,লও লও লও সালাম,যোগ্য নেতা শামীম ভাই রাজপথ ছাড়ি নাই। আজকের সম্মেলন সফল হোক,সফল হোক।যোগ্য নেতা বাদল- শওকত ভাই, এ জুটির বিকল্প নাই।সভাপতি ও সম্পাদক হিসেবে তাদেরকেই দেখতে চাই।

এমন শ্লোগানে শ্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে বিশাল শোডাউন নিয়ে সম্মেলনে যোগদান করেন বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল মিয়া, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.খালেক,সাধারণ সম্পাদক মো.জলিল গাজী, মো.জহিরুল হক, মো.মনির হোসেন, মো.মজিবর,মো.মহসিন
মো.ইয়াসিন,মো.মিন্টু,মো.তুশার,জাহিদ হাসান,আমির হোসেন ও আলমগীর হোসেনসহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুতে স্বপন চৌধুরী শোক প্রকাশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:  নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ সভাপতি মোঃ স্বপন চৌধুরী। মরহুম জান্নাতুল ফেরদৌসের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের জন্য সমবেদনা জ্ঞাপণ করেছেন মোঃ স্বপন চৌধুরী।

এক শোক বার্তায় মোঃ স্বপন চৌধুরী বলেন, জান্নাতুল ফেরদৌস ভাই ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ জিয়ার সৈনিক, অত্যন্ত বিনয়ী এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ। তার মৃত্যুতে আমরা একজন প্রকৃত ভালো মানুষকে হারালাম, বিএনপি হারালো তার এক সূর্য সন্তানকে। তার শূণ্যস্থান কোনদিন পূরণ হবে না। আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তার পরিবার যাতে এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সেই প্রার্থনা করছি।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস (৬০) বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১২.৩০ টায় রাজধানী ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

জান্নাতুল ফেরদৌস শহরের দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকার মৃত হাজী মজিবুর রহমানের ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, তিন মেয়ে সহ অসংখ্যা আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও রাজনৈতিক কর্মী রেখে গেছেন।

আলিরটেকে শেখ ফজলুল হক মনি’র জন্মদিন পালন করলো সদর থানা যুবলীগ

নিউজ প্রতিদিন: মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুজিব বাহিনীর অধিনায়ক ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ৮০তম জন্মদিন আজ।

বুধবার বিকাল ৪ ঘটিকায় ডিক্রিচর ইঈগা ময়দানে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সহ সভাপতি’র সভাপতিত্বে এস টি আলমগীর সরকার।

এসময় উপস্হিতি ছিলেন সদর থানা’র সাধারণ সম্পাদক সালে আহমেদ খোকন, আলিরটেক ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণত সম্পাদক নুরুজ্জামান সরকার যুবলীগে’র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, সদর থানার সাধারণ সম্পাদক ৭১ ‘র’ ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি সওদাগর, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বিপ্লব,সহ সভাপতি দিদার হোসেন, যুগ্ন সম্পাদক আল আমিন সরকার, যুবলীগ নেতা এস বি শাহিন সরকার, ১নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আমির সুলতান, ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা রফিক মন্ডল, ছাত্রলীগ নেতা স্বপন মাহমুদ, ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর, সিঙ্গাপুর শাখা আওয়ামীগ আওয়ামীলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন প্রমুখ।

আলোকিত বক্তাবলী শহীদ দিবস পালন

নিউজ প্রতিদিন: যথাযথ মর্যাদা,শোক গাম্ভীর্য ও নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে বক্তাবলী শহীদ দিবস পালন করেছে বক্তাবলী পরগণার সামাজিক সংগঠন আলোকিত বক্তাবলী। শুক্রুবার ( ২৯ নভেম্বর ) সকাল ৯টায় প্রভাত ফেরী,পুষ্পস্তবক অর্পন ও দোয়ার মাধ্যমে বক্তাবলী শহীদ দিবসটি পালন করে আলোকিত বক্তাবলী।এসময় উপস্থিত ছিলেন,আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি মো.নাজির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহ সভাপতি মো.সোহরাব ভূইয়া,সহ সভাপতি মো.দেলোয়ার হোসেন,মো.রহমত উল্লাহ,মো.সানাউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন ববি,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.রাসেদুল ইসলাম সুমন,মো.অহিদুল ইসলাম টিটু,দপ্তর সম্পাদক মো.দুলাল আহমেদ, সহ ক্রীড়া সম্পাদক ইয়াসিন আহমেদ দোলন ও মো.মনির হোসেন  প্রমূখ।

 

বক্তাবলীতে শহীদ পরিবারকে নগদ অর্থ দিল বক্তাবলী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন

নিউজ প্রতিদিন: বক্তাবলী শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে ২৯ নভেম্বর(শুক্রবার) বক্তাবলি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে দোয়া মুনাজাত, তবারক বিতরণ ও অসহায় শহিদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এর আগে সকাল ৮ টায় শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্প অর্পন করা হয়।

জালালউদ্দিন বারির সভাপতিত্বে ও মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মুক্তিযুদ্ধা হত শহিদ পরিবার হারনুর রশিদ সরকার দুলাল, বিশেষ অতিথি সাধারন সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাব দীন মোঃ দীলু, প্রধান বক্তা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধা হত শহিদ পরিবার ইখতেখারুজ্জামান শাহিন, সার্বিক তত্ত্বাবধানে সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়েল ফেয়ার এস্য়োসিয়েশন এর আহম্মদ আলী।

বক্তব্য দেন মুফতি মোহাম্মদ মেখতার হোসাইন, সহ সভাপতি এম এ মতিন, রাজিব হোসেন সাগর, ইশাত শাহিন, নজরুল ইসলাম মাস্টার, আতাউর রহমান ফকির, দেওয়ান আহম্মদ, আরিফুর রহমান, দেলোয়ার প্রধান, কবি এম আর সেলিম, মনির হোসেন, শাহাদাত হোসেন। সহোযোগিতায়, সালে আহমেদ, শফিকুল ইসলাম।

শহীদ পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দেলোয়ারা বেগম, মালা বেগম, নওশাদ মিয়া, আসিয়া বেগম। সবশেষে শহীদ পরিবারের এই চার জনকে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়।

সকাল ১০ টায় লক্ষীনগর তারুমার্কেট ওয়েল ফেয়ার এস্য়োসিয়েশনের কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চতুর্দিকে শকুনরা আকাশে উড়তেছে- শামীম ওসমান

নিউজ প্রতিদিন: সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, ‘সব জায়গাতেই দুই নম্বরে ভরে গেছে। দুই নম্বরের ঠেলায় এখন আর এক নম্বররা সামনে আসতে পারে না। নারায়ণগঞ্জে আমি অরজিনাল মুক্তিযোদ্ধা দেখি, হাঁটতে পারে না, চলতে পারে না। ঘরে খাওয়া নাই। আর যারা মুক্তিযোদ্ধার পর বেনিফেট নিয়েছে তারা ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায়।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে বক্তাবলী  এলাকার লক্ষীনগর বধ্যভূমি ‘বক্তাবলী গণহত্যা দিবস’ আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওই কথা বলেন তিনি।

শামীম ওসমান বলেন, অরজিনাল মুক্তিযোদ্ধারা কোনো সময় নিজের নাম বেচে না। আমার বাবা, আমার ভাই সবাই মুক্তিযোদ্ধা। আজকে আমারও শহীদ পরিবার হওয়ার কথা। কিন্তু লাকিলি আমরা শহীদ পরিবার সন্তান না অথবা আনলাকিলি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে প্রথম ইয়ার অ্যাটাকে ভারতীয় বাহিনীর সাথে নিজের পিতা সামসুজ্জোহা নেতৃত্ব দিয়েছেন জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, বাংলাদেশে ঢোকার পরে, রেডিও বাংলাদেশে, হাইকোর্টে, সব জায়গায় জাতীয় পতা উঠিয়েছিলেন আমার আব্বা। এবং রেডিওতে ভাষণ দিয়ে বলেছিলেন, ‘দেশ স্বাধীন হয়েছে, আপনারা সবাই শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে থাকেন’। এরপরই তিনি গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে মুক্ত করার জন্য। যারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে আটকে রেখেছিলো তারা জানতো যে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি বলেন, আমার আব্বা চুরুট খেতেন। চুরুট খেতে খেতে তিনি যাচ্ছিলেন সাদা পাঞ্জাবি পরা সাথে ছিলেন ভারতীয় জেনারেল। সে লক্ষ্য করেছিলো পাকিস্তানি মেলেটারিরা থ্রি নট থ্রি রাইফেল না যেন মেশিনগান দিয়ে গুলি করেছিলো আমার বাপকে, ওই চুরুটকে লক্ষ্য করে। ওই জেনারেল বাবাকে টান দিয়ে সরিয়ে দেন, গুলিটা আব্বার বুকে লাগেনি। তারপর আমার বাবা কিন্তু ফিরে আসেননি, অই অবস্থাতেই সামনে এগিয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে মুক্ত করেন।

শামীম ওসমান বলেন, আমরা তখন ইন্ডিয়া থেকে ফিরছি। আমরা জানতাম আমার আব্বা মারা গেছেন। আমার মা অলরেডি হাতের চুড়ি খুলে ফেলেছেন। কিন্তু সাহস হারান নাই। এই ঋন কেউ শোধ করতে পারবে না। এই ঋণ শোধ হবে যদি মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকে, যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান না করে।

‘চতুর্দিকে শকুনরা আকাশে উড়তেছে’ মন্তব্য করে সাংসদ বলেন, আমার কাছে কেন জানি মনে হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে খুব কঠিন একটা সময় আসছে। সব চেয়ে কঠিন সময়। এই সময় ছোবল মারার চেষ্টা হবে। ওয়ান বুলেট, ওয়ান টার্গেট। আর সেটা হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া একটা সম্পদ শেখ হাসিনা।

‘আমি মরে গেলে কিছু আসবে যাবে না। হয়তো কেউ দু চারদিন কাঁদবে, কেউ আবার খুশিই হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি গভীর ভাবে চিন্তা করি, রাতের বেলা উঠে নামাজ পড়ি উনার জন্য। যে, এই মহিলার যদি কিছু হয়ে যায়! বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে দেশ ৫০ বছর পিছায়ে গেছে। আজকে আমাদের প্রতিযোগিতা থাকার কথা সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার উপরে, জাপানির সাথে। সেখানে আমরা কোথায় চলে গিয়েছিলাম?

তিনি বলেন, কত বড় ঈমানদার জাতি আমরা। যে লোকটা সারাজীবন সংগ্রাম করে দেশটা স্বাধীন করলো, সে লোকটাকে একরাতে সবাইকেসহ মেরে ফেললাম! আমরাইতো মারছি। বাইরের লোকতো এসে মারে নাই। পাকিস্তান সাহস পায় নাই মারতে। আমরা বাঙালিরাই মারলাম। তার পুরো বংশ নির্বংশ করে ফেললাম। দুুটি মেয়ে দেশের বাইরে ছিলেন তাই বেঁচে গেছেন। আমি তাকে (শেখ হাসিনা) ভালোবাসি কেবল আওয়ামী লীগের নেত্রী হিসেবে না। আমি ক’দিন রাজনীতি করবো, এমপিগিরি করবো আমি নিজেও জানি না। আমি স্বাধীনচেতা মানুষ। রাজনীতি করতে আসছি, ধান্দা করতে আসি নাই।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল,সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. শওকত আলী, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ও মোহর আলী প্রমূখ।

বক্তাবলী শহীদ দিবসে আলো‌কিত বক্তাবলীর’ বি‌ভিন্ন কর্মসূচী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ২৯ নভেম্বর ‘বক্তাবলী শহীদ দিবস’ দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে বক্তাবলী পরগণার সামাজিক সংগঠন-আলোকিত বক্তাবলী। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-সকালে শোকর‌্যালী ও কানাইনগরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আলোকিত বক্তাবলী’র সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল কালাম জানান, প্রতি বছরের ন্যায় আ‌লো‌কিত বক্তাবলী সংগঠ‌ন সকাল ৮ টায় শোক র‌্যালী শে‌ষে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হ‌বে। ক‌মি‌টির সভাপ‌তি ও সাধারণ সম্পাদ‌কের নের্তৃ‌ত্বে সাধারণ সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্য‌ক্তিবর্গদের নি‌য়ে দিবস‌টি পাল‌ন করা হ‌বে।

আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি মো.না‌জির হো‌সেন বলেন, আলোকিত বক্তাবলী সামা‌জিক সংগঠন হি‌সে‌বে নারায়ণগঞ্জ জেলায় একটি আলোকিত নাম। আমরা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষীনগ‌রের পূর্বপাড়ায় গণকবরটিকে বধ্যভূমি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছি। এই স্বীকৃতি আদায় ও এ দিন‌টিকে “বক্তাবলী দিবস হি‌সে‌বে জাতীয় স্বীকৃ‌তির জন্য আলোকিত বক্তাবলী নিরলস কাজ করে যাবে। সামাজিক ও মানবিক কাজের মাধ্যমে আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলার ম‌ধ্যে বক্তাবলীকে একটি আদর্শ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

সেই সাথে সংগঠনের সকল কর্মসূচী সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে সাধারণ সদস্য ও সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

‘বক্তাবলি শোক দিবস’পালনে বক্তাবলি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন প্রস্তুতি সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ২৯শে নভেম্বর ‘বক্তাবলি শোক দিবস’পালনের প্রস্তুতি নিয়েছে বক্তাবলি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।

১৯৭১ সনের ২৯শে নভেম্ববরের এই দিনে বক্তাবলিতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সাথে মুক্তি বাহিনির এক সমরাস্ত্র যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। সেই মুখোমুখি সংঘর্ষে বক্তাবলি পরগনার ১৩৯ জন লোক শহিদ হয়েছিলেন। সেই থেকে এই দিনটিকে বক্তাবলির মানুষ তাদের শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

প্রতি বছর এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষে দোয়া মিলাদ ও শহিদ বেদিতে পুষ্প অর্পন করা হয়।

দিনটিকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বক্তাবলি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন দিন ব্যাপি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

তাদের কর্মসূচির মধ্য রয়েছে অসহায় শহিদ পরিবারকে আর্থিক সন্মাণনা প্রদান, শহিদদের জন্য মিলাদের মাধ্যমে দোয়া প্রার্থনা ও শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্প অর্পন করার সিদ্বান্ত গৃহিত হয়েছে।

এ বিষয়ে ২৭ নভেবর (বুধবার) বাদ মাগরিব বক্তাবলীর লক্ষীনগর নিজস্ব কার্যালয়ে নেতৃবৃন্দদের নিয়ে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান ফকির।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহসভাপতি জামালউদ্দিন বারি, সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সহসভাপতি এম এ মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ আলী ও সহ সাধারন সম্পাদক রাজিব হোসেন সাগরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ফতুল্লার বক্তাবলীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অটোরিক্সা চালক খুন

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লার বক্তাবলীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে হারুন (২৮) নামের এক অটোরিক্সা চালক খুন হয়েছে। ২৩ নভেম্বর(শনিবার) রাত সাড়ে ৯টায় বক্তাবলীর ফেরীঘাটের কাছে মুড়ির কারখানার সামনে এই হত্যাকান্ড ঘটে।

পুলিশের ধারনা রাত সাড়ে নয়টার দিকে হত্যাকান্ডটি ঘটতে পারে। নিহত হারুন, ময়মনসিংহের ফুলপুর থানাধীন বাসাটি গ্রামের ইমান হোসেনের ছেলে। সে ফতুল্লার এনায়েতনগরের শাসনগাঁও এলাকার গণি মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকত।

নিহতের স্ত্রী শারমিন জানায় , তার দুই মেয়ে লামিয়া (৩), মীম (৮)। সে অটো রিক্সা চালিয়ে সংসার চালাত। হত্যাকান্ডের  কয়েক ঘন্টা আগে তার এক বন্ধু তাকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে ।  তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে সে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ।

ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাাতে যুবকটি নিহত হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে পরে জানাতে পারবে। আসামী যেই হোক তদন্তের মাধ্যমে তাদের খুজে বের করা হবে।

না:গঞ্জ কারো বদলামের দায়িত্ব নিবে না ডিআইজিকে শামীম ওসমান

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান  বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি  হাবিবুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ইতিহাসের সময় থেকেই রাজনীতিতে মসজিদের ঈমাম, পীর সাহেব আরম্ভ করে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের মাঝে ভালো খারাপ থাকবেই।

নারায়ণগঞ্জে আমরা ভালো মানুষ নিয়ে চলি। নারায়ণগঞ্জ কারো বদনামের দায়িত্ব নিতে চায় না। নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভালো কিন্তু বদনাম অন্য কেও এসে দিয়ে যায়। এটা আমরা হতে দিবো না। কারণ নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের জন্ম, এখানেই আওয়ামীলীগের সৃষ্টি। নারায়ণগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর ছিল, নারায়ণগঞ্জ শেখ হাসিনার আছে, নারায়ণগঞ্জ শেখ হাসিনার থাকবে। আশা করি এই ব্যাপারে প্রদক্ষেপ নিবেন।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে ফতুল্লা ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে মুজিববর্ষ জাতীয় স্কুল কাবাডি (বালক-বালিকা) প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পুলিশের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, খেলাধুলা মনকে আনন্দ দেয়। আমি যখন এখানে আসছিলাম আমার মনটা ভালো ছিল না কিন্তু এতোক্ষণে এই খেলা মনটাকে ভালো করে দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে আয়োজন করেছেন। ওনি বেশ কিছুদিন যাবৎ এখানে আছেন। অনেক ময়লার মধ্যে থেকেও নিজেকে পরিষ্কার রেখেছেন, এজন্য তাকে ধন্যবাদ।

তিনি কাবাডি খেলোয়ারদের বলেন, কাবাডি খেলাটা হইলো মূলত প্রতিপক্ষকে ঠিক মতো ধরা। আশা করি তোমরা ঠিক মতো ধরে ভালো করে খেলবা। জাতীয় খেলা কাবাডির সম্মান রাখবা। নারায়ণগঞ্জের ক্রীড়া সংস্থা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী এক বছর যত খেলা হবে সবই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নামে হবে, তার সম্মানে হবে।

নারায়ণগঞ্জের সকল সাংসদ ও মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা নারায়নগেঞ্জর জন্য সবাই এক সাথে কাজ করব। আমরা নারায়ণগঞ্জের ৫ জন এমপি জেলার ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য কাজ করব।

ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি  হাবিবুর রহমান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন ।