৩রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 10

আটক মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিল পুলিশ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সাদ্দাম নামে মাদক ব্যবসায়ীকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে দিলেও কয়েক ঘন্টা পর ওই মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে  মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সর্বমহলে প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে পুলিশের কাজ হচ্ছে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা, সেখানে এলাকাবাসী আটক করে দেয়ার পরও পুলিশ কিভাবে অপরাধীকে ছেড়ে দিলো?

এদিকে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হলেও উল্টো পুলিশ বলছে, সাদ্দাম অপরাধী না, পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। চাকু অন্যরা পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছে। কোনো মাদক পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশের এ রকম অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনেই মানুষ তাদের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে। আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। গত দুই মাসে চারটি গণপিটুনির ঘটনায় চার জনের মৃত্যুই এর যার প্রমান স্বরূপ। এছাড়াও ঘটেছে একাধিক হামলা ও মারধরের ঘটনা।

২৯ জানুয়ারি (সোমবার) সকালে কাশিপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ফরাজিকান্দা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, সোমবার ফজর নামাজের সময় গোপনে এক মহিলার ঘরে প্রবেশ করে মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের সোর্স হিসেবে চিহ্নিত সাদ্দাম হোসেন। ওই মহিলা ঘরের বাইরে থেকে তা দেখে ফেলে এবং চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে সাদ্দামকে আটক করে।

এসময় তার কাছে বেশ কিছু ইয়াবা ট্যাবলেট, ইয়াবা সেবনের ফুয়েল পেপার, ২টি চাকু, ৩টি মোবাইল ও নগদ ৭ হাজার টাকা জব্দ করে। পাশের মসজিদে নামাজরত মুসল্লীরা চিৎকার-চেচামেচি শুনতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে যান।

পরে স্থানীয়রা সাদ্দামকে ওই মাদক, চাকু, জব্দকৃত মোবাইল ও টাকাসহ পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু ঘটনার ৩/৪ ঘন্টা পরই সাদ্দাম হোসেন এলাকায় ফিরে এসে এলাকাবাসীকে হুমকি দেয় এবং আমি তো পুলিশের কাজই করি, পুলিশ আমাকে আটক রাখবে না। বরং তোরা যারা আমাকে ধরিয়ে দিয়েছিস, তোদেরকে পুলিশ দিয়ে আটক করাবো।

এ বিষয়ে স্থানীয় মুরুব্বী ও সাবেক ব্যাংকার লাল মিয়া বলেন, আমি সাবেক ব্যাংকার। প্রতিদিনের মতো সকালে ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। মসজিদে থাকা অবস্থায় হৈ-চৈ শুনতে পাই। নামাজ শেষে দেখি সাদ্দামকে আটক করে মারধর করছে জনতা। তার কাছে বেশ কয়েকটি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২টি চাকু, ৩ টি মোবাইল ফোনসহ নগদ টাকা পাওয়া যায়।

জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে তাকে আমাদের হেফাজতে রাখি এবং পুলিশে খবর দেই। ফতুল্লা থানার এস আই আনোয়ার আসলে মাদক, চাকু, টাকা ও ফুয়েলসহ সাদ্দামকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

এসময় পঞ্চায়েত প্রধান আলী আক্কাস, আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আমিন সহ শতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলো। কিন্তু ঘটনার ৩/৪ ঘন্টা পর আটককৃত সাদ্দামকে এলাকায় দেখা যায়। এলাকায় এসেই সে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে জানতে পারি।

পঞ্চায়েত প্রধান আলী আক্কাস বলেন, ফজরের নামাজের পরে শুনতে পেলাম এক নারীর ঘরে গোপনে প্রবেশ করে সাদ্দাম। কিন্তু ঐ নারী তখন ঘরের বাইরে থাকায় তাকে, ঘরে প্রবেশ করতে দেখে ফেলে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী জড়ো হলে সাদ্দামকে আটক করা হয়।

এসময় তার কাছে বেশ কিছু ইয়াবা ট্যাবলেট, ইয়াবা সেবনের ফুয়েল, ২ টি চাকু, ৩টি মোবাইল ও নগদ ৭ হাজার টাকা জব্দ করে পুলিশে খবর দেয়া হয়।

ফতুল্লা থানার এস আই (উপ-পরিদর্শক) আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে আসলে ধৃত সাদ্দামকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু ঘটনার ৩/৪ ঘন্টা পরই সাদ্দাম হোসেন এলাকায় ফিরে আসে।

তিনি আরও বলেন, এর আগেও বহু অপরাধে  এলাকাবাসী তাকে মারধর করেছে। কিছুদিন আগে গোসলের সময় এক নারীর নগ্ন ভিডিও ধারনের চেষ্টা করলে জনগন তাকে আটক করে পিটিয়েছে। এছাড়া, পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে সারা রাত এলাকায় মাদক বিক্রি করে বেড়ায় সে।

আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আমিন বলেন, ঘটনার সময় শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলো। আমিও ছিলাম তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন মাদক বিক্রেতার পক্ষ নিয়ে বলেন, সাদ্দাম তো অপরাধী না। ও পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। কয়েকটা আসামীকে ধরিয়ে দিতে পুলিশকে সহযোগীতা করেছে সে, তাই ষড়যন্ত্র করে ওকে আটক করেছিলো।

মোবাইলগুলো ওর নিজের, চাকু অন্যরা ওর পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছে এবং ইয়াবা বা কোনো মাদক পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া, সাদ্দামের প্রতি সহানুভুতি জানিয়ে তিনি বলেন, ছেলেটাকে অনেক মারধর করা হয়েছে। স্থানীয়রা কেউ স্বাক্ষী না হওয়ায় আটককৃত সাদ্দামকে ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

তবে, নারায়ণগঞ্জ আইনজীবীর সাথে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেম, কেউ স্বাক্ষী না হলেও এলাকাবাসী কর্তৃক মাদক ও চাকুসহ আটককৃত এ ধরনের আসামিকে পুলিশ ছেড়ে দিতে পারে না। এটা আইনের পরিপন্থী।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ওসি নুরে আযম মিয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

সিদ্ধিরগঞ্জে পূর্ব শত্রুুতার জের ধরে মা ছেলেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পাঠানতলীতে পূর্ব শত্রুুতার জের ধরে মা ছেলেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসী সবুজ বাহিনী।আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে গত শুক্রবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আমি মোঃ আব্দুল আজিজ পিতা মৃত ফজলুল রহমান সাং পাঠানতলী জেলা নারায়নগঞ্জ লিখিতভাবে বিবাদীদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, সবুজ (২৮) পিতা বাছেদ, মোঃ বাছেদ, মো. পিয়ার আলী উভয় পিতা শুক্কুর আলী, শোভন পিতা মোঃ বাছেদ,জেলা নারায়নগঞ্জ সহিত দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসিতেছে।

গত ২৬/১/২৪ সকাল ১১ টায় বিবাদীগন আমার বসতবাড়ির জায়গায় ইটবালু রাখলে ইটবালু সরিয়ে নিতে বলে। উক্ত ইটবালু সরিয়ে না নেওয়াতে বিবাদীগণ আমাকে ও আমার মাকে মারপিট করিতে থাকে। আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা বেদনাদায়ক জখম করে। আমাকে রক্ষা করিতে গেলে আমার মাকেও মারপিট করে জখম করে। আমাদের ডাক চিৎকার আশেপাশের লোকজন আসিয়া আমাদেরকে উক্ত বিবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করে।

উক্ত বিবাদীগণ আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে বলে হুমকী প্রদান করে। এতে আমরা চরম নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে জীবন যাপন করছি।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যুবলীগ নেতার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যুবলীগ নেতার স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিতু (২৬) নামের এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

২৯ জানুয়ারী (সোমবার) ফতুল্লার পুলিশ লাইন আফাজ নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণী শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার মূলফুতগঞ্জের ইটালী প্রবাসী হান্নান মিয়ার মেয়ে ও বিসিক শাসনগাঁও এলাকার যুবলীগ নেতা সোহেলের স্ত্রী। নিহত আয়েশা ইটালী প্রবাসী এবং সোহেল মাতবরের স্ত্রী।

জানা যায়, তিন বছর পূর্বে সে ইটালী থেকে বাংলাদেশে আসে। তার বাবাও ইটালীতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে। নিহত তরুনীর বর্তমান স্বামী বিসিকের স্থানীয় যুবলীগ নেতা সোহেল মাতবর। এর আগে নিহত আয়েশা প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে চার মাস পূর্বে সে সোহেলকে পারিবারিক সম্মতিক্রমে বিয়ে করে। নিহতের আগের সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সোমবার সকালে নিহত তরুণী বিসিকস্থ স্বামীর বাড়ী থেকে মায়ের বাড়ী আফাজ নগরে আসে। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে নিহতের সাথে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে মনমালিন্য এবং কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নিহত তরুণী তার মায়ের ঘরে প্রবেশ করে দরজা লাগিয়ে দেয়। নিহতের মা সহ ভাইয়েরা ডাকাডাকি করে কোন সারশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো নিহতের ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার (অফিসার ইনচার্জ) নুরে আযম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টরিয়া) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ফতুল্লা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যুবলীগ নেতার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

 

শামীম ওসমানের আসনে জলাবদ্ধতা-আন্দোলনে ভুক্তভোগী মহল ও শিক্ষার্থীরা

  • নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের স্টেশনের পূর্ব পাশে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে এবার রাস্তায় নামলেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং ব্যবসায়ী মহল। সোমবাব সকালে ভুক্তভোগী মহল এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

স্থানীয়রা জানায়, সারাবছর ধরে এখানে জলাবদ্ধতা থাকায় স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে। ফতুল্লা ইউপি সদস্য হাসমত আলীর বাড়ীর সামনের রাস্তায় ১২ মাস ধরেই বর্ষাকাল থাকে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ফরিদ আহমেদ টিটু জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এখানে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অথচ এ সমস্যা সমাধানে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার কিংবা সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বারকে কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।

ফলে বাধ্য হয়ে পিলকুনি, তক্কারমাঠ, শেহাচরের লাখো মানুষ সব সময়ই ময়লা,দূর্গন্ধযুক্ত পানি মারিয়ে এখান দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের সংসদীয় আসনের এই এলাকায় ১২ মাস ধরে জলাবদ্ধতা থাকে। এ সমস্যা কেউ নিরসন না করায় স্থানীয় বাসিন্দারা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। প্রভাবশালী সাংসদের নির্বাচনী এলাকায় সারাবছর জলাবদ্ধতা থাকাকে কেউ স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারছে না। এই সমস্যা সমাধানে ভুক্তভোগীরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন…

শামীম ওসমানের আসনে জলাবদ্ধতা-আন্দোলনে ভুক্তভোগী মহল ও শিক্ষার্থীরা

কৃত্রিম জলাবদ্ধতায় এখানে ১২মাস বর্ষাকাল-লাখো মানুষ চরম ভোগান্তিতে

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড ফতুল্লা স্টেশনের পূর্ব পাশে এই ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য হাসমত আলীর বাড়ীর সামনের রাস্তায় ১২ মাস বর্ষাকাল থাকে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এখানে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অথচ এ নিয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার কিংবা সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মেম্বারের কোন মাথা ব্যথা নেই।

ফলে বাধ্য হয়ে পিলকুনি, তক্কারমাঠ, শেহাচরের লাখো মানুষ সব সময়ই ময়লা,দূর্গন্ধযুক্ত পানি মারিয়ে এখান দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। নারায়ণগঞ্জ-৪আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের আসনে ১২ মাস জলাবদ্ধতা নিয়ে মানুষ হতাশ হয়ে পরেছেন। প্রভাবশালী সাংসদের নির্বাচনী এলাকায় সারাবছর পানি থাকা টাকে কেউ স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারছে না।

এই সমস্যা সমাধানে ভুক্তভোগীরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং ভুক্তভোগী মহল।

নিউজটি শেয়ার করুন…

নাস্তিকতার করালগ্রাস থেকে শিক্ষাক্রমকে মুক্ত করার দাবি জানালেন ড.আব্বাসী

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নাস্তিকতার করালগ্রাস থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রমকে মুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দাবীতে তাহরীকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ এর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে পাঠানটুলী আব্বাসী মঞ্জিলের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন- তাহরীকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ’র আমির এবং জৌনপুরী দরবারের পীর আল্লামা মুফতি ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী।
সভাপতির বক্তব্যে ড. আব্বাসী বলেন, হিজরা বা থার্ড জেন্ডার নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আল্লাহ তা’য়ালা সৃষ্টিগত ভাবেই কাউকে পুরুষ হিসেবে আবার কাউকে মহিলা হিসেবে, আবার কাউকে হিজরা বা থার্ড জেন্ডার হিসেবে সৃষ্টি করেন।

এদেশের মুসলমান হিজরাদের বিপক্ষে নয়, বরং ইসলাম হিজরাদের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। রংপুরে এক হিজিরা এম.পি আসনে ২২ হাজার ভোট পেয়েছে। অথচ সারা বাংলাদেশে হিজরাদের ভোটার মাত্র ৮৫২ জন। তাহলে এই ২২ হাজার ভোট তাকে কারা দিলো? বুঝা যায়, হিজরাদের প্রতি এদেশের মুসলমানদের যথেষ্ট সহানুভূতি রয়েছে।
কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বিষয়। এটা ইহুদীদের একটি চক্রান্ত, যা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি শয়তানী রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা চলছে।
ড. আব্বাসী বলেন, ইহুদীদের এই নিকৃষ্ট মতবাদ প্রতিষ্টার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ইজারাদার হিসেবে কাজ করছে। যার কারনে ড. আসিফ মাহতাবকে তারা চাকরিচ্যুত করেছে।
সরকারের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারী করে আব্বাসী হুজুর দাবী জানান,পাঠ্যবই থেকে শরীফ শরীফার গল্পসহ সকল ইসলাম বিরোধী, নাস্তিকতাপূর্ন পাঠ বাদ দিতে হবে। প্রফেসর আসিফ মাহতাবের চাকুরী ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয়কে পুনর্বহাল করতে হবে। আর ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেয়া ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয় অন্যায়ভাবে আসিফ মাহতাবের চাকরিচ্যুত করার কারনে তাঁদের ক্ষমা চাইতে হবে। নচেৎ ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হবে। মানববন্ধন শেষে দেশ ও জাতির কল্যান কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ মাওলনা মুফতি আব্দুর রহিম সাহেব, হযরত মাওলানা ড. ইমরান সাহেব, হাফেজ মাওলনা মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন সাহেব ও মাওলানা মুফতি সাওবান সাকিব।

সম্পত্তির লোভে বৃদ্ধ পিতাকে মারধর-পিতার সংবাদ সম্মেলন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়নগঞ্জে ছেলের বিরুদ্ধে সম্পত্তির লোভে মারধর এবং বাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন বৃদ্ধ পিতা সাইজুদ্দিন মিয়া।

২৫ই জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকেলে নগরীর আলী আহমেদ চুনকা পাঠাগার প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাইজুদ্দিন মিয়া বলেন, আমার রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভায় একটি মিল ফ্যাক্টরী আছে। সেই ফ্যাক্টরী এতোদিন যাবৎ প্রথম স্ত্রীর ৩ ছেলে রফিকুল ইসলাম, শাহজাহান মিয়া এবং তারিকুল ইসলামের মাধ্যমে পরিচালনা করে আসছিলাম। তবে তাদের হাতে ব্যবসা পরিচালনা করায় প্রতি মাসে লোকসান হচ্ছিলো। এক সময় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম তৈরি হয়। এই বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তেমন কোন সদত্তোর দেয় না। উল্টো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট এবং আমার সাথে বাজে ব্যবহার শুরু করে। এরপর আমি তাদেরকে ব্যবসা থেকে পৃথক করে দেই এবং আমি নিজে ব্যবসা পরিচালনা করি। এর সাথে তাদেরকে মাসিক টাকা দিয়ে থাকি।

তিনি আরো বলেন, গত কয়েক বছর যাবৎ আমার নিজ নামের একটি জমি তাদের নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি রাজি না হলে আমার প্রতিষ্ঠানের মেশিন পত্রাদি বিক্রি করে প্রায় ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এদিকে আমাকে মারধর করে এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দেয়। আমি এবং আমার স্ত্রী, সন্তান এবং আমাদের কাজের মেয়েকে তিনদিন আটকিয়ে রেখে কাঞ্চন বাড়ীর মধ্যে। এসময় ৯৯৯ ফোন করে সাহায্য চাওয়ার পর রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে আমরা এ বিষয়ে একটি মামলা করি। বর্তমানে আমি সিদ্ধিরগঞ্জে আমার স্ত্রীর বাবার বাড়ীতে বসবাস করছি।

সাইজুদ্দিন মিয়া বলেন, আমাদের থেকে জায়গা লিখে না নিতে পেরে, আমাদেরকে তৈমুর নামে এক ছেলে এলাকার কাউন্সিলর মিজানুর রহমান লিখনের অফিসে আমার স্ত্রী, পুত্র সহ আসতে বলে। আমার শরীর অসুস্থ্য থাকার কারনে আমার স্ত্রী পারভীন ওসমানের সাথে দেখা করে এবং আমার কথা বলে। এরপর আমি পারভীন ওসমানের অফিসে আসলে আমার ১ম স্ত্রীর সন্তান সহ জৈনিক রিপন ভাওয়াল এবং তৈমুর আমাকে জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। তারা বলে ‘এটা আইনে আছে, আমার ছেলে মেয়েকে জমি লিখে দিতে হবে’। আমি তখন রাজি হই না এবং আমার উপর হওয়া নির্যাতনের কথা তাদের জানাই। পরবর্তীতে আমাকে আগামী ২৭ জানুয়ারি আইনজীবী নিয়ে আসতে বলে। বিষয়টি যেহেতু আদালতে বিচারাধীন তাই আমি আর সে অফিসে যেতে চাইনা। গলাচিপার সেই অফিসে সবাই মিলে আমাদের সাথে খুব বাজে আচরণ করেছে। আমি ভয়ে আছি আমার এই সন্ত্রাসী ছেলে মেয়েরা আমার বর্তমান স্ত্রী এবং আরেক ছেলে শান্তকে যেকোন সময় হত্যা করতে পারে।

সাইজুদ্দিন মিয়া আরো উল্লেখ করেন, আমার জীবদ্দশায় প্রথম স্ত্রী মৃত্যুবরণ করার পর আমি পুনরায় বিয়ে করি। ১ম স্ত্রীর ঘরে ৬ মেয়ে, ৩ ছেলে সহ মোট ৯ জন সন্তান আছে। ২য় স্ত্রীর ঘরে ১ ছেলে আছে। তার নাম আতিকুল ইসলাম শান্ত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাইজুদ্দিন মিয়ার ২য় স্ত্রী গুলনাহার বেগম, তাদের নিকট আত্মীয় স্বজনসহ এলাকাবাসী ।

বক্তাবলীর পূর্ব চরগড়কূল উচ্চ বিদ্যালয়ের নাজির হোসেন পূণরায় সভাপতি নির্বাচিত

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের পূর্ব চরগড়কূল উচ্চ বিদ্যালয়ে পূনরায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ নাজির হোসেন। এ নিয়ে এই বিদ্যাপিঠের চতুর্থ বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি।

সোমবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সারে ১১ টায় স্কুলের অফিসকক্ষে নব নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত ১৩ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি পদে কোন প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমজাদ হোসেন জানান, স্কুল পরিচালনায় গত ১৩ ডিসেম্বর বুধবার এ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ১ জন দাতা সদস্য ১ জন, অভিভাবক সদস্য পদে ৪ জন,সংরক্ষিত মাহিলা সদস্য পদে ১ জন, শিক্ষক প্রতিনিধি পদে ২ জন, মহিলা শিক্ষিকা পদে ১ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। নির্বাচিতরা হলেন-প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আজগর আলী,দাতা সদস্য মোহাম্মদ নাজির হোসেন, অভিভাবক সদস্য গণ,মো.আবুল বাদশা,মো.সিরাজুল ইসলাম মিন্টু,আবু তাহের জাহাঙ্গীর, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জেসমিন আক্তার, শিক্ষক প্রতিনিধিগণ তাপস কুমার মন্ডল ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষিকা জেসমিন আরা জুই।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সরকারি তোলারাম কলেজ ও ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাবেক এই ছাত্রনেতা বর্তমানে আলোর দিশারি যুব উন্নয়ন সংসদের উপদেষ্টা, আলোকিত বক্তাবলী’র সভাপতি, খিদমাতুল উম্মাহ দারুল কুরআন মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন তিনি। এছাড়া একজন সৎ -স্বজ্জন ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি হিসাবে পরিচিতি থাকায় এলাকায় জুড়ে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি এতদিন অত্র স্কুলে সভাপতি হিসাবে সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বাইরেও তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত রয়েছেন।

নবনির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ নাজির হোসেন বলেন, তিরি পূর্ব চরগড়কূল উচ্চবিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন।

উল্লেখ্য, পূর্ব চরগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির গঠনের লক্ষ্যে গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষিণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারুিখ ছিলো ২১ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর। জমাদান পর্ব শেষ হওয়ার পর গত ২৭ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই শেষ করা হয়। তফসিলে ২৯ নভেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয় এবং তফসিল ‍অনুযায়ী গত ১৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ভূয়া ডাক্তারকে এক বছরের কারাদণ্ড

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নীলফামারীতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম-পদবি ব্যবহার করে রোগী দেখার দায়ে ফারুক হোসেন রুবেল (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সংশ্লিষ্ট ক্লিনিক এক মাসের জন্য সিলগালা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে নীলফামারী জেলা শহরের মাধার মোড় এলাকার মদিনা ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ভুয়া চিকিৎসককে সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ফারুক হোসেন রুবেল রংপুর নগরীর ময়নাকুঠি নীলকন্ঠ এলাকার মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং বিভাগের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান জানান, অভিযুক্ত ফারুক অন্য এক চিকিৎসকের নাম-পদবি ব্যবহার করে মদিনা ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে চেম্বার করে আসছেন- মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন নিউরো মেডিসিন চিকিৎসক রবিউল ইসলাম। আজ দুপুরে ওই ক্লিনিকে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে খবর দেওয়া হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ সাজা দেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের ২০১০ এর আইন অনুযায়ী ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে ভুয়া চিকিৎসককে বসার জায়গা দেওয়ার অভিযোগে মদিনা ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক এক মাসের জন্য সিলগালা করা হয়েছে।

 

নারায়ণগঞ্জ ডিসি অফিসের সার্ভেয়ার ৪২ লাখ টাকাসহ আটক

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভুমি শাখায় দায়িত্বরত সার্ভেয়ার ঘুষের ৪২ লাখ টাকা ভর্তি কার্টন উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সাথে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক  অফিসের সার্ভেয়ার মো. কাওসার আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। পরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে হস্তান্তর করা হয়।

দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত,এর আগে গত ১০ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে কার্টনটিসহ এক ব্যক্তি ধরা পড়েন। এরপর বিষয়টি জেলা প্রশাসককে(ডিসি) অবহিত করা হলে তার নির্দেশে কার্টনসহ ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জব্দকৃত ওই কার্টন খুলে ৪২ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এরপর টাকা গণনা শেষে জব্দ করা হয়। টাকার কার্টন জব্দের বিষয়ে জেলা প্রশাসক অফিস থেকে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

জব্দকৃত ৪২ লাখ টাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ট্রেজারিতে জমা রাখা হয়।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক দুদককে একটি চিঠি দেন।

এ ঘটনার বিষয়ে দুদক সচিব বলেন, গত ১০ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের আউটসোর্সিংয়ের সাবেক কর্মচারী মো. জাহিদুল ইসলাম সুমনের কাছে একটি কার্টন পাওয়া যায়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী রিফাত হোসেন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টরকে ঘটনাটি অবহিত করেন। পরে সুমনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কার্টনে নগদ টাকা থাকার কথা স্বীকার করেন।

দুদক সচিব জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জব্দ তালিকা তৈরি করে দেখা যায়, কার্টনে ৪২ লাখ টাকা পাওয়া যায়, এতে এক হাজার টাকার ৩ হাজার ৭০০টি নোট এবং ৫০০ টাকার এক হাজারটি নোট পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে ওই টাকার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, জব্দকৃত  ৪২ লাখ টাকা দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট অর্থ এবং ধারণা করা হচ্ছে এ কার্যক্রমের সঙ্গে আরও অধিক ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এরপর এ ঘটনায় গত ১৬ ডিসেম্বর দুদকের নারায়ণগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একটি মামলা হয়।

দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, মামলায় ৪২ লাখ টাকার কার্টন বহনকারী মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে সুমন এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার কাওসার আমেদকে আসামি করা হয়।

এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে আসামি সার্ভেয়ার কাওসার আহমেদকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি জাহিদুল ইসলাম সুমনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।