৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 12

আলীরটেক ইউনিয়ন বাসীর স্বপ্নের ফেরীঘাট উদ্বোধন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেন, আজকে যদি ধন্যবাদ দিতে হয় প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে প্রত্যেকটা ইউনিয়নে যে আমাদের সহযোগিতা করছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার অফিসাররা আজকে সড়কও জনপথে আমাকে আশ্বস্ত করেছে। রোজার মধ্যে আমাদের এই ফেরী চালু করার কথা ছিলো। আমরা করতে পারি নাই বিলম্ব হয়েছে। তারপরও আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া নারায়ণগঞ্জের সাথে আমাদের আমাদের দূরুত্ব কমে গেছে।

১৪ অক্টোবর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় আলীরটেকের ডিক্রিরচরে ইউনিয়নবাসীর স্বপ্নের ফেরীঘাট উদ্বোধন শেষে উক্ত কথা বলেন তিনি।
ডিক্রীরচরের ফেরীঘাট উদ্বোধন উপলক্ষে ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষদের নিয়ে সমাবেশটি আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান ও তার সহধর্মিণী নাসরিন ওসমান এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য সেলিম ওসমান বলেন,আপনাদের আলীরটেকের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের মত আর কোন ভালো মানুষ আমি হয়তো পাবো না। সব কিছুতে বড় তাড়াহুড়া করে। লক্ষ লক্ষ টাকা আজকে ফেরী ঘাটের উদ্বোধনের জন্য জনসভা করেছে কিন্তু এই জনসভা করার দরকার ছিলো না। এমন কোন ঘর নাই বাড়ি নাই যেখান থেকে মানুষ বের হয়ে আসে নাই। এত মানুষ আমি কিন্তু ঈদের জামাতেও দেখি নাই। এটা আল্লাহর রহমত। আর যদি এই একত্রিত ধরে রাখতে পারেন তাহলে আলীরটেক হবে একটা পর্যটন এলাকা। আপনাদের চেয়ারম্যান মাদ্রাসার সামনে একটা মার্কেট করার জন্য কান্নাকাটি করে আমি বলি ঈদগা এর কথা। আপনেরা যদি মার্কেট চান তাহলে মার্কেট হবে। আপনাদের চেয়ারম্যান বড় একটি ঈদগা এর কাজ হাতে নিয়েছেন আল্লাহ যদি বাঁচিয়ে রাখে তাহলে আমি নির্বাচনে যদি নাও জিতি তাহলে ঈদের জামাত এখানে পড়বো। কারন আমার কাছে আমার কাছে কোন দল নাই। আমার কাছে আওয়ামীলীগ নাই,বিএনপি নাই, জাতীয়পার্টি নাই। আমার কাছে সবাই ভাই ভাই। আমি মানুষকে সেবা করতে পারি এটাই বড়। আপনাদের চেয়ারম্যান আমাকে খুটা দেয় নিজের এত টাকা ব্যয় করেন স্কুল করেন রাস্তাঘাট করেন। আমি বলি আমার টাকা আছে আমি মানুষের সেবায় ব্যয় করি। আমার বড় ভাই নাসিম ওসমানের স্বপ্ন ছিলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মরা যেন এখানে লেখা পড়া করতে পারে। আপনাদের এখানে স্কুল ছিলো না। স্কুল করার চেষ্টা করেছি আমার অর্থ দিয়ে স্কুল করা হয়েছে।

সেলিম ওসমান আরো বলেন,আমি বলছি আপনাদের চেয়ারম্যান অনেক ভালো মানুষ। মানুষের ভূলত্রুটি থাকতেই পারে।কে ভালো কে খারাপ সেটা বিষয় না। এলাকার উন্নয়নে যে লোক শরিক না হয় সে লোকের সাথে অবশ্যই চলবেন না। সে আমার বাপ ভাই হলেও। যারা ভালো কাজে বাধা দেয় তারা ভালো না। আমার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে বলেছিলাম ফেরীঘাটের কথা সে হাহা করে হেসেছিলো। উনি বললেন এই এলাকা দিয়ে ফেরী চলবে না। বালু দিয়ে ভরে যাবে। কিন্তু ঠিকই ফেরীঘাট চালু হয়েছে। আমি ফোন দিয়ে তাকে বলেছিলাম ১৪ তারিখ ফেরী উদ্বোধন হতে হবে কিন্তু উনি আসলেন না। যে নিজের এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করেন না সে কিভাবে আমার কথা রাখবে।
সেলিম ওসমান ফেরীঘাট উদ্বোধন উপলক্ষে আলীরটেকবাসিকে সরকারি বরাদ্দ দেবার কথা উল্লেখ করে বলেন,আজ থেকে একবছর পর দেখবেন ফেরী চালু হওয়ায় এখানে আরো ৫০ হাজার মানুষ আসবে। আপনেরা এখানের জায়গা বিক্রি করবেন না। একসময় এই ইউনিয়ন হবে পর্যটন এলাকা। উন্নয়ন কি চোখে দেখা যায় না।বন্দরে এখন ফেরী চলে,নাসিম ওসমান ব্রীজ দিয়ে মানুষ পাড় হয়। রাস্তাঘাটের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে। আগামীকাল সকালে আলীরটেকের জন্য ৫০ টন চাল ও গম আমি আলীরটেকবাসির জন্য আমি দিবো। ফেরীর উদ্বোধন উপলক্ষে আলীরটেকের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট ও মসজিদের উন্নয়নের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা ও ৫০ বান টিন ও ১কোটি ৮০ লক্ষ টাকা আমি আগামীকাল বরাদ্দ দিবো। নির্বাচন এর আগেই ফান্ড থেকে টাকা আনবেন এবং নির্বাচন এর আগেই তার কাজ শেষ করবেন। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো আমাদের উন্নয়নের জন্য হলেও আবারো বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে আপনেরা আগামী নির্বাচনে নিয়ে আসবেন।

আলীরটেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসবি শাহীন সরকার ও শফিকুল ইসলাম বিপ্লবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,জাতীয় পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সানোয়ার হোসেন সানু,সদর থানা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজির আহম্মেদ, জেলা পরিষদের সদস্য মাসুম আহমেদ,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহছান উদ্দিন, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী, নাসিক ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না,আলীরটেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী নূর মোল্লা, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ হোসেন, আলীরটেক ইউপি সদস্য শাহীন রাজু, ওসমান গনি, আব্দুল মান্নান, মোকতার হোসেন, রওশন আলী, ফিরোজ মিয়া,জাকির হোসেন,শাহীন রাজু, ওহাব সরকার ও ওমর ফারুক প্রমূখ।

ফরিদাবাদ মাদ্রাসার ছাত্র হাফেজ সিয়াম নিখোঁজ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : হাফেজ আববারুল হক সিয়াম (১৫) ১৪দিন নিখোঁজ রয়েছে। গেন্ডারিয়া ফরিদাবাদ মাদরাসা থেকে ফতুল্লায় আসার পথে গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে তাঁর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় নিখোঁজ আববারুল হকের পিতা হাফেজ মাওলানা আঃ মান্নান গেন্ডারিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন।

নিখোঁজ হাফেজ সিয়ামের বাবা জানায়, আমার ছেলে
আবরারুল হক সিয়াম, বয়স ১৫, উচ্চতা ৫’৭”
গায়ের রং কালো! জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম মাদরাসা, ফরিদাবাদ এর ছাত্র। সে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মাদরাসা থেকে ফতুল্লার উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। যদি কেউ তার সন্ধান পেয়ে থাকেন তাহলে ০১৬০১২৭৭০২৩ নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হলো।

এদিকে একমাত্র পুত্র নিখোঁজ হওয়ার খবরে মা পাগলপ্রায়। অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাসায়ী।

পশ্চিমাদের থেকে মুরুব্বি বানানো দেশের জন্য নিরাপদ না: ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ১২ই রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা:) উপলক্ষে আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফে এক আজিমুশ্বান ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশের সার্বিক কল্যানের কথা বলতে গিয়ে ইসলামী মহাসম্মেলনে ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী পীরসাহেব জৌনপুরী বলেন, যাদের হাতে মুসলিমদের রক্ত লেগে আছে, আফগানে, সিরিয়াতে, কাশ্মীরে, বাগদাদে, ইরাকে যারা মুসলিমদের নির্বিচারে হত্যা করেছে; সেই পশ্চিমাদের বাংলাদেশে মুরুব্বি বানালে ইসলাম ও মুসলমানের কতটুকু উপকার হবে? দেশের সমস্যা শীর্ষস্থানীয় আলেম উলামাদের নেতৃত্বে দেশের জনগনই সমাধান করবে। ইনশাআল্লাহ। বহিরাগত দেশ থেকে কাউকে মোড়লগীরী করতে দেয়া, পশ্চিমাদের থেকে মুরুব্বি বানানো দেশের জন্যও নিরাপদ না, ইসলাম ও মুসলমানের জন্যও নিরাপদ নয়।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা:) উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে  আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফে  এক আজিমুশ্বান ইসলামী মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে শুরু করে সারারাত ব্যাপী নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলীতে আব্বাসী মঞ্জিলের বর্তমান গদ্দীনাশীন পীর ও তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুফ্তি ড. মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরীর সভাপতিত্বে আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুর দরবার শরীফে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে এই আজিমুশ্বান ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের স্লোগান হচ্ছে দিন বদলানোর। আর আমাদের স্লোগান হচ্ছে দিল বদলানোর। মানুষের দিল (রিদয়, মন) ঠিক, তো মানুষ ঠিক। মানুষ ঠিক, তো সমাজ ঠিক; আর সমাজ ঠিক, তো রাষ্ট্র ঠিক।

সূরাহ দ্বোহা থেকে আল্লাহর আখেরী নাবী মুহাম্মাদ মোস্তফা (সা) এর শান-মান ও মর্যাদার উপর ব্যাপক আলোচনা করেন এবং উম্মাহের জন্য বিশেষ কিছু দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

জৈনপুরী পীর সাহেব  বলেন, নবিজী (সা) এর আগমনের রাত্রীটি সকল রাত্রী থেকে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ। এমনকি লাইলাতুল কদর ও লাইলাতুল মিরাজের রাত্রী থেকেও উত্তম ও শ্রেষ্ঠ।

পরিশেষে দেশ, সমাজ, রাষ্ট্রের ও ইসলাম ও মুসলমানের কল্যান কামনা করে ইসলামী মহাসম্মেলনের বিদায়ী মোনাজাত করেন, ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী পীরসাহেব জৌনপুরী।

নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইয়ের ঘটনার ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক গ্রেপ্তার

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান রবিন ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান খাঁন সাজুকে মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে সোনারগাঁ পৌর এলাকার রয়েল রিসোর্টের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় একটি প্রাইভেটকার থেকে ২৮৩টি মোবাইল ফোন ছিনতাইয় হয়। রোববার দুপুরে কুমিল্লার কোতোয়ালী থানার বাসিন্দা মোবাইল ব্যবসায়ী মো. সুমন মিয়া বাদি হয়ে মাহবুবুর রহমান রবিন ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান খাঁন সাজুসহ ৪ জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তার মাহবুবুর রহমান রবিন পৌরসভার খাসনগর দিঘির পাড় গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে ও শাহরিয়ার হাসান খাঁন সাজু গোয়ালদী গ্রামের নাসিরউদ্দিনের ছেলে।

অভিযোগে বলা হয়, কুমিল্লার কোতোয়ালী থানার বাসিন্দা মোবাইল ব্যবসায়ী মো. সুমন মিয়া গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে ২৮৩টি মোবাইল সেট নিয়ে একটি প্রাইভেটকার যোগে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকা অতিক্রমের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে প্রাইভেটকারটি গতিরোধ করে। পরে ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে পালিয়ে যায় কে বা কারা।

পরে ছিনতাইকারীদের পরিচয় জানতে পেরে রবিন ও সাজুর কাছে মোবাইলগুলো ফেরত পেতে আর্জি জানান সুমন। কিন্তু তাকে ফেরত দেওয়া হয়নি। ১১দিন অপেক্ষার পর গতকাল রোববার দুপুরে ব্যবসায়ী সুমন সোনারগাঁ থানায় রবিন, সাজুসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরে রাতেই পুলিশ পৌরসভার খাসনগর দিঘির পাড় রয়েল রির্সোটের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পঙ্কজ কান্তি সরকার বলেন, ছিনতাইয়ের অভিযোগে রবিন ও সাজু নামের দুজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মোবাইল উদ্ধার না হওয়ায় ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যূতা ও হামলা ভাংচুরের অভিযোগে ১৫টি মামলা রয়েছে।

ফতুল্লার বক্তাবলী বাজারে নিত্যপন্যের দাম আকাশ ছোঁয়া

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী বাজারে বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দামে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। জিনিসপত্রের দামে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ। তবে গত কয়েকদিন ধরেই মুরগী-ডিম, কাঁচামরিচের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এর ফলে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়তি থাকলেও গত কিছুদিন ধরে এর দামও স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ক্রেতাদের দাবি, ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই এসব জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পায়। গত কয়েকদিন ধরে শাকসবজির দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে মুরগীর ডিমের সংকট কমে যাওয়ায় ডিমের দাম কিছুটা কমেছে।

২২ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকালে ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী বাজারে সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

মুরগীর বাজারে ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে নানা জাতের মুরগীর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী ১৮০ টাকা, কক মুরগী ৩২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগী ৩৭০ টাকা, লেয়ার সাদা মুরগী ২৫০ টাকা, প্যারেন্ট খাসি মুরগী ৩১০ টাকা, প্যারেন্ট খাসি মোরগ ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী ১৮০ টাকা, কক মুরগী ৩০০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগী ৩৪০ টাকা, লেয়ার সাদা মুরগী ২৫০ টাকা, প্যারেন্ট খাসি মুরগী ২৮৫ টাকা, প্যারেন্ট খাসি মোরগ ৩২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দামও। বর্তমানে প্রতি হালি ডিম ৫৫ টাকা দরে এবং ১০০ পিস ডিম ১ হাজার ৩২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও একই দামে ডিম বিক্রি হয়েছিল।

শাকসবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ শাকসবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে, তবে বেড়েছে আলুর দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ৪৫-৫০ টাকা, লতি ৪০ টাকা, ধনেপাতা ৭০-৮০ টাকা, শিম ৫৫-৬০ টাকা, মুলা ৪০-৪৫ টাকা, টমেটো ৯০-১০০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা, ঢেড়শ ২০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, উস্তা ১০০-১১০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকা, আদা ১৫০-১৬০ টাকা, রসুন ১৮০-২০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা, গাঁজর ৪০-৫০ টাকা, শুকনো মরিচ ৪৬০ টাকা, খিরাই ৪৫-৫০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, শালগম ৩৫-৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতি পিস মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, লাউ ৪৫-৬০ টাকা এবং প্রতি হালি এলাচি লেবু ও গোল লেবু ৪০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি আঁটি লালশাক ৩০ টাকা, পালং শাক ২৫ টাকা, লাউ শাক ৪৫ টাকা, বৈত্তা শাক ৪৫ টাকা, ডাটা শাক ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আলু ৩০-৩৫ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধনেপাতা ৮০-৯০ টাকা, শিম ৫৫-৬০ টাকা, মুলা ৪০-৪৫ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা, ঢেড়শ ২০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, উস্তা ১০০-১১০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা, আদা ১২০-১৪০ টাকা, রসুন ১৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা, গাঁজর ৪০-৫০ টাকা, শুকনো মরিচ ৪৬০ টাকা, খিরাই ৪৫-৫০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, শালগম ৩৫-৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। আকারভেদে প্রতি পিস মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, লাউ ৪৫-৬০ টাকা এবং প্রতি হালি এলাচি লেবু ও গোল লেবু ৪০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। পাশাপাশি প্রতি আঁটি লালশাক ৩০ টাকা, পালং শাক ২৫ টাকা, লাউ শাক ৪৫ টাকা, বৈত্তা শাক ৪৫ টাকা, ডাটা শাক ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

শুঁটকির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ শুঁটকির দাম কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি লইটা শুঁটকি ৮০০ টাকা, কাঁচকি শুঁটকি ৮০০ টাকা, চিংড়ি শুঁটকি ২৩০-৪৮০ টাকা, চাঁন্দা শুঁটকি ৭০০-৮০০টাকা, গইন্না শুঁটকি ১ হাজার ১০০-১ হাজার ৮০০ টাকা, ফওয়া শুঁটকি ৮০০-১ হাজার ১০০ টাকা, রিডা শুঁটকি ৭০০-৮০০ টাকা, বলাই শুঁটকি ৮০০-১০০০ টাকা ও প্রতি পিস ইলিশ শুঁটকি ১৮০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি লইটা শুঁটকি ৬৮০ টাকা, কাঁচকি শুঁটকি ৪৫০ টাকা, চিংড়ি শুঁটকি ২৫০-৪৫০ টাকা, চাঁন্দা শুঁটকি ৫৫০-৬০০ টাকা, গইন্না শুঁটকি ১ হাজার-১ হাজার ৬৫০ টাকা, ফওয়া শুঁটকি ৬০০-১ হাজার ৫০ টাকা, রিডা শুঁটকি ৪৫০-৫৫০ টাকা, বলাই শুঁটকি ৭০০ টাকা ও প্রতি পিস ইলিশ শুঁটকি ১২০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, জাতভেদে অধিকাংশ চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল ৪৬ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৭৫-৮০ টাকা, পাইজাম চাল ৪৯ টাকা, চিনিগুড়া চাল ১৬০ টাকা, আটাশ চাল ৫৬ টাকা, বাসমতি চাল ৮০ টাকা, লতা চাল ৫৪ টাকা, পোলাও চাল ১৫০ টাকা, ইরি চাল ৫৬ টাকা, মিনিকেট চাল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি ১নং মসুরী ডাল ১৫০ টাকা, ২নং মসুরী ডাল ১০০ টাকা, ৩নং মসুরী ডাল ৯০ টাকা, খেসারী ডাল ৭৫ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৭০ টাকা, বুটের ডাল ১১০ টাকা, ছোলা ৮৫-৯০ টাকা, চনা বুট ৯০ টাকা, ডাবলী ৭০ টাকা, ভাজা মুগ ডাল  ১৮০ টাকা, কাঁচা মুগ ডাল ১৪০ টাকা, আটা ৬৫ টাকা, ময়দা ৭৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩৫ টাকা, বোতলের ১ লিটার সয়াবিন তেল ২০০ টাকা, ২ লিটার সয়াবিন তেল ৩৮০ টাকা, ৫ লিটার সয়াবিন তেল ৯৪০ টাকা, ৮ লিটার ১৪৮০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ডিপ্লোমা দুধ ৪১০ টাকা, ১ কেজি ডিপ্লোমা দুধ ৮০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ডানো দুধ ৪২০ টাকা, ১ কেজি ডানো দুধ ৮০০ টাকা ও ৫০০ গ্রাম মার্কস দুধ ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল খোলাটা ১৫০ টাকা, প্রতি কেজি হলুদের গুড়া ২৪০ টাকা, মরিচের গুড়া ৪০০ টাকা, ধনেগুড়া ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল ৪৬ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৭০-৭২ টাকা, পাইজাম চাল ৪৯ টাকা, চিনিগুড়া চাল ১৬০ টাকা, আটাশ চাল ৫৬ টাকা, বাসমতি চাল ৮০ টাকা, লতা চাল ৫৪ টাকা, পোলাও চাল ১৪০ টাকা, ইরি চাল ৫৬ টাকা, মিনিকেট চাল ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া প্রতি কেজি ১নং মসুরী ডাল ১৫০ টাকা, ২নং মসুরী ডাল ১০০ টাকা, ৩নং মসুরী ডাল ১০০ টাকা, খেসারী ডাল ৮০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৭০ টাকা, বুটের ডাল ১০০ টাকা, চনা বুট ৯০ টাকা, ডাবলী ৭০ টাকা, ভাজা মুগ ডাল  ১৮০ টাকা, কাঁচা মুগ ডাল ১৪০ টাকা, আটা ৬৫ টাকা, ময়দা ৭৫ টাকা, খোলা চিনি ১১৫ টাকা, বোতলের ১ লিটার সয়াবিন তেল ১৮৭ টাকা, ২ লিটার সয়াবিন তেল ৩৭৪ টাকা, ৫ লিটার সয়াবিন তেল ৯০০ টাকা, ৮ লিটার ১৪৮০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ডিপ্লোমা দুধ ৪৪০ টাকা, ১ কেজি ডিপ্লোমা দুধ ৮২০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ডানো দুধ ৪৪০ টাকা, ১ কেজি ডানো দুধ ৮৮০ টাকা ও ৫০০ গ্রাম মার্কস দুধ ৪৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অন্যদিকে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল খোলাটা ১৫০ টাকা, প্রতি কেজি হলুদের গুড়া ২৪০ টাকা, মরিচের গুড়া ৪০০ টাকা, ধনেগুড়া ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ইলিশ ৬০০-১৪০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০-১৮০০ টাকা, আইর মাছ ৮০০-১২০০ টাকা, পোয়া ৫০০-৫৫০ টাকা, রিডা মাছ ৫৭০ টাকা, শোল মাছ ৭৯০-৮৫০ টাকা, টাকি মাছ ৪৩০ টাকা, কৈ মাছ ২৫০ টাকা, বাইল্লা মাছ ৫৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, বাইম মাছ ৫৬০-৬৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ইলিশ ৪৫০-১২৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৫৫০-১৮০০ টাকা, আইর মাছ ৬০০-১১০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, রিডা মাছ ৫৪০ টাকা, শোল মাছ ৭৫০-৮৫০ টাকা, টাকি মাছ ৪০০ টাকা, কৈ মাছ ২২০ টাকা, বাইল্লা মাছ ৫৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ১৬০ টাকা, রুই মাছ ২৯০-৩০০ টাকা, বাইর মাছ ৫৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বক্তাবলী বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী জনসাধারণ।

 

বক্তাবলী পরগণা ফরায়েজী জামাত বা আন্দোলন সম্পর্কে কিছু কথা-মাসুম সরকার

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : যদিও নাম বদলে এখন ‘জামাতের’ জায়গায় ‘আন্দোলন’ ঢুকানো হয়েছে, কিন্তু ইসলাম প্রচার ও প্রসারে কথিত বক্তাবলী পরগণায় এই সংগঠনের আন্দোলনের কতটুকু অবদান সেটা অবশ্যই মূল্যায়নের সময় এসেছে। উক্ত সংগঠনের সাথে দীর্ঘ ৪০ বছরের অধিক সময় ধরে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত ছিলেন, এমন একজনকে আমি ইসলামের প্রাথমিক জ্ঞান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কিন্তু তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি! জিজ্ঞেস করেছিলাম নামাজের জন্য জরুরী সূরা এবং অন্যান্য দোয়া দরুদ গুলো সঠিকভাবে পারেন কিনা। তিনি লাজুক হাসি দিয়ে দুর্বলতা স্বীকার করে নিয়েছিলেন।

বিগত প্রায় পাঁচ বছর আগের সেই ঘটনায় তাকে ফের জিজ্ঞেস করেছিলাম, যদি ঈমান, নামাজ, রোজা, হজ ও যাকাত সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান(যেটা ফরজ) না রাখেন, তাহলে আপনি স্বাধীনতার পর থেকে এই সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে ব্যক্তিগত ভাবে কতটুকু লাভবান হয়েছেন? অথবা আপনার মতো এমন অনেক মানুষ আছেন আমাদের এলাকায়, যাদের ন্যূনতম আমল করার ব্যক্তিগত সামর্থ্য নেই তথা ইসলামের প্রাথমিক জ্ঞান নেই। তাদেরই বা কি লাভ হয়েছে পীরদের পিছু পিছু ঘুরে??

তিনি নির্বাক হয়ে অসহায় দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন।

এবার আসি উক্ত সংগঠনের নেতৃত্ব নিয়ে, আমাদের জন্মের অনেক আগে থেকে শুরু করে বিগত ২০/২৫ বছর আগেও যারা এই সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের ব্যক্তিগত মেধা, শ্রম ও সামাজিক ঐক্য মিলিয়ে প্রতাপের সহিত অত্র অঞ্চলে সম্মানের সাথে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন, যদিও ব্যক্তিগত ভাবে অনেকেই কিছু বিতর্কের সাথে জড়িত ছিলেন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সামাজিক ছত্রভঙ্গ অবস্থা, অনৈক্য, মতভেদ, মতবিরোধ, হিংসা বিদ্বেষ, সামাজিক ও বংশগত বিভাজন এই সবই হয়েছে অদূরদর্শিতা ও নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে অথবা নেতৃত্বের সংকীর্ণ মানসিকতার কারণে।

ধর্মীয় ও সামাজিক এই অবক্ষয়ের দায় উক্ত সংগঠনের পীর এবং সাথে জড়িত বা নেতৃত্বে থাকা কেউ একজনও কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। কারণ এখানে থাকা কথিত ময়ালি প্রধানের সাথে অনেকেই আছেন এবং ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান অথবা মেম্বার, পঞ্চায়েত প্রধান, সামাজিক নেতা ইত্যাদি। আর যেখানে নেতৃত্বের অনেকেই নিজ পরিবারের সদস্য বা স্বজনদের অন্যায় অপরাধের বিচার করতে পারেন না, সেখানে ময়ালি প্রধান পদবী সাধারণ মানুষের সাথে উপহাস করা ছাড়া আর কিছু নয়।

পীরদের নেতৃত্বে একটি ধর্মীয় সংগঠন যেটার স্থানীয় নেতা আপনারা, সেখানে ধর্মীয় রীতিনীতির প্রচলন, মানুষের ধর্মীয় শিক্ষা, ধর্ম জানা ও মানার বাধ্যবাধকতা থাকবে না কেন? যেভাবে পীরদের বাৎসরিক মাহফিলের জন্য সমস্ত কাজকর্ম ফেলে এসে মিটিং করা হয়, অর্থ সংগ্রহ করা হয়। ঠিক একই ভাবে সমাজের ব্যক্তি, পরিবার, গোষ্ঠী অথবা সর্বস্তরের সামাজিক দূরবস্থার জন্য আপনারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারেন না কেন? এলাকার সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপনাদের সোচ্চার থাকতে দেখা যায় না কেন? প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আপনাদের নেতৃত্ব দিতে হবে কিন্তু শিক্ষার মান উন্নয়নে উদাসীনতা কেন?? আমাদের ডিক্রীরচর কেন্দ্রিক এই সংগঠনের সকল কাজকর্ম, অথচ এখানে নদী ভাঙ্গন নিয়ে আপনাদের উদাসীনতা কেন??এই দায় আপনারা কিভাবে এড়াবেন??

নাকি মনে করেছেন, আপনাদের দ্বারা এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে, সামাজিক ও শিক্ষার মান উন্নয়ন হয়েছে?

যদি তাই মনে করে থাকেন তবে আমি অনুরোধ করবো শহর ছেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে এই সমাজে বসবাস করুন, এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজের সন্তানদের পড়ালেখা করতে দিন। তখন হয়তো বুঝতে পারবেন এখানে আপনাদের নেতৃত্ব দেওয়া এলাকার সাধারণ মানুষ কোথায় বসবাস করছে। আর তখন এখানে আপনাদের কতটুকু অবদান সেটাও সরাসরি অনুধাবন করতে পারবেন।

কোন কারখানায় রাতে চুরি হলে কারখানার মালিক কিন্তু সেই রাতে পাহারা দেওয়া দারোয়ানকে ধরবে, কারখানার ম্যানেজারকে নয়। দীর্ঘ সময় ধরে আপনারা যারা নেতৃত্বে ছিলেন, একটু ভেবে দেখুন সেই সময়কার সামাজিক সকল সমস্যার জন্য আপনারাই দায়ী।

আস্তানার পীরেরা যেখানে আসেন, থাকেন, মানুষের বাড়িতে গিয়ে খান এবং অর্থ সংগ্রহ করেন। অবশ্যই সেখানকার মানুষের ধর্মীয় জীবন সম্পর্কে পীরদের ধারণা থাকতে হবে। সুদ, জুলুম, অন্যের হক নষ্ট করা সহ বিভিন্ন অনৈসলামিক কাজের অন্ধকারে আমাদের সমাজ ডুবে যাচ্ছে, নবীর (সাঃ) কথিত ওয়ারিশদের কাজ কি শুধু বছরে একবার দুইবার এসে ওয়াজ করে টাকা নিয়ে যাওয়া? যদি তাই হয় তবে এই সমাজ থেকে এসব অন্ধকার দূর করার দায়িত্ব কাদের?? মুখে বললেন রাসুলের উত্তরসূরী কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশিত পন্থায় কাজ না করলে, সেটা কি রাসূলের অবমাননা নয়?

একটি ধর্মীয় সংগঠন চলবে কিন্তু সেখানে ধর্মীয় রীতিনীতি থাকবে না, এটা যেমন হতাশার, তেমনি এটার সাথে জড়িত মানুষের দৌড়ঝাঁপ চরম হাস্যকর ও সাধারণ মানুষের সাথে ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়। পদ পদবীর জন্য লবিং সহ আরো নানান বিষয় নিয়ে অনেক কথা ছিলো, সেসব আরেকদিন বলবো আশাকরি।

এই বিষয়টি নিয়ে সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। কারণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কথার মায়াজালে পড়ে তারা সেই সাধারণ জীবন যাপনই করেন। মাঝখানে কথার ফুলঝুরি নিয়ে এসে কিছু মানুষ আজীবনকার সুবিধাভোগী। মিনতি করি খিচুড়ি নষ্ট হয়ে গেছে সেটা ফেলে দেওয়া যাবে কিন্তু পাত্রটা যেন পরিস্কার করা হয়। খেয়াল রাখতে হবে নষ্ট খিচুড়ি ফেলতে গিয়ে খালি জায়গা পেয়ে সেখানে যেন দূষিত বাতাস ঢুকে না যায়। তবেই সেটাতে রেখে যেকোন হালাল খাবার খাওয়া যাবে।

পরিশেষে বলতে চাই কৃত্রিম দানবীর, শিক্ষানুরাগী, সমাজ সেবক, গরীবের বন্ধু, ধর্মানুরাগীদের হেদায়েত নসিব হোক, তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষ বেঁচে যাবে। আর ভবিষ্যতে যারা নেতৃত্ব দিবেন তারা যেন অতীতের মত সাধারণ মানুষকে দিল্লিকা লাড্ডু খাওয়ানোর চিন্তা থেকে বের হয়ে আসেন। শুধু পদ পদবীর জন্য নেতৃত্ব দেওয়ার মানসিকতা পরিহার করে তারা যেন যুগোপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নেতৃত্ব দেন, এলাকার সচেতন মহল আপনাদের কাছে এটাই কামনা করেন।

 

বক্তাবলীতে বাবু হত্যাকান্ডে রাসেল মেম্বারসহ দুইজন কারাগারে

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন বক্তাবলী ইউনিয়নে বাবু হত্যাকান্ডের ঘটনায় রাসেল মেম্বারসহ ২ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

১৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) নারায়ণগঞ্জ আদালতে জামিন আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে এক সহযোগীসহ রাসেল মেম্বারকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয় আদালত।

জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে শালিশী বৈঠকে দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হয়েছে বাবু। বাবু হত্যাকান্ডের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে। একটি হত্যা মামলা এবং অপরটি হত্যার উদ্যেশ্যে হামলার মামলা। হত্যার উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলায় রাসেল মেম্বারকে আসামী করা হয়েছে। রোকসানা আক্তার বাদী হয়ে ৫ সেপ্টেম্বর এই মামলা দায়ের করেন।

এই মামলায় আরো আসামী করা হয়েছে মৃত আবদুল কাদিরের পুত্র সালাউদ্দিন, আলাউদ্দিন, মহিউদ্দিন ও দাদন, মৃত আওলাদ হোসেনের ছেলে রিফাত ও সিফাত এবং চান মিয়ার মেয়ে জামাই রফিকুল ইসলাম সহ আরো ৫/৬ জনকে।

 

জনগণের পক্ষে কথা বলায় এমপি আমাকে পিটিয়েছে-মেয়র আইভী

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি আমাকে পিটিয়েছে। জনগনের পক্ষে কথা বলা এবং কাজ করার কারনে তার নির্দেশে আমার উপর হামলা হয়েছে। আমার অপরাধটা কি ছিলো, এই শহরকে যাজটমুক্ত করার জন্যইতো আমি চেষ্ঠা করেছিলাম। শহরকে যানজটমুক্ত করার জন্য মুষ্টিমেয় কয়েকজন হকারকে উচ্ছেদ করতে চেয়েছিলাম। তিনি এটাকে গরীবে পেটে লাথি মারা বলে আমার উপর হামলা করালেন। এখন আপনারাই বলুন আমি কি করে এই শহরকে যানজটমুক্ত করবো? গতকাল তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বাজেট অধিবেশনে শহরের যানজট নিরসন করতে না পারা, ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদ করতে না পারা এবং শহরে অবৈধ অটো রিকশার অবাধ যাতায়ত নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকরা মেয়রের কাছে জানতে চান তিনি কেন নারায়ণগঞ্জ শহরকে যানজট ও হকারমুক্ত করতে পারছেন না । এই ব্যার্থতার দায় মেয়র নিবেন কিনা, এসব প্রশ্নের জবাবে মেয়র উল্লেখিত কথাগুলি বলেন। তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরকে যানজট মুক্ত রাখার দায়িত্ব হলো ট্রাফিক বিভাগ পুলিশের। পুলিশ যদি তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন না করে তাহলে সিটি করপোরেশন একা কি করবে? আমার হাতে তো অস্ত্র নেই, মাস্তান নেই। আমি নাগিরক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে ফুটপাত দিয়ে পায়ে হেটে যাচ্ছিলাম। আমার উপর হামলা করা হলো, বহু মানুষ আহত হলো, আপনারা সাংবাদিকরাও আহত হলেন। আমি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম।

আপনারা এখন আবার নাগরিক আন্দোলনের কথা বললেন। আমি আপনাদের সঙ্গে একমত। আমি বহুবার বলেছি, নারায়ণগঞ্জ শহরের যানজট নিরসন করার জন্য আপনারা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে একটি রাউন্ড টেবিল বৈঠকের আয়োজন করার জন্য । সেখানে আমাকে রাখেন এবং নারায়ণগঞ্জের এমপি এবং প্রশাসনকে রাখেন। তাহলে হয়তো অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। তিনি আরো বলেন আমার উচিৎ ছিলো আজকের এই বাজেট অধিবেশনে এমপিদেরকে রাখা। তাদেরকে আমার ফোন করা উচিৎ ছিলো। বিশেষ করে সেলিম ওসমান এমপি আমাকে কিছু সহযোগীতা করেছেন। তিনি থাকলে হয়তো আরো অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন (এনইউজে) এর সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে কার্যকরী কমিটির সদস্য আবদুস সালাম বলেন, আমরা আগামী ২২ সেপ্টেম্বর আপনাকে এবং এমপিদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করবো। আপনাকে থাকতে হবে। তখন মেয়র বলেন, এ সময় আমি দেশে থাকবো না। এ সময়ের আগে করেন অথবা আমি বিদেশ থেকে এলে তারপর করেন। আমি থাকবো।

বাজেট অধিবেশনে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দীপু, সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, কার্যকরী কমিটির সদস্য ও প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক আবু সাউদ মাসুদ এবং কার্যকরী কমিটির সদস্য আফজাল হোসেন পন্টি প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের তিন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের তিন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) বিকেলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কেন্দ্রীয় যুবদলের ১ম সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিকে। এছাড়াও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল কবির সজিবকে।

নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলিতে রেলের জমি দখলের মহোৎসব চলছে

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলিতে রেলের জমি দখলের মহোৎসব চলছে । যে যেভাবে পারছে রেলের জমি দখল করে চলছে। দখল করা জমিতে চলছে মার্কেট, দোকানপাট ও বসবাসের ঘর নির্মাণ। প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা এসব স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। উচ্ছেদ হলে কিছু দিন থেমে থাকে আবার চলে দখল কাজ। আবার প্রভাবশালী দখলদাররা  মামলা ঠুকে দেন রেলের বিরুদ্ধে। ফলে মামলা চলাকালেও তাদের দখল কাজ চলে নির্বিঘেœ। এমনকি দখলদারদে উচ্ছেদ করতে এসে হামলা শিকারের ঘটনাও ইতোপূর্বে ঘটেছে।

জানা গেছে, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ রেলপথের দু’পাশে প্রায় ৮০ একর জায়গা বেদখল হয়েছিল। এরমধ্যে গত ১ বছরে প্রায় ৩০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ৫০ একরের মধ্যে শুধু নারায়ণগঞ্জ শহরেই বেদখল ৪০ একর জমি। এছাড়া  নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আদমজী পুরাতন রেল লাইনের দুই পাশের প্রায়ই জমি দখল হয়ে গেছে। এসব জমি দখল করে নির্মান হয়েছে মার্কেট, দোকনপাট  ও বানিজ্যিক কেন্দ্র।

অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে উদ্ধার কাজে বাধা দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জে ভূমিদস্যুরা উদ্ধারকারীদের বিরুদ্ধে ৭০টি মামলা করেছেন। কোথাও কোথাও উদ্ধার হওয়া জায়গা পুনরায় দখলে নেয়া হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ সেসব ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে মামলা করলেও তাদের আটক করা হচ্ছে না।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের পাটানটুলি এলাকায় রেলওয়ের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে মার্কেট করছে ইমরুল কায়েস। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এব্যাক্তি  রেলওয়ের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। রেলওয়ের জায়গা দখল মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার সচেতন মহল।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন , ইমরুল কায়েস ও এলাকার একাধিক ব্যক্তি পাঠানটুলি নতুন সড়কে আব্বাসী মঞ্জিলের বিপরীতে রেলওয়ের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে মার্কেট করছে। এভাবে একাধিক মহল রেলওয়ের জায়গা দখলে তৎপর হয়ে উঠেছে। দখলের শুরুতে দখলদারদের প্রতিহত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, একাধিক ব্যক্তি রেলওয়ের জায়গা দখলের চেষ্টা করছে।  ইতোমধ্যে ইমরুল কায়েস নামে এক ব্যক্তি রেলওয়ের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। রেলের জায়গায় পাকা দোকান নির্মান করে স্থায়ী ভাবে দখলে পাঁয়তারা করছে। এদিকে রেলওয়ের জায়গা দখল পাকা স্থাপনা নির্মাণ এবং দখলদার কাজী ইমরুল কায়েস, ইফতেখার কায়েস রুমেলসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে বিবাদী করে মঞ্জুরুল করিম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

তবে ইমরুল কায়েসের ঘনিষ্ঠ সাব্বির ভূইয়া রেলওয়ের জায়গা দখল করে সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে এবং খরিদ সুত্রে জায়গাটি সে দখল করেছে বলে প্রচার করছে।

স্থানীয়রা জানায়, যেখানে রেলওয়ে থেকে সড়ক ও জনপদ বিভাগ প্রয়োজনীয় অংশ নিয়ে চাষাড়া টু আদমজী নিমার্ণ করে ফেলেছে, বাকী জায়গাও সরকারী হিসেবে আছে। ব্যক্তি মালিকানার নামে কোন বেচা-কেনার সুযোগ থাকতে পারে না বলেন তারা মনে করেন।  অভিযোগ রয়েছে , রেলওয়ের দূনীর্তিগ্রস্থ কানুনগো ইকবালের সহায়তায় দখলদাররা সরকারী জায়গা দখল করেছে।

অভিযোগের বিষয়ে ইমরুল কায়েস বলেন ,যেহেতু আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করবোনা। আদালতে বিচারাধীন থাকা সত্বেও কিভাবে মার্কেট নির্মাণ কাজ করছেন এ প্রশ্নের জবাবে বলেন,আপনি সরেজমিন এসে দেখে যান নির্মাণ কাজ চলছে কিনা। তবে এলাকাবাসীর দাবি, অবৈধ ভাবে রেলওয়ের জায়গা দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পথচারীদের ব্যবহারে উপযোগী করা প্রয়োজন।

রেলের যাত্রীরা বলছেন, কতিপয় কিছু রেলের অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে অবৈধ দখলদাররা রেলের ভুমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলছেন। তারা অবৈধ স্থাপনা ভাড়া দিয়ে রাতের আধাঁরে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছেন।  অপরদিকে এ অবৈধ স্থাপনার কারণে রেলের জায়গা সংকট হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা ঠিকমত চলাফেরা করতে পারছেনা। ফলে প্রতিনিয়তই তারা দূর্ঘটনার কবলে পড়ছেন।

যাত্রীরা  বলেন, একটি দূর্ঘটনা হলে কিছুদিন প্রশাসন নড়েচরে বসে, তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু তদন্তের রির্পোট সহজে জমা পড়েনা।  ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনে সামনে বাস- ট্রেনের সংঘর্ষে ঘটে এক ভয়াবহ দূর্ঘটনা। ওই দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় কমপক্ষে ৭ জন। এদের মধ্যে বেশ কয়েজন পথচারীও ছিলো।

জানাগেছে, রেলের জায়গা অবৈধ দখল হওয়ায় সেদিন বাসটিকে রেলক্রসিং থেকে সরাতে পারেনি চালক। রেললাইনের দুপাশ এমনভাবে দখল করা হয়েছিলো যে, বাসটিকে একচুল পর্যন্ত সরানো সম্ভব হয়নি। যদি সম্ভব হতো, তাহলে হয়তো বেঁচে যেতো অনেক প্রাণ।

এ ঘটনার পর পরই অনেকটাই নড়েচরে বসে প্রশাসন ও রেলকর্তৃপক্ষ। তারা দ্রæত রেলের জাগয়া অবৈধ দখলমুক্ত করেন। তবে তার কিছুদিন পরই পাল্টে যায় এর চিত্র। আবারও পুরনো রূপে ফিরে যায় নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন।

নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের জনবল কম থাকায় তাকে দিয়ে অনেক সময় আমরা অফিসিয়াল অনেক কাজ করিয়ে থাকি। তবে তার মূলত কাজ হলো রেলস্টেশন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।

‘একজন স্টেশন মাস্টার থাকা সত্বেও কিভাবে রেলের জায়গা অবৈধভাবে দখল হয় এবং সেখানে কিভাবে রাতে আধাঁরে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠে, তাদের বিরুদ্ধে কেন স্টেশন মাস্টার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না’ এমন সব প্রশ্নের কোন প্রতিউত্তর দিতে পারেননি নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার কামরুল ইসলাম।

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের  ভূ-সম্পদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, রেলের জায়গা উদ্ধার করতে গেলেই সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যুরা রিট মামলা করে দেয়। আদালত স্থগিতাদেশ দেন। এতে করে বেদখলে থাকা রেলের জমি উদ্ধারে বেশ হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু আমরা শত বাধা উপেক্ষা করেও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথ পরিদর্শন এবং ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প দেখতে এসে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের বলেছিলেন , খোঁজ নিয়ে জেনেছি, রেলের জমি দখলে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও জড়িত। অবৈধ জমি যে কোনো মূল্যে উদ্ধার করা হবে। দলীয় নেতা কিংবা যে কোনো রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালী ব্যক্তি, সস্ত্রাসী- কেউই ছাড় পাবে না। জমি উদ্ধারসহ দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।