১৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১লা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 130

ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ এসপি না’গঞ্জের মঈনুল হক

ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার নির্বাচিত হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক, বিপিএম, পিপিএম। এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার নির্বাচিত হলেন তিনি।
রবিবার (১৫ জুলাই) ঢাকা রেঞ্জ অফিসে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ সুপার মঈনুল হকের হাতে সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট প্রদান করেছেন ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, পিপিএম। এ সময় অন্যান্য উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে সম্মাননা পেয়েছিলেন পুলিশ সুপার মঈনুল হক, বিপিএম, পিপিএম।

সিদ্ধিরগঞ্জে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিদ্ধিরগঞ্জে মনি আক্তার(২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায় মিজমিজি বাতেনপাড়া এলাকার রুহুল আমিনের বাড়ি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল আজিজ এ তথ্য জানান।

পুলিশের ধারনা, তিন থেকে চারদিন আগে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর স্বামী সিএনজি চালক রিপন মিয়া পালিয়ে গেছে। একই সাথে ঘরের সকল ছবি ও পরিচয়পত্রও নিয়ে গেছেন তিনি।

পরিদর্শক আব্দুল আজিজ বলেন, নিহত মনি আক্তার সিদ্ধিরগঞ্জ ইপিজেটে ফ্যাশন সিটি গার্মেন্ট নামের একটি পোশাক করাখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তারা রুহুল আমিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিল।

তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিন আগেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। বাসায় কোনো পরিচয়পত্র ও ছবি নেই। ধারনা করছি, পারিবারিক সকল পরিচয়পত্র ও ঘরের ছবি নিয়ে পালিয়ে গেছে স্বামী। পারিবারিক কোন কারণে দ্বন্দ্বেই হয়তো হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে এ হত্যার পেছনে অন্য কিছু আছে কিনা স্বামীকে আটকের পর জানা যাবে।

না’গঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী হত্যার দায় স্বীকার

আবদুর রহিমঃ স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবাব বন্দি দিয়েছে পিন্টু দেবনাথ। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যার মূল আসামি পিন্টু দেবনাথের স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম পিন্টু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

পিন্টু দেবনাথ আদালতকে বলেন, অর্থ, বন্ধকি স্বর্ণালঙ্কার ও দোকান আত্মসাতের পরিকল্পনায় বন্ধু প্রবীরকে হত্যা করি। নারীর প্রলোভন দেখিয়ে বন্ধু প্রবীরকে বাসায় ডেকে হত্যার পর লাশ ৭ টুকরা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিই।

যে বাড়িতে ব্যবসায়ী প্রবীরকে হত্যা করা হয় পিন্টু ওই বাড়ির দোতলার একটি ফ্ল্যাটে থাকত। গত ১৮ জুন রাত থেকে প্রবীর নিখোঁজ ছিল। তার সন্ধান দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন চালিয়ে আসছিল স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ কালিরবাজার স্বর্ণপট্টির ভোলানাথ জুয়েলার্সের মালিক ভোলানাথ ঘোষের ছেলে।

প্রসঙ্গত, নিখোঁজের ২১ দিন পর গত ৯ জুলাই রাত ১১টায় শহরের আমলপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার চারতলা ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে প্রবীর ঘোষের সন্ধান দাবিতে কালিবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল ঘাতক পিন্টু।

সিরাজদিখান বালুরচরে টেটা যুদ্ধের শেষ কোথায়?

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নে আদিযুগ থেকে চলে আসা আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টেটা বল্লমের সংঘর্ষের শেষ কোথায়? কোন দিন কি, শেষ হবে এই টেটা বল্লমের সংঘর্ষ? এমনটাই প্রশ্ন তুলেছেন ওই এলাকার হাজার হাজার নিরহ মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে ওই এলাকার সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই চর দখল নিয়ে শুরু হয়েছিল উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসমহল বালুচর গ্রামের মোঃ সেরাজুল, জালাল মাস্টার, বনী আমি চেয়ারম্যান গং এবং মোল্লা কান্দি গ্রামের আলী হোসেন সরকার, গেদা মেম্বার, লেচু বকসা, গোলাম হোসেন চেয়ারম্যান পানিয়ারচর গ্রামের আয়ান প্রেসিডেন্ট গং এই টেটা বল্লম সংঘর্ষের শুরু করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় অদ্যাবধি ক্রমশই চলছে এই টেটা বল্লম সংর্ঘষ।

বর্তমানে মোল্লাকান্দি বালুচর গ্রামের নুরুবাউল, নাছির মেম্বার, কামাল মেম্বার, আমজাদ সরকার, আমীর হোসেন ও আলেক চাঁন মুন্সী, খাসমহল বালুচর গ্রামের শুক্কুর আলী মাদবর, রাজনগর গ্রামের আফজাল মেম্বার, ফিরোজ মেম্বার, আকবর নগর গ্রামের মুক্তার হোসেন, হাজী মমতাজ উদ্দিন, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ জাজীরা এলাকার কাশেম নেতা, নারয়ানগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবরনগর গ্রামের হাজী সামেদ আলী গড়ে তুলেছে টেটা বল্লম বাহীনি। এছাড়াও লতব্দী ইউনিয়নের ভাসানচর, দোসরপড়া, কংশপুরা, রামকৃষ্ণদী, গোডাউন বাজার, বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর, পানিয়ারচর গ্রামের লোকজনও এ টেটা বল্লম সঘর্ষের মূল হোতাদের সাথে সম্পূক্ত রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে প্রশাসনের লোকজন স্থানীয় ভাবে বহুবার মিমাংসা করে দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কেউ কোন সুরাহা দিতে পারেন নি। এমনকি কয়েকদিন আগে বর্তমান টেটা বল্লম সংঘর্ষের মূল হোতাদের সিরাজদিখান থানায় ডেকে এনে সুরাহা করার চেষ্টা করলে তারা মন থেকে মেনে নেন নি। তলে তলে তারা সংঘর্ষের পায়তারা চালিয়েই যাচ্ছে। এমনকি তারা তাদের লোকজন দিয়ে দেশীয় অস্ত্র মজুদ এবং সংগ্রহ করছেন।

এব্যপারে ওই এলাকার একাধীক গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় বালুচর বাজারের ব্যবসায়ীরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিনিয়তই সংঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। কখন যেন আবার শুরু হয়ে যায় এই টেটা বল্লম সংঘর্ষ। তারা মনে করছেন বাজারের ইজারা এবং ইট ভাটাকে নিয়েই এই সংঘর্ষ ঘটে।

নুরু বাউল জানান, আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকেই চলে আসছে টেটা বল্লম সংঘর্ষ। আমরাও নিজেদের সম্পদ এবং নিজের বংশের লোকদের রক্ষা করতে টেটা সংঘর্ষে জড়িত হতে হয়েছে। তবে আমরা যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করছি এই টেটা বল্লম সংঘর্ষ যেন আর না হয়।

আলেক মুন্সী জানান, টেটা বল্লম সংঘর্ষ করার আমাদের কোন ইচ্ছাই নাই। তারপরও টেটা বল্লম সংঘর্ষে জড়িত হতে হয় নিজের বাপ দাদার সম্পদ রক্ষার্থে। আপনারা জানেন বিগত দিনে আমার ও আমার বংশের জমি এবং ইট ভাটা জোর করে দখল করে নিয়ে গেছে আমাদের প্রতিপক্ষ।

আমার বংশের ২৮টি বসত ঘর আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলেছিল প্রতিপক্ষের লোকজন। প্রতিনিয়তই আমাদের ভয়ের ভিতরে থাকতে হয় কখন জানি আবার সেগুলো ধংশ করে দেয় তারা। আমি বর্তমানের বালুচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়েও এ নির্যাতনের স্বীকার। আমি প্রশাসন এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অনুরোধ করবো যেন এই টেটা বল্লম সংঘর্ষের ইতি টানার জন্য।

কাশেম নেতা জানান, টেটা বল্লম সংঘর্ষের কোন প্রয়োজন আমাদের নেই। ফতুল্লা থানাধীন আকবরনগর গ্রামের সামেদ আলী বাহীনি আমাদের জাজিরা ও সিরাজদিখানে জোর করে ঢুকে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় এবং জোর দখলকে প্রতিহত করতেই আমাদের এই পন্থা ব্যবহার করতে হচ্ছে। আমাদের এমন কেউ যদি আসতো এই টেটা বল্লম সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য তাহলে আমরা তার কাছে আজিবন কৃতজ্ঞ থাকতাম।

এ ব্যাপারে সিরাজদিখান পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হেলালউদ্দিন জানান, আমি সিরাজদিখান থানায় যোগদানের পর টেটা বল্লম সংঘর্ষ এবং টেটা বল্লম সংঘর্ষের প্রস্তুতি যা ঘটেছে সিরাজদিখান থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে দু-পক্ষের দ্বন্দ্ব মীমাংসা করে দিয়েছি।

কেউ খাবারের জন্য কষ্ট করছে না- শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এখন আর কারও কাছে মাথা নত করতে হয় না। বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কেউ না খেয়ে থাকছে না। প্রতিটি ঘরে ঘরে খাবার আছে, মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। কেউ খাবারের জন্য কষ্ট করছে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার প্রতিটি ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার মুসলিমনগর এতিমখানায় প্রায় ৬০ জন অসহায় এতিমের সঙ্গে মধ্যহ্নভোজে প্রথান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, আমরা যারা একটু সবল রয়েছি, ভালো অবস্থানে আছি তারা যেন সরকারের দিকে না তাকিয়ে এতিম শিশুদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। এই শিশু বাচ্চাদের যদি আমরা একটু আদর-ভালোবাসা দেই তাহলে তারা স্বচ্ছন্দে থাকতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার সরকারের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিজেদের জীবন রক্ষায় রোহিঙ্গারা যখন বাাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে ঠিক তখনই বিশ্বের অনেক মোড়লরা বাংলাদেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করে যুদ্ধ লাগিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সুবিধা নিতে চেয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা তাদের সেই ইচ্ছায় জল ঢেলে দিয়ে অসহায় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে জায়গা দিয়ে নতুন নজীর স্থাপন করেছেন।

শামীম ওসমান বলেন, বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় আমাদের সমস্যা হচ্ছে জনসংখ্যা, আমাদের দুর্বলতা হচ্ছে জনসংখ্যা এবং সফলতাই হচ্ছে জনসংখ্যা। দেশের আয়তন হিসেবে অন্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের জনসংখ্যা বেশি হলেও কেউ না খেয়ে থাকছে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের পক্ষে এটাই সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ আজ নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে। আগামী ২০৩১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার মত উন্নত দেশের দিকে অগ্রসর হবে।

শামীম ওসমানের স্ত্রী লিপি ওসমানের আয়োজনে এতিমদের সঙ্গে মধ্যহ্নভোজ ও কেক কেটে উৎসব আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসনে আরা, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউজ্জামান বদু, যুগ্ম সম্পাদক বিএম শফি প্রমুখ।

বক্তাবলীর আকবরনগরের সামেদ আলী ও রহিমের নাটকীয় সমঝোতা

ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবর নগর এলাকার বিবাদমান দুই গ্রুপের নেতা সামেদ আলী হাজি ও রহিম হাজি সংঘর্ষ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সম্পৃক্ত না থাকার অঙ্গিকার করে পুলিশের কাছে লিখিত দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদেরের কাছে ওই অঙ্গিকারনামা প্রদান করেন তাঁরা। এসময় তাঁদের সাথে ছিলেন বক্তাবলী ইউনিয়ণ পরিষদ চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী।

সূত্র জানায়, বেশ কয়েক বছর ধরেই আকবর নগরের সামেদ আলী হাজি ও রহিম হাজি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এর জের ধরে প্রায় সময় উভয় পক্ষের লোকজন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। চলে হামলা পাল্টা হামলাসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা। এসব ঘটনায় আকবর নগরের সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও ব্যাহত হয়।

উভয় গ্রুপের মধ্যে সম্প্রতি উত্তেজনা দেখা দিলে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ প্রায় ১৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণের টেঁটা, বল্লম, রামদাসহ ১২জনকে আটক করে।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) শাহ্ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের(পিপিএম)বলেন, “এভাবে তাঁরা এর আগেও লিখিত দিয়েছিলো। বুকে বুকও মিলিয়েছিলো উভয় গ্রুপ। বেশ কয়েকবার বলেছিলো তাঁরা আর এমন কর্মকা- করবেন না। কিন্তু সেসব কথা আর রাখেনি। এবার রাখবেন বলেও মনে হয় না। তারপরও আমরা দেখবো। এরপর যদি আবারও সন্ত্রাসী কর্মকা- করে তাহলে কঠোর অ্যাকশনে যাবে পুলিশ। কোনো ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকা- বরদাস্ত করা হবে না।”

এ প্রসঙ্গে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ণ পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, এর আগে তাঁরা কথা রাখেনি। এবার আমরা এর সাথে সম্পৃক্ত। এবার যদি কথা না রাখে তাহলে কঠিন অ্যাকশনে যাবো প্রশাসনের মাধ্যমে। কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এই সুযোগই তাঁদের জন্য শেষ।

ফিফা প্রেসিডেন্টকে পাশে পেলেন মেসি

ডেস্ক নিউজঃ বিশ্বকাপে তেমন আহামরি কোন পারফরম করতে পারেননি আর্জেন্টিনা সেরা তারকা লিওনেল মেসি। পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই ফ্রান্সের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেন। ৪টি বিশ্বকাপে খেললেও এখনো অধরা ট্রফি ছোঁয়া হয়নি মেসির।

নিজের এমন হতাশাগ্রস্থ সময়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোকে পাশে পেলেন তিনি। শুক্রবার জিয়ান্নি ইনফান্তিকোকে মেসি বিষয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, ‘মেসি কিংবদন্তী খেলোয়াড় এবং সবসময়েই সে থাকবে। সে অসাধারণ সব গোল করে থাকে। মাঝে মাঝে এটা দেখা যায় না তার মধ্যে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যদি আর্জেন্টিনা ফ্রান্সের সাথে ২-১ ব্যবধানে জিততো তাহলে হয়তো বিশ্বকাপের পরবর্তী পর্যায়ে সে তার স্কিল দেখানোর সুযোগ পেতো।’

তবে, মেসির খেলা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট। এমনকি মেসি আরো দশ বছর খেলা চালিয়ে যাবে, এমনটাই স্বপ্ন দেখেন ফিফা প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে কারণ আমরা চাই সে আরো দশ বছর খেলা চালিয়ে যাবে এবং স্বপ্ন দেখিয়ে যাবে এবং এটা সে করে যাবে।’

তবে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্সে হতাশ ইনফান্তিনো। ফিফা প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আর্জন্টিনা জাতীয় দলের কাছে সে দেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা ছিল। শুধু তাই নয়, পুরো বিশ্বই দলটির দিকে তাকিয়েছিল। কিন্তু তারা দারুণ এক ম্যাচে হেরে গেছে ফ্রান্সে কাছে যে দলটি এখন ফাইনালে। আশা করবো পরবর্তী বিশ্বকাপে আমরা শক্তিশালী একটি আর্জেন্টিনা দল পাবো।’

জাতীয় নির্বাচনে ভোটে ও জনসমর্থনে এগিয়ে আ.লীগ: বিএমআই রিসার্চ

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সময় জনসমর্থনে এগিয়ে থাকবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিএমআই রিসার্চ।

দুইশর বেশি দেশে রাজনৈতিক ঝুঁকি নিরূপণে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিএনপি নেতাকর্মীরা গত কয়েক মাস ধরে অনশন, মানববন্ধনের মত যেসব রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে আসছেন, তাতে চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না।

শুক্রবার প্রকাশিত বিএমআই রিসার্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ফেব্রুয়ারিতে দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাগারে যাওয়ার পর দলটির শক্তি অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।

ফলে ‘দুর্বল নেতৃত্বের’ বিএনপি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সামনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারবে না বলেই এ গবেষণা সংস্থার বিশ্লেষকদের ধারণা।

“ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে এবং দেশে বহু নেতা গ্রেপ্তার থাকায় বিএনপির নেতৃত্বে ‘শক্তিশালী’ নেতার সঙ্কট তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের অবস্থা এর উল্টো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সাল থেকে দলটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন, কয়েক মেয়াদে তিনি সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।”

আর গত মে ও জুন মাসে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বড় জয়ের মধ্যেও বিএনপির সমর্থন কমার আভাস দেখতে পাচ্ছে বিএমআই রিসার্চ।

তাদের স্বল্পমেয়াদী রাজনৈতিক সূচকে বাংলাদেশের স্কোর এবার একশর ভেতরে ৫৮.১। তবে নির্বাচন ঘিরে আগের মত সহিংসতার সম্ভাবনা বিএমআই রিসার্চ উড়িয়ে দিচ্ছে না।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে ভোট করার দাবি জানিয়ে আসা বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার ইংগিত দিয়ে রেখেছে। অন্যদিকে তাদের নির্দলীয় সরকারের দাবি বরাবরই নাকচ করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

“ফলে ২০১৪ সালের মত এবারও বিএনপির নির্বাচন বর্জনের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। নির্বাচনের আগে-পরে তাদের সহিংস আন্দোলনের সম্ভবনাও আমরা নাকচ করতে পারছি না।”

বিএনপির বর্জনের মধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি আসনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে ওই নির্বাচনে জয় পেয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের টানা তিন মাসের অবরোধ-হরতালে শতাধিক মানুষের প্রাণ যায়। ওই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে গ্রেপ্তার হয় সাত হাজারের বেশি নেতাকর্মী।

বিএমআই রিসার্চ বলছে, রাজনৈতিক বাস্তবতার পাশাপাশি ভোটের বছরের বাজেটে গ্রামের কৃষিজীবী মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য যেসব সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তার ফলও আওয়ামী লীগ নির্বাচনে পাবে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ভর্তুকি, কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে বরাদ্দের পরিমাণ আগের বছরের তুলতায় যথাক্রমে ২৭.৯, ২৪.৮ ও ৮.৯ শতাংশ বাড়িয়েছে। এটা ভোটারদের সমর্থন আদায়ে ভূমিকা রাখবে বলে গবেষণা সংস্থাটি মনে করছে।

ফতুল্লায় মাদকসহ গ্রেফতার-৩

ফতুল্লার নন্দলালপুর এলাকার শীর্ষ মাদক সম্রাট রনি ওরফে পেচাঁ রনি,স্ত্রী পপি ও শাকিল মাদকসহ ৩ জন গ্রেফতার।বৃহস্পতিবার(১২ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টায় নন্দলালপুর এলাকায় ফতুল্লা মডেল থানার এস.আই কাজি এনামুল হক ও এ এস আই তারেক আজিজ সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে পশ্চিম নন্দলালপুর থেকে ৪০০ পিস ইয়াবাসহ তাদের কে গ্রেফতার করেছে।এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কাজী এনামুল হক জানান আসামীদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

নেতাকর্মদের প্রতি খোরশেদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ সদ্য কারামুক্ত নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক ও তিনবারের নির্বাচিত কাঊন্সিলার মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া এবং বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

গতকাল বুধবার বিকালে তিনবার জেলগেটে শ্যোন এরেষ্ট শেষে ৮ মামলায় উচ্চ আদালতের জামিন ও জেলগেটে পুনরায় গ্রেফতার করা যাবে না মর্মে মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দ্দেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। এসময় তাকে জেলগেটে শতশত নেতাকর্মীর স্বাগত জানান।উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,আমি মহানগর যুবদল ও বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।আমি ধন্যবাদ জানাই আইনজীবি ও সংবাদকর্মীদের প্রতি।এসময় তিনি দেশনেতা তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন,ঈদুল ফিতরের দিন আমার পরিবারের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করে তিনি সমবেদনা জানিয়েছেন ও সাহস জুগিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক ও তিনবারের নির্বাচিত কাঊন্সিলার মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন হামলা মামলা ও খুন গুম করে জেলে দিয়ে আমাকে গনতন্ত্র পুনুরুদ্ধারের আন্দোলন থেকে বিরত রাখা যাবে না। তিনি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন ও গনতন্ত্র পুনুরুদ্ধারের সংগ্রাম অব্যাহত ও আরো জোড়দার করবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।তিনি আরো বলেন, খুন-গুমের ভয় থাকলেও আল্লাহ ছাড়া কোন রক্ত চক্ষুকে পরোয়া করি না।রাজপথে ছিলাম,আছি ও আগামী দিনেও রাজপথে থাকবো। আমার জন্ম রাজপথে,মৃত্যুও হবে জপথে,ইনশাল্লাহ।তিনি আরো বলেন,পদ পদবীর জন্য রাজনীতি করি না,তাই পদের লোভে চুপ করে থাকবো না, রাজপথের সক্রিয় নেতাকর্মীদের অধিকার আদায়েও সক্রিয় থাকবো ইনশাল্লাহ।