২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 189

কুরবানি উপলক্ষে চুল ও নখ কাটার শেষ দিন কবে?

জিলহজ্বের চাঁদ দেখার পর থেকে কুরবানির আগ পর্যন্ত নিজের নখ, চুল, মোচ, নাভীর নিচের পশম ইত্যাদি না কাটা মুস্তাহাব। হযবরত উম্মে সালমা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুল (সা) ইরশাদ করেন, “তোমরা যদি জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখতে পাও আর তোমাদের কেউ কুরবানি করতে ইচ্ছে করে তবে যেন স্বীয় চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।” (সহীহ মুসলীম ১৯৭৭, আবু দাওদ শরীফ ২৪৩৭), ।

যে ব্যক্তি কুরবানী দিতে সক্ষম নয় সে ব্যক্তিও এ আমল করলে তার ফজিলত পাবে। ফজিলত হল, ‘যে ব্যক্তি এই আমল করবে সে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে পূর্ন একটি কুরবানির সওয়াব পাবে। (মুসনাদে আহমাদ ৬৫৭৫, আবু দাউদ শরীফ ২৭৮৯, নাসায়ী শরীফ ৪৩৬৫) । অতএব মুসলিম হাদিস অনুযায়ী যারা কুরবানি করার ইচ্ছে পোষণ করছেন, তারা জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে হাত পায়ের নখ, মাথার চুল ও অবাঞ্ছিত চুল ইত্যাদি কাটবে না, যদি ৪০ দিন না হয়ে থাকে এগুলো না কাটার মেয়াদ। যদি ৪০ দিনের বেশি হয়ে থাকে, তাহলে এসব কেটে ফেলা আবশ্যক। নতুবা ১০ দিন পর কুরবানির পর পরিস্কার করবে। এ কাজটি সুন্নত।

তবে কেউ কেউ না কাটা ওয়াজিবও বলেছেন। তারা বলেন, কুরবানিদাতা নখ চুল কাটলে গুনাহগার সাব্যস্ত হবেন। কোনোটিই সম্ভাবনার বাইরে নয়। তাই না কাটাই উত্তম।

অতএব, আগামী ২৩ আগস্ট জ্বিলহজ মাসের চাঁদ উঠার কথা রয়েছে। সে হিসাবে ২৩ তারিখ বুধবার সন্ধ্যার আগেই চল নখ কাটার আমলটি করতে পারেন সওয়াবপ্রত্যাশী ও কুরবানিদাতারা। এরপর থেকে কুরবানির আগ পর্যন্ত এসব কাজ করা মাকরূপ এর অন্তর্ভুক্ত।

জরুরি বৈঠকে বসছেন রাষ্ট্রপতি-প্রধান বিচারপতি

মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার আনুষ্ঠানিক বৈঠক হতে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হবে যেকোনো সময়ে। বঙ্গভবনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। বৈঠকে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে আলোচনা যে হবে তা নিশ্চিত। বঙ্গভবনের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বৈঠকের প্রস্তুতির কথা স্বীকার করেছেন। দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি যেকোনো সাংবিধানিক পদের ব্যক্তি বা কর্মকর্তাকে বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন।

গত ৩ জুলাই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সর্বসম্মত রায়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে বাতিল এবং অবৈধ ঘোষণা করে। এই রায়ের ফলে, ৭২ এর সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদে থাকার যে বিধান বর্তমান সংসদ প্রতিস্থাপন করেছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। এর স্থলে সামরিক শাসনামলে করা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানকে পুন:স্থাপিত করা হয়। রায়ে কিছু পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। আদালতের বারান্দা থেকে এই রায় রাজনৈতিক মাঠে উত্তাপ ছড়িয়েছে। বিএনপি এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। বিএনপি নেতারা রায়কে ঐতিহাসিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। অন্যদিকে এই রায়কে গ্রহণ করতে পারে নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রায় সব মন্ত্রী বক্তব্য রেখেছেন। আইনমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে রায়কে অগ্রহণযোগ্য বলেছেন।

১৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকের পরই সবার চোখ বঙ্গভবনের দিকে ছিল। বঙ্গভবনের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের অসংগতি এবং প্রধান বিচারপতির অসদাচারণের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বঙ্গভবন এই বৈঠকের আয়োজন করেছে। রাষ্ট্রপতি কী করবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়। (পূর্বপশ্চিম)

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ খুঁজছেন মাইজভান্ডারী

সুযোগ থাকলে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয জোটের শরিক বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি। তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি শপথ ভঙ্গ করেছেন। এসময় তিনি প্রধান বিচারপতিকে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক পদত্যাগ করার আহ্বান জানান।

রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এসব কথা বলেন। ষোড়শ সংশোধনীর পর্যবেক্ষণ এর প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে তরিকত। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে দলের মহাসচিব এম এ আউয়াল এমপি।

নজিবুল বশর বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি আত্মস্বীকৃত শান্তি কমিটির সদস্য। তিনি নিজের মুখেই বলেছেন, ‘‘শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন।’’ তিনি ১/১১ এর সময় মঈন-ফখরুদ্দিনের দোসর ছিলেন। এবং সিঙ্গাপুরে সাকা চৌধুরীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে শপথ ভঙ্গ করেছেন।’

নজিবুল বসর মাইজভান্ডারী সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ও এর পর্যবেক্ষণে সংক্ষুব্ধ হওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, এই পর্যবেক্ষণ কল্পনাপ্রসূত। এই রায় দিয়ে প্রধান বিচারপতি ৭২ এর সংবিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা করবেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে নজিবুল বশর বলেন, ‘‘আমি ব্যক্তিগতভাবে সুযোগ থাকলে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা করব। আজ হোক বা কাল হোক, আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’’

ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দল তরিকতের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি। প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে এর আগে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।’

ষোড়শ সংশোধনীর পর্যবেক্ষণে ‘সংসদকে অপরিপক্ক’ বলার বিষয়ে মাইজভান্ডারী বলেন, ‘জানি না, প্রধান বিচারপতি কোন অসন্তুষ থেকে এমন বক্তব্য দিয়েছেন। তার রায়ে আমি সংক্ষুব্ধ।’ প্রধান বিচারপতি তার ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছেন বলেও অভিযোগ করেন মাইজভান্ডারী।

লিখিত বক্তব্যে তরিকতের মহাসচিব এম এ আউয়াল এমপি বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে বঙ্গবন্ধুকে ছোট করা হয়েছে। পৃথিবীতে বহু উদাহরণ আছে, এক ব্যক্তির নেতৃত্বেই একটি জাতি গঠন হয়েছে। মুক্তিসংগ্রামের পথে এগিয়ে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে এম এ আউয়াল জানান, চলমান বন্যা সংকটে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে একটি ত্রাণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীকে আহ্বায়ক, সৈয়দ তৈয়্যবুল বশর মাইভান্ডারীকে সদস্য সচিব ও সৈয়দ আবু দাউদ মসনভী হায়দারকে সমন্বয়ক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি করা হয়েছে। (আমাদের সময়)

আমরা যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি : প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা বলেছেন, ‘আমরা বিচার বিভাগ যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি। যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি। আজকে একজন কলামিস্টের লেখা পড়েছি। সেখানে ধৈর্যের কথা বলা আছে। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে ইয়ো (অযোগ্য) করেছেন। সেখানে কিছুই (আলোচনা সমালোচনা) হয়নি। আমাদের আরও পরিপক্বতা দরকার।’

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার গেজেট প্রকাশের শুনানিতে রোববার এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আজ এ মামলার শুনানি হয়। পরে আদালত বিষয়টির ওপর পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ওই মামলায় আবারও সময়ের আবেদন করলে প্রধান বিচারপতি তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘গত তারিখে কি কথা ছিল? আলাপ-আলোচনা করার কথা হয়েছিল। কার সঙ্গে কে কে থাকবে?’

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ল’ মিনিস্টার। এ সময় বিচারপতি ওয়াহাব মিঞা বলেন, ‘অল দ্য জাজেস অব অ্যাপিলেট ডিভিশন। এতই আমরা ইয়ে হয়ে গেলাম, আলোচনা পর্যন্ত করলেন না।’
প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, ‘মিডিয়াতে অনেক কথা বলেন। কোর্টে এসে অন্য কথা বলেন। আপনাকে নয়। আপনাদের বলছি। আপনিই বলেন। কবে কী হবে। আপনারা ঝড় তুলছেন। আমরা কোনো মন্তব্য করছি?’

এ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘না আপনারা করেননি।’ জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনার চাওয়া মতো ৮ তারিখ রাখলাম।’

এ সময় ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম বলেন, ‘আমার আবেদনটি শুনানি করেন।’
তার জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগ ধৈর্য ধরছি। যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি। আজকে একজন কলামিস্টের লেখা পড়েছি। সেখানে ধৈর্যের কথা বলা আছে। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রী কে ইয়ো (অযোগ্য) করেছেন। সেখানে কিছুই (আলোচনা সমালোচনা) হয়নি। আমাদের আরও পরিপক্বতা দরকার।’

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। ১২ দফায় ইতোমধ্যে কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এজন্য বারবার আদেশ দিতে হয়েছে আপিল বিভাগকে। এমনকি ২০০৪ সালে আদালত অবমাননার মামলাও করতে হয়েছে বাদীপক্ষকে।

২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। গত ২৭ জুলাই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই খসড়া হস্তান্তর করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। (জাগোনিউজ)

মাদকের সাথে জড়িতদের বালুরচর ইউনিয়নে জায়গা নেই-আবু বকর সিদ্দিক

জীবনকে ভাল বাসুন মাদককে না বলুন। মাদকের বিরুদ্ধে লড়বো আমরা বেশ, মাদক হবে এদেশ থেকে শেষ। একটি পরিবারকে ধংশ করার একজন মাদকাসক্তই যতেষ্ঠ। আজকের মাদক সেবী আগামী দিনের মাদক বিক্রেতা। মাদক নির্মূলের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। মাদক ক্যান্সারের চেয়েও ভয়াবহ। মাদকের সাথে জড়িতদের বালুরচর ও বক্তাবলী পরগনায় জায়গা হবে না।

শনিবার সকাল ১০টায় বালুর চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাদক বিরুধী সমাবেশে বালুর চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আবু বকর প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কালীনগর হাজী তাইজুদ্দিন নূরানী কোরআন শিক্ষা ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলহাজ্ব আনিসুর রহমান (খোকন) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রকৌশরী রুহুল আমীন,আই সিটি অফিসার নজরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মতিউর রহমান,গাজী সালাউদ্দিন,আনিছুর রহমান,ভিপি আলমগীর, এড.আল আমীন সিদ্দিকী,মোঃ নাছির হোসেন,হাজী মোঃ জয়নাল আবেদীন,সাহাবউদ্দিন বাদল, আবজাল হোসেন মেম্বার, মোঃ দুলাল মেম্বার,সাবেক মেম্বার আজগর আলী,আমজাদ হোসেন,শিশির আহম্মেদ দুলাল, আঃ আজিজ,আবজাল হোসেন,মোঃ রিপন,ইদ্রিস আলী,আবুল, হোসেন ভুট্রো, মোসলেউদ্দিন,হারুন রশীদ সরকারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এসময় সামাজিক সংগঠন আলোকিত বক্তাবলী, মোহসেনিয়া ইসলামি দাখিল মাদ্রাসা, কালীনগর মৌলভী নিজামউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা,কালিনগর হাজী আবু বকর সিদ্দিক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ছমিনগর হোছাইনিয়া মাদ্রাসা,আল এহসান নাগরিক সেবা,ধ্রুব ফাউন্ডেশন,বাডর্স এবং ইসলাম ও আমরা এই সংগঠন গুলো তাদের সাথে একত্রতা ঘোষনা করে র‌্যালী, পথ সভা ও সমাবেশে অংশ গ্রহণ করে।

সন্ত্রাসী,মাদক ব্যবসায়ী ও জমি দখলকারীদের আওয়ামীলীগের প্রয়োজন নাই-শামীম ওসমান

মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাস ও জমি দখলকারীদের আওয়ামীলীগের প্রয়োজন নাই বলে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান। তিনি বলেন, আমি এলাকার মুরুব্বী ও ভাল মানুষ নিয়ে রাজনীতি করতে চাই। উন্নয়নের দায়িত্ব আমার আর এলাকার শান্তির জন্য আপনারা কাজ করবেন এটাই সবার কাছে আমার অনুরোধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার সকাল হতে বিকেল পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাতাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ফতুল্লার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ২০ স্পটে দোয়া ও কাঙ্গালীভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, গত ১৫ আগস্ট ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নং যে বোমা মারা হয়েছিল। এই বোমা মারার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর। তারা ইসলামের নামে বাংলাদেশে বোমা মারছে। কোথায় থেকে এসব বোমা আসলো সেটা আমাদের ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে হবে। ইসলামে কোথাও লেখা নাই বোমা মারো। এত সুন্দর শান্তির ধর্মে কারা বোমা আনলো। এটা ইহুদীদের সৃস্টি। বিএনপি – জামায়াত দেশকে আফগানিস্থান বানাতে চায়। তারাই দেশকে ধ্বংস করতে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চাইছে।
শামীম ওসমান আরো বলেন, ভাল মানুষ নিয়ে আমি রাজনীতি করতে চাই। কোন সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসায়ী আমার দলে থাকার দরকার নাই। মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাস যে দলের হউক না কেন ছাড় দেয়া হবে না। ঈদের পর ফতুল্লার প্রতিটি এলাকায় আমি একা গিয়ে সবার সাথে যোগাযোগ করবো। নারী-পুরুষ সবার সাথে কথা বলে খবর নিবো কোন এলাকায় কে মাদক বিক্রি করে আর সন্ত্রাস করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি মাদক ব্যবসায়ীর বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে বলা আছে, মাদক ব্যবসায়ী কোন দলের সেটা দেখার বিষয় নয়, ফেলে দিতে হবে (ক্রয়সফায়ার)। পাগলা এলাকায় পুলিশ কয়েকজনকে ফেলে দিয়েছে। তাদের কথা চিন্তা করে এখন থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ব্যবসা বন্ধ করবে এটাই প্রত্যাশা করছি।)

শামীম ওমমানের গাড়ির বহরসহ বিভিন্ন স্পটে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান স্বপন, আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিন হাওলাদার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, সাধারন সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম, থানা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটন, সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো: শরীফুল হক, সাধারন সম্পাদক এম এ মান্নান, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন ভুইয়া, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক মানিক চান, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল মিয়া, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন, জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন,থানা ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির আহম্মেদ জুয়েল, ছাত্রলীগ নেতা রাসেল, নবীনগর আওয়ামীলীগ নেতা মান্নান প্রধান, আলিম শেখ,মেম্বার আতাউর রহমান প্রধাণ,মনির মেম্বার, আমজাদ মেম্বার, আখিল মেম্বার ও জলিল মেম্বারসহ, অন্যান্য নেতাকর্মী।

ভাল মানুষ নিয়ে রাজনীতি করতে চাই-শামীম ওসমান

মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাস ও জমি দখলকারীদের আওয়ামীলীগের প্রয়োজন নাই বলে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান। তিনি বলেন, আমি এলাকার মুরুব্বী ও ভাল মানুষ নিয়ে রাজনীতি করতে চাই। উন্নয়নের দায়িত্ব আমার আর এলাকার শান্তির জন্য আপনারা কাজ করবেন এটাই সবার কাছে আমার অনুরোধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার সকাল হতে বিকেল পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাতাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ফতুল্লার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ২০ স্পটে দোয়া ও কাঙ্গালীভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, গত ১৫ আগস্ট ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নং যে বোমা মারা হয়েছিল। এই বোমা মারার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর। তারা ইসলামের নামে বাংলাদেশে বোমা মারছে। কোথায় থেকে এসব বোমা আসলো সেটা আমাদের ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে হবে। ইসলামে কোথাও লেখা নাই বোমা মারো। এত সুন্দর শান্তির ধর্মে কারা বোমা আনলো। এটা ইহুদীদের সৃস্টি। বিএনপি – জামায়াত দেশকে আফগানিস্থান বানাতে চায়। তারাই দেশকে ধ্বংস করতে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চাইছে।
শামীম ওসমান আরো বলেন, ভাল মানুষ নিয়ে আমি রাজনীতি করতে চাই। কোন সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসায়ী আমার দলে থাকার দরকার নাই। মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাস যে দলের হউক না কেন ছাড় দেয়া হবে না। ঈদের পর ফতুল্লার প্রতিটি এলাকায় আমি একা গিয়ে সবার সাথে যোগাযোগ করবো। নারী-পুরুষ সবার সাথে কথা বলে খবর নিবো কোন এলাকায় কে মাদক বিক্রি করে আর সন্ত্রাস করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি মাদক ব্যবসায়ীর বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে বলা আছে, মাদক ব্যবসায়ী কোন দলের সেটা দেখার বিষয় নয়, ফেলে দিতে হবে (ক্রয়সফায়ার)। পাগলা এলাকায় পুলিশ কয়েকজনকে ফেলে দিয়েছে। তাদের কথা চিন্তা করে এখন থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ব্যবসা বন্ধ করবে এটাই প্রত্যাশা করছি।)

শামীম ওমমানের গাড়ির বহরসহ বিভিন্ন স্পটে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান স্বপন, আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিন হাওলাদার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, সাধারন সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম, থানা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটন, সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো: শরীফুল হক, সাধারন সম্পাদক এম এ মান্নান, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন ভুইয়া, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক মানিক চান, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল মিয়া, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন, জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন,থানা ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির আহম্মেদ জুয়েল, ছাত্রলীগ নেতা রাসেল, নবীনগর আওয়ামীলীগ নেতা মান্নান প্রধান, আলিম শেখ,মেম্বার আতাউর রহমান প্রধাণ,মনির মেম্বার, আমজাদ মেম্বার, আখিল মেম্বার ও জলিল মেম্বারসহ, অন্যান্য নেতাকর্মী।

শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে‍ : আমাকেও হত্যা করতে পারে-শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, আমাদের গণতন্ত্রকে ধংস করতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে থামাতে প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। আমাকেও হত্যা করা হতে পারে সে আশংকাও আছে। কিন্তু আমি আমাকে নিয়ে চিন্তিত না। আমি শামীম ওসমান মারা গেলে কিছু হবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে দেশের স্বার্থে উন্নয়নের স্বার্থে গণতন্ত্রের স্বার্থে।

আমাদের সকলকে এখন ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি ১৫ আগস্ট দুপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলাদা দুটি অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী, সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক জসিমউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক শওকত ওসমান সরকার রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন,সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাঁতীলীগগের সভাপতি লিটন আহমেদ প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে খ্যাতিমান ব্যক্তি ও মিডিয়ার বাণী…..

আবুল কালাম আজাদ:
১. ‘আমি হিমালয় দেখিনি, বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি’ – ফিদেল ক্যাস্ট্রো।
২. ‘আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের মত তেজী ও গতিশীল নেতা আগামী বিশ বছরের মধ্যে এশিয়া মহাদেশে আর পাওয়া যাবে না’- হেনরি কিসিঞ্জার।
৩. শেখ মুজিবকে চতুর্দশ লুইয়ের সাথে তুলনা করা যায়। জনগণ তাঁর কাছে এত প্রিয় ছিল যে লুইয়ের মত তিনি এ দাবি করতে পারেন ‘আমি ই রাষ্ট্র’- পশ্চিম জার্মানির পত্রিকা।
৪. ‘শেখ মুজিব নিহত হলেন তাঁর নিজেরই সেনাবাহিনীর হাতে অথচ তাঁকে হত্যা করতে পাকিস্তানীরা সংকোচবোধ করেছে’ – বিবিসি, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫
৫. ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন সমাজতন্ত্র প্রতীষ্ঠার সংগ্রামের প্রথম শহীদ। তাই তিনি অমর’ – সাদ্দাম হোসেন।
৬. ‘শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারাল তাদের একজন মহান নেতাকে, আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে’ —ফিদেল কাস্ট্রো।
৭. ‘আপমহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব আর কুসুম কোমল হৃদয় ছিল মুজিব চরিত্রের বৈশিষ্ট্য’ — ইয়াসির আরাফাত।
৮. মুজিব হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না, যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে’- নোবেল বিজয়ী উইলিবান্ট।
৯. ‘শেখ মুজিবুর রহমান ভিয়েতনামী জনগণকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন’ — কেনেথা কাউণ্ডা।
১০. ‘শেখ মুজিব নিহত হবার খবরে আমি মর্মাহত। তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন। তাঁর অনন্যসাধারণ সাহসিকতা এশিয়া ও আফ্রিকার জনগণের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল’– ইন্দিরা গান্ধী।
১১. ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে বাঙলাদেশই শুধু এতিম হয়নি. বিশ্ববাসী হারিয়েছে একজন মহান সন্তানকে’- জেমসলামন্ড, ব্রিটিশ এমপি।
১২. প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের মতে, ‘শেখ মুজিব ছিলেন এক বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব।’
১৩. ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলেছে, ‘মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ কখনই জন্ম নিত না।’
১৪. ভারতীয় বেতার ‘আকাশবাণী’ ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট তাদের সংবাদ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে বলে, ‘যিশু মারা গেছেন। এখন লক্ষ লক্ষ লোক ক্রস ধারণ করে তাঁকে স্মরণ করছে। মূলত একদিন মুজিবই হবেন যিশুর মতো’।
১৫. একই দিনে লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’
১৬. নিউজ উইকে বঙ্গবন্ধুকে আখ্যা দেয়া হয়, ‘পয়েট অফ পলিটিক্স’ বলে।
১৭. ব্রিটিশ লর্ড ফেন্যার ব্রোকওয়ে বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিব জর্জ ওয়াশিংটন, গান্ধী এবং দ্যা ভ্যালেরার থেকেও মহান নেতা।’
১৮. জাপানি মুক্তিযোদ্ধা ফুকিউরা আজও বাঙালি দেখলে বলে বেড়ান, ‘তুমি বাংলার লোক? আমি কিন্তু তোমাদের জয় বাংলা দেখেছি। শেখ মুজিব দেখেছি। জানো এশিয়ায় তোমাদের শেখ মুজিবের মতো সিংহ হৃদয়বান নেতার জন্ম হবে না বহুকাল।’
১৯. ‘শেখ মুজিব দৈহিক ভাবেই মহাকায় ছিলেন, সাধারণ বাঙালির থেকে অনেক উঁচুতে ছিলো তাঁর মাথাটি, সহজেই চোখে পড়তো তাঁর উচ্চতা। একাত্তরে বাংলাদেশকে তিনিই আলোড়িত-বিস্ফোরিত করে চলেছিলেন, আর তাঁর পাশে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে যাচ্ছিল তাঁর সমকালীন এবং প্রাক্তন সকল বঙ্গীয় রাজনীতিবিদ। জনগণকে ভুল পথেও নিয়ে যাওয়া যায়; হিটলার মুসোলিনির মতো একনায়কেরাও জনগণকে দাবানলে, প্লাবনে, অগ্নিগিরিতে পরিণত করেছিলো, যার পরিণতি হয়েছিলো ভয়াবহ। তারা জনগণকে উন্মাদ আর মগজহীন প্রাণীতে পরিণত করেছিলো। একাত্তরের মার্চে শেখ মুজিব সৃষ্টি করেছিলো শুভ দাবানল, শুভ প্লাবন, শুভ আগ্নেয়গিরি, নতুনভাবে সৃষ্টি করেছিলেন বাঙালি মুসলমানকে, যার ফলে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম’- হুমায়ুন আজাদ।
২০. মরহুম মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীও বলেছিলেন, ‘টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবের কবর একদিন সমাধিস্থলে রূপান্তরিত হবে এবং বাঙালির তীর্থস্থানের মতো রূপলাভ করবে।’
২১. ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় তখন তিনজনের একটা আন্তর্জাতিক সাংবাদিকের টিম বাংলাদেশে এসেছিলেন। তাদের একজন ব্রায়ান ব্যারন।  দেশে ফিরে ব্যারন লিখেছিলেন- ‘১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে লিখিত তার সংবাদ বিবরণীতে বলা হয়, শেখ মুজিব সরকারিভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং জনসাধারণের হৃদয়ে উচ্চতম আসনে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবেন। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার। এটা যখন ঘটবে, তখন নিঃসন্দেহে তাঁর বুলেট-বিক্ষত বাসগৃহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্মারক-চিহ্ন এবং তাঁর কবরস্থান পুণ্য তীর্থে পরিণত হবে’। (দি লিসনার, লন্ডন, ২৮ আগস্ট, ১৯৭৫)।
২২. বঙ্গবন্ধুর নিহত হবার সংবাদ শুনে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এতটাই দুঃখ পেয়েছিলেন যে, তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন ‘তোমরা আমারই দেয়া ট্যাঙ্ক দিয়ে আমার বন্ধু মুজিবকে হত্যা করেছ! আমি নিজেই নিজেকে অভিশাপ দিচ্ছি।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর শোকে পাথর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে আসার জন্য জার্মানির একটি এয়ারপোর্টে তাঁর পাসপোর্টটি ইমিগ্রেশন অফিসারকে দেখালে সেই অফিসার পাসপোর্টটি দেখেই শেখ হাসিনাকে বললেন ‘ছিঃ তোমরা বাংলাদেশিরা খুব জঘন্য একটি জাতি, যেই মানুষটি তোমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন তাঁকেই তোমরা হত্যা করে ফেললে?’।
এর পরের ঘটনা আরও বেদনাদায়ক, সেই সময়ের পুরো এয়ারপোর্টের মানুষরা দেখল শাড়ি পড়া এক নারী চিৎকার করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন।

মনির মেম্বারের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবরের ৪২ তম শাহাদাৎ বাষির্কী পালিত

বক্তাবলীর ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ মনির হোসেনের নেতৃত্বে মঙ্গলবার বাদ যোহর লাল মিয়ার চর ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবরের ৪২ তম শাহাদাৎ বাষির্কী পালন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-মোঃ আলী হোসেন, মোঃ জাকির হোসেন মেম্বার, হাজী মোঃ তাইজুল ইসলাম, মোঃ মনোয়ার হোসেন, মোঃ নাছির উদ্দিন, জিয়াউর রহমান, মোঃ ছোট জাকির সহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।