৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 19

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বক্তাবলী বাসীকে ছলিম প্রধাণের ঈদ শুভেচ্ছা

নিউজ প্রতিদিন: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বক্তাবলী ইউনিয়নসহ দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন মো.ছলিম প্রধাণ জুয়েল।

বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মো.ছলিম প্রধাণ বলেন, ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সকলের মাঝে।  সকল ভেদাভেদ ভূলে  মিলেমিশে পালন করুক পবিত্র ঈদুল ফিতর এটাই কামনা। সেই সাথে বক্তাবলীর ইউনিয়ন বাসীসহ দেশবাসীকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

বক্তাবলী বাসীকে খোরশেদ মাস্টারের ঈদ শুভেচ্ছা

নিউজ প্রতিদিন: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বক্তাবলী ইউনিয়নসহ দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন মো.খোরশেদ আলম মাস্টার।

বক্তাবলীর কানাইনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বক্তাবলী ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি মো.খোরশেদ আলম মাস্টার বলেন, ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সকলের মাঝে।  সকল ভেদাভেদ ভূলে  মিলেমিশে পালন করুক পবিত্র ঈদুল ফিতর এটাই কামনা। সেই সাথে বক্তাবলীর ইউনিয়ন বাসীসহ দেশবাসীকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

আলোকিত বক্তাবলী’র সহ-সভাপতি দেলোয়ারের ঈদ শুভেচ্ছা

নিউজ প্রতিদিন : মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বক্তাবলীবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন আলোকিত বক্তাবলীর সহ-সভাপতি,বক্তাবলী ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি ও মেসার্স সুরুজ টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.দেলোয়ার হোসেন। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়। হিংসা ও হানাহানি ভুলে মানুষ সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ঈদ ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবার জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসে।

কানাইনগর ছোবহানিয়া স্কুল এন্ড কলেজের  এস,এস,সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

নিউজ প্রতিদিন : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কানাইনগর ছোবহানিয়া স্কুল এন্ড কলেজের  এস,এস,সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও ইফতার   মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৬ এপ্রিল (রবিবার) দিনব্যাপি স্কুল এন্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে এস,এস,সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান খান’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্কুল এন্ড কলেজের গর্ভনিংবডির সভাপতি আলহাজ্ব এম শওকত আলী ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক সভাপতি  ও বর্তমান গর্ভনিংবডির সদস্য মো. আলাউদ্দিন বারী।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, গর্ভনিং বডির সদস্য মো. আবু সাইদ রিংকু, আব্দুল রহিম, সাধারণ শিক্ষক সদস্য মো. জহিরউদ্দিন বারী, মো. শফিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক সদস্য মোসা. নাজনীন আক্তার, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য জনাবা মোসলেমা বেগমসহ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।

ঈদকে সামনে রেখে সরব রূপগঞ্জের জামদানি পল্লী

আবদুর রহিমঃ ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের জামদানি পল্লীর কারিগররা। এখানে বিভিন্ন দামের জামদানি শাড়ি পাওয়া যায়। ফলে চাহিদা অনুযায়ী জামদানি সংগ্রহ করতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ক্রেতারা।

শুধু জামদানিই নয় এখন পাঞ্জাবী,সালোয়ার কামিজও তৈরি হচ্ছে এখানে। এ নিয়ে জামদানি পল্লীর আরও প্রচারণা দরকার এমন দাবি জামদানি সংশ্লিষ্টদের।
তাঁত পল্লীর কারিগররা জানায়, পহেলা বৈশাখ এবং ঈদুল ফিতরকে ঘিরে বেচাকেনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে রাতদিন কাজ করছেন তাঁরা। সামনের দুটি উৎসবকে ঘিরে সরব হয়ে উঠেছে পুরো তাঁত পল্লী। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ এখানে ছুটে আসছে। নানা ডিজাইনের শাড়ীর পসরা সাজিয়েছে তাঁতিরা। দুই হজার
টাকা থেকে শুরু লক্ষাধীক টাকা মূল্যের শাড়ী রয়েছে এখানে। ক্রেতারা তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী শাড়ী কিনছেন।
জামদানির আতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার নোয়াপাড়া গ্রামটি। কিন্তু এ নিয়ে তেমন প্রচারণা নেই এমন অভিযোগ মালিক, তাঁত শিল্পীদের। তাঁদের দাবি প্রচারণা বেশী হলে বিক্রি বাড়বে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানাযায়, প্রাচীনকাল থেকেই শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় বরাবর সোনারগাঁও-রূপগঞ্জ-আড়াইহাজার অঞ্চলটি ছিল এ কাপড় তৈরির প্রাণকেন্দ্র। বর্তমানে রূপগঞ্জের নোয়াপাড়া, রূপসী, সুইসগেট, গঙ্গানগর, বরাবো, পবনকুল, মৈকুলী, খাদুন ও পার্শ্ববর্তী সোনারগাঁও এবং সিদ্ধিরগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় এই শিল্প বিদ্যমান। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও জামদানি তাঁতশিল্প রয়েছে।
জামদানি কার্পাস তুলা দিয়ে প্রস্তুত এক ধরনের সূক্ষ্ম বস্ত্র। প্রাচীনকালের মিহি মসলিন কাপড়ের উত্তরাধিকারী হিসেবে জামদানি বেশ জনপ্রিয়। কাপড়ের ওপর নকশা করে জামদানি কাপড় তৈরি করা হয়। আবার সুতি সুতার সঙ্গে সিল্ক সুতার সমন্বয়েও তৈরি করা হয় জামদানি কাপড়। জামদানি বলতে সাধারণত শাড়িকেই বোঝানো হয়। তবে জামদানি দিয়ে নকশি ওড়না, সালোয়ার, কামিজ, ফতুয়া, কুর্তা, পাগড়ি, রুমাল, পর্দা প্রভৃতি তৈরি করা হয় বলে জানান তাঁতিরা।
জামদানি তাঁতিদের কাছ থেকে জানা যায়, এই শিল্পের মানোন্নয়নে সরকারকে আরও উদ্যোগ গ্রহন করার পাশাপাশি তাঁতিদের সুযোগ সুবিধার বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিতে হবে।। তাঁতিদের মতে, বিসিকের কাছ থেকে প্লট ছাড়া কোনো সুযোগ-সুবিধা পাননি। বিসিক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন প্রকল্প ও নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় তারা জামদানি পল্লী নিয়ে চিন্তা করার সময় পান না।
বিসিক, নোয়াপাড়া জামদানি পল্লীর হাটে বৃষ্টির সময় পানি পড়ে, বাতাস ও বৃষ্টি হলে দোকান গুটিয়ে বসে থাকতে হয়।
নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জের জামদানি বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তা বায়েজিদ হোসেন জানায়, এক সময় সমাজের বিত্তবানরা তাঁতের শাড়ী ব্যবহার করলে এখন সব শ্রেণীর মানুষ তাঁতের শাড়ীর প্রতি ঝুঁকছে। শাড়ীর মূল্য হাতের নাগালে চলে আসায় এটা এখন আর বিত্তবানদের পণ্য নয়। তবে এখনও অনেক মানুষ জানে না জামদানি কোথায় তৈরি হয়। এর জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা দরকার। এতে ক্রেতারা সরাসরি পল্লিতে এসে নিজেদের পছন্দমতো জামদানি কিনতে পারবেন এবং কারিগর ও তাঁতিরাও লাভবান হবেন।

২০১৩ সালে ইউনেস্কো জামদানি বয়নশিল্পকে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজের মর্যাদা ও স্বীকৃতি দেয়। দেশ-বিদেশে জামদানি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জের জামদানি জিআই পণ্য হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করে।

চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের তান্ডব: প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে জোনায়েদ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : পারিবারিক শত্রুতা ও রাজনৈতিক কারণে প্রভাবশালী সন্ত্রাসীদের কাছে কার্যত জিম্মি হয়ে পড়েছে হাজী সোহরাবের পরিবার। নারায়ণগণ্জের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত ও লাঞ্ছিত হয়ে সোহরাব হাজীর আরেক পুত্র আবু সাঈদ ১০ বছর আগে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।

এবার আরেক পুত্র গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জোনায়েদকে টার্গেট করে তান্ডব চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। গত ১০ আগস্টে জোনায়েদের মালিকানাধীন মাহাদী গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে হামলা ও ভাংচুর চালায় এবং ৩১ ডিসেম্বর দুইজন নারী শ্রমিককে ডিক্রিরচর পল্লী উন্নয়ন সংগঠনে ধরে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করে জোনায়েদসহ কারখানার কর্মকর্তাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়। কারখানায় ও বাড়িতে গিয়ে হামলা- ভাংচুর চালানোর পর জোনায়েদের পরিবার নারায়ণগন্জ সদর থানায় মামলা করতে গেলে এমপি শামীম ওসমানের প্রভাবে থানা মামলা গ্রহণ করেনি বলে জোনায়েদ অভিযোগ করেছেন।

অসহায় পরিবারটি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়ে নারায়ণগন্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার চেষ্টা করলে সেখানেও তারা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। এমতাবস্থায় পারিবারিক ব্যবসা ও সহায়সম্বল হারিয়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জোনায়েদ ও তার পরিবারের সদস্যরা।

দীর্ঘদিন ধরে শামীম ওসমানের সন্ত্রাসীদের দ্বারা নিগৃহীত ও প্রাননাশের হুমকি ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বর্ননা দিয়ে গনমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য এই প্রতিবেদকের কাছে আবেদন জানান। এমপি শামীম ওসমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বেশ কয়েকবার ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা না করলে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো – ড. আব্বাসী

নিউজ প্রতিদিন: তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের আমীর মুফতী ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে নবী ও রাসুলগণকে দ্বীন ইসলামের দাওয়াতের জন্য পৃৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। সর্বশেষে আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে নাবীকূলের সম্রাট হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সর্বশ্রেষ্ঠ নাবী ও রাসূল হিসেবে প্রেরণ করে নুবুওয়্যাত ও রিসালাতের দরজা চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছেন। যার ফলে আজ পর্যন্ত কোন নবী-রাসূল আসেননি, বর্তমানে নেই এবং কিয়ামত পর্যন্ত আসবেন না। এই আকিদা বা বিশ্বাসকেই বলা হয় আকিদায়ে খাতমে নুবুওয়্যাত।

২ এপ্রিল (রবিবার) ইনিস্টিটিশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, ইসলামের মূল ভিত্তি ঈমান ও আকিদা। আর ঈমানের মৌলিক বিশ্বাস খাতমে নুবুওয়্যাতের বিশ্বাস। তাই এই বিশ্বাস ছাড়া কোন ব্যক্তি, গোত্র, সম্প্রদায় কখনই মুসলিম হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে না। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সহ অন্যান্য ধর্মে কিছু প্রথা অনুসরণ করলেই সেই ধর্মের অনুসারী হওয়া যায়। কিন্তু ইসলাম প্রথা সর্বস্ব কোন ধর্ম নয়। তাই ঈমানে সামান্যতম কুফর থাকলে কারো মুসলমান পরিচয় দেয়ার সুযোগ নেই।

“কে কাফের আর কে অমুসলিম এই বিষয়টি আমরা বলার কে” এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, কে রাষ্ট্রদ্রোহী তা যদি বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী বিচার করা যায়। তাহলে কে কাফের, কে মুশরেক, কে মুসলিম, কে অমুসলিম আল্লাহ্ তায়ালার অবতীর্ণ মহাসত্যের সর্বোচ্চ মানদণ্ডে উত্তীর্ন, বিশ্ব মানবতার মুক্তির সনদ এবং একমাত্র সংবিধান কুরআনুল কারীম অনুযায়ী কেন বলা যাবে না? যদি রাষ্ট্রদ্রোহী প্রমান করার অধিকার সংবিধান দিয়ে থাকে তাহলে কে কাফের কে অমুসলিম সেটি প্রমান করার অধিকারও কুরআনুল কারীম দিয়েছে। তাই খাতমে নুবুওয়্যাতের বিশ্বাসকে অস্বীকার করার কারণে কাদিয়ানী সম্প্রদায় নিঃসন্দেহে কাফের এবং অমুসলিম। তাদেরকে যারা কাফের মনে করবে না তারাও কাফের।

তিনি বলেন, কাদিয়ানী সম্প্রদায় নিশ্চিতরুপে কাফের এবং অমুসলিম। তারপরেও নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করার মাধ্যমে বাংলাদেশের মুসলমানদের সম্মান, মর্যাদা ও অধিকারকে নষ্ট করছে। তাই বাংলাদেশের সরকারের উচিত মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষার্থে সংবিধানের ২য় অনুচ্ছেদের (ক) ধারা এবং ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণা করতেই হবে। আর যখনই কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবীতে সভা, সেমিনার ও রাজপথে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হয় তখনই কতিপয় বুদ্ধিজীবীদের ধর্মনিরপেক্ষতার আওয়াজ শুরু হয়। কিন্তু স্মরণ রাখা দরকার ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার নামে অমুসলিম হয়েও মুসলিম পরিচয় দেয়া নেহায়েত ইসলামের সাথে বিরোধিতা, মুসলমানদের সাথে বৈরীতার বহিঃপ্রকাশ এবং অসাংবিধানিক আচরণ। যদি সরকার এই বিষয়টিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে তাহলে মুসলমানদের নিকট ত্বাগুত হিসেবে বিবেচিত হবে।

ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি উদ্দেশ্য করে ড. আব্বাসী বলেন, ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো খাতমে নুবুওয়্যাতের আন্দোলনের ব্যপারে কেন নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে তা আমার নিকট একেবারেই অস্পষ্ট। অথচ ইতিহাস স্বাক্ষী দেয় খাতমে নুবুওয়্যাতের আন্দোলন সবচেয়ে বড় আন্দোলন, খাতমে নুবুওয়্যাতের জিহাদ সবচেয়ে বড় জিহাদ। কেননা হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রাঃ) কর্তৃক মুসায়লামাতুল কাজ্জাবের বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধে এক দিনে ২৪০০ শত সাহাবী শাহাদাত বরণ করেছেন। যারমধ্যে ৭০০ শতসাহাবী কুরআনে হাফেজ ছিলেন।

মুসায়লামাতুল কাজ্জাবের পর থেকে যুগে যুগে মিথ্যা নুবুওয়্যাতের দাবীদার আবির্ভাব ঘটেছে মুসলমানগণ তরবারী দিয়ে ফায়সালা করেছেন। ১৭৫৭ সালে উপমহাদেশের স্বাধীনতা ইংরেজদের দ্বারা খর্ব হয়। তার পর থেকে ইংরেজরা এদেশে তাদের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ইসলাম ও মুসলমানের বিপক্ষে চক্রান্ত করে আসে। ইসলাম বিরোধী শক্তিগুলোকে তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসে। তারই ধারাবাহিকতায় ইংরেজরা তাদের পা চাটা গোলাম কাদিয়ানের কাজ্জাব মীর্জা গোলাম শয়তান কাদিয়নীকে চক্রান্তে নামায়। ১৯০৮ সালে মীর্জা গোলাম শয়তান কাদিয়নী গজব প্রাপ্ত হয়ে কুখ্যাত জাহান্নামের কুখ্যাত কুকুরে পরিনত হয়। তার অনুসারীরা বর্তমানে কাদিয়ানী সম্প্রদায়। নি:সন্দেহে তারা কাফের এবং অমুসলিম। অতএব তাদেরকে অবশ্যই রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।

তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাতের পক্ষ থেকে সরকারের নিকট পীর ৪দফা দাবি :
১। কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
২। তাদের সকল প্রকারের ব্যবসায়ী কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। কেননা তাদের উপার্জিত অর্থ ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যয় করা হয়ে থাকে।
৩। তাদের সকল প্রকার প্রকাশনা নিষিদ্ধ করতে হবে।
৪। পঞ্চগড়ে মুুসলমানদেও হয়রানী ও মিথ্যা মামলা বন্ধ করতে হবে।

বক্তাবলীতে চাঁদার দাবিতে হামলা-মাদ্রাসা ভাংচুর একাধিক আহত

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জ সদর উপেজলার ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগরে এক শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। একই সাথে মাদ্রাসা ভাংচুর ও টাকা লুটেরও অভিযোগ উঠেছে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে।

১ এপ্রিল (শনিবার) চাঁদা দাবি এবং পূর্ব শত্রুতার জেরে সকালে বক্তাবলীর কানাইনগরের মারকাযুস সুন্নাহ তৈয়্যবিয়া মাদ্রাসার সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন হামলার শিকার শিক্ষানবিশ আইনজীবী আরিফ হোসাইন।

অভিযুক্তরা হলো, কানাইনগর এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে শরীফ, আজিজ ও শহিদুল্লাহ, একই এলাকার শান্ত, নান্নু মিয়ার ছেলে নাহিদ, মানিকের ছেলে নাজমুল, মিছির আলীর ছেলে হামিম এবং তাদের সহযোগি রাব্বিসহ অজ্ঞাত আরো ১০জন।

এদিকে, হামলায় আরিফ হোসাইন, তার বৃদ্ধ বাবা মো. সোলায়মান, বড় ভাই জামিল হোসেন, ছোট দুই ভাই রাকিব হাসান ও হাফেজ মো. শরীফসহ একই পরিবারের পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়।

অভিযুক্তরা চাঁদা দাবি এবং পূর্ব শত্রুতার জেরে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, টেটা, বল্লম এবং লাঠি-সোটা নিয়ে এই হামলা চালায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা গেছে, আহতদের মধ্যে শিক্ষানবিশ আইনজীবী আরিফ হোসেন গুরুতর অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১ এপ্রিল) সকালে বক্তাবলীর কানাইনগরের মারকাযুস সুন্নাহ তৈয়্যবিয়া মাদ্রাসার পাশে নিজস্ব জমিতে টিউবয়েল স্থাপন করছিলেন আরিফ ও তার পারিবারের সদস্যরা। এসময় অভিযুক্ত শরীফ তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে।

ঝামেলা এড়াতে অভিযুক্তদের পাঁচ হাজার টাকা চাঁদাও দেয়া হয়। এরপরও হুমকি ধমকি দিতে থাকে অভিযুক্তরা। কিছুক্ষন পর তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র, টেঁটা, বল্লম ও লাঠিসোটা নিয়ে আরিফের পরিবারের উপর হামলা চালায়।

এতে আরিফ এবং তার ভাইয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী মারকাযুস সুন্নাহ তৈয়্যবিয়া নামক মাদ্রাসার একটি কক্ষ ভাংচুর করে এবং নগদ টাকা লুটে নেয় হামলাকারীরা।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু জানান, ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। সত্য প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আড়াইহাজার উপজেলা খেলাফত মজলিসের নতুন কমিটি গঠিত

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায় রাজনৈতিক দল খেলাফত মজলিসের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে মুফতী ফখরুদ্দীন কাসেমী সভাপতি ও মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা কমিটি পুনর্গঠন উপলক্ষে আড়াইহাজারস্থ মজলিসের সাংগঠনিক মিলনায়তনে উপজেলা মজলিসে শূরার এক সাধারণ অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কমিটি গঠনকল্পে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা গোলাম রব্বানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শাখা পুনর্গঠন কার্যক্রম পরিচালনা করেন সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।

মজলিসে শূরার সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে সংগঠনের ২০২৩-২৪ সেশনের জন্য সভাপতি মুফতী ফখরুদ্দীন কাসেমী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক নির্বাচিত হন। পরে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপজেলা কমিটি অনুমোদন করা হয়।

অধিবেশনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী আব্দুল গনী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফারুক হুসাইন, রূপগঞ্জ থানা সভাপতি মাওলানা নোমান বিন আব্দুল মজীদ, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে, জেলার প্রত্যেক থানা উপজেলায় ও মহানগরের কমিটি গুলো নতুন ভাবে সাজানো হয় এবং মানবিক সংগঠন হিসেবে খেলাফত মজলিস ইতিমধ্যেই বেশ সাড়া জাগিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ এর ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃস্পতিবার ( ৩০ মার্চ ) দুপুর বারটায় কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির বিআরডিবি’র হলরুমে এই বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইয়াছিন মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী রিফাত ফেরদৌস।

সভায় সমবায়ীদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব ইয়াছিন মিয়।এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সমিতির সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর মৎসজীবী লীগের সভাপতি মো.নূর হোসেন, পরিচালক মো.আলাউদ্দি বারী, পূর্ব চরগড়কূল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির পরিচালক মোহাম্মদ নাজির হোসেন, সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বার্ষিক সাধারণ সভায় বিগত ও চলমান বছরের আর্থিক পর্যালোচনা তুলে ধরেন উপজেলা সহকারী পল্লী উন্নয়ন অফিসার মো.তরিকুল ইসলাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন পল্লী উন্নয়ন অফিসার অসীম কুমার বাড়ৈ।