ফতুল্লা প্রতিনিধিঃ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের পাগলা শাহী বাজার ঈদগাহ্ মাঠ কমিটির দূর্নীতির প্রতিবাদ ও মাঠের উন্নয়ন কাজের লক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার দুপরে শাহী মহল্লা মোহাম্মদীয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এলাকাবাসীর সাথে সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় ইউনিয়নের স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার আলাউদ্দিন হাওলাদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনিরুল আলম সেন্টু। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এলাকাবাসীর দাবি প্রেক্ষিতে শাহী বাজার এলাকায় ২০০৮ সালে ঈদগাহ্ মাঠ নির্মান করা হয়েছে। সেই সময় আমি নিজেই কমিটির সভাপতি ছিলাম। বৃক্ষ দিয়ে বেষ্টিত ও আলোকিত একটি সুন্দর পরিকল্পিত ঈদগাহ্ নির্মান করার স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু দুঃখের বিষয় তৎকালিন সময়ের সাংসদ সারা বেগম কবরীকে তার কর্মীরা ভুল ব্যখ্যা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দিয়ে ঈদগাহ্ কমিটির উন্নয়নে বাধাঁ গ্রস্থ করা হয়েছিলো। এলাকাবাসী যাতে উন্নয়ন বঞ্চিত নাহয় সেই স্বার্থে এ বিষয়ে কবরী এমপি’র বিবেধ করিনি। বর্তমানে আমাদের এমপি শামীম ওসমান তিনি উন্নয়নকামী ব্যক্তি। তিনি কোন উন্নয়ন মুলক কাজে আমাদের সহযোগীতা করবেন। তিনি আরো বলেন, আমার জানামতে শুধূমাত্র এই ঈদগাহে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি রয়েছে। আর ব্যক্তি মালিকানায় যে জমি ছিলো সেটুকু মুসলিম সাহেবের ছেলে মামুনের কাছ থেকে কিনে নেওয়া হয়েছিলো। ঈদগাহ্ নিয়ে কোন দূর্নীতি চলবে না। এছাড়াও এই এলাকার কবর স্থান কমিটির বিভিন্ন দূর্নীতির কথার প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান সেন্টু বলেন, এই এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও ঈদগাহ্ একই সুত্রে গাঁথা। এ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সকল দুর্নীতিবাজদের একেএকে ধরা হবে। সভায় স্থানীয় মসজিদ ও পঞ্চায়েত কমিটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে বলেন,কবরস্থান কমিটির কতিপয় নেতা জনগনের প্রদত্ত সাহায্যের টাকা নিজ পকেটে রেখে ব্যাক্তিগত ব্যবসা-বানিজ্যে লগ্নি করে ফায়দা লুটেছেন। এ সভা আহবানের পর পরই গনরোষ থেকে রেহাই পেতে ক্যাশিয়ার ৩ লাখ টাকা আর সেক্রেটারী ৪ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেন। অথচ এ টাকা দীর্ঘদিন যাবত তারা নিজের কাজে বিনিয়োগ করেছেন যা দুর্নীতির পর্যায়ে পড়ে। বক্তারা আরো অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন যাবত কমিটির মিটিং ডাকেন না আর আয়-ব্যায়ের হিসাবপত্রও দাখিল করছেন না। এ ধরনের অন্যায় বরদাশত করা হবে না। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন হাজী মিছির আলী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হাজ্বী মোঃ শহিদুল্লাহ,থানা আওয়ামীলীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক হাজী ইউনুস দেওয়ান। বক্তব্য রাখেন, শাহী মহল্লা মোহাম্মদীয়া মাদ্রাসা সভাপতি হাজ্বী নুরুল ইসলাম কন্ট্রাক্টর, শাহী মদিনা জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ফজলুল হক কন্ট্রাক্টর, বায়তুল মামুর জামে মসজিদের কবরস্থান কমিটির সাবেক সভাপিত নুরুল হক, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মালেক, শাহীবাগ জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক শরীফবাগ জামে মসজিদের সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান তপনসহ আরো এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সারাদেশের ন্যায় শনিবার নারায়নগঞ্জে পালিত হবে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন
ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান, শিশু মুত্যুর ঝুকি কমান। এই প্রতিপাদ্যকে বিষয়কে সামনে রেখে শনিবার সারাদেশের ন্যায় নারায়নগঞ্জে পালিত হবে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। এ উপলক্ষে নারায়নগঞ্জে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১১হাজার ১শত ৫৬ টি স্থায়ী এবং ১৫৬টি অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দের মাধ্যমে ১ থেকে ৫ বছর বয়সী ২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৪শত ৫২ জন,প্রতিবন্ধি ১৩৩জন শিশুকে লাল রঙের ২ লক্ষ আই ইউ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যাপসুল, ৬মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ২৪ হাজার ৫ শত ৭৩ জন,প্রতিবন্ধি ৭৩ জন শিশুকে ১ লক্ষ আই ইউ ক্ষমতা সম্পন্ন নীল রঙের ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। নারায়নগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নের ১শত ২৯টি ওয়ার্ডে সরকারি স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার পরিকল্পনা কর্মী ছাড়া ৩শত ৯০ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে। ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্বির মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করা, শিশুদের মধ্যে ভিটামিনের অভাবজনিত রাতকানা রোগের প্রাদূর্ভাব ১ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা এবং তা অব্যাহত রাখা। এ উদ্দ্যেশ্য সামনে রেখে সরকার প্রতিবছর ২ বার দুবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পাশাপাশি ৬মাস পূর্ন হলেই শিশুকে পরিমান মত মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমানমত ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর জন্য পরামর্শ দিচ্ছে। এ দিকে এ কর্মসুচী কে সফল করার জন্য জেলা সিভিল সার্জন অফিস সকল প্রস্তুুতি সম্পন্ন করেছে,প্রতিটি কেন্দ্রে ইতি মধ্যে প্রয়জনীয় লজিষ্টিক ও ভিটামিন ক্যাপসুল পাঠানো হয়েছে।
আই এস ইহুদিদের তৈরী-ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী
আই এস হচ্ছে ইহুদিদের তৈরী।কারন তাদের প্রত্যেকটা অস্ত্রের গায়ে লেখা আছে It is property of USA এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় নিজস্ব সম্পদ। তাদেরকে ইহুদিরা অস্ত্র দিয়েছে তা না হলে, আই এস,বাগদাদ, শিরিয়া, ইরাকে হামলা করেছে। অনেক মুসলিম দেশে হামলা করেছে ফিলিস্তিন হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু জারজ রাষ্ট্র ইজরাইল কেন হামলা করেনা?
আবার শুনেছি আই এস বাংলাদেশে নাকি ডুকবে কোন দিন সম্ভব হবেনা।৩৬০ আউলির পন্যভুমি বাংলাদেশে ইহুদিদের কোন চক্রান্ত বাস্তবায়িত হবেনা ইনশাল্লাহ।
দেশ রক্ষায় দেশের মা বোনের ইজ্জত রক্ষায় প্রতিহত করতে যদি এ দেশের প্রতিটি মুসলমান কোরআনের পক্ষে অস্ত্র ধারন করতে হয়, রক্ত দিতে হয় জীবন দিতে হয় মুসলমান তাই করবে।
অতএব, দেশের প্রধান কে বলবো আই এস কে খোজার জন্য মসজিদের খতিবের বক্তব্য রেকর্ড করার দরকার নাই। এদেশের কোন হক্কানে পীর মাশায়েখ, খতিব, আলেম, কোন মাদ্রাসার সাথে সন্ত্রাস বাদের সাথে কোন সম্পর্ক নাই। আমরা মুসলমান স্বসস্ত্র জিহাদকে বিশ্বাস করি জিহাদ আর সন্তাসবাদ এক নয়।
আপনারা যদি মসজিদে মসজিদে গোয়েন্দা দার করিয়ে দেন খতিব কি বলে রিপোর্ট লিখার জন্যে মনে রাখবেন আপনাদের কাধে আল্লাহর গোয়েন্দা দাড়িয়ে আছে কেরামান কাতেবিন আপনাদের রিপোর্ট লিখার জন্যে।
ইমাম খতিব হক্কানে পীর মাশায়েখ, যা সত্য তা বলবেই।
কোরআনে যা আছে হাদিসে যা আছে, ইসলামের কথা, ইসলামী রাষ্ট্রের কথা, ইসলামি রাজনীতির কথা, ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার কথা,জিহাদের কথা, অর্থনীতির কথা, রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা, ইসলামি সংস্কৃিতির কথা,ইমাম খতিব মিম্বর থেকে বলবেই। দুনিয়ার কোন শক্তি তাদের কন্ঠ বন্ধ করতে পারবেনা না।
পূর্নগঠন হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ আ’লীগ
আব্দুর রহিমঃ ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতি নতুন করে সক্রিয় হতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের জেলা ও মহানগর কমিটির তালিকা দলের কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের কাছে জমা দেয়া হয়েছে অনেক ধরে। এ ছাড়া দলের অঙ্গ সংগঠনগুলো নতুন করে সাজানোর প্রক্রিয়াও শুরু হবে আগামী কিছু দিনের মধ্যে। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জেলা যুবলীগের কমিটি গঠনের বিষয়টি। এছাড়া যুবলীগের শহর কমিটি থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে এ কমিটি হওয়ায় নেতাকর্মীরা অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন হওয়ার পর শহর কমিটি ভেঙ্গে মহানগর কমিটি গঠনের বিষয়টি নিয়ে কোন উদ্যোগ নেয়া না হলেও আগামী কিছু দিনের মধ্যে এ নিয়ে কাজ শুরু হবে বলে শহর যুবলীগের এক শীর্ষ নেতা নিশ্চিত করেছে। ইতোমধ্যে ছাত্রলীগের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রলীগের জেলা কমিটিও যে কোন সময় ঘোষণা করা হবে বলে ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া কৃষক লীগ, স্বেচ্ছা সেবক লীগকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানাগেছে। তবে বিগত সময়ের তুলনায় নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের রাজনীতি সক্রিয় রয়েছে। আর এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে কমিটিগুলো নতুন করে সাজানোর মধ্যদিয়ে নতুন নেতৃত্ব তৈরী করতে হবে। অন্যথায় পূর্বের ন্যায় আবারো নিস্ক্রীয় হয়ে পরবে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতি। সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতি বিগত যে কোন সময়ের তুলনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। কমে এসেছে নারায়ণগঞ্জ ও মহানগর আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের বিরোধ। দীর্ঘদিন ধরে যারা যে সমস্ত নেতা বিপরীত মুখী রাজনীতি করে করেছে সে সমস্ত নেতাদের এখন এক মাঞ্চে এসে নানা ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া ঈদেও আগে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির ব্যাক্তিত ইফতার মাহফিল থেকেও জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা দল গুছানোর কথা বলেছিরেন। দলীয় নেতাকর্মীকে চাঙ্গা করে তুলতে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দলীয় কর্মকান্ডে নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন ধরনের কর্মকান্ডের পাশাপাশি নানা ধরনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির তালিকা দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেয়া হয়েছে। যে কোন সময় জেলা ও মহানগর কমিটির ঘোষণা আসতে পারে। মূল দলের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনগুলোও নতুন করে সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলা যুবলীগকে নতুন করে সাজানো পরিকল্পনা চলছে। যুবলীগের শহর কমিটি নতুন করে মহানগরে রুপান্তরিত করতে অল্প কিছুদিনের মধ্যে মাঠে নামবে বলে শহর কমিটির সভাপমি সাহাদাৎ হোসেন সাজনু বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আওতাধীন ২৭টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের নতুন করে সংগঠিক করার পর মহানগর কমিটি গঠন করা হবে। জেলা ছাত্রলীগ সফল ভাবে তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার পর নতুন করে মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় আগামীতে জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জেলা ছাত্রলীগের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে ছাত্রলীগই সব সময় রাজপথে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছে। আর এ কারণে ছাত্রলীগের কর্মকান্ডে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতা জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি সন্তুষ্টু। তবে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগকে চাঙ্গা রাখতে হবে দলকে নতুন করে পূর্নগঠন ও নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে বলে মনে করছেন বোদ্ধা মহল।
জাকির নায়েক ভক্তরা জাকির নায়েক সম্পর্কে কতটুকু জানে? আব্বাসী সাইবার টিম
যারা আজ জাকির নায়েক জাকির নায়েক বলে চিল্লাইতেছে তাদের উদ্দেশ্যে বলছি… কতটুকু জানো জাকির নায়েক সম্পর্কে?? জাকির নায়েক যখন লেকচারের মাঝখানে বলে যে এই সূরা, এত নাম্বার আয়াত, কেউ কি তখন কোরআন শরীফ খুলে দেখেছে যে,সে যা বললো তা সঠিক হলো কিনা? জাকির নায়েক যখন কোরআনের অথবা কোন একটা আরবী শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করে তখন কি তারা জানে যে, এই শব্দের অর্থ প্রকৃত পক্ষেই এটা কিনা? জাকির তো কোন মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেনি, সুতরাং সে আরবী গ্রামার সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত নয়। যদি থাকতো তাহলে সে কখনো বলতে পারতোনা কোরআনের মধ্যে ব্যাকরণ ভুল আছে(নাউজুবিল্লা)। আজ যারা জাকিরের ভক্তবৃন্দ আছে আমার বিশ্বাস তাদের মধ্যে ৯৬% লোক এসব ব্যাপারে অজ্ঞ। জাকির যখন টাস টাস করে কোরআনের আয়াত বলে ফেলে, এবং সেটার ব্যাখ্যাও করে ফেলে, সাথে দুই একটা ইংরেজি ছেড়ে দেয়, তখন স্বাধারন মানুষ তাকে অলৌকিক লোক ভাবতে শুরু করে। কারন-তারা কোরআন হাদীস জানেনা। এজন্য সে ভুল বললো না সঠিক বললো এটা বুঝার ক্ষমতা তাদের নেই। আর যারা জাকির নায়েকের সমালোচনা করে তারা ৯৬% আলেম। তারা জানে জাকির কোনটা ভুল বলছে আর কোনটা সঠিক বলছে। জাকির ভক্তরা কয়েকটি কথা বলে সবকিছু এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে… ১। প্যান্ট শার্ট টাই পড়া কি হারাম? ২। মানুষ বলতেই ভুল, জাকির নায়েকও ভুলের উর্ধ্বে নয়। ৩। জাকিরের কন্ঠে সুর নেই এজন্য সে কোরআন ঠিক করে পড়তে পারে না, ইত্যাদি। এখন কথা হচ্ছে ১। প্যান্ট শার্ট পড়া হারাম নয় ঠিক আছে- সিগারেট খাওয়া ও তো হারাম না। এখন যদি আপনাদের মসজিদের ইমাম সিগারেট খায়-আপনারা কি তাকে ইমাম রাখবেন? আরেকটা কথা হচ্ছে উনিতো মানুষকে ইসলাম শিক্ষা দিচ্ছেন, তো প্যান্ট শার্ট না পড়লেই ক্ষতি কি? ধর্মীয় পোষাক পড়েই ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়াটাই তো শ্রেয়। ২। অবশ্যই মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়, কিন্তু একজন মানুষ যখন ধর্ম প্রচারক হয় তখন তাকে খুব সচেতন হতে হয়। আর জাকির যে ভুল করে বা বলে এটা আসলে ভুল নয়, এটা হচ্ছে তার কোরআনের জ্ঞান না থাকার পরিচয়। তার ভুলের কিছু উদাহরণ তুলে ধরা হলঃ ৩। একথা কেউ কখনো বলেনি জাকির সুর দিয়ে কোরআন পড়তে পারেনা। সুর এক জিনিস আর শুদ্ধ আরেক জিনিস। সবচেয়ে বড় দুঃখ এটাই জাকির এত বড় লেকচারার অথচ কোরআনের একটা আয়াতও সহীহ্ করে পড়তে পারেনা। এতে তার কোরআনের জ্ঞান যে কতটুকু আছে এটা প্রমাণ পাওয়া যায়না?? আর নামাজ ভঙ্গের প্রধান কারন কোরআন অশুদ্ধ পড়া। যে লোকের কোরআন সহীহ্ না, যার এক ওয়াক্ত নামাজও হয়না, সে কিভাবে মানুষকে কোরআনের জ্ঞান শিক্ষা দেয়?? শুধু বাংলা অর্থ পড়ে যদি বড় আলেম হওয়া যেত তাহলে কোন আলেমই ১২ বছর ১৫ বছর সময় নিয়ে কোরআনের জ্ঞান চর্চা করতো না। এবার আসি জাকিরের কিছু ইসলাম বিদ্বেষী কথায়ঃ- ১। জাকির বলেছে ওজু ছাড়া কোরআন শরীফ ধরা যাবে ২। আল্লাহকে ব্রাক্ষ্মন, বিষ্ণু ইত্যাদি নামে ডাকা যাবে। (নাউজুবিল্লাহ্) ৩। পৃথিবীতে ৪জন মহিলা নবী এসেছে(নাউজুবিল্লাহ্) ৪। হিন্দুদের মধ্যেও কেউ কেউ নবী ছিল। (নাউজুবিল্লাহ্) ৫। কোরআন শরীফে ব্যাকরণের ভুল আছে। (নাউজুবিল্লাহ্)। প্রবাদ আছে-অল্প বিদ্যা ভয়ংকর। জাকির হল একজন ডাক্তার-তবে হ্যা সে বাংলা বই পড়ে ধর্মীয় কিছু জ্ঞানও অর্জন করেছে, এটা নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। কিন্তু এতটুকু জ্ঞান দিয়ে ধর্ম শিক্ষা দিলে যা হওয়ার কথা তাই হয়েছে। সে মানুষকে মুসলমান বানাচ্ছে।কিন্তু তার কথা মেনে চলার কারনে তারা মুসলমান হয়েও কোন লাভ হচ্ছে না।
জাকির নায়েকের পাশে দাঁড়ালেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি তারিক জামিল
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে উস্কানি দেয়ার সাম্প্রতিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার পক্ষে নিজের দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি বিশ্বখ্যাত দায়ী মাওলানা তারিক জামিল। তিনি বলেন, ‘আমরা জাকির নায়েককে প্রায় এক দশক ধরে শুনছি। আর আমি কখনো কোনো বক্তৃতায় তাকে সহিংসতার উস্কানি দিতে বা ঘৃণা ছড়াতে দেখিনি।’
১০ জুলাই নিজের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
তারিক জামিল বলেন, ‘বরং তিনি (জাকির নায়েক) সব সময় যে কোনো ধর্মের বিরুদ্ধেই সব ধরণের সহিংসতার বিরোধিতা করেছেন।
জাকির নায়েক সত্যের পক্ষে আছেন উল্লেখ করে এই প্রখ্যাত আলেম বলেন, ‘তিনি সত্যের পক্ষে আছেন তাই আমরাও তার পক্ষে আছি।’
কুচক্রীদের প্রতি কথিত সন্ত্রাসবাদে উস্কানি দেয়ার অভিযোগের পক্ষে একটা স্পষ্ট প্রমাণ হাজির করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তারিক জামিল বলেন, আমি ১১০% নিশ্চিত আপনারা এই বানোয়াট অভিযোগের পক্ষে একটা প্রমাণও আনতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, মাওলানা তারিক জামিলের লাইক পেইজটিতে ৪৩৯,১৫৪ জন ফ্যান রয়েছেন। এখান থেকে নিয়মিত তার কার্য বিবরণী ও বয়ান আপলোড করা হয়। গতকাল ১০ টা ২২ মিনিটে পোস্ট করা ওই বক্তব্যটি এ পর্যন্ত শেয়ার করেছেন ১ হাজার ১৪৩ জন ব্যক্তি এবং কমেন্ট করেছেন ১০৭ জন। পোস্টটি লাইক করেছেন ৪ হাজারের বেশি মানুষ।
আ. লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে লোক নাই, ফাঁকা!
স্থান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। সময় সোমবার বিকাল। মূল স্তম্ভের বেদিতে জুতা পায়ে অবাধে বিচরণ। তাছাড়া ব্যাপ্তি বেশিক্ষণ হওয়ায় সমাবেশ শেষ হওয়ার আগেই অনেক নেতাকর্মীকে সমাবেশস্থল ত্যাগ করে চলে যেতে দেখা যায়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের চিত্র এটি।
৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী ভাষাসৈনিকদের স্মরণে নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মানার্থে খালি পায়ে ওঠার নিয়ম থাকলেও প্রায়শই বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের কর্মসূচিতে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে এই নিয়ম।
সোমবার সে নিয়ম উপেক্ষা করা হলো আরো নগ্নভাবে। অথচ এই সমাবেশে অংশ নেয় বিভিন্ন প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার উদার রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন। এদিকে ১৪ দলের এই সমাবেশে প্রত্যেক নেতাকর্মীর হাতে জাতীয় পতাকা রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন জোটের শীর্ষ নেতারা। অথচ বাস্তবে বেশিরভাগ নেতাকর্মীর হাতেই পতাকা ছিল না।
অন্যদিকে বি ৩টায় অনুষ্ঠান শুরু হলেও দুপুর ২টা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করায় সমাবেশস্থল অনেকটাই পরিপূর্ণ ছিল। তবে এমন চিত্র বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে সমাবেশস্থল ত্যাগ করতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
এমন অবস্থার পেছনে বৃষ্টিকে দায়ী করেন জোটের নেতাকর্মীরা। কিন্তু বাস্তবে বৃষ্টি স্থায়ী হয়েছিল অল্প সময়। ওই সময় জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছিলেন, আমাদের নেত্রী রাত জেগে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন, আর আমরা সামান্য বৃষ্টিতে থাকতে পারবো না কেন? তিনি সমাবেশে সবাইকে থাকার অনুরোধ করেন। কিন্তু সেটিও রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন নেতাকর্মীরা।
তবে সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের অনেকেই জানান, সমাবেশের সময়কাল বেশি হওয়ায় আমাদের অনেকেই ধৈর্য হারা হয়ে সমাবেশ স্থল ত্যাগ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে যারা নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের নিয়ে এসেছেন, তারাই অল্প সময় থেকে চলে যাচ্ছেন। তাদের দেখাদেখি অন্যরাও চলে যায়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সভাপতির বক্তৃতা চলাকালীন শহীদ মিনার এলাকায় লোক সংখ্যা ছিল একেবারে নগণ্য।
জঙ্গিবাদে অর্থায়ন সিঙ্গাপুরে ৪ বাংলাদেশির কারাদণ্ড
জঙ্গি অর্থায়নের ঘটনায় সিঙ্গাপুরে চার বাংলাদেশিকে ২৪ থেকে ৬০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দেশটির এক আদালত এ দণ্ডাদেশ দেন।
কারাদণ্ড পাওয়া চার বাংলাদেশি হলেন—মিজানুর রহমান (৩১), রুবেল মিয়া (২৬), জাবেদ কায়সার ওরফে হাজি নুরুল ইসলাম সওদাগর (৩১) ও সোহেল হাওলাদার ওরফে ইসমাইল হাওলাদার (২৯)।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস ডটকমের খবরে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিলে সিঙ্গাপুরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইনে (আইএসএ) ওই চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর গত ৩১ মে তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হন।
চারজনের বিরুদ্ধেই বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যক্রমে অর্থ সরবরাহ ও অর্থ সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দলনেতা মিজানুরকে ৬০ মাসের (পাঁচ বছর) কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সোহেলকে ২৪ মাসের (দুই বছর) কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর রুবেল ও জাবেদের প্রত্যেককে ৩০ মাসের (আড়াই বছর) কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত ২৭ মে (যেদিন ওই চারজন প্রথম আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন) থেকে তাঁদের দণ্ড কার্যকর করা হবে।
আদালতে সরকারপক্ষের আইনজীবী বলেন, ওই চারজন জনমনে অস্থিরতা তৈরি করেছেন। তাঁরা অন্যতম ভয়ংকর সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) অর্থ সরবরাহ করেছেন। তাই মিজানুরের ৬০ মাস, রুবেলের ৩০ মাস আর জাবেদ ও সোহেলের ২৪ মাস কারাদণ্ড দেওয়া উচিত। আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে উল্লিখিত দণ্ডাদেশ দেন।
তক্ষক পাঁচারকারীর ৬ মাসের জেল
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: ফতুল্লায় এক তক্ষক পাঁচারকারীকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার বিকেলে না.গঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা আকতার চৌধুরী ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এ দন্ড দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহমান (৪৫) বরিশালের হিজলা থানার গঙ্গাপুর এলাকার মৃত মোজাফফর মৃধার পুত্র। সে রাজধানী ঢাকার মিরপুরের পশ্চিম মনিরামপুর মোল্লাপাড়া এলাকার মাহবুব মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। সোমবার বিকেল ৩ টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের পাগলা মুন্সিখোলা চেকপোষ্টে তল্লাশী চালিয়ে খাচায় থাকা একটি তক্ষকসহ আব্দুর রহমানকে আটক করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই স¤্রাট জানান, আব্দুর রহমান মুন্সিগঞ্জ থেকে তক্ষক নিয়ে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। বিকেলে পাগলা মুন্সিখোলা চেকপোষ্টে তল্লাশী চালিয়ে কাপড়ে মোড়ানো একটি খাচায় থাকা একটি তক্ষকসহ রহমানকে আটক করা হয়।
ইউএনও আফরোজা আক্তার চৌধুরী জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৩৪ (খ) ধারা অনুযায়ী আব্দুর রহমানকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত তক্ষকটি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সেন্টুকে দলে ফেরাচ্ছে না শীর্ষ নেতারা
দলীয় শৃংখলা ভঙ্গকারী বেঈমান আখ্যায়িত ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে বহিষ্কৃত কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুকে সহজেই দলে ফিরিয়ে নিচ্ছেন না স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। সেন্টুর আবেদনের প্রেক্ষিতে মতামত জানতে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শাহআলম ও সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসের কাছে একটি পত্র পাঠিয়ে এক মাসেও এর জবাব পায়নি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। আর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে সেন্টু যে আবেদন করেছে তার এক মাস অতিক্রম হলেও কিছুই জানেন না থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। মো. মনিরুল আলম সেন্টু বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদনে সেন্টু উল্লেখ করেন যে, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিএনপির অন্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়। আমি সেই মতে নির্বাচন করতে থাকি।
এ ব্যাপারে তৈমুর আলম খন্দকার যুগান্তরকে জানান, মনিরুল আলম সেন্টু তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন তিনি থানা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারির সঙ্গে আলোচনা করে এবং তাদের সম্মতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেছেন। এ জন্য থানা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারির কাছে মতামত জানতে পত্র লিখেছি। তাদের মতামত পেলে প্রতিবেদন তৈরি করে তা কেন্দ্রে পাঠাব। যদি কেন্দ্র তা গ্রহণ করেন তাহলে সেন্টু তার সিনিয়র সহসভাপতি পদ ফিরে পাবেন। এদিকে সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস যুগান্তরকে জানান, আমার সঙ্গে কেউ কোনো বিষয়ে আলোচনা করেনি। আর তৈমুর আলম খন্দকারের পাঠানো কোনো পত্র আমি পাইনি। এছাড়া দলীয় কোনো বিষয়ে মন্তব্যও করতে চাই না। উল্লেখ্য, ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় ফতুল্লার মাসদাইর মজলুম মিলনায়তনে কর্মিসভায় ৬ বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন তৈমুর আলম খন্দকার। বহিষ্কারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মনিরুল আলম সেন্টু। এ সভায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তৈমূর আলম খন্দকার বলে ছিলেন, যারা দলের মধ্যে থেকে বেঈমানী করেছে এবং সরকারি দলের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান দুর্বল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে, তাদের দলে কোনো ঠাঁই নেই। এদিকে দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, সরকারদলীয় নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে অঢেল টাকা খরচে মনিরুল আলম সেন্টু কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তিনি নির্বাচনের পূর্ব থেকেই সরকারদলীয় নেতাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে চলা ফেরা করতে থাকেন। যার ফলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীসহ অনেকের মুখেই আলোচনায় উঠে এসেছে মনিরুল আলম সেন্টু আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।যুগান্তর