২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 258

নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে তৈমুর শিবিরে জাকির খান আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক :বিএনপির   রাজনীতিতে   জাকির   খানের   সমর্থকদের সরব উপস্থিতিতে শঙ্কিত রয়েছে তৈমুর পন্থিরা।গত কয়েক মাস ধরে   জাকির   খানের   পক্ষে   বিএনপির   বিশাল   একটি   অংশ রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর   আলম   পন্থি   নেতাকর্মীরা   অনেকটা   চিন্তিত   হয়ে পরেছে।   তবে   জাকির   খানকে   ঘায়েল   করতে   তৈমুরের   ভাই ব্যবসায়ী   নেতা   সাব্বির   আলম   খন্দকারের   হত্যা   মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে বলে জাকির খান সমর্থকদের আশঙ্কা।   তবে   দেশের  বাইরে   থেকেও জাকির খান বিএনপির   রাজনীতিতে   বড়   ধরনের   ফ্যাক্টর   তা   অনেকাট পরিস্কার।  জাকির   খান সমর্থকদের   দাবি, ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির   আলম   খন্দকার   হত্যা   মামলা   নিয়ে   নতুন   করে রাজনীতি শুরু হয়েছে। এ হত্যা মামলা থেকে বিএনপিদলীয় সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনকে রেহাই দেয়ার পর মামলার অপর আসামি   জেলা   ছাত্রদলের   সাবেক   সভাপতি   জাকির   খানকে ফাঁসানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। অভিযোগ, এর পেছনে রয়েছে জেলা বিএনপির বিভক্ত রাজনীতির খেলা।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের এক সময়ের দোর্দ- প্রভাবশালী ছাত্রদল নেতা বর্তমানে থাইল্যান্ড প্রবাসী জাকির খান গত
কয়েক মাস ধরে রাজনীতিতে আবারো সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন।   এতে   করে   জেলা   বিএনপি   সভাপতি   তৈমুর   আলম খন্দকার প্রুপের মধ্যে নতুন করে ভীতি দেখা দিয়েছে। তাদের ধারণা,   স্থানীয়   বিএনপির   একটি   গ্রুপের   সরাসরি সমর্থন   থাকায়   জাকির   খান   রাজনীতিতে   সক্রিয়   হলে নারায়ণগঞ্জে   তৈমুর   আলম   গ্রুপ   দুর্বল   হয়ে   যাবে।   এ
কারণেই   জাকির   খানের   বিরুদ্ধে   লড়তে  হাতিয়ার  হিসেবে সাব্বির হত্যা মামলাটি বেছে নেয়া হয়েছে।সূত্র জানায়, জাকির খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪টি হত্যাসহ   তিন   ডজনেরও   বেশি   মামলা   রয়েছে।   তারপরও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক তৈমুর আলম খন্দকারের বিপরীতে জাকির খানকে বিএনপির রাজনীতিতে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলার সাবেক এমপি ও তার অনুসারীরা। এই গ্রুপটি   মূলত   তৈমুর   আলমের   প্রতিপক্ষ   হিসেবে পরিচিত।   ২০০৯   সালের   ২৫   নভেম্বর   তৈমুর   আলম   খন্দকার জেলা   বিএনপির   সভাপতি   হওয়ার   পর   স্থানীয়   বিএনপির কর্তৃত্ব   তার   হাতে   চলে   যায়।   এতে   ক্ষুব্ধ   হয়ে   প্রতিপক্ষ গ্রুপ তাদের অবস্থান সুসংহত করতেই জাকির খানকে বেছে নিয়েছে। ওই গ্রুপের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জেলা ও  শহর বিএনপির কমিটিতে স্থান না পাওয়া বিতর্কিত কয়েকজন নেতা। এসব গ্রুপের মাধ্যমে গত কয়েক মাসে জাকির খান গোপনে ঢাকায় বিএনপির হাই কমান্ডের কয়েকজনের সঙ্গে একাধিকবার   বৈঠক   করেছেন   বলেও   জানা   গেছে।   জানা
গেছে, থাইল্যান্ডে হোটেল ব্যবসার মন্দা থাকায় জাকির খান দেশে   ফিরে   আসতে   চাইছেন।   চলতি   বছরের   ৮   জানুয়ারি চট্টগ্রামমুখী   বিএনপির   রোডমার্চে   ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক   রোডে   শোডাউন   করে   তার   কয়েক   হাজার   লোকজন। ওইদিন তারা জাকির খানের বিশাল ছবি ও ব্যানার বহন কর কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তৈমুর গ্রুপের আশঙ্কা, জাকির খান দেশে ফিরে এলে তাদের রাজনৈতিক   কর্তৃত্বে   আঘাত   আসবে।   এ   কারণে   তারা এবার সাব্বির হত্যা মামলাটি দ্রুত শেষ করে জাকির খানকে ঠেকাতে চাইছেন।
১৯৮৯ সালে নাসিম ওসমানের (নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি ও   জাতীয়   পার্টির   সভাপতিম-লীর   সদস্য)   হাত   ধরে
ছাত্রসমাজে   যোগ   দিয়ে   জাকির   খান   নারায়ণগঞ্জের   ছাত্র রাজনীতি   নিয়ন্ত্রণে   নেন।   ১৯৯১   সালে   বিএনপি   ক্ষমতায় আসার  পর জাকির খানের সঙ্গে নাসিম ওসমানের বিরোধ বাঁধে।   পরে   তিনি   বিএনপি   নেতা   কামালউদ্দিন   মৃধার নেতৃত্বে ১৯৯৪ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে দেওভোগ   এলাকার   শীর্ষ   সন্ত্রাসী   দয়াল   মাসুদকে   শহরের সোনার বাংলা মার্কেটের পেছনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে   ব্যাপকভাবে   আলোচিত   হন   জাকির   খান।   ১৯৯৬   সালে বিএনপি   সরকারের   শেষ   দিকে   তার   শহরের   খাজা   সুপার মার্কেটে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ৭ বছরের জেল হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় মুক্ত হন। সে সময়ের স্বরাষ্টমন্ত্রী আবদুল মতিন চৌধুরীর নাতি হিসেবে শহরে পরিচিত হয়ে ওঠেন জাকির খান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার ৭ মাসের মাথায় কাশীপুর বাংলাবাজার এলাকায় এক ঠিকাদারের   কাছে   চাঁদা   দাবির   অভিযোগে   দায়েরকৃত  মামলায় দ্বিতীয় দফায় তার ৫ বছরের জেল হয়। আওয়ামী লীগের ৪ বছর তিনি জেলে থাকেন। ১৯৯৯ সালে স্বল্প সময়ের জন্য জেল থেকে বের হয়ে জাকির খান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হন। ২০০  সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেফতার হয় জাকির খান। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরও প্রায় ৫ মা জেলে থাকে জাকির। ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সাব্বির আলম খন্দকার খুন হওয়ার পর এ মামলার আসামি হওয়ায় তিনি  নারায়ণগঞ্জ   ছেড়ে   থাইল্যান্ডে   পাড়ি   জমান।   সেখানে সুকুমবিকে কয়েক কোটি টাকা দিয়ে ‘গ্রেস’ নামে ৮ তলার একটি থ্রি-স্টার হোটেল কেনেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ নিটওয়্যার অ্যান্ড   ম্যানুফেকচারার্স   অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ)   প্রতিষ্ঠাকালীন   পরিচালক   ও   সাবেক   সহ- সভাপতি   সাব্বির   আলম   খন্দকার   শহরের   মাসদাইর   এলাকায়
নিজ বাড়ির অদূরে গুলিতে নিহত হন। হত্যাকান্ডের পর তার বড় ভাই   তৈমুর   আলম   বাদী   হয়ে   নারায়ণগঞ্জ-৪   (ফতুল্লা)আসনের   তৎকালীন   বিএনপিদলীয়  এমপি  গিয়াসউদ্দিনসহ জাকির খানকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিতে গুপ্তহত্যা হচ্ছে : মির্জা অালমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিতেই সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যা চলছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, দেশে কোনো অঘটন ঘটলে প্রধানমন্ত্রী বরাবরের মত বিএনপিকে আক্রমন করে বক্তব্য দেন। কোনো রকম তথ্য উপাত্ত ছাড়াই বলে দেন বিএনপি জড়িত। বিএনপি নয়, ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিতেই সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আযাদ, সহ দফতর সম্পাদক  আসাদুল করিম শাহীন, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।

গুপ্তহত্যার সব তথ্য আমার কাছে আছে : শেখ হাসিনা

গত কয়েক দিন ধরে গুপ্তহত্যার ঘটনায় দেশের দু’টি দলের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না। আমি হেড অব দ্য গভর্নমেন্ট (সরকারপ্রধান)। আমার কাছে নিশ্চয়ই তথ্য আছে। তদন্তের স্বার্থে হয়তো সব কথা সব তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। কিন্তু সূত্রটা জানা যায়। আর সেই সূত্র ধরেই আমরা কথা বলি।’

এসপির স্ত্রীসহ গুপ্তহত্যাগুলোর ঘটনায় রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার কারণে মূল অপরাধীরা আড়ালে চলে যায় উল্লেখ করে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, যারা এ ধরনের কথা বলেন, তারা যদি তথ্য পেয়ে থাকেন, তাহলে তা প্রকাশ করুন। পার পেয়ে যাওয়া জঙ্গিরা কারা? পরিচয় পেলে জানান। হত্যাকারী যে পরিচয়েরই হোক, রেহাই পাবে না। সরকার বসে নেই, গোয়েন্দা সংস্থাও বসে নেই।

জাপান, বুলগেরিয়া ও সৌদি আরব সফর সম্পর্কে অবহিত করতে বুধবার দুপুরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

গুপ্তহত্যার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন নাম নিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করলেও এদের হত্যার প্রক্রিয়া একই রকম। ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে, তাদের সঙ্গে দুটি রাজনৈতিক দলের যোগসূত্র রয়েছে। আবার অনেকে ওই দলগুলোকে বাঁচাতে চায়। এর মধ্যে ‘লাল গোলাপে শুভেচ্ছা জানিয়ে বেড়ান’ এক ব্যক্তি সজীব ওয়াজেদ জয়ের হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত। সব জেনেও অনেকে ওই ব্যক্তির গ্রেপ্তার হওয়ায় ব্যাকুলতা প্রকাশ করেন।

ব্যাংক ও আর্থিক খাতে শুধু পুকুর নয় সাগর চুরি হয়েছে : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্প ব্যয় প্রাক্কলিত ব্যয় থেকে বেশি হয়ে যাওয়ায় মঞ্জুরি দাবি এসেছে। দুর্নীতি প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে দেয়। স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর সঙ্গে একমত পোষণ করে তিনি বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে লুটপাট হয়েছে, সেটা শুধু পুকুর চুরি নয়, সাগর চুরি।

মঙ্গলবার সকালে জাতীয় সংসদে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের মঞ্জুরি দাবির ওপর আলোচনায় স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সংসদে ২০১৫-১৬ সালের সম্পূরক বাজেটের ওপর দেওয়া বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সদস্যদের দেওয়া ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অর্থমন্ত্রী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৩৮ কোটি ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা মঞ্জুরি বরাদ্দের দাবি তোলেন। সম্পূরক বাজেট সম্পর্কে বিরোধীদলীয় সদস্যদের সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প ব্যয় প্রাক্কলিত ব্যয় থেকে বেশি হয়ে যাওয়ায় মঞ্জুরি দাবি এসেছে। যে বাজেট দেওয়া হয়েছে, তা যৌক্তিক। তবে এটা ঠিক, দুর্নীতি প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে দেয়।

দাবির বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ডেসটিনি ও হলমার্ক কেলেঙ্কারির পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকর রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংক খাত থেকে টাকা চুরি হয়েছে। সব ব্যাংকের একই অবস্থা। বাংলাদেশ ব্যাংকে যখন পচন ধরেছে, তখন অন্য ব্যাংকগুলোর অবস্থা আর বলা লাগে না। ৮০০ কোটি টাকা কর্মকর্তাদের যোগসাজশে চুরি হয়ে গেল। সব চুরির সঙ্গে ওই ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত। পৌনে তিন লাখ হাজার কোটি পাচার হয়েছে। ৩০ হাজার কোটি টাকা চুরি হয়েছে। এগুলোকে পুকুর চুরি না বলে সাগর চুরি বলা যায়। এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে অর্থমন্ত্রীও একমত প্রকাশ করেন।

এর আগে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রজেকশন ইজ প্রজেকশন। এটা পরিবর্তন হতেই পারে। আমরা যেটা দিয়েছি, আগামী তিন মাসে পরে আমাদেরটাই সঠিক হবে। সেটা তারা মেনে নেবে। প্রবৃদ্ধি কোনোভাবেই ৭ দশমিক ৫-এর কম হবে না। আমাদের নিজস্ব গবেষণা আছে। আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরো অনেক দক্ষ। আমাদের তথ্য নিয়েই তারা (আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান) কাজ করে।

আমলাতন্ত্রের কারণে বাজেট বাস্তবায়ন হচ্ছে না—বিরোধী দলের এমন দাবির জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা যে বাজেট দিয়েছি, তারা তাদের জীবনে এত বড় বাজেট দেখেননি, যা গত সাত বছরে বাজেট ৯১ হাজার কোটি টাকা থেকে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়। সেটার সঙ্গে যে তারা চলতে পারছেন। এ জন্যই তাদের ধন্যবাদ পাওয়া উচিত।

একই সময়ে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের এক বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি দুইবার জাতীয় পার্টির বাজেট দিয়েছি। এটা সর্বৈব মিথ্যা। আমি কখনো জাতীয় পার্টির বাজেট দিইনি। আমি যখন বাজেট দিয়েছি, তখন জাতীয় পার্টির জন্মই হয়নি। আমি দিয়েছি এরশাদ সাহেবের বাজেট, যখন নির্দলীয় সরকার ছিল।

মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৮ সালে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল মাত্র নয় হাজার। এখন এই সংখ্যা ২৮ হাজার। এই ২৮ হাজারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশকে অযথাই এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, একজন এমপি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন। শিক্ষকেরা অনশন করেন এমপিওভুক্তির জন্য। আমি তাঁদের জিজ্ঞেস করতে চাই। অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কে তারা সব সময় সোচ্চার, কিন্তু কত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ভুঁইফোড়, চারজন শিক্ষক একজন ছাত্র নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান। সেসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তাঁরা কেন প্রতিবাদ করেন না।

নারায়ণগঞ্জ ১১টি ইউপি চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ

নারায়ণগঞ্জের সদর ও রূপগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনুষ্ঠানিক ভাবে শপথ গ্রহণ করলো । শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ পাঠ করান জেলা প্রশাসক মো. আনিছুর রহমান মিয়া।
সোমবার (৬ জুন) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইসরাত হোসেন খাঁন, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার চেয়ারম্যানদের মধ্যে উপস্থিত থেকে শপথ গ্রহণ করেন, কুতুবপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম সেন্টু, কাশীপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বিনাপ্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম সাইফুল্লাহ বাদল, বক্তাবলী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থীত ও বিনাপ্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান শওকত আলী, এনায়েতনগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থীত চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সিনি:সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান, গোগনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান নওশেদ আলী, আলীরটেক ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থীত নির্বাচিত চেয়ায়ারম্যান মো. মতিউর রহমান মতি।
অন্যদিকে রূপগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের মধ্যে শপথ গ্রহণ করেন, আওয়ামীলীগ সমর্থীত চেয়ারম্যান তোফায়েল আলম, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ভোলাব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন।
শপথ গ্রহণ শেষে নির্বাচিত চেয়ারম্যানবৃন্দরা তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো ব্যাক্ত করেন। এসময় সকলের কণ্ঠেই ভেসে ওঠে বর্তমানে ভয়াবয় আকার ধারণ করা মাদকের পরিস্থিতি।
সব শেষে চেয়ারম্যানদের প্রতি দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আনিছুর রহমান মিঞা। এসময় তিনি চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কেউ মাদকের বিষয়ে কারও সাথে আপোষ করবেন না। কারণ মাদককে বন্ধ করা না হলে কোন কাজই সফল হবে না।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেখা যায়, কোন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হলে সেখান থেকে তারা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে। এর পর আবারও তারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পরে। তাই আপনারা এই সকল ব্যাক্তিদের আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট হস্তান্তর করবেন। কারণ সেখানে জামিনের কোন সুযোগ নেই। আর শাস্তির পরিমানটাও অনেকটা বেশি হয়ে থাকে। এতে করে সেই মাদক ব্যবসায়ী পূনরায় এসব কাজে জড়াতে দ্বিধার মধ্যে থাকবে। পাশাপাশি মাদকও অনেকাংশে কমেও যাবে।
সব শেষে সকলের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে শপথ গ্রহণ সভা শেষ করেন জেলা প্রশাসক মো. আনিছুর রহমান মিঞা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম নারী প্রার্থী হলেন হিলারি ক্লিনটন

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম নারী প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হিলারি ক্লিনটন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডেলিগেটের সমথর্ন পাওয়ার পরই তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মনোনীত হলেন।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকালে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর জানায়। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থিতার দৌড়ে থাকা বার্নি স্যান্ডার্সকে পরাজিত করে তিনি এই গৌরব অর্জন করলেন। ফলে এখন রিপাবলিকান দলের মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মোকাবেলা করায় আর কোনো বাধা থাকলো না।

এর আগে রবিবার অনুষ্ঠেয় প্রাইমারিতে পুয়ের্তো রিকোরতে বড় জয় পাওয়ার পরই তার দলটির পক্ষ থেকে মনোনয়ন নিশ্চিত হয়। হিলারি ক্লিনটন মোট ২ হাজার ৩৮৪ ডেলিগেটের সমর্থন পেয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। এরমধ্যে প্লেজড ডেলিগেটের সমর্থন ১ হাজার ৮১২ এবং সুপার ডেলিগেটের সমর্থন রয়েছে ৫৭২। মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তার দরকার ছিলো ২ হাজার ৩৮২ ডেলিগেটের সমর্থন। প্রয়োজনের চেয়ে একটি ডেলিগেটের সমর্থনে পেয়ে তার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যায়।

অপরদিকে, ডেমোক্র্যাটিক দলের হিলারির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্স ১ হাজার ৫৬৬ ডেলিগেটের সমর্থন পেয়েছেন। এর মধ্যে প্লেজড ডেলিগেটের সমথর্ন রয়েছে ১ হাজার ৫২০ এবং সুপার ডেলিগেটের সমর্থন রয়েছে ৪৬। আগামী নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি লড়াই হবে ট্রাম্প-হিলারির মধ্যে।

বক্তাবলী ইউপি নির্বাচনের ৬নং ওয়ার্ডের ভোট পুনঃগননার আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট

গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্টিত বক্তাবলি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ডের সাধারন সদস্য পদের ভোট পুনঃগননার আদেশ দিয়েছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী সদর উদ্দিন মেম্বারের দায়ের করা রিটের পেক্ষিতে এ আদেশ দেয় বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী,বিচাপতি খসরুজ্জামান এর দৈত্ব বেঞ্চ। রিটকারীর পক্ষে শুনানী করেন এডঃ রাশেদুল হক। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল তিতাস হিলোল রিমা।
এ আগে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী সদর উদ্দিন মেম্বার দাবি করেন শান্তিপূর্ন নির্বাচনের পর পুলিশের সহযোগিতায় জোরপুর্বোক ভয়ভীতি প্রদর্শন করে রেজালসিটে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে ৭৩ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়।
এর প্রতিবাদে সদর উদ্দিন মেম্বার ও তার সহযোগিরা ফলাফল প্রত্যাখানসহ পুনরায় ভোট গননার দাবিতে মিছিল মিটিং মানব বন্ধন সহ নানা কর্মসুচী পালন করে আসছে।
ভোট পুনরায় গননার জন্য সদর উদ্দিন রিটার্নি কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।রিটার্নিং কমর্কর্তা কোনো ব্যাবস্থা গ্রহন না করায় হাইকোর্টে রিটের পেক্ষিতে  আদেশ পাওয়ার ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে দরখাস্ত নিস্পত্তির আদেশ দেয় হাইকোর্ট। কোর্টের আদেশ ২৯ শে মে রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌছেছে আদেশের কপি।

বাংলাদেশ সীমান্তের মাদ্রাসাগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আখড়া : দিলিপ ঘোষ

বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলে থাকা মাদ্রাসাগুলো ভারতে হওয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আখড়া বলে মন্তব্য করেছেন বিজিপির পশ্চিম বঙ্গ প্রদেশের প্রেসিডেন্ট দিলিপ ঘোষ। এ সময় তিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিপূর্ণ রূপে বন্ধ করে দেয়া উচিত বলেও মত প্রকাশ করেন।

ঘোষ বলেন, মৌলবাদী, সন্ত্রাসী ও জাতীয়তা বিরোধী কর্মকাণ্ডের উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের সীমান্তে থাকা মাদ্রাসাগুলো। তিনি নিজের এই বক্তব্যকে সমর্থনের জন্য পশ্চিম বঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি এক সময় বলেছিলেন ভারতের জাতীয়তাবাদ বিরোধী ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর জন্ম হয় সীমান্তে থাকা মাদ্রাসাগুলো থেকে। পরবর্তীতে চাপের মুখে এ বক্তব্য ফিরিয়ে নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। কিন্তু বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়ার কোন কারণ নেই। কারণ একজন মুখ্যমন্ত্রী এমনি এমনি কোন কথা বলেন না। পুলিশ ও ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর দেয়া রিপোর্ট অনুসারেই তিনি কথা বলেন।

এ সময় ঘোষ আরো বলেন, এই মাদ্রাসাগুলো বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত হয়। আর তারাই জাতীয়তাবাদ বিরোধী কার্যক্রম থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, অবৈধ গো পাচার এবং চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত।

উল্লেখ্য, বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য ভারত জুড়ে বিখ্যাত এই বিজেপি নেতা। এর আগে তিনি বলেছিলেন, মৌলবাদীরা তাদের আখড়া হিসেবে বেছে নিয়েছে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, জয়দেবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়। তার এই মন্তব্যে ভারত জুড়ে তীব্র সমালোচনা হয়।

চট্টগ্রামে এসপির স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা

চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু (৩৫) নিহত হয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মহানগরীর জিইসি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইকবাল বাহার জানান, সকালে ছেলেসন্তান আক্তার মাহমুদ মাহিদকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের উদ্দেশে রওনা হন মিতু। বাসা থেকে ৫০ গজ দূরে রাস্তায় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত প্রথমে মিতুকে ধাক্কা দেয়। পরে তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। এর পর মাথার পেছনে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।

সিএমপি কমিশনার জানান, খবর পেয়ে তিনিসহ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁরা মিতুকে চিনতে পারেন।

ইকবাল বাহার আরো জানান, বাবুল আক্তার ও মাহমুদা খানম মিতু দম্পতির ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহিদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। তাবাসসুম তাসনিম নামের এক মেয়েও রয়েছে এ দম্পতির।

বাবুল আক্তার সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-গোয়েন্দা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি এসপি পদে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকায় বদলি হয়ে এসেছেন।

জামায়াতের সঙ্গে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সম্পর্ক ভালো নেই

ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে রাজনীতি করা দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দেশের অধিকাংশ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক ভালো নেই। কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়লেও ওই দলগুলো কখনও জামায়াতকে সমর্থন করে না বলে জানা গেছে।

এমনকি কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সঙ্গেও জামায়াতের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্বে টানাপড়েন দেখা দিলেও কৌশলগত কারণে দলটির শীর্ষ নেতারা মুখ খুলছেন না।

সূত্রমতে, ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশকে ঘিরে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা হেফাজতে ইসলামের ‘ব্যাপক জনসমর্থন’ কাজে লাগিয়ে সেই সময় সরকারের ভিত কাঁপিয়ে দিতে চেয়েছিল জামায়াত ও বিএনপি। কিন্তু এতে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতা চালালেও তাদের সঙ্গে কোনো ধর্মভিত্তিক দল যোগ দেয়নি। কারণ দেশের অধিকাংশ ধর্মভিত্তিক দল অতীতে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত ও তাদের সহিংস কর্মকা-কে কখনও সমর্থন করেনি এবং এখনও করছে না।

সূত্রমতে, ২০১৫ সালের বছর ১১ এপ্রিল এক সমাবেশে হেফাজতের আমির আহমেদ শফী বলেন, আওয়ামী লীগ, সরকার ও ছাত্রলীগ আমাদের শত্রু নয়, বন্ধু। তার এই বক্তব্যের পরই মূলত, জামায়াতের সঙ্গে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর ফাটলের সূচনা হয় বলে মনে করছেন অনেকেই।

কারণ, কওমী মাদ্রাসাকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা ইসলামিক দলগুলোর মূল নিয়ন্ত্রক হচ্ছে আহমেদ শফীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলাম। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মহাসচিব মাওলানা ইউনূস আহমদ বলেন, আমাদের দল স্বাধীনতাবিরোধী দল নয়। আমাদের দল স্বাধীনতার চেনায় বিশ্বাসী। ফলে কোনো স্বাধীনতাবিরোধী দলের সঙ্গে আমাদের দলের কখনও ঐক্য হতে পারে না।

বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব লায়ন এমএ আউয়াল বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আমাদের ঐক্য হওয়ার প্রশ্নই আসে না। জামায়াত ’৭১-এ দেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে আবস্থান নিয়েছে। আর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন হলো স্বাধীনতার পক্ষের দল। সুতরাং এ দলের সঙ্গে জামায়াতের ঐক্যের কোনো সম্ভাবনা নেই।