১২ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 81

চুরির অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেফতার

নিউজ প্রতিদিন ডেস্ক: মারামারি, স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল মৃধাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাতে তাকে মুন্সিগঞ্জ শহরের বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় চরকেওয়ার টরকী গ্রামের রেহানা বেগম মামলাটি দায়ের করেন।

রেহানা বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে মারধর করেন ফয়সাল মৃধা।

এছাড়া টাকা, স্বর্ণালংকার চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে মামলাটি করেন রেহানা।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন বলেন, স্থানীয় একটি সমস্যার কারণে ফয়সাল মৃধাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজনৈতিক কোনো মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। মামলাটিতে ছয়জন আসামির মধ্যে প্রধান ফয়সাল মৃধা।

বক্তাবলীর চিহ্নিত ডাকাত জালাল গ্রেফতার

ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীর চিহ্নিত ডাকাত জলিল ওরফে জালালকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা   মডেল থানার পুলিশ।

শনিবার (২৯ জুন) বিকালে বক্তাবলীর চরবয়রাগাদী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, জলিল ওরফে জালাল ওই এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে ডাকাতি করে আসছিল। সে চরবয়রাগাদীর মৃত হান্নান মিয়ার ছেলে।

দিনে সাংবাদিক, রাতে ডাকাত‌‌!

নিউজ প্রতিদিন: সংবাদপত্রের আইডি কার্ড গলায় ঝুলানো। সাথে ডিএসএলআর ক্যামেরা। দেখলে মনে হবে সে একজন সংবাদ কর্মী। আসলে সে একজন ডাকাত সর্দার। তার নাম মো. হোসেন আলী। বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা আটিপাড়া। সে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দেশ’ পত্রিকার ফটো সাংবাদিক পরিচয় দেন।

যে বাড়িতে ডাকাতি করবে সে বাড়িতে সাংবাদিক পরিচয়ে দিনের বেলায় র‌্যাকি করে আসতো। কারো যাতে সন্দেহ না হয় তাই এমন পেশাকে বেঁছে নিয়েছেন। এমন একজন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর পুলিশের চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য কার্ডও দেখান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সোনারগাঁওয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দি এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় বারদি এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় মো. হোসেন আলী। হোসেন একজন পেশাদার ডাকাত। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাউসার আহম্মেদের আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারা জবানবন্দীতে অভিনব কৌশলে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন।

অপরাধ জগতের পরিচিত মুখ ছিল দুই খুনী

পরিচিত মুখ ছিল – প্রকাশ্যে এভাবে কুপিয়ে হত্যা স্ত্রী শত চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারলেন না স্বামীকে। বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে গতকালের এমন নৃশংস দৃশ্য দেখা যায়, যা কারও কাম্য নয়। কিন্তু যে দুই যুবক এই হত্যালীলা চালালেন, তারা কারা? এ প্রশ্ন এখন দেশবাসীর। সবাই জানতে চাচ্ছেন, এদের শক্তির উৎস কী?

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকারী দুই জনের একজন রিফাত ফরাজী। আরেকজনের নাম নয়ন (২৫) বন্ড।
দুইজনই অনেক আগে থেকেই অপরাধ জগতের পরিচিত মুখ। তাদের কারণে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা জানান, মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন ও ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে যুক্ত ছিলেন রিফাত ফরাজী। এ কারণে স্থানীয়দের কাছে একটি আতঙ্কের নাম রিফাত ফরাজী। রিফাতের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের ওপর হামলা, মারধর রিফাতের কাছে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এসব কারণে কয়েকবার গ্রেফতার হলেও অজ্ঞাত এক কারণে খুব স্বল্প সময়েই মুক্তি পান তিনি। ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় তরিকুল ইসলাম (২১) নামে এক প্রতিবেশীকে কুপিয়ে মারাত্মক যখম করেন রিফাত ফরাজী।

তরিকুল জানান, একদিন সামান্য কথা কাটাকাটি হয় রিফাত ফরাজীর সঙ্গে তার। তখন রিফাত ফরাজী তাকে কুপিয়ে যখম করার হুমকি দেন। রিফাত ফরাজীর ভয়ে তিনি দেড় মাস রিফাত ফরাজীর বাসার সামনে দিয়ে না গিয়ে আধা কিলোমিটার পথ ঘুরে তার বাসায় যাওয়া আসা করতেন। হুমকি দেয়ার দেড় মাস অতিবাহিত হওয়ার পর একদিন সন্ধ্যায় রিফাত ফরাজীর বাসার সামনে দিয়ে তরিকুল তার বাসায় যাওয়ার পথে রিফাত ফরাজী দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার মাথায় গুরুতর যখম করেন। এ ঘটনায় তরিকুলের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

একই বছর রিফাত বরগুনার হোমিও চিকিৎসক ডা. আলাউদ্দিন আহমেদের ডিকেপি রোডের বাসার ছাত্র মেসে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে বাসায় থাকা সব ছাত্রদের জিম্মি করে, তাদের ১৪টি মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ রিফাতের বাবা দুলাল ফরাজীকে আটক করে মোবাইলগুলো উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে ডা. আলাউদ্দিন আহমেদের ছেলে ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ‘ডিকেপি রোডের আমাদের ভাড়া দেয়া বরগুনা পলিট্যাকনিক ইনিস্টিটিউটের মেসে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে ১৪টি মোবাইল ছিনতাই করেন রিফাত ফরাজী। এ ঘটনা জানার পর আমি বরগুনা সদর থানায় গিয়ে অভিযোগ করায় রিফাত ফরাজীর বাবা দুলাল ফরাজীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে তিনি রিফাতের কাছ থেকে ছিনতাই করা ১৪টি মোবাইলের মধ্যে ১১টি উদ্ধার করেন। আর বাকি তিনটি মোবাইল উদ্ধার করতে না পেরে নতুন মোবাইল কিনে দিয়ে থানা থেকে মুক্তি পান।’

২০১৭ সালে বরগুনায় ইয়াবা, ফেন্সিডিল, হেরোইন ও দেশীয় অস্ত্রসহ নয়নসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ

বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মারজানা মনি বলেন, ‘২০১৭ সালের রমজানে আমার একমাত্র ছোট ভাই হাফেজ মো. মেহেদী হাসান বরগুনার হোমিও চিকিৎসক আলাউদ্দিন ডাক্তারের বাসা সংলগ্ন মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ায়। তখন রিফাত ফরাজী একদিন মেহেদীর কাছ থেকে স্যামস্যাং গ্যালাক্সি কোর প্রাইম মডেলের বিদেশ থেকে আনা একটি ফোন ছিনিয়ে নেন। বিষয়টি রিফাত ফরাজীর মা-বাবাসহ স্থানীয় অনেককে জানানোর পরও আমার ভাইয়ের মোবাইলটি কেউ উদ্ধার করে দিতে পারেনি। পরে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করার পর সাড়ে সাত হাজার টাকার বিনিময়ে মোবাইলটি ফিরিয়ে দিয়ে হুমকি দেন রিফাত ফরাজী। পরে রিফাত ফরাজীর হুমকিতে ওই এলাকা ছেড়ে একপ্রকার পালিয়ে আসে আমার ভাই।’

বরগুনা সরকারি কলেজের দক্ষিণ-পশ্চিমে বরগুনা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে নয়ন বন্ডের (২৫) বাসা। নয়নের বাবা মৃত ছিদ্দিকুর রহমান। দুই ভাইয়ের মধ্যে নয়ন ছোট। নয়নের বড় ভাই মিরাজ দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুর প্রবাসী হওয়ার কারণে মাকে নিয়েই ওই বাসায় বসবাস করছেন নয়ন।

২০১৭ সালের ৫ মার্চ রাত ১১টার দিকে নয়ন বন্ডের বাসায় অভিযান চালায় বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় বিপুল পরিমাণ মাদক, দুটি দেশীয় অস্ত্র ও এক সহযোগীসহ নয়ন বন্ডকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসব মাদকের মধ্যে ছিল ৩০০ পিস ইয়াবা, ১২ বোতল ফেনসিডিল ও ১০০ গ্রাম হেরোইন।

এ ঘটনায় জাগো নিউজসহ দেশের প্রধান প্রধান গণমাধ্যমে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগী ইমামের গ্রেফতারের সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগী ইমামের বিরুদ্ধে। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে আসেন নয়ন বন্ড। জেল থেকেই বেরিয়ে মূলত এ হত্যাকাণ্ড ঘটান তিনি।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবীর হোসেন মাহমুদ বলেন, নয়ন বন্ডের মাদক বাণিজ্যের কথা আমরা জানি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলার কথাও আমরা জেনেছি। এর আগে নয়ন ও তার সহযোগী জেল খেটেছে। জামিনে তারা বেরিয়ে যায়। রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয়নসহ সবাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করলো সন্ত্রাসীরা

ডেস্ক রিপোর্ট:  বরগুনায় প্রকাশ্যে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফ (২৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এরই মধ্যে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নৃশংস এ ঘটনা ঘটে। এরপর গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. হালিম দুলাল শরীফ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার ভিডিওতে যে দুই যুবককে দেখা যায় তাদের একজনের নাম নয়ন বন্ড এবং আরেকজন রিফাত ফরাজী। তারা ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এসব ঘটনায় তারা একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।

এদিকে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ধারালো দা দিয়ে রিফাতকে একের পর এক কোপ দিতে থাকে দুই যুবক। ওই সময় রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি দুই যুবককে বারবার প্রতিহতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ঘটনাটি পুলিশের সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিল।

বরগুনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবীর হোসেন মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেখানে থানা পুলিশের সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে খুনিদের শনাক্ত করা হয়েছে। অভিযান চলছে, শিগগিরই খুনিদের গ্রেফতার করবে পুলিশ।

মান্নান ভূঁইয়াকে শ্রেষ্ঠ সংগঠকের পুরস্কার দিলেন জেলা প্রশাসন

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ আর্তমানবতার সেবায় সামাজিক উন্নয়নে এগিয়ে আসার প্রত্যয়ে মাদক বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় সমাজকর্মী এম এ মান্নান ভূঁইয়াকে আবারো শ্রেষ্ঠ সংগঠকের পুরস্কার তুলে দিলেন জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ। মাদক বিরোধী সামাজিক সচেতনতা মুলক কার্যক্রমে সফলতা অর্জন সহ সাহসী ভূমিকা নেয়ায় মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁইয়া কে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যূথিকা সরকার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সামছুল আলম।

এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক, বিজিবি’র উপ-অধিনায়ক মোঃ হাবিব, জেল সুপার সুভাস চন্দ্র, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে উপপরিচালক একেএম শাহরিয়ার রেজা, জেলা শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ আয়োজিত মাদক বিরোধী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদ্য যোগদানকারী জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন।

উল্লেখ যে, মাদক বিরোধী কার্যক্রম করতে গিয়ে মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা মান্নান ভূঁইয়া গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাহত হয়েছিলেন। মাদক বিরোধী কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সমাজকর্মী এম এ মান্নান ভূঁইয়া ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ ও এবার ২০১৯ সালের শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে সম্মাননা স্মারক হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন।এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে এপর্যন্ত ৮ বার সফলতার সহিত পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রাণের এমডি আহসান চৌধুরীকে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রাণের এমডি আহসান খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী পাভেল সুইট। রোববার দুপুরে এ পরোয়ানা জারি করা হয়।

এর আগে প্রাণের ঘি, লাচ্ছা সেমাই, হলুদগুড়াসহ নিম্নমানের পণ্য উৎপাদনের অভিযোগে মামলা করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ৩০ জুলাই ধার্য করা হয়।

এদিকে মামলার আজকের শুনানির সময় এমডি আহসান খান উপস্থিত ছিলেন না। তার আইনজীবীরা জানান, তিনি অসুস্থ, তাই আদালতে হাজির হতে পারেননি। তবে আদালত এ বক্তব্য আমলে নেননি।

বিস্তারিত আসছে…

আলোচিত সাংসদ শামীম ওসমান ভারতীয় গণমাধ্যমে

আলোচিত সংসদ সদস্য ও  আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান।  দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরে দেশগুলোতেও রয়েছে তার পরিচিতি। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতের আজমীর শরীফ সফরকালে  ‘শিব সমাচার’ নামে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে শামীম ওসমানকে নিয়ে সংবাদ। আর সংবাদটি গুরুত্ব দিয়েই প্রকাশ করেছেন সাংবাদ মাধ্যমটি।

গত ১৫ জুন এমপি শামীম ওসমানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভারতের আজমীর শরীফ খাজা মাঈনুদ্দিন চিস্তি(রহঃ) এর মাজার জিয়ারত করতে যান। আর সেই মাজার জিয়ারতের নিউজে শামীম ওসমানের নাম উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশ এমপির নেতৃত্বে দরগাহ জিয়ারতে ৫ সদস্য প্রতিনিধি দল। সংবাদটির সঙ্গে শামীম ওসমান সহ প্রতিনিধি দলের ৫ সদস্যের ছবিও প্রকাশ করা হয়।

সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয়, নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজমীর শরীফ এসেছিলেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা গরিবে নেওয়াজ খাজা মাঈনুদ্দিন চিশতির কবর ও ফুল দিয়ে দরগাহের মখমল চাদর ডেকে দেন।

এ সময় সাথে ছিলেন শামীম ওসমানের সহধর্মিনী বাংলাদেশ মহিলা সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি, মজনু চৌধুরী, ফারুক বিন ইউসুফ পাপ্পু প্রমুখ।

প্রতিনিধি দলের সদস্যদের গরিবে নেওয়াজ খাজা মাঈনুদ্দিন চিশতির মাজারের ফুল ও চাদর সবাইকে একটি করে উপহার দেওয়া হয়। পরে উভয় দেশের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব, শান্তি ও অগ্রগতির জন্য প্রার্থনা করা হয়। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশর আওয়ামীলীগের জন্য সুখ, শান্তি কামনা করা হয়।

এর আগেও বঙ্গবন্ধু‘র জীবনী নিয়ে সিনেমা বানানোর পরিচালক ভারতীয় প্রখ্যাত সিনেমা ব্যাক্তিত্ব শ্যাম বেনেগাল বাংলাদেশে এলে এমপি শামীম ওসমানের সাথে সাক্ষাত করেন ভারতীয় দূতাবাসে।

ফতুল্লায় মাদক সন্ত্রাসী নিপু বন্দুকযুদ্ধে নিহত

ফতুল্লায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে লিপু (৩০) ওরফে বোমা লিপু নামে এক সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এছাড়ও ডিবি পুলিশের তিন সদস্য এছাড়া ইন্সপেক্টর  এনামুল হক, এসআই কামরুল ইসলাম, কনস্টেবল নাদিম আহত হয়েছেন।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। বুধবার মধ্যরাতে ফতুল্লার দাপা বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত লিপু ফতুল্লার পিলকুনি এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে।

পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, নারী নির্যাতন, হত্যার চেষ্টা, ডাকাতিসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পুলিশের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সকল তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বুধবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ইন্সপেক্টর এনামুল হক লিপুকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ডিবির একটি দল রাতে ফতুল্লায় মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়।

দাপা বালুর মাঠ এলাকায় পৌঁছালে লিপুর সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টাগুলি ছুড়লে তারা পালিয়ে যায়।

পরে  ঘটনাস্থল থেকে লিপুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ফতুল্লায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা

মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার হারুণ অর রশিদের কঠোরতার পরও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফতুল্লার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা। থেমে নেই তাদের মাদক ব্যবসা। ফতুল্লার বিশাল একটি অঞ্চলের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে আলোচিত ডাকাত এবং পুলিশের কথিত সোর্সরা। দীর্ঘদিন ধরে বিশাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই অঞ্চলের মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এসব ডাকাত এবং সোর্সরা। জেল হাজত থেকে ছাড়া পেয়ে অনেকে এই সিন্ডিকেটে যুক্ত হয়েছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। যারা মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক ডাকাতি, হত্যা,পুলিশের উপরে হামলা ও মাদকের মামলা। আর এই সিন্ডিকেটকে নানা ভাবে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে বিশেষ পেশার বেশ কিছু ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানিয়েছেন, মাদক ব্যবসার সাথে যে জড়িত থাকুক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

সচেতন মহলের মতে, পুলিশ সুপার মাদক,সন্ত্রাস ও ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে যখন জিহাদ ঘোষণা করেছে, ঠিক তখনই এসব ডাকাত ও সোর্সরা পুলিশকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তাদের মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এরফলে পুলিশের ইমেজ ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে এসব মাদক ব্যবসায়ী ডাকাত ও সোর্সদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী বলে মনে করছেন ফতুল্লার সচেতন মহল। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।

বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, ডাকাতি,পুলিশের উপর হামলা, হত্যা, মাদকসহ প্রায় ১৪টি মামলার আসামী ফতুল্লা ষ্টেশন, ব্যাককলোনী এলাকার ওহাব মিয়ার ছেলে ডাকাত রনি। যিনি নিজেকে পুলিশে সোর্স পরিচয় দিয়ে পুলিশের কিছু কর্মকর্তার সাথে সখ্যতা রেখে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ডাকাত রনি ডিবি পুলিশের হাতে বিপুল পরিমান মাদকসহ গ্রেফতারের পর গত এক মাস আগে জামিনে এসে আবারো মাদক ব্যবসা শুরু করেছে। মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে ডাকাত রনি, টুটুলের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। আর এই সিন্ডিকেটে রয়েছে ডাকাত লিপু ওরুফে বোমা লিপু, আমীর হোসেন পিচ্ছু, ডাকাত শাহিন, সোর্স পান্না, সোর্স সোহাগ, টিকিমারা লিটন,দিপু, ডাকাত কবির হোসেন ফেলা।

আর এই সিন্ডিকেটের আওতায় রয়েছে লালখার শামীম,স¤্রাট, বোন স্বপ্না, রাসেল, পাইলটস্কুল বেপারী পাড়ার রবিন, সুকানী সুমন,বাংলা খোকনের পুত্র সোহান, ষ্টেশনের মাইছ্যা সোলমানের পুত্র রুবেল,ওলুর ছেলে শুভ ওরুফে বাবা শুভ, জনি ওরুফে চোরা জনি,পারভেজ ওরুফে হাক্কানী পারভেজ, বিথী, শুভ ওরুফে লম্বু শুভ,মাইছ্যা শাহজাহানের পুত্র শাহজুল, ছোট রাজু, রেইবোর মোড় এলাকার জনু, কানা রফিকের ছেলে মোল্লা রাসেল, ইকবাল, সানু, ডাকাত রেহান, রাজিবসহ প্রায় অর্ধশত সেলস্ম্যান। আর এই মাদক ব্যবসায়ীদের মাল বহন এবং সরবারহ করে থাকে ডাকাত রনির বউ সালমা। এদের কাউকে আবার পুলিশের সাথে বিভিন্ন অভিযানে দেখা যায়। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে, সোর্স ডাকাত রনি, সোর্স পান্না এবং সোর্স সোহাগ নিজেদের স্বার্থ হাসিলে থানা ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বেশ কিছু সদস্যদের সাথে সখ্যতা রেখে প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের আড়াল করতে বেশ কিছু সেলস্ম্যান ও মাদক সেবীদের মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এছাড়া এই তিন সোর্সকে টিকি মারা লিটনসহ ফতুল্লার বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা রয়েছে বলেও অভিযোগ স্থানীয়। এছাড়াও ফতুল্লার সরদার বাড়ি এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ইলিয়াস ডাইং ব্যবসার আড়ালে সরদার বাড়ি এলাকার ডাকাত ইয়াসিনের সাথে যৌথ ভাবে কয়েক বছর ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে।

অপরদিকে, ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকায় সল্টু রাসেল,কাইল্যা মাসুম,মোস্তাকিন, সাঈদ, রুবেল, শান্ত, ভাগ্নে মামুন, আক্তার শাহিন, আরমান সোর্স আইনুল, জালাল,খোকা,মোক্তার সালাউদ্দিন,বরকি শাহিন,জুয়েল,উজ্জ্বল, পাগলা এলাকার শাহ আলম,জাহাঙ্গীর, শরীফ,ঘাট রুবেল,মোক্তার,শিল্পী,মিথুন,সানজিদ,উত্তম, কামাল,ইকবাল,শিলা। দাপা এলাকায় ডাকাত জাকির,আনোয়ার কাজী,আলী দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলামা হোসেন জানান, আমরা মাদক ব্যবসায়ী কিংবা কোন অপরাধীকে ছাড়া দিচ্ছি না। আমরা সমাজকে মাদক মুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা বেশ কিছু অস্ত্রবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।