১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 85

প্রাণ, তীর, রূপচাঁদা, এসিআইসহ ৫২ পণ্য বাজার থেকে তুলে ধ্বংসের নির্দেশ

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় প্রাণ,পুষ্টি,তীর,রূপচাঁদা, এসিআই,ড্যানিশ,ফ্রেসসহ ৫২টি খাদ্যপণ্য ভেজাল বা নিম্নমান সম্পন্ন হিসেবে প্রমাণিত হওয়া এসব পণ্য বাজার থেকে তুলে ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

১২ মে রবিবার দুপুরে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলেন তারা।

আদেশের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সরকার এর আগে যেমন মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, প্রয়োজনে ভেজালের বিরুদ্ধেও একই রকম ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে ৯ মে বৃহস্পতিবার কনসাস কনজ্যুমার সোসাইটির (সিসিএস) পক্ষে হাইকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান জনস্বার্থে এ বিষয়ে একটি রিট দায়ের করেন।

আগামী ১০ দিনের মধ্যে আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। এ সময় ভেজালের বিরুদ্ধে মাদকের মতো যুদ্ধ ঘোষণা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিএসটিআইয়ের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে খোলা বাজার থেকে ৪০৬টি পণ্যের নমুনা ক্রয় করে বিএসটিআইয়ের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৩১৩টি পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। যার মাধ্যে ৫২টি পণ্য পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে।

৫২টি পণ্যের তালিকা:
১. রূপচাঁদা সরিষার তেল
২. তীর সরিষার তেল
৩. পুষ্টি সরিষার তেল
৪. প্রাণ লাচ্ছা সেমাই
৫. প্রাণ হলুদ গুড়া
৬. প্রাণ কারি পাউডার
৭. এসিআই পিউর ধনিয়া গুড়া
৮. এসিআই আয়োডিনযুক্ত লবন
৯. ড্যানিশ হলুদের গুড়া
১০. ড্যানিশ কারী পাউডার
১১. বাঘাবাড়ী স্পেশাল ঘি
১২. ফ্রেশ হলুদ গুঁড়া
১৩. মধুবন লাচ্ছা সেমাই
১৪. মিঠাই লাচ্ছা সেমাই
১৫. ওয়েল ফুড লাচ্ছা সেমাই
১৬. মেসার্স মুধবন (সিলেট) লাচ্ছা সেমাই
১৭. সান চিপস
১৮. সান হলুদ গুঁড়া
১৯. মোল্লা সল্ট আয়োডিনযুক্ত লবন
২০. মধুমতি আয়োডিনযুক্ত লবন
২১. ডুডলি নুডলস
২২. বনলতা ঘি
২৩. গ্রীণ ব্লিচিং (জিবি) সরিষার তেল
২৪. আরা ফুড ড্রিংকিং ওয়াটার
২৫. আল সাফি ড্রিংকিং ওয়াটার
২৬. মিজান ড্রিংকিং ওয়াটার
২৭. মর্ণ ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার
২৮. ডানকান ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার
২৯. আরা আর ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার
৩০. দিঘী ড্রিংকিং ওয়াটার
৩১. শান্ত ফুড সফট ড্রিংক পাউডার
৩২. জাহাঙ্গীর ফুড সফট ড্রিংক পাউডার
৩৩. পিওর হাটহাজারী মরিচ গুঁড়া
৩৪. মিস্টিমেলা লাচ্ছা সেমাই
৩৫. কিং ময়দা
৩৬. রূপসা দই
৩৭. মক্কা চানাচুর
৩৮. মেহেদী বিস্কুট
৩৯. নিশিতা ফুডস এর সুজি
৪০. মঞ্জিলের হলুদ গুঁড়া
৪১. গ্রীনলেন মধু
৪২. কিরন লাচ্ছা সেমাই
৪৩. ডলফিন মরিচের গুঁড়া
৪৪. ডলফিন হলুদের গুঁড়া
৪৫. সূর্য মরিচের গুঁড়া
৪৬. জেদ্দা লাচ্ছা সেমাই
৪৭. অমৃত লাচ্ছা সেমাই
৪৮. দাদা সুপার আয়োডিনযুক্ত লবণ
৪৯. মদীনা/স্টারশীপ আয়োডিনযুক্ত লবণ
৫০. নুর স্পেশাল আয়োডিনযুক্ত লবণ
৫১. তিন তীর আয়োডিনযুক্ত লবণ
৫২. তাজ আয়োডিনযুক্ত লবণ

৬ মে বিএসটিআই কর্তৃক বাজারে এসব পণ্যে ভেজাল ধরা পড়ার পরও জব্দ না করা, সেগুলো বাজার থেকে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা না নেওয়া ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নেওয়ায় দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব ও তিন প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে আইনি নোটিশ পাঠায় ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে জবাব না পাওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়।

রিটে ওইসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট পণ্য কেনো জব্দ করা হবে না বা বাজার থেকে কেনো প্রত্যাহার করা হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে কেনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-এর মহাপরিচালক (ডিজি), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদন নিয়ে ২ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলন করে। এরপর ৩ ও ৪ মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্তে সংবাদ প্রকাশ হয়।

বক্তাবলীর উন্নয়নে সকল মানুষ সহযোগিতা করবে-এম শওকত আলী

বক্তাবলীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেছেন,দেশকে উন্নত করতে পারে শেখ হাসিনার সরকার। দেশ ডিজিটাল রাষ্ট্রে পরিণত করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রাস্তাঘাটসহ সকল স্তরে উন্নয়ন করতে হবে। সেই আলোকে এবারের বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে। আশা করি বক্তাবলীর উন্নয়নে সকল মানুষ সহযোগিতা করবে।

ভৌত অবকাঠামো খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকালে তিনি এ সব কথা বলেন। রবিবার (১২ মে) সকালে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে বাজেট এ বাজেট ঘোষণা করা হয়।

শওকত আলী আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের সহযোগিতার কারণে বক্তাবলীতে উন্নয়ন কাজ দ্রুত গতিতে হচ্ছে।

বাজেটে ভৌত অবকাঠামো খাতকে ভৌত অবকাঠামো খাতকে প্রথম অগ্রাধিকার দিয়ে ৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বাজেট করা হয়েছে। শিক্ষা খাতকে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার দিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ লাখ ২০ হাজার ৫শ টাকা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সচিব নাজমুল হক সরকার, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টার, আকিলউদ্দিন, আতাউর রহমান প্রধান, মনির হোসেন, আমজাদ হোসেন, জলিল গাজী, রাসেল চৌধুরী, ওমর ফারুক, মতিন প্রধান, মহিলা সদস্য হাজেরা বেগম, কুলসুম বেগম, মরিয়ম আক্তার, সহকারি নুর মোহাম্মদ টিটু, সমাজসেবক মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, খোরশেদ আলম মাস্টার, নাসিরউদ্দিন মাদবর প্রমুখ।

দাড়ি রাখা, টাখনুর উপর কাপড় পড়া জঙ্গি লক্ষণ!

আজ অধিকাংশ জাতীয় পত্রিকায় ‘সন্দেহভাজন জঙ্গি সদস্য সনাক্তকরণের (রেডিক্যাল ইন্ডিকেটর) নিয়ামকসমূহ’ নামে একটি পোষ্টার ছাপানো হয়েছে। সেখানে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের জন্য কিছু লক্ষণের কথা বলা হয়েছে। যে লক্ষণগুলো দেখলে তাকে জঙ্গি হিসেবে সন্দেহ করা যাবে। সেই সন্দেহের মধ্যে ইসলামের আবশ্যক পালনীয় দাড়ি রাখা, টাখনুর উপর কাপড় পড়াসহ বেশ কিছু লক্ষণকে জঙ্গি লক্ষণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

পোষ্টারে উল্লিখিত জঙ্গি লক্ষণের মধ্যে রয়েছে- ধর্ম চর্চার প্রতি ঝোঁক; গায়ে হলুদ, জন্মদিন পালন, গান বাজনা ইত্যাদি থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখা; মিলাদ, শবেবরাত, শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সমালোচনা করা ইত্যাদি।পূর্বে এ ধরণের পোষ্টার আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কর্তৃক প্রচারিত হলেও আজকের পোষ্টারটির নিচে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের নামে প্রকাশ করা হয়েছে। জানা যায়, ধর্মনিরপেক্ষতার স্লোগানকে ধারণ করে গত বছরের জুলাই মাসে এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ার ৪টি ধাপের কথা বলা হয়েছে পোষ্টারে। তার প্রথম ধাপেই রয়েছে- তাওহীদ, শিরক, বেদাত, ঈমান, আকীদা, সালাত, ইসলামের মূলনীতি, দাওয়া ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা।

এদিকে ইসলামের মৌলিক রীতি নীতিকে জঙ্গিবাদের লক্ষণ হিসেবে তুলে ধরায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ধর্মীয় আলেম ও ওলামারা। তারা এসব বিষয় জঙ্গিবাদের লক্ষণ থেকে অপসারণের দাবি জানান।

তবে ইসলামের মৌলিক কিছু বিষয়কে জঙ্গি লক্ষণ হিসেবে তুলে ধরে বিতর্কিত কাজ করলেও সত্যিকারের কিছু জঙ্গি লক্ষণও তুলে ধরা হয়েছে পোষ্টারে। যেমন- ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর প্রকৃত নামে রেজিষ্ট্রেশন না করা; কুরআন হাদিসের অরিজিনাল কপি না পড়ে অনলাইন থেকে প্রাপ্ত নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া; টার্গেট কিলিং, জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করা, অস্ত্র গোলাবারুদ সংগ্রহ ও ব্যবহার করা ইত্যাদি।

বেনসন ২০, গোল্ডলিফ ১৬ টাকা করার প্রস্তাব

সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্য ৯ টাকা করার প্রস্তাব করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আসন্ন বাজেট সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ১০ এপ্রিল লেখা এক চিঠিতে এ প্রস্তাব করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

২০১৯-২০ বাজেটে সিগারেটসহ সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের ওপর বিদ্যমান কর কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এতে বাজারে চলমান প্রতিটি কম দামের সিগারেটে কমপক্ষে ৪ টাকা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

এই প্রস্তাবের মাধ্যমে বেনসন ও গোল্ডলিফসহ সমমানের ব্র্যান্ডের প্রতিটি সিগারেটের দাম বাড়বে অতিরিক্ত ৮ টাকা। বর্তমানে প্রতিটি বেনসন বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা ও গোল্ডলিফ ৮ টাকা।

বর্তমানে বাজারে সর্বনিম্ন প্রতি সিগারেটের দাম ৫ টাকা ও উচ্চস্তরে প্রতি সিগারেট ১২ টাকা খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।

অপরাধী যে-ই হোক কোন ছাড় দেয়া হবে না-ওসি ফতুল্লা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অপরাধীদের কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবে না মন্তব্য করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেছেন, আমি ফতুল্লাবাসীর জন্য ভাল কিছু করে যেতে চাই, যাতে আমি চলে যাওয়ার পর ফতুল্লার মানুষ আমাকে মনে রাখে। শনিবার দুপুরে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

আসলাম হোসেন বলেন, আমি মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যুদের ব্যাপারে কোন আপোষ করবো না। অপরাধী যে-ই হোক কোন ছাড় দেয়া হবে না। পুলিশ সাংবাদিক মিলে আমরা ফতুল্লাকে একটি মডেল এবং পরিচ্ছন্ন থানা হিসেবে গড়ে তুলবো। অপরাধী দমনে সাংবাদিকের সহযোগীতা চেয়ে ওসি ফতুল্লা বলেন, এই সমাজকে অপরাধ এবং অপরাধী মুক্ত করতে হলে পুলিশের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। সমাজের অন্যায় অপরাধগুলো লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরতে তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সামাদ মতিন, সাবেক সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ্, সহ-সভাপতি এড. মশিউর রহমান শাহিন, সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমীন প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ আলিম লিটন,প্রচার সম্পাদক জি এ রাজু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম, অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল,সদস্য পিয়ার চাঁন, মোঃ সেলিম হোসেন,আনিসুল হক হীরা প্রমুখ।

লেখুনীর মাধ্যমে অসঙ্গতি তুলে ধরতে হবে- মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী

নীড় পাতা অন্যান্য

ফতুল্লা প্রতিনিধি:লেখুনির মাধ্যমে সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরতে হবে মন্তব্য করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বলেছেন, সমাজ থেকে অপরাধ দূর করতে হলে সাংবাদিক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। লেখুনির মাধ্যমে সমাজের অন্যায়, অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরতে হবে। শুক্রবার বাদ আসর ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন,সাংবাদিকরা হচ্ছে জাতীর বিবেক। এই সাংবাদিক সমাজ বরাবরই দেশ ও জাতীর কল্যাণে কাজ করে আসছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে কাজ করে সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার রয়েছে। তিনি সাংবাদিক সমাজকে সোনার বাংলা বির্নিমাণে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।

ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিম। ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সামাদ মতিনের সভাপতিতে এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ্, সহ-সভাপতি এড. মশিউর রহমান শাহিন,সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমীন প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ আলিম লিটন,নিউজ প্রতিদিন ডট নেটের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ,প্রেস বিডি ডট নেটের সম্পাদক বদিউজ্জামান,ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল,দপ্তর সম্পাদক রফিক হাসান,প্রচার সম্পাদক জি এ রাজু,সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম,সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মাসুদ আলী,সাংবাদিক প ম আজিজ,মোঃ সেলিম হোসেন,হারুন অর রশিদ সাগর, সাবিত আল হাসান,মেহেদী হাসান রাসেল ও আনিসুল হক হীরা প্রমুখ।

বক্তাবলী পরগনার স্কুলগুলোতে এসএসসির ফল বিপর্যয় !

ফতুল্লার বক্তাবলী পরগনা অর্থাৎ বক্তাবলী ও আলীরটেক ইউনিয়নে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার ফল বিপর্যয় ঘটেছে। ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় এ পরগনার বক্তাবলি ও আলীরটেক ইউনিয়ন থেকে সরাসরি সংশগ্রহন করেন প্রায় ৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

আলীরটেক ইউনিয়ন থেকে শেখ রাসেল উচ্চবিদ্যালয়, মোক্তারকান্দি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় এবং বক্তাবলি ইউনিয়ন থেকে কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চবিদ্যালয়, বক্তাবলি ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, নাজমুন্নেসা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও পূর্ব চরগড়কুল উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। এবারের ফল বিপর্যয় পূর্বের অন্য বছরের তুলনায় সবচেয়ে খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ উল্লেখিত পরগনাবাসীর।

বক্তাবলী পরগনার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িয়ে আছে প্রায় অর্ধশত বছরের ইতিহাস। তার মধ্যে কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চবিদ্যালয় অন্যতম, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৬ সালে জেলায় শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ হিসেবে রেকর্ড গড়েছিল। কিন্তু অর্ধ শত বছরের গর্বিত ইতিহাস এ বছর ম্লান হয়েছে এই বিদ্যালয়ের।

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় কানাইনগর ছোবাহানিয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে অংশ গ্রহন করেন ২১৫ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছে ১৬২ জন,অকৃতকার্য হয়েছে ৫৩ জন। বিদ্যালয়টির মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা, বিজ্ঞান কোন বিভাগ থেকেই জিপিএ-৫ আসেনি। মাত্র ৮টি এ-গ্রেড, ২৮টি এ, ৫৮টি বি গ্রেড, ৬৮জন সি গ্রেড, ৫৩টি এফ গ্রেডে উত্তীর্ন হয়েছে।

বক্তাবলি ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা। এই প্রতিষ্ঠানটিও অত্র এলাকার ঐতিহ্যবাহি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে এই বছর এই বিদ্যালয়টিতেও ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। বিদ্যালয়টিতে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫১ জন। পাশ করেছে ৪৯ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ২ জন, এ গ্রেড ১৭ টি,এ-২৫ টি, বি গ্রেড ৪টি, সি গ্রেড ৩ টি, এফ গ্রেড ২ টি।

নাজমুন্নেচ্ছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৩৮ জন শিক্ষার্থী। কৃতকার্য হয়েছে ১৯ জন কৃতকার্য হয়েছে ১৯ জন। বিদ্যালয়টিতে এ-৩টি,বি গ্রেড-৭টি,সি গ্রেড-৯টি,এফ গ্রেড-১৯টি। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ+ বা এ গ্রেড আসেনি।

বক্তাবলী পরগনার আরেকটি স্কুল চরগড়কুল উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়টি থেকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে ৭৩ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে ৬২ জন। এর মধ্যে মানবিক,ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কোনটিতে এ+আসেনি।

আলীর টেক ইউনিয়নের শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয় হতে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে ১২৪ জন। কৃতকার্য হয়েছে ৫৭ জন। এ বিদ্যালয়ে ১ গ্রেড ৪টি,এ-১১টি,বি গ্রেড ১৯ টি,ডি গ্রেড ৪টি। এই বিদ্যালয়টি থেকে কোন বিভাগ থেকে এ+ আসেনি।

আলীরটেক ইউনিয়নের আরো একটি স্কুল হচ্ছে মুক্তার কান্দি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। ৩৪৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২৭৩ জন। বিদ্যালয়টিতে এ+ ১টি,এ গ্রেড-৪২টি,এ-৭৭টি,বি গ্রেড-৮৫ টি, সি গ্রেড ৬৭ টি,ডি গ্রেড ১টি । বক্তাবলী ও আলীর টেক ইউনিয়নে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মোটামোটি ভাল রেজাল্ট করেছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

অত্র এলাকার সচেতন মহল মনে করেন এই ফল বিপর্যয়ের কারন হিসেবে অভিবাকদের অসচেতনা। অপরদিকে বিভিন্ন স্কুলগুলোতে ম্যানেজিং কমিটি না থাকার কারনে শিক্ষকদের গ্রুপিং,অনেক প্রতিষ্ঠানে কোচিং বানিজ্যে জড়িয়ে পরার কারনে শিক্ষকরা ক্লাসে পাঠদানে মনোযোগ দিতে পারছেনা বলেও অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে বহিরাগত শিক্ষকরা পাঠ দান করে থাকেন। কিন্তু তাদের ছেলে-মেয়েরা আর এই প্রতিষ্ঠান গুলোতে পড়ালেখা করেনা তাই শিক্ষার মানোন্নয়নের ব্যাপারে তাদের দায় আছে বলে তারা মনে করে না।

এছাড়াও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদেরও শিক্ষার মানোন্নয়নে তেমন কোন ভুমিকা না থাকার কারও ফল বিপর্যয় বলে মনে করে বক্তাবলী ও আলীরটেক ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। সূত্র:(যুগের চিন্তা)

বিশেষ অভিযানে রাজধানী থেকে ২২ টন পচাঁ খেজুর জব্দ

বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের বেশ কয়েকটি খাদ্য পণ্য তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমেদের নেতৃত্বে মঙ্গলবার (০৭ মে) বেলা ১২টায় শুরু হয় এই অভিযান।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, রোজা কেন্দ্র করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নোংরা পরিবেশে নিম্নমানের বিভিন্ন ধরনের খাদ্য তৈরি করে নামিদামি কোম্পানির নাম ব্যবহার করে। পুরো মাস জুড়ে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।এদিকে রাজধানীর বাদামতলী এলাকায় বিভিন্ন খেজুরের গুদামে অভিযান চালায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ২২ টন পচা খেজুর জব্দ করা হয়।

চরমোনাই পীরের ভাইয়ের মাদ্রাসায় ছাত্রী ধর্ষিত

সীমা বেগম। বয়স ৩২। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ঢাকার আদালত পাড়ায় ঘোরাঘুরি করছেন। প্রায় সময় তার চোখে জল দেখা যেত। তাকে আদালতে দেখে কথা বলার কৌতূহল জাগে।

আদালতে কেন ঘোরাঘুরি করছেন জানতে চাইলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে মুবারর মুনতাহা ওরফে সানজিদা রশিদ মীম (১৪) রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসায় নাজরানা শ্রেণিতে পড়তো। দেখতে খুব সুন্দর ছিল। মাদরাসায় আবাসিক ব্যবস্থা থাকায় সেখানে থাকতো। সে দেখতে সুন্দর হওয়ায় মাদরাসার হুজুরেরা তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত বছরের অক্টোবর মাসে হুজুরেরা তাকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিচার পাওয়ার আশায় আদালত পাড়ায় ঘোরাঘুরা করছি। আসামিরা খুব প্রভাবশালী। তাদের প্রচুর টাকা রয়েছে। তারা টাকা দিয়ে সবকিছু নিজের মতো করে নিচ্ছে। জানি না মেয়ে হত্যার বিচার পাবো কিনা! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন আমার মেয়ের হত্যাকারীদের যেন বিচার হয়।’

তিনি বলেন, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মাদরাসার আবাসিক হলে আমার মেয়েকে হুজুরেরা ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তা আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার জন্য গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। তার পায়ের নিচে কাটা দাগ ছিল। কোমরের নিচে ছিল আঘাতের চিহ্ন। মাথা ছিল স্বাভাবিক। যদি সে ফাঁস দিয়ে মারা যেতে তাহলে কেন তার পায়ের নিচে কাটা দাগ থাকবে। কোমরের নিচে কেন আঘাতের চিহ্ন থাকবে? আর মাথাইবা কেন স্বাভাবিক থাকবে?।

‘হুজুরেরা নিজেরা বাঁচার জন্য আমার মেয়ের পায়ের নিচে অন্যের হাতের লেখা একটি চিরকুট ফেলে রাখে। চিরকুটে আবাসিক শিক্ষিকা তাসলিমার নাম লেখা হয়’-যোগ করেন সীমা বেগম। ঘটনা ধামাচাপা দিতে টাকার লেনদেন

সীমা বেগম বলেন, আমার মেয়ের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তাদের পক্ষে করার জন্য ডাক্তারকে আমার সামনে দুই লাখ টাকা দিয়েছে। আমি তার বাস্তব স্বাক্ষী। এছাড়া পুলিশকেও তারা অনেক টাকা দিয়েছে। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা বিভিন্ন জায়গায় অনেক টাকা খরচ করেছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা যেন এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি না করি সে জন্য অন্যের মাধ্যমে আমাদের ৫০ লাখ টাকা দিতে প্রস্তাব দিয়েছে। আমি বলেছি, ‘আমার টাকার প্রয়োজন নেই, মেয়ের হত্যার বিচার চাই।’

মাদরাসার পরিচালকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সানজিদা রশিদ মীমকে ধর্ষণ করে হত্যা করার অভিযোগে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ মুমতাজুল করিম ওরফে মোস্তাক আহম্মেদসহ (৫৫) আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার মা সীমা বেগম।

ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত ৭ নভেম্বর এই মামলাটি করা হয়। মামলায় ধারা দেওয়া হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ (৩)/৩০। আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন-মাদরাসার পরিচালকের ছেলে হামীম মিয়া (৩১), মাদরাসার শিক্ষা সচিব হোসাইন আহম্মেদ (৩২), প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ (৩২), মাদরাসার দারোয়ান আবুল (৪৫) কালাম, মহিলা শিক্ষিকা তাসলিমা আক্তর নিপা (২৬), বুয়া রওশন আরা (৪০) ও রামপুরা আবু সাঈদ রেস্তোরাঁর মালিক আব্দুল আজিজ আকন্দ (৫৯)।

মামলার অভিযোগে সীমা বলেন, আমার মেয়ে সানজিদা রশিদ মীমকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর/অক্টোবর মাসে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসায় ভর্তি করাই। মাদরাসায় আবাসিক ব্যবস্থা থাকায় মীম সেখানে থেকে পড়ালেখা করতো। ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার মেয়েকে প্রতিদিনের মতো খাবার দিতে গেলে ৬ জন শিক্ষক আমাকে আমার মেয়ের সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বলে। মেয়ে কোথায় জানতে চাইলে তারা বলে, ‘সে পড়ালেখা করছে।’ তাদের কথায় সন্দেহ হলে আমার স্বামীকে খবর দেই। বেলা ১১টার দিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ আসে। পুলিশের সঙ্গে মামলার সাক্ষীরা ছাদে গেলে দেখতে পাই আমার মেয়ের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় এবং পা ছাদের ফ্লোরের সঙ্গে লাগানো। সাক্ষীরা পুলিশের নির্দেশে আমার মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে ছাদের ফ্লোরে নামান। সাক্ষীরা ঝুলানো অবস্থা থেকে মৃত কন্যাকে নামানোর পর তার দুই হাতের কজ্বিতে কালো দাগ, পায়ের নিচে কাটা, রক্তাক্ত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধস্তাধস্তির কারণে জখমের চিহ্ন দেখেতে পাই।

আমার স্বামী মেয়ের লাশ আনতে হাতিরঝিল থানায় গেলে পুলিশ সারাদিন তাকে থানায় আটকে রাখে। মেয়ের লাশ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে একটি কাগজে জোর করে স্বাক্ষর নেয়। এই বিষয়ে কোনো বাড়াবাড়ি না করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আপস করার জন্য হুমকি দেয় পুলিশ। হত্যার বিষয়ে হাতিরঝিল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ বলে, ‘আমার স্বামী ইতোপূর্বে মামলা করেছেন।’ কোর্টে গিয়ে তার খবর নিতে বলে। কোর্টে গিয়ে দেখি মেয়ের মৃত্যুর বিষয়ে শুধুমাত্র তাছলিমা বেগমের নামে মামলা হয়েছে।

২০১৯ সালের ২৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তাছলিমা আক্তার নিপার বিরুদ্ধে সানজিদা রশিদ মীমকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দেয়ার বিষয় সাক্ষ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় করা একটি মামলা বিচারাধীন। অপর আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আর হামিম মিয়া নামে কোনো ব্যক্তিকে বাস্তবে পাওয়া যায়নি।

কোমরের পাশে দাগ ছিল, অন্যসব ছিল স্বাভাবিক

মীমের মৃত্যুর পর সুরতহাল করেন হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম। রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন, সানজিদা রশিদ মীমের লাশ মাদরাসার পাঁচ তলার টিনশেটের সঙ্গে কমলা রঙয়ের ওড়নার দ্বারা ফাঁস লাগানো অবস্থায় পায়ের পাতা রুমের ফ্লোরে লাগানো অবস্থায় পাই। বুক, পেট ও পীঠ স্বাভাবিক ছিল। কোমরের ডান পাশে দাগ পরিলক্ষিত হয়। হাত ও মলদ্বার স্বাভাবিক ছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী জিএম মিজানুর রহমান বলেন, মীমের লাশটির পা মেঝেতে লাগানো ছিল! ফ্লোরের সঙ্গে পা লাগানো থাকলে ফাঁস কীভাবে লাগাবে? আত্মহত্যাকারীদের মাথা সাধারণত একদিকে বাঁকা হয়ে হয়ে যায়। তার মাথা ছবিতে দেখা যায়, স্বাভাবিক মানুষের মতোই ছিল। বাদীর সামনে ঢাকা মেডিকেলে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসামির পক্ষে করার জন্য টাকা গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট সময় মতো না পাওয়ায় এবং তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণে ভিকটিম মীমের লাশ পুনরায় ময়নাতদন্ত করা সম্ভব নয়। কারণ এতদিনে মৃতের লাশটি পচে গেছে। তাই পুনরায় ময়নাতদন্ত করে আর কিছু পাওয়া যাবে না। এভাবে হত্যাকাণ্ড আত্মহত্যা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায়। পিবিআইয়ের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আমরা নারাজি দেবো।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, এ বিষয় আমি আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে দিয়েছি। আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা ইচ্ছা করলে প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিতে পারবেন।

মীমের বাবা হারুন মোল্লা বলেন, আমার মেয়েকে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার হুজুরেরা ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে। তাদের অনেক টাকা। তারা টাকা দিয়ে সব নিজের মতো করে নিয়েছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।

তিনি বলেন, আমি থানায় কোনো মামলা করিনি। কন্যার লাশ নেওয়ার জন্য পুলিশ জোর করে আমার কাছে থেকে স্বাক্ষর নেয়। এ বিষয় কোনো বাড়াবাড়ি না করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আপস করার জন্য পুলিশ হুমকি দেয়।

সীমা বেগম বলেন, মাদরাসার পরিচালকের ছেলে হামীম মিয়া। ধর্ষণের মূল হোতা সে। ঘটনার পর তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ মুমতাজুল করিম বলেন, তারা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। আমরা জড়িত নই বলে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়েছে। আর হামীম মিয়া নামে আমার কোনো ছেলে নেই।

উল্লেখ্য, রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসাটি ১৯৯২ সালে স্থাপিত হয়। এখানে বর্তমানে মাদরাসা সিলেবাসে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত এবং অন্যান্য জামাআতে পড়ানো হয়। এতে মক্তব, হিফজ ও কিতাব বিভাগ আছে। মাদরাসায় বর্তমানে ৭৮০ জন আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্রী,৪৫ জন শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারী আছে।

বর্তমানে মাদরাসাটি পরিচালনা করছেন চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ মুমতাজুল করিম। (সূত্র:জাগো নিউজ)

আলোকিত বক্তাবলীর ৯১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা

বক্তাবলী পরগণার সামাজিক সংগঠন আলোকিত বক্তাবলীর কমিটি ঘোষনা উপলক্ষে আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি মো.নাজির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল কালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় মো.নাজির হোসেনকে সভাপতি, মো.আবুল কালামকে সাধারণ সম্পাদক ও বাদল হোসেন ববিকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৯১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি ঘোষনা করা হয়।

৬ মে (সোমবার) বাদ মাগরিব নারায়ণগঞ্জের চাষাড়াস্থ বাগান বাড়ীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে নাম প্রকাশ ও অনুমোদন দেওয়া হয়।

নব নির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দরা হলেন,সভাপতি মো.নাজির হোসেন,সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.সোহরাব ভূইয়া,সহ-সভাপতি মো.দেলোয়ার হোসেন,এড.কবির হোসেন,মো.দিদার হোসেন,মো.শাহীন রাজু,মো. মহিউদ্দিন মোল্লা,মো.আব্দুল্লাহ আল ইমরান,মো.ইকবাল হোসেন,নূর মোহাম্মদ,মো.রহমত উল্লাহ,শাহ দ্বীন ইসলাম
,মো.সাইফুল ইসলাম,মো.মাঈন উদ্দিন,মো.সানাউল্লাহ, মো.সাইফুল ইসলাম-

সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল কালাম,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো.রাশেদুল ইসলাম সুমন,মো.অহিদুল ইসলাম টিটু,মো.সুমন পারভেজ-

সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বাদল হোসেন ববি,মো.সাব্বির আহমেদ হৃদয়,মো.খোরশেদ আলম,মো.ইমদাদুল হক মিলন-

দপ্তর সম্পাদক মো.দুলাল আহমেদ,সহ-দপ্তর সম্পাদক মো.শওকত আলী,প্রচার সম্পাদক মো.আব্দুল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ মো.আব্দুস সালাম আবু,সহ-কোষাধাক্ষ্য মো.সাইফুল ইসলাম লিটন,ক্রীড়া সম্পাদক মো.আল আমীন প্রধান,সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ইয়াসিন আহমেদ দোলন,সাহিত্য সম্পাদক মো.জহিরুল ইসলাম জনি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো.রাসেল আহমেদ স্বপন,যুব বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম,সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক-মো.রিপন গাজী,মো.মহসিন,ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান জনি,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো.আমির হোসেন,স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো.হারুন-অর-রশীদ,তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো.সূজন,সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো.জুয়েল ভূইয়া,নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মোসা.সাবিনা ইয়াসমিন,পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক আক্তার হোসেন,শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আল আমীন হৃদয়,সহ-আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো.আনিছুর রহমান শুক্কুর,প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো.শহীদুল্লাহ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল ইসলাম রানা,আপ্যায়ন সম্পাদক মো.লিটন,বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নাঈম তালুকদার বিক্রম,সহ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ গাজী ও বিশেষ সম্পাদক মো.মনির হোসেন।

কার্যকরী সদস্যরা হলেন,মাশফীকুর রহমান শিশির, মো.রাসেল চৌধুরী,মো.রুস্তম আলী,মো.শাহাদাত হোসেন,মো.মহিউদ্দিন ভূইয়া,মো.মনির হোসেন,মো.শাহ আলম,মো.হান্নান মিয়া,মো.ডালিম আহমেদ অয়ন ইফতেখার আহমেদ রাজু,মো.সোহেল রানা,মো.ইমরান হোসেন,মো.রুহুল আমীন,মো.আলমগীর হোসেন, মো.আফজাল হোসেন,মো.আমির হামজা,মোহা্মাদ আলী মাসুদ,মো.আতাউর রহমান,ইমতিয়াজ আহমেদ,মো.সূজন মোল্লা,মো.হাকিম শেখ,পলাশ হাওলাদার,মো.ফারুক আহমেদ,ডালিম মোড়ল,মো.নজরুল ইসলাম,মো.নোমান প্রধান,মো.আবুল কাসেম,মো.হানিফা,মো.জুবায়ের, মো.আকাশ,মো.সজিব,মো.সোহেল মোল্লা,মো.জাহেদ আলী,মো.সালাউদ্দিন,মো.মোজাম,আব্দুল্লাহ আল শিবলু,মো.জাহাঙ্গীর আলম,মো.জসিম মোল্লা ও জাহাঙ্গীর হোসেন।

সভাপতি মো.নাজির হোসেন বলেন,আলোকিত বক্তাবলী একটি সামাজি সংগঠন। সামাজিক ভাবেই বক্তাবলী পরগনায় সকল প্রকার অসামাজিক কার্যক্রম দূরীভূত করে আলোকিত বক্তাবলী গড়ে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল কালাম বলেন, বক্তাবলী এলাকাকে জঙ্গীবাদ ও মাদকমুক্ত করতে আলোকিত বক্তাবলী দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বাদল হোসেন ববি বলেন, এলাকার দরিদ্র অসহায় মানুষের কল্যাণ ও শিক্ষার মান উন্নয়ন আলোকিত বক্তাবলী কাজ করে যাবে।

আলোকিত বক্তাবলীর প্রধান উপদেষ্টা হলেন-আলহাজ্ব মো.শওকত আলী,চেয়ারম্যান বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ, উপদেষ্টা সদস্যরা হলেন-আলহাজ্ব মো.মতিউর রহমান, চেয়ারম্যান আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদ,আলহাজ্ মো.আবু বক্কর সিদ্দিকী,চেয়ারম্যান বালুরচর ইউনিয়ন পরিষদ,আলহাজ্ব মো.আলম সিকদার বাচ্চু,চেয়ারম্যান বেতকা ইউনিয়ন পরিষদ ও এড.আল আমিন সিদ্দিকী,সাবেক সভাপতি আলোকিত বক্তাবলী।