১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 89

বক্তাবলীতে ১২ ইটভাটাকে সাড়ে ৪১ লাখ টাকা জরিমানা

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলীতে ১২ টি ইটভাটা পরিবেশ ছাড়পত্রবিহীন ও সরকারী অনুমোদ ছাড়া ইট ভাটা স্থাপন করে পরিচালনা করায় সাড়ে ৪১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত।

এসময় প্রতিটি ইটভাটাকে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী এবং পরিবেশ দুষনমুক্ত রেখে ইটভাটা পরিচালনা করার হুশিয়ারী দিয়েছেন। এছাড়া ন্যাশনাল ব্রিক ফিল্ড নামের এক ইটভাটাকে বেকু দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের মাধ্যমে পানি দিয়ে অর্ধেক ধ্বংস করে।

রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুর হতে সন্ধা পর্যন্ত ফতুল্লার বক্তাবলীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) প্রকৌশলী কাজী তামজীদ আহম্মেদ এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত ইটভাটার মালিক পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া ও সরকারী ভাবে অনুমোদন না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটার পরিচালনা করে আসছে। তাই পরিবেশ দুষনমুক্ত রাখতে সরকারের নির্দেশ মোতাবেক ইটভাটা গুলো উপর পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তাই নারায়ণগঞ্জের বক্তাবলীতে ২য় দফায় রোববার অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক নয়ন মিয়া, র‌্যাব-১১ এর এএসপি মোস্তফিজুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যবৃন্দ।

এদিকে বক্তাবলী ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, অবৈধ ভাবে ইটভাটা পরিচালনা করবে এটা আমি প্রত্যাশা করি না। সরকারের নিয়ম কানুন মেনে সকল মালিকরা যেন ইটভাটার ব্যবসার পরিচালনা করেন সেই জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়।

অভিযানের নেতৃত্বদানকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রকৌশলী কাজী তামজীদ আহম্মেদ জানান, পরিবেশ দুষন করে এবং অবৈধ ভাবে বক্তাবলীতে ইটভাটা নির্মান করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার দুপুর হতে সন্ধা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১২টি ইটভাটাকে সাড়ে ৪১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

পর্যায়ক্রমে বাকী ইটভাটা গুলোর উপর অভিযান চালানো হবে। এছাড়া সকল ইটভাটা মালিককে হুশিয়ার করে দেয়া হয়েছে সামনে যাতে লাইসেন্স ছাড়া কোন ইটভাটা পরিচালনা করা হয় এবং জিকজাক ইটভাটা নির্মান করে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য প্রাথমিক ভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ফতুল্লায় ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্সের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

গার্মেন্ট শ্রমিকদের প্রানের সংগঠন ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স এর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

(৬ এপ্রিল ২০১৯) শনিবার বিকেলে ফতুল্লার আলীগঞ্জ লেবার হলে এ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন। সভায় আগামী ২৭ এপ্রিল সংগঠনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য সর্ব সম্মতিক্রমে ৩ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে,এসএম নুরুল ইসলামকে পাশাপাশি কমিটির অন্য দুই সদস্যরা হলেন,কবীর হোসেন রাজু এবং সুমী আক্তার।

ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক আইএলও সদস্য রায় রমেশ চন্দ্রের সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যান বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেলী আফরোজ লাভলী,গাজীপুর জেলার নেতা মোঃ বাবুল ও স্বপ্না আক্তার,গুলশান ও বাড্ডা জোনের নেতা রেজাউল করিম,নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সেন্টু,সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন রাজু, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাত্তার,আন্তজিলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ ফারুক আকণ, মোঃ নুরুল ইসলাম,পাগলা শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক উবাইদুর রহমান ওবায়েদ,আশুলিয়া,সাভারসহ শিল্প অধ্যুষিত বিভিন্ন আঞ্চলিক জোনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শামীম ওসমানের কর্মী সম্মেলনে মানুষের ঢল

নিউজ প্রতিদিন: শামীম ওসমানের কর্মী সম্মেলনে মানুষের ঢল নেমেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানের নেতাকর্মীরা দুপুরের পর থেকে ইসদাইরের বাংলা ভবনে আসতে শুরু করে।

আজকের সমাবেশে শামীম ওসমান কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার আগেই নেতাকর্মীতে কানায় কানায় ভরে যায় ইসদাইরের বাংলা ভবনের অডিটরিয়াম।

সভায় উপস্থিত হয়ে সাংসদ শামীম ওসমান নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ধরার আহবান জানিয়ে বলেন,মশা মারতে কামান দরকার নাই,আমরা সরকারী দল এটা মনে রাখতে হবে। আমরা আমাদের বাবা মায়ের পর সবচেয়ে বড় মানুষ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু। তিনি নাই তাই এখন আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের উন্নয়ন সুশাসনের জন্য কাজ করছেন। আমাদের অনেকের বয়স তরুণ। তাদের রক্ত টগবগে। তারা দুইদিন ধরেই আমাদের খোকন সাহা ও বাদলসহ নেতাদের নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে জরুরী কর্মী সভায় উপস্থিত আছেন,মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী খোকন সাহা,জেলার সেক্রেটারী আবু হাসনাত শহীদ বাদল,সহ সভাপতি চন্দন শীল,সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোগেল আলী,ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল,সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী,বন্দর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লগের সভাপতি মজিবর রহমান, জেলা কৃষক লীগের সেক্রেটারী ইব্রাহিম চেঙ্গিস,জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শিরিন আখতার,ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো: শরীফুল হক প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জে ভূয়া ডাক্তারের ১ বছরের কারাদণ্ড

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড এলাকায় মোঃ নজরুল ইসলাম শেখ (২৭) নামে এক ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে এক বছরের সাজা প্রদান করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

‘ফ্যামিলী ল্যাব হসপিটাল’ নামে একটি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে তাকে সাজা প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ও সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ আনিসুল ইসলাম। মঙ্গলবার রাত ৮টায় র‌্যাব-১১ সদস্যরা এ অভিযান চালায়।

র‌্যাব জানায়,মোঃ নজরুল ইসলাম শেখ নামের পাশে‘এমবিবিএস,সনোলজিষ্ট’ ডিগ্রী লিখে নিজেকে অভিজ্ঞ ডাক্তার পরিচয়েই দিয়ে ২ বছর যাবত প্রতারণা করে আসছিলেন রোগীদের সাথে।

সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ‘ফ্যামিলী ল্যাব হসপিটাল’নামের ওই ক্লিনিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ৮টায় র‌্যাব-১১ এর মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিমউদ্দিন (পিপিএম) এর উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আনিসুল ইমলামের নেতৃত্বে এ অভিযান চালায়।

দন্ডপ্রাপ্ত ভুয়া ডাক্তারের পিতার নাম মোঃ সানা উল্যাহ শেখ। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার বিল গজারিয়া এলাকায়।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিসুল ইসলাম জানান, মেডিকেল সহকারী হয়েও গত ২ বছর যাবত মোঃ নজরুল ইসলাম শেখ ‘এমবিবিএস, সনোলজিষ্ট’ হিসেবে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। তাকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

এদিকে অপর একটি সূত্র জানায় এ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেল্লাল হোসেন গন মাধ্যমের একজন কর্মী হওয়ায় নানা প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন এসব অনৈতিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে।

২০১৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী গনমাধ্যমের কয়েকজন কর্মী ওই হাসপাতালের কর্মকান্ড নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরীর লক্ষ্যে সেখানে গেলে তাদেরকে আটকে রেখে পুলিশ প্রশাসনকে প্রভাবিত করে সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানী করে। মামলাটি এখনও আদালতে চলমান রযেছে।

৩৭ বছরে মডার্ণ হরাবাল গ্রুপ

মডার্ণ হারবাল গ্রুপ সেই ১৯৮২ সাল থেকে মানব সেবায় নিয়োজিত। দীর্ঘ ৩৬ বছর সফলতার সাথে পেরিয়ে ৩৭ বছরে পর্দাপন করতে যাচ্ছে মডার্ণ হারবাল গ্রুপ। দীর্ঘ এই সময় ধরে দেশীয় ওষুধ শিল্পখাত উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মর্ডাণ হারবাল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারবাল ওষুধ শিল্পখাতের নিবেদিত প্রাণ আন্তজার্তিক খ্যাতিসম্পন্ন হারবাল চিকিৎসক ও গবেষক ডা.আলমগীর মতি।

এখনো তিনি সংগ্রাম করছেন দেশের চিকিৎসা সেবাখাত উন্নয়নে। শরীয়তপুরের কৃতী সন্তান তার মেধা, দক্ষতা, সৎ মনোবলের কারণেই আজ তিনি দেশের প্রভাবশালী সফল ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। বিশিষ্ট হারর্বালিষ্ট, গবেষক, দেশপ্রেমিক ও মর্ডাণ হারর্বাল গ্রুপের চেয়ারম্যান আলমগীর মতি বর্তমানে ভেষজ গুণাবলী সমৃদ্ধ ওষুধ ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে গবেষণা ও দেশের চিকিৎসা সেবাখাত উন্নয়নে কাজ করছেন।

মডার্ণ হারবাল গ্রুপ বাংলাদেশের বহুল পরিচিত নাম; যার রয়েছে দক্ষ ও পরীক্ষিত ব্যবস্থাপনা কমিটি, গ্রহণযোগ্য ও স্বীকৃত পণ্য, অপ্রতিদ্বন্দ্বী ও স্বীকৃত কর্মপরিকল্পনা এবং যার নেতৃত্বে রয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক, বহুমুখী প্রতিভায় ভাস্বর, বর্ণিল গুণাবলির কর্মযোগী এক বিরল ব্যক্তিত্ব ডাঃ আলমগীর মতি।

আসছে ১৩ এপ্রিল ২০১৯ রোজ শনিবার সকাল ৯.০০ মি. বসুন্ধরা কনভেশন হল-৪ এ ‘মডার্ণ হারবাল গ্রুপ’ এর উদ্যোগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৭তম বর্ষপূর্তি পালন করতে যাচ্ছে।

ফতুল্লায় অবৈধ মদ বিয়ারসহ গ্রেফতার ৭০

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি রেস্তরাঁয় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণের অবৈধ মদ বিয়ারসহ ৭০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অভিযানে পাগলা এলাকায় বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন পরিচালিত ভাসমান জাহাজের রেস্টুরেন্ট ও বার মেরি অ্যান্ডারসন থেকে তাদের আটক করা হয়। রাত ১২টায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে উল্লেখ করা হয়, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) সুবাস চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মেরি অ্যান্ডারসন থেকে মাদক বিক্রেতা, মাদকসেবী ও মাদক ক্রেতাসহ ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮১ কার্টন বিদেশি বিয়ার ও ৪ কার্টন বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।

ফতুল্লা থানার ওসি মঞ্জুর কাদেরকে তাৎক্ষনিক বদলি

ফতুল্লা থানার ওসি মঞ্জুর কাদেরকে স্ট্যান্ড রিলিজ।
সোমবার (১ এপ্রিল) পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ্ মো. মঞ্জুর কাদেরকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। তবে কি কারণে তাঁকে তাৎক্ষনিক বদলি করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে তাঁর নতুন কর্মস্থল ঢাকায় পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।

সম্প্রতি ফতুল্লা থানায় গ্রেফতার হওয়া নারায়ণগঞ্জ মহানগরের জামায়াত আমির মাও. মাঈনুদ্দিন আহমদের জবানবন্দির একটি অডিও টেপ ভাইরাল হয়। এই টেপে নাসিক ডা. সেলিনা হায়াত আইভী ও তার পিতা প্রয়াত পৌর পিতা আলী আহাম্মদ চুনকার সাথে জামায়াতের কানেকশন রয়েছে বলে দাবি করেন জামায়াতের ওই নেতা। ওই অডিও টেপে জামায়াত আমিরের সাথে কথোপকথনে ওসি মঞ্জুর কাদেরের কন্ঠও শোনা যায়। এদিকে গত শনিবার (৩০ মার্চ) নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, তাকে এবং তার পিতাকে জড়িয়ে যেই অডিও টেপ ভাইরাল করা হয়েছে সেজন্য ওসি মঞ্জুর কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।

এই বিষয়ে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে উপজেলা নির্বাচনের কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেন, বিষয়টি জেলা পুলিশের নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষন করছি। নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে। নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে বিষয়টি জানানো হবে।

এদিকে ফতুল্লা থানার ওসি শাহ্ মো. মঞ্জুর কাদের গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) সাংসদ শামীম ওসমান এর ঘনিষ্ঠ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজামের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করে নতুন করে আলোচনায় আসেন।

শাহ্ মো.মঞ্জুর কাদের দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি সোনারগাঁ থানা ও সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একাধিক বার জেলায় ও ঢাকা রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে পুরস্কৃত হন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পিপিএম পদক পেয়েছেন।

ওয়াজ মাহফিলে যে বক্তাদের নিয়ে আপত্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

নিউজ প্রতিদিন ডেস্ক :ওয়াজ-মাহফিলের বক্তাদের বয়ানে বিভিন্ন বিষয় আমলে নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (ইফাবা), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারি কয়েকটি দফতরকে প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রবিবার (৩১ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়। খবর বাংলাট্রিবিউনের।

সূত্রে জানা গেছে, এই মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-২ থেকে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এতে মাহফিলের ১৫ জন বক্তার নাম উল্লেখ করে জানানো হয়েছে— ‘এই বক্তারা সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মবিদ্বেষ, নারী বিদ্বেষ, জঙ্গিবাদ, গণতন্ত্রবিরোধী ও দেশীয় সংস্কৃতিবিরোধী বয়ান দেন বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা রেডিক্যালাইজড হয়ে উগ্রবাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ করে শীত মৌসুমে আলেম-ওলামাদের ইসলামি বক্তব্য শোনানোর জন্য ওয়াজ মাহফিল হয়ে থাকে। এসব আয়োজন ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচার হয়।’

মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটিতে ১৫ জন বক্তার নাম উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসূফ (সালাফি), মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান (মুহতামিম, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া, মোহাম্মদপুর), আল্লামা মামুনুল হক (যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস), মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী (প্রিন্সিপাল, বাইতুল রসূল ক্যাডেট মাদ্রাসা ও এতিমখানা, ক্যান্টনমেন্ট), মুফতি ফয়জুল করিম (জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন), মুজাফফর বিন বিন মুহসিন, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন (যুগ্ম মহাসচিব, ইসলামী ঐক্যজোট), মতিউর রহমান মাদানী, মাওলানা আমীর হামজা, মাওলানা সিফাত হাসান, দেওয়ানবাগী পীর, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, মোহাম্মদ রাক্বিব ইবনে সিরাজ।

প্রতিবেদনে বক্তাদের বিভিন্ন সময় মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যের ভিডিও লিংক রয়েছে। আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসূফের বিষয়ে এতে জানানো হয়— ইউটিউবে ইসলামী বাণী চ্যানেলে প্রচারিত এক বয়ানে তিনি বলেছেন, ‘মূর্তির আস্তানায় যাওয়া হারাম। আমরা মুসলিম, মূর্তি ভাঙতে জন্ম নিয়েছি, মূর্তি গড়তে জন্ম নিইনি। মনে রেখো, আমি সেই জাতি, যে জাতির রক্তের সঙ্গে মিশে আছে মূর্তি ভাঙার নীতি।’ এ বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করলে আব্দুর রাজ্জাকের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান সম্পর্কে জানানো হয়— এক বয়ানে তিনি জিহাদ সম্পর্কে বলেছেন, ‘জিহাদকে বলি দেওয়ার কারণে আজ মুসলমানদের এই অবস্থা আল্লাহ বলেছে। এই ফেতনা থেকে দূর হওয়ার একমাত্র রাস্তা যেখানে পাবি, সেখানে শয়তানদের কূপা। এদের কোপাতে হবে। আল্লাহ রাসূলকে গালি দিবি, তোরে কোপামু, ইসলামের বিরুদ্ধে আইন করবি, তোর কপালে কোপ আছে। গণতন্ত্র ইসলামে নেই।’

এই বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রবিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমি তো ওয়াজ তেমন করি না। এমন কোনও বক্তব্য আমি দিইনি। কেন এমন বলা হলো বলতে পারবো না।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় তিন নম্বরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের নাম রয়েছে। কওমি মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাইতে না দেওয়াসহ চারটি বিষয়ের ওপর তার মন্তব্য যুক্ত রয়েছে প্রতিবেদনে।

জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার হাদিসের শিক্ষক মাওলানা মামুনুল হক জাতীয় সংগীত বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন এভাবে, ‘দেশের একজন নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। তবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে সেটি ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশি মুসলিম জাতিসত্তাবিরোধী একটি সাম্প্রদায়িক কবিতা।’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন এই শিক্ষকের কথায়, ‘ঢাকার ওপর কলকাতার দাদাবাবুদের আধিপত্য খর্ব হতে দেখে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কবিতা রচনা করেছিলেন। ইসলামি চেতনার শিক্ষাগার কওমি মাদ্রাসাগুলো কখনোই রবীন্দ্রনাথের চেতনাকে মেনে নিতে পারে না।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে ইসলামী ঐক্যজোটের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইনের নাম রয়েছে। তার দেওয়া ‘মিয়ানমারের বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুসলমানদের ওপর জিহাদ ফরজ’ শীর্ষক বক্তব্য সংযুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া কাদিয়ানী প্রসঙ্গেও তার বয়ানের লিংক দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।

রবিবার (৩১ মার্চ) রাতে মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘আমরা সবসময় জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ওয়াজ মাহফিলে কথা বলে এসেছি। দেশে যখন জেএমবির উত্থান ঘটে তখন থেকেই প্রতিবাদ করে বক্তব্য রাখছি। সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে মাদকের বিরুদ্ধেও বক্তব্য রাখি ওয়াজ মাহফিলে। যারা প্রতিবেদন তৈরি করেছে তারা কী আমার এসব বক্তব্য শোনেননি।’

মিয়ানমার প্রসঙ্গে মুফতি সাখাওয়াত হোসাইনের ব্যাখ্যা, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদ করেছি। মিয়ানমার যখন আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল, তখনও প্রতিবাদ করেছি। বলেছি, আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ব্যবস্থা নিক। বিভিন্ন সময়ে বলেছি, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ ও বাংলাদেশ সীমান্তে অস্থিরতা দূর করতে সেনাবাহিনী যদি যুদ্ধ করে আমরাও সহায়তা করবো।’

মুফতি সাখাওয়াত হোসাইনের উল্টো প্রশ্ন, ‘এখানে উগ্রতা কোথায়? আমি নিজের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা আর দেশপ্রেম থেকেই বলেছি।’

প্রতিবেদনে উল্লিখিত বক্তাদের আরও কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগের পরিচালক নূর মোহাম্মদ আলম। তিনি বলেন, ‘আমরাইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষকদের সঙ্গে কথা বলছি। এ ব্যাপারে কী করা যায়,বক্তাদের ডাকবো নাকি তাদের চিঠি দেবো;এসব বিষয় সভায় ঠিক হবে। এরপর আমরা পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবো।’

বক্তাবলীতে মানবাধিকার কর্মী রফিককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা সন্ত্রাসীদের

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পুর্ব শত্রুতার জেরে মোঃ রফিকুল ইসলাম নামে মানবাধিকার সংস্থার এক কর্মীকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওই মানবাধিকার কর্মীর ডান চোখ ও কপালে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জের ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের পর এদিন বিকেলেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত রফিকুল ইসলাম। তিনি বক্তাবলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত মোসলেম বেপারীর ছেলে।

অভিযোগে লক্ষ্মীনগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত ইদ্রিস বেপারীর ছেলে আসাদ ভান্ডারী, তার ছেলে নাজমুল হোসেন এবং ভাতিজা জহির সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তরা মাদক ব্যবসায়ী এবং সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তারা আমার সাথে প্রহিতিংশা বশতঃ শত্রুতা পোষন করে আসছিল। আজ বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে ছোট বাচ্চাদের সামান্ন ঝগড়াকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত আসাদ ভান্ডারী,তার ছেলে নাজমুল হোসেন এবং ভাতিজা জহির পূর্ব শত্রুতার জেরে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকসহ ধারালো রাম দা, চাপাতী,বল্লম,চাকু ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাসায় প্রবেশ করে। তখন আসাদ ভান্ডারী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বল্লম দিয়ে ডান-চোখ ও কপালে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। অন্যান্যরাও আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে আমার বসত ঘরে ভাংচুর করে নগদ ৬০ হাজার টাকা লুটে নেয়। আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের খুনের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ডিউটিরত অফিসার এসআই ফজলুল হক জানান,ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ নেয়া হয়েছে। আহতের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। তার চোখে ও কপালে গুরুতর রক্তাক্ত জখম রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে।

শামীম ওসমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জকে মাদক মুক্ত করবো-শরীফুল হক

ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ শরীফুল হক নারায়ণগঞ্জকে মাদক মুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন,সাংসদ শামীম ওসমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের প্রতি ইঞ্চি মাটিকে মাদক মুক্ত করবো। তিনি বলেন ইতোমধ্যে সাংসদ শামীম ওসমান মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছেন। আমরা তার পাশে থেকে নারায়ণগঞ্জকে মাদক ও সন্ত্রাসী মুক্ত জেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।

গত মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লার লালপুর পৌষাপুকুরপাড় সমাজ কল্যান সংর্ঘেও উদ্যোগে আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশ আজ উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সাংসদ শামীম ওসমানের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুষ্ঠু সমাজ গড়ে তুলতে কাজ করে যাবো।

মোদাচ্ছের মেম্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লঅ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, আবুল হোসেন শিকদান, মাইনুদ্দিন মুন্সি, জালাল উদ্দিন,শহীদ বেপারী প্রমুখ।