১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 91

বক্তাবলীর কানাইনগর স:প:বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জম্ম বার্ষিকী পালন

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমানের ৯৯তম জন্ম‌দিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ১৭ মার্চ (রবিবার) দুপুর ১২টায় বক্তাবলীর কানাইনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যেগে আলোচনা সভা,‌কেক কাটা,‌চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

কানাইনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরা বেগমের সভাপ‌তিত্বে প্রধান অ‌তি‌থি হিসেবে উপ‌স্থি‌ত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের প‌রিচালনা পর্ষদের সভাপ‌তি মো.খোরশেদ আলম মাস্টার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো.রাশেল চৌধুরী,হাজ্বী মো.মোতালেব,বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান,মো. মুল্লুক চাঁন,রাশেদুল ইসলাম সুমন,সুলতানা আক্তার,আক্তারুজ্জামান ও মোসা.শারমিন জাহানসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।

বক্তাবলীর চর গড়কূল উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জম্ম বার্ষিকী পালন

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমানের ৯৯তম জন্ম‌দিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ১৭ মার্চ (রবিবার) সকাল ১০টায় বক্তাবলীর পূর্ব চরগড়কূল উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যেগে আলোচনা সভা,‌কেক কাটা,‌চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

বক্তাবলীর পূর্ব চরগড়কূল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমজাদ হোসেনের সভাপ‌তিত্বে প্রধান অ‌তি‌থি হিসেবে উপ‌স্থি‌ত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের প‌রিচালনা পর্ষদের সভাপ‌তি ও সামা‌জিক সংগঠন আলো‌কিত বক্তাবলীর সভাপ‌তি মোঃ না‌জির হোসেন।

প্রধান অ‌তি‌থির বক্তব্যে নাজির হোসেন বলেন,জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হয়েছিল বলেই এই দে‌শ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে পরিচিতি অর্জন করেছে।

তি‌নি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন,ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলাদেশ এবং শেখ মু‌জিব সম্পর্কে স‌ঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।

সহকারী শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপ‌স্থিত ছিলেন মোঃ লিটন,ত‌াপস কুমার মন্ডল,‌জেস‌মিন আরা জুঁই,মো.সুমন,শাহানাজ আক্তার,সান‌জিদা আক্তার ও বীর মু‌ক্তিযোদ্ধা আ:মান্নান গাজীসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।

‌কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

সন্ত্রাসী হামলা থেকে রক্ষা পেল বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম

আগে কখনো এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়নি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। দেশে কিংবা দেশের বাইরে খেলতে গেলে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয় পুরো দলকে। তবে আজ (শুক্রবার) জুমার নামাজ আদায় করতে যাওয়ার পথে দলের ক্রিকেটাররা সাক্ষী হলেন সন্ত্রাসী হামলার।

সেন্ট্রাল ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নুরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৯ জন স্থানীয় জনগণ। সেসময় দিনের অনুশীলন শেষ করে জুমার নামাজ আদায় করতে ঐ মসজিদেই যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।

কিন্তু স্থানীয় এক নারীর কাছ থেকে হামলার কথা শুনতে পেয়ে দ্রুততার সঙ্গে স্থান ত্যাগ করেন তামিম-মিরাজরা। প্রথম হাগলি ওভাল স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমে এবং পরে নিরাপদে টিম হোটেলে চলে যান তারা। তবে ঘটনার আকস্মিকতায় ভীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন ক্রিকেটাররা।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সেখানে উপস্থিত থাকা বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার তামিম ইকবাল নিজের টুইটার একাউন্টে লিখেছেন, ‘পুরো দল গোলাগুলির হাত থেকে বেঁচে গেলো। খুবই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম টুইট করেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্‌! ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনা থেকে আল্লাহ্‌ আজ আমাদের বাঁচিয়ে দিলেন। আমরা অনেক বেশি ভাগ্যবান। কখনোই এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে চাই না। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

দলের ডাটা অ্যানালিস্ট শ্রিনিবাস তার টুইটার একাউন্টে লিখেছেন, ‘মাত্রই এক বন্দুকধারীর হাত থেকে রক্ষা পেলাম। এখনো শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হচ্ছে না। ভয় কাজ করছে সর্বত্র।’

দলের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ মারি ভিল্লাভারায়েন বলেন, ‘আমি ঘটনার পরপরই ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কিছু দেখেনি তবে গুলির আওয়াজ শুনে হাগলি পার্ক দিয়ে মাঠে ফিরে গেছে। কোচিং স্টাফের সবাই টিম হোটেলেই ছিলেন। খেলোয়াড়রা গোলাগুলির শব্দ শুনেই দৌড়ে নিরাপদ স্থানে গিয়েছেন।’

কানাইনগর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমজাদের দূর্নীতির তদন্ত সমপন্ন

ফতুল্লার বক্তাবলীর কানাইনগর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমজাদের দূর্নীতির তদন্ত করেছে তদন্ত টিমের প্রধান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২ টায় কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়।

নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনের কয়েক কোটি টাকা দূর্নীতির অভিযোগে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে গঠিত তদন্ত টিম মঙ্গলবার স্কুলে যায়। সেখানে ৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসী দূর্নীতির সাক্ষ্য দেন।

শিক্ষক মানুষ গড়ে/ সে কী আবার দুর্নীতি করে?’-আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এ প্রশ্নের উত্তর-ই শুধু দেননি স্থানীয়দের বিস্মিত করেছেন কানাইনগর ছোবহানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন।

৯ বছরের মেয়াদকালে তাঁর দুর্নীতির খতিয়ান যেন রূপকথার গল্পকেও হার মানায়।

স্কুলটির সাবেক শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে দুর্নীতির এ মহাকান্ড! অনিয়ম দূর্নীতি শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্যের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি তাঁর মেয়াদকালে ২ কোটি ৩৪ লক্ষ ৬০ হাজার ১শত ৬৭ টাকা দূর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।

এ কারণে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনের পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্নখাতে তাঁর দুর্নীতির খতিয়ান জনসম্মুখে প্রকাশ করার দাবি তুলেছেন-বিদ্যালয়ের ১৯৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

এ দাবিতে এলাকায় বেশ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে ’৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারীদের দেয়া তথ্যমতে, আমজাদ হোসেন স্কুলের পূন:ভর্তি বাবদ ৩২ লক্ষ ৭৬ হাজার, বিলম্ব অনুপস্থিত বাবদ ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা, খেলাধুুলা খাতে ৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, নির্মাণ খাতে ৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, গ্রায়াচ্যুইটি বাবদ ১২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, বিদ্যুৎ বিল বাবদ ৮ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা, মিলাদ বাবদ ৮ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা, দূস্থ: তহবিলের ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা, পাঠাগারের ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা, গবেষণার ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা, সাংস্কৃতিক খাতে ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা, স্কাউটের ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, উন্নয়নের ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, কম্পিউটারের ৬ লক্ষ ৩০ হাজার, মসজিদ ফান্ডের ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, অগ্রগতি পত্র বাবদ ৫লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা, মনোগ্রাম বাবদ ৫ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা, এসএসসি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরন বাবাদ অতিরিক্ত ২৮ লক্ষ ৩ হাজার ১ শত ৬৭ টাকা, কৃষি ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা বাবদ ৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা, উপবৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র ছাত্রীদের সরকারি অনুদানের ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ করেন। এর প্রমাণ হিসেবে স্কুলের রশিদ ও ব্যাংক এ্যাকাউন্ট সহ নানা তথ্য-উপাত্ত¡ তুলে ধরা হয়।

এই বিষয়ে আঃ আজিজ বলেন, প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষকের লাগামহীন অনিয়ম দূর্নীতির কারণে বিদ্যালয়টির শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস হয়েছে। বিষয়টির বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

বক্তাবলী ইউনিয়ন মাদক নির্মুল কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, অর্থের বিনিময় অযোগ্য, দলীয় লোকদের নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নেওয়া হয়েছে। তিনি অযোগ্যদের বাদ দিয়ে মেধাবীদের নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবী জানান।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা একটি অভিযোগ ও সত্য নয়।যারা করেছে তারা সবাই আমার ছাত্র।ওরা আমার কাছে আসলে সব ঠিক হয়ে যেত।

তদন্ত টিমের প্রধান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা মোঃ শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান,তদন্তাধীন বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচিন নয়। উধ্বঃতন পক্ষের কাছে রির্পোট দিব। বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সুপারিশ করবো।

ফতুল্লার কিল্লারপুলের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ফেন্সী মহিউদ্দিন গ্রেফতার

ফতুল্লা প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার কিল্লারপুল একালার তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক বিক্রেতা নুপুরের স্বামী মহিউদ্দিন ওরুফে ফেন্সী মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল ফতুল্লা মডেল থানার একটি মামলার ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রক্তিম।

জানা গেছে,ফেন্সী মহিউদ্দিন ও তার স্ত্রী নুপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে মাদক ও দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। ইতিপূর্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সারাশি অভিযানে উক্ত মাদক বিক্রেতা স্বামী ও স্ত্রী একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে কারাবাস করেছে। ওই স্বামী-স্ত্রীর নামে প্রায় ৪/৫ টি মাদকের মামলা রয়েছে। পাশপাশি জেলার বিভিন্ন থানায় তাদের নামে বেনামে নানা অপরাধে আরও মামলাসহ অভিযোগও রয়েছে বলে জানায় ।

স্থানীয়দের দাবী,শুধু মহিউদ্দিনকে নয় তার স্ত্রী নুপুরকেও গ্রেফতার করা হোক। এরা দুজন মিলে নারায়ণগঞ্জ শহরকে কুলষিত করছে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রক্তিম জানান,গতকাল ধৃত মহিউদ্দিনকে কিল্লারপুল এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার হয়।

নিউজ সক্রান্ত বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে অসদাচারন করার অভিযোগে আমরা মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করি। আমরা জানতে পারি তার নামে মাদকসহ বেশ কয়েকটি বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। পাশাপাশি ফতুল্লা মডেল থানার একটি মামলায় তিনি পলাতক ছিলেন। ওই পলাতক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরন করি।

এলাকাবাসী সবাই এ গ্রেফতারে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ প্রশাসনকে সাধুবাদ জানান ও মাদকের ভয়াবহতা থেকে সমাজকে রক্ষার জন্য অনান্য মাদকবিক্রেতা সহ তাদের সহযোগিতদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান।

ফতুল্লায় ২৫ ইটভাটাকে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা

অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ২৫টি ইটভাটাকে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় মাত্রাতিরিক্ত ডাস্ট ও কালোধোঁয়া নির্গত করে পরিবেশ দূষণ এবং অনুমোদন না থাকায় আদর্শ ইটভাটা নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ভেকু দিয়ে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ।

এসময় নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক নয়ন মিয়া ও র‌্যাব-১১ এর এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

জরিমানা করা ইটভাটাগুলো হলো- বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং,চিশতিয়া সাবেরিয়া ব্রিকস, আরবিএম এন্টারপ্রাইজ,সালাহউদ্দিন অ্যান্ড সন্স, বিসমিল্লাহ ব্রিকস,নাসিরউদ্দিন অ্যান্ড সন্স,নিউ আদর্শ ব্রিকস,সান ব্রিকস,আজাদ এন্টারপ্রাইজ,এসইউএ ব্রিকস,নবীন ব্রিকস,জাফর ব্রিকস,মা ব্রিকস ফিন্ড, মা আবেদুন নেসা ব্রিকস,ন্যাশনাল ব্রিকস,মেসার্স সালাহউদ্দিন ব্রিকস,নিউ ব্রিকস-২,নজরুল ব্রিকস, আব্দুল্লাহ ব্রিকস,তোহা ব্রিকস,আহম্মেদ ব্রিকস,এমএ ব্রিকস,বক্তাবলী ব্রিকস,জ্যোতি এন্টারপ্রাইজ ও খাদিজা ব্রিকস।

নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক নয়ন মিয়া জানান,নিয়ম না মেনে ইটভাটা পরিচালনা করায় ২৫টি ইটভাটাকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি ইটভাটার ইট, পানি ও ভেকু দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

নয়ন মিয়া আরোজানান,নারায়ণগঞ্জের সাড়ে তিনশ ইটভাটার মধ্যে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫টি ইটভাটা নিয়ম মেনে চলছে। আর,১২৮ টি ইটভাটা আদালতে রিট করে পরিচালনা করছে। এছাড়া বাকী সব ইটভাটাই অবৈধভাবে চলছে। অবৈধভাবে চলা সকল ইটভাটার বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালিত হবে।

ফতুল্লায় ট্রাকচাপায় একজন নিহত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ট্রাকচাপায় রুহুল আমিন (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। 

সোমবার বেলা ১১টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রুহুল কিশোরগঞ্জ জেলার নিখলী থানার জালালপুর গ্রামের আ. হাইয়ের ছেলে। তিনি ফতুল্লার ঢালীপাড়া এলাকার আবেদ আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে ধর্মগঞ্জে ইসলামিয়া এন্টারপ্রাইজে কয়লা লোড-আনলোডের কাজ করেন। 

জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ট্রাকচাপায় ঘটনাস্থলেই রুহুল আমিন মারা যান। 

এ ঘটনায় স্থানীয়রা ট্রাক ও ট্রাকের হেলপারকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। ঘটনার পর পরই চালক পালিয়ে যান।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হবে

সিদ্দিরগঞ্জে ইয়াবাসহ জিকু গ্রেফতার

সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৮৮ পিছ ইয়াবাসহ জিকু (৩২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। ৯ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জয়নাল পাঠানটুলী ওয়াটার ওয়ার্কস রোড এলাকায় একটি ভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জিকু সদর থানার খানপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

এলাকাবাসী জানান,জিকু নিজেকে কখনও সাংবাদিক, কখনও রাজনৈতিক নেতা,কখনও পুলিশের পরিচয়ে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড করে থাকে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার অভিযোগে জিকুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ডিশ ব্যবসায়ী হিরো আলম কারাগারে

ডিশ ব্যবসায়ী থেকে তারকা বনে যাওয়া বগুড়ার সেই আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার হন হিরো আলম।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করলে বিচারক আহমেদ শাহরিয়ার তারিক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সদর থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকা হিরো আলম বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে শ্বশুরের করা মামলাটি সাজানো ও ভিত্তিহীন। তাঁর দাবি, তিনি পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের শিকার।

হিরো আলম বলেন, আমি সত্য বলতে কখনো ভয় পাই না আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে দ্বিধা করি না। অনেক আগে থেকেই ডিশের ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল আমার শ্বশুর পক্ষের লোকজন।

সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে যৌতুকের মিথ্যে অভিযোগ তুলে, স্ত্রীকে নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে আমাকে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়েছে।

তা ছাড়া বিগত নির্বাচনে প্রশাসনের অনিয়ম আর ভোট চুরির প্রতিবাদ করেছিলাম। বড় বড় কর্তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম। আমাকে মামলায় ফাঁসানোর নেপথ্যে এসব বিষয়ও কাজ করেছে।

হিরো আলম বলেন, ‘আমি সিনেমা ও মডেলিং করি। অধিকাংশ সময় বাইরে থাকতে হয়। আমার ডিশের ব্যবসার আয়-উপার্জন সবকিছুই স্ত্রী সাদিয়া বেগম ওরফে সুমিকে (২৪) ছেড়ে দিয়ে রেখেছিলাম। কোনো যৌতুক চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।

উল্টো আমার অবর্তমানে অন্যের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এর প্রতিবাদ করায় স্ত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার বাড়িতে হামলা করে। টাকা পয়সা লুট করে। ভাঙচুর করে। আমাকে মারধর করে।

ঘটনার পরপরই আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করি। পরদিন পুলিশ সালিসের নামে থানায় ডেকেছে, আমি ন্যায় বিচারের আশায় পুলিশের ডাকে বৃহস্পতিবার রাতে স্বেচ্ছায় থানায় এসেছি।

অথচ আমার কথা পাত্তা না দিয়ে অদৃশ্য শক্তির চাপে শ্বশুরের সাজানো অভিযোগটা মামলা হিসেবে রেকর্ড করে আমাকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। পুলিশ দুই পক্ষের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করতে পারতেন। কিন্তু অদৃশ্য চাপে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

হিরো আলম বলেন, এভাবে সাজানো মামলায় আমাকে কারাগারে আটকে রেখে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করা যাবে না। কেউ বিশ্বাস করবে না, যে স্ত্রীকে ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে রেখেছি, তাঁকে মাত্র দুই লাখ টাকার জন্য হিরো আলম নির্যাতন করবেন।

শ্বশুরের অভিযোগ
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে শ্বশুর সাইফুল ইসলাম ওরফে খোকন বুধবার বিকেলে হিরো আলমের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

এতে উল্লেখ করা হয়, হিরো আলম অনেক দিন ধরেই স্ত্রী সাদিয়া বেগম ওরফে সুমির কাছ থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করছেন। এর মধ্যে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর সাইফুল ইসলাম জামাইয়ের হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেন তিনি।

গত ৫ মার্চ দুপুরে হিরো আলম আরও এক লাখ টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্ত্রীর ওপর রেগে যান হিরো আলম। টাকা না পেয়ে হিরো আলম চেলা কাঠের বাটাম দিয়ে সুমিকে মারধর করেন, কিল-ঘুষি মারেন।

সুমির চিৎকারে এলাকায় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে আহত স্ত্রী সাদিয়াকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হিরো আলমের অভিযোগ
অন্যদিকে হিরো আলম গত মঙ্গলবার রাতে শ্বশুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে বগুড়া সদর থানায় পৃথক অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৫ মার্চ রাতে আটটার দিকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরের সঙ্গে ঝগড়া হয়।

এর জেরে শ্বশুরপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে তাঁর সদর উপজেলার আরজি পলিবাড়ি গ্রামে নিজ বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর প্রতিবাদ করলে কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে শ্বশুরপক্ষের লোকজন তাঁকে মারধর করেন। একই সঙ্গে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে তিনি (হিরো আলম) মাটিতে পড়ে যান। এই সুযোগে শো কেজের ড্রয়ার থেকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা, দুইটি মুঠোফোন নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ সময় তাঁরা ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্রও ভাঙচুর করেন এবং হত্যারও হুমকি দেন।

তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে তিনি বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।
শ্বশুরের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে
আলাদা দুটি অভিযোগ পাওয়ার পর বুধবার রাতে দুই পক্ষকে সদর থানায় ডাকা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হিরো আলমের বিরুদ্ধে শ্বশুরের দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এ কারণে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়ার প্রত্যন্ত এরুলিয়া গ্রামে একসময় সিডি বিক্রি করতেন হিরো আলম। সিডি যখন চলছিল না, তখনই মাথায় আসে ক্যাবল সংযোগ ব্যবসার। কেবল সংযোগের ব্যবসার সুবাদে মিউজিক ভিডিও তৈরি শুরু করেন।

ইউটিউবে প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। ইউটিউবে প্রকাশ করা তাঁর নিজস্ব ভিডিওগুলোও অনেক জনপ্রিয়। ভিডিওগুলোর নির্দেশনাও দেন হিরো আলম। ভিডিওগুলোর মূল চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

ইউটিউবে হিরো আলমের এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তাঁর ভিডিও নিয়ে কৌতুক শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় তাঁর ভিডিও নিয়ে হয় ট্রল।
হিরো আলম ইতিমধ্যেই ‘মার ছক্কা’ নামের একটি চলচ্চিত্রে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বলিউড পরিচালক প্রভাত কুমারের ‘বিজু দ্য হিরো’ নামে চলচ্চিত্রেও অভিনয় করছেন তিনি।

২০১৬ সালে ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়।

মেননের শাস্তি চেয়ে আলেমদের বিক্ষোভের ডাক

সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাংসদ রাশেদ খান মেননের অনতিবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা ও শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ করবে আলেম সমাজ। কওমী মাদরাসাকে বিষবৃক্ষের সাথে তুলনা,ইসলামী অনুশাসনকে ‘মোল্লাতন্ত্র’ও আলেম সমাজকে কটাক্ষ্য করে দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।

বুধবার (৬ মার্চ) বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হবে। এতে বাংলাদেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন এবং বক্তব্য রাখবেন।

মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে কাদিয়ানীদের দোসর রাশেদ খান মেনন কুরআন-সুন্নাহর বিধান ও ইসলামী অনুশাসনকে ‘মোল্লাতন্ত্র’ আখ্যায়িত করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে (সা.) অপমানিত করেছেন। তিনি আল্লামা আহমদ শফিকে কটাক্ষ করে শুধু আলেম সমাজ নয়, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকারসহ গোটা সংসদকে অপমানিত করেছেন। তিনি আল্লাহ ও রাসূলকে (সা.) অবমাননা করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মেননকে শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। 

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী মহাজোটের শরীক নেতা রাশেদ খান মেননের দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘রাশেদ খান মেননকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। রাশেদ খান মেনন মূলত তার প্রদত্ত বক্তব্যের মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে ধর্মবিদ্বেষ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। অনতিবিলম্বে তিনি যদি প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান তাহলে তৌহিদি জনতা এসব কটূক্তি,অপপ্রচার ও ধর্মবিদ্বেষী বক্তব্যের সমুচিত জবাব দেবে।’

উল্লেখ্য,গত মার্চ সংসদে রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘পাঠ্যক্রমগুলোকে ধর্মীয়করণের প্রচেষ্টা, তেঁতুল হুজুরের আবদারে সংস্কার করা হয়েছে। কুসুম কুমারী,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,দ্বিজেন্দ্রলালের কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে। হয়ত পাকিস্তান আমলের মতো ‘সজীব করিব মহাশ্মশানের স্থলে সজীব করিব গোরস্থান’আবৃত্তি করতে হবে। হেফাজতের মোল্লাতন্ত্র দেশে চরম পশ্চাৎপদ ধারণা সৃষ্টি করছে।’

কওমী সনদের স্বীকৃতি দিয়ে বিষবৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে কি না- সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে মন্তব্য করে মেনন বলেন, ‘আজকে তেঁতুল হুজুরের দল প্রধানমন্ত্রীকে কওমী জননী উপাধি দিয়েছেন। এই ব্যাপারে আমরা সতর্ক না হলে বুঝতে হবে আমরা কোনো বিষবৃক্ষ রোপন করতে যাচ্ছি।’

আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা,তাদের ওপর আক্রমণ- মোল্লাতন্ত্রের এ ধরনের পাকিস্তানি অনুকরণ রাষ্ট্রপতি যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা তার ভাষণে উল্লেখ করেছেন- সেটাকে চরম বিপদে ফেলছে বলেও মন্তব্য করে বামপন্থী এই নেতা।