৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 9

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া শহীদ মিনারে কলেজ ছাত্রীর প্রকাশ্যে ধূমপান!

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ধুমপানসহ বিভিন্ন প্রকারের মাদকের পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছে তা মিলিয়ে। ছেলে কিংবা পুরুষ বন্ধুদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে মেয়েদেরকে সিগারেটসহ বিভিন্ন প্রকাশ নেশাজাতীয় দ্রব্যের প্রতি আগ্রহটা বাড়ছে অনেকাংশে। তবে স্কুল-কলেজ কিংবা ভার্সিটি পড়–য়া শিক্ষার্থীরা ইদানিং সিগারেটসহ নানা প্রকার মাদকের আসক্তের পরিমানটা অনেকটাই বেশী।

(mahamudul islam shaurov) নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে চাষাড়া শহীদ মিনারের বেদীতে বসেই নারায়ণগঞ্জ সরকারী মহিলা করেজের এক শিক্ষার্থীকে দেখা যাচ্ছে প্রকাশ্যেই সিগারেট ফুঁকছেন। দুই আঙ্গুলের ফাঁকে সিগারেটটি রেখে হাস্যেজ্জলভাবে অন্যত্র তাকিয়ে রয়েছে। বিষয়টি দেখে শহীদ মিনারের অভ্যন্তরে হতবাক হলেও হতবাক হয়নি সেই কলেজ ছাত্রীটি। হাসিমাখা মুখেই সে প্রকাশ্যে নির্লজ্জের মতই যেন সিগারেটটি ফুঁকছেন। শুধু শহীদ মিনার নয় শহর ও শহরতলীর প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে এবং চায়ের দোকানগুলো এমন দৃশ্য যেন অহরহ ব্যাপারে দাড়িয়েছে। কারোর দৃষ্টিতে পড়লে মাঝে-মধ্যে এসকল মেয়েদেরকে বাধা প্রদান করলে উল্টো বিপদে পড়ছেন বাধা প্রদানকারী। কারন হিসেকে উক্ত মেয়েদের দাবী, তারা তাদের বাবা-মায়ের টাকাতেই নাকি সিগারেট ক্রয় করে ফুঁকছেন। তাতে আপনাদের কি ? অপরাধীর মুখে এ ধরনের কথা শোনামাত্র সেখানেই চুপসে যান প্রতিবাদী।

চাষাড়া শহীদ মিনারটি যেন তিন কলেজের ( সরকারী তোলারাম কলেজ,নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজ ও নারায়ণগঞ্জ কলেজ ) ক্যাম্পাসে পরিনত হয়েছে।

পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা তো রয়েছেনই। প্রতিদিনই বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার পাশাপাশি সিগারেটসহ বিভিন্ন প্রকারের মাদক সেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। আর অভিভাবকরা যেন তাদের সন্তানকে স্কুল কিংবা কলেজের পাঠিয়েই তাদেও দ্বায়িত্বটুকু সমাপ্ত করে দেন। কিন্তু শিক্ষার্জন করতে গিয়ে সেখানে তারা কতটুকু শিক্ষা গ্রহন করছেন তা যেন দেখভালের কথাটুকু মন থেকে মুছে ফেলেছেন।

আর অভিভাবকদের এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুশিক্ষার পরিবর্তে দিনের পর দিন তারা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে আর বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন।

শহীদ মিনারে আগত অনেক সাধারন মানুষ বলেন, অনেক সময় দেখা যায় যে,সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এখানে স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েরাই অবস্থান নেয়। তাহলে ওরা ক্লাস করে কখন ? আর এর ভেতরে বসে ওরা যা করে তা বলার ভাষা জানা নেই। সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে বাবা-মা যে পরিশ্রম করছে তা প্রতিটি সন্তানই জানে। তারপরও ওরা কিভাবে দিনের পর দিন ওদেরকে ধ্বংস করতে সবকিছু জেনে। তাছাড়া স্কুল-কলেজের শিক্ষকরাই কি করছে? তারা কেনইবা শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনের উপস্থিতিকে প্রাধান্য দিচ্ছেননা। আর অনেকের ভাষ্য যে,শহীদ মিনারের পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের এরুপ বেলাল্লাপনা বন্ধে শহীদ মিনারে মাঝে-মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত বসানো উচিত।

এদিকে প্রকাশ্যে কিংবা অন্তরালে মেয়েরা যেভাবে সিগারেটসহ বিভিন্ন মাদকে আসক্ত হচ্ছে সে বিষয়ে যদি অভিভাবক কিংবা রাষ্ট্র এখন থেকে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয় তাহলে এর দায় ভবিষ্যতে রাষ্ট্র কিংবা অভিভাবককেই বহন করতে হবে বলে অভিমত বিশিষ্টজনদের। মেয়েদের ধুমপানের বিষয়ে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন রিসার্স সংস্থা থেকে যা ফুটে উঠেছে তাহলে মেয়েদেরকে ভয়ংকর রোগের মুখোমুখি হওয়া পাশাপাশি রাষ্ট্রেও জনসংখ্যা কমতে পারে বলে অভিমত।
মেয়েদের ধুমপানের ফলে যে ক্ষতিকর দিকগুলো তা উল্লেখ করা হলো:

যে মহিলারা ধূমপান করেন তাদের জীবনের আগে আরও গুরুতর ঈঙচউ হতে পারে । যে মহিলারা ধূমপান করেন তাদেরও মৌখিক গহ্বর, গলবিল, স্বরযন্ত্র (ভয়েস বক্স), খাদ্যনালী, অগ্ন্যাশয়, কিডনি, মূত্রাশয় এবং জরায়ুর ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তারা করোনারি হৃদরোগের জন্য তাদের ঝুঁকি দ্বিগুণ করে।

ধূমপান উর্বরতা হ্রাস করতে পারে, ১ গর্ভধারণ করা কঠিন করে তোলে । ধূমপান নেতিবাচকভাবে হরমোন উত্পাদন প্রভাবিত করতে পারে। ধূমপান এবং তামাকের ধোয়ার এক্সপোজার প্রজনন সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে। ধূমপান শুক্রাণুর ডিএনএ ক্ষতি করতে পারে।

যে মহিলারা ধূমপান করেন তাদের গর্ভবতী হতে বেশি অসুবিধা হয় এবং কখনও গর্ভবতী না হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

গর্ভাবস্থায় ধূমপান অনাগত শিশুর টিস্যুর ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে, এবং কিছু গবেষণা মাতৃ ধূমপান এবং ফাটল ঠোঁটের মধ্যে সংযোগের পরামর্শ দেয়।

অধ্যয়নগুলি তামাক এবং গর্ভপাতের মধ্যে সম্পর্কের পরামর্শ দেয়। তামাকের ধোঁয়ায় থাকা কার্বন মনোক্সাইড বিকাশমান শিশুকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পেতে বাধা দিতে পারে। তামাকের ধোঁয়ায় অন্যান্য রাসায়নিকও থাকে যা অনাগত শিশুদের ক্ষতি করতে পারে।

যে মায়েরা ধূমপান করেন তাদের বাচ্চা প্রসবের সম্ভাবনা বেশি থাকে। প্রিটার্ম ডেলিভারি নবজাতকদের মধ্যে মৃত্যু, অক্ষমতা এবং রোগের একটি প্রধান কারণ।

গর্ভাবস্থায় ধূমপানকারী মায়েদের প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজনের জন্ম ওজন কম। যে মায়েরা গর্ভাবস্থায় সেকেন্ডহ্যান্ড ধূমপানের সংস্পর্শে আসেন তাদের কম ওজনের বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। খুব ছোট বা খুব তাড়াতাড়ি জন্ম নেওয়া শিশুরা ততটা সুস্থ নয়।

যে সকল শিশুর মায়েরা গর্ভবতী অবস্থায় ধূমপান করেন এবং যে সকল শিশু জন্মের পর সেকেন্ডহ্যান্ড ধূমপানের সংস্পর্শে আসে তারাই সিগারেটের ধোয়ার সংস্পর্শে না আসা শিশুদের তুলনায় সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম (ঝওউঝ) থেকে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শিশু যাদের মায়েরা ধূমপান করেন তাদের (ঝওউঝ) থেকে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় তিনগুণ বেশি।

যেসব শিশুর মায়েরা গর্ভাবস্থায় ধূমপান করেন বা যারা জন্মের পর সেকেন্ডহ্যান্ড ধূমপানের সংস্পর্শে আসেন তাদের ফুসফুস অন্যান্য শিশুদের তুলনায় দুর্বল থাকে, যা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।

নরসিংদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ডা.ফারহানা যোগদানের পর স্বাস্থ্য সেবা বৃদ্ধি

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নরসিংদীর শিবপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিশ্বস্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। উপজেলাবাসীর স্বাস্থ‍্য সেবা নিশ্চিত করতে ১৯৮২ সালে ৩১ শয‍্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ‍্য কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।শিবপুর উপজেলার প্রায় পাঁচলাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ৩১ শয্যার হাসপাতালটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়।

২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৫০ শয্যার এই নতুন ভবনটি উদ্বোধন করেন তৎকালিন নরসিংদী-৩ আসনের সংসদ সদস্য, আলহাজ্ব জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন । ৫০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়ে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পুরনো ভবনের পাশেই ৫০ শয্যার নতুন ভবন। আধুনিকভাবে গড়ে তোলা ভবনে ” বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীনে সময়ে “নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ড স্থাপন করে শত শত করোনা রোগীদের ভর্তি রেখে করোনা যোদ্ধা ডাক্তাররা স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে সুস্থ করে তুলেন।

বৈশ্বিক মহামারী করোনা সময় যোগদান “করোনা যোদ্ধা ” ডা. ফারহানা আহমেদ ছোট দুইজন ছেলে, অসুস্থ স্বামী কে বাসায় রেখে করোনাকালীন সময়ে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নতুন দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন,করোনাকালীন বিভিন্ন ভেকসিন, বোষ্টার ডোজ,স্কুল, কলেজ, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারী নিয়ে টিম গঠন করে সেবা প্রদান করেন। কভিড 19 সেবা শতভাগ প্রদান করায়
শিবপুর উপজেলা সর্বস্তরের মানুষের কাছে ডা. ফারহানা আহমেদ করোনা যোদ্ধা হিসিবে পরিচিতি পেয়েছেন।

চিকিৎসা সেবা নিতে আসা আ. মোতালেব বলেন, আমি ডায়াবেটিসের রোগী, হাসপাতালে আসলে ডাক্তাররা আমার প্রথমে প্রেসার মেপে, সুগার টেস্ট, অন্যান্য পরীক্ষা করে ডায়াবেটিস বই করে দিয়েছেন, দেখুন গ্লিপিজাইড (Glipizide),মেটফরমিন ৫০০মি.গ্রা, ওমেজাল এই ঔষধ গুলো বাইরে কিনতে গেলে অনেক টাকা লেগে যেত, আগে শিবপুর থেকে নরসিংদী বানিয়াছল ডায়াবেটিস হাসপাতালে যেতাম অনেক সময় লাগতো, এখন আমাদের শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডায়াবেটিস রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য উক্ত হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:ফারহানা আহমেদ শিবপুরবাসীর পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই ও ধন্যবাদ জানাই।কথা হয়, গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কাছে আসা রুমা আক্তারের সাথে তিনি জানান, গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সরকারি হাসপাতালে সেবা পাওয়ায় আমরা উপকার পাচ্ছি, ক্লিনিকে গেলে ভিজিট ৬০০ টাকা তারপর হরেক রকম টেস্ট ও অনেকগুলো ঔষধ লেখে দেয় যা আমাদের কিনতে কষ্ট হয়।

কয়েকজন রোগির সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়ায় খরচ বহন করার সামর্থ নাই। জয়নব বেগম বলেন, মানুষের কাছে শুনেছি সরকারি হাসপাতালে ভাল ভালডাক্তার আইছে সকল ধরনের ঔষধ পাওয়া যায়, সরকারি কম খরচে রোগের পরীক্ষা করা হয়। তাই আমি ১ সপ্তাহ আগে এসে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ার পর আজকা আমার ননদ কে নিয়া আইছি।

হাসপাতালের প্রধান সহকারী রাশেদুল কমল বলেন,
প্রতিদিন মেডিসিন, গাইনী,অর্থোপেডিক,শিশু
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের কাছ থেকে ৭০০ শত বেশি রোগী সেবা গ্রহণ করছেন। হাসপাতালের পাশের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘৫০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রমটি চালু হওয়ায় আমরা একটু ভালো চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিদিনই ওয়ার্ডগুলোতে নির্ধারিত শয্যার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি থাকছেন।

আটক মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিল পুলিশ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সাদ্দাম নামে মাদক ব্যবসায়ীকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে দিলেও কয়েক ঘন্টা পর ওই মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে  মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সর্বমহলে প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে পুলিশের কাজ হচ্ছে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা, সেখানে এলাকাবাসী আটক করে দেয়ার পরও পুলিশ কিভাবে অপরাধীকে ছেড়ে দিলো?

এদিকে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হলেও উল্টো পুলিশ বলছে, সাদ্দাম অপরাধী না, পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। চাকু অন্যরা পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছে। কোনো মাদক পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশের এ রকম অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনেই মানুষ তাদের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে। আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। গত দুই মাসে চারটি গণপিটুনির ঘটনায় চার জনের মৃত্যুই এর যার প্রমান স্বরূপ। এছাড়াও ঘটেছে একাধিক হামলা ও মারধরের ঘটনা।

২৯ জানুয়ারি (সোমবার) সকালে কাশিপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ফরাজিকান্দা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, সোমবার ফজর নামাজের সময় গোপনে এক মহিলার ঘরে প্রবেশ করে মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের সোর্স হিসেবে চিহ্নিত সাদ্দাম হোসেন। ওই মহিলা ঘরের বাইরে থেকে তা দেখে ফেলে এবং চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে সাদ্দামকে আটক করে।

এসময় তার কাছে বেশ কিছু ইয়াবা ট্যাবলেট, ইয়াবা সেবনের ফুয়েল পেপার, ২টি চাকু, ৩টি মোবাইল ও নগদ ৭ হাজার টাকা জব্দ করে। পাশের মসজিদে নামাজরত মুসল্লীরা চিৎকার-চেচামেচি শুনতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে যান।

পরে স্থানীয়রা সাদ্দামকে ওই মাদক, চাকু, জব্দকৃত মোবাইল ও টাকাসহ পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু ঘটনার ৩/৪ ঘন্টা পরই সাদ্দাম হোসেন এলাকায় ফিরে এসে এলাকাবাসীকে হুমকি দেয় এবং আমি তো পুলিশের কাজই করি, পুলিশ আমাকে আটক রাখবে না। বরং তোরা যারা আমাকে ধরিয়ে দিয়েছিস, তোদেরকে পুলিশ দিয়ে আটক করাবো।

এ বিষয়ে স্থানীয় মুরুব্বী ও সাবেক ব্যাংকার লাল মিয়া বলেন, আমি সাবেক ব্যাংকার। প্রতিদিনের মতো সকালে ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। মসজিদে থাকা অবস্থায় হৈ-চৈ শুনতে পাই। নামাজ শেষে দেখি সাদ্দামকে আটক করে মারধর করছে জনতা। তার কাছে বেশ কয়েকটি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২টি চাকু, ৩ টি মোবাইল ফোনসহ নগদ টাকা পাওয়া যায়।

জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে তাকে আমাদের হেফাজতে রাখি এবং পুলিশে খবর দেই। ফতুল্লা থানার এস আই আনোয়ার আসলে মাদক, চাকু, টাকা ও ফুয়েলসহ সাদ্দামকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

এসময় পঞ্চায়েত প্রধান আলী আক্কাস, আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আমিন সহ শতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলো। কিন্তু ঘটনার ৩/৪ ঘন্টা পর আটককৃত সাদ্দামকে এলাকায় দেখা যায়। এলাকায় এসেই সে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে জানতে পারি।

পঞ্চায়েত প্রধান আলী আক্কাস বলেন, ফজরের নামাজের পরে শুনতে পেলাম এক নারীর ঘরে গোপনে প্রবেশ করে সাদ্দাম। কিন্তু ঐ নারী তখন ঘরের বাইরে থাকায় তাকে, ঘরে প্রবেশ করতে দেখে ফেলে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী জড়ো হলে সাদ্দামকে আটক করা হয়।

এসময় তার কাছে বেশ কিছু ইয়াবা ট্যাবলেট, ইয়াবা সেবনের ফুয়েল, ২ টি চাকু, ৩টি মোবাইল ও নগদ ৭ হাজার টাকা জব্দ করে পুলিশে খবর দেয়া হয়।

ফতুল্লা থানার এস আই (উপ-পরিদর্শক) আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে আসলে ধৃত সাদ্দামকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু ঘটনার ৩/৪ ঘন্টা পরই সাদ্দাম হোসেন এলাকায় ফিরে আসে।

তিনি আরও বলেন, এর আগেও বহু অপরাধে  এলাকাবাসী তাকে মারধর করেছে। কিছুদিন আগে গোসলের সময় এক নারীর নগ্ন ভিডিও ধারনের চেষ্টা করলে জনগন তাকে আটক করে পিটিয়েছে। এছাড়া, পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে সারা রাত এলাকায় মাদক বিক্রি করে বেড়ায় সে।

আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আমিন বলেন, ঘটনার সময় শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলো। আমিও ছিলাম তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন মাদক বিক্রেতার পক্ষ নিয়ে বলেন, সাদ্দাম তো অপরাধী না। ও পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। কয়েকটা আসামীকে ধরিয়ে দিতে পুলিশকে সহযোগীতা করেছে সে, তাই ষড়যন্ত্র করে ওকে আটক করেছিলো।

মোবাইলগুলো ওর নিজের, চাকু অন্যরা ওর পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছে এবং ইয়াবা বা কোনো মাদক পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া, সাদ্দামের প্রতি সহানুভুতি জানিয়ে তিনি বলেন, ছেলেটাকে অনেক মারধর করা হয়েছে। স্থানীয়রা কেউ স্বাক্ষী না হওয়ায় আটককৃত সাদ্দামকে ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

তবে, নারায়ণগঞ্জ আইনজীবীর সাথে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেম, কেউ স্বাক্ষী না হলেও এলাকাবাসী কর্তৃক মাদক ও চাকুসহ আটককৃত এ ধরনের আসামিকে পুলিশ ছেড়ে দিতে পারে না। এটা আইনের পরিপন্থী।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ওসি নুরে আযম মিয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

সিদ্ধিরগঞ্জে পূর্ব শত্রুুতার জের ধরে মা ছেলেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পাঠানতলীতে পূর্ব শত্রুুতার জের ধরে মা ছেলেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসী সবুজ বাহিনী।আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে গত শুক্রবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আমি মোঃ আব্দুল আজিজ পিতা মৃত ফজলুল রহমান সাং পাঠানতলী জেলা নারায়নগঞ্জ লিখিতভাবে বিবাদীদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, সবুজ (২৮) পিতা বাছেদ, মোঃ বাছেদ, মো. পিয়ার আলী উভয় পিতা শুক্কুর আলী, শোভন পিতা মোঃ বাছেদ,জেলা নারায়নগঞ্জ সহিত দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসিতেছে।

গত ২৬/১/২৪ সকাল ১১ টায় বিবাদীগন আমার বসতবাড়ির জায়গায় ইটবালু রাখলে ইটবালু সরিয়ে নিতে বলে। উক্ত ইটবালু সরিয়ে না নেওয়াতে বিবাদীগণ আমাকে ও আমার মাকে মারপিট করিতে থাকে। আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা বেদনাদায়ক জখম করে। আমাকে রক্ষা করিতে গেলে আমার মাকেও মারপিট করে জখম করে। আমাদের ডাক চিৎকার আশেপাশের লোকজন আসিয়া আমাদেরকে উক্ত বিবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করে।

উক্ত বিবাদীগণ আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে বলে হুমকী প্রদান করে। এতে আমরা চরম নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে জীবন যাপন করছি।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যুবলীগ নেতার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যুবলীগ নেতার স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিতু (২৬) নামের এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

২৯ জানুয়ারী (সোমবার) ফতুল্লার পুলিশ লাইন আফাজ নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণী শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার মূলফুতগঞ্জের ইটালী প্রবাসী হান্নান মিয়ার মেয়ে ও বিসিক শাসনগাঁও এলাকার যুবলীগ নেতা সোহেলের স্ত্রী। নিহত আয়েশা ইটালী প্রবাসী এবং সোহেল মাতবরের স্ত্রী।

জানা যায়, তিন বছর পূর্বে সে ইটালী থেকে বাংলাদেশে আসে। তার বাবাও ইটালীতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে। নিহত তরুনীর বর্তমান স্বামী বিসিকের স্থানীয় যুবলীগ নেতা সোহেল মাতবর। এর আগে নিহত আয়েশা প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে চার মাস পূর্বে সে সোহেলকে পারিবারিক সম্মতিক্রমে বিয়ে করে। নিহতের আগের সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সোমবার সকালে নিহত তরুণী বিসিকস্থ স্বামীর বাড়ী থেকে মায়ের বাড়ী আফাজ নগরে আসে। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে নিহতের সাথে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে মনমালিন্য এবং কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নিহত তরুণী তার মায়ের ঘরে প্রবেশ করে দরজা লাগিয়ে দেয়। নিহতের মা সহ ভাইয়েরা ডাকাডাকি করে কোন সারশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো নিহতের ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার (অফিসার ইনচার্জ) নুরে আযম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টরিয়া) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ফতুল্লা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যুবলীগ নেতার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

 

শামীম ওসমানের আসনে জলাবদ্ধতা-আন্দোলনে ভুক্তভোগী মহল ও শিক্ষার্থীরা

  • নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের স্টেশনের পূর্ব পাশে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে এবার রাস্তায় নামলেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং ব্যবসায়ী মহল। সোমবাব সকালে ভুক্তভোগী মহল এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

স্থানীয়রা জানায়, সারাবছর ধরে এখানে জলাবদ্ধতা থাকায় স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে। ফতুল্লা ইউপি সদস্য হাসমত আলীর বাড়ীর সামনের রাস্তায় ১২ মাস ধরেই বর্ষাকাল থাকে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ফরিদ আহমেদ টিটু জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এখানে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অথচ এ সমস্যা সমাধানে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার কিংবা সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বারকে কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।

ফলে বাধ্য হয়ে পিলকুনি, তক্কারমাঠ, শেহাচরের লাখো মানুষ সব সময়ই ময়লা,দূর্গন্ধযুক্ত পানি মারিয়ে এখান দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের সংসদীয় আসনের এই এলাকায় ১২ মাস ধরে জলাবদ্ধতা থাকে। এ সমস্যা কেউ নিরসন না করায় স্থানীয় বাসিন্দারা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। প্রভাবশালী সাংসদের নির্বাচনী এলাকায় সারাবছর জলাবদ্ধতা থাকাকে কেউ স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারছে না। এই সমস্যা সমাধানে ভুক্তভোগীরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন…

শামীম ওসমানের আসনে জলাবদ্ধতা-আন্দোলনে ভুক্তভোগী মহল ও শিক্ষার্থীরা

কৃত্রিম জলাবদ্ধতায় এখানে ১২মাস বর্ষাকাল-লাখো মানুষ চরম ভোগান্তিতে

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড ফতুল্লা স্টেশনের পূর্ব পাশে এই ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য হাসমত আলীর বাড়ীর সামনের রাস্তায় ১২ মাস বর্ষাকাল থাকে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এখানে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অথচ এ নিয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার কিংবা সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মেম্বারের কোন মাথা ব্যথা নেই।

ফলে বাধ্য হয়ে পিলকুনি, তক্কারমাঠ, শেহাচরের লাখো মানুষ সব সময়ই ময়লা,দূর্গন্ধযুক্ত পানি মারিয়ে এখান দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। নারায়ণগঞ্জ-৪আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের আসনে ১২ মাস জলাবদ্ধতা নিয়ে মানুষ হতাশ হয়ে পরেছেন। প্রভাবশালী সাংসদের নির্বাচনী এলাকায় সারাবছর পানি থাকা টাকে কেউ স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারছে না।

এই সমস্যা সমাধানে ভুক্তভোগীরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং ভুক্তভোগী মহল।

নিউজটি শেয়ার করুন…

নাস্তিকতার করালগ্রাস থেকে শিক্ষাক্রমকে মুক্ত করার দাবি জানালেন ড.আব্বাসী

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নাস্তিকতার করালগ্রাস থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রমকে মুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দাবীতে তাহরীকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ এর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে পাঠানটুলী আব্বাসী মঞ্জিলের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন- তাহরীকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ’র আমির এবং জৌনপুরী দরবারের পীর আল্লামা মুফতি ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী।
সভাপতির বক্তব্যে ড. আব্বাসী বলেন, হিজরা বা থার্ড জেন্ডার নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আল্লাহ তা’য়ালা সৃষ্টিগত ভাবেই কাউকে পুরুষ হিসেবে আবার কাউকে মহিলা হিসেবে, আবার কাউকে হিজরা বা থার্ড জেন্ডার হিসেবে সৃষ্টি করেন।

এদেশের মুসলমান হিজরাদের বিপক্ষে নয়, বরং ইসলাম হিজরাদের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। রংপুরে এক হিজিরা এম.পি আসনে ২২ হাজার ভোট পেয়েছে। অথচ সারা বাংলাদেশে হিজরাদের ভোটার মাত্র ৮৫২ জন। তাহলে এই ২২ হাজার ভোট তাকে কারা দিলো? বুঝা যায়, হিজরাদের প্রতি এদেশের মুসলমানদের যথেষ্ট সহানুভূতি রয়েছে।
কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বিষয়। এটা ইহুদীদের একটি চক্রান্ত, যা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি শয়তানী রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা চলছে।
ড. আব্বাসী বলেন, ইহুদীদের এই নিকৃষ্ট মতবাদ প্রতিষ্টার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ইজারাদার হিসেবে কাজ করছে। যার কারনে ড. আসিফ মাহতাবকে তারা চাকরিচ্যুত করেছে।
সরকারের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারী করে আব্বাসী হুজুর দাবী জানান,পাঠ্যবই থেকে শরীফ শরীফার গল্পসহ সকল ইসলাম বিরোধী, নাস্তিকতাপূর্ন পাঠ বাদ দিতে হবে। প্রফেসর আসিফ মাহতাবের চাকুরী ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয়কে পুনর্বহাল করতে হবে। আর ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেয়া ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয় অন্যায়ভাবে আসিফ মাহতাবের চাকরিচ্যুত করার কারনে তাঁদের ক্ষমা চাইতে হবে। নচেৎ ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হবে। মানববন্ধন শেষে দেশ ও জাতির কল্যান কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ মাওলনা মুফতি আব্দুর রহিম সাহেব, হযরত মাওলানা ড. ইমরান সাহেব, হাফেজ মাওলনা মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন সাহেব ও মাওলানা মুফতি সাওবান সাকিব।

সম্পত্তির লোভে বৃদ্ধ পিতাকে মারধর-পিতার সংবাদ সম্মেলন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়নগঞ্জে ছেলের বিরুদ্ধে সম্পত্তির লোভে মারধর এবং বাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন বৃদ্ধ পিতা সাইজুদ্দিন মিয়া।

২৫ই জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকেলে নগরীর আলী আহমেদ চুনকা পাঠাগার প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাইজুদ্দিন মিয়া বলেন, আমার রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভায় একটি মিল ফ্যাক্টরী আছে। সেই ফ্যাক্টরী এতোদিন যাবৎ প্রথম স্ত্রীর ৩ ছেলে রফিকুল ইসলাম, শাহজাহান মিয়া এবং তারিকুল ইসলামের মাধ্যমে পরিচালনা করে আসছিলাম। তবে তাদের হাতে ব্যবসা পরিচালনা করায় প্রতি মাসে লোকসান হচ্ছিলো। এক সময় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম তৈরি হয়। এই বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তেমন কোন সদত্তোর দেয় না। উল্টো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট এবং আমার সাথে বাজে ব্যবহার শুরু করে। এরপর আমি তাদেরকে ব্যবসা থেকে পৃথক করে দেই এবং আমি নিজে ব্যবসা পরিচালনা করি। এর সাথে তাদেরকে মাসিক টাকা দিয়ে থাকি।

তিনি আরো বলেন, গত কয়েক বছর যাবৎ আমার নিজ নামের একটি জমি তাদের নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি রাজি না হলে আমার প্রতিষ্ঠানের মেশিন পত্রাদি বিক্রি করে প্রায় ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এদিকে আমাকে মারধর করে এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দেয়। আমি এবং আমার স্ত্রী, সন্তান এবং আমাদের কাজের মেয়েকে তিনদিন আটকিয়ে রেখে কাঞ্চন বাড়ীর মধ্যে। এসময় ৯৯৯ ফোন করে সাহায্য চাওয়ার পর রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে আমরা এ বিষয়ে একটি মামলা করি। বর্তমানে আমি সিদ্ধিরগঞ্জে আমার স্ত্রীর বাবার বাড়ীতে বসবাস করছি।

সাইজুদ্দিন মিয়া বলেন, আমাদের থেকে জায়গা লিখে না নিতে পেরে, আমাদেরকে তৈমুর নামে এক ছেলে এলাকার কাউন্সিলর মিজানুর রহমান লিখনের অফিসে আমার স্ত্রী, পুত্র সহ আসতে বলে। আমার শরীর অসুস্থ্য থাকার কারনে আমার স্ত্রী পারভীন ওসমানের সাথে দেখা করে এবং আমার কথা বলে। এরপর আমি পারভীন ওসমানের অফিসে আসলে আমার ১ম স্ত্রীর সন্তান সহ জৈনিক রিপন ভাওয়াল এবং তৈমুর আমাকে জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। তারা বলে ‘এটা আইনে আছে, আমার ছেলে মেয়েকে জমি লিখে দিতে হবে’। আমি তখন রাজি হই না এবং আমার উপর হওয়া নির্যাতনের কথা তাদের জানাই। পরবর্তীতে আমাকে আগামী ২৭ জানুয়ারি আইনজীবী নিয়ে আসতে বলে। বিষয়টি যেহেতু আদালতে বিচারাধীন তাই আমি আর সে অফিসে যেতে চাইনা। গলাচিপার সেই অফিসে সবাই মিলে আমাদের সাথে খুব বাজে আচরণ করেছে। আমি ভয়ে আছি আমার এই সন্ত্রাসী ছেলে মেয়েরা আমার বর্তমান স্ত্রী এবং আরেক ছেলে শান্তকে যেকোন সময় হত্যা করতে পারে।

সাইজুদ্দিন মিয়া আরো উল্লেখ করেন, আমার জীবদ্দশায় প্রথম স্ত্রী মৃত্যুবরণ করার পর আমি পুনরায় বিয়ে করি। ১ম স্ত্রীর ঘরে ৬ মেয়ে, ৩ ছেলে সহ মোট ৯ জন সন্তান আছে। ২য় স্ত্রীর ঘরে ১ ছেলে আছে। তার নাম আতিকুল ইসলাম শান্ত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাইজুদ্দিন মিয়ার ২য় স্ত্রী গুলনাহার বেগম, তাদের নিকট আত্মীয় স্বজনসহ এলাকাবাসী ।

বক্তাবলীর পূর্ব চরগড়কূল উচ্চ বিদ্যালয়ের নাজির হোসেন পূণরায় সভাপতি নির্বাচিত

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের পূর্ব চরগড়কূল উচ্চ বিদ্যালয়ে পূনরায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ নাজির হোসেন। এ নিয়ে এই বিদ্যাপিঠের চতুর্থ বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি।

সোমবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সারে ১১ টায় স্কুলের অফিসকক্ষে নব নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত ১৩ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি পদে কোন প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমজাদ হোসেন জানান, স্কুল পরিচালনায় গত ১৩ ডিসেম্বর বুধবার এ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ১ জন দাতা সদস্য ১ জন, অভিভাবক সদস্য পদে ৪ জন,সংরক্ষিত মাহিলা সদস্য পদে ১ জন, শিক্ষক প্রতিনিধি পদে ২ জন, মহিলা শিক্ষিকা পদে ১ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। নির্বাচিতরা হলেন-প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আজগর আলী,দাতা সদস্য মোহাম্মদ নাজির হোসেন, অভিভাবক সদস্য গণ,মো.আবুল বাদশা,মো.সিরাজুল ইসলাম মিন্টু,আবু তাহের জাহাঙ্গীর, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জেসমিন আক্তার, শিক্ষক প্রতিনিধিগণ তাপস কুমার মন্ডল ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষিকা জেসমিন আরা জুই।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সরকারি তোলারাম কলেজ ও ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাবেক এই ছাত্রনেতা বর্তমানে আলোর দিশারি যুব উন্নয়ন সংসদের উপদেষ্টা, আলোকিত বক্তাবলী’র সভাপতি, খিদমাতুল উম্মাহ দারুল কুরআন মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন তিনি। এছাড়া একজন সৎ -স্বজ্জন ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি হিসাবে পরিচিতি থাকায় এলাকায় জুড়ে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি এতদিন অত্র স্কুলে সভাপতি হিসাবে সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বাইরেও তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত রয়েছেন।

নবনির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ নাজির হোসেন বলেন, তিরি পূর্ব চরগড়কূল উচ্চবিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন।

উল্লেখ্য, পূর্ব চরগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির গঠনের লক্ষ্যে গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষিণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারুিখ ছিলো ২১ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর। জমাদান পর্ব শেষ হওয়ার পর গত ২৭ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই শেষ করা হয়। তফসিলে ২৯ নভেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয় এবং তফসিল ‍অনুযায়ী গত ১৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।