১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 106

যথাযথ মর্যাদায় বক্তাবলী গণহত্যা দিবস পালিত।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী পরগনার ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর পাকহানাদার বাহিনীর হাতে নিহত ১৩৯ জন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন সহ নানা ধরনের কর্মসূচির পালন করা হয়েছে।

আর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কবরজিয়ারতসহ দোয়া কামনা করা হয়। গণহত্যা দিবস পালনে শহীদদের পরিবারসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত বক্তাবলীর কানাইনগরস্থ’ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও লক্ষ্মীনগর গণকবরে কবরজিয়ারত ও দোয়া প্রার্থনা করেন।

এদিকে ২৯ নভেম্বর বক্তাবলী গণহত্যা দিবসে বক্তাবলী পরগনায় শোকের দিন হিসেবে পালন করা হয়। বক্তাবলী পরগনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। বেশির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন করে এবং কালো ব্যাচ পরিধানের মাধ্যমে শোক দিবস হিসাবে পালন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালেই বক্তাবলী গণহত্যা দিবস পালনে শহীদদের পরিবারের পক্ষ থেকে লক্ষ্মীনগর পূর্বপাড়া গণকবরে কবর জিয়ারত করা হয়। কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে অবস্থিত শহীদদের স্মৃতিতে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা ও শোক র‌্যালী করেন করেন কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সামাজিক সংগঠন এবি ফ্রেন্ডস এসোশিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মাল আশরাফউদ্দিন নান্নু, সিনিয়র সহসভাপতি মীর মঈন আশরাফ জাবেদ, সহসভাপতি রাশেদুল হক রাসেল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: শাহাদাত হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সুমনসহ প্রমুখ।

এছাড়া বক্তাবলী পরগনার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সামাজিক সংগঠন ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

দুপুরে আমরা মুক্তিযুদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড জেলার পক্ষ থেকে আলামিন প্রধান নুর আলম আকন ও রাসেলের নেতৃত্বে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নারায়ণগঞ্জ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষ হতে শওাগর এর নেতৃত্বে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি নাজির হোসেন, সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেনের নেতৃত্বে শোক র‌্যালী নিয়ে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী,বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল মিয়া, আলোকিত বক্তাবলীর সাবেক আহবায়ক মাশফিকুর রহমান শিশির, জেলা তাঁতীলীগ নেতা মনির হোসেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, ২৯ নভেম্বর বক্তাবলী পরগনার যেসকল ব্যক্তি শহীদ হয়েছে তাদের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং আগামীতে ব্যাপক পরিসরে বক্তাবলী দিবস পালন করা হবে। এতে করে এলাকার সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।

যথাযথ মযার্দায় আলোকিত বক্তাবলীর উদ্যোগে বক্তাবলী গণহত্যা ও প্রতিরোধ দিবস পালন।

যথাযথ মযার্দায় আলোকিত বক্তাবলীর উদ্যোগে বক্তাবলী গণহত্যা ও প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়েছে।

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যোদ্ধে ২৯ নভেম্বর বক্তাবলী পরগনায় পাক হানাদার বাহিনী কতৃক নিহত ১৩৯ জন শহীদের স্মরণে বৃহস্পতিবার(২৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায় আলোকিত বক্তাবলীর পক্ষ থেকে শোক র‍্যালী ও কানাইনগরস্থ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,আলোকিত বক্তাবলীর উপদেষ্টা ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শওকত আলী,আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি মো.নাজির হোসেন,সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল কালাম,সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বাদল হোসেন ববি,বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.কামরুল ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বাবুল মিয়া,আলোকিত বক্তাবলীর সাবেক আহবায়ক মো.মাশফীকুর রহমান শিশির,‌সা‌বেক সহ‌যোগী নির্বাচন ক‌মিশনার মো.‌সোহরাব ভূইয়া,এবি ফ্রেন্ডসের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো.শাহাদাত হোসেন,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সুমন।


আরো উপস্থিত ছিলেন,মো.মনির হোসেন,মহ‌সিন খান,মো.জনি,মো.আক্তার,আরিফ, ইব্রা‌হিম,মো.সুজন,সাগর,আবু ছা‌লেহ,কামরুল, জুবা‌য়ের,লিখন,রিয়াদ,নয়ন,রতন,ক‌য়েকশত সাধারণ সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্য‌ক্তিবর্গ।

বোয়েটকে জনির শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

বাংলাদেশ অন লাইন আওয়ামী টীম ( BOAT) নারায়নগঞ্জ জেলার নির্বাচিত বক্তাবলীর কৃতি সন্তানদের মাহাবুবুর রহমান জনির শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

বাংলাদেশ অনলাইন আওয়ামী টিম (BOAT)নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উপদেষ্টা মোঃ আনোয়ার হোসেন, সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল,সহ সভাপতি বরকতউল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সুমন,সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন ববি, আক্তার হোসেন ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল ইসলাম সজীব নির্বাচিত হওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান জনি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন প্রার্থীরা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নারায়ণগঞ্জে পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টিরসহ ১৬ জন দলীয় প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পৌঁনে ২টা পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়ার হাতে তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন প্রার্থীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মোমিন মিয়া।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসন (রূপগঞ্জ) বিএনপি দলীয় মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী বর্তমান সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, সিপিবি দলীয় প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম চন্দন।

নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে সিপিবির জেলা কমিটির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দেন।

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা, আওয়ামী লীগ থেকে ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দেন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত পার্থী শামীম ওসমান, বিএনপির প্রার্থী জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহ্ আলম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ, বাসদের সেলিম মাহমুদ, সিপিবির ইকবাল হোসেন, জমিয়তে ইসলামীর দলীয় প্রার্থী মনির হোসেন কাশেমী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সাংসদ সেলিম ওসমান, বিএনপির প্রার্থী সাবেক সাংসদ মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম, মহানগর যুবদলেরর আহ্বায়ক ও সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, বাসদের আবু নাঈম খান বিপ্লব, সিপিবির মন্টু ঘোষ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময় বিভিন্ন প্রার্থীর সঙ্গে তার নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হলেন শাহ আলম

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শাহ আলমকে মনোনয়ন বোর্ড নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে চিঠি দিয়েছেন । সোমবার তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে চিঠি দিয়ে জানানো হয়।

বিএনপির ওই সূত্রটি জানায়, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিএনপি নেতা শাহ আলমই হচ্ছেন বিএনপির প্রার্থী। তবে তার বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে। বিএনপির একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়াকে মনোনয়ন চিঠি দিয়েছেন।

এছাড়া তালিকায় নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম/নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি এস এম আকরাম। বিএনপির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের একাধিক সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস জানান, এ আসনে শাহ আলম গতবার নির্বাচন করে ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হলেও কৌশলগত কারণে ওনাকে পরাজিত করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে শাহ আলমও একই দাবি বলেছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলাম। ওই নির্বাচনে আমাকে জোর করে হারানো হয়েছিল। আমার জয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী করা হয় পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী শাহ আলমকে। ওই নির্বাচনে শাহ আলমের প্রতিপক্ষ ছিলো আওয়ামীলীগের প্রার্থী চিত্রনায়িকা সারাহ বেগম কবরী।

শাহ আলম নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর কাছে মাত্র আড়াইশ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে বিএনপি মনে করে শাহআলমকে জোর করে হারানো হয়েছিল। নিজ দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে শাহ আলমের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

প্রসঙ্গত,আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমান। রোববার সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার স্বাক্ষর করা মনোনয়ন চিঠি হাতে পেয়েছেন শামীম ওসমান

আওয়ামীলীগের রনি বিএনপিতে যোগদানের পরই তারেকের শুভেচ্ছা।

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদানের পরপরই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ফোনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি রনিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে রনির বিএনপিতে যোগদানের ফলে পটুয়াখালী-৩ আসনে তাকে ধানের শীষের প্রার্থী করা হতে পারে।

এই আসন থেকে নানা আলোচনার জন্ম দিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার ভাগ্নে এসএম শাহজাদা সাজু। রনির বিএনপিতে যোগদানে এই আসনে সিইসির ভাগিনার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন রনি।

সোমবার সংবাদ সম্মেলনে রনি বলেন, আমি বিএনপিতে আসলাম এবং মৃত্যুর আগমুহুর্ত পর্যন্ত এখানে থাকবো।

তিনি বলেন, বাঙালী জাতীয়তাবাদ ত্যাগ করে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে আসা কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা নয়। সএর সাথে কেবল মাত্র নমিনেশন জড়িত নয়।

তিনি আরো বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি, তাদের সকলের মন এবং মস্তিস্কে নির্বাচন, নমিনেশন পাওয়া, এমপি পদ পাওয়া এরকম একটি স্বপ্ন থাকে। আমি যদি বলি এই স্বপ্নটি আমার মধ্যে নেই, এই স্বপ্ন ছাড়া এখনে এসেছি, এটি একটি ডাহা মিথ্যা কথা। আবার আমি কেবল স্বপ্নের জন্য এখানে এসেছি আর স্বপ্ন ভঙ্গ হলে থাকবো না এটাও ঠিক নয়। আমি এখানে এসেছি এবং মৃত্যু পর্যন্ত থাকবো ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখ্য, এর আগে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনি।

সোমবার দুপুরে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

এই আসন থেকে নানা আলোচনার জন্ম দিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার ভাগ্নে এসএম শাহজাদা সাজু। রনির বিএনপিতে যোগদানে এই আসনে সিইসির ভাগিনার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন রনি।

গোলাম মাওলা রনি তার ফেসবুকে লেখেন, ‘পুরুষের কান্নায় গলাচিপা দশমিনার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে গিয়েছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
তিনি লেখেন, ‘উপরোক্ত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মহান আল্লাহর ওপর নির্ভর করে নির্বাচনের মাঠে নামবো। দেখা হবে সবার সঙ্গে এবং দেখা হবে বিজয়ে’।
তবে স্বতন্ত্র নাকি কোনো দলের ব্যানারে নির্বাচন করবেন সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি রনি। কেন না বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট পটুয়াখালী-৩ আসনে কে প্রার্থী হচ্ছেন, তা এখনও চূড়ান্ত করেনি।

তবে বিএনপির একটি সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রনিই হচ্ছেন কিনা সে বিষয়টিও স্পষ্ট হয়নি।

এ বিষয়ে গোলাম মওলা রনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন করব। বিএনপি একটি বড় দল যদি তারা মনোনয়ন দেয়, তাহলে বিএনপি থেকে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন অংশ নেব’।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন গোলাম মওলা রনি। পরে দলকে নিয়ে সমালোচনামূলক বক্তব্যের কারণে দলের ভেতরেই চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হন রনি। বিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি।

নাঃগঞ্জ-৪ আসনে শামীম ওসমানকে মনোনয়ন দেয়ায় প্রধাণমন্ত্রীকে বাদল ও সুমনের কৃতজ্ঞতা

আসন্ন একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আলহাজ্ব এ কে এম শামীম ওসমান কে পূনরায় মনোনয়ন দেওয়ায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও মনোনয়ন বোর্ডকে ধন্যবাদ ও কতজ্ঞতা জানিয়েছেন ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম সুমন ও বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বাদল হোসেন ববি।

আধুনিক নারায়ণগঞ্জের গন মানুষের জননেতা আলহাজ্ব এ কে এম শামীম ওসমান প্রতিটি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন এবং এখনো করছেন। তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করতে আমরা সবসময় রাজপথে আছি রাজপথে থাকব ইনশাআল্লাহ! জননেতা আলহাজ্ব এ কে এম শামীম ওসমান কে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে বিজয়ের নৌকা উপহার দিব।

না’গঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী শাহ আলম।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিএনপি নেতা শাহ আলমই হচ্ছেন বিএনপির প্রার্থী। বিএনপির একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিএনপির ওই সূত্রটি জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শাহ আলমকে মনোনয়ন বোর্ড নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করেছে। আজ (সোমবার) তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে চিঠি দিয়ে জানানো হবে।

এর আগে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস জানান, এ আসনে শাহ আলম গতবার নির্বাচন করে ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হলেও কৌশলগত কারণে ওনাকে পরাজিত করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে শাহ আলমও একই দাবি বলেছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলাম। ওই নির্বাচনে আমাকে জোর করে হারানো হয়েছিল। আমার জয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী করা হয় পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী শাহ আলমকে। ওই নির্বাচনে শাহ আলমের প্রতিপক্ষ ছিলো আওয়ামীলীগের প্রার্থী চিত্রনায়িকা সারাহ বেগম কবরী।

শাহ আলম নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর কাছে মাত্র আড়াইশ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে বিএনপি মনে করে শাহআলমকে জোর করে হারানো হয়েছিল। নিজ দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে শাহ আলমের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

প্রসঙ্গত,আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমান। রোববার সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার স্বাক্ষর করা মনোনয়ন চিঠি হাতে পেয়েছেন শামীম ওসমান।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নৌকার মাঝি হলেন শামীম ওসমান

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমান। রোববার সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার স্বাক্ষর করা মনোনয়ন চিঠি হাতে পেয়েছেন শামীম ওসমান।

মনোনয়ন চিঠি হাতে পাওয়ার আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারাও বলছেন, যারা নির্বাচনের টিকিট পেয়েছেন, তাদেরই এ চিঠি দেওয়া হচ্ছে।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলীয় প্রার্থীদের চিঠি দেওয়া শুরু হয়। দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই চিঠি বিতরণ করছেন।

এমপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারবেন না মেয়র-চেয়ারম্যান

সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা এমপি প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে থাকতে পারছেন না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়ে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের কাছে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্দেশনা অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তাদের পদমর্যাদা, সরকারি সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সরকার জাতির কাছে সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ। অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও ভয়-ভীতিহীন পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নির্বাচন কমিশনের এ দায়িত্ব সুচারুরূপে সম্পাদনের জন্য সরকারি অফিস ও সংস্থাগুলোর সব ধরনের সহযোগিতা করতে বাধ্য। নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারি সাহায্য সহযোগিতার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা অত্যাবশ্যক।
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনের সময় নির্বাচনী এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বশর্ত। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব মূলত সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের উপর অর্পিত থাকলেও এ ব্যাপারে স্থানীয় জনসাধারণ এবং নেতৃবৃন্দের সাহায্য ও সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার এ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের হিসেবে সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদগুলোর দায়িত্ব বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রেক্ষাপটে দেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, নিজ নিজ এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সময় সময় যেসব আদেশ নির্দেশ জারি করেছে কিংবা করবে তা প্রতিপালন করবে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা।
নির্বাচনী মিছিল, সভা ও প্রচারণা যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ও বিধি অনুযায়ী হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। কোনো নির্বাচনী অফিস বা প্রতীক বা পোস্টার নষ্ট করার যেকোনো প্রচেষ্টা রোধে সামাজিক প্রতিরোধ গঠনে সহায়তা করা। ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদে এমন কোনো উন্নয়ন স্ক্রিম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন না করা, যা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর ভোট প্রাপ্তিতে বা প্রচারণার পক্ষে ব্যবহৃত হতে পারে। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ কিংবা উপজেলা পরিষদে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান বা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না, যা কোনো প্রার্থীর ভোটপ্রাপ্তি বা প্রচারণার কাজে প্রভাব বিস্তার করবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো অফিস, যানবাহন এবং অন্যান্য সম্পত্তি কোনো প্রার্থীর নির্বাচন বা প্রচারণার কাজে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।
মাশুল পরিশোধ করে ব্যক্তিগত কাজে কোনো যানবাহন ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া যাবে না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে বা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ভোট কেন্দ্র নির্মাণসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকল কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা প্রয়োজন হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তা দেবে।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের পদমর্যাদা সরকারি সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। এ আদেশ জারির তারিখ থেকে নির্বাচনের পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত বহাল থাকবে।