১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 117

ছাত্রনেতা রনি আবারও রিমান্ডে

কারাগারে থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে ডান্ডা বেরী পড়িয়ে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। (৭ অক্টোবর) রবিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি নাশকতার মামলায় রিমান্ড চেয়ে রনিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত ফতুল্লা থানার একটি মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে ডান্ডা বেরী লাগিয়ে আদালতে হাজির করায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা অভিযোগ করে বলছেন, রনি একজন রাজনীতিক। তিনি কোন দাগী আসামি নন যে তাকে ডান্ডা বেরী লাগিয়ে আদালতে হাজির করতে হবে। তিনি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি। ছাত্রদলের আইকন। অথচ তাকে সাঁজানো মামলায় আসামি করে আজকে তাকে ডান্ডা বেরী লাগিয়ে আদালতে আনলো পুলিশ। নেতাকর্মীরা, এ ঘটনায় নিন্দা জানান।

তিনটি অস্ত্র মামলায় টানা ৭ দিনের রিমান্ড শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর কারাগারে পাঠান আদালত। ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি কার্তুজ উদ্ধারের মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে রনিকে হাজির করে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আদালত রনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে দুইটি অস্ত্র মামলায় টানা দ্বিতীয় দফায় ৫দিন রিমান্ড শেষে গত ২২ সেপ্টেম্বর ৫টি কার্তুজ উদ্ধারের মামলায় তৃতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ডে নেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল মোহসীনের আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরও জানাগেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর তিন দিনের রিমান্ড শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে আরেকটি অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে আরেকটি অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে একটি মামলা দায়ের করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। ওই মামলায় আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি পুলিশ।

পুলিশ দাবি করে-রিমান্ডের আসামি মশিউর রহমান রনিকে নিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে ফতুল্লা দাপা ইদ্রাকপুর ওরিয়ন গ্রুপের মাঠে একটি পাইপ গান উদ্ধার করে। পরে এসআই কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে আরেকটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে রনিকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। এ মামলায় দুইদিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি পুলিশ।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল মোহসীনের আদালতে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ একটি বিদেশী অস্ত্র ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে আবেদন করলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেন। তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলে জানায় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।

রনির পরিবারের দাবি গত ১৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নিখোঁজ হন রনি। তাকে ডিবি পুুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও দাবি করা হয়। এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোরে ফতুল্লা দাপা ইদ্রাকপুর এলাকা থেকে মশিউর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। তার কাছ থেকে বিদেশী একটি অস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই আব্দুল শাফিউল আলম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোরে তাকে দাপা ইদ্রাকপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রনির পরিবার দাবি করে আসছিল- গত ১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে রাজধানী বাড্ডা এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে রনির সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রনির স্বজনেরা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমানের এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মশিউর রহমান রনি তার ফেসবুকে একটি স্টাট্যাজ দেন। ওই স্টাট্যাজটি স্থানীয় মিডিয়াতে প্রকাশিত হলে রনিকে নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা হয়।

শওকত চেয়ারম্যানের ছেলে হৃদয়কে মাদকসহ আটকের ঘটনায় নাজিরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।

অপরাজনীতির ভীরে পরিছন্ন রাজনীতিবীদ ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের স্বর্ণপদক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শওকত আলীর ছেলে সাব্বির আহম্মেদ হৃদয়েকে কে সাজানো ও পরিকল্পিতভাবে র‌্যাব  দিয়ে ফেন্সিডিলসহ আটক করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও বক্তাবলীর পূর্ব চরগড়কূল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি  মো.নাজির হোসেন।

তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থী সাব্বির আহম্মেদ হৃদয়কে বাসা থেকে ডেকে এনে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ভুল তথ্য দিয়ে হৃদয়কে আটক করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকা খলনায়কদের খুজে বের করতে র‌্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি জোর দাবি জানান।

নাজির হোসেন আরো বলেন,শওকত চেয়ারম্যান ৪০ বছর যাবৎ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। রাজনীতি ও সামাজিক কাজে পরিছন্ন মানুষ হিসেবে পরিচিত এবং মাদকের বিরুদ্ধে আপোষহীন তার ছেলে মাদক বিক্রী করে কেউ বিশ্বাস করবে না। শওকত চেয়ারম্যানকে রাজনীতি ও সামাজিক ভাবে হেয় করতে একটি বৃহৎ কুচক্র মহল র‌্যাবকে ভূল তথ্য দিয়ে হৃদয়কে আটক করানো হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে র‌্যাবের প্রতি জোর দাবি জানান মো.নাজির হোসেন।

 

মাদক দিয়ে শওকত চেয়ারম্যানের ছেলে হৃদয়কে ফাঁসানো হয়েছে দাবি এলাকাবাসি ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

র‌্যাব-১১ এর হাতে আটককৃত শওকত চেয়ারম্যানের ছেলে হৃদয়কে মাদক দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফতুল্লার স্থানীয় এলাকাবাসি ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এলাকাবাসি দাবি করে বলেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী দীর্ঘদিন যাবৎ সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ফতুল্লা এলাকায় তার ক্লীন ইমেজ রয়েছে। তার ছেলে মোঃ সাব্বির আহমেদ হৃদয় একটি বেসরকারী ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছেন। সে একজন মেধাবী ছাত্র। মাদকের সাথে কোন রকম সম্পৃক্ততা এলাকাবাসী কখনো দেখেনি বলে দাবি করেন। শওকত আলীকে সমাজে তার সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি কুচক্রি মহল তার ছেলে হৃদয়কে ফাসিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে প্রকৃত ঘটনা সঠিক তদন্ত করে বের করার দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে র‌্যাবের ভাষ্য মতে হৃদয় ও তাদের গাড়ির ড্রাইভার হাবিবের কাছ থেকে ১৯ বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া গেছে। যার মূল্য ৩৮ হাজার টাকা। এসময় তাদের কাছ থেকে মাদক বিক্রির ১৬০ টাকা ও ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব আরো দাবি করে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
হৃদয় দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসায় করছে বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানায় হৃদয়ের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী। এমন কোন বিষয় এলাকাবাসীর কখনো চোখে পরেনি। র‌্যাবের এমন মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তাদের মন্তব্যে প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে এলাকাবাসীর মাঝে। তারা বলছে মাদক বিক্রির ১৬০ টাকা কিভাবে হয়। র‌্যাবের মতে ৩৮ হাজার টাকা মাদকের মূল্য হলে একটা ফেন্সিডিলের মূল ২ হাজার টাকা।তাহলে ১৬০ টাকা হয় কিভাবে? ন্ধদয় যদি দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসায় করে থাকে। তাহলে অবশ্যই আমাদের একটু হলেও চোখে পরতো। আর ফতুল্লা থানা পুলিশ ও সোর্সদের কাছেও তথ্য থাকতো। হৃদয়ের নামে কোন থানায় কিংবা কোন জায়গায় মাদক বিক্রি করার অভিযোগ নেই। তাহলে কিভাবে সে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক বিক্রি করে আসছে। হৃদয়দের ড্রাইভার হাবিব ২ মাস যাবৎ তাদের এখানে চাকরী করছেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শওকত চেয়ারম্যানের ড্রাইভারকে আটকের সময় হৃদয় সেখানে ছিল না। ড্রাইভারকে দিয়ে গাড়ি চালু করার কথা বলে তাকে ঘটনাস্থলে ফোন করে আনা হয়। ফোন পেয়ে ঘনাস্থলে আসার পর হৃদয়কে র‌্যাব আটক করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের বলেন, র‌্যাবের হাতে আটককৃত মোঃ সাব্বির আহমেদ হৃদয়ের বিরদ্ধে অতীতে মাদক বিক্রির অভিযোগ নেই। তার বিরুদ্ধে থানায় কোন প্রকার মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে মামলা নেই। যেহেতু র‌্যাব আটক করে ফতুল্লা থানায় মামলা দিয়েছে। বিষয়টি আমি তদন্ত করে এর সত্য ঘটনা বলতে পারবো।
র‌্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ আর এসপি বাবুল আক্তার জানান, আটককৃত হৃদয়ের নামে থানায় মাদক মামলা বা অভিযোগ আছে কিনা তা আমরা জানিনা। আমরা আমাদের সোর্সদের তথ্য নিয়ে হৃদয়কে তার ড্রাইভার সহ আটক করি। সে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করে আসছে বিষয়টি আমরা সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারি।
ধৃত সাব্বির হোসেন (হৃদয়) সম্পর্ক ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাজী সৈয়দ ওবায়েদ উল্ল্যাহ্, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি মোঃ নূরুল ইসলাম (নূরু),যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ খোকন প্রধান, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কুতুবে আলম, ফতুল্লা মডেল প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শহীদুল ইসলাম (শহীদ), ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশং ফোরামের সভাপতি আলহাজ্ব মীর মোজাম্মেল আলী, ফতুল্লা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ ইকবাল হোসেন জানায়, আমাদের জানামতে শওকত আলী চেয়ারম্যান সাহেবের ছেলে সাব্বির হোসেন মাদক ব্যবসায়ী নয়, এই ছেলেটা হয়তো কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে বলো তাদের দাবী। ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাজী সৈয়দ ওবায়েদ উল্ল্যাহ্ বলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী সাহেবের ছেলে সাব্বির হোসেন (হৃদয়) মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নয় এটা আমি শতভাগ নিশ্চিত তবে আমি শুনেছি ইদানীং কয়েক জন মাদক সেবী বন্ধুদের সাথে হৃদয় চলাফেরা করছে। ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি মোঃ নূরুল ইসলাম (নুরু) বলেন, শওকত আলী চেয়ারম্যানের ছেলে হৃদয় মাদক ব্যবসা কিনবা মাদকের সাথে জড়িত এটা সত্য নয়, আমার জানামতে এবং বিভিন্ন তথ্যের মতে হৃদয়ের মাদকের সাথে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও স্হানীয় শিক্ষক কুতুবে আলম জানায়, শওকত আলী সাহেবের ছেলে হৃদয় কে আমি ছোট বেলা থেকে চিনি এবং জানি, মাদকের সাথে তার কোনো সংশ্লিষ্ঠতা নেই, আমার ধারনা শওকত আলী সাহেবের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে একটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তার ছেলে সাব্বির হোসেন (হৃদয়) কে ফাসাঁনো হয়েছে। ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ খোকন প্রধান জানায়, শওকত আলী সাহেব বক্তাবলী ইউনিয়নের সফল ও স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসাবে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, আমার বিশ্বাস একটি অদৃশ্য মহল শওকত আলী মানে আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ মানে শামীম ওসমান এটা চিন্তা করেই শওকত আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন (হৃদয়) কে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মাদক দিয়ে ফাসিঁয়েছে, এটি শওকত আলী, এমপি শামীম ওসমান এবং আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টার একটি অংশ বলে আমি মনে করছি। আমার জানা মতে সাব্বির হোসেন (হৃদয়) মাদকের সাথে কোনো ভাবেই জড়িত নয়, এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানাচ্ছি । ফতুল্লা মডেল প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শহীদুল ইসলাম (শহীদ) বলেন শওকত আলী চেয়ারম্যান একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তি, একটি মহল শওকত আলী, এমপি শামীম ওসমান এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্র করে সাব্বির হোসেন হৃদয় কে মাদক দিয়ে ফাসিঁয়েছে । আমার জানা মতে হৃদয় মাদকের সাথে কোনো ভাবেই জড়িত নয় এটা আমি হলফ করে বলতে পারি। ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশং ফোরামের সভাপতি আলহাজ্ব মীর মোজাম্মেল আলী বলেন আমার জানা মতে শওকত আলী চেয়ারম্যানের ছেলে সাব্বির হোসেন হৃদয় মাদকের সাথে জড়িত নয়। ফতুল্লা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, শওকত আলী চেয়ারম্যান সাহেবের ছেলে সাব্বির হোসেন (হৃদয়) মাদক ব্যবসায়ী নয় আর সে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত এমন কথা আগে কখনো আমি শুনি ও নাই।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় ফতুল্লা থানধীন ডিআইটি মাঠ এলাকায় র‌্যাব-১১ এর অভিযানে শওকত চেয়ারম্যানের ছেলে হৃদয় ও তার ড্রাইভার হাবিবকে ১৯ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক দেখানো হয়। পরে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে আনা হলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে প্রেরন করেন।

বিশ্ব নেতৃবৃন্দ চায় আমি যেন বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতিসংঘ অধিবেশনে গিয়ে আন্তর্জাতিক যত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা হয়েছে বৈঠক হয়েছে তারা সবাই প্রত্যাশা করেছেন আমি যেন আবার ক্ষমতায় আসি। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ চায় আমি যেন বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখি।’

এসময় উপস্থিত সাংবাদিকরা করতালি দিলে প্রধানমন্ত্রী তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘হাততালি দেয়ার কিছু নেই। জনগণ ভোট দিলে ক্ষমতায় আসবো, না দিলে আসবো না।’

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ভূমিকা ইস্যুতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। তবে সমস্যা হচ্ছে মিয়ানমার সব কথায় ‘হ্যাঁ’ বলে, কিন্তু কাজের বেলায় করে না।’

বুধবার (০৩ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থে নয়, নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নয়- মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য মনের টানে আমরা দেশের জন্য কাজ করছি। এখন প্রত্যেকের জীবনমান উন্নত হচ্ছে। দেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন করেছি। প্রত্যেক জায়গায় আজ উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ দশটা বছর একটানা ক্ষমতায় আছি বলেই সবাই শান্তিতে আছে। আমি মানুষের জন্য কাজ করবো। সে চিন্তা নিয়ে কাজ করছি বলেই আমি এগিয়ে যাচ্ছি।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেসব সাংবাদিকেরা মিথ্যা ও ভুয়া খবর প্রচার থেকে বিরত থাকবেন তাদের তো ভয়ের কিছু নেই। উদ্বেগের কিছু নেই। এটা তো বানোয়াট তথ্য প্রচারকারী সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণের জন্য। ভয় নেই, আমি যতক্ষণ আছি। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবেই বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করবেন।’

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী সফরে তুলে ধরা বিভিন্ন বিষয় ও বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সফরকালে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

ফতুল্লায় ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার-২

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী’র ছেলে হৃদয় ও গাড়ির ড্রাইভার হাবিবকে ফেন্সিডিলসহ  আটক করেছে র‌্যাব-১১। মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) বিকেলে ফতুল্লা ডিআইটি মাঠের কালামের গ্যারেজ থেকে তাদের আটক করা হয়।

র‌্যাব-১১-এর এএসপি বাবুল আক্তার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, র‌্যাব-১১ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফতুল্লার ডিআইটি মাঠ এলাকার কালামের গ্যারেজে অভিযান চালায়। এসময় সাব্বির আহম্মেদ হৃদয় ও হাবিব নামে দুই যুবককে আটক করা হয়। এদের কাছ থেকে ১৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি জানান, সাব্বির আহম্মেদ হয়দয় ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকার শওকত আলী’র ছেলে এবং হবিব আবুল হোসেনের ছেলে এবং হৃদয়ের গাড়ি চালক। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

তারেকের প্রার্থী তালিকায় নেই রিজভী-শিমুল ও সোহেলসহ ত্যাগীরা!

ডেস্ক নিউজ : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তারেক জিয়ার তৈরি করা বিএনপির প্রার্থী তালিকা ফাঁস হয়ে গেছে। এ নিয়ে বিএনপিতে চলছে তোলপাড়। এই প্রার্থী তালিকায় অন্তত ৪৩ জনের নাম আছে যারা বিএনপিতে অপরিচিত। বিএনপির রাজনীতিতে তাঁদের কখনও দেখা যায় নেই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির অনেক সদস্যই তাঁদের চেনেন না। বিএনপির নেতারাই বলছেন, টাকার বিনিময়ে এদের নাম মনোনয়ন তালিকায় ঢোকানো হয়েছে।
গত দুই দিন ধরে লন্ডন থেকে আসা বিএনপির মনোনয়ন তালিকা নেতাকর্মীদের হাতে হাতে। দেখা যাচ্ছে এই তালিকায় নাম নেই তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর।
বিএনপিতে তারেক জিয়ার আরেক ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত, বর্তমানে কারান্তরীণ হাবিব-উন-নবী সোহেলের নামও নেই। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সোহেল ঢাকার মতিঝিল থেকে নির্বাচন করেছিলেন। বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসের নামই নেই মনোনয়ন তালিকায়।
এছাড়াও গত ১০ বছরে যারা বিএনপির জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, কারাবরণ করেছেন, তাদের অনেকেই তালিকায় নেই। তারেক জিয়ার করা তালিকায় ২০ দলের শরিকদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ৩০টি আসন। এর মধ্যে জামায়াতকে ১২টি এবং অন্যান্য শরিক দলকে ১৮টি আসন দেওয়া হয়েছে। অথচ ২০ দলের বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল শরিকদের সম্মানজনক আসন দেওয়া হবে। বিএনপির একাধিক নেতা বলেছিলেন শরিকদের অন্তত ৭০টি আসন দেওয়া হতে পারে। যদিও শরীকরা অন্তত ১০০টি আসন দাবি করে আসছে।
বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, গত তিন মাস ধরেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের সিনিয়র নেতারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘোষণাপত্র, সহায়ক সরকারের রূপরেখা এবং প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ চলছিল। জানা গেছে, বিএনপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে মির্জা ফখরুল তারেক জিয়ার সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেন। সাম্প্রতিক লন্ডন সফরেও তারেক জিয়া তাঁকে খসড়া প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে বলেন। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা একসঙ্গে বসে, একটি খসড়া তালিকা চূড়ান্ত করে। কিন্তু এর মধ্যেই তাবিথ আউয়াল দলের মহাসচিবকে একটি মনোনয়ন তালিকা দিয়ে জানান এটাই তারেক জিয়ার তালিকা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানিয়েছেন যে, দলের সিনিয়র নেতারা প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা ধরে, আওয়ামী লীগের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তালিকা চূড়ান্ত করেছে। যেখানে মনোনয়ন পাবার মাপকাঠি হিসেবে এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা এবং দলের প্রতি আনুগত্য প্রধান বিবেচনায় রাখা হয়েছে। কিন্তু তারেক জিয়া প্রণীত তালিকায় এলাকায় অর্থ এবং বিত্তকেই প্রধান বিবেচনায় রাখা হয়েছে। যেমন, ঢাকায় একমাত্র মির্জা আব্বাস ছাড়া কোনো রাজনীতিবিদই নেই তারেকের খসড়া তালিকায়। ঢাকায় সব ব্যবসায়ীদের রাখা হয়েছে।
এই তালিকা ২০ দলের শরিকদেরও বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। বিশেষ করে, শরিকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা না করে এক তরফা ভাবে এরকম তালিকা ২০ দলের ঐক্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলেও ২০ দলের শরিকরা মনে করছেন। অবশ্য তারেক পন্থীরা বলছেন, বিজ্ঞানভিত্তিক জরিপ এবং তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

বক্তাবলীর উত্তর গোপালনগর থেকে মাদক ব্যবসায়ী নুর আলম ইয়াবাসহ গ্রেফতার

ফতুল্লায়   বক্তাবলীতে নূর আমিন নামে এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার বক্তাবলীর উত্তর গোপালনগর সিপাহীপাড়া এলাকা থেকে ওই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী নূর আমিন ওই এলাকার ইয়ার মিয়ার ছেলে।

অভিযান পরিচালনাকারী এস.আই শাফিউল  জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার উত্তর গোপালনগর সিপাহীপাড়া এলাকা থেকে নূর আমিন’কে ৬০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। নূর আমিন একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। সে রাজনৈতিক ব্যানারে গোপনে দীর্ঘ দিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করে আসছিল। শুক্রবার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

শাফিউল আলম আরো জানান, ‘শুক্রবার তাকে গ্রেফতারের পর মাদক মামলা রুজু করে শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে, এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ী নূর আমিন একজন ভ‚মি দস্যু হিসেবেও পরিচিত। সে বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে সম্পর্ক গড়ে এলাকায় উশৃঙ্খল কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে।

ফতুল্লার পাগলা বাজার নিউ পপুলারে ভুল চিকিৎসায় প্রসুতি মা ও শিশুর মৃত্যু, ৬জন আটক

নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে শনিবার সকাল ৯টায় ফতুল্লার পাগলা বাজার এলাকায় অবস্থিত নিউ পপুলার হাসপাতালে এঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ছড়িয়ে পরলে বিক্ষুব্ধ জনতা ওই হাসপাতাল ঘিরে রাখে এবং ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ হাসপাতালের চার জন মালিক, একজন ডাক্তার ও নার্সকে আটক করেছে। নিহতের নাম শিল্পী বেগম (৩২)। তিনি ফতুল্লার পূর্ব দেলপাড়া এলাকার রং মিস্ত্রি আলমগীর হোসেনের স্ত্রী।

আটকরা হলেন— হাসপাতালের মালিক ডা. মজিবুর রহমান, মাসুম আহমেদ, আহম্মদ আলী খান, কামরুন্নাহার, মেডিকেল অফিসার ডা. জামিল আহমেদ ও নার্স সুরমা বেগম।

নিহতের স্বামী আলমগীর হোসেন জানান, তার স্ত্রী শিল্পী বেগম ৫ মাসের অন্তঃসত্বা ছিলেন। হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে তাকে নিউ পপুলার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার জেসিকা রিজভী তামান্না পরীক্ষা করে বলেন, গর্ভের বাচ্চা নরমাল আছে তবে পানি ভাঙছে। কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ডাক্তারের পরামর্শে শিল্পীকে বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করি। শুক্রবার দুপুর থেকেই হাসপাতালের লোকজন বলছেন, অপারেশন করতে হবে। তখন আমি জানতে চাই গর্ভের সন্তান নরমাল থাকলে অপারেশন কেন? তারা বললেন রক্ত নিয়ে আসেন দ্রুত। আমি রক্ত আনতে যাই। এরমধ্যে আমার স্ত্রীকে কোনো অনুমতি ছাড়াই অপারেশন করে সন্তান বের করে। এতে সন্তানসহ আমার স্ত্রী মারা যায়।

তিনি বলেন, আমি রক্ত নিয়ে এসে দেখি শিশুটির গলা কাটা আর আমার স্ত্রীর নিথর দেহ বেডে পড়ে আছে। নার্স ও ডাক্তাররা বলছেন, আপনার স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেলে নিতে হবে। তখন তারাই অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে দেয়। এতে আমার সন্দেহ হয়। এরপর তাদের লোকজনই জানায় সে মারা গেছে। আমি এর বিচার চাই।

হাসপাতাল মালিক কামরুন্নাহার জানান, যখন পেটের পানি ভাঙা শুরু হয়েছে তখনই বলেছি রোগীকে অপারেশন করতে হবে রক্ত সংগ্রহ করেন। কিন্তু রোগীর স্বামী তা যথা সময় করেনি। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় তাকে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের সময় রোগী স্ট্রোক করেন। এরমধ্যেই অপারেশন করে ৫ মাসের শিশুটি পেট থেকে মৃত অবস্থায় বের করা হয়। তখন রোগীটির অবস্থা গুরুতর মনে হলে আমরা তাকে শুক্রবার রাত ১টায় ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করি। আমাদের চিকিৎসায় কোনো ভুল ছিলো না।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই দিদারুল আলম জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। হাসপাতাল কিছুটা ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭২ তম জন্মদিন আজ

নিউজ প্রতিদিন: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ৭২ তম জন্মদিন আজ ২৮ সেপ্টেম্বর। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর জন্ম। দলের সভাপতির জন্মদিনে দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা। ভাই-বোনদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘাতকদের গুলিতে নিহত হন।

১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন তিনি।

সুত্র মতে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের জন্মদিনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন নেতা-কর্মীরা। বিকালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

বাসস জানায়, শেখ হাসিনা বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩ তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তাঁর জন্মদিনটি উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করবে আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে -নবীনদের দৃষ্টিতে শেখ হাসিনা- শীর্ষক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার এবারের জন্মদিন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অসহায়, গরিব-দু:খী মানুষের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে বিস্তারিত কর্মসূচি।

কাকরাইলে তাবলিগের দুই গ্রুপ মুখোমুখি

কাকরাইলে আবারও তাবলিগের দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সাদপন্থীরা কাকরাইল মসজিদের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেয় সাদ বিরোধীরা। এ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। পুরো এলাকায় এখন উত্তেজনা বিরাজ করছে।এ

ব্যাপারে রাত পৌনে ১০টার দিকে রমনা থানার এসআই তাসপ বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছিল। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাবলিগ জামাতে চলমান দ্বন্দ নিরসনের লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়ে একটি পরিপত্রও জারি করা হয়।এতে বাংলাদেশে দাওয়াত তাবলিগের কার্যক্রম সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দেলোয়ারা বেগম স্বাক্ষরিত পরিপত্রে তাবলিগ জামাতের চলমান সংকট নিরসনে তাবলিগের উভয় পক্ষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, অপ্রচাররোধ, একে অপরের প্রতি সহনশীল মনোভাব পোষণসহ বেশকিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়।

পরিপত্রটি ইতিমধ্যে সব জেলা প্রশাসক ও তাবলীগের মারকাজগুলোতে ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে।

তাবলিগ জামাত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন উল্লেখ করে পরিপত্রে বলা হয়, সমগ্র বিশ্বে তাবলিগের কার্যক্রম একটি অরাজনৈতিক অহিংস, শান্তিপূর্ণ ও সম্পূর্ণভাবে ধর্মীয় কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত। মুসলিম জনসাধারণ তাদের আত্মশুদ্ধি ও ইসলামের দাওয়াতে প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছেন।

এ কার্যক্রমে বাংলাদেশ একটি অন্যতম অগ্রসরমান দেশ বিধায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ মুসলিম জামাত ‘বিশ্ব ইজতেমা’ প্রতি বছর গাজীপুর জেলার টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

তাবলিগ জামাতের চলমান সংকটের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, সম্প্রতি এ সংগঠনের মধ্যে দৃশ্যমান বিভক্তি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে শান্তিকামী সংগঠনটির দুটি গ্রুপের মধ্যে দেশের প্রায় সকল এলাকায় প্রায়শই বিন্যাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

যা ধর্মীয় রীতিনীতি তথা সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলার অন্তরায়। তাই দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, ধর্মীয় সৌহার্দ ও সম্প্রীতি বজায় রাখা তথা সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

তাবলিগের সংকট নিরসনে সরকারের পাঁচ নির্দেশনা–

১. বর্তমানে তাবলিগে বিদ্যমান দুটি পক্ষ সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা পরামর্শক্রমে কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গী ইজতেমা ময়দানসহ দেশের সকল জেলা ও উপজেলা মারকাজে সপ্তাহের ভিন্ন ভিন্ন দিনে, তারিখে তাঁদের কার্যক্রম (সাপ্তাহিক বানি ও রাত্রি যাপন, পরামর্শ ও তালিম, মাসিক জোড় ইত্যাদি) পরিচালনা করবে।

তবে কোন পক্ষ চাইলে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শক্রমে মারকাজ ব্যতিত অন্য কোন মসজিদে বা জায়গাতেও তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।

২. তাবলিগের আদর্শ ও চিরাচরিত রীতিনীতি অনুযায়ী কোন পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে কোনরূপ লিখিত বা মৌখিক অপপ্রচার চালাবে না।

৩. দেশের সকল মসজিদে পূর্বের ন্যায় শান্তিপূর্ণভাবে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সে লক্ষ্যে যে কোন মসজিদে উভয় পক্ষের জামাতই যেতে পারবে। এতে কোন পক্ষই কাউকে বাধা দিবে না।

তবে একই সময়ে দুই পক্ষের দেশি ও বিদেশি জামাত একই মসজিদে অবস্থান করা যুক্তিসংগত হবে না। এক্ষেত্রে যে পক্ষের জামাত আগে আসবে সেই পক্ষের জামাত অবস্থান করবে। অন্য পক্ষের জামাত পার্শ্ববর্তী অন্য কোন সুবিধাজনক মসজিদে চলে যাবে।

৪. উভয় পক্ষ তাঁদের ইজতেমা বা জোড়ে তাবলিগের দেশি-বিদেশি মুরুব্বিদের আমন্ত্রণ জানাতে পারবে। এতে এক পক্ষ অন্য পক্ষের কার্যক্রমে কোনরূপ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না।

৫. কোন এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে কোন বিরোধ দেখা দিলে স্থানীয় প্রশাসন উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।