সৎ পিতা ধর্ষণ করলো ১১ বছরের শিশুকে,লম্পট আটক

0
23
    

ডেস্ক নিউজ: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ১২ বছরের এক স্কুল ছাত্রী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তারই সৎ বাবা সোহাগ মিয়াকে (৪২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই কিশোরী এখন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকা থেকে সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের শিকার কিশোরী স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীতে লেখাপড়া করে।
লম্পট সোহাগ মুন্সিগঞ্জের বেতকার এলাকার তারা মিয়ার ছেলে। সে ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে অনাবিল পরিবহনের কন্ট্রাকটার হিসাবে কর্মরত রয়েছে।
কিশোরীর মা জানান, তার আগের ঘরের সংসারে একটি শিশু মেয়ে রেখে তার স্বামী চলে যায়। পরে কোলের বাচ্চা নিয়ে সোহাগকে বিয়ে করে। সোহাগ অনাবিল পরিবহনে হেলপার হিসাবে কাজ করলেও সংসার অভাবের কারণে কিশোরীর মা গার্মেন্টে চাকরি নেয়। সকালে ডিউটিতে চলে যাওয়ার পর সেই সুযোগে সোহাগ তার সৎ মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে কিশোরীর গর্ভে সন্তান হওয়ার পর পেটের ব্যাথা উঠলে বিভিন্ন ওষুধ সেবন করিয়ে শান্তনা দেয় বাবা সোহাগ। কিশোরী মেয়ের পেটের ব্যাথার মাত্রা বাড়লে ১৩ আগস্ট সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসককে কৃমি হয়েছে জানালে ডাক্টার কিশোরীকে আলট্রাসোনগ্রাম করলে গর্ভে সন্তান হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে মেয়ে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়।
তিনি আরও জানান, মেয়েকে কেন সর্বনাস করা হয়েছে সোহাগকে জিজ্ঞেস করলে সৎ মেয়েকে বিয়ে করবে বলে জানায়। কিন্তু কিশোরী মেয়ে জিজ্ঞেস করলে মেয়ে জানিয়েছে তার বাবাকে ঘটনার পর নানা ধরনের হুমকি দেয়ায় ভয়ে বাবার হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরও মাকে জানাতে সাহস পায়নি।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুর কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সৎ বাবার হাতে কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী হওয়ার পর ঘটনার প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ধর্ষক বাবাকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার বিষয়ে উভয় পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।