২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 73

মুরগী আর পান ব্যবসায়ীরাও সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী

নিউজ প্রতিদিন: অলিতে গলিতে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে নাম সর্বস্ব ভূয়া পুলিশ, ভূয়া মানবাধিকার, ভূয়া ডাক্তার আর ভূয়া সাংবাদিক সংগঠনদের দৌরাত্ম্য অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে চরমে পৌঁছেছে।

যার মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই ভূয়া মানবাধিকার সংগঠনের কারনে মানবাধিকার শব্দটি আজ আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠন গুলোর কারনে ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষ মানবাধিকার এর উপর থেকে তাদের আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে। মানবাধিকারের একটি চক্র জেল থেকে আসামী ছাড়ানো এবং নির্যাতিত মানুষকে আইনী সহায়তা প্রদানের নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। পাশাপাশি সারা দেশ ব্যাপী চলছে তাদের কার্ড বাণিজ্য। যাদের মানবাধিকার সম্বন্ধে নূন্যতম জ্ঞানও নেই তাদের হাতে মাত্র এক হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে মানবাধিকার কর্মীর আইডি কার্ড। তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে থানা কমিটি এবং ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে জেলা কমিটি গঠনের অনুমোদনও দেয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্গের ছাতার মতো সারা দেশে খুলে বসেছে শাখা প্রশাখা, এমনও অনেক সংগঠন আছে যারা সরকারের কোন সংস্থারই অনুমোদন না নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু মাত্র প্রেস লেখা আইডি কার্ড কেনাবেচাই যাদের মূল পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবাধিকার নামক সংস্থায় কাজ করে মুরগী আর পান ব্যবসায়ী, পেশাদার ছিনতাইকারীরা নামের আগে পিছে বসাচ্ছে সাংবাদিক। নিজের নাম লিখতে কলম ভাঙ্গে, সাংবাদিক বলতে গেলে উচ্চারণ করে বসে সামবাদিক, নিজের সংগঠনটির নাম পর্যন্ত বলতে পারে না-তারাই রাতারাতি মানবাধিকার-সাংবাদিক সংগঠনের নেতা বনে গেছেন। ভূয়া সাংবাদিকদের সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে খোদ পুলিশেরও অনেকটা ভুমিকা রয়েছে। কারণ, পুলিশের সঙ্গেই ওইসব ভূয়া ও নামধারী সাংবাদিকদের বেশি সখ্যতা। এরা প্রায়ই থানার ভিতরে দারোগাদের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডাবাজিতে মত্ত থাকে। ‘দালাল’ হিসেবে ঘুষ বাণিজ্যে সরাসরি সহায়তা করে, পুলিশের ‘সোর্স’ হিসেবেও তারা বিশ্বস্থ! সারা দেশে ‘ভুয়া মানবাধিকার কর্মি আর ভূয়া সাংবাদিক’দের দৌরাত্ম্য অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে চরমে পৌঁছেছে। ভুয়া সাংবাদিকেরা বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ পেতে এবং তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য-সমর্থকরা নিজেদেরকে ‘মানবাধিকার সাংবাদিক’ পরিচয় দিয়ে নিরীহ লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করছে বলেও এন্তার অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিক পরিচয়ে এরা নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়ছে। এই চক্রে বিতর্কিত নারী সদস্যও থাকেন। এরা মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে ‘প্রেস’ কিংবা ‘সংবাদপত্র’ লিখে পুলিশের সামনে দিয়েই নির্বিঘ্নে দাবড়ে বেড়ায়। এদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহনও থাকে চোরাই এবং সম্পূর্ণ কাগজপত্রবিহীন। ভূয়া সাংবাদিক আর কথিত মানবাধিকার কর্মিদের নানা অপকর্মের কারণে প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি এখন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আর বর্তমানে এফবি খোললেত কোন কথাই নেই সাংবাদিক আর মানবাধিকার নেতার অভাব নেই। এতে করে পেশাদার সাংবাদিকরা আজ নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করেন। ভূয়া সাংবাদিকদের প্রতারণার জাল কোনো এক ছড়াকার টিটকারির সুরেই ছন্দ মিলিয়ে লিখেছেন- ‘হঠাৎ করে এই শহরে এলো যে এক সাংবাদিক, কথায় কথায় তোলে ছবি ভাবখানা তার সাংঘাতিক। তিলকে সে বানায় তাল-তালকে আবার তিল, চড়ুইকে সে পেঁচা বানায় কাককে বানায় চিল। পুলিশ দেখে মুখ লুকিয়ে পালায় দিগ্বিদিক, সবাই বলে লোকটা নাকি ভূয়া সাংবাদিক।’ পেশাদার সম্মানিত সাংবাদিকদের জন্য বিষয়টি লজ্জাকর হলেও ছড়া ছন্দের মতই ভূয়া সাংবাদিকরা দেশ জুড়ে বেহাল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ফেলেছে। সাংবাদিকদের মতো বেশভূষায় সেজেগুজে একশ্রেণীর প্রতারক অলিগলি, হাট-বাজার চষে বেড়াচ্ছেন। পান থেকে চুন খসলেই রীতিমত বাহিনী নিয়ে হামলে পড়ছেন সেখানে। প্রকৃত ঘটনা কি-সে ঘটনার আদৌ কোনো নিউজ ভ্যাল্যু আছে কি না, সেসব ভেবে দেখার ফুসরৎ তাদের নেই। তাদের দরকার নিজেদের প্রতাপ দেখিয়ে, আতংক ছড়িয়ে টুপাইস কামিয়ে নেয়া। টাকা পকেটে না আসা পর্যন্ত চিল্লাপাল্লা, হুমকি, ভীতি প্রদর্শনের সব কান্ডই ঘটিয়ে থাকেন তারা। রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত পল্লীর সাধারণ বাসিন্দারা পর্যন্ত কথিত সাংবাদিক কার্ডধারী ভূয়াদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন, তটস্থ থাকছেন। পেটে বোমা ফাটালেও দু’ লাইন লেখার যোগ্যতাহীন টাউট বাটপারের দল চাঁদাবাজিতে সিদ্ধান্ত। ভূয়া সাংবাদিকের দৌরাত্ম্য নতুন নয়, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তা বেড়ে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজধানীর মালিবাগে।
সাংবাদিকতার যে মহান পেশা সকল শ্রেণী-পর্যায়ের ঘুষ-দুর্নীতি, অনিয়ম, বিভ্রান্তি, অসঙ্গতির বিস্তারিত তুলে ধরে, এখন সে পেশার নাম ভাঙ্গিয়েই চলছে ভয়ংকর ফাঁকিবাজী, চাঁদাবাজি, জোর-জুলুমের হাজারো কারবার। কারা অপকর্মটি করছেন? অনেকেরই তা জানা আছে। সাংবাদিক না হয়েও সাংবাদিকতার বেশভূষা তাদের মূল পুঁজি। খ্যাত-অখ্যাত একাধিক গণমাধ্যমের ৪/৫টি আইডি কার্ড বুকে পিঠে ঝুলিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় সর্বত্র। যারা পেশাদার সাংবাদিক তাদের কারো না কারো সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে সাইনবোর্ড হিসেবেও ব্যবহার করেন তারা। সম্ভব হলে সাংবাদিকদের কোনো সংগঠনে নিজের নামটা লিখিয়ে নেয়, তা না হলে নিজেরাই ‘সাংবাদিক’ ‘রিপোর্টার’ ‘প্রেসক্লাব’ শব্দ যোগ করে ভূইফোঁড় কোনো সংগঠন খুলে বসে। প্রয়োজনে টাকা-পয়সা খরচ করে রেজিস্ট্রেশনও করিয়ে নেয়। পেশাজীবী সংগঠন গড়তে, বৈধতা পেতে যেহেতু আলাদা কোনো নিয়ম কানুনের দরকার পড়ে না; সেই সুযোগে কাওরানবাজারের আলু পটলের ব্যবসায়ি, মুগদা-মান্ডার বংশানুক্রমের জেলেও এক মুহূর্তেই সাংবাদিক ফাউন্ডেশন নামক সংগঠনের রেজিষ্ট্রেশন পেয়ে যাচ্ছেন। তখন তাদের বুলি থাকে অন্যরকম-“আমি সাংবাদিক কি না সেটা আপনার জানার দরকার নাই, আমি সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট। আমি সাংবাদিক বানাই, আমার স্বাক্ষরে আইডি কার্ড দেই- আমার পরিচয় আলাদাভাবে দেয়ার কি আছে? ভূয়াদের এতোসব সাংগঠনিক প্রক্রিয়া ও কথিত ক্লাব-ইউনিটির দাপ্তরিক প্রতারণার ধকলে নানাভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মানুষজন। প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে মহান সাংবাদিকতার পবিত্র পেশাটিও।
টাকায় কেনা পদ-পদবি।
আইন সহায়তা প্রদানের নামে গড়ে তোলা কথিত এক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এক হাজার টাকায় তাদের সদস্যপদ বিক্রি করছে। কোন থানা কমিটি করতে আগ্রহীদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা এবং জেলা কমিটির জন্য ১০ হাজার টাকা ফি আদায় করে নেয়। শর্ত দেওয়া হয়, সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে কোন টাকা আয় হলে তা আলোচনার মাধ্যমে ভাগাভাগি করে নিতে হবে। আজীবন সদস্য হতে হলে দিতে হবে অন্তত ১০ হাজার টাকা। সংগঠনের কোন সদস্য সাংবাদিক হতে চাইলে ‘সাংবাদিক কার্ড’ বাবদ দিতে হবে আলাদা টাকা।
শুধু এই ফাউন্ডেশনই নয়, এভাবে সাধারন মানুষের সঙ্গে মানবাধিকারের নামে প্রতারনা করছে দেড় শতাধিক তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠন। জয়েন্ট স্টক কোম্পানী ও ফার্মস এর দপ্তর থেকে সোসাইটি এ্যাক্টের অধিনে নিবন্ধন নিয়ে মানবাধিকারের নামে প্রতারনা করছে বিভিন্ন চক্র। এই প্রতারক চক্রের একটি বড় অংশ বিভিন্ন অখ্যাত আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার কার্ডধারী সাংবাদিক। কনজুমার রাইটস সোসাইটি নামে একটি সংগঠনের প্রাদুর্ভাব রয়েছে দেশজুড়ে। সোসাইটি এ্যাক্টের অধিনে নিবন্ধন নেওয়া এই সংগঠনের আইডি কার্ডের উপরে বড় করে লেখা রয়েছে “গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা”। গভ: রেজি: এস-৭০০৬ (১৯৪)/০৭, অফিস- ১২০/এ মতিঝিল সি/এ (চতুর্থ তলা) ঢাকা। একই ভাবে মানবাধিকার ও পরিবেশ সাংবাদিক সোসাইটি নামেও আরেকটি সংগঠন সদস্যদের ‘মানবাধিকার সাংবাদিক’ হিসেবে পরিচয়পত্র দেওয়ার নাম করে এক হাজার টাকা এবং বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় কমিটি গঠন করে আঞ্চলিক পরিচালক, সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদের জন্য ৩ হাজার টাকা করে আদায় করছে।
মানবাধিকার সংগঠনের নামে প্রতারনার অভিযোগে ইতিপূর্বে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) থেকে ভুয়া সাংবাদিক ও তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশন’ এর চেয়ারম্যান এসএম হুমায়ুন কবীরসহ তিনজনকে আটক করেছিল পুলিশ। এই সংগঠনটিও ঢাকাসহ সারাদেশে টাকার বিনিময়ে প্রায় ১৫ হাজার ব্যক্তিকে ‘প্রেস’ লেখা আইডি কার্ড বিতরণ করেছে। একইভাবে ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস সোসাইটি, সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, আর্ন্তজাকিত সাংবাদিক মানবাধিকার সোসাইটি, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি, বাংলাদেশ পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটি, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি, কনজুমার এন্ড প্যাসেঞ্জার রাইটস প্রোটেক্ট সোসাইটি, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস জার্নালিস্ট এন্ড কালচারাল সোসাইটি নামের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নানারকম দৌরাত্ম্য লক্ষ্য করা যায়। কিম্ভূতকিমাকার নামধামের এসব মানবাধিকার সংগঠনের কর্মকান্ড মনিটরিং না করায় বাধাহীনভাবে তাদের অপকর্ম বেড়েই চলেছে।
অন্যদিকে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় মিরাজনগর মিজানের বাড়ীর ২য় তলায় গজিয়ে উঠেছে আরেক ভূয়া সংগঠন আর্ন্তজাতিক এই সংগঠনটির সরকারী কোন অনুমোদন না থাকলেও লেথা রয়েছে আর্ন্তজাতিক সনদপ্রাপ্ত, এই সংগঠনের মালিক এলাকার সাধারন মানুষকে সদস্য করা তাদের পাশে দাড়ানো এবং উপকার নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা, অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের মালিক বেশীদিন এক স্থানে অফিস নিয়ে থাকতে পারেনা তার কারন কিছুদিনের মধ্যেই তার আসল রুপ জানতে পাওে আর সে জন্য সে রাতের আধারে পালিয়ে গিয়ে অন্যস্থানে ভিন্ননামে সংগঠন খোলে প্রতারনা কওে আসছে প্রতিনিয়ত।
সরেজমিন ঘৃণাচিত্র ॥
একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রস্তুতের নিমিত্তে গত কয়েকদিন রাজধানীর থানা প্রাঙ্গনগুলোতে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সরেজমিনকালে এক হতাশাব্যঞ্জক চিত্রই বেরিয়ে আসে। বিভিন্ন নামের হরেক আকৃতির পত্রিকা আর মানবাধিকার সংগঠনের ‘সাংবাদিক কার্ডধারীরা’ থানা-পুলিশের দালালি ও তদবির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছে। অনেকে আইডি কার্ড ঝুলিয়ে প্রকাশ্যেই পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি’র সোর্সের দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত। সংগঠনগুলো থেকে দেয়া আইডি কার্ডসমূহে ‘মানবাধিকার লংঘন সংক্রান্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা’ ফিল্ড অফিসার, জোনাল অফিসার (ইনভেস্টিগেশন), থানা কমিটির সেক্রেটারী, মহানগর কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, কো-অর্ডিনেটর (তদন্ত সেল), পরিচালক (তদন্ত) ইত্যাদি পদবী লেখা থাকে। সন্ধ্যার পর একেকটি থানা চত্বরে, আশপাশের চা দোকানে, দারোগাদের টেবিলে টেবিলে ১৫/২০ জন কথিত সাংবাদিক ও তথাকথিত মানবাধিকার কর্মির জটলা থাকে। থানা, ফাঁড়ি, পুলিশ ষ্টেশন কেন্দ্রিক তথাকথিত সাংবাদিক আর মানবাধিকার তদন্ত কর্মকর্তার সংখ্যা কত-তা হিসেব কষে বলা মুশকিলই বটে। থানায় থানায় গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ কেন্দ্রিক কি কাজ তাদের ?
সরেজমিন অনুসন্ধানকালে যে দৃশ্যপট দেখা গেছে তা সবিস্তারে উল্লেখ করে ঘৃণার বিস্তার ঘটানো অবান্তর। শুধু এটুকু উল্লেখ করা জরুরি যে, এদেশে কামাল লোহানী, আকরাম হোসেন খাঁন, রেহমান সোবহান এর মতো ব্যক্তিত্বও মানবাধিকার কর্মি- অন্যদিকে যাত্রাবাড়ীর হেরোইনসেবী, পেশাদার গ্রিলকাটা চোর হিসেবে খ্যাত মনোয়ার হোসেন মানু মিঞাও হয়েছেন মানবাধিকার রক্ষা পরিষদের তদন্ত সেলের কো-অর্ডিনেটর। একইভাবে খুশী কবির, এলিনা খান’রা যখন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন- তখন এর বিপরীতে মিরপুর থানার তালিকাভুক্ত দেহ ব্যবসায়ি, পর তিন বার গ্রেফতার হয়ে জেল খাটা আসামি আইরিনও শক্ত অবস্থান নিয়ে মানবাধিকারের আইডি কার্ড ব্যবহার করছেন। আইরিনের চাররঙা ভিজিটিং কার্ডে লাল হরফে লেখা আছে ‘মাদক রোধ ও মানবাধিকার সংঘ’, রেজিঃ নং-। নিচে মোটা অক্ষরে আইরিন সুলতানা’র পদবীর ঘরে লেখা রয়েছে যুগ্ম সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি, সদস্য সচিব-ঢাকা মহানগর কমিটি এবং ভাইস চেয়ারম্যান-মিরপুর থানা কমিটি। আইরিনের বাসা থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন জন দেহজীবি ও চার জন খদ্দেরকে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় গ্রেফতার করে। তাদেরকে ছাড়ানোর জন্য আইরিন থানার ভিতরে ঢুকে তদবির ছোটাছুটিতে ব্যস্ত ছিলেন। তদবিরকালে থানা পুলিশের কোনো কোনো কর্মকর্তাকে তিনি টাকা দিয়ে ম্যানেজ করছিলেন, আবার কোনো কোনো কর্মকর্তার হাতে নিজের ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে দিয়ে হুমকি ধমকিও দিচ্ছিলেন। কী সেলুকাস !! কত বৈচিত্য আর বিচ্যুতিতে ভরা প্রিয় বাংলাদেশ !

নেশা মুক্ত সুন্দর জীবন গঠনে মাঠের ভুমিকা অপরিসীম-পলাশ

নিউজ প্রতিদিন: আলীগঞ্জের মাঠটি রক্ষার করার দায়িত্ব আমাদের সকলের এমন মন্তব্য করে জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যান বিষয়ক সম্পাদক, আলীগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব কাউসার আহমাদ পলাশ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় কোন মাঠ নেই, আমি একা মাঠটি রক্ষা করতে পারবোনা। আপনারা মাঠটি উদ্ধার করুন। যাতে আমরা বলতে পারি, এই মাঠটি আমাদের মাঠ।

(২১ সেপ্টেম্বর) শনিবার বিকেলে আলীগঞ্জ মাঠে অনুষ্ঠিত ২য় আলীগঞ্জ প্রিমিয়ার লীগ ডিগবার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে  পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, খেলাধুলা হচ্ছে মানুষ গড়ার হাতিয়ার। মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে তাদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নারায়ণগঞ্জে মাঠ থাকলে মাশারাফী যেভাবে নড়াইল এক্সপ্রেস হয়েছে, এখান থেকেও কেউ নারায়ণগঞ্জ এক্সপ্রেস হতে পারবে।

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন, আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ, আপনারা লেখা লেখির জন্য মাঠ রক্ষা আন্দোলন সাড়া দেশে ছড়িয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, নেশা মুক্ত সুন্দর জীবন গঠনে মাঠের ভুমিকা অপরিসীম। একটি মাঠ লাখো জীবনের অক্সিজেন। আমি বিশ্বাস করি আলীগঞ্জ  মাঠ থেকেই একদিন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরী হবে।তারা পরিবার ও দেশের সম্মান বয়ে আনবে।

পলাশ বলেন, যুবকরা হচ্ছে  আগামী দিনের ভবিষ্যত।এদেরকে আগামীর অপার সম্পদে পরিনত করতে হলে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং সেই পরিবেশও আমাদেরই তৈরী করে দিতে হবে। যারা যুব সমাজের মঙ্গল চায় না তারাই মাঠ নিয়ে ষড়যন্ত্র করে।

মাদক ও সন্ত্রাসের পৃষ্টপোষকতা করে।ভবন নির্মানে বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসী জি কে শামীম  আমাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছিল,আমি ভয় পাওয়ার লোক না।আমি বলেছিলাম আলীগঞ্জ মাঠ রক্ষায় যদি জীবন দিতে হয় দেবো,তবুও মাঠ দেবো না।জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও আলীগঞ্জ মাঠ রক্ষা করবো।

আলীগঞ্জ মাঠ রক্ষা আন্দোলন কমিটির সচিব মোঃ শামসুল হকের সভাপতিত্বে ফাইনাল খেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  আলীগঞ্জ ক্লাবের সহসভাপতি মোঃ ফরিদ উদ্দিন,কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,ক্লাবের সহসভাপতি মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বাবুল,ব্যবসায়ী  ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল হান্নান,মোঃ রমজান হোসেন,মোকাররম কন্ট্রাক্টর প্রমুখ।উপস্থিত ছিলেন টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক হাজী মোঃ আরিফুল ইসলাম,সদস্য সচিব হাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম শামীম,যুগ্ন সচিব মোঃ মিজানুর রহমান ওবায়েদুর রহমান ওবায়েদ।

ফাইনাল খেলায় জাষ্ট ফ্রেন্ডস ক্লাব আলীগঞ্জ তরুন যুব সংঘকে ট্রাইব্রেকারে ২-০ গোলে পরাজিত করে  চ্যাম্পিয়ন হয়।টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়ারের পুরস্কার লাভ করে জাষ্ট ফ্রেন্ডস ক্লাবের সাজিদ ও ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার লাভ করে আলীগঞ্জ তরুন যুব সংঘের পিয়াস।

জৈনপুরী পীর এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: গত ১২ (সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার স্থানীয় দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকায় বিশ্ব বরেণ্য মুফাসির আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৈনপুরীর পীরকে নিয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও চরম মিথ্যা আশ্রীত সংবাদ প্রকাশে গভীর উদ্বেগের সাথে নিন্দা জ্ঞাপন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাতের আহবায়ক মাওলানা মুফতি আ. রশীদ হারুনী। তিনি বলেন ১২ই সেপ্টেম্বর সংবাদচর্চা পত্রিকায় “জৈনপুরী পীরের খাল দখলের কারণে জলাবদ্ধতা” শীষক কলামে তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর বিশ্ব বরেণ্য মুফাসির আল্লামা আব্বাসীকে জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে। যার সাথে সত্যের লেশ মাত্র নেই।পত্রিকাটি যে মিথ্যাচার করেছে তাহলো আব্বাসী রেলওয়ের খাল ভরাট করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছ। অথচ গত ৫ সেপ্টেম্বর সিদ্দিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক পাঠানটুলী পরিদর্শনে আসলে স্থানীয় পঞ্চায়েত ঘরে শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে এ কথার প্রমান পান যে আব্বাসী মঞ্জিল কর্তৃপক্ষ তাদের পূর্ব পাশের রেলওয়ের খাণ ভরাটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। বরং আশপাশের বিভিন্ন ফ্যাক্টরীর লোকজন রেলওয়ের জায়গা ভরাট করাতে বিষেশ করে আব্বাসী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে চক্রটি ‍সুদীর্ঘ ৪ মাস যাবৎ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত করছে তাদের হোতা গংরাই আব্বাসী মঞ্জিলের পূর্ব পাশের রেলওলেয় খালে ১৫০ ফুট দৈঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থ বালু দিয়ে ভরাট করে অবৈধ্য গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী নির্মাণ করে এলাকার জলাবদ্ধতা সূচনা করে। অথচ আব্বাসী মঞ্জিল কর্তৃপক্ষ যখন দরবারের মাঠ হিসেবে পূর্ব পাশের রেলওয়ের খাল ভরাট করেন তার আগে(২০০১)সালে তৎকালীন রেলওয়ে স্টেট অফিসার আল্লামা আব্বাসীর পিতা মরহুম আল্রামা নিসার আহামাদ আব্বাসী জৈনপুরী (র) উপস্থিতিতে দরবারের পূর্ভ পাশের ১৫০ ফুট দৈঘ্য ও ৮৮ ফুট প্রস্থ খালটি দরবার কর্তৃপক্ষকে ব্যবহারের মৌখিক অনুমতি দেন।পরবর্তীতে রেলওয়ের জায়গাটি লিজও নেওয়া হয়। অধিকন্তু রেলওয়ের খালটি বালু দিয়ে ভরাটের সময় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য মাটির নিচে উত্তর-দক্ষিনে ৩৬ ইঞ্চি মোটা পাইপও (১৫০ ফুট দৈঘ্য ও ৮৮ ফুট প্রস্থ) বসানো হয়। তাই সিদ্দিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় কমিশনার ইফতাখার আলম খোকনকে দায়িত্ব দেন। তাও সিটি কর্পোরেশনের অধীনে। ওসি কামরুল ফারুক ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীকে রেলওয়ের ভরাট খাল অবমুক্ত করার কোন কথাই বলেননি। যা ৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়। এবং একথা সত্য হিসেবে উদ্ভাসিত হয় যে আল্লামা আব্বাসী রেলওয়ের খাল ভরাটে কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। বরং ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ অন্যান্য অঞ্চল থেকে নিচু হওয়াতেই ভাড়ী বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অতএব সংবাদচর্চা পত্রিকায় একটি প্রতিষ্ঠিত সত্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে মূলত সংবাদপত্রের সত্যনিষ্টতা ও পেশাদায়িত্বকেই প্রশ্ন বিদ্ধ করেছে। আমরা এ মিথ্যা সংবাদে তীব্র নিন্দাজ্ঞাপন ও প্রতিবাদ করছি।

পত্রিকায় দ্বিতীয় যে মিথ্যাচার করেছে পাঠানটুলী পঞ্চায়েত কমিটির আহবায়ক আ. রব ভূইয়া আল্লামা আব্বাসী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সিদ্দিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন। এ অভিযোগটিও ৫ সেপ্টেম্বর পাঠানটুলী পঞ্চায়েত ঘরে ওসি উপস্থিতিতে সব মিথ্যা সাবস্থ হয়। কারন আলআমা আব্বাসীর উপস্থিতিতে আ. বর ভূইয়া তার অভিযোগকৃত বিষয়ে একটি কথাও বলেননি বরং ওসি তাকে বার বার ধমক দিলেও তিনি সোজা বলে দেন তিনি বলবেন না। কারণ তিনি নিজেই জানেন না অভিযোগে কি লেখা আছে। পত্রিকাটি আল্লামা আব্বাসীর বিরুদ্ধে আরেকটি একপেশে সংবাদ পরিবেশন করে আব্বাসীর সন্মানে আঘাত করার চেষ্ঠা করেছে। তারা প্রকাশ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আল্লামা আব্বাসী ও তার দুই সহোদরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অথচ মামলা দায়েরের মাত্র ২১ দিন পরই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তদন্ত প্রমানসহ আল্লামা আব্বাসী ও তার দুই সহোদরের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারে নতুন (এফ আর আই) নারায়ণগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, পুলিশ সুপার কার্যালয় ও সিদ্দিরগঞ্জ থানায় প্রেরণ করেন।

তাই সংবাদচর্চা পত্রিকার কর্তৃপক্ষকে আমরা অনুরোধ করবোহলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে সত্য ও বস্ত্রুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে পেশাদায়িত্বের পরিচয় দিতে অন্যথায় তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত নারায়নগঞ্জ জেলা শাখা মানহানি মামলাসহ সকল ধরণের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।

এক মহানায়কের নাম ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম

নিউজ প্রতিদিন: সারোয়ার আলম। র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব এর সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিনি। বিভিন্ন অনিয়ম খাদ্য, ওষুধ থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যের গুণগত মান ও ভেজাল এবং মেয়াদ, হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, অতিরিক্ত ফি নেয়াসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে দেশের মানুষের মনে আস্থার জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি ঢাকার ফকিরাপুলে একটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালানোর পর নায়ক বনে যান সারোয়ার। এ অভিযানের জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ সব জায়গায়ই প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

বুধবার ওই ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে ১৪২ জনকে আটক করে র‍্যাব। এ অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সারোয়ার আলম।ওইদিনই ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। খালেদ ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

এদিকে, আজ শুক্রবারও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা পরিচয় দেয়া জি কে শামীমের নিকেতনের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। এ অভিযানের নেতৃত্বেও ছিলেন সারোয়ার আলম।

শামীমের বাসা থেকে থেকে ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআরের নথি, নগদ ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, অস্ত্র, বিদেশি মুদ্রা, মদ, আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক জব্দ করা হয়।এদিকে, জি কে শামীমকেও আটক করা হয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

আট বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ গবাদি পশুর বিভিন্ন ভ্যাকসিন, এন্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ধরণের ওষুধ রিপ্যাক করে বিক্রয় করায় সম্প্রতি রাজধানীর ফকিরাপুলে এডভান্স এনিম্যাল সায়েন্স কোং লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয় জনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড ও ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করে র‌্যাব-২,

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহযোগিতায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।এছাড়া ১০ কোটি টাকা মূল্যের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও জব্দ করা হয়। এ অভিযানেও ছিলেন সারোয়ার আলম। অভিযানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এছাড়া প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীর কোনো না কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা কিংবা খাবারের দোকানে অভিযান চালাচ্ছেন সারোয়ার আলম। একই সঙ্গে কিশোরদের মাদকসেবন থেকে শুরু করে রাজধানীতে ঘটা নানান অপরাধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও সমানতালে অভিযান চালাচ্ছেন তিনি।

এদিকে, সারোয়ার আলমকে নিয়ে সামাজিক যোগযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। অনেকে এ পোস্ট নিজের অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে সারোয়ার আলমের প্রশংসা করছেন।

ভাইরাল হওয়া পোষ্ট- র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম, আপনি এই শতাব্দির শ্রেষ্ঠ জীবিত কিংবদন্তী।আপনি ভীনগ্রহে থেকে ছুটে আসা দুর্নীতিতে ডুবে যাওয়া সুড়ঙ্গের শেষ আলো। গ্রীক বীর হারকিউলিসের চেয়েও শক্তিশালী ও সাহসী। আপনি রুপকথার শেষ যুবরাজ।

প্রতিটি দুর্নীতিবাজ রাঘব বোয়ালের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নেপথ্যের নায়ককে খুঁজতে গেলেই আপনার নাম দেখি, আপনি ওয়ান ম্যান আর্মি। ক্যাসিনো ধরার মত সাহসীকে খুঁজতে গিয়েও দেখি আপনি।

স্যার, আপনাকে শ্রদ্ধা জানানোর ভাষা আমি শিখিনি। আপনি অন্ততপক্ষে ১০০ বছর বেঁচে থাকুন। কাউকে আয়ু ধার দেয়ার বিধান থাকলে আপনাকে আমার এই মধ্য বয়স থেকেও কিছুদিনের আয়ু ধার দিতাম। আপনি বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে। আপনার প্রতি স্নেহ, প্রীতি, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও শুভকামনা।ভালোবাসা অবিরাম স্যার।

কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতির বিরুদ্ধে ২ মামলা

নিউজ প্রতিদিন: রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা হয়েছে।শুক্রবার রাতে ধানমণ্ডি থানায় মামলা দুটি করা হয়।ধানমণ্ডি থানার ওসি মো. আবদুল লতিফ যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে র‌্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দুটি করেছে।এর আগে শুক্রবার শফিকুল আলম ফিরোজকে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।এদিন বিকালে রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযান চালায় র‌্যাব।

অভিযানে বেশ কিছু জুয়া খেলার কয়েন, প্লেয়িং কার্ডের ৫৭২টি সেট, আটশ’ হলুদ রঙের ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলি, একটি ম্যাগাজিন জব্দ করা হয়। ক্যাসিনোর সরঞ্জাম এখানে ছিল না। তবে ক্যাসিনোতে ব্যবহার করা হয় এমন কয়েন পাওয়া গেছে।

জব্দ হওয়া ইয়াবাগুলো প্রচলিত ইয়াবা থেকে আলাদা ধরনের। এর কোনো গন্ধ নেই। অস্ত্র ও ইয়াবাগুলো ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলমের অফিস কক্ষ থেকে পাওয়া গেছে। এরপর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

শফিকুল আলম ফিরোজ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।এছাড়া ক্লাব থেকে হারুন, আনোয়ার, হাফিজুল ও লিটন নামে আরও চারজন স্টাফকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্র:যুগান্তর

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কাউন্সিলে রনি উনিশে ১৯

নিউজ প্রতিদিন:  জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হয়ে নিজেকে যেমন নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির মাঠে মেলে ধরতে পারেনি। তেমনি কেন্দ্রীয় পদ আনতে গিয়েও শেষতক ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে তাকে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ১৯জন সাধারন সম্পাদক প্রার্থীর মধ্যে তিনিই সর্বশেষ প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে আবারো ব্যর্থতার গ্লানি কাঁধে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে ফিরতে হয়েছে তাকে। ১৯জনের মধ্যে তিনি হয়েছে ১৯তম। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রণির ব্যর্থতা এভাবেই বারবার প্রতিয়মান হচ্ছে। ছাত্রদলের জাতীয় কাউন্সিলে মশিউর রহমান রনি ১ ভোট পেয়েছেন, কেউ বলছে ৯ ভোট পেয়েছে আবার কেউ বলছে ১৫ ভোট। আর এসব ফলাফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে রনি এখন হাসির খোরাকে পরিনত হয়েছে।

জেলা বিএনপির অন্যতম নীতিনির্ধারক হিসেবে পরিচিত এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনিবার্হী সদস্য শাহ আলমের সুনজরের কারণে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদ ভাগিয়ে নেয়া রণি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক পদের প্রতি লোভ জাগে। তারই সূত্র ধরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক হতে স্বপ্ন দেখেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রণি। কিন্তু বিধিবাম, তিনি কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে চরম ভাবে ব্যর্থ হয়ে নারায়ণগঞ্জে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।

ছাত্রদলের একাধিক নেতা জানান, মশিউর রহমান রণি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হওয়ার আগে ফতুল্লার আনাচে কানাচে ঘুরেছেন। ফতুল্লার ছাত্রদলের নেতাদের কাঁধে ভর দিয়েই চলেছে তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড। ছাত্রদলের ফতুল্লার নেতাকর্মী ছাড়া নিজ যোগ্যতা বলে কোন মিছিল মিটিং করতে পারেনি। মূলত ফতুল্লার নেতাকর্মীরাই রণি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি করতে অধিক শ্রম দিয়েছে। কিন্তু রণি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদ পাওয়ার পর থেকে ফতুল্লাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের নেতাকর্মীদের সাথে দূরত্ব তৈরী করে রাজনীতি করার চেষ্টা করেন। আর কারণে রণিকে নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে বলে ছাত্রদলের একাধিক সূত্রে জানাগেছে।

জেলা ছাত্রদলের একাধিক সূত্রের অভিযোগ, রণি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হওয়ার পর থেকেই মূলত জেলা ছাত্রদল দুই ভাবে বিভক্ত হয়ে পরে। জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক সজিবের নেতৃত্বে পৃথক একটি বলয় তৈরী হয়। এবং সাধারন সম্পাদক সজিবের বলয়ে জেলা ছাত্রদলের বেশীর ভাগ নেতা। জেলা ছাত্রদলের বেশ কিছু নেতার মতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনির উপর ক্ষুব্দ হয়েছেন জেলা ও জেলার অন্তর্গত থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। দলের জেলা কিংবা থানার নেতাকর্মীদের পরিচয় শূন্য করে এখন কেন্দ্রে ছাত্রদলকে আরো ডুবাতে নেতৃত্বে আসতে চাইছিলেন রনি। কিন্তু এখানেও তিনি ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছেন।

নেতাকর্মীদের অভিযোগ, রনি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হয়ে থানা কমিটিগুলো বার বার দেই দিচ্ছি করে সময় ক্ষেপন করেছেন। ফলে শক্তিশালী সংগঠনটাকে নষ্ট করেছেন রনি। ছাত্রদলের একটি কর্মী সৃষ্টি করতে না পারলেও নেতাকর্মীদের হতাশায় ফেলে সংগঠন থেকে দূরে সরিয়েছেন রনি। সর্বশেষ দলের নারায়ণগঞ্জ জেলায় তার অবস্থান খারাপ বুঝতে পেরে তিনি কেন্দ্রীয় পদে এখন নির্বাচন করতে ব্যস্ত হয়ে পরেনে এই নেতা।

ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের এক পদ প্রত্যাশী জানান, দীর্ঘ ১৪ বছর ধর্ব ছাত্রদলের রাজনীতি করে আজও পরিচয়হীন অবস্থায় রয়েছি। রনি পদে বড় হলেও তার থেকে রাজনীতির বয়স আমাদের বেশি। আমাদেরকে দিনের পর দিন কমিটি দিবে বলে ঘুরিয়েছে। টাকা দিয়েছি, শ্রম দিয়েছি বিনিময়ে একটি কর্মী সৃষ্টি করতে পারিনি। বরং তার এসব আশার বাণী শুনতে শুনতে আমাদের কর্মীরাও এখন আর আমাদের বিশ্বাস করেনা। সর্বশেষ আমাদের গেল রমজানের ইফতার মহফিলের আগের দিন বলেছিল ‘রোজা মুখে কথা দিচ্ছি, কাল ইফতার মহফিল করে কমিটি দিয়ে দিব।’ কিন্তু তার এই কথাও সে রাখেনি।

প্রসঙ্গত, বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলে ভোটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ফজলুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইকবাল হোসেন। গত বুধবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় ছাত্রদলের শীর্ষ দুই পদের জন্য কাউন্সিলরদের ভোট হয়। ভোটের ফলাফল আজ বৃহস্পতিবার ভোরে প্রকাশ করা হয়। ফজলুর রহমান ১৮৬ ভোট পেয়ে সভাপতি হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী রওনকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৭৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ইকবাল হোসেন পেয়েছেন ১৩৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জাকিরুল ইসলামের ভোট ৭৪। সাধারন সম্পাদক পদে লড়তে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের এক মাত্র প্রার্থী রনি নিজের ভোট ছাড়া জেলার আর কারো ভোট পায়নি বলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনির সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পত্রিকার সম্পাদকদের সাথে জৈনপুরী পীর এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী মতবিনিময়

নিউজ প্রতিদিন:নারায়ণগঞ্জের বহুল প্রচারিত দৈনিক প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন পোর্টাল সম্পাদকদের সাথে সন্ত্রাস,মাদক নির্মুল ও সমসাময়িক ঘটনার প্রেক্ষিতে মতবিনিময় সভা করেছেনে জৈনপুরী পীর ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী।

১৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার)বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব ভবনের একটি রেস্টুরেন্টে এ মতবিনমিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় জৈনপুরী পীর ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সমসাময়িক ও বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলার সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি বৃদ্ধি করেতাদের সাথে দূরত্ব ঘোচাতেই এ সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে পত্রিকার হেডলাইন হয়েছেন জৈনপুরী পীর ও তার ভাইয়েরা। এসব বিষয়েও উক্ত সভায় নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী।

যেকোন অভিযোগ কিংবা অন্য কোন বিষয়ে তাকে বা তার পরিবারের কাউকে নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি করার পূর্বে তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী।

উক্ত সভায় জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক ও জাতীয় পত্রিকার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

নাতির বিশেষ ‘অঙ্গ’ কেটে দিল দাদি

নিউজ প্রতিদিন: আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইক পাড়া গ্রামের সাজ্জাদ আলীর দুই সন্তানের জননী স্ত্রী শখের বানুকে (৩০) রেখে গত ১১ মাস আগে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। এই সুযোগে স্ত্রী শখের বানু প্রতিবেশি নাতি সম্পর্কের যুবক মানিকের (২৭) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গায় প্রেমিক নাতির বিয়ের খবরে রাতে ঘরে ডেকে লিঙ্গ কেটে দিল দাদি। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে। রাতেই গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় নাতি মানিককে (২৭) আলমডাঙ্গা শহরের শেফা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তিত লি’ঙ্গ ৮টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, মানিক পাইকপাড়া গ্রামের আলমঙ্গীর আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে নাতি মানিক ও দাদি শখের বানুর শারীরিক সম্পর্ক করে বলেও জানা যায়। এরই মধ্যে বিপত্তি। অবিবাহিত প্রেমিক নাতি মানিকের বিয়ে পাকাপোক্ত হয়। সে বিয়েতে মত ছিল প্রেমিক নাতির। এতে রাগে-ক্ষোভে পড়ে দাদি। তিনি প্রতিশোধের আগুন বুকে নিয়ে ঘুরছিলেন।

হঠাৎ গত ১৬ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে দাদি প্রেমিক নাতিকে তার ঘরে মোবাইলফোনে ডেকে নেন। পরে উত্তেজিত অবস্থায় প্রেমিক নাতির লি’ঙ্গে লুকিয়ে রাখা ব্লেড দিয়ে পোস মারেন। এতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন প্রেমিক নাতি। তার অবস্থা বেগতিক হলে নাক-লজ্জ্বার মাথা খেয়ে চিকিৎসার জন্য আলমডাঙ্গার শেফা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।এদিকে ক্লিনিকসূত্রে জানা যায়, মানিকের কর্তিত লিঙ্গে মোট আটটি সেলাই দিতে হয়েছে। বর্তমানে সে ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে সেভেন মার্ডারের পর ট্রিপল মার্ডার

নিউজ প্রতিদিন: সেভেন মার্ডারের পর সিদ্ধিরগঞ্জে এবার ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ঘটেছে। একই পরিবারের তিনজনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সিআই খোলা এলাকার আনোয়ারের বাড়ি থেকে ওই তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জের জোনাকি ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী সুমনের স্ত্রী নাসরিন (২৮), শিশু নুসরাত (৬) ও খাদিজা (২)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, আব্বাস মাদকাসক্ত। নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুন-অর রশীদসহ জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । হত্যাকান্ডের আলামত সংগ্রহ করতে পিবিআই এবং ঢাকা থেকে সিআইডির ফরেনসিকের বিশেষজ্ঞ টিমও আসেন। পারিবারিক কলহের কারনে এই হত্যাকান্ড কি না তার তদন্ত করছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বলেন, পারিবাারিক কারনে এই হত্যাকান্ড কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে। আব্বাসের সাথে তার স্ত্রীর ঝগড়া হয়, পরে আব্বাসের স্ত্রী নিহত ছোট বোন নাজমীনের বাসায় চলে আসে। ঘটনার দিন আব্বাসের স্ত্রী ইয়াসমিন সকালে গামেন্টসে চলে যাওয়ার পর আব্বাস নাজমীন এর বাসায় আসে। এর পরে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এই সূত্র ধরেই হত্যা কান্ডটি হতে পারে। আব্বাসকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।। ঘটনার সত্যতা এবং বিস্তারিত তদন্ত করে জানা যাবে।

বাংলাদেশের সাফল্য কাজে লাগাতে বক্তাবলীতে ইউএনডিপি প্রতিনিধি দল

নিউজ প্রতিদিন ডট নেট: শহুরে দারিদ্রতা হ্রাসে বাংলাদেশের সাফল্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে সদর উপজেলার বক্তাবলীতে ডিজিটাল সেন্টার প্রকল্প পরিদর্শন করেছে ফিলিপাইন সরকার ও জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) একটি দল। প্রতিনিধি দলটি এ প্রকল্পে ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি’ ব্যবহারে বাংলাদেশের অগ্রগতির বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফিলিপাইন সরকার ও ইউএনডিপি’র ওই দল বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদে আসেন।

ইউএনডিপি ফিলিপাইনের আবাসিক প্রতিনিধি টাইটন মিত্রের নেতৃত্বে এসময় প্রতিনিধি দলে ছিলেন-ইউএনডিপির ফিলিপাইনের জেষ্ঠ্য প্রকল্প উপদেষ্টা উপদেষ্টা অ্যান্ড্রু পার্কার, ফিলিপাইনের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কারিগরী সহকারী ফৌজিয়া আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ নূর আবদুল্লা অ্যাঙ্গি, ইউএনডিপি বাংলাদেশের দারিদ্র্য ও নগরায়ণ প্রকল্প প্রধান আশিকুর রহমান প্রমুখ।প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সরকারের এটুআই প্রকল্পের অধীন ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের প্রশংসা করেন। তাদের মতে, আধুনিককালে এ প্রযুক্তির ব্যবহারের বাংলাদেশ সরকার প্রশংসীয় সাফল্য অর্জন করেছে।

বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিনিধি দলটিকে স্বাগত জানান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী। এসময় যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসাইন, নাসির মাদবর, খোরশেদ আলম মাস্টার ও ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধি দলটি এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন পরিদর্শন করেন। তাদের স্বাগত জানান মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। উভয় পক্ষ দু’দেশের শহুরে দারিদ্রতা নিরসনে স্ব-স্ব প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন।

এসময় মেয়র আইভী বলেন, এই প্রকল্পটি দরিদ্র বিশেষত মহিলাদের দারিদ্র্য থেকে উন্নত হতে সহায়তা করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দারিদ্র জনগোষ্ঠি সিটি কর্পোরেশনের আরও কাছাকাছি এসেছে। এ উদ্যোগের জন্য ইউএনডিপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র আরও বলেন, আমরা আশা করছি প্রকল্পটি সারাদেশে প্রসারিত হবে।

পরে প্রতিনিধি দলটি ফতুল্লায় এলআইইউপিসি প্রকল্পের সাইট পরিদর্শন করেন।