২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 95

মৎস্যজীবী দলের ১৫৪ জনের কমিটিতে নেই মিলন মেহেদী।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর সংগঠন গোছানোর দিকে মন দিয়েছে বিএনপি। তৃণমূল থেকে সর্বস্তরে সম্মেলনের মাধ্যমে জনমতের ভিত্তিকে কমিটি করার কথা বললেও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি করা হচ্ছে কেন্দ্র থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে।

দুদিন আগে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের কমিটি করার পর বুধবার ঘোষণা করা হয় জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের কমিটি। ১৫৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে একজন আহবায়ক ও একজন সদস্য সচিব করা হয়েছে। ২৩ জন যুগ্ম আহ্বায়ক করা ছাড়াও অন্যদের সদস্য করা হয়েছে।

এই কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নতুন কমিটিতে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাবকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। আব্দুর রহিমকে করা হয়েছে সদস্যসচিব।মৎস্যজীবী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিলন মেহেদী নতুন কমিটিতে নেই।

কমিটির যুগ্ম আহ্বায়করা হলেন- নাদিম চৌধুরী, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, জাকির হোসেন খান, মো. আজম প্রামাণিক, মো. ফারুক পাটওয়ারী, হাবিবুল হক হাবীব, সুলতান মাহমুদ সিদ্দিকী উল্লাস, জাহাঙ্গীর আলম সনি, সাইফুল ইসলাম রাশেদ, মো. লোকমান হোসেন হাওলাদার, কাজী মামুন-উল-হুদা, মো. শাহ আলম, তরিকুল ইসলাম মধু, গোলাম কিবরিয়া, রুস্তম মল্লিক, এম নাজিম উদ্দিন নাজিম, ফরিদ আহমেদ মানিক, কবির উদ্দিন, এ কে এম ওয়াদুদ , সাইদুল ইসলাম টুলু, কাজী কামাল উদ্দিন বাঁধন মিয়া, এম এ হান্নান, জহিরুল ইসলাম বাশার।

নবগঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন- মো. নুরুল হক মোল্লা, মো. আমির হোসেন, হাজী শফিকুল ইসলাম রাসেল, কে এম রফিকুল ইসলাম রিপন, ডা. গোলাম সারোয়ার, তাওলাদ হোসেন শেখ, ফজর আলী লিটন, মো. কামাল উদ্দিন চৌধুরী, গাজী মোশারফ হোসেন, তোতা মিয়া, হুমায়ন কবির পাটওয়ারী, তবারক হোসেন, ইসমাইল হোসেন, কাজী রাকিবুল আহসান মহাব্বত, এম এ জি বাবুল, সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল, শেখ হেমায়েত হোসেন, হাজী আবু বকর ছিদ্দিক, মহিউদ্দিন শিকদার, অধ্যক্ষ মো. লোকমান হোসেন, সালেহ উদ্দিন শাহিন, রফিকুল ইসলাম, এইচ এম আবু সাইদ প্রমুখ।

২১শের বই মেলায় শেখ শাম্মী সকালের ২ বই

সাহিত্য ডেস্কঃ এবারের ২১শের বই মেলায় নতুন তরুণ কবি শেখ শাম্মী সকালের নতুন দুইটি কাব্যগ্রন্থ এসেছে । কাব্যগ্রন্থে থাকছে অগাধ ভালোবাসা,অভিমান,খুনসুটি ও বিরহব্যাথা। ১ম কাব্যগ্রন্থের নাম, “বসন্তে এলে তুমি” বাংলানামা প্রকাশনে পাবেন। বাংলা একাডেমী চত্বর ৬৮ নং স্টলে। ২য় কাব্যগ্রন্থের নাম,“তুমি আমি ও শরৎ” পাবেন অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনা থেকে,সালাম চত্তর ২৭৮ নম্বর স্টলে।

কবির কথা: ছোটবেলা থেকে লিখতে ভালোবাসি,লেখার মাঝে প্রাণ খুঁজে পাই,পাই ভালোবাসা ও শান্তি। গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর গ্রামে জন্ম শেখ শাম্মী সকাল এর। শৈশব,কৈশোর ও কলেজ জীবন সেখানেই কেটেছে। বাবা রেজোয়ান হোসেন (মানিক) ও মা বিউটি আক্তার। দুই ভাইবোনের মধ্যে সকালই বড়। ছোটো ভাই অন্তর তাহমিদ তূর্য। শেখ শাম্মী সকাল সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ফার্মাসি ডিপার্টমেন্টে অধ্যয়নরত। জাতীয় কবি পরিষদ ও স্বপ্নকথা সাহিত্য পরিষদের সেরা পাঠিকা হিসেবে দু’বার সনদ পেয়েছেন এবং জাতীয় কবি পরিষদ থেকে স্বসাপ গ্রুপের পক্ষে একটি সম্নাননা ক্রেস্ট পেয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ সাহিত্যসভার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তিনি।

কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফেরত দিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা

ডেস্ক নিউজঃ ঢাকায় অফিসের কাজ শেষে নারায়ণগঞ্জ ফেরার পথে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কয়েক লাখ টাকার ব্যাগ কুড়িয়ে পেয়েছেন এক ব্যাংক কর্মকর্তা। প্রকৃত মালিককে ফেরত দেয়ার জন্য পুলিশের কাছে এসব টাকা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।

সোমবার বিকেলে ঢাকা-পাগলা-নারায়ণগঞ্জ সড়কের শ্যামপুরের ঢাকা মেস এলাকায় এসব টাকা কুড়িয়ে পান ওই ব্যাংক কর্মকর্তা। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

এমন মহৎ কাজটি যিনি করেছেন তার নাম সারোয়ার জাহান। তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবি) নারায়ণগঞ্জ শাখার জুনিয়ার অফিসার। নারায়ণগঞ্জের পাইকাপাড়া এলাকায় তার বাড়ি।
ব্যাংক কর্মকর্তা সারোয়ার বলেন, ঢাকায় অফিসের কাজ শেষ করে শ্যামপুরের ঢাকা মেস এলাকার সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে সিএনজি অটোরিকশায় রওনা দেই। অটোরিকশায় উঠতেই সিটের পাশে দেখি একটি ব্যাগ রাখা আছে। ব্যাগটি কার জিজ্ঞাসা করতেই চালক জানায় তার নয়।

তিনি বলেন, হয়তো কোনো যাত্রী ব্যাগটি ফেলে রেখে গেছে। পরে ব্যাগটি খুলে দেখতে পাই অনেকগুলো টাকা ও ছবিসহ পাসপোর্টের একটি ফটোকপি রয়েছে। যেহেতু ব্যাগটি আমার না এবং সিএনজি চালকও জানে না কার, তাই ফতুল্লা থানা পুলিশের ওসি মঞ্জুর কাদেরের কাছে হস্তান্তর করি। যাতে প্রকৃত মালিকের কাছে পৌঁছে দিতে পারে টাকাগুলো।

সিএনজি অটোরিকশার চালক মো. সোহাগ বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েকজনকে ঢাকা মেস এলাকায় নামিয়ে দেই। তাই কে ব্যাগ রেখে গেছেন, তা আমার জানা নেই। ফলে টাকাসহ ব্যাগটি পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের বলেন, এখানে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও একটি পাসপোর্টের ফটোকপি আছে। ধারণা করা যাচ্ছে এ টাকার মালিক বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা জমা দিতে কিংবা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ভুল করে ব্যাগটি ফেলে রেখে চলে যান। সারোয়ার জাহান মহৎ মানুষ। যে এতগুলো টাকা পেয়েও কোনো লোভ না করে প্রকৃত মালিককে পৌঁছে দেয়ার জন্য পুলিশের কাছে নিয়ে এসেছেন। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু টাকাগুলো অটোরিকশায় পাওয়া গেছে সেহেতু চালকের নাম ও সারোয়ার জাহানের নাম উল্লেখ করে একটি জিডি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচারসহ পাসপোর্টের ঠিকানায় যোগাযোগ করে উপযুক্ত প্রমাণের মাধ্যমে প্রকৃত মালিকের কাছে টাকাগুলো ফেরত দেয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জ সদর ইউএনও কে নিয়ে সংসদে তোলপাড়, প্রধানমন্ত্রীর তদন্তের নিদের্শ

ডেস্ক নিউজঃ অন্তঃসত্ত্বার কারণে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসনে আরা বেগম বীনাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করায় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এমপিরা। এ ধরনের সিদ্ধান্ত বর্তমান নারী ক্ষমতায়নের যুগে একটি ভুল সিদ্ধান্ত বলেও মন্তব্য করেন তারা।

সোমবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারণী আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তারা। এ সময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। স্পিকার নিজেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

শুরুতেই সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বিষয়টি সংসদে তোলেন। এরপর বক্তব্য রাখেন ওই এলাকার এমপি শামীম ওসমান।

বর্তমান সরকার নারী ক্ষমতার দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে চুমকি বলেন, হোসনে আরা বেগম বীনা অত্যান্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন। তার সহকর্মীরা কাজের প্রশংসা করেছেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ৯ বছর পর মা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা একজন নারীর চিরন্তন। সেই শিশুটিকে নিয়ে তার যে মানসিক অবস্থা তা নিশ্চয় আমরা উপলব্ধি করতে পারি। প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা এদেশের উন্নয়নে একটি বিরাট ধাপ অতিক্রম করেছেন নারীর উন্নয়নের মাধ্যমে। সেই লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য বাংলাদেশে আজ নারী ক্ষমতায়নের মডেল।

নারী উন্নয়ন ও মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন সুযোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, একজন নির্বাহী কর্মকর্তা, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্বে আছেন তিনি। সে যদি সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে থাকেন তাহলে সন্তান সম্ভবাকে কেন ওএসডি করা হলো? বিষয়টি আমাদের কাছে ক্লিয়ার নয়। তার পাশাপাশি আমি বলতে চাই একজন অন্তঃসত্ত্বা মায়ের সঙ্গে যে আচরণ করতে হয়, আমার মনে হয় সমাজ এখনও তা উপলব্ধি করতে পারেনি।

সন্তান সম্ভবা নারীদের প্রতি অনেক গুরুত্ব দেয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর। একজন সন্তান যদি সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ না করে তাহলে শুধু মা নয়, আমাদের সমাজ ও দেশের জন্য বার্ডেন হতে পারে। এই ঘটনার জন্য একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি করেন তিনি।

এরপর শামীম ওসমান ওই নারীকে নিজের বোনের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, আমি এই সময় ওমরায় ছিলাম। এই ঘটনার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত ও লজ্জিত। আমার নির্বাচনী এলাকা হিসেবে সার্টিফায়েড করতে চাই- ওই কর্মকর্তা অত্যন্ত কর্মঠ ও যোগ্য ছিলেন। নির্বাচনের সময় তাকে আমি অন্য জায়গায় বদলি হয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তিনি রাজি ছিলেন না। বরং কাজ করতে পারলে তিনি ভালো থাকবেন বলে জানান।

তিনি বলেন, এই নারী আমার বোন, স্ত্রী, মা। আজ আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে বহুবার ফোন করেছিলাম। হয়তো আমার নম্বরটা তার কাছে নেই বলে তিনি ধরেননি। এই ঘটনা আমার এলাকায় হওয়ায় আমিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছি। কেন , কীভাবে তাকে ওএসডি করা হলো তা জানতে চাই। আমি মানুষ হিসেবে বলছি, আশা করি এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রী সংসদে বক্তব্য দেবেন। তাকে বদলি নয়, কেন ওএসডি করা হলো তা তদন্ত করে বের করুন। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি তার বাচ্চাটা যেন হায়াত দারাজ করেন। বাচ্চাটা যদি কিছু হয় আমি নিজেকেও ক্ষমা করব না।

এরপর ডেপুটি স্পিকার বলেন, আশা করি, জনপ্রশাসন মন্ত্রী এ ব্যাপারে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

প্রসঙ্গত, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি হোসনে আরা বেগম বীনাকে ওএসডি করা হয়। ওএসডি’র পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বীনা তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যা নিয়ে প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়।

তার স্ট্যাটাসের মূল বক্তব্য হলো- মাত্র ৯ মাস পূর্বে তিনি এ পদে যোগদান করেন। তার দীর্ঘ ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে বহু চেষ্টা চিকিৎসার পরও কোনো সন্তান হয়নি। কিন্তু পাঁচ মাস পূর্বে জানতে পারেন তিনি দুই মাসের সন্তান সম্ভবা। এ অবস্থা নিয়েই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি এ জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে এপ্রিসিয়েশনও দিয়েছে। অথচ সন্তান সম্ভবা হওয়ার পর তাকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে বদলির পাঁয়তারা করে ছিল একটি মহল।
সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ ছিল ২০ এপ্রিল; মানসিকভাবে প্রস্তুতিও ছিল তার। গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রেগুলার চেকআপ করার সময় খবর পান কর্তৃপক্ষ তাকে ওএসডি করেছে। তার অপরাধ তিনি সন্তান সম্ভবা। খবর শোনার পর তিনি মানসিক চাপ সহ্য করতে পারেননি। অ্যাজমার রোগী হওয়ায় প্রচণ্ড মানসিকচাপে তার ফুসফুসে ব্লাড সার্কুলেশন অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। এতে তার পেটের সন্তানের অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যায় এবং হঠাৎ করেই পেটের সন্তানের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে য়ায়। এরপর তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৩১ সপ্তাহ বয়সী প্রি-ম্যাচিউর বেবিকে সিজার করে বের করে ফেলা হয়। বর্তমানে সে স্কয়ার হাসপাতালের এনআইসিওতে বেঁচে থাকার জন্য প্রাণপণ যুদ্ধ করে যাচ্ছে। বীনার প্রশ্ন তার নিষ্পাপ সন্তানটার কী অপরাধ ছিল? নাকি মা হতে চাওয়াটাই বড় অপরাধ? বীনার অভিযোগ, তার জায়গায় পোস্টিং নিতে প্রভাবশালী কারও তদবিরে এমনটা হয়েছে। সূত্রঃ জাগো নিউজ

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ফতুল্লা প্রেস ক্লাব ও মায়ের আচঁলের উদ্যোগে সাহিত্য আড্ডা এবং গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কোলকাতা থেকে আগত অতিথীদের সম্মানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিম ও মায়ের আচঁল সাহিত্য সামাজিক পরিষদের সভাপতি হারুন অর রশিদ সাগরের সঞ্চালনায় এবং ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সামাদ মতিন ও সহ-সভাপতি এড. মশিউর রহমান শাহিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা রামকৃষ্ণ মিশনের শিক্ষক কবি দীপক হালদার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কবি বিধানান্দু পুরকাইত ও বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদের সভাপতি কবি এম আর মনজু।

এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সিরাজুল ফরিদ, কবি দীপক ভৌমিক, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ্, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রনজিৎ মোদক, কবি এস এ শামীম, নজরুল ইসলাম শান্তু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দিন শেখ, কবি রমজান বিন মোজাম্মেল, নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য ফোরামের সভাপতি কবি জাহাঙ্গীর ডালিম, কবি জেবুন্নেছা মিনা, কবি নাহিদা পাঠান তুহিন, সৈয়দা হাবিবা মোস্তারিন, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ আলিম লিটন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম, মাসুদ আলী,শেখ মোঃ সেলিম, প্রেস বিডির সম্পাদক বদিউজ্জামান, ছড়াকার মোখলেসুর রহমান তোত, সৈয়দ পাপেল মাহমুদ, নাইমুল হাসান, এম আর সেলিম, সাংবাদিক রাকিব চৌধুরী শিশির, ইসরাত রুবাইয়া প্রমুখ।

এম শওকত আলী নিউজ প্রতিদিনের প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল “ নিউজ প্রতিদিন”র প্রধান উপদেষ্টা হলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়নের একাধিক বারের নির্বাচিত রাষ্ট্রিয় স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম শওকত আলী। নিউজ প্রতিদিন পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন। এম শওকত আলী আলোকিত বক্তাবলী সংগঠনেরও উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন।

নিউজ প্রতিদিনের প্রধান উপদেষ্টা এম শওকত আলী বলেন, নিউজ প্রতিদিন বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ পরিবেশনের মধ্যদিয়ে পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। আগামীতেও এই নিউজ পোর্টালটি তাদের নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে।

ফতুল্লায় সমকামিতার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিব আটক

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট:ফতুল্লার দাপা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিচার ও প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ করেছে স্কুল ছাত্রীরা। ৫ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্কুলের মাঠে এ বিক্ষোভ করে স্কুল ছাত্রীরা। এর আগে রাতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ করেন স্কুলের পিয়ন ফখরুল আলম। এঘটনায় প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিবসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষককে রক্ষা করতে ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তার অনুসারীদের সাথে নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিকে দৌড়ঝাপ শুরু করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। গোলাম মোস্তফা নিজেকে দাপা আদর্শ স্কুলের এডহক কমিটির আহবায়ক বলে দাবি করেন।

অভিভাবকরা জানান, যেখানে স্কুলের পিয়ন নিরাপদ না সেখানে স্কুলের ছাত্রীরা কি ভাবে নিরাপদ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিব প্রায় রাতে স্কুলে পিয়ন ফখরুলকে নিয়ে অবস্থান করেন। আমরা তাকে নিষেধ করলেও সে কোন কথা শোনে না। গতকাল রাতে তাকে সমকামিতার অভিযোগে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। আমরা এ প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিবের বিচার দাবী করছি।

এদিকে বিক্ষোভকারী ছাত্রীরা জানান, প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিবকে প্রত্যাহার করা না হলে আমরা ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ চালিয়ে যাবো।

বলাৎকারের শিকার পিয়নের স্বজনদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির পরিচয় দিয়ে বেড়ানো এবং ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা তৈয়ব হোসেনসহ একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ভিন্ন দিকে প্রভাহিত করার চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য, গত এক বছর পূর্বে আইনী জটিলতার কারণ দেখিয়ে বিদ্যালয়ের নির্বাচিত কমিটি বাতিল করে গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একটি এডহক কমিটি গঠন হয়। ঐ কমিটি ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার কথা বললেও এখনো নির্বাচন দেয়নি। আর এ নিয়ে বিদ্যালয়ে নানা ধরনের ঝটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বাধীন এডহক কমিটির মেয়াদ গত বছরের নভেম্বর মাসে শেষ হয়। কিন্তু তারপরও তিনি বিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ করতে নানা ভাবে তৎপর রয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি (অপারেশন) মজিবুর রহমান জানান, দুই পক্ষের অভিযোগে তাদের থানায় নিয়ে এসেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি।

১৫ বছরে শত কোটি টাকার মালিক মহাখালী হাসপাতালের কর্মচারী!

শত কোটি টাকার মালিক- রাজধানীর মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী (হিসাবরক্ষক) লিয়াকত হোসেন জুয়েল ও তার স্ত্রী লাকি আক্তার চৌধুরীর নামে রয়েছে শত কোটি টাকার সম্পদ। মাত্র ১৫ বছরে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি।

২০০৩ সালে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বক্ষব্যাধি হাসপাতালের হিসাব সহকারী পদে চাকরিতে যোগদান করেন লিয়াকত হোসেন। সে হিসাবে গত ১৫ বছর ধরে চাকরি করছেন তিনি। এই ১৫ বছরেই অঢেল সম্পদের মালিক হয়ে যান তিনি। বিষয়টি জেনে গত ৩১ জানুয়ারি সম্পদের হিসাবের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

জানা যায়, লিয়াকত হোসেনের বাড়ি ফরিদপুরে। জেলা সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ। শহরের টেপাখোলার লক্ষ্মীপুর এলাকায় স্ত্রী লাকির নামে রয়েছে একটি আলিশান বাড়ি। টেপাখোলার ফরিদাবাদে ‘মাহি মাহাদ ভিলা’ নামে রয়েছে আরেকটি দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। এই বাড়িতে বসবাস করছেন জুয়েলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

শহরতলীর বায়তুল আমান এলাকায় পাঁচ কাঠার আবাসিক প্লট রয়েছে স্ত্রীর নামে। নর্থ-চ্যানেল গোলডাঙ্গীর চরে এল অ্যান্ড এমএম নামে রয়েছে তার একটি ইটভাটা। বড় বোন নাসরিন আক্তারের নামে সিঅ্যান্ডবি ঘাটের ওপারে নাজিরপুরে এঅ্যান্ডআর ব্রিকস নামে আরেকটি ইটভাটা রয়েছে। এছাড়া সিঅ্যান্ডবি ঘাটের বাজারে রয়েছে ১৭ শতাংশ জমিতে দোতলা ভবন।

এদিকে, শহরের ভাটি লক্ষ্মীপুরে ২৪ কাঠা জমিতে রয়েছে তার বাগান বাড়ি। শহরতলীর আদমপুর এলাকার বেরহমপুর মৌজায় ১৭ বিঘা জমি রয়েছে স্ত্রী নামে। তার ছোট কার্গো জাহাজ রয়েছে ১৬টি, তবে এসব জাহাজ শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়-স্বজনদের নামে রয়েছে। এছাড়া পারিবারিকভাবে ব্যবহারের জন্য রয়েছে আধুনিক মডেলের তিনটি প্রাইভেটকার।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে লিয়াকত হোসেন জুয়েলের ভাই বেলায়েত হোসেন বলেন, ৩১ জানুয়ারি ঢাকার দুদক অফিসে আমাদের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। সেখানে আমাদের পরিবার ও সম্পত্তির বিভিন্ন তথ্য দিয়েছি আমরা।

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিশনের (দুপ্রকে) সাধারণ সম্পাদক হাসানউজ্জামান বলেন, সমাজে যারা অসৎপথে অর্থ উপার্জন করছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা দরকার। কারণ এই দুষ্টু চক্রকে আটক করতে না পারলে রাষ্ট্র ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একজন হিসাবরক্ষক হয়ে লিয়াকত হোসেন জুয়েল এত সম্পদের মালিক কিভাবে হলেন সেটি বের করে আনা দুদকের কাজ।

ইটিভি’র চিফ রিপোর্টার সেকান্দার রিমান্ডে

নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের মামলায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভি’র (ইটিভি) চিফ রিপোর্টার (প্রধান প্রতিবেদক) এম এম সেকান্দারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদারের আদালতে এ মামলার শুনানি হয়। তার বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ওই নারী।

এর আগে দুপুরে তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানা পুলিশ ফাঁড়ির (উপ-পরিদর্শক) মবিন আহমেদ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত এম এম সেকান্দারকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার ও তুহিন হাওলাদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।

শুনানিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনজীবীরা বলেন, ‘মামলার এজাহারের বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনার কোনও মিল নেই। এ আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। তাকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনও যুক্তি নেই। অভিযুক্ত জামিন পেলে পলাতক হবেন না।’ অপরদিকে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জাহিদুর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত আড়াইটার দিকে র‍্যাব ২-এর একটি দল এম এম সেকান্দারকে তার বনশ্রীর বাসা থেকে গ্রেফতার করে। এরপর সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে হাতিরঝিল থানায় সোপর্দ করা হয়। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মোহাম্মদ ফজলুল করীম বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় ভুক্তভোগী নারী মামলাটি করেছেন। মামলায় এম এম সেকান্দারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তের অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী।’

মামলা করার আগে এই নারী সাংবাদিক ইটিভি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ২৮ জানুয়ারি চ্যানেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এম এম সেকান্দারের বিরুদ্ধে তিন পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি। তাতে হয়ারনির পুরো ঘটনা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ওই নারীর অভিযোগ, তাকে দীর্ঘদিন ধরে সেকান্দার যৌন হয়রানি করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার টেলিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কথা বলতে গেলেও তিনি তাদের কাছে পাত্তা পাননি।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রিপোর্টিং কোর্স করার সময় সেকান্দারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেখানে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তার মাধ্যমেই তিনি ইটিভিতে চাকরি পান। চাকরি পাওয়ার পর থেকেই সেকান্দার তাকে বিভিন্ন সময় যৌন হয়রানি করেছেন। কোনও কারণ ছাড়াই তাকে অনেক রাত পর্যন্ত অফিসে বসিয়ে রাখতেন। এরপর সেকান্দার তার নিজের গাড়িতে করে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতেও যৌন হয়রানি করতেন। এই কাজে চ্যানেলটির আরও কয়েকজন সেকান্দারকে সহায়তা করতেন বলে দাবি করেছেন তিনি। সূত্র:বাংলা ট্রিবিউন

নারায়ণগঞ্জে অস্ত্রসহ চার ভূয়া র‌্যাব গ্রেপ্তার

নারায়াণগঞ্জের রূপগঞ্জে র‌্যাব-১ এর আওতাধীন কাঞ্চন সিপিসি-৩ এর র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে ৪ ভূয়া র‌্যাব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোটর সাইকেল, একটি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ২ টি ম্যাগজিন, ৪ টি মোবাইল সেট ও নগদ ১১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

রবিবার ভোরে ওই প্রতারক চক্রদের গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ইসলামবাগ (পশ্চিমকালী) এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‌্যাব-১ এর কাঞ্চন ক্রাইম প্রিভিয়েশন কোম্পানী-৩ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সুজয় সরকার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, তাদের কাছে সংবাদ ছিলো একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে র‌্যাব পরিচয় দিয়ে রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে হয়রানি করে আসছে। মাদারীপুরের জনৈক সোহেল রানার অভিযোগের ভিক্তিতে র‌্যাবের চৌকশ একটি দল অভিযান চালিয়ে রবিবার ভোরে চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মর্তুজাবাদ এলাকার মাসুদ মিয়ার ছেলে আতিকুল রহমান (২৫), শিমলাব এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে সোহান ভূঁইয়া, মর্তুজাবাদ এলাকার আবু মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন ও মর্তুজাবাদ এলাকার মোজাম্মেল মিয়ার ছেলে রাব্বি মিয়া। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোটরসাইকেল , একটি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ২ টি ম্যাগাজিন, ৪ টি মোবাইল, র‌্যাব লেখা জ্যাকেট ও নগদ ১১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

প্রতারণার শিকার সোহেল রানা বলেন, তিনি দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে প্রবাসী ছিলেন। সে মাদারীপুরের মোজাফফপুর এলাকার আবু হাশেমের ছেলে। গত ১৪ জানুয়ারী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে রূপগঞ্জের বরপা এলাকার বন্ধু রাসেল মিয়ার বাড়িতে আসার পথে দুটি মোটরসাইকেলে আসা ৫ যুবক নিজেদের র‌্যাব পরিচয় দিয়ে গতিরোধ করে। পরে তাকে মোটরসাইকেলে তুলে ইসলামবাগ এলাকায় নিয়ে নির্যাতন চালায়। এসময় তিনটি বিকাশ নাম্বারের (যথাক্রমে-০১৭৭২৬০২৪৪৪৪, ০১৮৫০৫২০৩২৪ ও ০১৭৭৭৭৮৮০১২) মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

উল্লেখ, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, ছিনতাই ও প্রতারণা চালিয়ে আসছে। উল্লেখিত বিকাশ নম্বরে তারা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।